অনলাইনে যেকোনো কিছু শেখার জন্য একজন পণ্ডিতের নির্দেশনা
-
0:01 - 0:03এই মানচিত্রটা নিউ ইয়র্ক শহরের
-
0:03 - 0:06যা কিনা ১৯৩৭ সালে
জেনারেল ড্রাফটিং কোম্পানি তৈরি করে -
0:06 - 0:10এটা মানচিত্র তৈরি আঁকিয়েদের
কাছে ভীষণ জনপ্রিয়, -
0:10 - 0:13কারন এটার নিচের দিকে
ক্যাটস্কিল পবর্ত অবস্থিত। -
0:13 - 0:15সেখানে ছোট এক শহর ছিল যার নাম রোসকো--
-
0:15 - 0:17এটা আরও সহজ হবে যদি
আমি এটিকে এখানে দেখাই-- -
0:17 - 0:21এই হচ্ছে রোসকো, আর তার ঠিক উপরেই
আছে রকল্যান্ড, নিউ ইয়র্ক, -
0:21 - 0:25তারপর এর উপরে আছে একটি
ছোট শহর যার নাম অ্যাগলো, নিউ ইয়র্ক। -
0:25 - 0:28অ্যাগলো, নিউ ইয়র্ক, মানচিত্র আঁকিয়েদের
কাছে খুবই জনপ্রিয়, -
0:28 - 0:30কারণ এটি একটি কাগুজে শহর।
-
0:30 - 0:32এটি স্বত্ব ফাঁদ হিসেবেও পরিচিত।
-
0:32 - 0:36যেহেতু নিউ ইয়র্কের আকারের কারণে--
-
0:36 - 0:39আমার এবং তোমার মানচিত্র দেখতে একই হবে,
-
0:39 - 0:44তাই মানচিত্রকরেরা প্রায়ই তাদের
মানচিত্রে মেকি জায়গা বসিয়ে দেন , -
0:44 - 0:46তাদের স্বত্ব রক্ষা করার জন্য।
-
0:46 - 0:49কারণ তখন যদি আমার মেকি জায়গা
তোমার মানচিত্রে দেখা যায়, -
0:49 - 0:53তাহলে আমি নিশ্চিত হব যে তুমি
আমার সাথে প্রতারণা করেছ। -
0:53 - 0:57অ্যাগলো নামটি তৈরি করা হয়েছে সেই দুইজনের নামের ১ম অক্ষর হিজিবিজিভাবে লিখে,
-
0:57 - 1:00আরনেসট অ্যাল্পারস এবং অটো জি লিন্ডবারগ,
-
1:00 - 1:03এবং তারা ১৯৩৭ সালে
এই মানচিত্র প্রকাশ করেন। -
1:03 - 1:07কয়েক দশক পরে র্যান্ড ম্যাকনেলি
একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন -
1:07 - 1:11যেখানে অ্যাগলো, নিউ ইয়র্ক
এক জনমানবহীন স্থানে -
1:11 - 1:13দুটি কাদামাটির রাস্তার
একই ছেদবিন্দুতে অবস্থিত। -
1:14 - 1:17যাই হোক, জেনারেল ড্রাফ্টিং এ
তখনকার অবস্থা স্বভাবতই অনুমেয়। -
1:17 - 1:21তারা তখনই র্যান্ড ম্যাকনেলিকে ডেকে বলল,
-
1:21 - 1:24"আমরা তোমাকে ধরে ফেলেছি!
আমরাই অ্যাগলো, নিউ ইয়র্ক বানিয়েছি।, -
1:24 - 1:26এটা একটা বানোয়াট জায়গা। একটা কাগুজে শহর।
-
1:26 - 1:28আমরা তোমার নামে মামলা করব!"
-
1:29 - 1:33র্যান্ড ম্যাকনেলি তখন বলল,
"না, না, না, না, অ্যাগলো সত্যি জায়গা।" -
1:35 - 1:39যেহেতু মানুষজন দুটি
কাদামাটির রাস্তার ছেদবিন্দুতে-- -
1:39 - 1:40(হাসি)
-
1:40 - 1:45অ্যাগলো নামের এক জায়গার খোঁজে ওই
জনমানবহীন স্থানে বারবার যেতে লাগলো-- -
1:45 - 1:48কেউ একজন অ্যাগলো, নিউ ইয়র্ক নামে
এক জায়গা তৈরি করল। -
1:48 - 1:49(হাসি)
-
1:49 - 1:52সেখানে একটি গ্যাস স্টেশন, জেনারেল স্টোর,
আর চূড়ায় দুটি বাড়ি ছিল। -
1:52 - 1:55(হাসি)
-
1:56 - 2:00এটি একজন ঔপন্যাসিকের কাছে
অবশ্যই একটি লোভনীয় রুপক, -
2:00 - 2:05কারণ আমরা সবাই বিশ্বাস করতে চাই যে
আমরা যেসব কথা লিখে রাখি -
2:05 - 2:08সেগুলো আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি
সেটিকে বদলে দিতে পারে। -
2:08 - 2:10আর এজন্যই আমার তৃতীয়
বইয়ের নাম "পেপার টাউন্স"। -
2:10 - 2:15কিন্তু অবশেষে যে মাধ্যমে এটি সম্পন্ন
হয় তার চেয়ে আমাকে বেশি আকর্ষণ করে, -
2:15 - 2:17এই ঘটনাটি নিজে।
-
2:18 - 2:22এটা বলা সহজ যে আমাদের পৃথিবীই
এর মানচিত্রকে আকার দেয়, তাই না? -
2:22 - 2:26যেমন পৃথিবীর সার্বিক আকৃতি স্পষ্টতই
আমাদের মানচিত্রগুলোকে প্রভাবিত করবে। -
2:27 - 2:30কিন্তু আমার সবচেয়ে
আকর্ষণীয় মনে হয় যে বিষয়টা -
2:30 - 2:33তা হল আমাদের মানচিত্র তৈরি করার ধরন
কিভাবে খোদ পৃথিবীটাকেই বদলে দেয়। -
2:34 - 2:39কারণ পৃথিবীটা সত্যিই অন্যরকম হত
যদি উত্তর নিচের দিকে থাকত। -
2:39 - 2:41এবং পৃথিবী অন্যরকম হত
-
2:41 - 2:44যদি আলাস্কা এবং রাশিয়া
মানচিত্রের উল্টো দিকে না থাকত। -
2:44 - 2:46আর পৃথিবীটা হত ভিন্ন এক জায়গা
-
2:46 - 2:49যদি আমরা ইউরোপকে
এর আসল আয়তনে দেখাতাম। -
2:50 - 2:54আমাদের তৈরি পৃথিবীর মানচিত্রই
পৃথিবীকে বদলে দেয়। -
2:54 - 2:59আমরা যেভাবে আমাদের-- একরকম ব্যাক্তিগত
মানচিত্রাঙ্কনের উদ্যোগকে বেছে নেই, -
2:59 - 3:02তা আমাদের জীবনের মানচিত্র গড়ে দেয়,
-
3:02 - 3:04আর ক্রমে তা গড়ে দেয় আমাদের জীবন।
-
3:04 - 3:09আমি বিশ্বাস করি যে আমরা যা মানচিত্রে
আঁকি তা আমাদের জীবনযাপনকে পাল্টে দেয়। -
3:09 - 3:13এবং আমি একে, যেমন, কোন
গোপন অপরাহ'র অ্যাঞ্জেল নেটওয়ার্ক, -
3:13 - 3:16যেমন, চিন্তা-দ্বারা-ক্যান্সার-আরোগ
অর্থে বলছি না। -
3:16 - 3:23কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে তুমি জীবনে কোথায়
যাবে তা মানচিত্র তোমাকে দেখাতে না পারলেও, -
3:23 - 3:25তারা তোমাকে দেখাবে তুমি কোথায় যেতে পারো।
-
3:25 - 3:29খুব কম সময়ই তুমি এমন জায়গায় যাবে
যেটি তোমার ব্যাক্তিগত মানচিত্রে নেই। -
3:30 - 3:33তো ছোটবেলায় আমি খুবই বাজে ছাত্র ছিলাম।
-
3:33 - 3:36আমার জিপিএ সর্বদাই ২ এর আশেপাশে থাকতো।
-
3:37 - 3:39আর আমার মনে হয় আমি এত
বাজে ছাত্র ছিলাম কারণ -
3:39 - 3:42আমার মনে হত শিক্ষা হচ্ছে কতগুলো বাধা
-
3:42 - 3:45যা আমার সামনে দাঁড় করানো হয়েছিল,
-
3:45 - 3:48এবং আমাকে সাবালকত্ব অর্জন করতে হলে
এগুলো অতিক্রম করতে হবে। -
3:48 - 3:51আর আমি এই বাধাগুলো পার করতে চাই নি,
-
3:51 - 3:54আমি প্রায়ই তা করতাম না কারণ
এগুলো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক মনে হত, -
3:54 - 3:56আর তখন লোকজন আমাকে ভয় দেখাত, যেমন,
-
3:56 - 3:59তারা আমাকে বলত যে এসব
"[আমার] স্থায়ী কাগজপত্রে লেখা থাকবে," -
3:59 - 4:01অথবা, "তুমি কখনো ভাল চাকরি পাবে না।"
-
4:01 - 4:03আমি ভাল চাকরি চাই নি!
-
4:03 - 4:06এগারো বা বারো বছর বয়সে আমি যতদূর বুঝতাম,
-
4:06 - 4:09ভাল চাকরিজীবীরা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠত,
-
4:09 - 4:11(হাসি)
-
4:11 - 4:15আর তারা সবচেয়ে প্রথমে যা করত
-
4:15 - 4:19তা হল একটা কাপড়
নিজেদের গলায় জড়িয়ে নেওয়া। -
4:20 - 4:22তারা আক্ষরিকভাবে নিজেদের গলায় ফাঁস পরাতো,
-
4:22 - 4:25আর তারপর তারা চাকরিতে যেত,
তা যাই হোক না কেন। -
4:25 - 4:27সুখী জীবনের জন্য এটি কোন রেসিপি নয়।
-
4:28 - 4:32এই মানুষগুলো-- আমার প্রতীক-আচ্ছন্ন,
বারো বছর বয়সী কল্পনায়-- -
4:32 - 4:34যেই মানুষগুলো সকালবেলা
তাদের অন্যতম প্রথম কাজ হিসেবে -
4:34 - 4:37নিজেদের গলায় ফাঁস পরাচ্ছে,
-
4:37 - 4:39তারা কোনভাবেই সুখী হতে পারে না।
-
4:39 - 4:41কেন আমি এই বাধাগুলো পার করতে চাইবো,
-
4:41 - 4:43স্রেফ এটিকে চূড়ান্ত হিসেবে পাওয়ার জন্য?
-
4:43 - 4:44সেটি একটি ভয়াবহ সমাপ্তি!
-
4:45 - 4:49এরপর, আমি যখন দশম শ্রেণিতে পরতাম,
আমি একটি স্কুলে ভর্তি হলাম, -
4:49 - 4:51ইন্ডিয়ান স্প্রিংস স্কুল,
একটি ছোট বোর্ডিং স্কুল, -
4:51 - 4:53বারমিংহাম, আলাবামার বাইরেই।
-
4:53 - 4:57আর হঠাৎই আমি একজন শিক্ষার্থী হয়ে গেলাম।
-
4:57 - 4:59আর আমি তা হলাম,কারণ
আমি নিজেকে আবিষ্কার করলাম -
4:59 - 5:01শিক্ষার্থীদের একটি গোষ্ঠীর মাঝে।
-
5:01 - 5:03এমন কিছু মানুষের মাঝে নিজেকে পেলাম
-
5:03 - 5:06যারা বুদ্ধিবৃত্তি ও অংশগ্রহণকে উদযাপন করে,
-
5:06 - 5:10আর যারা আমার শ্লেষপূর্ণ,
নিরুত্তাপ বিচ্ছিন্নতাকে -
5:10 - 5:12চতুর, বা মজার ভাবত না,
-
5:12 - 5:16বরং এটি ছিল খুব জটিল ও
বাধ্যকারি সমস্যার প্রতি -
5:16 - 5:18একটি সাধারণ ও নীরস প্রতিক্রিয়া।
-
5:19 - 5:21আর তাই আমি শিখতে শুরু করলাম,
কারণ শেখা ছিল চলনসই। -
5:21 - 5:25আমি শিখলাম যে কিছু অনন্ত সেট
অন্য অনন্ত সেটের চেয়ে বড়, -
5:25 - 5:29আরও শিখলাম পাঁচমাত্রার কাব্য কি
এবং কেন তা মানুষের কানে শ্রুতিমধুর। -
5:29 - 5:32আরও শিখলাম যে গৃহযুদ্ধ ছিল
একটি জাতীয়করণ সংঘর্ষ, -
5:32 - 5:33আমি পদার্থবিদ্যা শিখলাম
-
5:33 - 5:36আমি শিখলাম যে পারস্পরিক সম্পর্ক
ও নিমিত্তকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়-- -
5:36 - 5:38প্রসঙ্গক্রমে, এ সবকিছুই,
-
5:38 - 5:43আমার জীবনকে
আক্ষরিক অর্থে প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ করেছে। -
5:43 - 5:46এবং এটা সত্যি যে আমি এদের বেশিরভাগই
আমার "চাকরি"র জন্য ব্যবহার করি না, -
5:46 - 5:48কিন্তু আমার জন্য সেটি কোন বিষয় নয়।
-
5:48 - 5:50বিষয় হল মানচিত্রাঙ্কনবিদ্যা।
-
5:50 - 5:52মানচিত্রাঙ্কনবিদ্যার প্রক্রিয়া কি?
-
5:52 - 5:56এটা হল, ধরো, জাহাজে করে
কোথাও যাওয়া, আর চিন্তা করা, -
5:56 - 5:58"আমার মনে হয় আমি এই জায়গাটুকুর ছবি আঁকব,"
-
5:58 - 6:01আর তারপর ভাবা, "হয়ত ছবি আঁকার মত
এখানে আরও কিছু জায়গা আছে।" -
6:01 - 6:03আর তখনি আমার শেখার শুরু হল।
-
6:03 - 6:06এটা সত্যি যে আমার কিছু শিক্ষক
আমাকে পরিত্যাগ করেননি, -
6:06 - 6:08এবং আমি সৌভাগ্যবান ছিলাম
তাদেরকে পাওয়ার জন্য, -
6:08 - 6:12আমার মধ্যে বিনিয়োগ করার কোন কারণ নেই,
এমন ভাবার অবকাশ আমি প্রায়ই তাদের দিতাম। -
6:13 - 6:16কিন্তু আমার হাই স্কুলে শেখা অনেক কিছুই
-
6:16 - 6:19ক্লাসরুমের ভিতরে কি হত সে ব্যপারে ছিল না,
-
6:19 - 6:22তা ছিল ক্লাসরুমের বাইরে কি হত সে বিষয়ে।
-
6:22 - 6:23উদাহরনস্বরুপ, আমি বলতে পারি
-
6:23 - 6:26যে, "শীতের বিকেলের আলোতে আছে এক তির্যকতা--
-
6:26 - 6:28যা ক্যাথেড্রাল সুরের মত
ভারাক্রান্ত করে দেয়--" -
6:28 - 6:32এর কারণ এই নয় যে আমি হাই স্কুলে
থাকতে এমিলি ডিকিন্সনের -
6:32 - 6:33কবিতা মুখস্থ করেছিলাম,
-
6:33 - 6:36বরং এ কারণে যে
আমার স্কুলে একটা মেয়ে ছিল, -
6:36 - 6:38আর তার নাম ছিল আমানডা,
আর আমি তাকে পছন্দ করতাম, -
6:38 - 6:41আর সে এমিলি ডিকিন্সনের কবিতা পছন্দ করত।
-
6:41 - 6:43আমি তোমাদের বলতে পারি সুযোগ ব্যয় কি,
-
6:43 - 6:47তার কারণ হল আমি একদিন আমার
সোফায় বসে সুপার মারিও কার্ট খেলছিলাম, -
6:47 - 6:49তখন আমার বন্ধু এমেট এসে দাঁড়াল, আর বলল,
-
6:49 - 6:51''তুমি কতক্ষন ধরে
সুপার মারিও কার্ট খেলছ?'' -
6:51 - 6:55আমি বললাম, "কি জানি, মনে হয়, ছয় ঘণ্টা?"
আর ও বলল, -
6:55 - 6:58"তুমি কি ভেবে দেখেছ যে যদি তুমি
ওই ছয় ঘণ্টা বাস্কিন-রবিন্স এ কাজ করতে, -
6:58 - 7:00তাহলে তুমি ৩০ ডলার আয় করতে,
সুতরাং এক হিসেবে, -
7:00 - 7:03তুমি এইমাত্র সুপার মারিও কার্ট খেলার জন্য
৩০ ডলার খরচ করলে?'' -
7:03 - 7:06আমি বললাম, 'আমি এতে সম্মত,"
-
7:06 - 7:08(হাসি)
-
7:08 - 7:12কিন্তু আমি শিখলাম সুযোগ ব্যয় কি।
-
7:13 - 7:17আর এভাবেই আমার জীবনের মানচিত্র
আরও ভাল হতে থাকল। -
7:17 - 7:20এটা আরও ভাল হতে থাকল,
এতে নতুন জায়গা যুক্ত হল -
7:20 - 7:22এমন আরও জিনিস ছিল যা ঘটতে পারে,
-
7:22 - 7:24এমন অনেক ভবিষ্যৎ যা আমি পেতে পারি।
-
7:25 - 7:28এটা কোন আনুষ্ঠানিক, শৃঙ্খলাবদ্ধ
শিখন প্রক্রিয়া ছিল না, -
7:28 - 7:30এবং আমি এটা খুশিমনে স্বীকার করছি।
-
7:30 - 7:33এটি ছিল অসম এবং সামঞ্জস্যহীন,
এমন অনেক কিছুই ছিল যা আমি জানতাম না। -
7:33 - 7:35আমি হয়ত ক্যান্টরের ধারণাটা জানতাম
-
7:35 - 7:38যে কিছু অসীম সেট
অন্যান্য অসীম সেটের চেয়ে বড়, -
7:38 - 7:41কিন্তু এই ধারনার পেছনে যে
ক্যাল্কুলাস কাজ করত তা বুঝতাম না। -
7:41 - 7:43আমার হয়ত সুযোগ ব্যয়ে সম্পর্কে ধারণা ছিল,
-
7:43 - 7:45কিন্তু আমি হ্রস্বীকৃত আয়ের নীতি জানতাম না।
-
7:45 - 7:48শেখাকে মানচিত্রাঙ্কনবিদ্যা
হিসেবে কল্পনা কর্ -
7:48 - 7:50একে কতগুলো বাধা হিসেবে
কল্পনা করার চেয়ে ভাল, -
7:50 - 7:52যেগুলো তোমাকে পার করতে হবে,
-
7:52 - 7:55কারণ তুমি কিছু উপকূলীয় রেখা দেখতে পাবে,
আর এতে তোমার ইচ্ছে হবে আরও দেখতে। -
7:55 - 7:58আর তাই আমি এখন কিছুটা ক্যাল্কুলাস বুঝি,
-
7:58 - 8:00যা ওসব জিনিসের পেছনে কাজ করে।
-
8:00 - 8:01তাহলে, আমার একটা
শেখার গোষ্ঠী ছিল -
8:01 - 8:04হাইস্কুলে, তারপর আমি
কলেজে অন্য একটা পেলাম, -
8:04 - 8:05আর তারপর অন্য একটা,
-
8:05 - 8:08যখন আমি 'বুকলিস্ট' নামে এক
ম্যাগাজিনে কাজ শুরু করলাম, -
8:08 - 8:11যেখানে আমি বিস্ময়করভাবে পড়ুয়া
মানুষদের সাথে সহকারী হিসেবে কাজ করতাম। -
8:11 - 8:13আর তারপর আমি একটা বই লিখলাম।
-
8:13 - 8:15আর সব লেখকরা যা করার
স্বপ্ন দেখে তাই করলাম। -
8:15 - 8:17অবিলম্বে আমার চাকরি ছেড়ে দিলাম।
-
8:17 - 8:19(হাসি)
-
8:19 - 8:21আর হাই স্কুল ছাড়ার পর প্রথমবারের মত
-
8:21 - 8:25আমি নিজেকে কোন শিখন গোষ্ঠীর সাহচর্য
ছাড়া খুঁজে পেলাম, আর তা ছিল দুর্বিষহ। -
8:25 - 8:27আমি এটা ঘৃণা করতাম।
-
8:27 - 8:30এই দুই বছরে আমি অনেক অনেক বই পড়লাম।
-
8:30 - 8:32আমি স্তালিন সম্পর্কে বই পড়েছি,
-
8:32 - 8:35আর পড়েছি কিভাবে উজবেক লোকজন
মুসলিম হিসেবে পরিচিতি পেল, -
8:35 - 8:38আর পড়েছি কিভাবে পারমাণবিক
বোমা বানাতে হয়, -
8:38 - 8:41কিন্তু আমার মনে হত
আমি নিজেই নিজের জন্য বাধার সৃষ্টি করছি, -
8:41 - 8:44আর সেগুলো পার করছি, যেখানে
আমার উত্তেজনা বোধ করা উচিত -
8:44 - 8:48শিক্ষার্থীদের একটা সম্প্রদায়, মানুষের
একটা সম্প্রদায়ের অংশ হওয়ার , -
8:48 - 8:51যারা সবাই একটা মানচিত্রাঙ্কনের
উদ্যোগে সম্পৃক্ত, -
8:51 - 8:55যার কাজ আশেপাশের পৃথিবীটাকে
আরও ভাল করে বোঝা ও এর মানচিত্র আঁকা। -
8:55 - 8:58আর তারপর, ২০০৬ সালে,
আমি এই লোকটার সাথে পরিচিত হলাম। -
8:58 - 8:59তার নাম হল জে ফ্র্যাঙ্ক।
-
8:59 - 9:02আমি আসলে তাকে দেখি নি,
শুধু ইন্টারনেটে পরিচিত হয়েছি। -
9:02 - 9:07জে ফ্র্যাঙ্ক তখন একটা অনুষ্ঠান চালাত,
যার নাম "দ্যা শো উইথ জে ফ্র্যাঙ্ক," -
9:07 - 9:09আর আমি এটিকে আবিষ্কার করলাম,
-
9:09 - 9:12আর এটিই ছিল একজন গোষ্ঠীভুক্ত
শিক্ষার্থী হিসেবে আমার প্রত্যাবর্তন। -
9:12 - 9:14এখানে জে লাস ভেগাস সম্পর্কে কথা বলছেঃ
-
9:16 - 9:19(ভিডিও) জে ফ্র্যাঙ্কঃ লাস ভেগাস তৈরি
হয়েছিল এক বিরাট, গরম মরুভূমির মাঝে। -
9:19 - 9:22এখানে প্রায় সবকিছুই অন্য কোন
জায়গা থেকে আনা হয়েছিল-- -
9:22 - 9:24বিভিন্ন ধরনের পাথর, গাছ, ঝর্ণা।
-
9:24 - 9:27এই মাছগুলো অতটাই বেমানান,
যতটা আমার উরন্ত শূকর। -
9:27 - 9:30এই জায়গার তুলনায় এর
চারপাশের ঝলসানো মরুভুমি যেমন, -
9:30 - 9:31এর মানুষগুলোও তেমন।
-
9:31 - 9:35সমস্ত পৃথিবীর অনেক জিনিস এখানে
পুনঃনির্মিত হয়েছে, তাদের ইতিহাস থেকে দূরে, -
9:35 - 9:38আর যারা এগুলোকে ভিন্নভাবে
অনুভব করে, তাদের থেকে দূরে। -
9:38 - 9:41কখনো উন্নতিসাধন করা হয়েছে-- এমনকি
স্ফিঙ্কসএর নাকও বদলে ফেলা হয়েছে। -
9:41 - 9:44এখানে এমন মনে করার কোন
কারণ নেই যে তুমি কিছু হারাচ্ছ। -
9:44 - 9:47আমার কাছে এই নিউ ইয়র্ক তেমনি
যেমনটা অন্য সবার কাছে। -
9:47 - 9:51সবকিছুই প্রসঙ্গবহির্ভূত, তার মানে
প্রসঙ্গ সবকিছুর অনুমতি দেয়ঃ -
9:51 - 9:53স্ব-পার্কিং, ইভেন্ট সেন্টার, হাঙ্গর শৈল।
-
9:53 - 9:56স্থানের এই জালকরন পৃথিবীর সবচেয়ে বড়
অর্জনগুলোর মধ্যে একটা হতে পারে, -
9:56 - 9:58কারণ এটা কোন একজনের না, এটা সবার।
-
9:58 - 10:01আজ সকালে হেঁটে বেড়ানোর সময় আমি
লক্ষ্য করলাম যে প্রায় সব দালানই -
10:01 - 10:04হল বিশাল সব আয়না যা সূর্যের
আলো মরুভূমিতে প্রতিফলিত করছে। -
10:04 - 10:05এগুলো অন্য আয়নার মত নয়,
-
10:05 - 10:09যা কোন জায়গায় নিহিত তোমার
একটি বাহ্যিক চিত্র প্রদান করে, -
10:09 - 10:10বরং এগুলো খালি ফেরত আসে।
-
10:10 - 10:12জন গ্রীনঃ ওই দিনগুলোর
জন্য স্মৃতিকাতর হয়ে যাই -
10:12 - 10:15যখন অনলাইন ভিডিওতে পিক্সেল দেখা যেত।
-
10:15 - 10:16(হাসি)
-
10:16 - 10:20জে শুধু একজন মহৎ সর্বজনীন বক্তা নন,
তিনি একজন অসাধারন সমাজ নির্মাতাও বটে, -
10:20 - 10:23আর এই ভিডিওগুলোকে ঘিরে
যে লোক-সম্প্রদায় গড়ে উঠেছে -
10:23 - 10:25তা অনেকভাবে ছাত্রদের
একটি সম্প্রদায়ও ছিল। -
10:25 - 10:28তো আমরা সবাই মিলে জের সাথে দাবা
খেলতাম, আর আমরা তাকে হারিয়ে দিলাম। -
10:28 - 10:33আমরা এক যুবককে যুক্তরাষ্ট্রের এপার থেকে
ওপারে গাড়ি ভ্রমনে নেওয়ার জন্য সংগঠিত হলাম। -
10:33 - 10:35আমরা পৃথিবীকে একটা স্যান্ডুইচে পরিনত
-
10:35 - 10:38করলাম একজনকে দিয়ে পৃথিবীর এক প্রান্তে
এক টুকরো পাউরুটি ধরিয়ে, -
10:38 - 10:41আর তার ঠিক অপর প্রান্তে,
-
10:41 - 10:43আরেকজনকে দিয়ে আরেক টুকরো পাউরুটি ধরিয়ে।
-
10:44 - 10:50আমি জানি এগুলো অর্থহীন চিন্তা,
কিন্তু একইসাথে এগুলো "শিক্ষামুলক" চিন্তা, -
10:50 - 10:52আর এটাই ছিল আমার কাছে সবচেয়ে উত্তেজনাকর,
-
10:52 - 10:55তুমি অনলাইনে গেলে এরকম
অনেক গোষ্ঠী খুঁজে পাবে। -
10:55 - 10:57টাম্বলার এ ক্যাল্কুলাস ট্যাগ ফলো করো,
-
10:57 - 11:00দেখবে অনেকেই ক্যাল্কুলাস
সম্বন্ধে অভিযোগ করছে, -
11:00 - 11:02তবে তুমি তাদেরও দেখতে পাবে যারা
এসব অভিযোগ পুনঃব্লগ করছে, -
11:02 - 11:06এই যুক্তি দেখিয়ে যে ক্যাল্কুলাস
মজাদার এবং সুন্দর, -
11:06 - 11:10আর এই উপায়ে তোমার
অসামাধানযোগ্য সমস্যা নিয়ে ভাবতে পারো। -
11:10 - 11:12তুমি যেতে পারো রেডিটে এবং
খুঁজতে পারো সাব-রেডিট, যেমন, -
11:12 - 11:15"ইতিহাসবিদকে জিজ্ঞেস করো" বা
"বিজ্ঞানকে জিজ্ঞেস করো," -
11:15 - 11:18যেখানে তুমি এসব ক্ষেত্রের ব্যাক্তিদের
অনেক ধরনের প্রশ্ন -
11:18 - 11:20জিজ্ঞেস করতে পারো,
-
11:20 - 11:22যেগুলো খুবই গুরুতর থেকে খুবই মজার।
-
11:22 - 11:25কিন্তু আমার কাছে, যে শিক্ষার্থীদের গোষ্ঠী
সবচেয়ে কৌতূহলোদ্দীপক -
11:25 - 11:28যা ইন্টারনেটে এই মুহূর্তে গড়ে উঠছে
তা হল ইউটিউব, -
11:28 - 11:29আমি স্বীকার করছি, আমি পক্ষপাতি।
-
11:29 - 11:34তবে আমি মনে করি যে অনেকভাবেই
ইউটিউবের পাতা একটি শ্রেণীকক্ষের মত। -
11:34 - 11:36যেমন, "মিনিট পদার্থবিজ্ঞান,"
-
11:36 - 11:39এক ব্যাক্তি যিনি পৃথিবীকে
পদার্থবিজ্ঞান শেখাচ্ছেনঃ -
11:39 - 11:40(ভিডিও) মূল কথায় আসা যাক।
-
11:40 - 11:44৪ জুলাই, ২০১২ পর্যন্ত, হিগস বোসন
হচ্ছে সর্বশেষ মৌলিক অংশ যা -
11:44 - 11:47কণা পদার্থবিজ্ঞানের প্রমাণ মডেল হিসেবে
গবেষণার মাধ্যমে আবিষ্কৃত। -
11:47 - 11:49তবে তুমি হয়ত জানতে চাইতে পারো,
কেন হিগস বোসন -
11:49 - 11:51প্রমাণ মডেলের অন্তর্ভুক্ত,
-
11:51 - 11:54ইলেকট্রন, ফোটন এবং কোয়ার্ক
এর মত সুপরিচিত কণার পাশাপাশি -
11:54 - 11:57যদি এটি সেই ১৯৭০ এর দশকে
আবিষ্কৃত না হয়ে থাকে? -
11:57 - 11:59ভাল প্রশ্ন। প্রধানত দুটি কারণ রয়েছে।
-
11:59 - 12:02প্রথমত, ইলেকট্রন যেমন
ইলেকট্রন ক্ষেত্রে একটি উদ্দীপনা, -
12:02 - 12:05হিগস বোসনও তেমনি একটি কণা
যা সর্বপরিব্যাপ্ত হিগস ক্ষেত্রে -
12:05 - 12:07একটি উদ্দীপনামাত্র।
-
12:07 - 12:09অপরদিকে হিগস ক্ষেত্র
আমাদের দুর্বল নিউক্লিয় -
12:09 - 12:11বলের মডেলে অপরিহার্য অংশগ্রহন করে।
-
12:11 - 12:14বিশেষত, হিগস ক্ষেত্র ব্যাখ্যা করতে
সাহায্য করে কেন এটি এত দুর্বল। -
12:14 - 12:16পরের ভিডিওতে আমরা এ বিষয়ে আরও কথা বলব,
-
12:16 - 12:20কিন্তু যদিও দুর্বল নিউক্লিয় তত্ত্ব ১৯৮০
এর দিকে নিশ্চিত করা হয়, সমীকরণগুলোতে, -
12:20 - 12:24হিগস ক্ষেত্র এই দুর্বল বলের সাথে
এত জটিলভাবে মিশ্রিত যে, এখন পর্যন্ত -
12:24 - 12:27আমরা এর আসল এবং স্বাধীন
অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে অক্ষম। -
12:27 - 12:29জগ্রীঃ বা এটি আমার একটি ভিডিও যা আমি
-
12:29 - 12:32"ক্র্যাশ কোর্স" অনুষ্ঠানের
জন্য বানিয়েছিলাম, ১ম বিশ্বযুদ্ধ নিয়েঃ -
12:32 - 12:35(ভিডিও) প্রাথমিক কারণ ছিল অবশ্যই
সারায়েভোতে অস্ট্রিয়ান আর্চডিউক -
12:35 - 12:37ফ্রানয ফারডিনান্ড এর গুপ্তহত্য,
-
12:37 - 12:42যা জুন ২৮, ১৯১৪ তে বসনিয়-সার্ব জাতীয়তাবাদী
গ্যাভ্রিলো প্রিন্সিপ দ্বারা সঙ্ঘটিত হয়। -
12:42 - 12:43উল্লেখযোগ্য যে
-
12:43 - 12:46বিংশ শতাব্দীর প্রথম বড় যুদ্ধ শুরু হয়েছিল
-
12:46 - 12:47সন্ত্রাস হিসেবে।
-
12:47 - 12:49তো ফ্রানয ফারডিনান্ডকে তার চাচা
-
12:49 - 12:53সম্রাট ফ্রানয জোসেফ খুব একটা পছন্দ
করতেন না-- ওটা একটা গোঁফ বটে! -
12:53 - 12:57কিন্তু তারপরও, ওই গুপ্তহত্যা অস্ত্রিয়াকে
চালিত করল সার্বিয়াকে চরমপত্র দিতে, -
12:57 - 13:00যার ফলে সার্বিয়া অস্ট্রিয়ার কিছু
দাবি মেনে নিল, কিন্তু সব নয়, -
13:00 - 13:03পরিণামে অস্ট্রিয়া সার্বিয়ার
বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা করল। -
13:03 - 13:06আর তখন রাশিয়া, সার্বিয়ার সাথে মিত্রতার
কারনে তার সৈন্যসমাবেশ করল। -
13:06 - 13:08জার্মানির যেহেতু অস্ট্রিয়ার
সাথে মিত্রতা ছিল, -
13:08 - 13:10সে রাশিয়াকে তা বন্ধ করতে বলল,
-
13:10 - 13:13রাশিয়া যখন তা করতে ব্যর্থ হল, তখন
জার্মানি তার নিজের সৈন্যসমাবেশ করল, -
13:13 - 13:16রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল,
অটোমানদের সাথে মিত্রতা দৃঢ় করল, -
13:16 - 13:20এবং ফ্রান্সের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করল,
কারণ, জানোই তো, ফ্রান্স। -
13:20 - 13:23(হাসি)
-
13:23 - 13:26আর এটা শুধু পদার্থবিজ্ঞান
এবং বিশ্ব ইতিহাস নয় -
13:26 - 13:29যা মানুষ ইউটিউবের মাধ্যমে শিখতে চাইছে।
-
13:29 - 13:31এই হল বিমূর্ত গণিত সম্পর্কে একটি ভিডিও।
-
13:34 - 13:37(ভিডিও) তো তুমি হলে আমি, আর তুমি
আবারও গণিত ক্লাসে এসেছ, -
13:37 - 13:39কারণ এটা প্রতিদিন তোমাকে
অনুপ্রাণিত করে। -
13:39 - 13:42আর তুমি শিখছ, কি জানি,
অসীম ক্রমের যোগফল। -
13:42 - 13:44এটা হাইস্কুলের বিষয়, তাই না?
-
13:44 - 13:48যেটি অদ্ভুত, কারণ এটি একটি মজার বিষয়, তবে
তারা কোন না কোনভাবে এটিকে ধ্বংস করে দেয়। -
13:48 - 13:51আমার মনে হয় এজন্যই তারা
অসীম ক্রমকে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করে। -
13:51 - 13:54তো, একটা চিত্তবিক্ষেপের জন্য, যা বোধগম্য,
তুমি আঁকাআঁকি করছ -
13:54 - 13:57আর ভাবছ যে "সিরিজ" এর
বহুবচন কি হওয়া উচিত -
13:57 - 14:00উপস্থিত বিষয় নিয়ে ভাবার বদলেঃ "সিরিজেস,"
"সেরি," "সেরিজেন," আর "সেরি?" -
14:01 - 14:04নাকি একবচন বদলে হওয়া উচিতঃ
একটা "সিরি," বা "সেরাম," -
14:04 - 14:06ঠিক যেমন "শীপ" এর একবচন
হওয়া উচিত "শুপ।" -
14:06 - 14:08কিন্তু জিনিসের এই ধারণাটা
-
14:08 - 14:11যেমন ১/২+১/৪+১/৮+১/১৬ অচিরেই
এক এর দিকে আগায়, কাজে আসে যদি, ধরো, -
14:11 - 14:13তুমি হাতির একটা রেখা আঁকতে চাও,
-
14:13 - 14:15প্রতিটা যাতে পরেরটার লেজ ধরে থাকেঃ
-
14:15 - 14:18সাধারণ হাতি, তরুণ হাতি,
বাচ্চা হাতি, কুকুর-আকারের হাতি, -
14:18 - 14:21কুকুরছানা-আকারের হাতি, আর একদম
জনাব দন্ত থেকে তার পর পর্যন্ত। -
14:21 - 14:23যা সামান্য পরিমাণে হলেও অসাধারণ,
-
14:23 - 14:26কারণ তুমি এক লাইনে অসীম
সংখ্যক হাতি দাঁড় করাতে পারবে, -
14:26 - 14:28এবং তারপরেও এটা নোটবুকের একটা পাতায় আঁটবে।
-
14:28 - 14:31জগ্রীঃ শেষে, এই হল ডেসটিন,
"স্মার্টার এভরি ডে" থেকে, -
14:31 - 14:33যে কথা বলছে কৌণিক
ভরবেগের সংরক্ষণ সম্পর্কে, -
14:33 - 14:35আর বিড়াল, যেহেতু এটা ইউটিউবঃ
-
14:35 - 14:38(ভিডিও) এই যে, আমি ডাসটিন।
"স্মার্টার এভরি ডে" তে আবারও স্বাগতম। -
14:38 - 14:41তোমরা হয়ত লক্ষ্য করেছ যে বিড়ালরা
সর্বদা তাদের পায়ের উপর ভর করে পড়ে। -
14:41 - 14:43আজকের প্রশ্ন হলঃ কেন?
-
14:43 - 14:46সকল সহজ প্রশ্নের মত,
এটারও একটা জটিল উত্তর রয়েছে। -
14:46 - 14:48যেমন, আমি অন্যভাবে প্রশ্নটা করছিঃ
-
14:48 - 14:53একটা বিড়াল কিভাবে উপর থেকে পড়ার সময়
উল্টো থেকে সোজা হয়ে যায়, -
14:53 - 14:56কৌণিক ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্র লঙ্ঘন না করেই?
-
14:56 - 14:57(হাসি)
-
14:57 - 15:01জগ্রীঃ তো, এই চারটা ভিডিওর মধ্যে মিল হলঃ
-
15:01 - 15:05এদের সবগুলোকে ইউটিউবে পাঁচ
লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে। -
15:05 - 15:08আর এই মানুষগুলো ক্লাস্রুমে
বসে এগুলো দেখছে না, -
15:08 - 15:11বরং তারা সেই শিক্ষার্থীগোষ্ঠীর অংশ
-
15:11 - 15:13যেগুলো এইসব চ্যানেল দ্বারা তৈরি হচ্ছে।
-
15:14 - 15:16আর আমি আগেই বলেছি যে ইউটিউব
আমার কাছে একটা ক্লাসরুমের মতো, -
15:16 - 15:19আর অনেক ভাবেই এটা তাই,
কারণ এই হল শিক্ষক-- -
15:19 - 15:22এটা একটা চিরাচরিত ক্লাসরুমের মতইঃ
এই হল শিক্ষক, -
15:22 - 15:25তারপর শিক্ষকের নিচে হল ছাত্ররা,
-
15:25 - 15:27আর এরা সবাই মিলে আলোচনা করছে।
-
15:27 - 15:31আর আমি জানি যে ইন্টারনেটের দুনিয়ায়
-
15:31 - 15:32ইউটিউব কমেন্টের কুখ্যাতি আছে,
-
15:32 - 15:35কিন্তু সত্যি কথা হল এই, তুমি যদি
এসব চ্যানেলের কমেন্টে যাও, -
15:35 - 15:38যা তুমি পাবে তা হল এর বিষয়বস্তু
নিয়ে ব্যস্ত মানুষজন, -
15:38 - 15:43যারা বিষয়বস্তু নিয়ে কঠিন,
জটিল প্রশ্ন করছে, -
15:43 - 15:45আর অন্যরা ওসব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে।
-
15:45 - 15:50আর যেহেতু ইউটিউব পাতা এমনভাবে সাজানো যে,
যে পাতায় আমি তোমার সাথে কথা বলছি -
15:50 - 15:54সেটা ঠিক একই-- যেখানে আমি তোমার
সাথে কথা বলছি তা একই পাতায় আছে -
15:54 - 15:55যেখানে তোমার কমেন্ট আছে,
-
15:55 - 16:01তুমি কথোপকথনে একটা সরাসরি এবং বাস্তব
এবং সক্রিয় উপায়ে অংশগ্রহণ করছ। -
16:01 - 16:05আর আমি যেহেতু সাধারণত কমেন্টে থাকি,
আমি তোমার সাথে অংশগ্রহণ করতে পারছি। -
16:05 - 16:07আর তুমি খুঁজে পাচ্ছ তা যাই
হোক না কেন, বিশ্ব ইতিহাস, -
16:07 - 16:10বা গণিত, বা বিজ্ঞান,
বা যাই হোক। -
16:10 - 16:16তুমি আরও দেখছ তরুণদের যারা বিভিন্ন যন্ত্র
এবং ইন্টারনেটের বিভিন্ন শাখা ব্যবহার করছে -
16:16 - 16:19বুদ্ধিবৃত্তিক অংশগ্রহণের বিভিন্ন
জায়গা তৈরি করার জন্য। -
16:19 - 16:20যেসব বিদ্রূপাত্মক বিচ্ছিন্নতা
-
16:20 - 16:25আমরা মিম এবং অন্যান্য ইন্টারনেট
প্রচলনের সাথে জড়াই-- -
16:25 - 16:28যেমন, "একঘেয়ে লাগছিল।
ক্যাল্কুলাস আবিষ্কার করলাম।" -
16:28 - 16:31বা, এখানে হানি বু বু
শিল্প পুঁজিবাদের সমালোচনা করছেঃ -
16:31 - 16:34["উদারনৈতিক পুঁজিবাদ কোনভাবেই
মানবতার মঙ্গল নয়। -
16:34 - 16:37বরং বিপরীত; এটা বর্বর, ধ্বংসাত্মক
চূড়ান্ত নাস্তিকবাদের বাহক।"] -
16:38 - 16:40যদি তুমি বুঝতে না পারো ও কি বলছে...হ্যাঁ।
-
16:40 - 16:44আমি সত্যি বিশ্বাস করি যে এই জায়গাগুলো,
-
16:44 - 16:49এই গোষ্ঠীগুলো, শিক্ষার্থীদের একটা
নতুন প্রজন্মের জন্য হয়ে গেছে, -
16:49 - 16:53সেই ধরনের গোষ্ঠী,
সেই মানচিত্রাঙ্কনের গোষ্ঠী -
16:53 - 16:58যেখানে আমি হাই স্কুলে থাকতে ছিলাম,
তারপর আবার ছিলাম কলেজে থাকতে। -
16:58 - 17:01আর একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে, এই
গোষ্ঠীগুলোকে আবার খুঁজে পাওয়া -
17:01 - 17:05আমাকে শিক্ষার্থীদের একটা গোষ্ঠীর সাথে
আবার পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, -
17:05 - 17:10আর আমাকে উৎসাহ দিয়েছে
প্রাপ্তবয়স্কতায়ও একজন শিক্ষার্থী হতে, -
17:10 - 17:14যাতে আমার আর মনে না হয় যে
শিক্ষা শুধু তরুণদের জন্য। -
17:14 - 17:17ভি হার্ট এবং "সূক্ষ্ম পদার্থবিজ্ঞান"
আমাকে পরিচয় -
17:17 - 17:19করিয়েছে এমন অনেক জিনিসের সাথে
যা আমি আগে জানতাম না। -
17:20 - 17:21আর আমি জানি যে ফিরে ফিরে শুনি
-
17:21 - 17:25সেই জ্ঞানের যুগের ফরাসী বৈঠকখানায়,
-
17:25 - 17:27বা আলগঙ্কউইন গোল টেবিলে, আর ইচ্ছে হয়,
-
17:27 - 17:29"ইস, আমি যদি ওসবকিছুর অংশ হতে পারতাম,
-
17:29 - 17:32আমি যদি ডরথি পার্কার এর
কৌতুক শুনে হাসতে পারতাম!'' -
17:32 - 17:36কিন্তু আমি তোমাদের বলতে এসেছি যে এই
জায়গাগুলো এখনো আছে, তাদের অস্তিত্ব আছে। -
17:36 - 17:41তাদের অস্তিত্ব আছে ইন্টারনেটের কোণায়
কোণায়, যেখানে বৃদ্ধরা যেতে ভয় পায়। -
17:41 - 17:42(হাসি)
-
17:42 - 17:49আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে আমরা যখন ১৯৬০ এর
দিকে অ্যাগলো, নিউ ইয়র্ক আবিষ্কার করলাম, -
17:49 - 17:53যখন আমরা অ্যাগলো কে সত্যি করলাম,
তখন আমরা মাত্র শুরু করছিলাম। -
17:53 - 17:54ধন্যবাদ।
-
17:54 - 17:57(হাততালি)
- Title:
- অনলাইনে যেকোনো কিছু শেখার জন্য একজন পণ্ডিতের নির্দেশনা
- Speaker:
- জন গ্রীন
- Description:
-
আমাদের মধ্যে কেউ ক্লাস্রুমে বসে ভাল শেখে, আবার কেউ কেউ ... যাই হোক, শিখি না। কিন্তু তারপরও আমরা শিখতে ভালবাসি, পৃথিবী সম্পর্কে নতুন নতুন জিনিস জানতে এবং আমাদের মনকে চ্যালেঞ্জ করতে ভালবাসি। আমাদের শুধু এসব করার জন্য সঠিক জায়গা এবং সঠিক গোষ্ঠী খুঁজে বের করতে হবে, যাদের সাথে আমরা শিখতে পারি। এই মুগ্ধকর ভিডিওতে লেখক জন গ্রীন শিক্ষার সেই অনলাইন পৃথিবীকে ভাগ করে নিয়েছেন।
- Video Language:
- English
- Team:
- closed TED
- Project:
- TEDTalks
- Duration:
- 18:10
Palash Ranjan Sanyal approved Bengali subtitles for The nerd's guide to learning everything online | ||
Palash Ranjan Sanyal accepted Bengali subtitles for The nerd's guide to learning everything online | ||
Palash Ranjan Sanyal edited Bengali subtitles for The nerd's guide to learning everything online | ||
Novera Kazi edited Bengali subtitles for The nerd's guide to learning everything online | ||
Novera Kazi edited Bengali subtitles for The nerd's guide to learning everything online | ||
Novera Kazi edited Bengali subtitles for The nerd's guide to learning everything online | ||
Novera Kazi edited Bengali subtitles for The nerd's guide to learning everything online | ||
Novera Kazi edited Bengali subtitles for The nerd's guide to learning everything online |