ভিএস রামাচন্দ্রন: নিউরনগুলো যা সভ্যতা গড়েছে
-
0:00 - 0:03আমি আজ আপনাদের সামনে মনুষ্য মস্তিস্ক নিয়ে কথা বলতে চাই,
-
0:03 - 0:05ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা এই বিষয়টা নিয়েই গবেষণা করি।
-
0:05 - 0:07এক মুহূর্তের জন্য এই সমস্যাটা নিয়ে একটু ভাবুন।
-
0:07 - 0:10এই হল একটা মাংস পিণ্ড, মোটামুটি তিন পাউন্ড ওজনের,
-
0:10 - 0:12যেটা আপনি আপনার হাতের তালুর মধ্যেই ধরতে পারেন।
-
0:12 - 0:16কিন্তু এটা এই আর্ন্তনক্ষত্রিক জগতের বিশালত্বকেও ধারণ করতে পারে।
-
0:16 - 0:18এটা অসীমের অর্থকে ধারণ করতে পারে,
-
0:18 - 0:21এটা নিজের অস্তিত্বের অর্থ নিয়েও প্রশ্ন করতে পারে,
-
0:21 - 0:23প্রশ্ন করতে পারে ঈশ্বরের প্রকৃতি নিয়েও।
-
0:23 - 0:25আর এটা সত্যিই এই দুনিয়ার সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিস।
-
0:25 - 0:28এটাই মনুষ্য প্রজাতির কাছে একটা বিশাল রহস্য;
-
0:28 - 0:30কিভাবে এ-সব কিছু এল?
-
0:30 - 0:32তো, এই মস্তিস্কটা, যেমনটা আপনি জানেন, তৈরি হয়েছে নিউরন দিয়ে,
-
0:32 - 0:34আমরা এখানে নিউরনগুলোকে দেখছি।
-
0:34 - 0:37পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষের মস্তিস্কে প্রায় ১০০ বিলিয়ন নিউরন থাকে।
-
0:37 - 0:40আর মস্তিস্কের মধ্যে এই প্রতিটি নিউরন যোগাযোগ করে প্রায় ১০০০ বা ১০,০০০
-
0:40 - 0:42অন্যান্য নিউরনের সঙ্গে ।
-
0:42 - 0:44এটা মাথায় রেখে, মানুষ হিসেব করেছে যে
-
0:44 - 0:47এই পরিমাণ মস্তিস্ক কার্যকলাপের বিন্যাস ও সমাবেশ -এর অঙ্কটা
-
0:47 - 0:50মহাবিশ্বের সব মৌলিক কনিকার সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যায়।
-
0:50 - 0:52তো, আপনি কিভাবে এই মস্তিস্ক নিয়ে জানাশোনা শুরু করবেন?
-
0:52 - 0:54একটা পদ্ধতি হলো, সেইসব রোগীদের নিয়ে পরীক্ষা করা যাদের মস্তিস্কের বিভিন্ন অংশে ক্ষত আছে
-
0:54 - 0:57এবং এটার উপর নির্ভর করে তাদের আচরণের পরিবর্তন পর্যালোচনা করা।
-
0:57 - 0:59এটা নিয়েই আমি TED এ গতবার কথা বলেছি।
-
0:59 - 1:01আজ আমি একটা ভিন্ন ধরণ নিয়ে কথা বলব,
-
1:01 - 1:03যেটা হলো: মস্তিস্কের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুতায়ন করা,
-
1:03 - 1:07যেন সত্যি সত্যিই মস্তিস্কের একেকটা স্বতন্ত্র স্নায়ুকোষের কার্যকলাপ রেকর্ড করা যায়।
-
1:07 - 1:11এটা মস্তিস্কের স্নায়ুকোষগুলোর কর্মকাণ্ডে একধরণের আড়িপাতার মতো ব্যাপার।
-
1:11 - 1:14এখন, খুব সম্প্রতি একটা আবিস্কার হয়েছে
-
1:14 - 1:16গবেষক দলের দ্বারা ইতালির পারমায়,
-
1:16 - 1:19জিয়াকোমো রিজোলাত্তি ও তাঁর সহকর্মী,
-
1:19 - 1:21সেটি হলো, এক ধরণের গুচ্ছ নিউরণের উপস্থিতি যাদেরকে বলা হয় দর্পণ/আয়না নিউরন,
-
1:21 - 1:24যেগুলো থাকে মস্তিস্কের সামনে, ফ্রন্টাল লোবে।
-
1:24 - 1:26এখন, জানা গেল যে এক ধরনের নিউরন গুচ্ছ আছে
-
1:26 - 1:29যা হলো সাধারণ মোটর কমান্ড নিউরন যা মস্তিস্কের সামনে থাকে,
-
1:29 - 1:31যা বিগত ৫০ বছর ধরে জানা ছিল।
-
1:31 - 1:34এই নিউরনগুলো সক্রিয় হবে, যখন কোন ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট একটা কাজ করতে যাবেন।
-
1:34 - 1:37উদাহরণ হিসেবে, যদি আমি এটা করতে যাই, একটা আপেলের কাছে পৌঁছাতে চাই ও সেটা ধরতে চাই,
-
1:37 - 1:41তাহলে আমার মস্তিস্কের সামনে থাকা একটা মোটর কমান্ড নিউরন সক্রিয় হবে
-
1:41 - 1:44যদি আমি বস্তুটার কাছে পৌঁছে যাই ও সেটা কাছে টানি, তাহলে আরেকটা নিউরণ সক্রিয় হবে।
-
1:44 - 1:46আমাকে নির্দেশ দিবে সেই বস্তুটা ধরে ফেলতে
-
1:46 - 1:48এইগুলো হলো মোটর কমান্ড নিউরন। এটাই আমরা জানি একটা লম্বা সময় ধরে।
-
1:48 - 1:50কিন্তু রিজোলাত্তি যা পেয়েছেন,
-
1:50 - 1:52তা হলো এই নিউরনগুলোরই একটা সাবসেট।
-
1:52 - 1:54সম্ভবত এগুলোর ২০ শতাংশ মতো। এই নিউরনগুলো সক্রিয় হবে, যখন
-
1:54 - 1:57আমি অন্য কাউকেও ঐ একই কাজ করতে দেখব।
-
1:57 - 2:00তো, এগুলো সেই নিউরন, যেটা সক্রিয় হবে যখন আমি নিজে কোন কাজ করতে যাব
-
2:00 - 2:03এবং তখনও, যখন আমি জো-কে কোন একটা বস্তুর কাছে পৌঁছাতে ও ধরতে দেখব।
-
2:03 - 2:05আর এটা সত্যিই তাক লাগানোর মতো।
-
2:05 - 2:07কারণ ব্যাপারটা এরকম যে, এই নিউরনগুলো
-
2:07 - 2:09অন্য মানুষদের দৃষ্টিভঙ্গিটাও গ্রহণ করছে।
-
2:09 - 2:13এই নিউরনগুলো মস্তিস্কের মধ্যে একটা অপ্রকৃত বাস্তবতা নকল করে
-
2:13 - 2:15অন্য মানুষদের কার্যকলাপের ।
-
2:15 - 2:18এখন, এই মিরর নিউরনগুলোর গুরুত্বটা কোথায়?
-
2:18 - 2:21একটা হলো, এগুলো নিশ্চিতভাবেই কোন ব্যক্তিকে অনুকরণ ও তার সমকক্ষ হওয়ার চেষ্টা করা জাতীয় জিনিসের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
2:21 - 2:24কারণ একটা জটিল কাজ অনুকরণ করতে হলে
-
2:24 - 2:27আমার মস্তিস্ককে অন্য মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে পারতে হবে।
-
2:27 - 2:29তো, এটা অনুকরণ করা ও কারও সমকক্ষ হতে পারার জন্য জরুরি।
-
2:29 - 2:31আচ্ছা, এটা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
-
2:31 - 2:34এবার আমরা নজর দেই পরবর্তী স্লাইডে।
-
2:34 - 2:37তো, আপনি কিভাবে এই অনুকরণ করেন? কেনই বা এটা গুরুত্বপূর্ণ?
-
2:37 - 2:39মিরর নিউরন আর অনুকরণ, কারও সমকক্ষ হওয়ার চেষ্টা?
-
2:39 - 2:43এখন আমরা একটু নজর দেই সংস্কৃতির দিকে। মনুষ্য সংস্কৃতি প্রত্যয়টার দিকে।
-
2:43 - 2:47আপনি যদি প্রায় ৭৫ হাজার থেকে একশ হাজার বছর পিছিয়ে গিয়ে
-
2:47 - 2:49মানুষের বিবর্তনটা দেখেন, তো দেখবেন,
-
2:49 - 2:52প্রায় ৭৫ হাজার বছরের কাছাকাছি সময়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটেছিল।
-
2:52 - 2:54আর সেটা হলো একটা তড়িত্ উত্থান ও দ্রুতই খুব দক্ষতাপূর্ণ কর্মকাণ্ড,
-
2:54 - 2:57যেগুলো মানুষেরই বিশেষত্ব,
-
2:57 - 2:59যেমন হাতিয়ার ব্যবহার।
-
2:59 - 3:02আগুন, বাসস্থানের ব্যবহার এবং অবশ্যই ভাষার ব্যবহার।
-
3:02 - 3:04এবং অন্য কোন মানুষের চিন্তা অনুমান করতে পারার
-
3:04 - 3:06ও সেই মানুষের আচরণ অনুধাবন করতে পারার ক্ষমতা।
-
3:06 - 3:08এই সবকিছুই হয়েছিল তুলনামূলক দ্রুততার সঙ্গে।
-
3:08 - 3:11যদিও মনুষ্য মস্তিস্ক তার বর্তমান আকারটা পেয়েছিল
-
3:11 - 3:13প্রায় তিন বা চারশ হাজার বছর আগে।
-
3:13 - 3:15কিন্তু একশ হাজার বছর আগে এই সবকিছু ঘটেছিল খুবই খুবই দ্রুত।
-
3:15 - 3:18আর আমার দাবি হলো, এ সবকিছুর মূলে ছিল
-
3:18 - 3:21একটা সুক্ষ মিরর নিউরন ব্যবস্থার উদ্ভব।
-
3:21 - 3:23যেটা আপনাকে অন্য মানুষদের কাজের অনুকরণ ও তার সমকক্ষ হতে সামর্থ্য যোগায়।
-
3:23 - 3:27তো, তার ফলে যখন কোন গোষ্ঠীর একজন সদস্য একটা আকস্মিক আবিস্কার করে ফেলে,
-
3:27 - 3:30ধরেন, আগুনের ব্যবহার
-
3:30 - 3:32বা নির্দিষ্ট কোন হাতিয়ারের ব্যবহার আবিস্কার করে ফেলে,
-
3:32 - 3:35তখন পরবর্তীতে তা বিস্মৃত হয়ে যাওয়ার বদলে এটা দ্রুতই সমগ্র জনমানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
-
3:35 - 3:38প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে প্রবাহিত হয়।
-
3:38 - 3:40তো, এর ফলে বিবর্তনটা হঠাত্-ই হয়ে পড়ে লামারকিয়ান বিবর্তন।
-
3:40 - 3:42ডারউইনিয়ান বিবর্তন না হয়ে,
-
3:42 - 3:45ডারউইনিয়ান বিবর্তন খুব ধীরগতির, এটা নেয় কয়েকশ হাজার বছর।
-
3:45 - 3:47একটা পোলার বিয়ার থেকে কোট বানাতে এটা নেয়
-
3:47 - 3:50কয়েক হাজার প্রজন্ম। হয়ত একশ হাজার বছর।
-
3:50 - 3:53কিন্তু একটা মানুষ, একটা বাচ্চা, শুধু তার মা-বাবাকে
-
3:53 - 3:56একটা পোলার বিয়ার মেরে ফেলে
-
3:56 - 3:59সেটার চামড়াটা গায়ে জড়াতে দেখে।
-
3:59 - 4:01আর একধাপেই সেটা শিখে ফেলে। একটা পোলার বিয়ার যা শিখতে
-
4:01 - 4:03একশ হাজার বছর সময় নেয়,
-
4:03 - 4:06সেটা একটা মানুষের বাচ্চা ৫ মিনিটেই শিখতে পারে। বা ১০ মিনিটে।
-
4:06 - 4:08আর যখন এটা শেখা হয়ে গেল,
-
4:08 - 4:11তখন তা বাকি জনসমষ্টির মধ্যে ছড়িয়ে যায় গানিতিক হারে।]
-
4:11 - 4:14এটাই হলো ভিত্তি। জটিল কাজগুলোর অনুকরণ করতে পারাই হলো,
-
4:14 - 4:17যেটাকে আমরা বলি সংস্কৃতি আর এটাই সভ্যতার ভিত্তি।
-
4:17 - 4:19এখন, মস্তিস্কে আরেক ধরণের মিরর নিউরণ আছে,
-
4:19 - 4:21যেগুলো কিছুটা ভিন্ন ধরণের কাজে সম্পৃক্ত থাকে।
-
4:21 - 4:23কোন কাজের জন্য যেমন মিরর নিউরন থাকে,
-
4:23 - 4:26তেমনি কিছু মিরর নিউরন আছে স্পর্শ অনুভবের ক্ষেত্রে।
-
4:26 - 4:28অন্যভাবে বলা যায়, যদি কেউ আমাকে স্পর্শ করে,
-
4:28 - 4:30আমার হাত স্পর্শ করে, তাহলে মস্তিস্কের, সেনসোরি অঞ্চলের স্টোমাটোসেন্সরি কোরটেক্স-এর
-
4:30 - 4:32নিউরন সক্রিয় হবে।
-
4:32 - 4:35কিন্তু, এই একই নিউরন, কিছু ক্ষেত্রে সক্রিয় হয়ে উঠবে,
-
4:35 - 4:37যখন আমি অন্য কোন মানুষকেও স্পর্শ পেতে দেখব।
-
4:37 - 4:40এটা অন্য মানুষের স্পর্শ পাওয়ার অনুভূতির সঙ্গেও একাত্ম বোধ করছে।
-
4:40 - 4:42তো, এই নিউরনগুলো বেশিরভাগই সক্রিয় হবে, যখন আমি
-
4:42 - 4:45শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শানুভূতি লাভ করব। ভিন্ন ভিন্ন অংশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নিউরন সক্রিয় হবে।
-
4:45 - 4:47কিন্তু এগুলোর একটা সাবসেটও সক্রিয় হবে, যদি আমি শুধু অন্য কাউকে শরীরের সেই একই অংশে
-
4:47 - 4:49স্পর্শ পেতে দেখি।
-
4:49 - 4:51তো, এখানে আবার আমরা কিছু নিউরন পাচ্ছি,
-
4:51 - 4:53যেগুলো অন্য কারো স্পর্শানুভূতির সঙ্গে একাত্মতা জানাচ্ছে।
-
4:53 - 4:56এখন, তাহলে প্রশ্নটা ওঠে যে: যদি আমি শুধু অন্য একজন ব্যক্তিকে স্পর্শ পেতে দেখি,
-
4:56 - 5:00তাহলে আমি কেন বিভ্রান্ত হয়ে যাই না,
-
5:00 - 5:02আর কেন শুধু অন্য ব্যক্তির স্পর্শানুভূতি দেখে আমি আক্ষরিকভাবেই সেই স্পর্শ অনুভব করি না?
-
5:02 - 5:06আমি বলতে চাচ্ছি যে, আমি ঐ ব্যক্তির আবেগ-অনুভূতির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করলাম, কিন্তু আমি তো সত্যি সত্যিই সেই স্পর্শটা অনুভব করলাম না।
-
5:06 - 5:08এর কারণ হচ্ছে, আপনার ত্বকে কিছু রিসেপটর আছে।
-
5:08 - 5:10স্পর্শ ও ব্যাথা অনুভবের রিসেপটর। এগুলো আপনার মস্তিস্কে ফিরে যায়,
-
5:10 - 5:13আর গিয়ে বলে, “চিন্তা করো না, তোমাকে স্পর্শ করা হয় নি।”
-
5:13 - 5:16তো, অন্য ব্যক্তির আবেগ-অনুভূতির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের মাধ্যমে
-
5:16 - 5:18আপনি সত্যি সত্যিই স্পর্শ অনুভব করেন না।
-
5:18 - 5:20এছাড়া হয়তো আপনি বিভ্রান্ত হয়ে পড়তেন ও তালগোল পাকিয়ে ফেলতেন।
-
5:20 - 5:22আচ্ছা। তো, এই রিসেপটরগুলোর ফিরতি সাড়া,
-
5:22 - 5:24মিরর নিউরনের সিগন্যালগুলোকে বাতিল করে দেয়।
-
5:24 - 5:27ফলে আপনি সচেতনভাবে সেই স্পর্শ অনুভব করেন না।
-
5:27 - 5:30না। কিন্তু যদি আপনি আপনার একটা হাত সড়িয়ে ফেলেন, আপনি হাতটাকে অবশ করে ফেলেন,
-
5:30 - 5:32আপনি আমার হাতে একটা ইঞ্জেকশন দিয়ে
-
5:32 - 5:34ব্রাচিয়াল প্লেক্সাস অবশ করে ফেললেন, এখন আমার হাত একেবারে সাড়াহীন।
-
5:34 - 5:36এর মধ্য দিয়ে আর কোন অনুভূতি প্রবাহিত হচ্ছে না।
-
5:36 - 5:38এখন যদি আমি আপনাকে স্পর্শ পেতে দেখি,
-
5:38 - 5:40তাহলে আমি সত্যি সত্যিই আমার হাতে সেই স্পর্শ অনুভব করতে পারব।
-
5:40 - 5:42অন্যভাবে বললে, আপনি আপনার ও অন্য মানুষদের মধ্যে
-
5:42 - 5:44বিদ্যমান দেয়াল সড়িয়ে দিয়েছেন।
-
5:44 - 5:47তো, আমি এদেরকে ডাকি গান্ধি নিউরন বলে, বা একাত্মতার নিউরন ।
-
5:47 - 5:48(হাসি)
-
5:48 - 5:51আর এটা কোন বিমূর্ত রূপক অর্থে না।
-
5:51 - 5:53আপনাকে, তার কাছ থেকে অন্য মানুষদের কাছ থেকে
-
5:53 - 5:55দূরে সড়িয়ে রেখেছে আপনার ত্বক।
-
5:55 - 5:59ত্বকটা সড়িয়ে ফেলুন, আপনি আপনার মাথায় অন্য মানুষদের স্পর্শানুভূতিও অনুভব করতে পারবেন।
-
5:59 - 6:02আপনি আপনার ও অন্য মানুষদের মধ্যে বিদ্যমান দেয়াল সরিয়ে ফেলতে পারবেন।
-
6:02 - 6:04আর এটাই, বেশিরভাগ প্রাচ্য দর্শনের ভিত্তি,
-
6:04 - 6:07যে, অন্য মানুষদের থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায়
-
6:07 - 6:09সত্যিকারের কোন স্বাধীন-স্বতন্ত্র মনুষ্য সত্তা নেই। যারা দুনিয়াটা পর্যবেক্ষণ করছে,
-
6:09 - 6:11অন্য মানুষদের পর্যবেক্ষণ করছে।
-
6:11 - 6:14আপনারা, বস্তুত শুধু ফেসবুক বা ইন্টারনেট দিয়েই যে সংযুক্ত আছেন, তা-ই নয়।
-
6:14 - 6:17বরং আপনারা সত্যিকার অর্থে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত আছেন আপনাদের নিউরন দিয়ে।
-
6:17 - 6:20আর এই মুহূর্তে এই ঘরে এই নিউরনগুলোর একটা বন্ধন আছে। তারা কথা বলছে পরস্পরের সঙ্গে।
-
6:20 - 6:22আর সত্যিই কোন ভিন্নতা নেই।
-
6:22 - 6:24আপনার সচেতনতা ও অন্য কারও সচেতনতার মধ্যে
-
6:24 - 6:26আর এটা কোন আউল-ফাউল দর্শন না।
-
6:26 - 6:29এটা গড়ে উঠেছে আমাদের স্নায়ুবিজ্ঞানের গোড়ার দিককার বোঝাপড়া থেকে।
-
6:29 - 6:32আপনার কাছে অলীক হাতওয়ালা কোন ব্যক্তি আছে। যদি হাতটা সড়িয়ে দেওয়া হয়
-
6:32 - 6:34আর আপনার কাছে ঐ অলীক হাতটা আসে, তখন যদি আপনি অন্য কাউকে স্পর্শ পেতে দেখেন,
-
6:34 - 6:36তাহলে আপনি আপনার ঐ অদৃশ্য হাতে সেই স্পর্শ অনুভব করবেন।
-
6:36 - 6:38আরও মজার জিনিস হলো,
-
6:38 - 6:41যদি আপনি আপনার ঐ অলীক হাতটাতে ব্যাথা অনুভব করেন,
-
6:41 - 6:43তাহলে আপনি অন্য কোন ব্যক্তির হাত মালিশ করে দিতে দেখলেও
-
6:43 - 6:45আপনার ব্যাথার নিরাময় অনুভব করতে পারবেন।
-
6:45 - 6:47একদম যেন, এই নিউরনগুলো
-
6:47 - 6:49আপনাকে ব্যাথার উপশম করে দিচ্ছে
-
6:49 - 6:51শুধুই অন্য কারও হাত মালিশ করতে দেখে।
-
6:51 - 6:54তো, এবার আমার শেষ স্লাইড।
-
6:54 - 6:56দীর্ঘদিন যাবত মানুষ বিজ্ঞান ও মানবিক—
-
6:56 - 6:58এই দুইটাকে জ্ঞানচর্চার দুইটা পৃথক শাখা হিসেবে বিবেচনা করে এসেছে।
-
6:58 - 7:01সি.পি.স্নো বলেছেন দুইটা ভিন্ন সংস্কৃতির কথা।
-
7:01 - 7:03একদিকে বিজ্ঞান, অন্যদিকে মানবিক।
-
7:03 - 7:05কখনোই এই দুইয়ের মিলন হয়নি।
-
7:05 - 7:07মিরর নিউরন ব্যবস্থার কার্যকলাপের উপর দৃষ্টিপাত করে আমি বলতে চেয়েছি,
-
7:07 - 7:10এটা আপনাকে সুযোগ করে দেয় সচেতনতা,
-
7:10 - 7:12আত্মসত্তার উপস্থাপন,
-
7:12 - 7:14কী আপনাকে অন্য মানুষদের থেকে পৃথক করে রাখে,
-
7:14 - 7:16কিভাবে আপনি অন্য মানুষদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আরেকবার চিন্তা করার,
-
7:16 - 7:19এমনকি সংস্কৃতি ও সভ্যতার উদ্ভব কেমন করে হলো তা নিয়েও।
-
7:19 - 7:21যে বিষয়গুলো খোদ মনুষ্য প্রজাতিরই বিশেষত্ব। ধন্যবাদ।
-
7:21 - 7:23(হাততালি)
- Title:
- ভিএস রামাচন্দ্রন: নিউরনগুলো যা সভ্যতা গড়েছে
- Speaker:
- Vilayanur Ramachandran
- Description:
-
স্নায়ুবিজ্ঞানী বিলয়ানুর রামাচন্দ্রন কথা বলেছেন মিরর নিউরনের আকর্ষণীয় কার্যাবলী নিয়ে। খুব সাম্প্রতি আবিস্কৃত হয়েছে যে, এই নিউরণগুলোর মাধ্যমে আমরা কিভাবে জটিল সামাজিক আচরণবিধিগুলো দ্রুত শিখে ফেলি। যেগুলোর কিছু কিছু আমাদের চেনাজানা মনুষ্য সভ্যতারই ভিত্তি গড়ে দিয়েছে।
- Video Language:
- English
- Team:
closed TED
- Project:
- TEDTalks
- Duration:
- 07:25
![]() |
Jenny Zurawell approved Bengali subtitles for The neurons that shaped civilization | |
![]() |
Jenny Zurawell approved Bengali subtitles for The neurons that shaped civilization | |
![]() |
Redwan Hossain accepted Bengali subtitles for The neurons that shaped civilization | |
![]() |
Redwan Hossain accepted Bengali subtitles for The neurons that shaped civilization | |
![]() |
Redwan Hossain edited Bengali subtitles for The neurons that shaped civilization | |
![]() |
Redwan Hossain edited Bengali subtitles for The neurons that shaped civilization | |
![]() |
Redwan Hossain edited Bengali subtitles for The neurons that shaped civilization | |
![]() |
Redwan Hossain edited Bengali subtitles for The neurons that shaped civilization |