-
বাংলা সাব টাইটেল তৈরি.
মোহাম্মদ খালিদ হোসাইন
01766 420 222
00:01:11,500 --> 00:01:17,100
ফ্লাইট উড্ডয়নের জন্য তৈরী হচ্ছে
00:01:18,200 --> 00:01:23,500
(বিামানের ভেতরের টিভিতে বিদেশি ভাষার অনুষ্ঠান চলছে...)
00:01:24,100 --> 00:01:25,500
(ফ্লাইট টেক অফ করার জন্য চুড়ান্ত ভাবে প্রস্ততি নিচ্ছে)
-
মোবাইল ফোনে রিং বাজছে.....ক্রিং......ক্রিং..
-
হ্যালো
-
হ্যাঁ
-
কী!!
-
স্যার, প্লিজ আপনার মোবাইলটি বন্ধ করুন।
-
জাস্ট এক সেকেন্ড.এক সেকেন্ড... প্লিজ..
-
এক্সকিউজ মি
00:02:20,250 --> 00:02:22,460
এক্সকি........উ.....জ.....মি...
-
স্যার, প্লিজ বসুন
-
ক্যাপ্টেন, এখানে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
-
একজন যাত্রী করিডোরে পড়ে গেছেন।
-
দিল্লি, এয়ার ইন্ডিয়া ১০১
একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সীর জন্য ফেরত আসছে।
-
এক্সকিউজ মি, স্যার.
-
এক মিনিট, দাড়ান
-
না না আমি একদম সুস্থ্য হয়ে গেছি। ধন্যবাদ।
আপনারা যান, যান...
আমি চলে যেতে পারবো ....
-
জেন্টলম্যান, দাড়ান...
-
চলো ভাই গাড়ী বের কর!
- আপনি কি মিঃ ডিলন?
-
কেন নামের ট্যাটু কি কপালে লিখে ঘুরবো নাকি?
আরে জলদি গাড়ি বের কর।
জি স্যার, আসুন স্যার
-
হোটেলে যাবেন তাইনা স্যার?
-
হ্যাঁ হ্যাঁ হোটেল যাবো... তার আগে “বসন্ত বিহারে”
যাবো ওখানে চলো
-
আরে ভাই আরেকটু দ্রুত চালারে ভাই!
-
(ফারহানের কল)
-
হ্যাঁ ফারহান, বল....
-
তুই জ্বলদি বেড়িয়ে আয়, আমি তোর ওখানে
৫ মিনিটের মধ্যে আসছি।
-
কি হইছেরে দোস্ত?
-
আমাকে চতুর কল দিয়েছিলো?
তোর মনে আছেতো চতুরের কথা?
-
কে? “সাইলেন্সার”
-
হ্যাঁ ... হ্যাঁ...
-
বলছিলো যে র্যাঞ্ছ নাকি আসছে......
-
কী. বলছিস.?
-
ও বলল যে, র্যাঞ্ছর সাথে দেখা করতে চাইলে ঠিক
৮টার সময় ক্যাম্পাসে চলে আয়, ট্যংকির উপর
-
এই সেড়েছে!
-
আরে তুই জ্বলদি বেরো নারে দোস্ত!
-
হ্যাঁ ঠিক আছে ঠিক আছে। ওকে.।
-
সুমি, আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরবো
আরে.... জুতা ...টা .... কই.?
-
আরে আমার দোস্ত’র খোজ পাওয়া গেছে
-
কি?
-
দোস্ত আমি ফিরে এসে কথা বলবো
ওকে বাই।
-
আরে প্যান্টটা... তো পড়ে যাও.....
-
এখনতো হোটেলে যাবেন, তাইনা স্যার?
-
আরে হোটেলে যাবোরে ভাই কিন্তু কিন্ত
ইম্পেরিয়াল কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং হয়ে তারপর...
-
ওকে স্যার.
-
মোজা আনতে ভূলে গেছি
-
তুই মোজার কথা বলছিস,
-
আরে নিচে দ্যাখ, তুইতো প্যান্ট পড়তেও ভুলে গেছিস
-
এই সেড়েছে...
-
ভাইসাব, এবার আপনি হোটেলে চলে যান, কিন্তু
তার আগে এয়াপোর্টে আমার ভাই আসছে তাকে নিয়ে যাইয়েন।
-
লাস্ট নাম একই............ ডিলন।
-
আমি ডিলন। গাড়ী পাঠিয়েছ তো গেছে কোথায়? রানওয়েতে....?
-
অই... র্যাঞ্ছ
-
অই চতুর, র্যাঞ্ছ কোথায়?
-
. র্যাঞ্ছ.......
-
র্যাঞ্ছ কোথায়?
-
ওয়েলকাম, ইডিয়েট’স.....
-
‘মদিরা’ পান করবে?
-
এটা সেই মদ টা না? তোমরা যেটি এখানে বসে খেতে?
-
নাও খাও
-
আরে র্যাঞ্ছ কোথায় দোস্ত?
-
বলছি, . তারআগে এটা দেখো
-
আমার স্ত্রীকে নয়, ওর পিছনের বাংলো দেখো ইডিয়েট’স
-
$ 3.5 মিলিয়ন
-
সুইমিংপুল.. হিটেড
-
লিভিং রুম - মেপাল কাঠের ফ্লোরিং
-
আমার নতুন Lambhorghini 6496 cc -
-
সু.... সেইরকম ফাস্ট
-
আবে, এসব আমাদের কেন দেখাচ্ছিস?
-
ভূলে গেছ?
-
এটা কি?
-
'5th সেপ্টেম্বর'. আজকের তারিখ আর কী।
-
চল্ বাজি ধর
-
আমরা দশ বছর পর ফিরে আসবো
-
এই জায়গায়, আজকের দিনেই
-
সেদিন দেখবো, কে বেশী সাকসেস্ফুল হতে পারে?
-
সাহস আছে? তো বল আসবি..? আসবি..........??
-
কিছু মনে পড়লো? এখানেই সেই ইডিয়েট টার সাথে
বাজি ধরেছিলাম
-
আমি আমার ওয়াদা রেখেছি।
আমি ফিরে এসেছি... হু..হু.
-
শালা আমি আমার ফ্লাইট ফেলে চলে এসেছি
ওতো নিজের প্যান্টটাও ফেলে এসেছে
-
শুধু র্যাঞ্ছর সাথে দেখা করতে
-
৫ বছর ধরে আমরা ওকে খুঁজছি
বেঁচে আছে না মরে গেছে, তার নেই ঠিক
-
আর তুই ভেবেছিস
তোর সেই ফালতু বাজির জন্য ও এখানে আসবে
-
আসবে না,, আমি জানি যে ও আসবেনা। ...হু..হু..
-
দোস্ত তুই ওর দাঁত ভাংবি না আমিই ভেংগে দেবো
-
আরে শালা, তাহলে তুই আমাদের ডেকে আনলি কেন?
-
র্যাঞ্ছর সাথে দেখা করানোর জন্য
-
গিয়ে দেখ যে ও কোথায় পড়ে রয়েছে
আর আমি কোথায় পৌঁছে গেছি।
-
তারমানে তুই জানিস র্যাঞ্ছ কোথায়?
-
হ্যাঁ.....
-
কোথায় র্যাঞ্ছ?
-
সে এখন ‘শিমলা’য় আছে।
-
(সে) চঞ্চল হাওয়ার মতো ছিল
-
(সে) উড়ন্ত ঘুড়ি যেন ছিল
-
হাড়াল কোথায় ..খুঁজে বলো ?
-
(সে) চঞ্চল হাওয়ার মতো ছিল
-
(সে) উড়ন্ত ঘুড়ি যেন ছিল
-
হাড়াল কোথায় ..খুঁজে বলো ?
-
আমরাতো চলতাম তৈরি পথ ধরে
-
সে নিজের পথ নিতো গড়ে
-
ভাঙ্গা গড়ার নেশায় মাস্তি সে করতেছিল।
-
আগামীর ভয় মোদের কুড়ে কুড়ে খেত
-
ও শুধু আজকের মজা লুটত
-
প্রতিটি ক্ষণে সে খুশির খেলায় মেতেছিল
-
কোথা থেকে সে এলো........
-
হৃদয় টা ছূয়ে দিলো.....
-
হাড়াল কোথায় ..খুঁজে বলো ?
-
কড়া রদ্দুরে ছায়ার মতো
-
মরু প্রান্তরের বাগিচার মতো
-
খুশবুতে হৃদয় ভরেছিলো।
-
আমরা থাকতাম যখন কূয়ার ভেতর
-
ও তখন নদীতে কাটছিলো সাতার
-
স্রোতের ধারার বিপরীতে যাচ্ছিলো।
-
মুক্ত মেঘের মতো ছিলো....
-
সে মোদের বন্ধু ছিলো
-
হাড়াল কোথায় ..খুঁজে বলো ?
-
র্যাঞ্ছ
-
র্যাঞ্ছর দাস শ্যামল দাস চাঁচর
-
শালার, নাম যেমন ব্যতিক্রমি ছিলো।
তেমনি ব্যতিক্রমি ছিলো ওর চিন্তাধারা।
-
আমরাতো ছোট্ট বেলা থেকে এটাই শুনছি যে,
জীবন হলো এক দৌড়ের পাল্লা, জোড়ে না দৌড়ালে
অন্যরা তোমাকে পিষে ফেলে আগে চলে যাবে।
-
শালার, জন্ম নেয়ার জন্যও ৩০০ মিলিয়ন
স্পার্মের সাথে পাল্লা ধরতে হয়েছিলো।
-
১৯৭৮ সাল। বিকেল ৫:১৫ মিনিটে আমি জন্মেছিলাম।
-
আর বিকেল ৫:১৬ মিনিটেই আব্বা ঘোষনা করলো
-
আমার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবে।
- ফারহান কোরেশী. বি.টেক. ইঞ্জিনিয়ার।
-
আর আমার ভাগ্যে ইঞ্জিনিয়ারের ঠাপ্পা লাগানো হলো।
-
আরে আমি যে কী হতে চাই...
. শালার .. কেউ জিজ্ঞেস পর্যন্ত করলোনা।
00:11:43,750 --> 00:11:47,790
(সাড়া জীবন ধরে আমরা,
মরার মতো বাচিঁ)
00:11:47,800 --> 00:11:53,550
(ক্ষণিকের জন্য অন্ত্ত বাচঁতে দাও.... বাচঁতে দাও..)
-
রাজু রাস্তগি
র্যাঞ্ছর দাস চাঁচর
-
রুম নাম্বার বলো?
-
ডি - ২৬
-
চলো
-
আমি অইলাম মন মোহন. সংক্ষেপে এম.এম.
-
এখানকার সক্কল ইঞ্জিনিয়ার আমারে মিলিমিটার কইয়া ডাকে।
-
দুধ, ডিম, রুটি, লন্ড্রি....
-
জার্নাল’স কমপ্লিট... এসাইনমেন্ট কপি.করা..
-
যেকোন কাজ থাকলে কইবা...
আমি কইলাম ফিক্স রেটে কাম করি, দরাদরি চলবোনা কইলাম।
-
আরে এক মিনি...এক মিনি... এক মিনিট.. এটা ধরতো
-
ও হইতাছে কিলোবাইট, ও মেগাবাইট
আর এইটা অগর মা, গিগাবাইট
-
ফটু তুলবা? তোল তোল
এই ফ্যামেলি কাউকে বাইট (কামড়ানো) করেনা।
-
লে .. বাবা.. আরেক ভক্ত চইল্ল্যা আইছে !
-
হায়, ফারহান কোরেশী
- আমি রাজু রাস্তগি
-
চিন্তা কইরোনা।
-
এইহানে কিছু দিন থাকলেই দেখবা
এমনিতেই ভগবানের উপর থেকে বিশ্বাস উইঠ্যা যাইবো
-
তখন দেয়ালে মেয়েদের অশ্লীল ফটু লাগাইবো। আর কইবো....
-
ওহ্..... গড...,
একবার মিলাইয়া.. দে....
-
ওই বেরো বলছি এখান থেকে ..... বেরো..
-
৪ টেকা দেও, প্রতি ব্যগ দুইটেকা কইরা
-
নে ধর ৫টাকা, বাকী ১টাকা তোর বকশিস
-
আরে বাহ্ বস্..... তুমি যখন আমারে বকশিস দিলা
তয় আমিও তোমারে একখান বকশিস দিমু
-
আইজকা রাইতে ভালো দেইখা জাইঙ্গা পইরেন কইলাম।
-
কেন ?
-
জাহাপনা.... , আপনি মহান.....
-
উপহার গ্রহণ করুন।
-
আ...হা....হা. ..... ওতো হীম্যান রে হীম্যান
-
ওহ্..হ্..হ্..ঠাপ্পা... সেইরকম......পিস্ একটা
-
ইজ্জত ভূলুন্ঠিত হয়েছিলো....
-
. ....হাত সালাম ঠুকছিলো.....
-
গোলামী করার জন্য মস্তক ছিলো অবনত
-
যখন আমরা প্রথমবার র্যাঞ্ছ কে দেখলাম।
-
চারআনা...
-
আটআনা...
-
নয়া উপঢৌকন.....ওই উপঢৌকন.
. উপঢৌকন.. উপঢৌকন..
-
নমস্কার স্যার, প্যান্টটা খুলুন আর ঠাপ্পা লাগিয়ে নিন।
-
নাম কিরে তোর বল?
-
'রাঞ্চুর দাস শ্যামল দাস চাঁচর'
-
শুনছ্... ভাইজানেরা .. তৈরী হয়ে যান
ফাইনাল পিস রেডি করে আনছি....
-
প্যান্ট খোল... প্যান্ট..... খোল...
-
আচ্ছা ... তো তুই এমনি এমনি শুনবিনা না?
-
ভেঁজা প্যান্ট পড়েনা খোকা, নে খোল.. খোল.
-
সব ঠিক আছে !!!!সব ঠিক আছে !!!
- কি বললি?
-
সব ঠিক আছে !!!!সব ঠিক আছে !!!
-
ও বলছেটা কিরে?
-
আরে..কেউ বুঝাতো ওকে...
অই জেমস্ বন্ড
-
বোঝা ওকে হুম.
-
টেক অফ ইউর প্যান্টস্ অর দে আর গইং টু পিস অন ইউ
-
ওই ইংরেজ!
বাংলায় বলতে কি তোর লজ্জা করছে?
-
সরি স্যার, আমার জন্ম হয়েছিলো তো উগান্ডাতে
আর পড়াশুনা পন্ডেচেরীতে
-
তাই বাংলায় আমি একটু স্লো (ধীর গতি)
-
তাহলে ওকে স্লোলিই বোঝানা। জ্বলদি করছেটা কে?
-
আবারো পড়ে ফেলেছেন আপনারা?
-
বস্ত্র খুলে ফেলুন।
-
নয়তো উনি আপনার উপর
'মুত্র বিসর্জন' করবেন।
-
হিসু করাকে কি বলল 'মুত্র বিসর্জন'
-
মহা পন্ডিত এসেছে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে
-
(চারআনা.... আটানা....)
অই বাইরে আয় শালা
-
বাইরে আয়. .. নয়তো.....
-
নয়তো তোর দরজার সামনেই 'মুত্র বিসর্জন' করে দেবো
-
১০ পর্যন্ত গুনবো। বাইরে না আসলে আমি...
-
আমি পুরো সেমিস্টার ধরেই তোর দরজায়
'মুত্র বিসর্জন' করবো
-
১
-
২
-
৩
-
৪
-
৫
-
৬
-
৭
-
৮
-
৯
-
১০
-
লবনাক্ত পানি তড়িৎ পরিবাহী সেই ক্লাস ৮ এ পড়েছিলাম
-
আমরা শুধু বইতেই পড়েছিলাম।
শালায় তা ব্যবহার করলো
-
আইসিই’র ডিরেক্টরের নাম ছিলো
‘ডক্টর ভিরু শাস্ত্র বুদ্ধ’
-
সবাই তাকে ভাইরাস, কম্পিউটার ভাইরাস বলে ডাকতো।
-
আরে ভাইরাস আসছে, আন্ডা নিয়ে .....
-
ফার্স্ট ইয়ারদের নীচে ডাকছে, জলদি আহেন জলদি আহেন
-
ভাইরাসের মতো প্রতিযোগিতামূলক মানুষ
আমি জীবনেও দেখিনি।
-
কেউ তার চেয়ে এক পা আগে গেলেও তিনি তা বরদাস্ত
করতে পারতেন না।
-
সময় বাঁচানোর জন্য শার্টে বোতামের বদলে
ভেলক্র লাগাতো
-
আর টাই য়ে লাগাতো হুক
-
এমন ভাবে মগজকে ট্রেনিং দিয়েছিলেন যে
দুহাতেই একসাথে লিখতে পারতেন
-
প্রতিদিন দুপুর ২টায়, ঠিক সাড়ে সাত মিনিটের জন্য বিশ্রাম নিতেন
-
তখন অপেরা শুনতেন
-
আর গোবিন্দকে নির্দেশ দেয়া ছিলো যেন
-
সেভ করা, নখ কাটা’র মতো আনপ্রোডাক্টিভ
কাজগুলো এই সাড়ে সাত মিনিটের ভেতেরই করা হয়
-
কি এটা ?
- স্যার,পাখীর বাসা
-
কার?
- কোকিলের বাসা, স্যার
-
ভূল
-
কোয়েল পাখী কখনই বাসা বাঁধেনা।
-
সে অন্য পাখীর বাসায় গিয়ে ডিম পাড়ে।
-
আর যখন ডিমগুলো ফুটে ওর বাচ্চারা দুনিয়ায় আসে
তখন সবার আগে কি করে?
-
তারা যেই পাখীর বাসা ছিলো সেই পাখীর
ডিমগুলোকে ধাক্কা মেরে বাসা থেকে নীচে ফেলে দেয়
-
প্রতিযোগিতা শেষ
-
তাদের জীবনটা শুরুই হয় একটা খুন দিয়ে.
এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
-
লড় নয়তো মর
-
তোমরা সকলেই সেই কোকিলের বাচ্চাদের মতো
-
এবং এগুলোই সেই ডিমগুলো যেগুলোকে
ধাক্কা মেরে তোমরা আইসিইতে ভর্তি হতে পেরেছো।
-
কখনই ভূলোনা, যে প্রতি বছর আইসিই তে চার লাখ আবেদন আসে।
-
আর তার ভেতর থেকে মাত্র ২০০ জন ভর্তি হতে পারে। - তোমরা!
-
আর এরা..... ফিনিশ... ভাঙ্গা ডিম।
-
আমার নিজের ছেলে.. পরপর তিন বছর আবেদন করেছিলো।
-
বাতিল হয়ে গিয়েছিলো, প্রতিবারই
-
মনে রেখো, জীবন হলো দৌড়ের পাল্লা
-
যদি দ্রুত না দৌড়াও তো কেউ না
কেউ তোমাকে পিষে দিয়ে আগে চলে যাবে।
-
তোমাদের একটি মজার গল্প বলছি
-
এটা মহাকাশচারীদের কলম।
-
মহাকাশে ফাউন্টেন পেন, বলপেন কোন কলমই চলেনা।
-
তো লাখ লাখ ডলার খরচ করে বিজ্ঞানীরা এই কলম তৈরী করলেন
-
যেটি দিয়ে আমরা যেকোন এ্যাঙ্গেলে, যেকোন তাপমাত্রায়,
শূন্য মধ্যাকর্ষন জায়গায় ও আমরা লিখতে পারবো
-
একদা যখন আমিও ছাত্র ছিলাম
-
তখন আমার ইন্সটিটিউটের শিক্ষক আমাকে ডাকলেন
-
তিনি বললেন, 'ভীরু শাস্ত্র বুদ্ধ.'
আমি বললাম, 'জ্বী স্যার'
-
'এদিকে এসো!'
ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
-
আমাকে কলমটি দেখালো
-
তিনি বললেন, 'এটি একটি শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক'
-
'এটা আমি তোমাকে দিলাম'
-
'আর যেদিন তুমি তোমার মতো এক্সট্রা অডিনারি ছাত্র পাবে
-
...তো এই কলম ওকে দিও'
-
আজ ৩২ বছর ধরে আমি ভীরু শাস্ত্র বুদ্ধ পরবর্তী
ভীরু শাস্ত্র বুদ্ধ’র জন্য অপেক্ষায় আছি।
-
কিন্ত পাইনি।
-
এই ব্যাচে কি কেউ আছে যে এই কলমটি নিয়ে যেতে পারবে?
-
ভালো.
হাত নামাও সবাই।
-
নোটিশ বোর্ডে লিখে দিতে হবে? বললাম না হাত নামাও
-
স্যার,আমার একটি প্রশ্ন স্যার
-
স্যার, যদি মহাকাশে ফাউন্টেন পেন, বলপেন নাই চলে তাহলে
-
তাহলে মহাকাশচারীরা পেন্সিল কেন ব্যবহার করলোনা?
-
লাখ লাখ ডলার বেঁচে যেত স্যার
-
আমি পরে তোমার প্রশ্নের জবাব দিয়ে দেবো
-
শালা রাতে সিনিয়রদের নুনুতে ঝাটকা খাওয়ায়
-
আর দিনে ডিরেক্টরকে আঙ্গুল দেয়,
বলে রাখছি ওর সাথে থাকলে একদিন মারা পড়বো
-
আরে ভাই তুই তো ভাইরাসের পুড়া স্ক্র ঢিলা কইরা দিছস।
-
জাহাপনা ! আপনি মহান। উপঢৌকন কবুল করুন।
-
আবে ভাগ এখান থেকে, তোর স্কুল নেই নাকি?
-
স্কুলের ফীস দেবে কে? তোর বাপ?
-
শালা বাপের নামে গালি দিস্ তোর এত্তো বড় সাহস......!
- দাড়া, .... দাড়া.... দাড়া.....রাজু কি করছিস দোস্ত?
-
শোন স্কুলে পড়তে ফীস তো লাগেইনা,
লাগে শুধু ইউনিফর্ম ইউনিফর্ম
-
দাড়া তোর যে স্কুল পছন্দ হয় সেই স্কুলের ইউনিফর্ম কিনে নে,
আর চুপচাপ গিয়ে ক্লাশে বসে পড়
-
এত্তো এত্তো বাচ্চাদের ভিড়ে কেউ তোকে চিনবেইনা।
-
আর ধরা খাইলে?
- ধরা খাইলে ইউনিফর্ম চেঞ্জ, স্কুল চেঞ্জ করে নিবি
-
দেখছিস?
- ও জিনিষ ছিলো একখান ...
-
শালা দুনিয়ার নিয়ম-কানুন কে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে চ্যালেঞ্জ করতো
-
ভাইরাসের বাসায় এক মুক্ত পাখি ঢুকে পড়েছিলো।
-
আমরা সবাইতো প্রফেসারদের রিমোট কন্ট্রলে চালানো রোবট ছিলাম।
-
শুধু মাত্র ও একাই ছিল যে সম্ভবত মেশিন ছিলোনা।
-
মেশিন কি?
-
আপনি হাসছেন কেন?
-
আসলে স্যার, আমার ছেলেবেলার স্বপ্ন ছিলো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়বো
-
আজ স্বপ্ন সত্যি হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বসে আছি খুব খুশি লাগছে স্যার
-
বেশি মজা নেয়ার প্রয়োজন নেই।
বল মেশিনের সংজ্ঞা কি?
-
যা কিছু মানুষের পরিশ্রম হ্রাস করে তাই মেশিন স্যার।
-
আপনি একটু বিস্তারিত বলুন?
-
স্যার যা কিছু মানুষের কাজকে সহজ করে,
সময় বাাঁচায় সেটিই মেশিন স্যার।
-
গরম লাগছে, সুইচ চাপলাম, হাওয়া লাগছে,
-
ফ্যান ....... এক মেশিন স্যার!
-
আপনার দূরবর্তী বন্ধুর সাথে আমি কথা বলতে পারছেন!
টেলিফোন.... এক মেশিন স্যার।
-
কোটি কোটির হিসাব এক চুটকিতেই করে দেয়.
ক্যালকুলেটর... এক মেশিন স্যার।
-
স্যার আসলে মেশিন আমাদের ঘিরে রেখেছে স্যার।
-
কলমের নিব থেকে শুরু করে প্যান্টের চেন পর্যন্ত
সবি মেশিন স্যার
-
এক সেকেন্ডেই আপ. এক সেকেন্ডেই ডাউন
আপ, ডাউন... আপ, ডাউন.....
-
মেশিনের সংজ্ঞাটা কি?
-
স্যার, তাইতো বলছিলাম স্যার
-
পরীক্ষায় এসব লিখবে. যে এটা মেশিন,
আপ, ডাউন... আপ, ডাউন.....
-
ইডিয়েট! আর কেউ পারে?
-
হ্যাঁ?
-
Sir, machines are any combination
of bodies so connected
-
that their relative motions
are constrained
-
and by which means, force
and motion may be transmitted
-
and modified as a screw
and its nut, or a lever arranged
-
to turn about a fulcrum
or a pulley about its pivot, etc
-
especially, a construction,
more or less complex
-
consisting of a combination
of moving parts, or
-
simple mechanical elements,
as wheels, levers, cams etc
-
চমৎকার
-
একদম ঠিক হয়েছে। প্লিজ বসুন।
-
ধন্যবাদ...... ধন্যবাদ....
-
কিন্ত স্যার আমিও তো তাই বলছিলাম সহজ ভাষায়।
-
আপনার যদি সহজ ভাষা পছন্দ হয় তাহলে
মানবিক নয়তো বানিজ্য বিভাগে ভর্তি হয়ে যান।
-
কিন্ত স্যার , কথার মানেটাও তো বুঝা দরকার।
-
এমন কিতাবী ঢংয়ের কথা মুখস্থ করে লাভ কি হবে?
-
আপনি বইয়ের চেয়েও বেশি জানেন?
-
বইয়ে এই সংজ্ঞাই দেয়া আছে। আর যদি
আপনাকে পাশ করতে হয় তো আপনি এটিই লিখ..বেন..
-
কিন্ত স্যার আরো তো অনেক বই আছে যেগুলোতে.....
- বেরিয়ে যান!
-
ওফ.....কেন?
-
সহজ ভাষায় - বেরিয়ে যান!
-
ইডিয়েট!
-
তো, আমরা মেশিন সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম ...
-
আরে তুমি ফিরে এসেছো কেন?
-
স্যার, কিছু ফেলে গিয়েছি স্যার
-
কি?
-
Instruments that record,
analyze, summarize, organize
-
debate and explain information;
that are illustrated, non-illustrated
-
hard-bound, paperback,
jacketed, non jacketed
-
with foreword, introduction,
table-of-contents, index
-
that are intended for the
enIightenment, understanding
-
enrichment, enhancement and
education of the human brain
-
through the sensory route of
vision, sometimes touch
-
আরে বলছাটাকি তুমি?
-
বই স্যার, বই
-
বই ফেলে গিয়েছিলাম স্যার , নেবো?
-
তো সহজ করে বলতে পারতেনা কি?
-
কিছুক্ষণ আগেই স্যার আমি চেষ্টা করেছিলাম স্যার
কিন্তু আপনার তা ভালো লাগেনি।
-
প্রফেসার র্যাঞ্ছ কে ক্লাশের ভেতরের চেয়ে বাইরেই বেশী রাখতো।
-
ওকে এক ক্লাশ থেকে বের করে দিতো
ও অন্য ক্লাশে গিয়ে বসে পড়তো
-
ও বলতো চারিদিকেই জ্ঞাণ বিতরণ চলছে
যেখানেই পাই নিয়ে নেই।
-
ও আমাদের সবার চেয়ে আলাদা ছিলো
-
আমরা রোজ বাথরুমে গোসলের জন্য ঝগড়া করতাম।
-
আর ও যেখানে পানি পেত, সেখানেই গোসল সেড়ে নিত।
-
শুভ সকাল স্যার,
-
মেশিনের উপর খুব ঝোঁক ছিলো।
-
পকেটে স্ক্র ড্রাইভার নিয়ে ঘুরতো সবসময়।
যেই মেশিন পেতো ওটা খুলে ফেলতো।
-
কিছু কি বানাতে পারতো..
-
কিচ্ছুই না
-
আরো একজন ছিল, ঠিক ওর মতোই
-
জয় লবো
-
স্যার.এক্সকিউজ মি, স্যার
-
মিঃ জয় লবো!
-
স্যার, সমাবর্তন অনুষ্ঠানের তারিখ টা যদি জানাতেন....
-
কেন?
-
বাবা ট্রেনের বগি রির্জাভ করতে চাইছিলেন।
-
আমার গাঁয়ের আমিই প্রথম ইঞ্জিনিয়ার হবো স্যার
সব আত্মীয় স্বজন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আসতে চাইছেন।
-
এই ব্যাপার হলে তোমার বাবাকে ফোন কর প্লিজ।
-
প্লিজ প্লিজ.....জলদি কর...
আমার সময় নষ্ট করোনা।
-
হ্যালো
-
বাবা, ডিরেক্টর স্যার আপনার সাথে কথা বলবে..
-
জয়!
-
মিঃ লবো আপনার ছেলে এবছর গ্রাজুয়েট হতে পারবেনা।
-
কি হয়েছে, স্যার?
-
সে সকল ডেডলাইন অতিক্রম করে ফেলেছে।
-
কি একটা অবাস্তব...... মিঃ লবো মিঃ লবো
অবাস্তব একটি প্রজেক্ট করছে ও
-
সে একটি হেলিকপ্টার তৈরী করেছে।
-
তো আমার পরমর্শ এটিই থাকবে
যে আপনি ট্রেনের বগি রির্জাভ করবেন না।
আমি খুব দুঃখিত
-
স্যার , আমি খুব কাছাকাছি চলে এসেছি স্যার,
- তোমার প্রজেক্ট রেডি কিনা তাই বল?
-
আরে...ক..টু.. - তোমার প্রজেক্ট রেডি কিনা তাই বল?
- স্যার, আপনি অন্তত্য একবার দেখেতো নিন স্যার, প্লিজ
-
সাবমিট কর, তখন বিবেচনা করবো।
-
স্যার, আমাকে আরেকটু অতিরিক্ত সময় দিন স্যার....
- কেন ,কেন দিতে হবে তোমাকে ?
-
বাবার স্ট্রোকের পর দু মাস মনোনিবেশ
করতে পারছিলাম না।,স্যার প্লিজ।
-
দুই মাস কি খাদ্য খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলে?
-
না
-
নাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলে?
-
তো পড়াশোনা কেন ছেড়ে দিলে?
-
স্যার , আমি প্রায় শেষ করে এনেছি স্যার,
আপনি একটিবার দেখুনতো....
-
মিঃ লবো!
-
রবিবার দুপুরে আমার ছেলে
ট্রেনে থেকে পড়ে মরে গিয়েছিলো
-
সোমবার সকালেই ভিরু শাস্ত্র বুদ্ধ
ঠিক মতো ক্লাসে লেকচার দিয়েছিলো।
তাই আমার কাছে বাজে বোকনা।
-
আমি আপনাকে সহানূভূতি দিতে পারি
অতিরিক্ত সময় নয়। আমি দুঃখিত
-
স্যার , .....আমি...... প্রায় শেষ... করে .....স্যার,
-
সাড়াটি জীবন ধরে
-
আমরা,মরার মতো বাঁচি
-
ক্ষণিকের জন্য অন্তত
-
( বাঁচতে দাও.... বাঁচতে দাও..)
-
সাড়াটি জীবন ধরে
-
আমরা,মরার মতো বাঁচি
-
ক্ষণিকের জন্য অন্তত
-
( বাঁচতে দাও.... বাঁচতে দাও..)
-
আমায় সূর্যের আলো দাও
বৃষ্টির ঝর্ণা ধারা দাও
-
বেড়ে উঠার আরেকটি সুযোগ আমায় দাও
-
আমায় সূর্যের আলো দাও
বৃষ্টির ঝর্ণা ধারা দাও
-
বেড়ে উঠার আরেকটি সুযোগ আমায় দাও
-
শালায় কি ডিজাইন বানিয়েছে দ্যাখ,
-
হেলিকপ্টারের উপর ওয়্যারলেস ক্যামেরা।
-
ট্রাফিক আপডেট , নিরাপত্তা বিভাগ সবারই কাজে লাগবে এটা!
-
কিন্তু ভাইরাস তো বলছিলো যে খুব অবাস্তব ডিজাইন, উড়বেইনা।
-
না উড়ে কিভাবে পাড়ে ?! আমরা উড়াবো
-
এই জয় কে কিছু বলিসনা, ওকে সারপ্রাইজ দেবো।
-
ওর জানালার পাশে উড়িয়ে ওর রিআকশন রেকর্ড করবো।
-
আরে ওর প্রজেক্ট যদি আমরা করি তো আমাদেরটা কে করবে?
-
টেস্ট, ভাইবা, কুইজ মিলিয়ে প্রতিটি সেমিস্টারে ৪২ টি পরীক্ষা
-
আরে তুই খুব ভয় পাস দোস্ত
-
এই হাত নে, নিজের বুকে রাখ আর বল
- সব ঠিক আছে - সব ঠিক আছে
-
- সব ঠিক আছে ?
- - সব ঠিক আছে
-
এবার নতুন কিছু নিয়ে এসেছেন আমাদের গুরু র্যাঞ্ছর দাস।
-
আরে আমাদের গাঁয়ে এক চকিদার ছিলো।
-
ও রাতে পাহাড়া দেয়ার সময় জোড়ে জোড়ে চিৎকার করতো,
'Aal izz well'(সব ঠিক আছে )
-
আর আমরা নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম। এক রাতে গাঁয়ে চুরি হলো
-
তখন জানা গেলো শালা রাতে কিছুই দেখেই না
-
এমনিই চিল্লাত 'Aal izz well',(সব ঠিক আছে)
আর আমরা নিশ্চিত হয়ে ঘুমিয়েও পড়তাম।
-
সেদিন একটি কথা উপলব্দি করলাম।
এইযে আমাদের হৃদয়টা না খুবই ভীরু দোস্ত
-
ওকে বোকা বানিয়ে রাখো
-
জীবনে যত বড় ঝামেলাই হউক না কেন
ওকে বলো নো টেনশন মাম্মা , 'All is well, (সব ঠিক আছে..!!)
-
ওটা বললেই ঝামেলা মিটে যাবে?
-
মিটবেনা. তবে ঝমেলার মোকাবেলা করার সাহস এসে যাবে
(হু..আ..আ.......)
-
দোস্ত এই মন্ত্রটা মুখস্থ করেনে.
এখানে এটা খুব কাজে লাগবে আগামীতে
-
যখন জীবন হয় ‘আউট আফ কন্ট্রোল’
ঠোঁট দুটো তুই কররে ‘গোল’
-
ঠোঁট দুটো তুই কররে ‘গোল’
শীষ মেরে গলা ছেড়ে বল
-
যখন জীবন হয় ‘আউট আফ কন্ট্রোল’
ঠোঁট দুটো তুই কররে ‘গোল’
-
ঠোঁট দুটো তুই কররে ‘গোল’
শীষ মেরে গলা ছেড়ে বল
-
Yell - All is Well...(সব...... ঠিক.... আছে)
-
মুরগী কি আর জানে আন্ডার কি হবে?
-
বাচ্চা ফুটবে, না কড়াইতে ভাজি হবে?
-
কেউ জানেনা ভবিষৎ তার কি হবে?
-
তো ঠোঁট বাকাও
শীষ বাজাও
-
শীষ মেরে তুই বল যে ভাইয়া
- All is Well.(সব...... ঠিক.... আছে)
-
আরে ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে)
-
আর মাম্মা - All is Well.(সব...... ঠিক.... আছে)
-
আরে ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে)
-
সমস্যার পরে সমস্যা আরো
সমাধান কি জানিনাতা
-
সমাধান যতক্ষণে খুঁজে পেলাম
তখক্ষণে প্রশ্নটাই তো ভূলে গেলাম?
-
মন যে তোর এই কথায় কথায় ই ভয়ে মরে
-
ওর মাথায় হাত বুলিয়ে তুই ফুসলিয়ে নে ..রে..
-
মন বোকা রাম তুই আদর করে ওকে বুঝিয়ে নে
-
তো ঠোঁট বাকাও
শীষ বাজাও
-
শীষ মেরে তুই বল যে ভাইয়া
- All is Well.(সব...... ঠিক.... আছে)
-
আরে ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে)
-
আর মাম্মা - All is Well.(সব...... ঠিক.... আছে)
-
আরে ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে)
-
স্কলাশীপের দুঃখে মদ খেলাম কতো দুঃখ তবু কমলোনা
-
আগরবাত্তি সব ছাই হলো তবুও আল্লায় দেখলোনা..
-
বক্রী কি জানে ওর জীবনের কী হবে?
-
শিক ঢুকাবে না শালা কিমা বনাবে
-
কেউ জানেনা ভবিষৎ তার কি হবে?
-
তো ঠোঁট বাকাও
শীষ বাজাও
-
শীষ মেরে তুই বল যে ভাইয়া
- All is Well.(সব...... ঠিক.... আছে)
-
আরে ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে)
-
আর মাম্মা - All is Well.(সব...... ঠিক.... আছে)
-
আরে ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে)
-
যখন জীবন হয় ‘আউট আফ কন্ট্রোল’
ঠোঁট দুটো তুই কররে ‘গোল’
-
ঠোঁট দুটো তুই কররে ‘গোল’
শীষ মেরে গলা ছেড়ে বল
-
All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে)
-
মুরগী কি আর জানে আন্ডার কি হবে?
-
বাচ্চা ফুটবে, না কড়াইতে ভাজি হবে?
-
কেউ জানেনা ভবিষৎ তার কি হবে?
-
তো ঠোঁট বাকাও
শীষ বাজাও
-
শীষ মেরে তুই বল....
-
পেয়েগেছি!! পেয়েগেছি!!! ইয়ে.......স.....
-
ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে)
-
আরে মুরগী - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে)
-
আরে বক্রী - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে)
-
আরে ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে)
-
অই জয়ের জানালার দিকে নে ..জয়ের জানালার দিকে নে.. অই জয়..
-
উপরে ... উপরে.... এই সেড়েছে..
-
এই দ্যাখ দ্যাখ সাইলেন্সার নেংটু হয়ে পড়ছে!
-
জয়, বাইরে দ্যাখ
-
জয়, জানালার কাছে আয়
-
জয়, বাইরে দ্যাখ
-
সুখবর, স্যার
-
না পুলিশ কিছু বুঝতে পেরেছে
না জয়ের বাবা কিছু বুঝতে পেরেছে।
-
সবাই ভাবছে যে ‘আত্মহত্যা’ স্যার
-
পোস্টমর্টেম রিপোর্টেও এসেছে.... যে...
-
মৃত্যুর কারণ হলো ‘শ্বাসনালীর উপর তীব্র চাপের ফলে মারা গেছে’
-
কী আজব!!
-
বোকাগুলো ভাবছে যে এখানটায় তীব্র চাপ পড়ায় মরে গেছে!
-
আর গত চার বছর ধরে যে এখানটায় প্রেসার পড়ছে, তার কি হবে?
-
তাতো রিপোর্ট এ দেখায়ইনি স্যার
-
আর এই ইঞ্জিনিয়ার লোকগুলোও খুব চালাক হয়ে থাকে স্যার
-
এমন কোন মেশিন তৈরীই করেনি যা দিয়ে এখানকার চাপ পরিমাপ করা যাবে
-
যদি বানাতো তাহলে আজ জানা যেতো যে...
-
এটি আত্মহত্যা নয় , খুন স্যার
-
জয়ের আত্মহত্যার কারণে তুমি আমাকে দোষ দিচ্ছ?
-
যদি একজন ছাত্র পড়াশুনার চাপ সামলাতে না
পারে তাতে আমাদের দোষটা কোথায়?
-
জীবনেতো অনেক চাপ ই আসতে থাকবে, তাইবলে কি
তুমি শুধ অন্যের ঘাড়েই দোষ চাপাতে থাকবে ?
-
স্যার , দোষ আমি আপনাকে দিচ্ছিনা
দোষ দিচ্ছি পুরো সিস্টেমটাকে
-
স্যার আমার কাছে কিছু পরিসংখ্যান আছে স্যার,
আত্মহত্যায় ইন্ডিয়া বিশ্বে এক নম্বর অবস্থানে আছে।
-
প্রতি দের ঘন্টায় কোন না কোন ছাত্র আত্মহত্যা করছে স্যার
-
এখানে ছাত্ররা অসুখ হয়ে মরার চেয়ে আত্মহত্যা করে বেশী মরছে স্যার
-
কিছু একটা তো ভুল হচ্ছে না, স্যার
-
আমি অন্য কলেজের সম্পর্কে কিছু বলতে পারবোনা।
-
কিন্তু এটা দেশের একটি সেরা কলেজ
-
বত্রিশ বছর ধরে আমি এই কলেজ পরিচালনা করছি।
-
আর ২৮ নাম্বার অবস্থান থেকে
নাম্বার ১ এ আমি নিয়ে এসেছি
-
স্যার কিষের নাম্বার ১ স্যার , কিষের নাম্বার ১?
-
স্যার এখানে কেউ নতুন কোন আইডিয়ার কথা বলেইনা
কিছু উদ্ভাবনের কথা ভাবেইনা
-
সবাই শুধু পরীক্ষায় বেশী নাম্বার পাওয়ার কথা বলে
বা বলে আমেরিকাতে চাকরি করার কথা।
-
স্যার এখানে জ্ঞাণ দেয়া হচ্ছেনা স্যার এখানে শুধু এটি
শেখানো হচ্ছে যে কিভাবে পরীক্ষায় বেশী নাম্বার পাওয়া যাবে!
-
এখন তুমি আমাকে শেখাবে যে কিভাবে পড়াতে হয়?
-
না, স্যার.......আমি....
-
স্যার, আমার কাগজটা.........
-
বিদ্যা নাথান , প্লীজ আপনি বসুন
-
আজকে আমাদের মাঝে এক এমন মাতুব্বর এসেছেন
-
যিনি ভাবেন যে আমাদের হাইলি কোয়ালিফাইড
শিক্ষকদের চেয়েও ভালোভাবে পড়াতে পারবেন
-
তো আজ প্রফেসার, রাঞ্চুর দাস চাঁচর ..
আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং শেখাবেন
-
আমাদের কিন্তু সারাদিন বসে থাকার সময় নেই
-
আপনাদের হাতে ৩০ সেকেন্ড সময় আছে,
বোর্ডে লিখা শব্দ দুটির মানে বলতে হবে।
-
আপনি চাইলে বইও ব্যবহার করতে পারেন
-
জবাব খুঁজে পেলে তিনি শুধু হাত উঠাবেন
-
দেখা যাক কে প্রথম হয় আর কে শেষ হয়
-
আপনার সময় শুরু হচ্ছে .......... এখন...
-
সময় শেষ।
-
সময় শেষ, স্যার।
-
কি হলো, কেউই জবাব খুঁজে পেলেন না?
-
এখন নিজের জীবনে ১মিনিট আগে ফিরে যাও, আর ভাবো
-
যখন আমি এই প্রশ্ন লিখেছিলাম,
কেউকি এটা ভেবেছিলো যে,
-
আজ নতুন কিছু
শিখতে পারবো? খুব মজা হবে......?
-
কেউ ভেবেছিলো...? ...স্যার?
-
না, সবাই প্রতিযোগিতায় নেমে গেলো
-
এভাবে পড়ে যদি প্রথম হয়েও যাও তাতে কী লাভ হবে?
-
আপনাদের জ্ঞাণ বাড়বে?.. না
শুধুই প্রেসার বাড়বে
-
আর এটা কলেজ, এটা প্রেসার কুকার না।
-
আরে, চাবুকের ভয়ে তো সার্কাসের বাঘও
উঠে চেয়ার বসা শিখে নেয়
-
কিন্তু এমন বাঘ কে আমরা
'সুপ্রশিক্ষিত বলি', 'সুশিক্ষিত' বলিনা
-
হ্যালো......
-
এটা দর্শনের ক্লাস নয়, শুধু ঐ শব্দ দুটির মানে বল ব্যাস
-
স্যার, এমন কোন শব্দ আসলে নেই.... স্যার..
-
এ দুটি আমার দুই বন্ধুর নাম'
ফারহান আর রাজু
-
চুপ!!!
-
বেওকুফ! এভাবে পড়াবে ইঞ্জিনিয়ারিং?
-
না স্যার. আমি আপনাদের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছিলামনা, স্যার
-
সেটিতো আপনি আমার চেয়ে অনেক ভালো জানেন
-
আমি তো আপনাদের এটা পড়াচ্ছিলাম ..... যে.... পড়াতে হয় কিভাবে!
-
আর আমার বিশ্বাস যে আপনি একদিন অবশ্যই শিখবেন স্যার
-
কারণ আমি আমার দুর্বল ছাত্রদের হাত কখনো ছাড়িনা
-
বাই, স্যার......
-
খামোশ....!
-
আমি বলছি চুপ কর!!!!!
-
অনেক দুঃখের সাথে আমি আপনাকে
অবগত করছি যে, আপনার ছেলে
-
ফারহান...
রাজু...
-
অসৎ সঙ্গের পাল্লায় পড়েছে
-
সঠিক পদক্ষেপ না নিলে ওর ভবিষৎ বরবাদ হতে পারে।
-
ভাইরাসের, চিঠি আমাদের ঘরে এটম বোমের মতো ফাটে
-
হিরোশিমা আর নাগাসাকি তে মাতম উঠে গেলো
-
আর আমাদের উভয় ঘরে জুতা
খাওয়ার জন্য দাওয়াত করা হলো
-
আসুন, ভেতরে আসুন....... আসুন .. আসুন..
-
ওদিকে দেখুন?
-
একটাই এসি কেনার সামর্থ ছিলো আমার
-
আর সেটি আমাদের রুমে না লাগিয়ে ফারহানের রুমে
লাগিয়েছি যেন ও আরামে পড়াশোনা করতে পারে।
-
কার কিনিনি আমি...
আজ পর্যন্ত স্কুটার চালাই।
-
সব টাকা আমরা ফারহানকে পড়ানোর জন্য খরচ করছি
-
নিজেদের ভবিষৎ আমরা ফারহানের ভবিষতের জন্য
কুরবানি করে দিয়েছে! বুঝতে পারছেন কিনা আপনি?
00:43:22,800 --> 00:43:30,125
তারপরেও যদি এমন চিঠি আসে প্রিন্সিপাল সাহেবের কাছ থেকে,
আপনি কি ভাবতে পারছেন আমাদের মনের অবস্থাটা কেমন হয়!!?
-
এই...!! ছবিগুলো তুই তুলেছিস নাকি, ফারহান?
-
-চুপ কর!
- ফটোগ্রাফীর ভূত চেপেছিলো জনাবের ঘাড়ে
-
তাও আবার পশুপাখীর ছবি তুলে বেড়াতো ...বলতো যে আমি..
-
...বলতো যে আমি..
বন্যপ্রানীর ফটোগ্রাফার হবো
-
বেটা সেবছর তোমার % কতো ছিলো?
-
৯১%
-
শুনলেন আপনি ? ৯৪% থেকে কমে এক্কেবারে ৯১%
-
আপনার কাছে মজার মনে হচ্ছে?
-
না চাচা, সরি......আমি শুধু বলছিলাম যে
ও কতো সুন্দর ছবি তুলতে পারে
-
আপনি ওকে ইঞ্জিনিয়ার বানাচ্ছেন কেন? ...
ওর তো বন্যপ্রানীর ফটোগ্রাফার হওয়া উচিৎ
-
শুনুন!
- (অনেক উন্নতি করতে পারবে)
-
হাতজোড় করে আপনার কাছে প্রার্থনা করছি যে,
আমার ছেলের ভবিষৎ বরবাদ করে দেবেন না!!!
-
বাচ্চারা, টেবিলে খাবার দেয়া হয়েছে , খেতে এসো
00:44:16.100 --> 00:44:19.125
হ্যাঁ চল খেয়ে নেই!!
-
পরের বার এলে অবশ্যই খাবার খেয়ে যেও
-
আব্বা তো খেতে দিলোই না..
-
তাই, আমরা আমাদের ক্ষুধার্থ পেট ভরতে...
-
আর বকা খাওয়ার কোঠা পূরণ করতে...
রাজুর ঘরে পৌঁছালাম
-
রাজুর ঘর ১৯৫৬ সালের সাদা কালো
সিনেমার কথা মনে করিয়ে দিতো
-
ছো্ট্ট একটা ঘর...
-
যেখানে এক পঙ্গু বাবা...
-
এক রোগা মা...
-
আর এক অবিবাহিত বড় বোন
-
ফাঁটা ছোফা, যার স্প্রীং গুলো .তাকিয়ে আছে..
-
আর ছাদের ফুটো দিয়ে ২৪ ঘন্টা গড়িয়ে পড়া পানি
-
মা স্কুল থেকে রিটায়ার্ড করেছিলেন
এখন অনেক বেশীর ভাগই ক্লান্ত থাকেন
-
বাবা কোন এক কালে পোষ্ট মাষ্টার ছিলো...
-
প্যারালাইসিসের পর শরীর অর্ধেক পঙ্গু হয়ে গেলো
-
আর বেতন বন্ধ হয়ে গেলো পুরোটাই....
আর বোন!!!?
-
কম্মো তো ২৮শে পা দিলো.
এখন যৌতুকে মারুতি ৮০০সিসি চায়
-
আরে তুই যদি লেখাপড়া না করিস, তো ওর বিয়ে দিবি কিভাবে?
-
ঢেঁরশ নেবেন?
- হ্যাঁ ...হ্যাাঁ ..জী ধন্যবাদ
-
তুই কি জানিস ?ঢেঁরশের কেজি ১২ টাকা হয়ে গেছে,
আর ফুলকপি ১০/-
-
সারা দেশে যেন লুটতরাজ চলছে!
-
আর তার উপর যদি তোর এমন এমন চিঠি আসে কলেজ থেকে?
তাহলে বল আমরা খাবোটা কি?
-
মা!
-
পণির নেবেন?
- হ্যাঁ ...
-
পণির তো বেটা কিছুদিন পর এতটুকু এতটুকু করে
স্বর্ণের দোকানে বেঁচবে মনে হয়
-
পণির দেবো?
- না,না , ব্যাস...ব্যাস
-
মা,তুই... থাকনা .. এখন...কি..
-
ঠিক আছে ভাই, চুপ হয়ে গেলাম
-
কি কপাল, বাচ্চাদের জন্য কামাইও কর
আবার চাকরের মতো কাজও কর
-
তারপরও মুখ বন্ধ রাখ
-
আরে ঘরের সমস্যা, তো ছেলেকে বলবোনা
তো কাকে বলবো ওর বন্ধুদের?
-
এই রাজু...
-
বড় দুটানায় পড়ে গেলাম...
-
বন্ধুকে সামলাবো?
নাকি বন্ধুর মায়ের চোখের জল মুছাবো?
-
তখন আমরা ভাবলাম, বাদ দাও ওসব
পণিরের দিকেই মনোনিবেশ কর।
-
ওনার এক্জিমার মলম ও এখন ৫৫ টাকা হয়ে গেছে
-
আরো রুটি দেবো?
-
না ,না ,না ,... ব্যাস অনেক হয়ে গেছে ,পেট ভরে গেছে
-
ঢেঁড়শ ১২/- করে
- ফুলকপি ১০/-
-
আরে কমছে কম খাবার খেতে তো দিয়েছে
-
তোর নিষ্ঠুর বাপের মতো তো না...
'হিটলার কোরেশী!
-
হ্যাঁ ..হ্যাঁ .. আর তোর মা তো মাদার তেরেসা...
‘খুজলি’ওয়ালা রুটি খাওয়াচ্ছিল'!
-
এই মাকে নিয়ে কোন মজা করবি না!
- থাম নারে দোস্ত.. বাদ দে কিষের ঝগড়া করছিস.
-
প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে..চলনা বাইরে কোথাও খেয়ে নেই।
-
মাসের শেষ, দোস্ত টাকা কি ও মাদার তেরেসা দেবে?
-
আরে খাবার খেতে পয়সা লাগেনা, ইউনিফর্ম লাগে ইউনিফর্ম
ঐ দ্যাখ
-
চল
- চল
-
নমস্তে,-নমস্তে,
-নমস্তে,
শুভ সন্ধ্যা
-
ওহ্ ,চাচা
-
এই শোন , ৩টি বড় দেখে ‘ভোডকা’ নিয়ে আয়
- অর্ধেক সোডা, অর্ধেক পানি
-
মার খাওয়াবিরে... দোস্ত..
-
আর শুরুর আইটেম কি কি আছে?
- আচ্ছা যাই থাকুক না কেন দু প্লেট করে নিয়ে আয়
-
এটা এখানেই রেখে যা
আর মিউজিক চেঞ্জ করে কোন গজল টজল লাগা
-
পিয়া , এসব কি ?!
-
কি পড়েছো এটা?
সেই আদ্দি জমানার ফালতু ঘড়ি?
-
ছিঃ ছিঃ আরে মানুষ কী বলবে?...
- সুহাসের হবু বউকে দ্যাখ
-
ক’দিন পরে ডাক্তার হবে,
আর ঘড়ি পড়েছে, ২০০টাকার!
-
প্লীজ এটা খুলে ফেল. ধন্যবাদ
-
হায় হ্যান্ডসাম
-
হেই চাচী.
তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে
-
আমার এ সেট টা দেখতে ভুল করোনা,ডার্লিং
- রুবি?
-
এটা ম্যান্ডালে থেকে এনেছে
- ম্যান্ডালে... ওয়াও!
-
হেই চলো তোমাকে ডেভিটের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই
- অবশ্যই
-
এক্সকিউজ মি
-
হ্যাঁ ?
-
ফুল
-
আ.. এই গ্লাসটা আমি নিয়ে নেই?
- কেন?
-
আপনি গ্লাস ছুড়ে মারবেন, আমার মাথা ফেঁটে যাবে
-
আমি আপনাকে মারবো কেন?
-
কারণ আমি আপনাকে কিছুটা মাগনা উপদেশ দিবো এখন
-
-কি?
-
ঐ গাধাটার সাথে কখনো বিয়ে করবেন না।
-
এক্সকিউজ মি?
-
ও মানুষ না,
প্রাইজ ট্যাগ !! প্রাইজ ট্যাগ
-শুনুন
-
জীবন ভরে আপনাকে আলাদা আলাদা
প্রোডাক্টের দাম শুনিয়ে শুনিয়ে ঝালাপালা করে দেবে
- হ্যালো
-
আপনার জীবনটাই বরবাদ হয়ে যাবে.
আপনার ভবিষৎ একদম শেষ হয়ে যাবে
-
উদাহরণ দেবো?
-
ওর জুতার দাম কতো ? সেটা জানবো?!
-
আমি ওকে জিজ্ঞেস করবোনা.
ও নিজেই বলবে। শুধু দেখুন
-
এ্যাঁই.. এ্যাঁই. আরে কি করলে ভাই...
আরে ৩০০ ডলারের জুতা আমার
পুদিনার চাটনি আর আমার ৩০০ ডলারের জুতা
-
পালাও!
মাগনা উপদেশ. মানলে মান, না মানলে বাদ দাও!
-
জেনুইন ইতালিয়ান চামড়া -
হাতে সেলাই করা!
-
বাবা, ওরা আপনার মেহমান?
-
ওরাতো আমার ছাত্র.
ওরা এখানে করছেটা কি?
-
১সেকেন্ড বাবা
-
মটরশুটির গন্ধটা তো দারুণ লাগছে.. দোস্ত
-
আরে পুরি রাখার জায়গা নেই আর
- আরে সাইডে এডজাস্ট করে নে।
-
হায়
- হেই
-
আপনি আমার চোখ খুলে দিয়েছেন, অনেক ধন্যবাদ
-
ওহ্ ... সে কিথা .. ওটা আমার দায়িত্ব ছিলো
-
আমি কি আরেকটু সাহায্য পেতে পারি?
-
আমার বাবা সুহাসের সাথে এই এনগেজমেন্ট ভাংতে দেবেনা
-
আপনি এতো সুন্দর করে বুঝাতে পারেন।
যদি তাকে এক আধটা উদাহরণ দিতেন তো..
-
দেবোনা মানে ....অবশ্যই দেবো
রাজু চাটনি দে...
-
আপনি না খুউব মিষ্টি!!!
-
আপনার বাবা কোথায়?
- আপনার ঠিক পেছনেই
-
Aal izz well -(..সব ঠিক আছে..)
-
পালাও!
মাগনা উপদেশ. মানলে মান, না মানলে বাদ দাও!
-
তোমরা এখানে কি করছো?
-
স্যার, লেফাফা দিয়ে আসছি স্যার স্টেজে
-
আমাকে দাও.আমার বোনে বিয়ে
-
বোন?
-
স্যার, আপনার মোট ক’টা মেয়ে আছে স্যার।
-
এটাতো খালি!
-
অ্যা.. খালি.. তু..তু্ই. চেক দিসনি?., রাজু
... ফারহান?
-
তাতো গেলো , আমরাতো আপনাদের দাওয়াত দেইনি
আপনারা বোধ হয় ছেলে পক্ষের থেকে এসেছেন
-
না স্যার, আসলে আমরা বিজ্ঞানের পক্ষ থেকে স্যার
বিজ্ঞানের পক্ষ থেকে
-
কিভাবে? তুমি কি ব্যাখ্যা করতে পারো?
-
বাবা, ও ব্যাখ্যা খুবই চমৎকার করতে পারে
এক্ষুণি উদাহরণ দেবে
-
দাও না?
-
স্যার, আসলে দিল্লীতে খুব লোডশেডিং হয়...
-
আর বিয়ে শাদীতে তার জন্য খুব সমস্যা হয়
-
তো আমি ভাবলাম যে এমন এক ইনভার্টার বানাবো যেটি..
-
বিয়েতে আসা মেহমানদের গাড়ীর ব্যাটারী থেকে পাওয়ার নিতে পারবে
-
আচ্ছা
-
ওয়াও
-
তো ইভার্টার বানিয়ে দিয়েছেন?
-
স্যার, ডিজাইন তৈরি আছে
-
ডিজাইনটা কইরে, ফারহান?
-
ডিজাইন দিয়েছিলাম না তোকে
- হ্যাঁ আমি ওটা রাজুকে দিয়ে ছিলাম
-
রাজু, ডিজাইন?
-
স্যার, আসলে ডিজাইনের কথা বাদ দিন না স্যার.
আমি আপনাকে সরাসরি ইনভার্টার বানিয়ে দেখাচ্ছি
-
তুমি শুধু বেওকুফ বানাতে পার! ইনভার্টার না
-
না স্যার, আমি আপনাকে অবশ্যই ইনভার্টার
বানিয়ে দেখাবো, ওয়াদা করছি
-
আর ওটা সার আপনার নামে করে দেবো স্যার...
-
হাজার হউক আপনার মেয়ের বিয়েতে
এসে ওটির আইডিয়া মাথায় এসেছে..
-
ফারহান , রাজু. আপনাদের দুজনের সাথে
কাল আমি অফিসে দেখা করতে চাইবো
-
স্যার, আপনার প্লেট প্রতি কতো খরচ হয়েছিলো স্যার,
আমরা পরিশোধ করে দেবো স্যার
-
... কিস্তিতে স্যার
-
আর আগামীতে আমরা আর কোন বিয়েতে ঢুকে পড়বোনা
- হ্যাঁ স্যার আমরাতো নিজেদের বিয়েতেও কোন দিন যাবোনা
-
আসলে আমি কখনো বিয়েই করবো না স্যার
-আর অও করবেনা স্যার
-
হ্যাঁ...স্যার আমিও বিয়ে করবোনা স্যার
-
তোমার বাবা মায়ের ও বিয়ে করা উচিৎ ছিলোনা
-
এই দুনিয়াতে দুজন ইডিয়েট কম জন্মাতো
-
বসো!!!
-
মনযোগ দিয়ে দ্যাখ
-
এটা হলো র্যাঞ্ছর দাসের বাবার মাসিক আয়
আড়াই কোটি টাকা
-
এখন এখান থেকে যদি একটি বা দুটি জিরো কমিয়ে দেই
তাতে তার কিছুই হবেনা
-
কিন্তু যদি আরো একটি জিরো কমিয়ে দেই
তাহলে আমি যতটুকু মনে করতে পারছি
-
এটা তোমার বাাবর মাসিক আয় মিঃ ফারহান
-
হ্যাঁ স্যার
-
এখন যদি আরেকটি জিরো কমিয়ে দেই...
-
তো এটা হলো তোমার ফ্যামেলীর
মাসিক আয় মিঃ রাজু রাস্তগি
-
বড় চিন্তার বিষয়
-
ভিরু শাস্ত্র বুদ্ধের কথা শোন! আর নিজের রুম চেঞ্জ কর
চতুর রামালিংগামের সাথে শিফট হয়ে যাও।
-
পরীক্ষা আসছে, ঐ চাঁচরের সাথে থাকলে
কোনদিনও পাস করতে পারবেনা।
-
শেভ করাতে হবে?
- না, স্যার
-
তো বিদেয় হও!
-
রাজু, তুই বোঝার চেষ্টা কর, ভাইরাস আমাদের কে আলাদা
করার ষঢ়যন্ত্র করছে, তুই ভয় পাসনে
-
ভয় তো এসেই যায়...
-
আমার ভালো একটা চাকরী যোগার করতে হবে
তার জন্য ভালো গ্রেড প্রয়োজন, আর গ্রেড ওর হাতে
-
তোর মতো ধনী নয় আমার বাবা,
যার টাকায় সারা জীবন বসে খেতে পারবো
-
রাজু, তুই কী সব বাজে বকছিস্ দোস্ত
-
ও যা বলবে আমরা তাই করবো নাকি?
'Aal izz well!!' (সব ঠিক আছে)
-
তোর ওর চামচা হতে পারিস আমি নই।
-
তুই কিন্তু এখন সীমানা অতিক্রম করছিস
- না, আমাদের মাঝে নতুন সীমানা তৈরী করছি
-
কারণ আমাকে আমার পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে
-
মায়ের অর্ধেক বেতন তো বাবার
ঔষুধ কিনতেই শেষ হয়ে যায়
-
কম্মোর বিয়ে হচ্ছেনা কারণ ছেলে পক্ষের
‘মারুতি ৮০০সিসি’ যৌতুক চাই।
-
গত ৫বছরে মা একটিও নতুন শাড়ি কেনেনি
-
দোস্ত তুই ঝগড়া ভেতরে যদি মাকে টেনে আনিস
তো আমার আর কি বলার থাকে.
-
আচ্ছা দোস্ত, এক বছরে কয়টি শাড়ির প্রয়োজন হয় বলতো?
-
মা কে নিয়ে কোন মজা করবি না বলছি..
-
আরে রাজু, আমরা পড়বো , মন দিয়ে পড়বো
কিন্তু শুধু পরীক্ষায় পাশ করার জন্য পড়বোনা।
-
এক মহাপুরুষ বলেছিলো- যে সফল হওয়ার জন্য পড়োনা,
যোগ্য হওয়ার জন্য পড়।
-
সাফল্যের পেছনে ছুটোনা, শ্রেষ্ঠত্ব, শ্রেষ্ঠত্বের পেছনে ছুটো
সাফল্যে এমনিই তখন তোমার পিছনে ছুটবে।
-
কোন মহা পুরুষ বলেছিলো রে?
বাবা র্যাঞ্ছর দাসে?
-
মর তোরা..!
-
দোস্ত, টেনশন করিস নাতো, আমরাও প্রথম হবো রে,
‘অসম্ভব বলে কিছু নেই’
-
‘অসম্ভব বলে কিছু নেই’ তাই না?
-
ধর এবার পুনরায় টিউবে ঢুকিয়ে দেখা
-
রাজু ট্রেনের বগি পরিবর্তন করে নিলো
-
এবার ও চুতুরের সাথে সফর করতে বেরিয়ে পড়লো
বাংলায় সফর না কিন্তু... ইংরেজীর Suffer (ভোগান্তি)
00:56:08,850 --> 00:56:13,200
S U F F E R [Suffer (ভোগান্তি)]
-
সবাই চতুর কে ডাকতো 'সাইলেন্সার' নামে
-
মেধা বৃদ্ধির জন্য, কোন এক কবিরাজ বাবার ‘বড়ি’ খেত
-
তারপর চুপচাপ গরম বায়ূ ত্যাগ করতো...
-
আমি এটা করিনি... রাজু?
-
আর দোষ সবসময় পরের ঘাড়ে চাপাতো
-
সাইলেন্সার দিলে ১৮ ঘন্টা পড়াশোনা করতো
-
আর পরীক্ষার আগের রাতে,
অন্যদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটাত
-
ও মানতো, যে পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার দুটিই রাস্তা আছে
-
হয়তো নিজে বেশী নাম্বার উঠাও
নয়তো অন্যদের কম করাও
-
র্যাঞ্ছ , সাইলেন্সার কে উচিৎ শিক্ষা দেয়ার
আর রাজুকে বাঁচানোর
-
চমৎকার একটি ফন্দি আঁটলো
-
আমাদের পরিচালক মহোদয় এখানে অনেক ‘চমৎকার’ ঘটিয়েছেন। ‘চমৎকার’ ..মানে হচ্ছে...
-
মানে টানে আমার দরকার নেই, দুবে জী
আমি মুখস্থ করে নেবো
-
শিক্ষক দিবসে স্বাগত বক্তব্য দেয়ার জন্য
চতুরকে নির্বাচন করা হয়েছিলো
-
আর ও ভাইরাস কে তোষামোদ করার জন্য
নিজের বক্তব্য, লাইব্রেরিয়ান দুবে,কে দিয়ে....
-
পরিশুদ্ধ হিন্দিতে লিখিয়েছিলো...
-
হ্যালো. হ্যাঁ ডেকে দিচ্ছি.
চতুর, তোমার ফোন
-
দুবেজী, প্রিন্ট করে শীটটা আপনার
কাছেই রাখুন আমি আসছি
-
শালার... এমন কাজও আমায় করতে হচ্ছে...
-
আরে দুবেজী, আপনাকে পরিচালক সাহেব
এক্ষুনি স্মরণ করেছেন।
-
আচ্ছা?
- হ্যাঁ এক্ষুণি
-
আচ্ছা ঠিক আছে তুমি এটা
চতুরকে দিয়ে দিও আমি আসছি
-
হ্যালো. হ্যালো
- হ্যালো, মিঃ রামলিংগাম?
-
হ্যাঁ?
-
জী আমি লাজপুতনগর থানা থেকে বলছি..
-
আপনি কি উগান্ডা থেকে এসেছেন?
- হ্যাঁ স্যার
-
হুম. ... জী আপনার জীবন হুমকির মুখে আছে।
- কী? ... কিভাবে?
-
অ্যাব.. আমার ইন্সট্রাকশন মন দিয়ে শুনুন...
-
নয়তো কলেজের গেটের বাইরে গেলেই
রাস্তার উপরেই আপনাকে খতম করে দেয়া হবে
-
কেন ? কি হয়েছে?
-
ওদিগে চতুর বিপন্ন জীবনের ভাবনায় ব্যাস্ত হয়ে পড়লো
-
এই ফাঁকে র্যাঞ্ছ চতুরের বকতৃতার
কিছু শব্দ পরিবর্তন করে দিলো.....
-
যেমন 'চমৎকার' কে করে ফেলল 'বলৎকার'(ধর্ষন)
-
আপনি আমায় ডেকেছেন স্যার?
-
তুমি কে?
- দুবে, লাইব্রেরিয়ান
-
আমি পার্মানেন্ট স্টাফ স্যার
-
অভিনন্দন....!!
-
এক মিনিট এক মিনিট..
কমিশনার সাহেবের ফোন...আপনি একটু ধরুন..
-
এক্সকিউজ মি, স্যার, ... স্যার
-
হ্যাঁ .. হ্যালো জী .. হায় জী..... তো আমি যেন কি বলছিলাম?
-
আপনি বলছিলেন যে গেটের বাইরেই.. আমার মৃত্যু
-
হ্যাঁ. দ্যাখ যখন তুমি গেটের বাইরে বেরোবে
তখন সামনেই একটি সিগন্যাল দেখবে, ট্রাফিক সিগন্যাল
-
ট্রাফিক সিগন্যাল.হ্যাঁ....ওকে ওকে..
-
যখন ঐ সিগন্যাল লাল হয়ে যাবে মানে রেড,
তখন সব গাড়ীগুলো থেকে যাবে।
-
ওকে, ওকে, তারপর?
-
তারপর তুমি খুব সাবধানে রোডক্রস করো।
-
বেটা জানইতো, আজকাল রাস্তা প্রচুর গাড়ী চলছে
তো কখনো যদি গাড়ীর সাথে একসিডেন্ট
করো তাহলেতো মরেও যেতে পারো
-
কী সব যা তা বলছেন ! এটাতো আমি জানিই..
-
তুমি এটা জানো? খুব ভালো বেটা.
তাহলেতো তুমি নিরাপদ, সাবাস, সাবাস.
-
হেই সাইলেন্সার , দুবে তোকে এটা দিতে বলল
-
খবরদার আমাকে ওনামে ডাকবিনা, ছাঁছর...
-
আরে ডাইরেক্টার তো বললো যে আমায় ডাকেনি
-
আমি কি আপনাকে ‘ডেকেছেন’ বলেছি নাকি?
আমি তো বলেছিলাম স্মরণ করেছেন।
-
স্মরণ করেছেন?
নালায়েক!
-
আদরনীয় সভাপতি মহোদয়..
-
বিশেষ অতিথি, মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী, শ্রী আরডি ত্রিপতি জী
-
মাননীয় শিক্ষকগণ ও আমার প্রিয় বন্ধুরা
-
আজ যে আইসিই’র সাফল্য আকাশের উচ্চতা স্পর্শ করেছে
-
তো তার সকল কৃতিত্ব শুধ একজন কেই দেয়া যায়
-
শ্রী. ভীরু শাস্ত্র বুদ্ধ, তার জন্য কড়তালি...
-
স্যার, ও কথাগুলো বললেও এগুলো
কিন্তু আমিই রচনা করে দিয়েছিলাম
-
তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন মহান মানুষ
-
গত ৩২বছর ধরে টানা ওনি, এই কলেজে
বলৎকারের(ধর্ষন) উপর বলৎকার (ধর্ষন)করেছেন
-
এর মানে হলো চমৎকারের উপর চমৎকার করেছেন..
-
আশা করি আগামীতেও করতে থাকবেন
-
আমরাতো ভেবে আশ্চর্য হয়ে যাই
যে একজন মানুষ এক জীবনে
-
এতো এতো বলৎকার(ধর্ষন) কিভাবে করতে পারে.. ?
-
উনি কঠিন তপস্যা করে নিজেকে
এই কাজের যোগ্য করে গড়েছেন
-
সময়ের সদ্বব্যবহার কেউ শিখতে চাইলে
ওনার কাছ থেকেই শিখতে হবে
-
শিখে নিক ওনার কাছ থেকে শিখে নিক
-
আজ আমরা সকল ছাত্র এখানে,
আগামীতে দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়বো
-
কিন্তু এই ওয়াদা আপনার কাছে যে দেশেই থাকি
না কেন সেখানেই বলৎকার(ধর্ষন) করবো
-
আইসিই এর নাম উজ্জ্বল করবো
-
সবাইকে দেখিয়ে দেবো যে...
বলৎকার(ধর্ষন) করার যত ক্ষমতা..
-
এখানকার ছাত্রদের আছে...
-
তত ক্ষমতা সংসারে আর কোন ছাত্রের নেই
01:02:12,800 --> 01:02:18,386
নো আদার ছাত্র, নো আদার ছাত্রা
-
আদরনীয় মন্ত্রীজীঁ...নমস্কার
-
আপনি এই প্রতিষ্ঠানকে সেই জিনিষ দিয়েছেন
যেটার বড্ড প্রয়োজন ছিলো মোদের
-
ধন, ধন
- স্তন
-
স্তন না, ধন মানে টাকা পয়...সা..
-
কেমন অপমান জনক কথা বলছে ছেলেটি
-
স্তন তো সবার কাছে থাকে কিন্তু
সবাই তা লুকিয়ে রাখে..
-
কেউ ই দেয় না...
-
ভারী ফাজিল ছেলে এটা!
-
আপনি আপনার স্তন .
-
এই বলাৎকারী (ধর্ষনকারী)
পুরুষের হাতে তুলে দিয়েছেন..
-
এখন দেখুন যে উনি কিভাবে তার সদ্বব্যবহার করেন
-
শাস্ত্র বুদ্ধ এতটুকু বুদ্ধিও নেই তোমার কাছে?
-
এমন শুভক্ষণে সংস্কৃতিতে লিখা দু লাইন শ্লোক মনে পড়ে গেল,
-
শোন শোন- এখন নিজের বায়ুত্যাগের ক্ষমতার কথা
সংস্কৃতি ভাষায় শোনাবে..
-
উচ্চশব্দে ‘বায়ুত্যাগ’ হলো সবচেয়ে উত্তম ‘বায়ুত্যাগ’
-
‘বায়ুত্যাগ’? কি বলছিস , সাইলেন্সার
-
মধ্যম শব্দে ‘বায়ুত্যাগ’ হলো সহনীয় ‘বায়ুত্যাগ’
-
কিন্তু নিঃশব্দের ‘বায়ুত্যাগ’হলো সবচেয়ে ভয়ানক ‘বায়ুত্যাগ’
-
সকল ‘বায়ুত্যাগ’এর মধ্যে সাইলেন্সারের বায়ুত্যাগই হলো অসহনীয় ‘বায়ুত্যাগ’
-
দ্যাখ দোস্ত ওর পিছু নিবি তো এমনি হবে... দ্যাখ .. দ্যাখ..
-
ওর পিছু ধরে তুই কলেজের চার বছরতো কোনরকমে পাড় পেয়ে যাবি
-
কিন্তু পরবর্তী জীবনের ৪০ বছর ধরে তোর বলাৎকার (ধর্ষন) হতে থাকবে বলাৎকার (ধর্ষন)
-
আরে দোস্ত এত্তো করে বুঝালাম, বোঝেইনা।
-
'মধ্যম শব্দে পাদা ভয়ংকর.. ভয়ংকর......
অবিশ্বাস্য!!
-
তুইতো ভালো কবিরে, দোস্ত ..র্যাঞ্ছ...
এত্তো সুন্দর কবিতা তুই লিখলি কিভাবেরে...?
-
খুব মজা হইছেরে.. দোস্ত....
ও ব্যাটা বুঝেইনাই, স্যার ওরে যে মারল কি জন্যে..
-
শালা শুয়র কোথাকার....!
আমি তোদের কী ক্ষতি করেছিলাম?
-
সরি..রে.. দোস্ত....
পারসোনাললি নিস্না.. দোস্ত..
-
পারসোনাললি ই নেবো...
-
চতুর রামলিংগাম এই অপমানের কথা কোনদিনও ভুলবেনা।
-
এই অপমানের কথা আমি আমার জীবনের প্রতিটি মিনিটে
প্রতিটি সেকেন্ডে মনে রাখবো.
-
দোস্ত.. বাদ দে না দোস্ত.. আমরা আসলে রাজুকে ডেমো (উদাহরণ)
দেখাচ্ছিলাম যে, বেশী নাম্বারের আশায় শুধু পড়োনা..
-
যা পড়ছো তা বুঝে বুঝে পড়ো..
বিজ্ঞানে মজা লুটো দোস্ত!
-
আমি এখানে বিজ্ঞানের মজা লুটতে আসিনি।
-
তবে কি ইজ্জত লুটতে এসেছিস? বিজ্ঞানের বলাৎকার (ধর্ষন)করতে এসেছিস
-
হাসো...
আমার পদ্ধতি নিয়ে হাসো
-
একদিন এই পদ্ধতি ব্যবহার করেই আমি সফল হয়ে দেখাবো
-
সেদিন আমি হাসবো.. আর তোরা কাঁদবি..
-
দোস্ত.. তুই আবারো ভুল ট্রেনে চড়ছিস, সাফল্যের পিছনে দৌড়াসনে
-
এমন ভালো ইঞ্জিনিয়ার হ্ যেন সাফল্যই তোর পিছনে দৌড়ায়।
-
তোর এই নীতি বাস্তব দুনিয়ায় কোন কাজে লাগে না...ছাঁছর..!
-
তুই তোর ট্রেনে চড়, আমি আমার ট্রেনে চড়ি
-
১০ বছর পরে এই স্টেশনেই ফিরে আসবো..
-
আজকের এই দিনেই... দেখবো, কে বেশী সফল হয়েছে?
-
তুই.. নাকি আমি?
-
সাহস আছে? সাহস আছে?তো বাজী ধর..
-
বল, ....আসবি?....আসবি?..আসবি?
-
কী করছিস দোস্ত!
ওর কী হলো?
-
কি লিখছে ও?
-
এই তারিখ কখনো ভুলিস না।
-
এমন দামী উপহার পড়ার আমার অভ্যেস নেই, সোহাস
-
তো অভ্যেস করে নাও, পিয়া
-
হাজার হউক তুমি সোহাস টেন্ডনের স্ত্রী হতে যাচ্ছ
-
বিল টা কোথায়, ভাই?
-
আমি একটু আসছি, হ্যাঁ..
-
বক্তৃতা তুমি চেঞ্জ করেছিলে?
- কী?
-
খবরদার মিথ্যে বলবেনা!!
-
ও..আম... হ্যাঁ..
-
বাবার সাথে তোমার কী সমস্যা? আ..
- আমার কোন সমস্যা নেই।
-
আমি তো উনার নামে ইনভার্টার বানাচ্ছি এই দ্যাখো..
.. আরে.. এই... আরে ভাইঙ্গা ফালাইলোরে..
-
কেন আমার বাবার পিছু লেগেছ? আ..
-
কারণ উনি কলেজ না ফাক্টারী চালাচ্ছেন।
-
যেখান থেকে প্রতি বছর গাধা উৎপাদিত হয়
ঐ দ্যাখো.. ঐ.. তোমার গাধাটা..
-
ওকে গাধা বলার সাহস তোমার হলো কি করে ?
-
তো কী আর বলবো? প্রথমে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লো
তার পর এমবিএ করলো
-
তারপর আমেরিকা গিয়ে ব্যাংকে চাকরি করছে.. হুঁ..
-
যদি ব্যাংকেই চাকরী করার ইচ্ছে ছিলো,
তাহলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লো ক্যানো?
-
এমন গাধাদের কাছে, জীবনটা
শুধু একটি লাভ লোকসানের খাতার মতো
-
তোমার ভেতর এখন লাভ দেখছে,
তাই এখন ও তোমার সাথে
-
পরিচালকের মেয়ে তুমি! ক’দিন পর ডাক্তার হবে!
এটা ওর ইমেজের জন্য খুবই ভালো হবে! ইত্যাদি...ইত্যাদি...ইত্যাদি...
-
ওর মনে তোমার জন্য কোন জায়গা নেই..
-
তুমি ভাবো কী নিজেকে? আ..
-
তুমি কি করে বলতে পারলে যে,
ওর মনে আমার জন্য কোন জায়গা নেই?
-
আ...রে.. ওহ্ নতুন ঘড়ি দেখছি.. এক মিনিট..ধরতো!
-
তুমিও আছ, সব সময় ডেমো দেখাতে হয়
-
এই.. সোহাস...
-
কোথায় ছিলে? আমি তোমাকে খুঁজছি..!
-
ওর ঘড়িটা হাড়িয়ে গিয়েছে, সেটাই খুঁজে বেড়াচ্ছে
-
কী? তুমি ঘড়িটা হাড়িয়ে ফেলেছ?
-
তাতে কি হয়েছে ভাই, নতুন আরেকটি কিনে দেবেন।
-
আরে.. চার লাখ টাকা দামের ছিলো..!
-
চা..চার..লাখ...? আমারটা তো মাত্র ২৫০টাকা
কিন্তু একই সময় দেয়
-
তুমি চুপ কর... পিয়া তুমি কিভাবে এতোটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে?
-
এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতা সত্যিই ন্যাক্কারজনক।. এটা কিছুতেই মানা যায়না।
-
তুমি জাননা ঐ ঘড়িটা ছিলো
অনেক দুর্লভ একটি কালেকশনস্
-
মাগনা পেয়েছ তো ব্যাস..এখন পড়ো ভালো করে,
তোমার সেই আদ্দি যুগের ঘড়ি
-
কী? আবার তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছটা কী?
-
হ.. নাও.. এখন আবার কান্না শুরু, একটু বড় হও পিয়া..
-
এমটা আমি সামলাতে পারবোনা।
-
এখন কান্না থামিয়ে যাও খুঁজো
-
এই ঘড়ির জন্য অন্য কোন হাত খুঁজে নিও, গাধা!
-
এই, তুমিতো দারুন মেয়ে.দেখছি...
ওকে মুখের উপর গাধা বলে দিলে।
-
যাও এখান থেকে
-
দোস্ত, এখানে অনেক শোরগোল শোনা যাচ্ছে
-
ও আমাকে 'ধন্যবাদ', বলছে
কিন্তু আমি শুনছি 'যাও ভাগো'
-
আমি তোমাকে 'দূর হতেই বলেছি'
- আরে.. এতো রাগ করছো কেন?
-
তুমি কি জান? আসলে তোমার মনেও কখনো
ওর জন্য ভালোবাসা ছিলইনা।
-
কী বলতে চাইছ তুমি?
-
মানে হলো যে, ও যখন তোমার সামনে আসে তখন কখনো কি
তোমার এমন মনে হয়েছে যে, মৃদু হাওয়া বইছে..?
-
তোমার ওড়নাটা স্লো মোশনে উড়ছে..?
-
কিংবা আকাশে চাঁদ একটু বেশীই বড় হয়ে গেছে?
-
এমনটি শুধ সিনেমাতেই হয়, বাস্তব জীবনে না।
-
আরে না না বাস্তব জীবনেও হয়,
যদি মানুষের সাথে প্রেম করো তাহলে হবে,
-
... গাধার সাথে করলে হবেনা।
-
হ্যালো .. ইয়া..হ্ .. কী..?
-
হায় আল্লাহ্! ওকে, ওকে আমি আসছি.. বাই.বাই.
-
আরে, তুমি মেডিক্যালের ছাত্র তো না?
তোমার সাহায্য দরকার আমার
-
খুবই জরুরী, প্লীজ, প্লীজ..
- কী?
-
আমার সাথে চলো,... আরে তোমরা ডাক্তার রা
কি কসম খেয়েছিলে? -
-
যে রোগীকে কখনো না বলবো না
কি বলে ওটাকে, ‘নিঃস্বার্থ থাকার শপথ’
-
ভাই আমাকে সাহায্য করো,
এটা খুবই জরুরী, প্লীজ
-
তুমি আমার বোনের বিয়েতে অনুপ্রবেশ করেছিলে
আমার এনগেজমেন্ট ভেঙ্গে দিয়েছ..
-
বাবা আজ তোমার জন্য প্রেসারের ট্যাবলেট খাচ্ছে...
-
আর আমি এখানে তোমাকে সাহায্য করছি!!!
-
অবিশ্বাস্য!
-
আর এই‘নিঃস্বার্থ থাকার শপথ’টাকে তো আমি!
শালারা ভরে দিয়েছে একদম ডাক্তারদের..
-
চাচী, রাজু কোথায়..?
- টেক্সি আনতে গেছে বাবা
-
এ্যম্বুলেন্সকে দু ঘন্টা আগে ফোন করা হয়েছে..
-
আজব দেশ আমাদের, এখানে ত্রিশ মিনিটে
পিজা ঘরে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা আছে..
-
কিন্তু এ্যাম্বুলেন্স... !
-
হাসপাতালে নিতে হবে.
দ্রুত.....
-
এই থাম ওই!
-
সড়ে যাও, ইমার্জেন্সী.. সড় .. সড়..!
-
সড় .. সড়..!
-
ডাক্তার...ডাক্তার, ইমার্জেন্সী!ইমার্জেন্সী!
-
রোগী
-
এটা তুই রাখতো., ওইতো, রাজু এসে গেছে..
-
কমিন কোথাকার, বাবাকে স্কুটারে নিয়ে এসেছিস..?
-
তাহলে কি পোষ্ট করে পাঠাতাম আ..?
-
দ্যাখ বাবার পেশা নিয়ে কথা বলবি না!!
কোথায় বাবা কোথায়?...আরে..
-
ডাক্তারকে জিজ্ঞেস কর..
-
খুব কানের কাছে দিয়ে বেঁছে গেছে, পিয়া
আর দু চার মিনিট দেরী হয়ে গেলে তো লোকটা নির্ঘাত মারা পড়তো
-
খুবই ভালো করেছ, যে এ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা না করে
স্কুটারেই ওনাকে দ্রুত নিয়ে এসেছ।
-
আচ্ছা আমি এখন যাই, কোন সমস্যা হলে আমাকে ফোন করো, ওকে...বাই
-
র্যাঞ্ছ! ধন্যবাদ দোস্ত......
-
শালা দোস্ত কে ধন্যবাদ দিচ্ছিস?
ও সাইলেন্সার কি তোকে এখন ভদ্রতা শেখাচ্ছে না...?
-
ও তোকে এটা বলেনি, যে বন্ধুত্ব ই মানুষের সবচেয়ে বড় স্তন -
-
চলো চলো, এখন চলো
কাল পরীক্ষা না তোমাদের?
-
আরে পরীক্ষাতো জীবনে বহু দেয়া যাবে
কিন্তু বাবা জীবনে একটাই থাকে..
-
এখতো পোষ্ট মাষ্টার সাহেব কে সাথে নিয়েই যাবো
-
চিন্তা করিসনা..
-
র্যাঞ্ছ, আমাকে মাফ করে দে দোস্ত
আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম
-
ব্যাস..ব্যাস.... চুপ কর এখন,
-
!!!আমাকে মাফ করে দে দোস্ত!!!!...
-
ব্যাস.. চুপ...
যা, বাবাকে দেখে আয়
-
আর এমন কান্না কান্না মুখ নিয়ে যাসনে যেন.. আ..
... যা....
-
ধন্যবাদ দোস্ত!!.. যা...
01:13:03,460 --> 01:13:08,944
(বন্ধু আমাদের সে ছিলো........)
-
তোমার স্কুটারতো আজ একজনের জীবন বাঁচিয়ে দিলো
খুব সুন্দর তো!! দাম কতো?
-
চাট্নী ঢেলে দিয়ে দ্যাখ, হয়তো বলে দেবো!!
-
হেই.., শুভ স্বাধীনতা দিবস...
-
কিন্তু আজতো ১৫ই আগষ্ট না!!
-
তোমার জন্য তো স্বাধীনতা দিবস। এখন থেকে তুমি যখন চাইবে
তোমার মায়ের ঘড়িটি হাতে দিতে পারবে
-
কেউ আর বলবেনা যে ‘ কেন সেই আদ্দি কালের ঘড়ি পড়েছ’!
-
হেই...
-
তুমি কিভাবে জানলে যে ওটা আমার মায়ের ঘড়ি ছিলো?
-
বোনের বিয়েতে কোন মেয়ে যদি উপর থেকে নীচ
পর্যন্ত নতুন মডেলের পোষাক পড়ে
-
শুধু হাতের ঘড়িটাই যদি পুরোনো পড়ে থাকে..
-
তার মানেটা কী দাড়ায়?
-
সেদিন তুমি তোমার মাকে খুব মিস্ করছিলে, তাইনা?
-
হ্যাঁ
-
তোমার মা বোধহয় খুব সুন্দরী ছিলো তাইনা?
-
হ্যাঁ , তুমি কি করে জানলে?
-
তোমার বাাবা কে দেখে বুঝেছি!
-
'জীবনটাই হলো প্রতিযোগিতা. যদি তুমি দ্রুতগামী না হও..
-
তাহলে তুমিও হবে সেই কাকের বাসার ভাঙ্গা ডিমের মতো....
-
অই......
-
হাওয়া যেন গুনগুন গাইছে....!!
-
আসমানও গাইছে গুনগুন....
-
গাইছে যেন সারা দুনিয়া.....
-
জুবি.. ডু....
-
পারাম.. পাম..
-
'জুবি ডুবি পামপা রা '
জুবি ডুবি পারামপাম্....
-
জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন
-
'জুবি ডুবি পামপা রা '
জুবি ডুবি পারামপাম্....
-
জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন
-
গাছের শাখায় পাতারা গাইছে আর
ফুলেতে গাইছে ভ্রমরা
-
দিওয়ানা সূর্যটাও গাইছে আজ
আরো গাইছে পাখীরা..
-
যেন বাগিচায় দুটি ফুলের চলছে মনের লেনাদেনা
-
সিনেমায় যেমন দেখা যায় আজ হচ্ছে যেন হবহু...
-
'জুবি ডুবি পামপা রা '
জুবি ডুবি পারামপাম্....
-
জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন
-
'জুবি ডুবি পামপা রা '
জুবি ডুবি পারামপাম্....
-
জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন
-
আজ আমি আপনাদের ডুকলা তৈরীর
পাশাপাশি পুদিনার চাটনীও তৈরী করতে শেখাবো
-
এ চাটনীর অদ্ভুত একটি গুন আছে, এটি শুধু খেতেই যে
সুস্বাদু তা নয় এটি মানুষের চরিত্র বুঝতেও আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।
-
রাহুর দৃষ্টি আপনার ভাগ্য থেকে দূর হয়ে গেছে।
-
এখন থেকে আপনি গাধা কে বাদ দিয়ে
মানুষের সাথে প্রেম করতে পারবেন।
-
প্রেম করার জন্য এখন সময় অনুকূল আছে।
-
নয়া দিল্লীর তাপমাত্রা একই থাকবে
-
আকাশ থাকবে মেঘমুক্ত, কিন্তু যদি আপনি কারো প্রেমে পড়ে যান
তবে আপনার উপর অবশ্যই বৃষ্টি হবে
-
রিম ঝিম রিম ঝিম বৃষ্টিতে
হাওয়া কানে কানে বলে যায়
-
টিপ টিপ এই বৃষ্টিতেই কিন্তু আকাশে বিজলি চমকায়
-
ভেজা ভেজা শাড়ি পড়ে যখন ঠুমকা লাগালি তুই...
-
সিনেমায় যেমন দেখা যায় আজ হচ্ছে যেন হবহু...
-
'জুবি ডুবি পামপা রা '
জুবি ডুবি পারামপাম্....
-
জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন
-
'জুবি ডুবি পামপা রা '
জুবি ডুবি পারামপাম্....
-
জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন
-
আসমানের চাঁদ জমিতে নেমে
ঐ গাইছে আজ দ্যাখ..
-
টিম টিম জ্বলে তারা রা সুর মিলিয়েছে ঐ দ্যাখ
-
এই নির্জন নিরালা নিশিতে আমায় ছুঁয়ে দে আজ তুই...
-
সিনেমায় যেমন দেখা যায় আজ হচ্ছে যেন হবহু...
-
'জুবি ডুবি পামপা রা '
জুবি ডুবি পারামপাম্....
-
জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন
-
'জুবি ডুবি পামপা রা '
জুবি ডুবি পারামপাম্....
-
জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন
-
'জুবি ডুবি ডুবি ডুবি...'
... আমার পাগল মন
-
হ্যালো, উঠো...
-
কী.. কী.. চাচাজান কি উপরে চলে গেছেন নাকি?
- কী!!!
-
নারে, বেওকুফ..
-
সাড়ে আটটা বেজে গেছে, আর নয়টাতো পরীক্ষা শুরু, যেতে হবেনা নাকি?
-
আরে, ভাই, উনাকে একলা ফেলে আমরা যাই কি করে?
-
এখানে আমি রইলাম, ডাক্তারা আছেন,
মাত্র তো তিন ঘন্টার ব্যাপার
-
আমার স্কুটার নিয়ে যাও জলদি কর,
তোমাদের এমনিতেই অনেক দেরী হয়ে গেছে
-
এই......!!
-
কি সেই আদ্দি কালের পুরনো ঘড়ি পড়ে আছো..
-
যাও
-
সরি স্যার দেরী হয়ে গেছে, সরি স্যার
- একটা জরুরী ব্যাপারে আটকা পড়ে গিয়েছিলাম
-
ওখানেই বসে পড়ো
-
স্যার, দেখেছেন ওরা এখনো লিখেই চলছে..
-
হ্যালে, সময় শেষ
-
স্যার, আর ৫মিনিট স্যার, আমরাতো আধাঘন্টা দেরীতে এসেছিলাম
-
- একটা জরুরী ব্যাপারে আটকা পড়ে গিয়েছিলাম স্যার,
প্লিজ প্লিজ প্লিজ..
-
পরীক্ষক আমাদের দিকে এমন ভাবে চাইছিলেন,
যেন আমরা ওনার দুটো কিডনিই চেয়ে বসেছি
-
আমরা তারপরও লিখতে থাকি
-
আর উনি খাতা গুলো রোল নাম্বার অনুযায়ী সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
-
হয়ে গেছে, স্যার
-
আপনি দেরী করে ফেলেছেন,
আমি খাতা জমা নিতে পারবোনা।
-
স্যার, প্লিজ স্যার..
-
স্যার, আপনি কি জানেন আমরা কারা?
-
যদি প্রধান মন্ত্রীর ছেলেও হয়ে থাকো?
তাহলেও......
-
আমি তোমাদের খাতা জমা নেবনা।
-
স্যার আপনি কি আমাদের নাম এবং রোল নাম্বার জানেন না?
-
না......
-
তোমরা কারা?
-
ঐ জানেনা রে ... ভাগ .. ভাগ..ভা..গ...!
আরে.......
-
এই তোমাদের রোল নাম্বার কতো?
-
কোথায় গেলো ওদের খাতাগুলো?
-
ও ভগবান , দয়া করো...
-
আজ রেজাল্ট আউট হওয়ার ডেট। আর ফেলের ভয়ে সবাই
সকাল থেকেই ভগবানের সাথে ডিল করতে লেগে গিয়েছিলো
-
হায় ভগবান, তুই ব্যাস আমার ইলেক্ট্রোনিক্স টা সামলে নিস
ওয়াদা করছি, তোর জন্য নারিকেল ভেঙ্গে দেবো
-
নাগ দেবতা, আমার ফিজিক্সটা শুধু পাস করিয়ে দে
তাহলে প্রতিদিন এক লিটার করে দুধ দেবো তোকে..
-
গাই..মাতা... ব্যাস শুধু পাশ মার্কটা যেন পাই
-
ভগবান, মালতী আর সঙ্গীতাকে আজ থেকে নিজের
বোনের মতো দেখবো
-
ব্যাস রেজাল্ট টা সামলে দে
-
ভগবান, আমি ১০০ করে টাকা প্রতি মাসেই দেবো ভগবান
পাক্কা ওয়াদা করছি ভগবান
-
১০০ টাকায় দিয়ে তো আজকাল ট্রাফিক হাওয়ালদারকেও মানানো যায়না।
-
ভগবানকে তাহলে ঘন্টা মানানো যাবে....
-
এই দ্যাখ দ্যাখ... নীচ থেকে দ্যাখ..নীচ থেকে দ্যাখ
-
তোরটা আছে........সবার শেষে
-
আর তোরটা?
-
শেষের থেকে ২য়..
-
র্যাঞ্ছ?
-
দেখছিনারে দোস্ত
-
মনটাই খারাপ হয়ে গেলে....
-
আমরা লাস্ট হয়েছি সেজন্য না,
খারাপ হয়েছিলো কারণ আমাদের বন্ধু ফেল করেছিলো
-
অবশ্যই এখানে কিছু একটা ভুল আছে। এটা সম্ভব নয়
এটাতো... অবিচার....
-
শালা এই সাইলেন্সারের বাচ্চাটা এমন চিৎকার করছে কেন?
-
সেকেন্ড হয়েছে তাই....
- শালা
-
ফার্স্ট হয়েছে কে?
-
র্যাঞ্ছ !!!
-
র্যাঞ্ছ? শালা
-
সরতো দেখি...
-
মানুষের অদ্ভত আচরন সম্পর্কে সেদিন একটি বিষয় বুজতে পেরেছিলাম।:
-
দোস্ত ফেল করলে পরে দুঃখ হয়।
কিন্তু যদি দোস্ত ফার্স্ট হয়ে যায় তাহলে তারচেয়ে বেশী কষ্ট হয়।
-
আমরা দুঃখী মানুষ ছিলাম
কিন্তু আমাদের চেয়েও দুজন মানুষ আরো দুঃখী ছিলো
-
র্যাঞ্ছর দাস চাঁচর.
প্রথম সারিতে , পরিচালক সাহেবের ডান পাশে বসো।
-
উদয় সিন্হা । ২য় সারিতে তৃতীয় সিটে বসো।
-
অলোক মিত্তাল, ২য় সারির প্রথম সিটে বসো
-
সাহেল রায়......তৃতীয় সারি
-
স্যার এই র্যাঙ্ক অনুযায়ী বসাটাকি খুব জরুরী স্যার?
-
এতো তোমার কোন সমস্যা আছে?
-
স্যার আমারতো পুরো গ্রেডিং সিস্টেম নিয়ে প্রবলেম আছে স্যার।
মনে হয় যেন বর্ণবাদী সিস্টেমের মতো।
-
A-গ্রেডের ছাত্ররা হলো: বাদশাহ্
C-গ্রেডের ছাত্ররা হলো: গোলাম
-
এটা ঠিক না, স্যার
- তোমার কাছে কি এর চেয়ে ভালো কোন উপায় আছে?
-
হ্যাঁ আছে তো স্যার,
স্যার পরীক্ষার রেজাল্টটাকে নোটিশ বোর্ডে লাগানোরই কোন প্রয়োজন নেই স্যার
-
কারো ব্যর্থতা কারো সফলতা কে
আমরা কেন সবার সামনে তুলে ধরবো?
-
দেখুন না স্যার, যদি আপনার ব্লাড টেস্টে রক্তে হিমোগ্লোবিনের
মাত্রা কম থাকে তাহলে ডাক্তার কি করবে, আপনাকে ঔষধ দেবে ...
-
নাকি আপনার রিপোর্ট টিভিতে প্রচার করবে?
-
বুঝতে পেরেছেন তো, স্যার?
-
তো তুমি এতক্ষণ ধরে যা বললে,
তার মানে টা দাড়ালো গিয়ে...
-
যে আমি এক এক করে সবার রুমে গিয়ে
-
তার রেজাল্টটা তার কানে কানে বলে আসবো........
-
'যে আপনি ফার্স্ট হয়েছেন';
'আপনি সেকেন্ড হয়েছেন"
-
'হও আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত
আপনিতো ফেল করেছেন'
-
না স্যার, আমি আসলে ওটা বলতে চাইনি
বলতে চেয়েছিলাম, যে গ্রেড বিভাজন তৈরী করে।
-
এইতো দেখুন, আমি ফার্স্ট হয়েছি, আমি আপনার সাথে বসেছি
-
আমার বন্ধুরা লাস্ট হয়েছে তাই ওদের
পিছনে ঠেলে দিয়েছে, এক কোনায়
-
কমসে কম এক কোনায় তো আছে...
-
তোমার সাথে থাকলে তো ভবিষৎে ওরা
ফটো থেকে বেরিয়ে যাবে।
-
না পাশ করতে পারবে,
না কোন কোম্পানী ওদের চাকরী দেবে
-
চাকরী তো একটা হয়েই যাবে, স্যার.
অন্তত্য কোন না কোন কোম্পানি তো হবে যারা ...
-
মেশিন কে চাকরী না দিয়ে মানুষ কে চাকরী দেবে
-
আপনি দেখে নিবেন স্যার. চাকরী পেয়েই যাবে স্যার
আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি!
-
তুমি গ্যারান্টি দিচ্ছ?...
তুমি গ্যারান্টি দিচ্ছ?...
-
বাজী, স্যার, বাজী?
-
এ.... গোবিন্দ
- জ্বী, স্যার?
-
ওদের দুজনের মধ্যে একজনেরও যদি
ক্যাম্পাসের ইন্টারভিউ তে চাকরী হয়...
- হ্যাঁ...
-
তবে আমার মুছ কেটে দিস্.....
-
স্যার!...
-তা কি করে হয়?
-
খুশিতো?
- রেডি..... হাসুন, প্লিজ
-
খুশি, স্যার
-
ও.. .অ...কারের হর্ন বাজিয়ে শালা নিজের হর্ন ঢাকা দিচ্ছিস্
ওয়ু.....
-
শালা পঁচা ট্যংক! আবারো বড়ি খেয়েছিস তুই?
-
আমি এটা করি নি... রাজু?
-
তোর এই গরম হাওয়াকে অনেক আগে থেকেই চিনি...
-
বৈশ্বয়িক দূষণের জন্য এ কমিনটাই দায়ী...
ও...অ.......আমার আর সহ্য হচ্ছেনা...
-
দে..রে...দোস্ত তোর মানি ব্যাগ দে...
আমি প্যান্ট কিনে নিয়ে আসছি..
-
বাদ দে না... এই নে চতুর রামালিংগমের
স্যুটের প্যান্টটা পড়ে নে..
- এই...খবরদার আমার স্যুট ধরবিনা একদম
-
বাদ দে না... র্যাঞ্ছ তোকে প্যান্ট ছাড়াও চিনে নেবে
-
এই মিঃ এই ঠিকানাটা কোন দিকে?
- ভাইসাব এতো টা লেখাপড়া জানলে কি আর চানাচুর বেচতাম?
-
ওতো পড়তেই জানেনা....
- কিন্তু কথা তো বলতে পারে!
-
ভাইসাব, ভাইসাব, এখানে শিমলাতে কি
র্যাঞ্ছর দাস চাঁচর নামের কেউ থাকে..?
-
হ্যাঁ .... ঐ ওখানে থাকে..
-
মুক্ত হাওয়া যেন ও ছিলো.......
- চল...
-
উড়ন্ত ঘুড়ি যেন ও ছিলো....
-
হারালো কোথায় ...
-
ওকে খোঁজ.........
-
অই চতুর, তোর বড়ির কৌটা ধর
- থ্যংকস্. তুই কোথায় পেলি এটা?
-
পকেটেই ছিলো
- হেই,তোর সাহস কত.. এটা আমার প্যান্ট
-
আরে কোন তোর,কোনটা আমার
তা কি গীতায় লেখা আছে নাকি, ছাড়.
-
এই, প্যান্ট... খোল
- আরে কি করছিস তুই.শালা. মানুষ উল্টা পাল্টা ভাববে
-
আমার টা এক্ষুনি দে .. বলছি...
-
কি হয়েছে?
-
র্যাঞ্ছ’র বাবা.....
-
ভাইসাব,
র্যাঞ্ছর দাস কোথায়?
-
ঐতো বসে আছেন
- ধন্যবাদ
-
র্যাঞ্ছ...
- হ্যাঁ?
-
সরি, আমরা র্যঞ্ছরদাসের সাথে দেখা করতে চাইছিলাম
-
আমিই র্যঞ্ছরদাসে, বলুন
-
না, মানে.. ‘র্যঞ্ছর দাস, শ্যামল দাস চাঁচর’
-
র্যঞ্ছর দাস, শ্যামল দাস চাঁচর আমিই' বলুন
-
র্যঞ্ছর, বেটা নিজের খেয়াল রেখো
-
'র্যঞ্ছর দাস চাঁচর'
-
রাজু....
-
দোস্ত.. ইতিহাসে আমি প্রথম মানুষ যে কিনা দিল্লী থেকে শিমলা
পর্যন্ত এসেছি.... শুধু আন্ডারওয়্যার পড়ে
-
তাও আবার ভুল মানুষের সাথে দেখা করতে!
-
দোস্ত সেই নাম, সেই ডিগ্রী, আর সেই ছবি... শুধু মানুষ ভিন্ন..
-
চক্করটা যে কী তা মাথায় আসছেনা দোস্ত?
-
কিন্তু সাইলেন্সার, র্যাঞ্ছর এই ঠিকানা পেলো কিভাবে?
-
হ্যাঁ!
-
অই চতুর, ..... এদিগে আয়
- এ...... এই..........
-
তোর সাহস কত্তো তুই এটা খুলেছিস?
আমি এটা সেই স্যানফ্রান্সিসকো থেকে এনেছি
-
হাতে বানানো বিস্কুট এগুলো
-
এগুলো শুধু মিঃ ফুংসুখ ওয়াংরু সাহেবের জন্য
-
ফুংসুখ বাংরু?
সেটা আবার কে?
-
আরে বাংরু নারে... ওয়াংরু. 'W'.'W'.
ফুংসুখ ওয়াংরু
-
তোরা কি জানিস তিনি কে?
তিনি একজন মহান বিজ্ঞানী
-
তার ৪০০ টি প্যার্টান আছে।
সাড়া পৃথিবী তাকে চাইছে
-
এক বছর ধরে চেষ্টা করে তবে গিয়ে
তার সাথে এ্যাপয়েন্টমেন্ট ফিক্স হয়েছে
-
তোরা জানিস, যদি তাকে আমাদের কোম্পানির সাথে‘ডিল’করাতে রাজি করাতে পারি। আমাকে আর পায় কে?
-
এখন ওয়াংরুর কথা বাদ দে...
তার আগে বল, তুই র্যাঞ্ছর এই ঠিকানা পেলি কিভাবে?
-
তার জন্য তোদের উচিত ফুংসুখ ওয়াংরুকে ধন্যবাদ দেয়া
-
উনার ওছিলাতেই র্যাঞ্ছর ঠিকানা পেয়েছি। এই দ্যাখ..
-
আমার সেক্রেটারি ‘ট্রেসি’ গত মাসে এখানে এসেছিলো
মিঃ ফুংসুখ ওয়াংরুর সাথে দেখা করতে
-
ট্রেসি অবশ্য শেষ পর্যন্ত দেখা করতে পারেনি,
কিন্তু আমি পেয়ে গেলাম র্যাঞ্ছ কে
-
আমি শিমলার টেলিফোন ডারেক্টরি চেক করলাম,
সেখানে একটি নাম পেলাম ‘চাঁচর... র্যাঞ্ছর..দাস’
-
আরে তাহলে চেহারা কিভাবে পাল্টে গেলো?
-
তোর আসার কথা শুনে কি ও
প্লাষ্টিক সার্জারী করে নিয়েছে নাকি?
-
এই প্রশ্নের জবাব কেবল একজনই দিতে পারে,
-
সরি বাবা,
আমি তোমার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে পারিনি।
-
আপনি শুধু বলতেন যে, হরিদুয়ারে নিয়ে চল!
হরিদুয়ারে নিয়ে চল
-
কিন্তু আমি হাইওয়ের টেন্ডারটার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম।
-
ঐদিকে টেন্ডার খুললো,
এদিকে আপনি চোখ বন্ধ করে ফেললেন।
-
আমাকে ক্ষমা করো, বাবা.
আমি তোমার যোগ্য পুত্র হতে পারিনি...
-
আরে বলছিস্ কি রে দোস্ত....
-
তুই এত্তো বড় ইঞ্জিনিয়ার হয়েছিস.
দেয়ালে ডিগ্রী টাঙ্গানো আছে!
-
তুই তো সুযোগ্য পুত্র হয়েছিস.
-
বিনা অনুমতিতে আমার বাড়িতে ঢুকলে কিভাবে?... হ্যাঁ?
জেলে ঢুকিয়ে দেবো?
-
জেলে তো তুই যাবি রে শালা....
আমরা সব জেনে গেছি.
-
আইসিই এর এই ডিগ্রী দেখিয়ে তুই হাইওয়ে
কন্ট্রাক্টস্ আর হাইড্রো প্রজেক্ট হাতিয়ে নিচ্ছিস তুই.
-
এই ডিগ্রী আমাদের বন্ধুর.
তোর কাছে এলো কি করে?
-
দেড়শ একরের সম্পত্তি আমার.......
-
খুলি উড়িয়ে এক কোনায় পুতে রাখলে
কেউ ঘূণাক্ষরও জানতে পারবেনা।
-
জবাব পেয়েছিস...?
-
যা, জান নিয়ে ভাগ এখান থেকে
-
বাবার অস্থি নিয়ে হরিদুয়ার যাচ্ছিলাম
তোরা বললে তোদের হাড্ডিও সাথে নিয়ে যাবো
-
বাবা কে ওঠা!
-
ওদিগে, ওদিগে
-
বাবা কে ছাড় বলছি!
-
বল আসলে কে তুই তা নইলে এখানে
তোর বাবার অস্থি বিসর্জন করে দেবো
-
বাবাকে আমার কাছে দে.
- বাবা গঙ্গায় না নর্দমায় যাবে...
-
এই... বাবাকে কমোড থেকে বাইরে আন, বাইরে আন বলছি
- তুই যদি ট্রিগার চাপিস, তবে আমি ফ্লাশ চেপে দিবো.
-
দ্যাখ. আমি তিন পর্যন্ত গুণবো......
-
আরে কাকে ভয় দেখাচ্ছিস রে...? হ্যাঁ.. চালা গুলি
রাজু, দে ভাসিয়ে ওর বাবাকে
-
১
-
আমরা তো দোজখে যাবোই,কিন্তু সেই সাথে তোর
বাবা কেও নর্দমায় ডুবিয়ে দিয়ে যাবে, বুঝেছিস
-
২
-
তখন তুই নিজে নর্দমায় ডুবিয়ে ডুবিয়ে
তোর বাবাকে খুজে বের করে নিস
-
কি হয়েছে, রাজু?
-
আমরা ভুল লোটা নিয়ে চলে এসেছি.
এটাতো খালি!
-
খালি?
-
খালি - খালি করে দেবো! খালি করে দেবো!
- আমি বলছি খালি করে দেবো
-
না না না, না!
-
খালি করে দেবো, আমরা খালি করে দেবো..কিন্তু
- আমি বলছি খালি করে দেবো
-
না.না.... হ্যান্ডস আপ!
-
নে এবার বল?
বল কে তুই?
-
আরে আমি র্যাঞ্ছর দাস রে ভাই
-
এই...... বাবার কসম খেয়ে বলছি, .
বাবার কসম খেয়ে বলছি, সত্যি করে বলছি রে ভাই
-
আমিই র্যাঞ্ছর দাস রে ভাই!
আর ও তো ছিলো ‘ছোট’.
-
‘ছোট’.?
-
ও আমাদের মালির ছেলে ছিলো, সাবই ওকে
‘ছোট’ নামে ডাকতো
-
ওর মা বাবা মরার পরও বাবা ওকে ঘরে থাকতে দিয়েছিলো
-
ঘরের ছোট খাট কাজ করতো, এই ধর পর্দা বদলানো
ডিম, রুটি আনা, কাপড় ইস্ত্রি করা
-
পড়াশুনার খুব শখ ছিলো
-
ও আমার পুরনো ইউনিফর্ম পড়ে আমার স্কুলে ঢুকে পড়তো
-
যে ক্লাস পছন্দ,সেখানেই গিয়ে বসে যেতো.
-
আমি এটার ফায়দা লুটতাম, ওকে দিয়ে আমার বাড়ির কাজ
করিয়ে নিতাম, আর পরীক্ষার খাতাও ওকে দিয়ে লিখাতাম
-
আমার তো ভালোই চলছিলো,
কিন্তু একদিন........
-
মাষ্টার সাহেব দেখলেন যে ক্লাস সিক্সের এক বাচ্চা
ক্লাস টেনের অংক সমাধান করছে।
-
কোন ক্লাসে পড় , বেটা?
-
নাম কি তোমার?
-
আমরা ধরা পড়ে গেলাম।
-
বাবা অনেক গন্যমান্য ছিলো, তাই...
-
মাষ্টার সাহেব বিষয়টি প্রিন্সিপাল সাহেবের
আগে বাবাকে নানোই ক মনে করেছিলেন
-
শুরু যখন তুমিই করেছ, তো শেষটাও তোমাকেই করতে হবে
-
পুরো হিমাচলে লোকে আমাকে সালাম ঠুকে চলে
-
আর আমি ঘুরতেই আমার পিঠের পিছনে...
-
আঙ্গুলটিপ দেয়া মূর্খ বলে গালি দেয়।
-
আমার ছেলের সাথে আর এমনটি হবেনা।
-
ওর শুধু বিদ্যা চাই.
আর আমার চাই কেবল ডিগ্রী
-
যেমনটি চলছিলো তেমনটি চলতে দিন
-
ইঞ্জিনিয়ার বানান এই ছোকড়াকে
-
রর্যাঞ্ছর দাসের নামের ডিগ্রী
ওখানে... ঐ দেয়ালে চাই আমার
-
আমি ৪ বছরের জন্য লন্ডন চলে গেলাম,
আর ও আমার নামে আইসিই তে পড়তে থাকলো
-
বাবার সাথে চুক্তি ছিলো,যে ডিগ্রী পাওয়ার পর
আইসিইর কোন লোকের সাথে জীবনেও যোগাযোগ করবেনা।
-
ও সবসময়ই বলতো,আমিতো যোগাযোগ করবোনা
'কিন্তু একদিন ২ ইডিয়েট আসবে আমার খোঁজে'
সেদিন তোমরা কি করবে?
-
খুব মিস করে তোমাদের দুজনকে
-
আমি ঠিকানা দিচ্ছি,
যাও ওর কাছে
-
কিন্তু আমার এই গোপন কথাটা কাউকে বলোনা ভাই..প্লিজ
-
গোপন কথা যেন কি?
-
বাবুজি, আপনি ভুল লোটা নিয়ে এসেছেন
বড় সাহেব তো এটাতে...
-
এই হচ্ছেটা কি আমাকে বলতো?
এই বন্দুকওয়ালা লোকটা কে?
-
কাহীনি অনেক জটিল.
তাও আবার সাবটাইটেল ছাড়া. তুই বুঝবিনা।
-
বাদ দে, তুই বাদ দে...
- আমরা যাচ্ছিটা কোথায়?
-
লাদাখ
-
লাদাখ! কেন?
-
র্যাঞ্ছর সাথে দেখা করতে
-
ও কি লাদাখে থাকে? ওখানে কি করছে?
-
জানিনা, কিন্তু এটা কোন একটি স্কুলের ঠিকানা।
-
স্কুল টিচার...উুঁ .উুঁ.. মাষ্টার সাব!
-
আমি হলাম রকলেজ কর্পোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট.. আর ...ও
-
A তে আপেল, B তে বল পড়াচ্ছে.....
-
D তে গাধা হয়.. শালা
-
আগামী সপ্তাহে মিঃ ওয়াংরু সাহেবের সাথে মিলিওন
ডলারের ডিল সই করবো আমি
-
আর ও কি পড়াবে...A তে আপেল, B তে বল .......
-
আজ ঐ কমিন শালা র্যাঞ্ছটার জন্য সম্মান আরো বেড়ে গেলো
-
আমরা সবাইতো কলেজে কেবল ডিগ্রী পাবার জন্য যেতাম
-
ডিগ্রী না পেলে চাকরী পাবো না....
চাকরী না হলে , কোন বাপ তার মেয়ে দেবেনা...
-
ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড দেবেনা, দুনিয়া সম্মান করবে না
-
কিন্তু ঐ শালা কলেজে ডিগ্রীর জন্য নয়
-
শুধুই পড়তে গিয়েছিলো
-
না ওর লাস্ট হবার ভয় ছিলো
না ছিলো ফাস্ট হবার লোভ
-
চাঁদের মাটিতে প্রথম কে পা রেখেছিলেন?
-
নীল আর্মস্টং, স্যার
-
অবশ্যই, অবশ্যই আমি তা জানি যে নীল আর্মস্টংই ছিলেন,
আমরা সবাই জানি সেটা
-
কিন্তু ২য় কে ছিলেন?
-
তোমার সময় নষ্ট করোনা.
এটি মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয়
-
কে ২য় হলো না হলো তাকে পৃথিবী কখনই মনে রাখেনা।
-
আর ২মাস পরে ২৬টি কোম্পানি এই ক্যাম্পাসে আসবে
আপনাদের চাকরির অফার নিয়ে
-
তার মানে হলো আপনাদের ফাইনাল পরীক্ষার পূর্বেই
আপনাদের চাকরী আপনাদের হাতে থাকবে।
-
এটাই আপনাদের শেষ চক্কর, আমার বন্ধুরা
-
তাই সব জোর দিয়ে চাপ দাও পেডেলের উপর
এক্সিলেটরে চাপ দাও......
-
এখান থেকে বেরিয়ে যাও!আর ইতিহাস তৈরী কর।
-
কোন প্রশ্ন?
-
বলুন?
-
স্যার, আাঁমম...ম...ধরি কোন ছাত্রের চাকরী হয়ে গেলো......
-
কিন্তু ফাইনাল পরীক্ষায় ১/২ নাম্বারের জন্য ফেল করে ফেলল্
তাহলে কি চাকরীটা থাকবে..... না.কি..?
-
খুবই ভালো প্রশ্ন।
-
আর কেউ আছেন যার মনে এধরনের প্রশ্ন উঠে?
-
যেমনটা ভেবেছিলাম..
-
প্লিজ আপনারা স্টেজে চলে আসুন.
উনাদের জন্য জোড়ে কড়তালি.....
-
গত চার বছর যাবৎ....
-
উনারা আইসিই’র সবচেয়ে অটল ছাত্র হয়ে আছেন
-
কারণ হলো উনার বরবরই সকল পরীক্ষায় লাস্ট হয়েছেন
-
এসো আমার জিনিয়াসেরা, এসো,
-
এই দুজন জিনিয়াসের ব্রেন যদি আমরা বের
করে বাজারে বিক্রী করে দেই,
তাহলে অনেক ভালো দাম পাবো
-
'কারণ হলো এগুলো অব্যবহৃত ব্রেন,
কখনও ব্যবহারই করা হয়নি
-
সে যাই হউক আমি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিচ্ছি -
-
উনাদের পাশ করা বা ফেল করার সাথে
উনাদের চাকরীর কোন সম্পর্ক নেই
-
কারণ উনাদের তো চাকরীই হবেনা!
আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
-
উনাদের নাম, সোনার হরফে লিখা হবে -
-
'ফারহানাইট্রেট' এবং 'প্রিরাজুলাইজেশন'
-
উনাদের জন্য একটি জোড়ে কড়তালে হবে,
please, everybody
-
শালায় পুরো ধর্ষন করে দিয়েছে! সাময়িক ধর্ষন.. বুঝলি
-
তাও আবার সবার সামনে
-
খোদা, আমি নিরামিষি হয়ে যাবো,
হাজারটা আগরবাত্তি জ্বালাবো,
-
ব্যাস একটি কাজ করে দে..
-
ভাইরাসকে এই দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নে!
-
জাহান্নামে জ্বালা ওকে
-
গরম তেলে ওকে সিঙ্গারা ভাঁজা ভাঁজ খোদা........
-
এ...ই... খোদাকে.. খুনের কন্ট্রাক্ট দিচ্ছিস নাকি?
-
অই শালা তুই চুপ থাক
-
শালা, প্রতি বছর তুই ভাইরাসের সাথে
মাঝখানে বসে ছবি তুলিস
-
আমরা কোন মতে এক কিনারে...
-
এই বছর তো বোধহয় ছবি থেকে বাদ ই না হয়ে যাই।
-
অই.... জানিস আমি ফার্স্ট হই কেন?
- কেন?
-
কারণ আমার প্রেম হলো মেশিনের সাথে
-
ইঞ্জিনিয়ারিং হলো আমার আসক্তি, আসক্তি
-
আর তোর আসক্তি কী জানিস?
-
আবে ওটা আমার ব্যাগ
- এই চুপ থাক
-
তুই করছিসটা কী র্যাঞ্ছ?
01:40:02,900 --> 01:40:05,100
আবে.... আরে.....
-
তোর আসক্তি হলো .. এটা ,, এটা..
-
এই চিঠি গিয়ে পোস্ট কর
-
কিন্তু কীষের চিঠি ওটা?
-
৫ বছর আগে ও এই চিঠি লিখেছিলো
ওর ফেভারিট ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফারকে
-
আন্দ্রে.....
- ইস্তেভান....
ইস্তেভান
-
তার কাছে গিয়ে, হাঙ্গেরী গিয়ে কাজ শিখতে চেয়েছিলো ও
-
কিন্তু ওর বাপ, ঐ হিটলার কোরেশীর ভয়ে
চিঠি কখনো ও পোস্ট ই করেনি
-
আরে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়, আর ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার হ্
-
কাজ সেটা কর যেটাতে তোর মেধা আছে।..
-
যদি লতা মঙ্গেশকারের বাবা যদি উনাকে বলতো
ফার্স্ট বোলার হওয়ার জন্য...
-
কিংবা যদি শচীন টেন্ডুলকারের বাবা তাকে বলতো
যে তুই শিল্পী হয়ে যা...
-
তাহলে ভাব আজ তার কোথায় পড়ে থাকতো
-
কিছু বুঝতে পারছিস? আমি কী বলছি?
-
শালা, প্রেম করছে জানোয়ারের সাথে
আর বিয়ে করছে মেশিনের সাথে
-
বাবা র্যাঞ্ছর দাস!!!!!!
-
আমার গার্ল ফ্রেন্ড আর স্ত্রী দুটোই ইঞ্জিনিয়ারিং
-
তাহলে আমি কেন লাস্ট হই?
- এবার বল..
-
'কারণ তুই ভীতু,
ভীতুর ডিম
-
এই দ্যাখ ওর হাত দ্যাখ -
আঙ্গুলের চেয়েও আঙটি বেশী হাতে দিছে
-
একটি পরীক্ষার জন্য - একটি বোনের বিয়ের জন্য
আরেকটা চাকরীর জন্য
-
আরে ভবিষৎ নিয়ে যদি এতো ভয় পাস,
তাহলে কি ঘোড়ার ডিম বাঁচবি?
-
আর ফোকাস করবি কিভাবে বর্তমানের উপর?
-
আজিব দোস্ত পাইছি! এক শালা ডরে ডরে বাঁচে
আরেকটা শালা মরে মরে বাচেঁ
-
এই আর তুই তো শালা দুটোই করিস
- ডর ও পাস্ আর মরিস ও
-
এই.. আমি ডরাইনা...
- এ..এই. শোন না ও না পিয়ার জন্য মরে কিন্তু বলতে ডরায়
-
অ্যাঁ..... হ্যাঁ... হ্যা.....!
আরে যা যা..
-
ফ্রী উপদেশ দেয়াটা খুবই সোজা মাম্মা...,
কিন্তু করাটা মুশকিল
-
যদি সাহস থেকে থাকে? তো গিয়ে পিয়াকে বল...বল...
-
কি রে তোরা কোথাকার কথা কোথায় কানেকশন করছিস!
- ফুল কানেকশন আছে বাবা.........
-
আমার কথা শোন, আমার কথা শোন,
যদি তুই গিয়ে পিয়াকে নিজের মনের কথাটা বলতে পারিস..
-
তাহলে আমিও গিয়ে আব্বাকে বলবো যে,
আমি ফটোগ্রাফার হতে চাই, ইঞ্জিনিয়ার না
-
আমিও আমার আংটি খুলে ফেলে ইন্টাভিউ দিতে যাবো
-
নে বল?
-
বল সাহস আছে কিনা?
-
বাবার বলা বন্ধ হয়ে গেছে বলবেটা কী?....
-
চল
-
চল
- কোথায়?
-
চল.....
- কই....?
-
ভীরু... দ্যাখ আমরা এসে গেছি ভীরু
-
এই দ্যাখ দ্যাখ কোন কুত্তা টুত্তা নাইতো আবার?
-
এই ভীতু! আমি ডরাই না চল!
-
এই তোরা ঢুক,
বাইরে কোন বিপদ আসলে আমি ভাইরাস এলার্ট দেবো
ওয়াও..ওয়াও..ওয়াও..ওয়াও..ওয়াও..
-
শালা ভাইরাস ... বুড়ো
-
এই আমি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দেবো?
-
পিয়া
- কে?
-
হুস্সসসস.......
চিৎকার করোনা, আমি র্যাঞ্ছর দাস চাঁচর
-
২ মিনিট আমার কথা শোন,
তার পর আমি চলে যাবো
-
কিছু বলো না.......
-
পিয়া!!
-
তোমার সাথে সেদিনের সেই স্কুটারে কাটানো ২২ মিনিট
-
আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরনীয় ২২ মিনিট ছিলো, চুম্মা
-
আমি আমার পুরো জীবন
তোমার সাথে স্কুটারে কাটাতে পারি
-
ওয়াও....
-
... সময় যেন কাটেনা......
-
জান, তুম রোজ নববধুর সাজে
স্কুটারে করে আমার স্বপ্নে আসো
-
ঘোমটার জায়গায় নিজের হেলমেট উঠাও
-
আর আমাকে চুমো দিতে আমার কাছে চলে আসো
-
কিন্তু সে চুমু দেয়াটা হয়ে উঠতে পারেনা।
-
কেন?
-
কারণ নাক মাঝে চলে আসে,
আর আমি জেগে যাই।
-
নাক মাঝখানে আসেনা, স্টুপিড!
-
আমি সরি,
আমি ভেবেছিলাম তুমি পিয়া..
-
ইস্... যদি হতাম.....
-
দিদি, মাঝখানে কেন থামালে?
-
৪ বছর লাগলো ওর এইটুকো বলতে
-
পিয়া, ওকে চুমু দিয়ে বুঝিয়ে দে যে,.
নাক মাঝখানে আসেনা।
-
আমি অনুমতি দিচ্ছি তোকে,
চুমু খা ওকে...ইস... ও কি চমৎকার!!
-
উনি কে?
- দিদি
-
তুমি কে?
-
জান, যখন তুমি কথা বলছিলেনা
ছেলে তখন লাথি মেরেছে, প্রথমবার!
-
ছেলে? তুমি কিভাবে জানলে যে ‘ছেলে’ না ‘মেয়ে’?
-
বাবা জ্যোতিসি কে জিজ্ঞেস করেছিলো যে,
ঘরে ইঞ্জিনিয়ার আসছে না ডাক্তার
-
মানে?
-
ছেলে হলে ইঞ্জিনিয়ার, মেয়ে হলে ডাক্তার!
-
ঐ বাছা, তুই ভেতরেই থাক, বাইরে বহুত সার্কেস চলছে
-
ঐ সার্কেসের রিং মাষ্টার আছেনা তোর নানা.
সে চাবুক ঘুরাবে আর বলবে.. -
-
'দৌড়াও! জীবন মানেই প্রতিযোগিতা....
দৌড়াও.... ইঞ্জিনিয়ার হও..'
-
কিন্তু তুই তাই করিস. তোর মনে যেটা চায়....
তোর নানা যদি ভয় দেখায়..না.....
-
তোর নিজের হৃদয়ের উপর হাত রাখবি
আর বলবি, 'All is well'(সব ঠিক আছে)
-
হুও... আবার লাথি মেরেছে...
-
আবারও বল 'All is well'(সব ঠিক আছে)
-
'All is well'(সব ঠিক আছে)
-
মেরেছে, পিয়া,, আবারও মেরেছে... পিয়া..
-
বল...'All is well'(সব ঠিক আছে)
-
'All is well'(সব ঠিক আছে)
-
কে?
-
যাও
-
আব্বাকে চিঠি দিস্ এই নে
আমাদের তরফ থেকে pee-mail
-
কবুতর যা.. যা...কবুতর যা.. যা...যা...!
01:46:59,100 --> 01:47:04,100
কে?কে..এ..এ...?
-
- কেরে?
- তোর হবু মেয়ে জামাই শালা ভাইরাস
-
আর বরযাত্রী..
-
রাস্তগী...!
-
সিকিউরিটি, ও দিকে.. ওদিকে...
-
তো তোমরা ইতিমধ্যে সরল পেন্ডুলাম সম্পর্কে জেনেছ
-
এখন আমরা পড়বো জটিল পেন্ডুলাম নিয়ে
-
It's an irregular object
oscillating about its own axis
-
আমি তোমাদের উদাহরণ দিচ্ছি
-
এটা কি?
- পেন্সিল
-
কিষের ভেতরে আছে?
- সীসা
-
বেশ, সীসা রয়েছে তাহলে পেন্সিলের কোন অক্ষ বরাবর..
-
Even you can be a compound
pendulum, if you oscillate about...
-
রাজু রাস্তগী কোথায়?
- উপস্থি, স্যার
-
হায়... সবাই আছে দেখছি এখানে
-
শুভ সকাল, স্যার
-
গতকাল রাতে তুমি কোথায় ছিলে?
-
স্যার, পড়াশুনা করছিলো স্যার,
- সারা রাত জেগে পড়াশুনা করছিলো স্যার
-
সত্যিই?
-
হ্যাঁ স্যার, দু রাত ধরে ঘুমায়ইনি তাই এমন দেখাচ্ছে স্যার..
-
কী সব বলছিস্?
-
কী পড়ছিলে শুনি?
-
আ...ম.....
- আবেশন মটর, স্যার, আবেশন মটর
পুরো চ্যাপ্টার পড়ে ফেলেছে স্যার, আবেশন মটর
-
পুরো চ্যাপ্টার পড়েছি নাকি?
-
এ ব্যপারে, মিঃ রাজু রাস্তগী...
-
ইয়েস.....সার!
-
তুমি কি আমাদের বলতে পারবে যে,
আবেশন মটর কিভাবে স্টার্ট নেয়?
01:48:56,900 --> 01:49:04,900
ব্রওম...... ব্রও.............!!!!!!!!!!!!!
-
থামো
-
স্যার, মদ
-
মিঃ রাস্তগী.....
-
আমার অফিসে চলুন এক কাপ চা খাবেন...
-
স্যার?
-
দরজা বন্ধ করে দিন
-
টাইপ করতে পারো কি?
-
হ্যাঁ, স্যার
-
আমার জন্য একটি চিঠি টাইপ করতে পারবে?
-
অবশ্যই, স্যার
-
আসুন, বসুন
-
স্যার, আমি সরি স্যার ...
-
দয়াকরে টাইপ করুন.
-
প্রিয় জনাব.....
-
আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে আপনাকে জানাচ্ছি যে...
-
আপনার পুত্রকে বহিষ্কার করা হচ্ছে...
-
না, না, সরি, ডিলেট কর
আবার লিখ, আবার লিখ
-
আপনার পুত্র, মিঃ রাজু রাস্তগী......
-
কে ‘ইম্পেরিয়াল কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং ’
থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে
-
লিখ, লিখ, লিখ,
-
এটা শুনলে, বাবা আর বাঁচবেনা, স্যার
-
প্লিজ টাইপ
- স্যার, প্লিজ স্যার
-
আমার সিদ্ধান্ত হলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং অটল সিদ্ধান্ত
-
বাবা আজো বেঁচে আছেন এই আশা নিয়ে
যে আমি একদিন ইঞ্জিনিয়ার হবো
-
এই কথাগুলো আমার দরজায় হিস্যু করার
আগেই ভাবা উচিৎ ছিলো
-
স্যার, আরেকবার সুযোগ দিন স্যার..প্লিজ ...
আর একটিবার মাত্র সুযোগ দিন স্যার..প্লিজ ..স্যার
-
ঠিক আছে, চিঠি থেকে তোমার নাম মুছে ফেলো
-
র্যাঞ্ছর দাস ছাঁছরের নাম ঢুকিয়ে দাও
-
আমি জানি যে গতকাল রাতে ও তোমাদের সাথে ছিলো
-
আর প্রতক্ষ্যদর্শী সাক্ষী হয়ে যাও, তাহলে আর
তোমাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হবেনা।
-
চিন্তা করার জন্য তোমার কাছে আর
সাড়ে সাত মিনিট আছে......।
-
চলে যেতে দেবোনা তোকে...........
-
দেবোনা তোকে হাড়িয়ে যেতে.......
-
খোদাও যদি ডাকে তোকে....
-
আমরা তবুও ভয় পাবোনা....
-
সব বিপদের সাথে লড়বো আমরা.....
-
যতই তুই লুকানোর চেষ্টা করিস......
-
তোর যত শক্তি আছে সব দিয়েও যদি চেষ্টা করিস..
-
এমনি এমনি তোকে যেতে দেবোনা আমরা...
-
চলে যেতে দেবোনা তোকে...........
-
দেবোনা তোকে হাড়িয়ে যেতে.......
-
র্যাঞ্ছ, ঐ মনিটরকে দ্যাখো...
-
রাজু
-
ওর শরীর শক এর জন্য প্যারালাইজড হয়ে গেছে
কিন্তু মন ঠিক আছে
-
ও আমাদের দেখতে পারছে, শুনতে পারছে
চাচী, প্লিজ ওর সামনে কাঁদবেন না
-
ওর সাথে নরমাললি কথা বল,
মটিভেট করার চেষ্টা করে, কৌতুক শুনাও, খুশি রাখ
-
ওই রাজু, একটা ভালো খবর আছে দোস্ত.
তোর বাবার অসুখ সেড়ে গেছে
-
ঐযে নতুন যে ঔষুধটা না ওটা কাজ করে ফেলেছে
-
রাস্তগীর পরিবারের প্রথা নাকি রে তোদের.. -
-
ঘরের এর মরদ উঠলে,
আরেক জন শুয়ে পড়বে?
-
নে, চল এবার উঠে পড়
-
পিয়া স্কুটার চাইছে তোর বাবা...
-
তুই কি বলিস দিয়ে দেবো কি?
লাগিয়ে দেবে নাতো কোথাও? হ্যাঁ
-
এই রাজু, ফারহান ওয়েব ক্যামে তোকে কি যেন বলবে
সরাসরি হোস্টেল থেকে
-
এই দ্যাখ ভাইরাস তোর সাসপেনশন বাতিল করে দিয়েছে
-
সমস্যা শেষ... নে এবার তো উঠে পড়
-
এখন সব সমাধান হয়ে গেছে!
ওই শুনছিস?
-
জাগ না রে রাস্তগী
-
দু দিনের এই পথ চলা
-
দু দিনের ছোট্ট এ জীবন
-
একটু চলেই থামবি কেন বল?
-
শুনলি তো এলে দুঃখের রাত্রি
-
এক সাথে জেগে কাটাবো
-
দোস্তদের সাথে মান করিস শালা কেন.
-
চলে যেতে দেবোনা তোকে.........
-
দেবোনা কভু হাড়িয়ে যেতে......
-
চলে যেতে দেবোনা তোকে.........
-
দেবোনা কভু হাড়িয়ে যেতে......
-
এই দ্যাখ, মা নতুন শাড়ী কিনেছে, নতুন শাড়ী
- একবারে নতুন
-
পুরো ২০০০/- টাকার বেটা
-
ওই এবার তো উঠ শালা
-
আরে একটা না, দশটা শাড়ী কিনেছে দশটা
-
দ্যাখতো.....!!!!!!!!
-
ওই....ওই রাজু......!
-
রাজু ... বলনা কেমন লাগছে ....?
-
মা চিঠিতে কি লিখেছিলো...
-
তুই যুগ যুগ বেঁচে থাক এইতো বলেছিলো
-
চার দিনও বাঁচতে পারলিনা তুই........
-
দোস্তদের দিকে তো একবার তাকাবি...
-
একবার ব্যাস একটু হাঁসি দে
-
উঠরে শালা এতো জ্বালাচ্ছিস কেন?...
-
আরে তুই শুনেছিস কম্মোর কথা?
-
আরে কম্মোর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে
-
তাও আবার যৌতুক ছাড়া
-
ওই বরের মারুতি ৮০০ চাইনা....
ওর কিচ্ছুই চাইনা
-
শুধু কম্মো কে চায় কম্মোকে?
- হ্যাঁ
-
আরে.. আর তুই কি জানিস দুলা মিয়া কে!
- হ্যাঁ
-
আরে অনুমান করনা
-
তুই দুলা মিয়া কে খুব ভালো করেই চিনিস
- হ্যাঁ
-
তার জানোয়ারদের সাথে খুব ভাব
- হাঅ্যাঁ...?
-
আর সে ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার হতে যাচ্ছে
-
আবে চুপ কর.... এবার.. কী, করিছিস টা কী রে?
-
তাও চিনিস নি? আরে আমাদের ফারহান, দোস্ত...
-
আরে আমাদের ফারহান কি আর
আমাদের থেকে যৌতুক নেবে? হ্যাঁ...
-
আরে ফারহান করবে তোর বোনকে বিয়ে, ফারহান...
-
তাও আবার ফ্রী! ফ্রী! ফ্রী!
-
এ... এ...ই... এই....!
রাজু...এ..!!! এই.. রাজু....রা.. রাজু...
-
শালাকে এক কেজি ঢেড়শ আর আধা কেজি
পণির ফ্রী দিয়ে দিলেও শালা জেগে উঠতো
-
আমাকে কোরবানি করার কি দরকার ছিলো... !
-
ওয়েল ডান, দোস্ত
-
সব ফিক্স হয়ে গেছে - তোর বোনের বিয়ে ফিক্স হয়ে গেছে
ফারহান করবে, ওকে ডান..
-
র্যাঞ্ছ!!!!!!
-
কমিন শালা........ আর কত্তো মিথ্যে বলবি.....!!!
-
বেচেঁ গেছে তোর শালা!
-
চলে যেতে দেবোনা তোকে.....
-
দেবোনা.... তোকে .. চলে যেতে.....
-
চলে যেতে দেবোনা তোকে.....
-
দেবোনা.... তোকে .. চলে যেতে.....
-
চলে যেতে দেবোনা তোকে.....
দেবোনা.... তোকে .. চলে যেতে.....
-
('ঢেড়শের কেজি ১২ টাকা')
-
আপনি ট্যাক্সি ডেকেছিলেন?
-
আমি ডেকেছি
- বাইরে দাড়িয়ে আছে
-
ধন্যবাদ.
কেন?
-
চাকরীর ইন্টাভিউয়ের জন্য যেতে হবে
-
আচ্ছা তুই যাচ্ছিস আমার সাথে?
-
না. তোকে তোর বাসায় নামিয়ে দেবো
আর আমি চাকরীর ইন্টারভিউয়ের জন্য যাবো
-
শালা আমি ঘরে যাবো কেন?
-
ভুলে গেছিস, এই কমিনটা কে কী কথা দিয়েছিলাম!
-
দে, তোর টাই দে...
-
কেন?
-
দিয়ে দাও, আমার মনে হয়না যে তুমি এটা
পড়ার পরেও ইন্টারভিউ দিতে যেতে পারবে
-
কি এটা?
-
চিঠি
- তোর কাছে এসেছে, হাঙ্গেরী থেকে
-
কে একজন ফটোগ্রাফার আছে, আন্দ্রে ইস্তেভান
-
শালা তোরা আমার চিঠি পোষ্ট করে দিয়েছিলি?!
-
তোর তোলা ছবিগুলো ওর খুউব পছন্দ হয়েছে
-
পাগল হয়ে গেছে শালা.. তোকে এ্যাসিস্ট্যান্ট বানাতে চায়..
-
এক বছরের জন্য ব্রাজিলের রেইন
জঙ্গলে কাজ করার জন্য ডেকেছে,
-
বলছে তোকে বেতনও দেবে..
-
আব্বা রাজি হবেন না
-
যা ওনাদের কাছে...
ভালো ভাবে বোঝা ওনাদের
-
আজ ভয় পেলে চলবেনা ফারহান...
-
নয় তো ৭৫ বছর পর তুই বুড়ো হয়ে এমনি কোন এক
হাসপাতারে পড়ে থাকবি, মরার অপেক্ষায়.. সেদিন তুই ভাববি....
-
যে, ইস্... চিঠি হাতেই ছিলো... ট্যাক্সি গেটে দাড়ানো ছিলো...
-
যদি আরেকটু সাহস করতে পারতাম তাহলে
শালা জীবনটাই বদলে যেতে পারতো
-
কী মনে হয় তোমার ? ওর পছন্দ হবেতো?
-
এতো দামী জিনিষ কেনার কী দরকার ছিলো?
-
আজ সাহেবজাদার চাকরী হতে যাচ্ছে
-
এখনতো মাথা উঁচু করে গর্বে সাথে ঘুরার দিন আসছে
আর তুমি কিনা কিপ্টেমি করছো?
-
আরে .. ফারহান...?
-
ফারহান...... আজ তোমার ইন্টারভিউ ছিলো না?
-
আমি যাইনি!!
-
আমি ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইনা আব্বা!
-
কি হয়েছিল?
আপনার কি কোন এ্যাকসিডেন্ট হয়েছে?
-
স্যার, এ্যা..ম...? ঐ .. সামনে যে বিল্ডিংটা দেখছন স্যার
আমি, আমি ওটার থার্ড ফ্লোর থেকে লাফ দিয়েছিলাম স্যার!
-
কেন?
-
কারণ আমাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছিলো
-
কেন?
-
স্যার, আমি মাতাল অবস্থায় পরিচালক সাহেবের দরজায় পেশাব করেছিলাম।
-
ঐ শয়তান র্যাঞ্ছর ভূত এখনও তোমার মাথা থেকে নামেনি?
-
আমি বুঝিনা ইঞ্জিনিয়ারিং.
ইঞ্জিনিয়ার হয়ে গেলেও, খুব খারাপ ইঞ্জিনিয়ার হবো আব্বা
-
র্যাঞ্ছ খুব সহজ ভাষায় কথা বলে -
যে কাজ করতে আনন্দ পাও তাকেই নিজের পেশা বানাও..
-
তখন কাজ আর কাজ মনে হবেনা। খেলা মনে হবে।
-
আরে কত কামাই করতে পারবে ঐ জঙ্গলে?
-
আব্বা বেতন খুব বেশী না, কিন্তু শেখার অনেক কিছু পাওয়া যাবে ওখানে
-
৫ বছর পর...
-
যখন নিজের বন্ধুদের গাড়ী কিনতে দেখবে, বাড়ী করতে দেখবে,
তখন নিজেই নিজেকে ধিক্কার দেবে।
-
ইঞ্জিনিয়ার হলে আমি হতাশ হয়ে পড়বো,
তখন জীবন ভর আপনাকে ধিক্কার দেব
-
তার চেয়ে তো সেটাই ভালো হবে, যে আমি নিজেই নিজেকে ধিক্কার দেব বাবা
-
আরে সমাজের লোক হাসবে!
-
বলবে যে ফাইনাল ইয়ারে এসে ছেড়ে দিয়েছে,
-
আমাদের কাপুর সাহেব বলছিলো যে, আপনি তো ভাগ্যবান যে
আপনার ছেলে আইসিই তে পড়ে! তিনি কী ভাববেন?
-
কাপুর সাহেব তো আমার রুমে এসি লাগিয়ে দেয়নি।
-
আমাকে আরামে শুইয়ে সে নিজে গরমের মধ্যে শুয়ে থাকেনি
-
নিজের কাঁধে চড়িয়ে কাপুর সাহেব আমাকে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে নিয়ে যায়নি।
-
ওসব আপনি করেছিলেন, আব্বা!!
-
আপনি কী ভাবছেন তাতে আমার অনেক কিছু যায় আসে!
কাপুর সাহেব কী ভাবছেন না ভাবছেন তাতে আমার কিচ্ছু আসে যায়না!!
-
আরে আমিতো তা নামের প্রথম অংশটা যে কি তাও জানিনা।
-
সিনেমা দেখে এসেছ? নাটক করছ?
-
থাম না ...... বেচারা পেরেশান..... হয়ে আছে...
-
খোদা না করুন, রাজুর মতো যদি কিছু করে বসে তো...
-
তাহলেতো আলোচনাই শেষ হয়ে যাবে না?..
-
সাহেবজাদা কে কিচ্ছু বলা যাবেনা, বললে ছাদে থেকে লাফ দেবে
-
না আব্বা, আমি আত্মহত্যা করবোনা। আমি ওয়াদা করছি।
-
ঐযে র্যাঞ্ছ আছেনা যাকে আপনি শয়তান বলেন, ও জোর করে
আপনার আর আম্মার ছবি মানিব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়েছে
-
বলছিলো যে, ওয়াদা কর যখনই মনে ভেতর এমন স্টুপিড খেয়াল হবে......
-
তখন এই ছবিটা দেখে একবার চিন্তা করবি যে
এই হাসি মুখের অবস্থা কী হবে.?...
-
যখন তারা তোর ভাঙ্গাচূড়া মৃতদেহটা দেখবে?
-
আব্বা আমি আপনাকে রাজি করাতে চাই,
-
কিন্তু আত্মহত্যার ছুড়ি আপনার গলায় রেখে না।
-
কী এমন হবে?
যদি আমি ফটোগ্রাফার হয়ে যাই তো?
-
তাহলে কম পয়সা কামাই করবো, তাইনা?
-
বাড়ী ছোট হবে,
গাড়ী ছোট হবে
-
কিন্তু বাবা আমি খুশি থাকবো
-
আমি সত্যিকারের সুখী হবো
-
আপনার জন্য যা কিছুই করিনা কেন মন থেকে করবো
-
আজ পর্যন্ত আমি আপনার সব কথা শুনেছি
-
আজ ব্যাস একবার আমাকে আমার মনের কথা শুনতে দিন না!
-
প্লিজ আব্বা......
-
আব্বা......
-
আব্বা চলে যাবেন না প্লিজ.....
-
এটা ফিরিয়ে দিয়ে এসো
-
বেটা, তোমার ঐ প্রফেশনাল ক্যামেরা কত পড়বে?
-
এই ল্যাপটপের বদলে পাওয়া যাবে কি?
-
যদি আরও টাকা লাগে তো আমাকে বলিস বেটা!!
-
যা বেটা, নিজের জীবন গড়ে নে।
-
আপনার নাম্বার বরাবরি কম দেখছি...
কোন বিশেষ কারণ?
-
ভয় স্যার
-
ছোট্ট বেলা থেকেই ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র ছিলাম
-
বাবা, মা ভাবলো যে ও আমাদের অভাব দূর করে দেবে
-
আর আমি ভয় পেতে থাকলাম।
-
এখানে এসে দেখলাম তীব্র প্রতিযোগিতা লেগে আছে...
ফার্স্ট হতে না পারলে কেউ জিজ্ঞেসও করবেনা ।
-
আমি আরো ভীতু হয়ে পড়লাম।
-
ভয়, অধিক নাম্বার অর্জনের জন্য মোটেই ভালো নয়, স্যার
-
আরো বেশী করে আংটি পড়তে লাগলাম
পূজা করতে লাগলাম..
-
পূজা আর কি, খোদার কাছে ভিক্ষে চাইতে লাগলাম
এটা দিয়ে দাও... ওটা দিয়ে দাও...
-
১৬ হাড্ডি ভাঙ্গার পরে ভাববার সুযোগ পেলাম....
-
তখন পুরো বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারলাম।
-
আজ আমি খোদার কাছে এটা বলিনি যে
আমাকে চাকরীটা দিয়ে দাও, আমি শুধু হাত জোর
করে উনাকে এই জীবন টা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ বলেছি।
-
আপনারা যদি..আপনারা যদি...আজ আমাকে বাতিলও করে দেন
তবুও কোন আফসোস থাকবেনা আমার
-
কারণ আমি আমার জীবিকার জন্য কিছু না
কিছু তো করেই নিতে পারবো, স্যার
-
দেখুন আপনার এত্তো বেশি খোলামেলা আচরণ
আমাদের কোম্পানীর জন্য ঠিক হবেনা
-
ক্লায়েটদের হ্যান্ডেল করার জন্য আমাদের
প্রয়োজন একজন ডিপ্লোমেটিক মানুষ
-
আপনি একটু বেশীই অকপট মানুষ,
-
কিন্তু.
-
যদি আপনি আমাদের এ ভরসা দিতে পারেন যে,
আপনি আপনার এই দৃষ্টিভঙ্গিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন....
-
তাহলে ..... তাহলে কিছু একটা হতেও পারে...
-
দু পা ভাঙ্গার পরে নিজের পায়ে দাড়াতে শিখেছি স্যার
-
অনেক কষ্ট করার পর অর্জিত হয়েছে এই দৃষ্টিভঙ্গি
-
এটাকে আর হাড়াতে চাই স্যার
-
আপনারা আপনাদের চাকরী রেখে দিন...
আমি আমার দিষ্টিভঙ্গি রেখে দেই...
-
আমি সরি, কিছু মনে করবেননা স্যার
-
দাড়াও...
-
২৫ বছর ধরে আমি ভর্তি করছি,
অনেক মানুষের ইন্টারভিউ নিয়েছি
-
চাকরী পাবার জন্য মানুষ আমাদের ‘হ্যাঁ’ তে
হ্যাঁ মিলিয়েই নেন শেষ পর্যন্ত।
-
তুমি কোথা থেকে এসেছরে, ভাই?
-
জ্বী... আ..মি...?
-
বেতন কতো নেবে, তা আলোচনা করে নেই?
-
ধন্যবাদ, স্যার
-
জাঁহাপনা, আপনি মহান.....
-
উপঢৌকন কবুল করুন।
-
গোবি......................ন্দ...................!
-
স্যার, আপনিইতো বলেছিলেন,
যে ও চাকরী পেলে মুছ কেটে দিতে
-
এটা কী করে দিয়েছে?
-
এমন মনে হচ্ছে যেন কেউ আমার কাপড় খুলে নিয়েছে
-
ইজ্জত লুটে নিয়েছে আমার
-
আমি পরাজয় মানবোনা, রাস্তগী
-
চাকরী তুই তখনই পাবি যখন তুই
ফাইনালে পাস করতে পারবি
-
আর এইবার, প্রশ্নপত্র আমি সেট করবো
-
বাবা, এটা অন্যায়
-
প্রেম এবং যুদ্ধে সবই বৈধ
-
আর এটা বিশ্ব যুদ্ধ ...৩
-
রাস্তগী, তুই তো শেষ..!
-
হে....
-
তুমি এখানে কী করছো?
-
সাবধানে, ..
-
তুমি মদ খেয়ে এসেছ...
- হ্যাঁ দোস্ত, ২/৪ পেগ মেরে দিয়েছি
-
২...৪... ২ নাকি ৪..!
-
সাহস যুগাতে হয়েছে
- কি জন্য?
-
এটা চুরি করার জন্য
- এটা কি?
-
ভাইরাসের অফিসের ডুপ্লিকেট চাবি.....
-
লাল সীল করা প্যাকেটের ভেতরে প্রশ্ন পত্র আছে।
-
যেটি বাবা নিজে সেট করেছে..
রাজুকে ফেল করানোর জন্য
-
নিয়ে এসো...!
-
পাগল নাকি. -
এটা তো চিটিং... যা...!
-
প্রেম এবং যুদ্ধে সবই বৈধ
-
আচ্ছা একটা কথা বলতো...
-
তোমার কি সত্যি মনে হয় যে,....
-
চুমো খাওয়ার সময় নাক মাঝে এসে পড়ে?
-
একমিনিট... ঢুকলা খাও... এই নাও ধর
-
তোমরা গুজরাটি লোকজন এতো নরম হয়ে থাকো
-
কিন্তু তোমাদের খাবারগুলো এমন ভয়ানক হয় কেন?
-
ঢুকলা, ফাফরা, হান্ডওয়া, থেপলা, খাঁখড়া..
-
নাম শুনে মনে হয় যেন কোন মিসাইলের নাম
-
চলো
-
'আজ বুশ ইরাকে দুটো ঢুকলা নিক্ষেপ করেছেন'
-
'৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছেন ২০০'
-
চলো..
-
আরে...
-
এই খাঁকড়া, ফাফড়া তুমি আমি সহ্য করে নেবো
কিন্তু তোমার এই নামটা.....
-
‘র্যাঞ্ছর দাস শ্যামল দাস চাঁচর’... ওয়াক..
-
আমি বিয়ের পরে কিন্তু আমার লাস্ট
নেইম চেঞ্জ করতে পারবোনা ঠিক আছে?
-
পিয়া , আমাদের বিয়ে হতে পারবেনা
-
কেন?
-
অন্য কাউকে ভালোবাস?
-
না
-
‘সমকামী’ নাকি?
- না
-
তাহলে আমাকে প্রস্তাব দিচ্ছনা কেন?
-
হিজড়া নাকি?
- না
-
তাহলে প্রমাণ দাও... প্রমাণ দাও..
-
পিয়া, আমি..না...
-
অই থাম! থাম ! থাম! থাম ! থাম!!!!!
-
দোস্ত আমরাতো পিয়া জানালামই না?
-
থামা না গাড়ীটা, পেশাবে আমার পেট ফেটে যাচ্ছে
-
একটু চপ কর না!
- তোর সাথে ওর যোগাযোগ আছে?
-
না..রে দোস্ত. । কিন্তু ওর বাসার নাম্বার আছে আমার কাছে
- তো ফোন লাগা তারাতাড়ি আমি গাড়ি থামাচ্ছি।
-
হ্যালো
-
এদেশে মুত্র বিসর্জন করার জন্য কোন জায়গাই নেই।
-
হ্যালো, হা.. পিয়া আছে?
- নেই, সাহেব
-
আচ্ছা তো কোথায় পাওয়া যাবে ওকে ? হাসপাতালে?
-
না সাহেব, হাসপাতালে যাবে কেন?
-
আজতো উনার বিয়ে তাই ‘মানালি’ গিয়েছে
-
পিয়ার তো বিয়ে হয়ে গেছে..
-
এখনো হয়নি! দ্যাখ ৬ ঘন্টার পথ..
-
ঠিক মতো গাড়ী চালালে বিয়ে হওয়ার
আগেই আমরা পৌঁছে যাবো!
-
তুই কী বলিস?
-
একবার যখন চিন্তা করেই ফেলেছিস, পার্টনার
তো মার ইউটার্ন
-
এই.... কোন ইউটার্ন হবে না
-
সোজা লাদাক যাবো.
র্যাঞ্ছর সাথে দেখা করে ফিরে চলে যাবো
-
শুক্রবারে আমার ফংসুখ ওয়াংরুর সাথে মিটিং আছে।
-
চল চল গাড়ীতে বোস
-
মিস্ হয়ে গেলে জানিস কী হবে?
তখন জাপানীরা উনাকে পেয়ে যাবে।
-
তারাতো উনাকে কোম্পানীর প্রধান হওয়ার জন্য অফার দিচ্ছে
-
'ফুংসুখ এবং ফুজিয়াসি',
মানেই লাভ...
-
বিয়া ও সোহাসের শুভ বিবাহ!
- স্যুটের জন্য ধন্যবাদ দোস্ত
-
দোস্ত এই ভাইরাসের তো হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে।
-
যখনি ওর মেয়েদের বিয়ে হয়,
বারোটা বাজাতে আমরাও পৌঁছে যাই।
-
আচ্ছা শোন, পিয়া কে আমি সামলাচ্ছি
আর প্রাইসট্যাগ টাকে তুই দ্যাখ।
-
ফারহান!!!
- র্যাঞ্ছকে পাওয়া গেছে পিয়া
-
১০৭ নাম্বার রুমের জন্য?
- জ্বী, স্যার
-
জ্বলদি দাও. এত্তোক্ষণ লাগলো....?
-সরি, স্যার
-
হয়েছে যাও
-
হাউজ কিপিং, স্যার
- এসো
-
আহ্হা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে... .
-
জ্বলদি শেরওয়ানীটা আয়রন কর
-
আহ্হা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে...
-
আরে! র্যাঞ্ছকে পাওয়া গেছে।
এখনো ঐ গাধাটাকে বিয়ে করবে?
-
তুমি পাগল, ফারহান
-
নিজেকে ফাঁকি দিওনা পিয়া,
তুমি এখনো র্যাঞ্ছকে ভালোবাস
-
আর ওর কথা মনে করে আজও এই ঢুকলা খাচ্ছ!
-
......আহ্হা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে...
-
কুকুরের লেজ ও. ১২ বছরও যদি পাইপে
ঢুকিয়ে বের কর, তবুও বাঁকাই থেকে যাবে
-
তুমি থাম, ফারহান!
সোহাসের এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
-
এখন ও আর ব্রান্ড আর দামের ব্যপারে কথা বলেনা।
-
আমার দেড় লাখ টাকার শেরওয়ানী.........
-
আরে তোরা চাটনী কেনইবা খাস ?
-
আমি কিছু একটা করছি, স্যার
- কি করবে?
-
স্যার, আমাদের লন্ড্রীতে এমন চাটনীর দাগওয়ালা
শেরওয়ানী প্রতিদিনই আসে, স্যার
-
আমি দুই মিনিটের মধ্যেই পরিষ্কার করে দিচ্ছি. স্যার
আপনি একটা মিনিট দাড়ান স্যার...
-
জ্বলদি নিয়ে আয়.....
-
কিন্তু এখন অনেক দেরী হয়ে গেছে, ফারহান
- পিয়া
-
পিয়া, চলো দেরী হয়ে যাচ্ছে, চলে এসো
-
পিয়া, আমি রাজু.....
চিল্লাইওনা, নয়তো লোকজন আমাকে মেরেই ফেলবে
-
সোহাস কোথায়......?
-
আরে হাউজ কিপিং থেকে এসেছিলো সে,
শেরওয়ানী নিয়ে গেছে
-
ভেতরে যাও.. আর সোহাসকে পাঠিয়ে দাও
-
মন্ত্রপাঠ চলছে পিয়া, এখন উঠে গেলে তো ধরা পড়ে যাবো
-
হ্যাঁ, ফারহান, বল?
- গাড়ী গেটে রেডী আছে
-
আমি বলছি যে পিয়া কে তুলে নিয়ে দৌড় লাগা.
- আবে চুপ থাক না...
-
স্যার..
- শেরওয়ানী কোথায়?
-
আপনি এখানে...?
- হ্যাঁ
-
তাহলে ওখানে বিয়ের আসরে কে?
- আসরে?
-
আরো ঘুরানি দিলে আমাদেরই বিয়ে হয়ে যাবে,
-
আমি কিন্তু আগে থেকেই বিবাহিত বলে রাখছি
চলো পালাই!
-
এখানে কত্তো লোকজন.
সবাই হাসবে..?
-
আরে লোকে হাসবে, তাই বলে তুমি আত্মহত্যা করবে?
-
এ.. রাস্তগী!
-
পিয়া লোকে দুদিনের জন্য গল্প করবে
তারপর সবাই ভুলে যাবে
-
কিন্তু আজ যদি তুমি এই বিয়ে করেই ফেলো!
তো সারা জীবনভর আফসোস করবে যে,
ইস্ গাড়িটা গেটেই ছিলো!!!
-
আমরা তোমাকে র্যাঞ্ছর কাছে নিয়ে যেতে এসেছিলাম
-
কিন্তু শুধু মাত্র লোক লজ্জার ভয়ে,
তুমি এই গাধাটাকে বিয়ে করে নিয়েছ
-
হাউজকিপিং?
-
পিয়া, ছোট্ট...... একটা টেনশন হচ্ছে...
-
কী?
-
র্যাঞ্ছর বিয়ে হয়ে গেছে কিনা, তা জানিনা।
-
কী!
-
দেখিস্ বিয়ে এখনো হয়নি, এখনো হয়নি
- আর যদি বিয়ে হয়ে গিয়ে থাকে তবে?
-
তবে তোমাকে বাড়ীতে নামিয়ে দিয়ে আসবো
-
আরে চিন্তা করোনা! এই নাও বিস্কুট খাও,
হাতে তৈরী বিস্কুট সূদর স্যানফ্রান্সিসকো থেকে আনা?
-
ও কোথা থেকে এলো?
-
এড়িয়ে যা, এড়িয়ে যা...
- বাদ দাও তুমি বিস্কুট খাও খুব ভালো বিস্কুট
02:18:03,450 --> 02:18:04,400
'Aal izz well''Aal izz well'
(সব ঠিক আছে )
-
গতকাল পর্যন্ত আমি এই দেশের একজন
সৎ নাগরিক ছিলাম।
-
কিন্তু গত চব্বিশ ঘন্টায়, আমি একটি
বিমানে কে জরুরী অবতরনে বাধ্য করেছি..
-
শ্যামল দাসের আত্মাকে তো
নর্দমাই ডুবিয়েই ফেলেছিলাম প্রায়...
-
আর বিয়ের আসর থেকে এক দুলহানকে কিডন্যাপ করেছি..
সবই করেছি ঐ কমিন র্যাঞ্ছর জন্যে...
-
কিন্তু ও শালাও তো কম যেতো না
বন্ধুদের জন্য জীবন বাজি রাখতো
-
রাজুর জন্য প্রশ্ন পত্র চুরি করতে,
রাবনের লংকাতে ঢুকে পড়েছিলো
-
লাল সীলওয়ালা ইনভেলাপ খোঁজ
-
ও খুব ভয়ে ছিলো যে, যদি রাজু ফেল করে
তাহলে আবার না শালায় হাই জাম্প মেরে বসে
-
কিন্তু আমরাও বড় আদর্শবান চোর ছিলাম কসম
খেয়েছিলাম যে প্রশ্নপত্র শুধু রাজুর জন্যই চুরি করবো
-
নিজেরা একটুও দেখবোনা
-
আরে দোস্ত কোথায় লুকিয়ে রেখেছেরে...?
-
দোস্ত খুজতে খুজতে তো শুভসকাল হয়ে যাবে!
র্যাঞ্ছ, পিয়াকে জিজ্ঞেস করেনে!
-
পিয়া, তোমার ফোন...
-
দুলাভাই! ওকে যখন কেউ 'All is well',
বলে, ও তখনি লাথি মারে!
-
লাথি মেরেছে.....
-
পিয়া তোমার ফোন..!
-
পেয়ে গেছি! র্যাঞ্ছ...
-
হ্যালো?
-
এটার কপি বানা, ফটোকপি কর জ্বলদি..
-
কোথায় ছিলো এটা?
-
সেখানেই রেখে দে..
-
বাঁইচা গেছিরে...!
- অই.. কোথায় গিয়েছিলিরে..?
-
এই নে..
- কী এটা?
-
অনুমান কর..
-
প্রশ্নপত্র, ভাইরাস তোকে ফেল করানোর
জন্য নিজে সেট করেছিলো
-
আজিব দোস্ত পাইছি...!
-
প্রথমে মাথা তুলে বাঁচতে শেখায়
ফের মাথা ঝুকানোর কাজ করায়
-
না রে দোস্ত......
-
পাস করলে, তা করবো নিজের যোগ্যতায়.
-
না পারলে ফেলই ভালো....
-
শালা কমিনে, আমার মন জিতে নিলো!
মন চাইলো ওকে সত্যিকারিই শালা বানিয়ে ফেলতে...
-
কিন্তু তখনই আমি আমার আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেললাম।
-
শালা চোর,
- স্যার, প্লিজ, স্যার
-
বদমাইশ
- সরি স্যার
-
খুউব এসেছে উনি, সিস্টেম চেঞ্জ করতে..
-
আমার দরজার সামনে পেশাব করিস......
- স্যার, কী করছেন কী স্যার
-
সরি স্যার, সরি স্যার
-
তোদেরকে বহিঃষ্কার করা হলো!
-
আগামীকাল সকালের মধ্যে যদি তোমরা এখান থেকে না যাও,
তাহলে আমি পুলিশ ডাকবো
-
আমি পুলিশ ডাকবো!!
-
বদমাইশ!
-
বদমাইশ, তোরা সবক’টা বদমাইশ
-
ও আমার অফিসের চাবী কোথায় পেল?
-
চাবী আমি ওকে দিয়েছিলাম, বাবা
-
সেদিন যদি ভাইয়াকে ও চাবীটা দিয়ে দিতাম!
তাহলে হয়তো আজ ও বেঁচে থাকতো
-
চুপ কর! পিয়া
-
আপনার কী মনে হয়?
যে ভাইয়া ট্রেন থেকে পড়ে মরেছিলো?
-
থাম! পিয়া
-
আপনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, ও ইঞ্জিনিয়ার হবে!
-
একবারও কি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলেন?
যে ও কী হতে চায়?
-
কী পরিমান প্রেসার দিয়েছিলেন আপনি ওর উপর...
-
যে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার চেয়ে,
মরে যাওয়াই তার কাছে সহজ মনে হয়েছিলো
-
কী বলছেটা কী ও...
-
বাবা, তুমি তোমার রুমে যাও!..
তুমি তোমার রুমে চল!!!!
-
পিয়া! থাম পিয়া!!
কী করছিস তুই পিয়া?
-
ভাইয়া, সাহিত্য পড়তে চেয়েছিলো!
লেখক হতে চেয়েছিলো,!!
-
কিন্তু এই সুইসাইড নোটের চেয়ে বেশী
আর কিছুই লিখে যেতে পারেনি, বাবা
-
পিয়া ঐ চিঠিটা রেখে, পিয়া দোহাই তোর!
-
আর কতোকাল লুকিয়ে রাখবে দিদি?
-
একবার....
মাত্র একটিবার....
-
যে ইঞ্জিনিয়ারিং না পারলে, বাদ দিয়ে দে
-
যেটা পছন্দ হয় সেটা কর
-
তাহলে আজ ভাইয়া, বেচেঁ থাকতো, বাবা!
-
ও আত্মহত্যা করতে পারেনা..!!!
-
তুমি ঠিক বলেছো বাবা!
-
ও আত্মহত্যা করেনি..
-
ওকে খুন করা হয়েছিলো!!
-
বেশ কিছু এলাকার রাস্তাঘাট,
পানিতে পুরোপুরি ডুবে গেছে
-
যান চলাচল পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে
-
বাবা..!
বাবা............!!!!
-
মোনা?
-
আরে তোকে বললাম না ফিরে যেতে,
তবুও পিছে পিছে কেন আসছিস?
-
কেন?
এই রোডটা কি তোমার আম্মার নাকি?
-
দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন,
আমরা বড় বিপদের মধ্যে আছি!
-
সারা শহরে কি একটাই মাত্র এ্যাম্বুলেন্স নাকি?
-
তাহলে অন্য কোন হসপিটাল
থেকে এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসো
-
পুরো শহর প্রায় পানিতে তলিয়ে গেছে জনাব,
আমরা কিছুই করতে পারবোনা!
-
এই মোনা ? কী হয়েছে?
-
র্যাঞ্ছ, পিয়া
-
র্যাঞ্ছ, এখানে পৌঁছা এখন অসম্ভব!!
তাই আমি যা যা বলছি তা তা করো!
-
আপনি বুঝতে পারছেন না,
ওর পানি থলে ফেঁটে গিয়েছে!
আপনারা বুঝতে......
-
কেটে দিয়েছে!মোনা!
-
মোনা!
-
লাইট জ্বালা! লাইট জ্বালা!
- কোনদিকে নেবো?
-
টেবিল! টেবিল টেনিস, টেবিলে
- পিয়া, আমরা কমন রুমের ভেতরে আছি!
-
রাজু, ওয়েব ক্যামেরা অন করো
-
হ্যাঁ , পিয়া..
রাজু, দিদি কোথায়, ওকে দেখাও..!
-
দাড়াও........
-
এখানে, পিয়া
-
দিদি, সব ঠিক হয়ে যাবে, আমি আছি তোমার কাছে, ওকে!
-
পিয়া, আমি মরে যাচ্ছি..!
-
র্যাঞ্ছ, যখন দুনিয়ায় ডাক্তার বা হাসপাতাল ছিলোনা...
-
তখনও বাচ্চা জন্ম নিতো
- হ্যাঁ
-
দিদির ডেলিভারী তোমরা করবে,
-
'Aal iz well'(সব ঠিক আছে)
-
তোমাদের এত্তো বড় সাহস? কী করছ তোমরা...?
-
বাবা, তুমি এসবের মধ্যে এসোনা,
দয়াকরে তুমি বাইরে অপেক্ষা কর, ঠিক আছে
-
ফারহান, তুমি তোয়ালে আর কাঁচি নিয়ে এসো
-
মিলিমিটার, তুমি কাপর শুকানোর ক্লিপ,
আর গরম পানি নিয়ে এসো
-
র্যাঞ্ছ, তুমি দিদিকে কিছু দিয়ে ঢেকে দাও
-
দিদি, ধাক্কা দাও!
-
সাবাস, মোনা, জোর সে.... ধাক্কা দাও
-
থামতো! আমি করতে পারছিনা
-
র্যাঞ্ছ, দ্যাখ তো ‘ক্রাউনিং’ হচ্ছে নাকি?
-
ক্রাউনিং মানে.....?
-
ঐ ডায়াগ্রাম নিয়ে এসো..
-
র্যাঞ্ছ, দ্যাখো মাথা বেরিয়ে আসছে কি?
-
র্যাঞ্ছ, জ্বলদি করো.....
-
যাও!!!
-
যা, যা, যা র্যাঞ্ছ যা
-
না, ক্রাউনিং হচ্ছেনা..
-
দিদি, প্লিজ ধাক্কা মারো..
-
মোনা!
-
ও ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে, পিয়া
-
উঠাও ওকে, যদি ও ধাক্কা দিতে না পারে,
তাহলে অনেক বড় ঝামেলা হয়ে যাবে
-
‘ভ্যাকুয়েম ক্যাপ’ লাগাতে হতো পিয়া
- ওখানে কোথায় পাবে ‘ভ্যাকুয়েম ক্যাপ’?
-
‘ভ্যাকুয়েম ক্যাপ’ কী জিনিষ? কেমন দেখতে?
কী করে ওটা দিয়ে?
-
আমি দেখাচ্ছি....
-
যদি মা ক্লান্ত হয়ে যায়, আর ধাক্কা দিতে না পারে
তাহলে এই ক্যাপ শিশুর মাথায় লাগায়..
-
পাম্পর সাহায্যে‘ভ্যাকুয়েম ’তৈরী হলে...
এই ক্যাপ শিশুর মাথায় আটকে যায়
-
তখন শিশুকে টেনে বের করে আনা হয়
-
আমি এটা বানাতে পারবো?
- কিভাবে?
-
‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’ দিয়ে স্যার.....
- ‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’?
-
হ্যাঁ স্যার, ‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’...
-
কিন্তু ‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’এর চাপ তো
অনেক বেশী হয়ে থাকে র্যাঞ্ছ
-
প্রেসার আমি কন্ট্রোল করে নেবো
- ওখানে কি আছে ‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’?
-
আছে, আমার অফিসে
-
ফারহান, জ্বলদি যা.. স্যারের অফিস থেকে নিয়ে আয়
- এই নে চাবি
-
মোনা, ধাক্কা মারো মোন....
-
হায় আল্লাহ্......
-
কী হলো?
-
হ্যালো রাজু কী হয়েছে?
- ক্যারেন্ট চলে গেছে
-
আল্লাহ্. ... তাহলে ‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’চলবে কিভাবে?
-
ফারহান, তু্ই ‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’আন
আমি ক্যারেন্টের ব্যবস্থা করছি....
-
কিভাবে?
-
মিলিমিটার, ভাইরাসকে বের কর জ্বলদি.....
-
ভাইরাস.. বাইরে চল... ! ভাইরাস.. বাইরে চল... !
-
এই ভাইরাস, নারে.. আরে আমার ভাইরাস...
ঐযে আমি বানিয়েছিলাম, ইনভার্টার
-
সেইটা... সেইটা নিয়ে আয় জ্বলদি
- ও সরি স্যার, ... বুঝেছি, বুঝেছি..
-
রাজু, হোস্টেলের সবাইকে জাগা
-
ওদের বল যে, গাড়ীর ব্যাটারী দরকার, তার দরকার
আর ভ্যাকুয়েম গেজ
-
রাজেশ, দিপক! জ্বলদি আয়, কমন রুমে ইমার্জেন্সী
-
র্যাঞ্ছ কোথায়?
- স্যার, স্যার, স্যার.. এখান স্যার!
-
সবকটা ব্যাটারী জ্বলদি এখানে রাখ
... আর তারগুলো
-
রাজু, সকল সুইচ অফ কর, আর ইনভার্টারকে
মেইন সুইচে কানেক্ট কর, নে ধর....
-
র্যাঞ্ছ, ‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’
-
ফারহান, তোর ঐযে ক্যামেরা পরিষ্কার করে যেটা
দিয়ে, কী বলে ওটাকে...
-
ব্লোয়ার..ব্লোয়ার..?
- হ্যাঁ ওটা নিয়ে আয় জ্বলদি!
-
র্যাঞ্ছ, এই নে ব্লোয়ার
-
হ্যাঁ, এই ভ্যাকুয়েম গেজ, পাইপে লাগা
-
র্যাঞ্ছ, হয়ে গেছে..
-
সুইচ সবগুলো বন্ধ তো?
-হ্যাঁ
-
এবার শুধু টেবিলের লাইট
আর কম্পিউটারের সুইচ দে..
-
ওকে
-
রাজু, কম্পিউটার অন কর।
-
ফারহান, হেল্প মি, এটাকে কানেক্ট কর ওটার সাথে
-
পিয়া, পিয়া.. জ্বলদি এসো . জ্বলদি এসো
-
সাবাস র্যাঞ্ছ......
-
ফারহান, - হ্যাঁ
অন কর.. -হ্যাঁ
-
পিয়া, চোষন চাপ কতখানি হতে হবে?
-
০.৫ এর চেয়ে বেশী নয়, র্যাঞ্ছ
-
ফারহান, ০.৫
- ঢাক ওদিকে
-
০.৫
-
ভ্যাকুয়েম ক্লিনার দিয়ে ডেলিভারী,
২০ বছরের চাকুরীতে আজ পর্যন্ত দেখিনি
-
ফারহান, অফ কর,
-
হ্যাঁ
-
রাজু, একটু টেবিলের দিকে এসো
-
আমাকে দ্যাখে, ! বেবিকে এভাবে নীচে পুশ কর.. এভাবে
-
হ্যাঁ ... হ্যাঁ..
-
ফারহান, অন কর।
- হ্যাঁ
-
নাও দিদি, এবার ধাক্কা মারো।
তুমি পারবে...
-
সাবাস মোনা ধাক্কা দাও
-
বাচ্চার কথা একবার ভাবো
-
সাবাস, মোনা ধাক্কা দাও
-
আসছে...! আসছে...! আসছে...!
-
সাবাস দিদি, তুমি পারবে...
-
সাবাস, মোনা পুশ.......
-
ফারহান, বন্ধ কর।
-
হ্যাঁ বন্ধ করেছি..
-
দুটো ক্লিপ লাগাও,
আর নাড়ি কেটে দাও!
-
ফারহান, জ্বলদি দুটি ক্লিপ এনে নাড়িতে লাগা
-
কাঁচি আন কাঁচি..
- সাবধানে , সাবধানে...
-
মাঝখানে কাট,
তোয়ালে আন তোয়ালে..
-
পিয়া, বাচ্চা কাঁদছেনা কেন?
-
হেই... হেই চ্যাম্প..!
-
র্যাঞ্ছ, ওর পিঠে মালিশ কর..
-
হেই চ্যাম্প...
- Come on, চ্যাম্প..
-
না! কিছুইতো হচ্ছেনা
-
ওর মুখের ভেতরে ফুঁ দাও
-
- Come on, চ্যাম্প..
-
কিছুইতো হচ্ছেনা
-
চুপ মোন চুপ - All is well (সব ঠিক আছে) বল
All is well (সব ঠিক আছে) বল All is well
-
লা.. লাথি মারছে..
-
কী?
-
লাথি মা... লাথি মারছে..
-
All is well (সব ঠিক আছে) বল All is well
-
All is well (সব ঠিক আছে)
-
তখন যদি শালা ভাইরাস বলতো যে,
‘আমার নাতি ইঞ্জিনিয়ার হবে’
-
তাহলে আমি শালাকে ধর্ষন ই করে ফেলতাম...
-
কিন্তু শালায় যখন মুখ খুললো,
তখন চমৎকারি হয়ে গেলো
-
ভালো লাথি মারিস তুই!
ফুটবলার হবি নাকি?
-
হইস, তোর মনে যা চায় তাই হইস!
-
দাড়াও! কোথায় যাচ্ছ? তোমার সাথে
এখনো হিসেব নিকেশ বাকী আছে
-
কলেজের প্রথম দিন তুমি আমাকে
একটি প্রশ্ন করেছিলে.. মনে আছে?
-
যে মহাশূন্যে পেন্সিল কেন ব্যবহার করেনা?
-
কারণ হলো, যদি পেন্সিলের মাথা ভেঙ্গে যায়
তাহলে তা শূণ্য মধ্যাকর্ষণে ঘুরতে থাকবে
-
কারো চোখে ঢুকে যেতে পারে, কারে নাকে ঢুকতে পারে
যন্ত্রপাতির ভেতরেও ঢুকে যেতে পারে.
-
তুমি ভুল ছিলে ! তুমি ভুল ছিলে!
-
তুমি সব সময় ঠিক হতে পারোনা!
-
তুমি বুঝতে পেরেছ?
-
জ্বী, স্যার!
-
এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন ছিলো
-
তুমি বুঝতে পেরেছ?
-
জ্বী, স্যার!
-
আমার পরিচালক স্যার বলেছিলো...যেদিন কোন,
এক্সট্রা অডিনারি, ছাত্র আসবে............
-
যাও পড়!
পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে এখন থেকে বেরিয়ে যাও!
-
আর এখন, বছরের সেরা ছাত্র হয়েছেন...
-
র্যাঞ্ছর দাস শ্যামল দাস চাঁচর
-
স্যার, একটি ছবি তুলবো?
-
এই সকল স্মৃতি আমি ক্যামেরায় বন্দী করে
আমার সাথে করে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম
-
সেদিন একে অন্যের গলা জড়িয়ে ধরছিলাম..
আবেগ প্রবণ হয়ে ওয়াদা করছিলাম, যে যোগাযোগ রাখবো
-
বছরে অন্তত্য একবার অবশ্যই দেখা করবো..
-
কে জানতো যে আমরা র্যাঞ্ছকে শেষ বারের মতো দেখছি
-
খুলে দে ওকে...
-
আমি তোদের সবাইকে আমেরিকান আদালতে দেখে নেবো
-
রাজু
-
এমন স্কুল তো শালা র্যাঞ্ছই বানাতে পারে...
-
কিন্তু ও আছে কোথায়?
-
ঐ এখানে প্রসাব করবেন না
-
ভাগ ক্ষুদে বিজ্ঞানীর দল, ভাগ
-
এই এখানে সু সু করো না
- ব্যাটা মাইর চিনিস, আ...
-
পেয়ে গেছি, কমিনটা আশে পাশেই কোথাও আছে
-
ভাইসাব, র্যাঞ্ছর দাসকে কোথায় পাওয়া যাবে?
-
ওর নামতো আর র্যাঞ্ছর দাস না!
- র্যাঞ্ছ...
-
এ্যা.. ছোটে .. ছোটে....ছটু,
আরে ওর আসল নামটা যেন কি ছিলো?
-
আরে শান্ত হও, শান্ত হওে
এসো আমার সাথে?
-
কোথায় ? র্যাঞ্ছ কোথায়?
- র্যাঞ্ছ
-
ফারহান, জানো তোমার লিখা প্রতিটি বই সে পড়েছে
এই দ্যাখো.. আর এটাও..
-
রাজু, তোমার ব্লগ সে রোজই পড়ে, আর বাচ্চাদের
তোমার গবেষণা সম্পর্কে খুব গর্ব করে বলে
-
আপনার হেলমেট, মনে আছে পিয়া দিদি?
চুরি হয়ে গিয়েছিলো না..
-
কে তুমি?
আর আমাদের সবার নাম জন কিকরে?
-
চিনতে পারনি?
- নাতো
-
চিনবে কিকরে?
মিলিমিটার যে এখন সেন্টিমিটার হয়ে গেছে
-
অই.. অই..অই.. শা...লা..
সেন্টিমিটার কই, তুইতো কিলোমিটার হয়ে গেছিস রে..
-
কিন্তু তুই এখানে কী করছিস?
-
জীবনে প্রথমবার আমার নামে একটি চিঠি এসেছিলো
তার ভেতর থেকে ট্রেনের একটি টিকেট বের হলো
-
পেছনে লিখা ছিলো... যদি পড়তে চাস, তো ট্রেনে উঠে পর..
আর ভাই আমি ট্রেনে উঠে গেলাম
-
শালা, র্যাঞ্ছ!
-
কোথায় সেই ইডিয়েট?
-
দুর্জি, তোরা উড়া এবার
-
তুমি রোজ দুলহানের সাজে স্কুটারে চড়ে
আমার স্বপ্নের মাঝে আসো
-
ঘোমটার জায়গায় নিজের হেলমেট খোল
-
আর আমাকে চুমো খেতে আমার কাছে আসো!
02:41:48,900 --> 02:41:52,444
অ্যাঁ...আ... আউচ....
-
যাবার আগে বলেতো যেতে পারতে
-
আও..ন.. না..
-
আ..ম.. সরি
-
বিয়ে করেছো?
-
কী? কী?আ.... না তো...
-
তুমি?
- করে ফেলেছি...ইডিয়েট
-
তো?
-
উম... তো.. কী?
-
কাউকে ভালোবাসো?
-
ও..ম......... হ্যাঁ....
-
কে?
-
তুমি
-
দেখলে, নাক মাঝে আসেনি, আহাম্মুক
-
হ্যাঁ... আসলেই , তাই তো দেখছি!
-
শালা.. র্যাঞ্ছ...
-
হায়... ফারহান!
-
আরে তোর ‘হায়’এর গুষ্ঠি মারি
-
আরে , আমার কথাটা তো শুনবি...
- না না, তুই আমার কথা শোন, আরে...
-
আরে.. আমি সব বুঝিয়ে বলছি..
-
আরে.. হায় .. রাজু!
-
শালা! - আও
এদিকে দ্যাখ - আও
-
শালা একটা ফোন করার জন্যও কি তোর কাছে পয়সা ছিলোনা ?
-
মারো! আর আমার তরফ থেকে ২/৩ ঘা লাগাও
-
শালা, কী কী সাজতে হয়েছে, জানিস কিছু
- চশমায় লাগবে... কমিন, শালা
-
ছাড়, ছাড়, অনেক হয়েছে..
-
উঠ শালা উঠ
-
মজা করছ? আহাম্মুকের দল!
-
হেই... হায় চতুর...
-
র্যাঞ্ছর দাস, ছাঁছড়......!
নমষ্কার মাস্টার সাব, আপনি কোথায় পৌঁছে গেছেন?
-
গ্রামের স্কুলের শিক্ষক হয়ে গেছেন, আঁ...? -
এ..তে আপেল.. বি ... তে ... বল..
-
আমরা দুজন এক সাথে ট্রেন ধরেছিলাম...
কিন্তু তোর ট্রেন উল্টো চলে এসেছে..
-
ইঞ্জিনিয়ার থেকে সোজা প্রাইমারীর শিক্ষক..
-
এই তোর বেতন কতোরে? বল? -৫০০০/-?
-
আর আমার ক্ষেত্রে $ ১০০ ডলার
-
আমার ছেলের পকেট খরচ তোমার বেতনের চেয়েও বেশী
-
আরে বাজে বকা বন্ধ কর
- আরে বাজে কথাতো ও বকতো!
-
শিক্ষা ব্যবস্থাকে বদলাতে চেয়েছিলো
দুনিয়াকে বদলাতে চেয়েছিলো
-
আর এখন এখানে বাচ্চাদের ডায়পার বদলাচ্ছে
-
তুই ওর দাঁতগুলো ভাংবি নাকি আমি ভাংবো?
-
আরে বলতে দে না , ওকে বাদ দে...
-
মনে পড়ে? আমি বলেছিলাম যে,
একদিন তুমি কাঁদবে, আর আমি হাঁসবো
-
সই কর এখানে
স্বীকার কর - যে তুই হেরেছিস, আমি জিতেছি!
-
'পরাজয়ের ঘোষনাপত্র'!
অবিশ্বাস্য!.....
-
চতুর
- তুই পাগল নাকি রে..?
-
এই, এটাতো ভাইরাসের কলম!তোর কাছে এলো কিভাবে
তুই চুরি করেছিস?
-
আ.ব...... কী বলবো তোকে দোস্ত....
-
এটা বিজয়ীদের জন্য, পরাজিতদের জন্য নয়
-
কোন ব্যাপার না, যদি কখনো স্কুলে সমস্যা হয়
আর দানের প্রয়োজন পড়ে, আমার এ্যাসিস্ট্যান্টকে কল করিস
-
এ..তে.... আপেল.. বি ... তে ... বল..
-
ওরতো কোন পরিবর্তনই হয়নিরে দোস্ত!
- আরে বাদ দে তো ওর কথা!
-
যা মুখে আসে তাই বলতে থাকে ও
-
বাদ দাওতো , ভালো খবর হলো এটা যে,
তোমার নাম র্যাঞ্ছর দাস চাঁচর না।
-
কল্পনা করতে পারো, বিয়ের পরে আমি,
পিয়া চাঁচর- ওয়াক!
-
সে যাই হউক,
তো তোমার আসল নামটা কি?
-
ফুংসুখ ওয়াংরু
-
ওয়াংরু?
-
পিয়া ওয়াংরু!
- হ্যাঁ
-
তার মানে তুই বিজ্ঞানী ?
- হ্যাঁ
-
মানে হলো তোর নামে ৪০০ পেটেন্ট আছে?
-হ্যাঁ
-
আমি বিয়ের পর আমার পারিবারিক নাম কিন্তু চেঞ্জ করবোনা
-
না না, বলতে চাচ্ছি যে তুই চতুরের ওয়াংরু?
-
তার মানে জাপানিরা তোকে খোঁজ করছে?
-
ওয়াংরু নামটাও আমার পছন্দ নয়
-
আচ্ছা একটা কথা বলতো দেখি?
তুই বিজ্ঞানি, নাকি শিক্ষক?
-
বিজ্ঞানি, কিন্তু বাচ্চাদেরও পড়াই
-
তার মানে তুই
দি ফুংসুখ ওয়াংরু?
-
হ্যাঁ বাবা হ্যাঁ...!
-
অই সাইলেন্সার....
- অই চতুর, ফিরে আয়
-
তোর এটা নে . ... আ...
-
ও এমনিতে দাড়াবে না, দ্যাখ আমি ওকে থামাচ্ছি!
-
মিঃ ওয়াংরু,
আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা, আপনি ফোন করেছেন
-
আমি দুঃখিত মিঃ চতুর,
-
আপনার কোম্পানীর সাথে আমি ডিল সাইন করতে পারবোনা।
-
কী বলছেন স্যার? কী হয়েছে স্যার?
-
আরে কিভাবে সই করবো দোস্ত,
আমার কলম তো তুই নিয়ে গেলি
-
কীষের কলম স্যার?
আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা...
-
আরে ঐ যে তোর হাতে, ভাইরাসের কলম।
- ভাইরাসের কলম।
-
মিঃ ওয়াংরু...?
-
হ্যাঁ বল চতুর?
-
এ ... তে.. আপেল.। আর ...বি.... তে বল..
.. এবার বুঝবে ঠেলা
-
...দোস্ত ওর তো ধর্ষন হয়ে গেলো
-
আপনি আমাকে ধরে ফেলেছেন মিঃ র্যাঞ্ছ -
মানে মিঃ ওয়াংরু
-
আমাকে তো পুরোপুরি চমকে দিয়েছেন
-
আমি আশা করছি, আমাদের ব্যক্তিগত কোন সমস্যা
এই ডিলের ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাড়াবে না
-
এই চতুর... এইটা.. এইটা..
-
আমিতো এতোক্ষণ মজা করছিলাম, দোস্ত.....
-
মনে মনে জানতাম, যে তুই
জীবনে কিছু একটা করে দেখাবি
-
না.... তুই মিথ্যে বলছিস...!
-
না না না,.. আমি বলছি তোকে ... শপথ...
-
র্যাঞ্ছ - ১০০, চতুর - ০ !
-
তুই জিতেছিস, আমি হেড়ে গেছি,
তুই আমাকে বিশ্বাস করছিস না?
-
এই কর্ম সেড়েছে!!
-
জাঁহাপনা, আপনি মহান..........
উপঢৌকন, কবুল করুন........
-
একটি ফ্রী উপদেশ দেই মিঃ ওয়াংরু!
পালাও........ পা.লা..ও.....
-
এই র্যাঞ্ছ, আমার চাকরী চলে যাবেরে.. দোস্ত....
আমার দুজন ছোট ছোট বাচ্চা আছে...
-
বাবা র্যাঞ্ছর দাস একদম ঠিক কথা বলতেন।
-
- বাঁছা, যোগ্য হও যোগ্য....
সফলতা তো শালা তোমার পিছু পিছু দৌড়াবে
একটি মোহাম্মদ খালিদ হোসাইন এর প্রচেষ্টা
০১৭৬৬ ৪২০ ২২২