< Return to Video

How quantum biology might explain life’s biggest questions

  • 0:01 - 0:06
    বিজ্ঞানের এক উদীয়মান শাখার সাথে
    আপনাদেরকে পরিচয় করাতে চাচ্ছি,
  • 0:06 - 0:10
    যেটি এখনও অনেকটা কল্পনাশ্রয়ী
    অথচ সাঙ্ঘাতিক রকমের রোমাঞ্চকর,
  • 0:10 - 0:12
    এবং যা নিঃসন্দেহে খুবই দ্রুতবর্ধমান।
  • 0:13 - 0:17
    কোয়ান্টাম জীববিদ্যা
    খুব সরল একটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজেঃ
  • 0:18 - 0:19
    কোয়ান্টাম মেকানিক্স,
  • 0:19 - 0:22
    সেই অদ্ভুত এবং বিস্ময়কর এবং ওজস্বী তত্ত্ব
  • 0:22 - 0:25
    যা অণু-পরমাণুর সেই সূক্ষ্ম জগতে প্রযোজ্য
  • 0:25 - 0:28
    যা আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নশাস্ত্রকে
    এতভাবে খতিয়ে দেখছে,
  • 0:28 - 0:32
    সে কি জীবকোষের গভীরেও সদা ক্রিয়াশীল?
  • 0:32 - 0:36
    অন্য ভাষায়ঃ এমন কোন প্রক্রিয়া,
    পদ্ধতি, ঘটনা আছে কি
  • 0:36 - 0:40
    যেগুলো জৈব অঙ্গে ঘটমান এবং
    যেগুলোর ব্যাখ্যা কেবলমাত্র
  • 0:40 - 0:43
    কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সাহায্যে করা যেতে পারে?
  • 0:44 - 0:45
    এখন, কোয়ান্টাম বায়োলজি কোন নতুন বিদ্যা নয়;
  • 0:45 - 0:48
    সেই ১৯৩০ এর প্রথমভাগ থেকেই এটি চলে আসছে।
  • 0:48 - 0:52
    কিন্তু এটা মাত্র এক দশকের মত হবে,
    যখন সযত্ন গবেষণা --
  • 0:52 - 0:55
    যা বর্ণালিবীক্ষণ ব্যবহার করে
    বায়োকেমিস্ট্রি ল্যাবে করা হয় --
  • 0:55 - 1:02
    সেখানে কিছু সুনির্দিষ্ট কাজকারবারের
    পরিষ্কার, পাকাপোক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে
  • 1:02 - 1:05
    যেগুলো ব্যখ্যা করতে কোয়ান্টাম
    মেকানিক্স এর দরকার হয়
  • 1:06 - 1:09
    কোয়ান্টাম বায়োলজিতে একীভূত হয়
    কোয়ান্টাম পদার্থবিদ, প্রাণরসায়নবিদ,
  • 1:09 - 1:13
    আর অণু-জীববিদেরা --
    একান্তই বহুমাত্রিক এক জ্ঞানের ক্ষেত্র এটি
  • 1:13 - 1:17
    আমি এসেছি কোয়ান্টাম ফিজিক্স থেকে,
    অর্থাৎ আমি একজন অণু পদার্থবিদ।
  • 1:17 - 1:19
    আমি তিন দশকেরও বেশি কাটিয়েছি
  • 1:19 - 1:22
    কোয়ান্টাম মেকানিক্স কে আত্মস্থ করার প্রচেষ্টায়
  • 1:22 - 1:24
    কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা,
    নীলস বোর,
  • 1:24 - 1:28
    বলেছিলেন, তুমি যদি এতে বিস্ময়াবিষ্ট না হও,
    তাহলে তুমি এটি বোঝোনি।
  • 1:28 - 1:31
    তাই আমি খুশিই বোধ করি কেননা
    আমি এখনও এতে বিস্ময়াবিষ্ট হয়ে আছি
  • 1:31 - 1:33
    এটি একটি ভালো লক্ষণ।
  • 1:33 - 1:40
    অর্থাৎ বিশ্বের একেবারে সূক্ষ্মতম কাঠামো
    নিয়ে আমি জ্ঞানচর্চা করি --
  • 1:40 - 1:42
    যেগুলো কিনা বস্তুজগতের মূল উপাদান।
  • 1:42 - 1:45
    যদি আয়তনের পর্যায়ক্রমে চিন্তা করি,
  • 1:45 - 1:48
    কোন একটি নিত্যদিনের বস্তু নিয়ে শুরু করি,
    যেমন টেনিস বল,
  • 1:48 - 1:51
    এবং ক্রমান্বয়ে ছোট আকারের দিকে যেতে থাকি --
  • 1:51 - 1:56
    সূচের ছিদ্র থেকে জীবকোষ,
    তারপরে ব্যাকটেরিয়া, তারপরে এনজাইম --
  • 1:56 - 1:58
    অবশেষে পৌঁছে যাবেন সূক্ষ্ম বস্তুদের জগতে।
  • 1:58 - 2:00
    এখন, আপনারা হয়তো
    ন্যানোটেকনোলজি নামটা শুনে থাকবেন।
  • 2:01 - 2:04
    এক ন্যানোমিটার হল এক মিটারের
    বিলিয়ন ভাগের একভাগ।
  • 2:05 - 2:09
    আমার চর্চার ক্ষেত্র হচ্ছে নিউক্লিয়াস,
    পরমাণুর গভীরে অতি ক্ষুদ্র একটি বিন্দু।
  • 2:09 - 2:11
    তুলনার বিচারে এটি আরও ক্ষুদ্র।
  • 2:11 - 2:13
    এটাই কোয়ান্টাম মেকানিক্সের এলাকা,
  • 2:13 - 2:15
    এবং পদার্থবিদেরা ও রসায়নবিদেরা
    লম্বা সময় পেয়েছেন
  • 2:15 - 2:17
    এটিকে জানার ও খতিয়ে দেখার।
  • 2:17 - 2:22
    অপরদিকে, আমার মতে, জীববিদগণ
    বেশ হাল্কা ভাবেই শুরু করেছিলেন।
  • 2:22 - 2:26

    তাঁদের অণুর বল-কাঠি মডেল নিয়েই
    তাঁরা বেশ তৃপ্ত।
  • 2:26 - 2:28
    (হাসির রোল)
  • 2:28 - 2:31
    বলগুলি হচ্ছে পরমাণু, আর
    কাঠিগুলি হচ্ছে তাদের মধ্যেকার বন্ধন
  • 2:31 - 2:33
    আর পরীক্ষাগারে তাঁরা যখন এটি বানাতে পারেন না,
  • 2:33 - 2:36
    আজকাল, তাঁদের খুবই শক্তিশালী কম্পিউটার আছে
  • 2:36 - 2:38
    যেগুলো এসব সুবিশাল অণুর প্রতিরূপ বানিয়ে দেবে।
  • 2:38 - 2:41
    এটি লাখ খানেক পরমাণু দিয়ে তৈরি একটি প্রোটিন।
  • 2:42 - 2:46
    এটিকে ব্যাখ্যা করতে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের
    খুব বেশি গভীরে যাবার কোনো দরকার নেই।
  • 2:48 - 2:51
    কোয়ান্টাম মেকানিক্সের আবির্ভাব
    হয়েছিল ১৯২০ এর দশকে।
  • 2:51 - 2:58
    এটি কতগুলো চমৎকার ও জবরদস্ত গানিতিক নিয়ম ও ধারণা
  • 2:58 - 3:00
    যা দিয়ে অতি সূক্ষ্ম বস্তুদের জগতকে ব্যাখ্যা করা যায়।
  • 3:01 - 3:04
    এবং এটি আমাদের নিত্যদিনের জগতের চেয়ে
    সম্পূর্ণ আলাদা এক জগত,
  • 3:04 - 3:05
    অযুত-নিযুত পরমাণু দিয়ে তৈরি।
  • 3:05 - 3:09
    জগতটি সম্ভাবনা আর দৈবযোগের
    উপরে ভিত্তি করে তৈরি।
  • 3:10 - 3:11
    এটি একটি ধোঁয়াশাময় জগত।
  • 3:11 - 3:13
    এটি একটি ভুতুড়ে জগত,
  • 3:13 - 3:16
    যেখানে বস্তুকণারা ছড়িয়ে যাওয়া
    তরঙ্গের মত আচরণও করতে পারে।
  • 3:18 - 3:21
    আমরা যদি কোয়ান্টাম মেকানিক্স
    বা কোয়ান্টাম ফিজিক্স কে ধরে নেই,
  • 3:21 - 3:26
    বস্তুজগতের মুল ভিত্তি হিসাবে,
  • 3:26 - 3:28
    তাহলে এটি বলাতে অবাক হবার কিছু নেই যে,
  • 3:28 - 3:30
    কোয়ান্টাম ফিজিক্সের উপরেই
    জৈব রসায়ন দাঁড়িয়ে আছে।
  • 3:30 - 3:33
    মোটের উপর, এটি সেই বিধান দেয়
    যা ব্যাখ্যা করে,
  • 3:33 - 3:35
    কিভাবে পরমাণুগুলো জোট বেঁধে
    জৈব অণু তৈরি করে।
  • 3:35 - 3:39
    জৈব রসায়নের জটিলতার পরিধি বাড়ালেই
  • 3:39 - 3:42
    আমরা পাই অণু-জীববিদ্যা,
    যা নিশ্চিতভাবেই প্রাণে গিয়ে দাঁড়ায়।
  • 3:42 - 3:44
    এটি এরকমই, এতে অবাক হবার কিছু নেই।
  • 3:44 - 3:45
    প্রায় অবধারিত একটা ব্যাপার।
  • 3:45 - 3:50
    আপনি বলেন, "হ্যাঁ, জীবিতাবস্থাকে ব্যখ্যা করতে হলে
    শেষমেশ কোয়ান্টাম মেকানিক্সেরই দ্বারস্থ হতে হবে"
  • 3:50 - 3:53
    কিন্তু এটা অন্য সবকিছুর জন্যই প্রযোজ্য।
  • 3:53 - 3:56
    এবং নিযুত-কোটি পরমানুদিয়ে তৈরি
    সব জড় বস্তুর জন্যও প্রযোজ্য।
  • 3:57 - 4:01
    মূলতঃ কোয়ান্টামের এক পর্যায়ে
  • 4:01 - 4:04
    আমাদেরকে এই অদ্ভুতুড়ে
    ব্যাপারগুলো খতিয়ে দেখতেই হবে
  • 4:04 - 4:06
    কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে আমরা
    এটিকে ভুলে যেতে পারি।
  • 4:06 - 4:10
    কারণ, নিযুত-কোটি
    পরমাণু যখন একত্রিত হয়
  • 4:10 - 4:12
    তখন কোয়ান্টামের এই অদ্ভুত
    ব্যাপারগুলো স্রেফ হাওয়া হয়ে যায়।
  • 4:15 - 4:18
    কোয়ান্টাম জীববিদ্যা এমনটি নয়।
  • 4:18 - 4:20
    কোয়ান্টাম জীববিদ্যা এতটা অবধারিত নয়।
  • 4:20 - 4:25
    অবশ্যই কোন কোন আণবিক পর্যায়ে জীবনের
    ভিত্তিমূল কোয়ান্টাম মেকানিক্সেই প্রথিত।
  • 4:25 - 4:31
    কোয়ান্টাম জীববিদ্যার কাজ হল
    খুঁজে দেখা সেসব অনবধারিত --
  • 4:31 - 4:36
    অনির্দিষ্ট ধারনাগুলো,
    কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অন্তর্ভুক্ত
  • 4:36 - 4:39
    এবং দেখা যে, এগুলোর নিশ্চিতভাবে
    কোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে কি না
  • 4:39 - 4:41
    প্রাণ এর কর্মপন্থা ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে।
  • 4:43 - 4:48
    এটি আমার যথাযথ উদাহরণ, সেই অননুমেয়তার
  • 4:48 - 4:49
    যা কোয়ান্টাম জগতে বিরাজমান।
  • 4:49 - 4:51
    ইনি একজন কোয়ান্টাম স্কীচালক।
  • 4:51 - 4:53
    দেখা যাচ্ছে তিনি অখণ্ডই আছেন,
    তিনি পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবান,
  • 4:53 - 4:57
    তারপরেও মনে হচ্ছে তিনি একই
    সময়ে গাছটির দুইপাশ দিয়ে চলে এসেছেন।
  • 4:57 - 4:59
    বেশ, এরকম পথচিহ্ন যদি দেখে থাকেন
  • 4:59 - 5:01
    তাহলে নিশ্চয়ই ভাববেন যে
    এটি নির্ঘাত কোন ভোজবাজি ছিল।
  • 5:01 - 5:04
    কিন্তু কোয়ান্টাম জগতে সবসময়েই
    এমনটি ঘটে থাকে
  • 5:05 - 5:08
    বস্তুকণারা একই সময়ে
    দুই জায়গায় অবস্থান করতে পারে।
  • 5:08 - 5:10
    তারা একই সময়ে একাধিক কাজ করতে পারে।
  • 5:10 - 5:13
    বস্তুকণারা বিস্তারনশীল তরঙ্গের
    মত আচরণ করতে পারে।
  • 5:13 - 5:15
    এটি রীতিমত ঐন্দ্রজালিক মনে হয়।
  • 5:16 - 5:18
    প্রায় শতবর্ষ ধরে পদার্থবিদ এবং রসায়নবিদেরা
  • 5:18 - 5:21
    এই অদ্ভুতুড়ে ব্যাপারের সাথে
    অভ্যস্ত হবার চেষ্টায় আছেন।
  • 5:21 - 5:23
    আমি জীববিজ্ঞানীদেরকে দোষ দেবোনা
  • 5:23 - 5:25
    যে তাঁদের কোয়ান্টাম মেকানিক্স
    জানার কোন আগ্রহ ছিল না।
  • 5:25 - 5:29
    দেখুন, অদ্ভুতুড়ে হলেও এটি কিন্তু খুবই কেতাদুরস্ত;
  • 5:29 - 5:33
    এবং আমরা পদার্থবিদেরা পরীক্ষাগারে
    এটি বজায় রাখতে খুবই সচেষ্ট।
  • 5:33 - 5:37
    আমরা গোটা ব্যবস্থাটির তাপমাত্রা
    পরম শূন্যে নামিয়ে আনি,
  • 5:37 - 5:39
    আমরা বায়ুশূন্য স্থানে
    পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাই,
  • 5:39 - 5:43
    বাইরের যে কোন প্রভাব থেকে
    এটিকে আমরা মুক্ত রাখি।
  • 5:44 - 5:49
    জীবন্ত জীবকোষের ভেতরকার উষ্ণ, গোলমেলে,
    জগাখিচুড়িময় অবস্থা থেকে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
  • 5:50 - 5:53
    জীববিদ্যা নিজেই,
    যদি অণু জীববিদ্যার কথা ধরেন,
  • 5:53 - 5:56
    খুব ভালো ভাবেই জীবনের
    প্রক্রিয়া সমূহ বর্ণনা করতে পারে,
  • 5:56 - 5:59
    রসায়ন -- রাসায়নিক বিক্রিয়া হিসাবে।
  • 5:59 - 6:04
    আর এইসব সংক্ষেপক,
    পরিনামদর্শী রাসায়নিক বিক্রিয়া,
  • 6:04 - 6:09
    দেখায় যে, আর পাঁচটা জিনিস
    আর জীবন মূলতঃ একই উপাদানে তৈরি,
  • 6:09 - 6:12
    এবং আমরা যদি স্থূল জগতে
    কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে ভুলে থাকতে পারি,
  • 6:12 - 6:15
    তাহলে জীববিজ্ঞানের জগতেও
    এটিকে ভুলে থাকতে পারবো।
  • 6:16 - 6:19
    বেশ, কিন্তু একজন এমনটি মানতে চাননি।
  • 6:20 - 6:24
    আরউইন শ্রডিংগার,
    যিনি শ্রডিংগারের বেড়ালের জন্য বিখ্যাত,
  • 6:24 - 6:25
    একজন অস্ট্রিয়ান পদার্থবিদ।
  • 6:25 - 6:28
    ১৯২০ এর দশকের
    কোয়ান্টাম মেকানিক্সের স্থপতিদের একজন।
  • 6:29 - 6:31
    ১৯৪৪ সালে তিনি
    "জীবন কি?" নামে একটি বই লেখেন
  • 6:32 - 6:34
    এটি সাঙ্ঘাতিক রকমের প্রভাব ফেলেছিল।
  • 6:34 - 6:36
    এটি ফ্রান্সিস ক্রিক এবং
    জেমস ওয়াটসনকে প্রভাবিত করেছিল,
  • 6:36 - 6:39
    যারা ডিএনএ এর ডাবল-হেলিক্স
    গঠন আবিষ্কার করেছিল।
  • 6:39 - 6:43
    এই বইয়ের একটি বর্ননা
    ভাষান্তর করে তিনি বলেছিলেনঃ
  • 6:43 - 6:49
    আণবিক পর্যায়ে জীবন্ত
    অবয়বগুলোতে সুনির্দিষ্ট বিন্যাস আছে,
  • 6:49 - 6:52
    খুবই ভিন্ন রকমের একটি সংগঠন যা
  • 6:52 - 6:57
    থার্মোডায়নামিক্স জনিত অণু পরমাণুর
    বিশৃঙ্খল ধাক্কা-ধাক্কির চেয়ে ভিন্ন,
  • 6:57 - 7:01
    যেটি একই রকমের জটিল জড় বস্তুতে দেখা যায়।
  • 7:02 - 7:07
    বাস্তবমে জীবন্ত বস্তুরা এই শৃঙ্খলা মেনে চলে
    বলেই ননে হয়, একটা সংগঠনে,
  • 7:07 - 7:10
    ঠিক পরম শূন্য তাপমাত্রায়
    নামিয়ে আনা জড় বস্তুদের মত,
  • 7:10 - 7:13
    যেখানে কোয়ান্টামের প্রভাবসমুহ
    অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • 7:14 - 7:18
    এখানে এই সংগঠনের -
    এই শৃঙ্খলার মাঝে অসাধারণ কিছু আছে
  • 7:18 - 7:20
    জীবন্ত কোষের অভ্যন্তরে।
  • 7:20 - 7:25
    তাই শ্রডিংগার ধারনা করেছিলেন, জীবনের উপরে
    কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ভূমিকা থাকতে পারে।
  • 7:26 - 7:30
    এটা খুবই কল্পনাপ্রসূত ও
    সুদূরপ্রসারী একটি ধারনা,
  • 7:30 - 7:32
    এবং বাস্তবে এটি খুব বেশিদূর আগাতে পারেনি।
  • 7:34 - 7:35
    কিন্তু প্রথমেই যেমনটি বলেছিলাম,
  • 7:35 - 7:38
    গত দশক যাবত এক্ষেত্রে অনেক
    পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ হয়েছে
  • 7:38 - 7:42
    যেগুলো দেখিয়েছে যে
    জীববিজ্ঞানের কিছু কিছু সুনির্দিষ্ট প্রপঞ্চ
  • 7:42 - 7:44
    কোয়ান্টাম মেকানিক্স আশ্রিত
    বলে মনে হয়।
  • 7:44 - 7:47
    এরকম কয়েকটি রোমাঞ্চকর ঘটনা
    সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাতে চাই।
  • 7:48 - 7:52
    এটি কোয়ান্টাম জগতের
    অন্যতম বহুল-বিদিত প্রপঞ্চ,
  • 7:52 - 7:54
    কোয়ান্টাম টানেলিং।
  • 7:54 - 7:58
    বামপাশের বক্সে দেখা যাচ্ছে
    তরঙ্গসুলভ বিস্তারনশীল বিন্যাস
  • 7:58 - 8:01
    যা কোয়ান্টাম পদার্থ --
    ইলেকট্রনের মত কণাসমূহে দেখা যায়,
  • 8:01 - 8:05
    যেটি দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে
    ফিরে আসা কোন ছোট বল নয়।
  • 8:05 - 8:09
    এটি একটি নির্দিষ্ট সম্ভাব্যতা বিশিষ্ট
    একটি তরঙ্গ যা ভেদ করতে সক্ষম
  • 8:09 - 8:13
    কোন নিরেট দেয়াল, যেন একপাশ
    থেকে অন্যপাশে চলে যাওয়া কোন ভূত।
  • 8:13 - 8:17
    ডানপাশের বক্সে একটি অনুজ্জ্বল
    আলোর রেখা দেখতে পাচ্ছেন।
  • 8:18 - 8:22
    কোয়ান্টাম টানেলিং অনুসারে একটা কণা
    একটা অভেদ্য দেয়ালে ধাক্কা খেলেও
  • 8:22 - 8:25
    কোনভাবে, একেবারে ভোজবাজীর মত,
  • 8:25 - 8:27
    এক পাশ থেকে অদৃশ্য হয়ে
    অন্য পাশে পুনরাবির্ভুত হয়।
  • 8:28 - 8:32
    এটার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা হল, আপনি যদি
    একটা বলকে দেয়ালের উপর দিয়ে ছুঁড়তে চান,
  • 8:32 - 8:36
    তাহলে ওটাকে ওই দেয়াল পার হবার মত
    পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করতে হবে।
  • 8:36 - 8:39
    কোয়ান্টাম জগতে আপনাকে এভাবে
    দেয়ালের উপর দিয়ে ছুঁড়তে হবে না,
  • 8:39 - 8:42
    এটাকে দেয়ালে ছুঁড়লেও চলবে, এবং
    নির্দিষ্ট একটি ধনাত্মক সম্ভাবনা থাকবে
  • 8:42 - 8:45
    যে, এটি একপাশে অদৃশ্য হয়ে
    অন্যপাশে আবির্ভুত হবে।
  • 8:45 - 8:47
    এটি কিন্তু কোন কল্পকথা নয়।
  • 8:47 - 8:50
    আমরা এতে খুশি --
    বেশ, "খুশি" শব্দটা এখানে যথার্থ নয়
  • 8:51 - 8:53
    (হাসির রোল)
  • 8:53 - 8:54
    আমরা এতে অভ্যস্ত।
  • 8:54 - 8:57
    (হাসির রোল)
  • 8:57 - 8:59
    প্রতিনিয়তই কোয়ান্টাম টানেলিং ঘটে চলছে;
  • 8:59 - 9:02
    সত্যি বলতে, এর ফলেই সুর্য আলো দেয়।
  • 9:03 - 9:04
    কণাগুলো সেখানে পরস্পর একীভূত হয়,
  • 9:04 - 9:08
    আর সুর্য্য কোয়ান্টাম টানেলিং এর মাধ্যমে
    হাইড্রোজেন কে হিলিয়ামে পরিণত করে।
  • 9:09 - 9:15
    ৭০ এবং ৮০র দশকে ফিরে যাই, তখন
    উদ্ঘাটিত হল যে কোয়ান্টাম টানেলিং ঘটে থাকে
  • 9:15 - 9:16
    এমনকি জীব কোষের অভ্যন্তরেও।
  • 9:16 - 9:23
    এনজাইমগুলো, যারা জীবের মুল চালিকাশক্তি,
    রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রভাবক --
  • 9:23 - 9:27
    এনজাইমগুলো জৈব অণু যারা জীব কোষের
    ভিতরকার রাসায়নিক বিক্রিয়াতে গতি সঞ্চার করে
  • 9:27 - 9:28
    অনেক অনেক গুন বেশি গতি সঞ্চার করে।
  • 9:28 - 9:31
    এবং কিভাবে এটি ঘটে
    তা বরাবরই রহস্যাবৃত ছিল।
  • 9:32 - 9:33
    বেশ, এটা উদ্ঘাটিত হল
  • 9:33 - 9:38
    যে, এনজাইমগুলো বিবর্তিত হয়েছে
    একটি কৌশল রপ্ত করতে,
  • 9:38 - 9:43
    যা অতিপারমাণবিক কণাগুলোকে স্থানান্তর করে,
    যেমন ইলেকট্রন এবং অবশ্যই প্রোটন,
  • 9:43 - 9:48
    কোয়ান্টাম টানেলিং এর মাধ্যমে
    অণুর এক অংশ থেকে অন্য অংশে।
  • 9:48 - 9:51
    এটি কার্যকর, এটি ক্ষিপ্রগামী,
    এটি অদৃশ্য করতে পারে --
  • 9:51 - 9:54
    একটি প্রোটন একজায়গা থেকে অদৃশ্য হয়ে
    অন্য জায়গায় দৃশ্যমান হতে পারে।
  • 9:54 - 9:56
    এনজাইমের সাহায্যেই এমনটি ঘটে থাকে।
  • 9:57 - 9:59
    সেই ৮০র দশকে এটি নিয়ে গবেষণা হয়েছিল,
  • 9:59 - 10:03
    বিশেষ করে বার্কলের একটি গ্রুপ,
    জুডিথ ক্লিনম্যান।
  • 10:03 - 10:06
    যুক্তরাজ্যস্থ অন্যান্য গ্রুপগুলিও
    সম্প্রতি নিশ্চিত করেছে
  • 10:06 - 10:07
    যে, এনজাইমগুলো আসলেই এমনটি করে থাকে।
  • 10:09 - 10:12
    আমার গ্রুপের করা গবেষণাতেও --
  • 10:12 - 10:14
    আমি যেমনটি বলেছি,
    আমি একজন পরমাণু পদার্থবিদ,
  • 10:14 - 10:17
    কিন্তু আমি উপলদ্ধ্বি করেছি কোয়ান্টাম
    মেকানিক্সকে ব্যবহার করতে পারি
  • 10:17 - 10:22
    পরমাণুর নিউক্লিয়াসে, এবং অন্যান্য
    ক্ষেত্রেও এই হাতিয়ারকে ব্যবহার করতে পারি।
  • 10:23 - 10:25
    একটি প্রশ্ন আমরা করে থাকি
  • 10:25 - 10:30
    ডিএনএ মিউটেশন এর পেছনে
    কোয়ান্টাম টানেলিং এর কোন ভূমিকা আছে কি না?
  • 10:30 - 10:34
    অধিকন্তু, এটি কোন নতুন ধারনা নয়;
    এটি একেবারে ৬০ এর দশকের গোড়ায় নিয়ে যাবে।
  • 10:34 - 10:36
    ডিএনএর দুই তন্তু, সেই দুই প্যাঁচ বিশিষ্ট গঠন,
  • 10:37 - 10:39
    দাসা-কাঠি দিয়ে পরস্পর আটকানো;
    যেন একটি মোচড়ানো মই।
  • 10:39 - 10:43
    এবং মইয়ের এই দাসা-কাঠিগুলো হল
    হাইড্রোজেন বন্ধন --
  • 10:43 - 10:47
    এখানে প্রোটনগুলি দুই তন্তুর
    মাঝখানে আঠা হিসেবে কাজ করে।
  • 10:47 - 10:51
    তাই, আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণে দেখা যায়
    তারা ধরে রেখেছে এই বিশাল অণু গুলিকে --
  • 10:51 - 10:53
    নিউক্লিওটাইড গুলোকে -- একসাথে।
  • 10:54 - 10:55
    আরেকটু নিবিড়ভাবে দেখা যাক।
  • 10:55 - 10:57
    এটি আসলে কম্পিউটারে বানানো
    একটি প্রতিরূপ।
  • 10:58 - 11:01
    মঝের ওই সাদা বল দুটো হল প্রোটন,
  • 11:01 - 11:04
    এবং দেখতেই পাচ্ছেন,
    এটি একটি দ্বি-হাইড্রোজেন বন্ধন।
  • 11:04 - 11:07
    একটি একদিকে বসে আছে; আর অন্যটি উল্টোদিকে
  • 11:07 - 11:12
    খাড়া নেমে যাওয়া তন্তু দুটির সাপেক্ষে,
    যেগুলি এখানে দৃশ্যমান নয়।
  • 11:12 - 11:16
    এমনও হতে পারে যে প্রোটন
    দুটি লাফ দিয়ে জায়গা বদল করল।
  • 11:16 - 11:17
    সাদা বল দুটোকে লক্ষ্য করুন।
  • 11:18 - 11:20
    এরা একপাশ থেকে লাফিয়ে
    অন্যপাশে চলে যেতে পারে।
  • 11:20 - 11:26
    এই সময়ে যদি প্রতিলিপি তৈরির প্রাথমিক ধাপ হিসেবে,
    ডিএনএর তন্তু দুটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়,
  • 11:26 - 11:29
    এবং প্রোটন দুটি বেঠিক অবস্থানে থেকে যায়,
  • 11:29 - 11:31
    তাহলে এটি একটি মিউটেশনে পর্যবসিত হতে পারে।
  • 11:31 - 11:33
    আধা শতাব্দী ধরে এটি আমাদের জানা।
  • 11:33 - 11:35
    প্রশ্ন হল, এরকমটি ঘটার সম্ভাবনা কেমন,
  • 11:35 - 11:38
    আর যদি ঘটেই তাহলে তা কিভাবে ঘটে?
  • 11:38 - 11:41
    তারা কি এই দেয়ালের উপর দিয়ে যাওয়া
    বলদুটির মত লাফিয়ে জায়গা বদলায়?
  • 11:41 - 11:44
    না কি তারা কোয়ান্টাম টানেলিং করে,
    এমন কি পর্যাপ্ত শক্তি না থাকা সত্ত্বেও?
  • 11:45 - 11:49
    প্রাথমিক নিদর্শনে এখানে কোয়ান্টাম টানেলিং
    এর ভূমিকা থাকতে পারে বলেই মনে হয়।
  • 11:49 - 11:51
    আমরা এখনও জানিনা, এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ;
  • 11:52 - 11:53
    এটি এখনও একটি উন্মুক্ত প্রশ্ন।
  • 11:54 - 11:55
    এটি কল্পনা নির্ভর,
  • 11:55 - 11:58
    কিন্তু এটি সেই
    অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির একটি
  • 11:58 - 12:00
    যে, মিউটেশন প্রক্রিয়ায়
    কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ভূমিকা আছে,
  • 12:01 - 12:03
    নিশ্চিতভাবেই এটির একটি বড় প্রভাব আছে,
  • 12:03 - 12:06
    নির্দিষ্ট ধরনের কিছু মিউটেশন বোঝার ক্ষেত্রে,
  • 12:06 - 12:09
    এমনকি সম্ভবত, ক্যান্সার কোষে
    পর্যবসিত করা মিউটেশনগুলোর ক্ষেত্রেও।
  • 12:11 - 12:16
    জীববিজ্ঞানের অঙ্গনে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের
    আরেকটি উদাহরণ হল কোয়ান্টাম কোহেরেন্স,
  • 12:16 - 12:18
    জীববিজ্ঞানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়ার মাঝে,
  • 12:19 - 12:22
    সালোক-সংশ্লেষণঃ বৃক্ষ এবং
    ব্যাকটেরিয়া সূর্যালোক গ্রহণ করে,
  • 12:22 - 12:25
    এবং জৈববস্তু তৈরির কাজে
    সেই সৌরশক্তিকে ব্যবহার করে।
  • 12:26 - 12:30
    কোয়ান্টাম বস্তুর একই সময়ে একাধিক স্থানে
    থাকার ব্যাপারটাকেই কোয়ান্টাম কোহেরেন্স বলে।
  • 12:31 - 12:33
    এটি সেই কোয়ান্টাম স্কি-চালক।
  • 12:33 - 12:35
    ওটি একটি বস্তু যা তরঙ্গের মত আচরণ করে,
  • 12:36 - 12:38
    যাতে করে এটি কেবল কোন একদিকে ভ্রমণ না করে,
  • 12:38 - 12:42
    বরং একই সময়ে একাধিক পথে ধাবিত হতে পারে।
  • 12:43 - 12:47
    কয়েক বছর আগে, তাবৎ বিজ্ঞানী সমাজ
    রীতিমত স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল
  • 12:47 - 12:50
    যখন পরীক্ষালব্ধ প্রমাণসহ
    একটা প্রকাশিত রচনায় দেখানো হল
  • 12:50 - 12:54
    যে, ব্যাকটেরিয়ার অভ্যন্তরে
    কোয়ান্টাম কোহেরেন্স ঘটে থাকে,
  • 12:54 - 12:56
    যেগুলো সালোক সংশ্লেষণে সক্ষম।
  • 12:56 - 12:59
    ধারনা করা হয় ফোটন, যা কিনা
    আলোর কণিকা, সুর্য্যালোক কণিকা,
  • 12:59 - 13:02
    আলোর এই দলাগুলিকে কোষস্থ
    ক্লোরোফিল অণুগুলো আটকিয়ে ফেলে,
  • 13:02 - 13:05
    তারপরে সেগুলোকে বিক্রিয়া-কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়,
  • 13:05 - 13:07
    যেখানে সেগুলো রাসায়নিক শক্তিতে পরিণত হয়।
  • 13:07 - 13:10
    আর শুধুমাত্র একটা পথ অনুসরণ করে
    তারা সেখানে যায় না;
  • 13:10 - 13:12
    তারা প্রত্যেকে একই সময়ে
    একাধিক পথ অনুসরণ করে,
  • 13:12 - 13:16
    যাতে করে বিক্রিয়া-কেন্দ্রে যাবার পথগুলোর
    মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর গুলোকে খুঁজে নিতে পারে
  • 13:16 - 13:18
    বিকিরিত তাপ রূপে
    শক্তির কোন অপচয় না করেই।
  • 13:19 - 13:23
    জীবকোষের অভ্যন্তরে
    কোয়ান্টাম কোহেরেন্স ঘটে চলেছে।
  • 13:23 - 13:25
    চমকপ্রদ একটি ধারণা,
  • 13:25 - 13:31
    এবং প্রায় প্রতি সপ্তাহেই নতুন নতুন নিবন্ধের
    সাথে নিত্য নতুন প্রমাণও হাজির হচ্ছে,
  • 13:31 - 13:33
    নিশ্চিত করছে যে, এটি আসলেই ঘটছে।
  • 13:34 - 13:38
    এই অপরূপ, চমৎকার ধারনাটি হল
    আমার তৃতীয় এবং শেষ উদাহরণ।
  • 13:38 - 13:42
    এটি এখনও অনেকটাই কল্পনাশ্রিত, কিন্তু আমাকে
    এটা আপনাদের সামনে তুলতেই হবে।
  • 13:42 - 13:47
    এই ইউরোপিয়ান রবিনগুলি
    স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে পরিভ্রমণ করে
  • 13:47 - 13:50
    একেবারে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত, প্রতি বছর শরতে,
  • 13:50 - 13:53
    আর অন্য অনেক জলজ প্রাণী
    এবং এমনকি কীট-পতঙ্গের মত,
  • 13:53 - 13:57
    তারা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রকে
    অনুভব করে করে পথ চিনে নেয়।
  • 13:59 - 14:01
    কিন্তু, পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রটি
    খুবই খুবই দুর্বল;
  • 14:01 - 14:03
    ফ্রিজে লাগানো চুম্বকটির চেয়েও
    শতভাগ দুর্বল,
  • 14:04 - 14:09
    কিন্তু তারপরেও কিভাবে যেন জৈব বস্তুর
    ভেতরকার রসায়নকে প্রভাবিত করতে সক্ষম।
  • 14:10 - 14:14
    সন্দেহের কোন অবকাশ নেই --
    জার্মান এক পক্ষীবিশারদ জুটি,
  • 14:14 - 14:18
    ওলফগ্যাং ও রসউইথা উইল্টস্কো,
    সেই ৭০ এর দশকে এটি নিশ্চিত করেছেন,
  • 14:18 - 14:22
    রবিনগুলি কোনভাবে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রকে
    অনুভব করেই তাঁদের পথ খুঁজে নেয়,
  • 14:22 - 14:25
    দিকনির্দেশনা দেবার জন্য --
    এ যেন দেহস্থিত এক কম্পাস।
  • 14:25 - 14:28
    কিভাবে এটি ঘটে? এটাই ছিল ধাঁধাঁ, রহস্য
  • 14:28 - 14:31
    বেশ, এখন এখানে একমাত্র তত্ত্বটি হল --
  • 14:31 - 14:35
    আমরা জানিনা তত্ত্বটি সঠিক কি না,
    কিন্তু এটিই এক্ষেত্রে একমাত্র তত্ত্ব --
  • 14:35 - 14:38
    কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গেলমেন্ট নামক
    এক প্রপঞ্চের মাধ্যমে এটি ঘটে থাকে।
  • 14:39 - 14:41
    রবিনগুলির চোখের রেটিনার ভিতরে --
  • 14:41 - 14:45
    আমি ফাজলামো করছি না -- রবিনের রেটিনার মাঝে
    ক্রিপ্টোক্রোম নামে এক ধরনের প্রোটিন আছে,
  • 14:45 - 14:47
    যেটি আলোক-সংবেদী।
  • 14:47 - 14:51
    এই ক্রিপ্টোক্রোমের ভেতরে একজোড়া ইলেকট্রন
    কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গেলমেন্ট অবস্থায় থাকে।
  • 14:51 - 14:54
    তো, কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গেলমেন্ট হল সেই অবস্থা
    যখন দুটি কণার মাঝে বিস্তর দূরত্ব
  • 14:54 - 14:57
    থাকা সত্ত্বেও কিভাবে যেন তারা
    পরস্পর সংযুক্ত হয়ে থাকে।
  • 14:57 - 14:58
    এমনকি আইনস্টাইনও
    এই ধারনাটাকে ঘৃণা করতেন;
  • 14:58 - 15:00
    তিনি এটাকে বলতেন
    "দূরবর্তী ভুতুড়ে কাজকারবার"
  • 15:01 - 15:02
    (হাসির রোল)
  • 15:02 - 15:06
    তাই, স্বয়ং আইনস্টাইন এটাকে পছন্দ না করলে
    বাকি সবাই তো অস্বস্তি বোধ করতেই পারি।
  • 15:06 - 15:09
    কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গেলমেন্ট অবস্থায়
    একটি অণুর ভিতরে দুটি ইলেকট্রন
  • 15:09 - 15:10
    খুব সুচারু তালে নেচে চলে
  • 15:10 - 15:13
    যেটি খুবই সংবেদনশীলতা দেখায় পাখিটির উড়ন পথে,
  • 15:13 - 15:14
    পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সাপেক্ষে।
  • 15:15 - 15:17
    আমরা জানিনা এটিই যথাযথ ব্যাখ্যা কি না,
  • 15:17 - 15:22
    কিন্তু ওয়াও! এটি কি রোমাঞ্চকর হবে না যদি
    কোয়ান্টাম মেকানিক্স পাখিদেরকে পথ চেনায়?
  • 15:23 - 15:26
    কোয়ান্টাম জীববিদ্যা এখনও
    বলতে গেলে আঁতুড় ঘরেই আছে।
  • 15:26 - 15:29
    এটি এখনও কল্পনানির্ভর।
  • 15:30 - 15:34
    কিন্তু আমার বিশ্বাস এটি
    বিজ্ঞানের দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে।
  • 15:34 - 15:38
    আমি এও মনে করি যে আগামী দশকে বা কাছেপিঠে,
  • 15:38 - 15:43
    আমরা উদ্ঘাটন করতে শুরু করব যে,
    এটি আসলে প্রাণ ছেয়ে আছে --
  • 15:43 - 15:47
    যে প্রাণ বিবর্তিত হয়ে কোয়ান্টাম জগতকে
    সদ্ব্যবহার করার কৌশল রপ্ত করে চলছে।
  • 15:48 - 15:49
    দেখতে থাকুন, অচিরেই আরও চমক আসছে!
  • 15:49 - 15:51
    ধন্যবাদ।
  • 15:51 - 15:53
    (করতালি)
Title:
How quantum biology might explain life’s biggest questions
Speaker:
Jim Al-Khalili
Description:

more » « less
Video Language:
English
Team:
closed TED
Project:
TEDTalks
Duration:
16:09

Bengali subtitles

Revisions