বাংলা সাব টাইটেল তৈরি. মোহাম্মদ খালিদ হোসাইন 01766 420 222 00:01:11,500 --> 00:01:17,100 ফ্লাইট উড্ডয়নের জন্য তৈরী হচ্ছে 00:01:18,200 --> 00:01:23,500 (বিামানের ভেতরের টিভিতে বিদেশি ভাষার অনুষ্ঠান চলছে...) 00:01:24,100 --> 00:01:25,500 (ফ্লাইট টেক অফ করার জন্য চুড়ান্ত ভাবে প্রস্ততি নিচ্ছে) মোবাইল ফোনে রিং বাজছে.....ক্রিং......ক্রিং.. হ্যালো হ্যাঁ কী!! স্যার, প্লিজ আপনার মোবাইলটি বন্ধ করুন। জাস্ট এক সেকেন্ড.এক সেকেন্ড... প্লিজ.. এক্সকিউজ মি 00:02:20,250 --> 00:02:22,460 এক্সকি........উ.....জ.....মি... স্যার, প্লিজ বসুন ক্যাপ্টেন, এখানে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। একজন যাত্রী করিডোরে পড়ে গেছেন। দিল্লি, এয়ার ইন্ডিয়া ১০১ একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সীর জন্য ফেরত আসছে। এক্সকিউজ মি, স্যার. এক মিনিট, দাড়ান না না আমি একদম সুস্থ্য হয়ে গেছি। ধন্যবাদ। আপনারা যান, যান... আমি চলে যেতে পারবো .... জেন্টলম্যান, দাড়ান... চলো ভাই গাড়ী বের কর! - আপনি কি মিঃ ডিলন? কেন নামের ট্যাটু কি কপালে লিখে ঘুরবো নাকি? আরে জলদি গাড়ি বের কর। জি স্যার, আসুন স্যার হোটেলে যাবেন তাইনা স্যার? হ্যাঁ হ্যাঁ হোটেল যাবো... তার আগে “বসন্ত বিহারে” যাবো ওখানে চলো আরে ভাই আরেকটু দ্রুত চালারে ভাই! (ফারহানের কল) হ্যাঁ ফারহান, বল.... তুই জ্বলদি বেড়িয়ে আয়, আমি তোর ওখানে ৫ মিনিটের মধ্যে আসছি। কি হইছেরে দোস্ত? আমাকে চতুর কল দিয়েছিলো? তোর মনে আছেতো চতুরের কথা? কে? “সাইলেন্সার” হ্যাঁ ... হ্যাঁ... বলছিলো যে র্যাঞ্ছ নাকি আসছে...... কী. বলছিস.? ও বলল যে, র্যাঞ্ছর সাথে দেখা করতে চাইলে ঠিক ৮টার সময় ক্যাম্পাসে চলে আয়, ট্যংকির উপর এই সেড়েছে! আরে তুই জ্বলদি বেরো নারে দোস্ত! হ্যাঁ ঠিক আছে ঠিক আছে। ওকে.। সুমি, আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরবো আরে.... জুতা ...টা .... কই.? আরে আমার দোস্ত’র খোজ পাওয়া গেছে কি? দোস্ত আমি ফিরে এসে কথা বলবো ওকে বাই। আরে প্যান্টটা... তো পড়ে যাও..... এখনতো হোটেলে যাবেন, তাইনা স্যার? আরে হোটেলে যাবোরে ভাই কিন্তু কিন্ত ইম্পেরিয়াল কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং হয়ে তারপর... ওকে স্যার. মোজা আনতে ভূলে গেছি তুই মোজার কথা বলছিস, আরে নিচে দ্যাখ, তুইতো প্যান্ট পড়তেও ভুলে গেছিস এই সেড়েছে... ভাইসাব, এবার আপনি হোটেলে চলে যান, কিন্তু তার আগে এয়াপোর্টে আমার ভাই আসছে তাকে নিয়ে যাইয়েন। লাস্ট নাম একই............ ডিলন। আমি ডিলন। গাড়ী পাঠিয়েছ তো গেছে কোথায়? রানওয়েতে....? অই... র্যাঞ্ছ অই চতুর, র্যাঞ্ছ কোথায়? . র্যাঞ্ছ....... র্যাঞ্ছ কোথায়? ওয়েলকাম, ইডিয়েট’স..... ‘মদিরা’ পান করবে? এটা সেই মদ টা না? তোমরা যেটি এখানে বসে খেতে? নাও খাও আরে র্যাঞ্ছ কোথায় দোস্ত? বলছি, . তারআগে এটা দেখো আমার স্ত্রীকে নয়, ওর পিছনের বাংলো দেখো ইডিয়েট’স $ 3.5 মিলিয়ন সুইমিংপুল.. হিটেড লিভিং রুম - মেপাল কাঠের ফ্লোরিং আমার নতুন Lambhorghini 6496 cc - সু.... সেইরকম ফাস্ট আবে, এসব আমাদের কেন দেখাচ্ছিস? ভূলে গেছ? এটা কি? '5th সেপ্টেম্বর'. আজকের তারিখ আর কী। চল্ বাজি ধর আমরা দশ বছর পর ফিরে আসবো এই জায়গায়, আজকের দিনেই সেদিন দেখবো, কে বেশী সাকসেস্ফুল হতে পারে? সাহস আছে? তো বল আসবি..? আসবি..........?? কিছু মনে পড়লো? এখানেই সেই ইডিয়েট টার সাথে বাজি ধরেছিলাম আমি আমার ওয়াদা রেখেছি। আমি ফিরে এসেছি... হু..হু. শালা আমি আমার ফ্লাইট ফেলে চলে এসেছি ওতো নিজের প্যান্টটাও ফেলে এসেছে শুধু র্যাঞ্ছর সাথে দেখা করতে ৫ বছর ধরে আমরা ওকে খুঁজছি বেঁচে আছে না মরে গেছে, তার নেই ঠিক আর তুই ভেবেছিস তোর সেই ফালতু বাজির জন্য ও এখানে আসবে আসবে না,, আমি জানি যে ও আসবেনা। ...হু..হু.. দোস্ত তুই ওর দাঁত ভাংবি না আমিই ভেংগে দেবো আরে শালা, তাহলে তুই আমাদের ডেকে আনলি কেন? র্যাঞ্ছর সাথে দেখা করানোর জন্য গিয়ে দেখ যে ও কোথায় পড়ে রয়েছে আর আমি কোথায় পৌঁছে গেছি। তারমানে তুই জানিস র্যাঞ্ছ কোথায়? হ্যাঁ..... কোথায় র্যাঞ্ছ? সে এখন ‘শিমলা’য় আছে। (সে) চঞ্চল হাওয়ার মতো ছিল (সে) উড়ন্ত ঘুড়ি যেন ছিল হাড়াল কোথায় ..খুঁজে বলো ? (সে) চঞ্চল হাওয়ার মতো ছিল (সে) উড়ন্ত ঘুড়ি যেন ছিল হাড়াল কোথায় ..খুঁজে বলো ? আমরাতো চলতাম তৈরি পথ ধরে সে নিজের পথ নিতো গড়ে ভাঙ্গা গড়ার নেশায় মাস্তি সে করতেছিল। আগামীর ভয় মোদের কুড়ে কুড়ে খেত ও শুধু আজকের মজা লুটত প্রতিটি ক্ষণে সে খুশির খেলায় মেতেছিল কোথা থেকে সে এলো........ হৃদয় টা ছূয়ে দিলো..... হাড়াল কোথায় ..খুঁজে বলো ? কড়া রদ্দুরে ছায়ার মতো মরু প্রান্তরের বাগিচার মতো খুশবুতে হৃদয় ভরেছিলো। আমরা থাকতাম যখন কূয়ার ভেতর ও তখন নদীতে কাটছিলো সাতার স্রোতের ধারার বিপরীতে যাচ্ছিলো। মুক্ত মেঘের মতো ছিলো.... সে মোদের বন্ধু ছিলো হাড়াল কোথায় ..খুঁজে বলো ? র্যাঞ্ছ র্যাঞ্ছর দাস শ্যামল দাস চাঁচর শালার, নাম যেমন ব্যতিক্রমি ছিলো। তেমনি ব্যতিক্রমি ছিলো ওর চিন্তাধারা। আমরাতো ছোট্ট বেলা থেকে এটাই শুনছি যে, জীবন হলো এক দৌড়ের পাল্লা, জোড়ে না দৌড়ালে অন্যরা তোমাকে পিষে ফেলে আগে চলে যাবে। শালার, জন্ম নেয়ার জন্যও ৩০০ মিলিয়ন স্পার্মের সাথে পাল্লা ধরতে হয়েছিলো। ১৯৭৮ সাল। বিকেল ৫:১৫ মিনিটে আমি জন্মেছিলাম। আর বিকেল ৫:১৬ মিনিটেই আব্বা ঘোষনা করলো আমার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবে। - ফারহান কোরেশী. বি.টেক. ইঞ্জিনিয়ার। আর আমার ভাগ্যে ইঞ্জিনিয়ারের ঠাপ্পা লাগানো হলো। আরে আমি যে কী হতে চাই... . শালার .. কেউ জিজ্ঞেস পর্যন্ত করলোনা। 00:11:43,750 --> 00:11:47,790 (সাড়া জীবন ধরে আমরা, মরার মতো বাচিঁ) 00:11:47,800 --> 00:11:53,550 (ক্ষণিকের জন্য অন্ত্ত বাচঁতে দাও.... বাচঁতে দাও..) রাজু রাস্তগি র্যাঞ্ছর দাস চাঁচর রুম নাম্বার বলো? ডি - ২৬ চলো আমি অইলাম মন মোহন. সংক্ষেপে এম.এম. এখানকার সক্কল ইঞ্জিনিয়ার আমারে মিলিমিটার কইয়া ডাকে। দুধ, ডিম, রুটি, লন্ড্রি.... জার্নাল’স কমপ্লিট... এসাইনমেন্ট কপি.করা.. যেকোন কাজ থাকলে কইবা... আমি কইলাম ফিক্স রেটে কাম করি, দরাদরি চলবোনা কইলাম। আরে এক মিনি...এক মিনি... এক মিনিট.. এটা ধরতো ও হইতাছে কিলোবাইট, ও মেগাবাইট আর এইটা অগর মা, গিগাবাইট ফটু তুলবা? তোল তোল এই ফ্যামেলি কাউকে বাইট (কামড়ানো) করেনা। লে .. বাবা.. আরেক ভক্ত চইল্ল্যা আইছে ! হায়, ফারহান কোরেশী - আমি রাজু রাস্তগি চিন্তা কইরোনা। এইহানে কিছু দিন থাকলেই দেখবা এমনিতেই ভগবানের উপর থেকে বিশ্বাস উইঠ্যা যাইবো তখন দেয়ালে মেয়েদের অশ্লীল ফটু লাগাইবো। আর কইবো.... ওহ্..... গড..., একবার মিলাইয়া.. দে.... ওই বেরো বলছি এখান থেকে ..... বেরো.. ৪ টেকা দেও, প্রতি ব্যগ দুইটেকা কইরা নে ধর ৫টাকা, বাকী ১টাকা তোর বকশিস আরে বাহ্ বস্..... তুমি যখন আমারে বকশিস দিলা তয় আমিও তোমারে একখান বকশিস দিমু আইজকা রাইতে ভালো দেইখা জাইঙ্গা পইরেন কইলাম। কেন ? জাহাপনা.... , আপনি মহান..... উপহার গ্রহণ করুন। আ...হা....হা. ..... ওতো হীম্যান রে হীম্যান ওহ্..হ্..হ্..ঠাপ্পা... সেইরকম......পিস্ একটা ইজ্জত ভূলুন্ঠিত হয়েছিলো.... . ....হাত সালাম ঠুকছিলো..... গোলামী করার জন্য মস্তক ছিলো অবনত যখন আমরা প্রথমবার র্যাঞ্ছ কে দেখলাম। চারআনা... আটআনা... নয়া উপঢৌকন.....ওই উপঢৌকন. . উপঢৌকন.. উপঢৌকন.. নমস্কার স্যার, প্যান্টটা খুলুন আর ঠাপ্পা লাগিয়ে নিন। নাম কিরে তোর বল? 'রাঞ্চুর দাস শ্যামল দাস চাঁচর' শুনছ্... ভাইজানেরা .. তৈরী হয়ে যান ফাইনাল পিস রেডি করে আনছি.... প্যান্ট খোল... প্যান্ট..... খোল... আচ্ছা ... তো তুই এমনি এমনি শুনবিনা না? ভেঁজা প্যান্ট পড়েনা খোকা, নে খোল.. খোল. সব ঠিক আছে !!!!সব ঠিক আছে !!! - কি বললি? সব ঠিক আছে !!!!সব ঠিক আছে !!! ও বলছেটা কিরে? আরে..কেউ বুঝাতো ওকে... অই জেমস্ বন্ড বোঝা ওকে হুম. টেক অফ ইউর প্যান্টস্ অর দে আর গইং টু পিস অন ইউ ওই ইংরেজ! বাংলায় বলতে কি তোর লজ্জা করছে? সরি স্যার, আমার জন্ম হয়েছিলো তো উগান্ডাতে আর পড়াশুনা পন্ডেচেরীতে তাই বাংলায় আমি একটু স্লো (ধীর গতি) তাহলে ওকে স্লোলিই বোঝানা। জ্বলদি করছেটা কে? আবারো পড়ে ফেলেছেন আপনারা? বস্ত্র খুলে ফেলুন। নয়তো উনি আপনার উপর 'মুত্র বিসর্জন' করবেন। হিসু করাকে কি বলল 'মুত্র বিসর্জন' মহা পন্ডিত এসেছে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে (চারআনা.... আটানা....) অই বাইরে আয় শালা বাইরে আয়. .. নয়তো..... নয়তো তোর দরজার সামনেই 'মুত্র বিসর্জন' করে দেবো ১০ পর্যন্ত গুনবো। বাইরে না আসলে আমি... আমি পুরো সেমিস্টার ধরেই তোর দরজায় 'মুত্র বিসর্জন' করবো ১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ লবনাক্ত পানি তড়িৎ পরিবাহী সেই ক্লাস ৮ এ পড়েছিলাম আমরা শুধু বইতেই পড়েছিলাম। শালায় তা ব্যবহার করলো আইসিই’র ডিরেক্টরের নাম ছিলো ‘ডক্টর ভিরু শাস্ত্র বুদ্ধ’ সবাই তাকে ভাইরাস, কম্পিউটার ভাইরাস বলে ডাকতো। আরে ভাইরাস আসছে, আন্ডা নিয়ে ..... ফার্স্ট ইয়ারদের নীচে ডাকছে, জলদি আহেন জলদি আহেন ভাইরাসের মতো প্রতিযোগিতামূলক মানুষ আমি জীবনেও দেখিনি। কেউ তার চেয়ে এক পা আগে গেলেও তিনি তা বরদাস্ত করতে পারতেন না। সময় বাঁচানোর জন্য শার্টে বোতামের বদলে ভেলক্র লাগাতো আর টাই য়ে লাগাতো হুক এমন ভাবে মগজকে ট্রেনিং দিয়েছিলেন যে দুহাতেই একসাথে লিখতে পারতেন প্রতিদিন দুপুর ২টায়, ঠিক সাড়ে সাত মিনিটের জন্য বিশ্রাম নিতেন তখন অপেরা শুনতেন আর গোবিন্দকে নির্দেশ দেয়া ছিলো যেন সেভ করা, নখ কাটা’র মতো আনপ্রোডাক্টিভ কাজগুলো এই সাড়ে সাত মিনিটের ভেতেরই করা হয় কি এটা ? - স্যার,পাখীর বাসা কার? - কোকিলের বাসা, স্যার ভূল কোয়েল পাখী কখনই বাসা বাঁধেনা। সে অন্য পাখীর বাসায় গিয়ে ডিম পাড়ে। আর যখন ডিমগুলো ফুটে ওর বাচ্চারা দুনিয়ায় আসে তখন সবার আগে কি করে? তারা যেই পাখীর বাসা ছিলো সেই পাখীর ডিমগুলোকে ধাক্কা মেরে বাসা থেকে নীচে ফেলে দেয় প্রতিযোগিতা শেষ তাদের জীবনটা শুরুই হয় একটা খুন দিয়ে. এটাই প্রকৃতির নিয়ম। লড় নয়তো মর তোমরা সকলেই সেই কোকিলের বাচ্চাদের মতো এবং এগুলোই সেই ডিমগুলো যেগুলোকে ধাক্কা মেরে তোমরা আইসিইতে ভর্তি হতে পেরেছো। কখনই ভূলোনা, যে প্রতি বছর আইসিই তে চার লাখ আবেদন আসে। আর তার ভেতর থেকে মাত্র ২০০ জন ভর্তি হতে পারে। - তোমরা! আর এরা..... ফিনিশ... ভাঙ্গা ডিম। আমার নিজের ছেলে.. পরপর তিন বছর আবেদন করেছিলো। বাতিল হয়ে গিয়েছিলো, প্রতিবারই মনে রেখো, জীবন হলো দৌড়ের পাল্লা যদি দ্রুত না দৌড়াও তো কেউ না কেউ তোমাকে পিষে দিয়ে আগে চলে যাবে। তোমাদের একটি মজার গল্প বলছি এটা মহাকাশচারীদের কলম। মহাকাশে ফাউন্টেন পেন, বলপেন কোন কলমই চলেনা। তো লাখ লাখ ডলার খরচ করে বিজ্ঞানীরা এই কলম তৈরী করলেন যেটি দিয়ে আমরা যেকোন এ্যাঙ্গেলে, যেকোন তাপমাত্রায়, শূন্য মধ্যাকর্ষন জায়গায় ও আমরা লিখতে পারবো একদা যখন আমিও ছাত্র ছিলাম তখন আমার ইন্সটিটিউটের শিক্ষক আমাকে ডাকলেন তিনি বললেন, 'ভীরু শাস্ত্র বুদ্ধ.' আমি বললাম, 'জ্বী স্যার' 'এদিকে এসো!' ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমাকে কলমটি দেখালো তিনি বললেন, 'এটি একটি শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক' 'এটা আমি তোমাকে দিলাম' 'আর যেদিন তুমি তোমার মতো এক্সট্রা অডিনারি ছাত্র পাবে ...তো এই কলম ওকে দিও' আজ ৩২ বছর ধরে আমি ভীরু শাস্ত্র বুদ্ধ পরবর্তী ভীরু শাস্ত্র বুদ্ধ’র জন্য অপেক্ষায় আছি। কিন্ত পাইনি। এই ব্যাচে কি কেউ আছে যে এই কলমটি নিয়ে যেতে পারবে? ভালো. হাত নামাও সবাই। নোটিশ বোর্ডে লিখে দিতে হবে? বললাম না হাত নামাও স্যার,আমার একটি প্রশ্ন স্যার স্যার, যদি মহাকাশে ফাউন্টেন পেন, বলপেন নাই চলে তাহলে তাহলে মহাকাশচারীরা পেন্সিল কেন ব্যবহার করলোনা? লাখ লাখ ডলার বেঁচে যেত স্যার আমি পরে তোমার প্রশ্নের জবাব দিয়ে দেবো শালা রাতে সিনিয়রদের নুনুতে ঝাটকা খাওয়ায় আর দিনে ডিরেক্টরকে আঙ্গুল দেয়, বলে রাখছি ওর সাথে থাকলে একদিন মারা পড়বো আরে ভাই তুই তো ভাইরাসের পুড়া স্ক্র ঢিলা কইরা দিছস। জাহাপনা ! আপনি মহান। উপঢৌকন কবুল করুন। আবে ভাগ এখান থেকে, তোর স্কুল নেই নাকি? স্কুলের ফীস দেবে কে? তোর বাপ? শালা বাপের নামে গালি দিস্ তোর এত্তো বড় সাহস......! - দাড়া, .... দাড়া.... দাড়া.....রাজু কি করছিস দোস্ত? শোন স্কুলে পড়তে ফীস তো লাগেইনা, লাগে শুধু ইউনিফর্ম ইউনিফর্ম দাড়া তোর যে স্কুল পছন্দ হয় সেই স্কুলের ইউনিফর্ম কিনে নে, আর চুপচাপ গিয়ে ক্লাশে বসে পড় এত্তো এত্তো বাচ্চাদের ভিড়ে কেউ তোকে চিনবেইনা। আর ধরা খাইলে? - ধরা খাইলে ইউনিফর্ম চেঞ্জ, স্কুল চেঞ্জ করে নিবি দেখছিস? - ও জিনিষ ছিলো একখান ... শালা দুনিয়ার নিয়ম-কানুন কে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে চ্যালেঞ্জ করতো ভাইরাসের বাসায় এক মুক্ত পাখি ঢুকে পড়েছিলো। আমরা সবাইতো প্রফেসারদের রিমোট কন্ট্রলে চালানো রোবট ছিলাম। শুধু মাত্র ও একাই ছিল যে সম্ভবত মেশিন ছিলোনা। মেশিন কি? আপনি হাসছেন কেন? আসলে স্যার, আমার ছেলেবেলার স্বপ্ন ছিলো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়বো আজ স্বপ্ন সত্যি হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বসে আছি খুব খুশি লাগছে স্যার বেশি মজা নেয়ার প্রয়োজন নেই। বল মেশিনের সংজ্ঞা কি? যা কিছু মানুষের পরিশ্রম হ্রাস করে তাই মেশিন স্যার। আপনি একটু বিস্তারিত বলুন? স্যার যা কিছু মানুষের কাজকে সহজ করে, সময় বাাঁচায় সেটিই মেশিন স্যার। গরম লাগছে, সুইচ চাপলাম, হাওয়া লাগছে, ফ্যান ....... এক মেশিন স্যার! আপনার দূরবর্তী বন্ধুর সাথে আমি কথা বলতে পারছেন! টেলিফোন.... এক মেশিন স্যার। কোটি কোটির হিসাব এক চুটকিতেই করে দেয়. ক্যালকুলেটর... এক মেশিন স্যার। স্যার আসলে মেশিন আমাদের ঘিরে রেখেছে স্যার। কলমের নিব থেকে শুরু করে প্যান্টের চেন পর্যন্ত সবি মেশিন স্যার এক সেকেন্ডেই আপ. এক সেকেন্ডেই ডাউন আপ, ডাউন... আপ, ডাউন..... মেশিনের সংজ্ঞাটা কি? স্যার, তাইতো বলছিলাম স্যার পরীক্ষায় এসব লিখবে. যে এটা মেশিন, আপ, ডাউন... আপ, ডাউন..... ইডিয়েট! আর কেউ পারে? হ্যাঁ? Sir, machines are any combination of bodies so connected that their relative motions are constrained and by which means, force and motion may be transmitted and modified as a screw and its nut, or a lever arranged to turn about a fulcrum or a pulley about its pivot, etc especially, a construction, more or less complex consisting of a combination of moving parts, or simple mechanical elements, as wheels, levers, cams etc চমৎকার একদম ঠিক হয়েছে। প্লিজ বসুন। ধন্যবাদ...... ধন্যবাদ.... কিন্ত স্যার আমিও তো তাই বলছিলাম সহজ ভাষায়। আপনার যদি সহজ ভাষা পছন্দ হয় তাহলে মানবিক নয়তো বানিজ্য বিভাগে ভর্তি হয়ে যান। কিন্ত স্যার , কথার মানেটাও তো বুঝা দরকার। এমন কিতাবী ঢংয়ের কথা মুখস্থ করে লাভ কি হবে? আপনি বইয়ের চেয়েও বেশি জানেন? বইয়ে এই সংজ্ঞাই দেয়া আছে। আর যদি আপনাকে পাশ করতে হয় তো আপনি এটিই লিখ..বেন.. কিন্ত স্যার আরো তো অনেক বই আছে যেগুলোতে..... - বেরিয়ে যান! ওফ.....কেন? সহজ ভাষায় - বেরিয়ে যান! ইডিয়েট! তো, আমরা মেশিন সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম ... আরে তুমি ফিরে এসেছো কেন? স্যার, কিছু ফেলে গিয়েছি স্যার কি? Instruments that record, analyze, summarize, organize debate and explain information; that are illustrated, non-illustrated hard-bound, paperback, jacketed, non jacketed with foreword, introduction, table-of-contents, index that are intended for the enIightenment, understanding enrichment, enhancement and education of the human brain through the sensory route of vision, sometimes touch আরে বলছাটাকি তুমি? বই স্যার, বই বই ফেলে গিয়েছিলাম স্যার , নেবো? তো সহজ করে বলতে পারতেনা কি? কিছুক্ষণ আগেই স্যার আমি চেষ্টা করেছিলাম স্যার কিন্তু আপনার তা ভালো লাগেনি। প্রফেসার র্যাঞ্ছ কে ক্লাশের ভেতরের চেয়ে বাইরেই বেশী রাখতো। ওকে এক ক্লাশ থেকে বের করে দিতো ও অন্য ক্লাশে গিয়ে বসে পড়তো ও বলতো চারিদিকেই জ্ঞাণ বিতরণ চলছে যেখানেই পাই নিয়ে নেই। ও আমাদের সবার চেয়ে আলাদা ছিলো আমরা রোজ বাথরুমে গোসলের জন্য ঝগড়া করতাম। আর ও যেখানে পানি পেত, সেখানেই গোসল সেড়ে নিত। শুভ সকাল স্যার, মেশিনের উপর খুব ঝোঁক ছিলো। পকেটে স্ক্র ড্রাইভার নিয়ে ঘুরতো সবসময়। যেই মেশিন পেতো ওটা খুলে ফেলতো। কিছু কি বানাতে পারতো.. কিচ্ছুই না আরো একজন ছিল, ঠিক ওর মতোই জয় লবো স্যার.এক্সকিউজ মি, স্যার মিঃ জয় লবো! স্যার, সমাবর্তন অনুষ্ঠানের তারিখ টা যদি জানাতেন.... কেন? বাবা ট্রেনের বগি রির্জাভ করতে চাইছিলেন। আমার গাঁয়ের আমিই প্রথম ইঞ্জিনিয়ার হবো স্যার সব আত্মীয় স্বজন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আসতে চাইছেন। এই ব্যাপার হলে তোমার বাবাকে ফোন কর প্লিজ। প্লিজ প্লিজ.....জলদি কর... আমার সময় নষ্ট করোনা। হ্যালো বাবা, ডিরেক্টর স্যার আপনার সাথে কথা বলবে.. জয়! মিঃ লবো আপনার ছেলে এবছর গ্রাজুয়েট হতে পারবেনা। কি হয়েছে, স্যার? সে সকল ডেডলাইন অতিক্রম করে ফেলেছে। কি একটা অবাস্তব...... মিঃ লবো মিঃ লবো অবাস্তব একটি প্রজেক্ট করছে ও সে একটি হেলিকপ্টার তৈরী করেছে। তো আমার পরমর্শ এটিই থাকবে যে আপনি ট্রেনের বগি রির্জাভ করবেন না। আমি খুব দুঃখিত স্যার , আমি খুব কাছাকাছি চলে এসেছি স্যার, - তোমার প্রজেক্ট রেডি কিনা তাই বল? আরে...ক..টু.. - তোমার প্রজেক্ট রেডি কিনা তাই বল? - স্যার, আপনি অন্তত্য একবার দেখেতো নিন স্যার, প্লিজ সাবমিট কর, তখন বিবেচনা করবো। স্যার, আমাকে আরেকটু অতিরিক্ত সময় দিন স্যার.... - কেন ,কেন দিতে হবে তোমাকে ? বাবার স্ট্রোকের পর দু মাস মনোনিবেশ করতে পারছিলাম না।,স্যার প্লিজ। দুই মাস কি খাদ্য খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলে? না নাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলে? তো পড়াশোনা কেন ছেড়ে দিলে? স্যার , আমি প্রায় শেষ করে এনেছি স্যার, আপনি একটিবার দেখুনতো.... মিঃ লবো! রবিবার দুপুরে আমার ছেলে ট্রেনে থেকে পড়ে মরে গিয়েছিলো সোমবার সকালেই ভিরু শাস্ত্র বুদ্ধ ঠিক মতো ক্লাসে লেকচার দিয়েছিলো। তাই আমার কাছে বাজে বোকনা। আমি আপনাকে সহানূভূতি দিতে পারি অতিরিক্ত সময় নয়। আমি দুঃখিত স্যার , .....আমি...... প্রায় শেষ... করে .....স্যার, সাড়াটি জীবন ধরে আমরা,মরার মতো বাঁচি ক্ষণিকের জন্য অন্তত ( বাঁচতে দাও.... বাঁচতে দাও..) সাড়াটি জীবন ধরে আমরা,মরার মতো বাঁচি ক্ষণিকের জন্য অন্তত ( বাঁচতে দাও.... বাঁচতে দাও..) আমায় সূর্যের আলো দাও বৃষ্টির ঝর্ণা ধারা দাও বেড়ে উঠার আরেকটি সুযোগ আমায় দাও আমায় সূর্যের আলো দাও বৃষ্টির ঝর্ণা ধারা দাও বেড়ে উঠার আরেকটি সুযোগ আমায় দাও শালায় কি ডিজাইন বানিয়েছে দ্যাখ, হেলিকপ্টারের উপর ওয়্যারলেস ক্যামেরা। ট্রাফিক আপডেট , নিরাপত্তা বিভাগ সবারই কাজে লাগবে এটা! কিন্তু ভাইরাস তো বলছিলো যে খুব অবাস্তব ডিজাইন, উড়বেইনা। না উড়ে কিভাবে পাড়ে ?! আমরা উড়াবো এই জয় কে কিছু বলিসনা, ওকে সারপ্রাইজ দেবো। ওর জানালার পাশে উড়িয়ে ওর রিআকশন রেকর্ড করবো। আরে ওর প্রজেক্ট যদি আমরা করি তো আমাদেরটা কে করবে? টেস্ট, ভাইবা, কুইজ মিলিয়ে প্রতিটি সেমিস্টারে ৪২ টি পরীক্ষা আরে তুই খুব ভয় পাস দোস্ত এই হাত নে, নিজের বুকে রাখ আর বল - সব ঠিক আছে - সব ঠিক আছে - সব ঠিক আছে ? - - সব ঠিক আছে এবার নতুন কিছু নিয়ে এসেছেন আমাদের গুরু র্যাঞ্ছর দাস। আরে আমাদের গাঁয়ে এক চকিদার ছিলো। ও রাতে পাহাড়া দেয়ার সময় জোড়ে জোড়ে চিৎকার করতো, 'Aal izz well'(সব ঠিক আছে ) আর আমরা নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম। এক রাতে গাঁয়ে চুরি হলো তখন জানা গেলো শালা রাতে কিছুই দেখেই না এমনিই চিল্লাত 'Aal izz well',(সব ঠিক আছে) আর আমরা নিশ্চিত হয়ে ঘুমিয়েও পড়তাম। সেদিন একটি কথা উপলব্দি করলাম। এইযে আমাদের হৃদয়টা না খুবই ভীরু দোস্ত ওকে বোকা বানিয়ে রাখো জীবনে যত বড় ঝামেলাই হউক না কেন ওকে বলো নো টেনশন মাম্মা , 'All is well, (সব ঠিক আছে..!!) ওটা বললেই ঝামেলা মিটে যাবে? মিটবেনা. তবে ঝমেলার মোকাবেলা করার সাহস এসে যাবে (হু..আ..আ.......) দোস্ত এই মন্ত্রটা মুখস্থ করেনে. এখানে এটা খুব কাজে লাগবে আগামীতে যখন জীবন হয় ‘আউট আফ কন্ট্রোল’ ঠোঁট দুটো তুই কররে ‘গোল’ ঠোঁট দুটো তুই কররে ‘গোল’ শীষ মেরে গলা ছেড়ে বল যখন জীবন হয় ‘আউট আফ কন্ট্রোল’ ঠোঁট দুটো তুই কররে ‘গোল’ ঠোঁট দুটো তুই কররে ‘গোল’ শীষ মেরে গলা ছেড়ে বল Yell - All is Well...(সব...... ঠিক.... আছে) মুরগী কি আর জানে আন্ডার কি হবে? বাচ্চা ফুটবে, না কড়াইতে ভাজি হবে? কেউ জানেনা ভবিষৎ তার কি হবে? তো ঠোঁট বাকাও শীষ বাজাও শীষ মেরে তুই বল যে ভাইয়া - All is Well.(সব...... ঠিক.... আছে) আরে ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে) আর মাম্মা - All is Well.(সব...... ঠিক.... আছে) আরে ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে) সমস্যার পরে সমস্যা আরো সমাধান কি জানিনাতা সমাধান যতক্ষণে খুঁজে পেলাম তখক্ষণে প্রশ্নটাই তো ভূলে গেলাম? মন যে তোর এই কথায় কথায় ই ভয়ে মরে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে তুই ফুসলিয়ে নে ..রে.. মন বোকা রাম তুই আদর করে ওকে বুঝিয়ে নে তো ঠোঁট বাকাও শীষ বাজাও শীষ মেরে তুই বল যে ভাইয়া - All is Well.(সব...... ঠিক.... আছে) আরে ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে) আর মাম্মা - All is Well.(সব...... ঠিক.... আছে) আরে ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে) স্কলাশীপের দুঃখে মদ খেলাম কতো দুঃখ তবু কমলোনা আগরবাত্তি সব ছাই হলো তবুও আল্লায় দেখলোনা.. বক্রী কি জানে ওর জীবনের কী হবে? শিক ঢুকাবে না শালা কিমা বনাবে কেউ জানেনা ভবিষৎ তার কি হবে? তো ঠোঁট বাকাও শীষ বাজাও শীষ মেরে তুই বল যে ভাইয়া - All is Well.(সব...... ঠিক.... আছে) আরে ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে) আর মাম্মা - All is Well.(সব...... ঠিক.... আছে) আরে ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে) যখন জীবন হয় ‘আউট আফ কন্ট্রোল’ ঠোঁট দুটো তুই কররে ‘গোল’ ঠোঁট দুটো তুই কররে ‘গোল’ শীষ মেরে গলা ছেড়ে বল All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে) মুরগী কি আর জানে আন্ডার কি হবে? বাচ্চা ফুটবে, না কড়াইতে ভাজি হবে? কেউ জানেনা ভবিষৎ তার কি হবে? তো ঠোঁট বাকাও শীষ বাজাও শীষ মেরে তুই বল.... পেয়েগেছি!! পেয়েগেছি!!! ইয়ে.......স..... ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে) আরে মুরগী - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে) আরে বক্রী - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে) আরে ভাইয়া - All is Well .(সব...... ঠিক.... আছে) অই জয়ের জানালার দিকে নে ..জয়ের জানালার দিকে নে.. অই জয়.. উপরে ... উপরে.... এই সেড়েছে.. এই দ্যাখ দ্যাখ সাইলেন্সার নেংটু হয়ে পড়ছে! জয়, বাইরে দ্যাখ জয়, জানালার কাছে আয় জয়, বাইরে দ্যাখ সুখবর, স্যার না পুলিশ কিছু বুঝতে পেরেছে না জয়ের বাবা কিছু বুঝতে পেরেছে। সবাই ভাবছে যে ‘আত্মহত্যা’ স্যার পোস্টমর্টেম রিপোর্টেও এসেছে.... যে... মৃত্যুর কারণ হলো ‘শ্বাসনালীর উপর তীব্র চাপের ফলে মারা গেছে’ কী আজব!! বোকাগুলো ভাবছে যে এখানটায় তীব্র চাপ পড়ায় মরে গেছে! আর গত চার বছর ধরে যে এখানটায় প্রেসার পড়ছে, তার কি হবে? তাতো রিপোর্ট এ দেখায়ইনি স্যার আর এই ইঞ্জিনিয়ার লোকগুলোও খুব চালাক হয়ে থাকে স্যার এমন কোন মেশিন তৈরীই করেনি যা দিয়ে এখানকার চাপ পরিমাপ করা যাবে যদি বানাতো তাহলে আজ জানা যেতো যে... এটি আত্মহত্যা নয় , খুন স্যার জয়ের আত্মহত্যার কারণে তুমি আমাকে দোষ দিচ্ছ? যদি একজন ছাত্র পড়াশুনার চাপ সামলাতে না পারে তাতে আমাদের দোষটা কোথায়? জীবনেতো অনেক চাপ ই আসতে থাকবে, তাইবলে কি তুমি শুধ অন্যের ঘাড়েই দোষ চাপাতে থাকবে ? স্যার , দোষ আমি আপনাকে দিচ্ছিনা দোষ দিচ্ছি পুরো সিস্টেমটাকে স্যার আমার কাছে কিছু পরিসংখ্যান আছে স্যার, আত্মহত্যায় ইন্ডিয়া বিশ্বে এক নম্বর অবস্থানে আছে। প্রতি দের ঘন্টায় কোন না কোন ছাত্র আত্মহত্যা করছে স্যার এখানে ছাত্ররা অসুখ হয়ে মরার চেয়ে আত্মহত্যা করে বেশী মরছে স্যার কিছু একটা তো ভুল হচ্ছে না, স্যার আমি অন্য কলেজের সম্পর্কে কিছু বলতে পারবোনা। কিন্তু এটা দেশের একটি সেরা কলেজ বত্রিশ বছর ধরে আমি এই কলেজ পরিচালনা করছি। আর ২৮ নাম্বার অবস্থান থেকে নাম্বার ১ এ আমি নিয়ে এসেছি স্যার কিষের নাম্বার ১ স্যার , কিষের নাম্বার ১? স্যার এখানে কেউ নতুন কোন আইডিয়ার কথা বলেইনা কিছু উদ্ভাবনের কথা ভাবেইনা সবাই শুধু পরীক্ষায় বেশী নাম্বার পাওয়ার কথা বলে বা বলে আমেরিকাতে চাকরি করার কথা। স্যার এখানে জ্ঞাণ দেয়া হচ্ছেনা স্যার এখানে শুধু এটি শেখানো হচ্ছে যে কিভাবে পরীক্ষায় বেশী নাম্বার পাওয়া যাবে! এখন তুমি আমাকে শেখাবে যে কিভাবে পড়াতে হয়? না, স্যার.......আমি.... স্যার, আমার কাগজটা......... বিদ্যা নাথান , প্লীজ আপনি বসুন আজকে আমাদের মাঝে এক এমন মাতুব্বর এসেছেন যিনি ভাবেন যে আমাদের হাইলি কোয়ালিফাইড শিক্ষকদের চেয়েও ভালোভাবে পড়াতে পারবেন তো আজ প্রফেসার, রাঞ্চুর দাস চাঁচর .. আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং শেখাবেন আমাদের কিন্তু সারাদিন বসে থাকার সময় নেই আপনাদের হাতে ৩০ সেকেন্ড সময় আছে, বোর্ডে লিখা শব্দ দুটির মানে বলতে হবে। আপনি চাইলে বইও ব্যবহার করতে পারেন জবাব খুঁজে পেলে তিনি শুধু হাত উঠাবেন দেখা যাক কে প্রথম হয় আর কে শেষ হয় আপনার সময় শুরু হচ্ছে .......... এখন... সময় শেষ। সময় শেষ, স্যার। কি হলো, কেউই জবাব খুঁজে পেলেন না? এখন নিজের জীবনে ১মিনিট আগে ফিরে যাও, আর ভাবো যখন আমি এই প্রশ্ন লিখেছিলাম, কেউকি এটা ভেবেছিলো যে, আজ নতুন কিছু শিখতে পারবো? খুব মজা হবে......? কেউ ভেবেছিলো...? ...স্যার? না, সবাই প্রতিযোগিতায় নেমে গেলো এভাবে পড়ে যদি প্রথম হয়েও যাও তাতে কী লাভ হবে? আপনাদের জ্ঞাণ বাড়বে?.. না শুধুই প্রেসার বাড়বে আর এটা কলেজ, এটা প্রেসার কুকার না। আরে, চাবুকের ভয়ে তো সার্কাসের বাঘও উঠে চেয়ার বসা শিখে নেয় কিন্তু এমন বাঘ কে আমরা 'সুপ্রশিক্ষিত বলি', 'সুশিক্ষিত' বলিনা হ্যালো...... এটা দর্শনের ক্লাস নয়, শুধু ঐ শব্দ দুটির মানে বল ব্যাস স্যার, এমন কোন শব্দ আসলে নেই.... স্যার.. এ দুটি আমার দুই বন্ধুর নাম' ফারহান আর রাজু চুপ!!! বেওকুফ! এভাবে পড়াবে ইঞ্জিনিয়ারিং? না স্যার. আমি আপনাদের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছিলামনা, স্যার সেটিতো আপনি আমার চেয়ে অনেক ভালো জানেন আমি তো আপনাদের এটা পড়াচ্ছিলাম ..... যে.... পড়াতে হয় কিভাবে! আর আমার বিশ্বাস যে আপনি একদিন অবশ্যই শিখবেন স্যার কারণ আমি আমার দুর্বল ছাত্রদের হাত কখনো ছাড়িনা বাই, স্যার...... খামোশ....! আমি বলছি চুপ কর!!!!! অনেক দুঃখের সাথে আমি আপনাকে অবগত করছি যে, আপনার ছেলে ফারহান... রাজু... অসৎ সঙ্গের পাল্লায় পড়েছে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে ওর ভবিষৎ বরবাদ হতে পারে। ভাইরাসের, চিঠি আমাদের ঘরে এটম বোমের মতো ফাটে হিরোশিমা আর নাগাসাকি তে মাতম উঠে গেলো আর আমাদের উভয় ঘরে জুতা খাওয়ার জন্য দাওয়াত করা হলো আসুন, ভেতরে আসুন....... আসুন .. আসুন.. ওদিকে দেখুন? একটাই এসি কেনার সামর্থ ছিলো আমার আর সেটি আমাদের রুমে না লাগিয়ে ফারহানের রুমে লাগিয়েছি যেন ও আরামে পড়াশোনা করতে পারে। কার কিনিনি আমি... আজ পর্যন্ত স্কুটার চালাই। সব টাকা আমরা ফারহানকে পড়ানোর জন্য খরচ করছি নিজেদের ভবিষৎ আমরা ফারহানের ভবিষতের জন্য কুরবানি করে দিয়েছে! বুঝতে পারছেন কিনা আপনি? 00:43:22,800 --> 00:43:30,125 তারপরেও যদি এমন চিঠি আসে প্রিন্সিপাল সাহেবের কাছ থেকে, আপনি কি ভাবতে পারছেন আমাদের মনের অবস্থাটা কেমন হয়!!? এই...!! ছবিগুলো তুই তুলেছিস নাকি, ফারহান? -চুপ কর! - ফটোগ্রাফীর ভূত চেপেছিলো জনাবের ঘাড়ে তাও আবার পশুপাখীর ছবি তুলে বেড়াতো ...বলতো যে আমি.. ...বলতো যে আমি.. বন্যপ্রানীর ফটোগ্রাফার হবো বেটা সেবছর তোমার % কতো ছিলো? ৯১% শুনলেন আপনি ? ৯৪% থেকে কমে এক্কেবারে ৯১% আপনার কাছে মজার মনে হচ্ছে? না চাচা, সরি......আমি শুধু বলছিলাম যে ও কতো সুন্দর ছবি তুলতে পারে আপনি ওকে ইঞ্জিনিয়ার বানাচ্ছেন কেন? ... ওর তো বন্যপ্রানীর ফটোগ্রাফার হওয়া উচিৎ শুনুন! - (অনেক উন্নতি করতে পারবে) হাতজোড় করে আপনার কাছে প্রার্থনা করছি যে, আমার ছেলের ভবিষৎ বরবাদ করে দেবেন না!!! বাচ্চারা, টেবিলে খাবার দেয়া হয়েছে , খেতে এসো 00:44:16.100 --> 00:44:19.125 হ্যাঁ চল খেয়ে নেই!! পরের বার এলে অবশ্যই খাবার খেয়ে যেও আব্বা তো খেতে দিলোই না.. তাই, আমরা আমাদের ক্ষুধার্থ পেট ভরতে... আর বকা খাওয়ার কোঠা পূরণ করতে... রাজুর ঘরে পৌঁছালাম রাজুর ঘর ১৯৫৬ সালের সাদা কালো সিনেমার কথা মনে করিয়ে দিতো ছো্ট্ট একটা ঘর... যেখানে এক পঙ্গু বাবা... এক রোগা মা... আর এক অবিবাহিত বড় বোন ফাঁটা ছোফা, যার স্প্রীং গুলো .তাকিয়ে আছে.. আর ছাদের ফুটো দিয়ে ২৪ ঘন্টা গড়িয়ে পড়া পানি মা স্কুল থেকে রিটায়ার্ড করেছিলেন এখন অনেক বেশীর ভাগই ক্লান্ত থাকেন বাবা কোন এক কালে পোষ্ট মাষ্টার ছিলো... প্যারালাইসিসের পর শরীর অর্ধেক পঙ্গু হয়ে গেলো আর বেতন বন্ধ হয়ে গেলো পুরোটাই.... আর বোন!!!? কম্মো তো ২৮শে পা দিলো. এখন যৌতুকে মারুতি ৮০০সিসি চায় আরে তুই যদি লেখাপড়া না করিস, তো ওর বিয়ে দিবি কিভাবে? ঢেঁরশ নেবেন? - হ্যাঁ ...হ্যাাঁ ..জী ধন্যবাদ তুই কি জানিস ?ঢেঁরশের কেজি ১২ টাকা হয়ে গেছে, আর ফুলকপি ১০/- সারা দেশে যেন লুটতরাজ চলছে! আর তার উপর যদি তোর এমন এমন চিঠি আসে কলেজ থেকে? তাহলে বল আমরা খাবোটা কি? মা! পণির নেবেন? - হ্যাঁ ... পণির তো বেটা কিছুদিন পর এতটুকু এতটুকু করে স্বর্ণের দোকানে বেঁচবে মনে হয় পণির দেবো? - না,না , ব্যাস...ব্যাস মা,তুই... থাকনা .. এখন...কি.. ঠিক আছে ভাই, চুপ হয়ে গেলাম কি কপাল, বাচ্চাদের জন্য কামাইও কর আবার চাকরের মতো কাজও কর তারপরও মুখ বন্ধ রাখ আরে ঘরের সমস্যা, তো ছেলেকে বলবোনা তো কাকে বলবো ওর বন্ধুদের? এই রাজু... বড় দুটানায় পড়ে গেলাম... বন্ধুকে সামলাবো? নাকি বন্ধুর মায়ের চোখের জল মুছাবো? তখন আমরা ভাবলাম, বাদ দাও ওসব পণিরের দিকেই মনোনিবেশ কর। ওনার এক্জিমার মলম ও এখন ৫৫ টাকা হয়ে গেছে আরো রুটি দেবো? না ,না ,না ,... ব্যাস অনেক হয়ে গেছে ,পেট ভরে গেছে ঢেঁড়শ ১২/- করে - ফুলকপি ১০/- আরে কমছে কম খাবার খেতে তো দিয়েছে তোর নিষ্ঠুর বাপের মতো তো না... 'হিটলার কোরেশী! হ্যাঁ ..হ্যাঁ .. আর তোর মা তো মাদার তেরেসা... ‘খুজলি’ওয়ালা রুটি খাওয়াচ্ছিল'! এই মাকে নিয়ে কোন মজা করবি না! - থাম নারে দোস্ত.. বাদ দে কিষের ঝগড়া করছিস. প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে..চলনা বাইরে কোথাও খেয়ে নেই। মাসের শেষ, দোস্ত টাকা কি ও মাদার তেরেসা দেবে? আরে খাবার খেতে পয়সা লাগেনা, ইউনিফর্ম লাগে ইউনিফর্ম ঐ দ্যাখ চল - চল নমস্তে,-নমস্তে, -নমস্তে, শুভ সন্ধ্যা ওহ্ ,চাচা এই শোন , ৩টি বড় দেখে ‘ভোডকা’ নিয়ে আয় - অর্ধেক সোডা, অর্ধেক পানি মার খাওয়াবিরে... দোস্ত.. আর শুরুর আইটেম কি কি আছে? - আচ্ছা যাই থাকুক না কেন দু প্লেট করে নিয়ে আয় এটা এখানেই রেখে যা আর মিউজিক চেঞ্জ করে কোন গজল টজল লাগা পিয়া , এসব কি ?! কি পড়েছো এটা? সেই আদ্দি জমানার ফালতু ঘড়ি? ছিঃ ছিঃ আরে মানুষ কী বলবে?... - সুহাসের হবু বউকে দ্যাখ ক’দিন পরে ডাক্তার হবে, আর ঘড়ি পড়েছে, ২০০টাকার! প্লীজ এটা খুলে ফেল. ধন্যবাদ হায় হ্যান্ডসাম হেই চাচী. তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে আমার এ সেট টা দেখতে ভুল করোনা,ডার্লিং - রুবি? এটা ম্যান্ডালে থেকে এনেছে - ম্যান্ডালে... ওয়াও! হেই চলো তোমাকে ডেভিটের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই - অবশ্যই এক্সকিউজ মি হ্যাঁ ? ফুল আ.. এই গ্লাসটা আমি নিয়ে নেই? - কেন? আপনি গ্লাস ছুড়ে মারবেন, আমার মাথা ফেঁটে যাবে আমি আপনাকে মারবো কেন? কারণ আমি আপনাকে কিছুটা মাগনা উপদেশ দিবো এখন -কি? ঐ গাধাটার সাথে কখনো বিয়ে করবেন না। এক্সকিউজ মি? ও মানুষ না, প্রাইজ ট্যাগ !! প্রাইজ ট্যাগ -শুনুন জীবন ভরে আপনাকে আলাদা আলাদা প্রোডাক্টের দাম শুনিয়ে শুনিয়ে ঝালাপালা করে দেবে - হ্যালো আপনার জীবনটাই বরবাদ হয়ে যাবে. আপনার ভবিষৎ একদম শেষ হয়ে যাবে উদাহরণ দেবো? ওর জুতার দাম কতো ? সেটা জানবো?! আমি ওকে জিজ্ঞেস করবোনা. ও নিজেই বলবে। শুধু দেখুন এ্যাঁই.. এ্যাঁই. আরে কি করলে ভাই... আরে ৩০০ ডলারের জুতা আমার পুদিনার চাটনি আর আমার ৩০০ ডলারের জুতা পালাও! মাগনা উপদেশ. মানলে মান, না মানলে বাদ দাও! জেনুইন ইতালিয়ান চামড়া - হাতে সেলাই করা! বাবা, ওরা আপনার মেহমান? ওরাতো আমার ছাত্র. ওরা এখানে করছেটা কি? ১সেকেন্ড বাবা মটরশুটির গন্ধটা তো দারুণ লাগছে.. দোস্ত আরে পুরি রাখার জায়গা নেই আর - আরে সাইডে এডজাস্ট করে নে। হায় - হেই আপনি আমার চোখ খুলে দিয়েছেন, অনেক ধন্যবাদ ওহ্ ... সে কিথা .. ওটা আমার দায়িত্ব ছিলো আমি কি আরেকটু সাহায্য পেতে পারি? আমার বাবা সুহাসের সাথে এই এনগেজমেন্ট ভাংতে দেবেনা আপনি এতো সুন্দর করে বুঝাতে পারেন। যদি তাকে এক আধটা উদাহরণ দিতেন তো.. দেবোনা মানে ....অবশ্যই দেবো রাজু চাটনি দে... আপনি না খুউব মিষ্টি!!! আপনার বাবা কোথায়? - আপনার ঠিক পেছনেই Aal izz well -(..সব ঠিক আছে..) পালাও! মাগনা উপদেশ. মানলে মান, না মানলে বাদ দাও! তোমরা এখানে কি করছো? স্যার, লেফাফা দিয়ে আসছি স্যার স্টেজে আমাকে দাও.আমার বোনে বিয়ে বোন? স্যার, আপনার মোট ক’টা মেয়ে আছে স্যার। এটাতো খালি! অ্যা.. খালি.. তু..তু্ই. চেক দিসনি?., রাজু ... ফারহান? তাতো গেলো , আমরাতো আপনাদের দাওয়াত দেইনি আপনারা বোধ হয় ছেলে পক্ষের থেকে এসেছেন না স্যার, আসলে আমরা বিজ্ঞানের পক্ষ থেকে স্যার বিজ্ঞানের পক্ষ থেকে কিভাবে? তুমি কি ব্যাখ্যা করতে পারো? বাবা, ও ব্যাখ্যা খুবই চমৎকার করতে পারে এক্ষুণি উদাহরণ দেবে দাও না? স্যার, আসলে দিল্লীতে খুব লোডশেডিং হয়... আর বিয়ে শাদীতে তার জন্য খুব সমস্যা হয় তো আমি ভাবলাম যে এমন এক ইনভার্টার বানাবো যেটি.. বিয়েতে আসা মেহমানদের গাড়ীর ব্যাটারী থেকে পাওয়ার নিতে পারবে আচ্ছা ওয়াও তো ইভার্টার বানিয়ে দিয়েছেন? স্যার, ডিজাইন তৈরি আছে ডিজাইনটা কইরে, ফারহান? ডিজাইন দিয়েছিলাম না তোকে - হ্যাঁ আমি ওটা রাজুকে দিয়ে ছিলাম রাজু, ডিজাইন? স্যার, আসলে ডিজাইনের কথা বাদ দিন না স্যার. আমি আপনাকে সরাসরি ইনভার্টার বানিয়ে দেখাচ্ছি তুমি শুধু বেওকুফ বানাতে পার! ইনভার্টার না না স্যার, আমি আপনাকে অবশ্যই ইনভার্টার বানিয়ে দেখাবো, ওয়াদা করছি আর ওটা সার আপনার নামে করে দেবো স্যার... হাজার হউক আপনার মেয়ের বিয়েতে এসে ওটির আইডিয়া মাথায় এসেছে.. ফারহান , রাজু. আপনাদের দুজনের সাথে কাল আমি অফিসে দেখা করতে চাইবো স্যার, আপনার প্লেট প্রতি কতো খরচ হয়েছিলো স্যার, আমরা পরিশোধ করে দেবো স্যার ... কিস্তিতে স্যার আর আগামীতে আমরা আর কোন বিয়েতে ঢুকে পড়বোনা - হ্যাঁ স্যার আমরাতো নিজেদের বিয়েতেও কোন দিন যাবোনা আসলে আমি কখনো বিয়েই করবো না স্যার -আর অও করবেনা স্যার হ্যাঁ...স্যার আমিও বিয়ে করবোনা স্যার তোমার বাবা মায়ের ও বিয়ে করা উচিৎ ছিলোনা এই দুনিয়াতে দুজন ইডিয়েট কম জন্মাতো বসো!!! মনযোগ দিয়ে দ্যাখ এটা হলো র্যাঞ্ছর দাসের বাবার মাসিক আয় আড়াই কোটি টাকা এখন এখান থেকে যদি একটি বা দুটি জিরো কমিয়ে দেই তাতে তার কিছুই হবেনা কিন্তু যদি আরো একটি জিরো কমিয়ে দেই তাহলে আমি যতটুকু মনে করতে পারছি এটা তোমার বাাবর মাসিক আয় মিঃ ফারহান হ্যাঁ স্যার এখন যদি আরেকটি জিরো কমিয়ে দেই... তো এটা হলো তোমার ফ্যামেলীর মাসিক আয় মিঃ রাজু রাস্তগি বড় চিন্তার বিষয় ভিরু শাস্ত্র বুদ্ধের কথা শোন! আর নিজের রুম চেঞ্জ কর চতুর রামালিংগামের সাথে শিফট হয়ে যাও। পরীক্ষা আসছে, ঐ চাঁচরের সাথে থাকলে কোনদিনও পাস করতে পারবেনা। শেভ করাতে হবে? - না, স্যার তো বিদেয় হও! রাজু, তুই বোঝার চেষ্টা কর, ভাইরাস আমাদের কে আলাদা করার ষঢ়যন্ত্র করছে, তুই ভয় পাসনে ভয় তো এসেই যায়... আমার ভালো একটা চাকরী যোগার করতে হবে তার জন্য ভালো গ্রেড প্রয়োজন, আর গ্রেড ওর হাতে তোর মতো ধনী নয় আমার বাবা, যার টাকায় সারা জীবন বসে খেতে পারবো রাজু, তুই কী সব বাজে বকছিস্ দোস্ত ও যা বলবে আমরা তাই করবো নাকি? 'Aal izz well!!' (সব ঠিক আছে) তোর ওর চামচা হতে পারিস আমি নই। তুই কিন্তু এখন সীমানা অতিক্রম করছিস - না, আমাদের মাঝে নতুন সীমানা তৈরী করছি কারণ আমাকে আমার পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে মায়ের অর্ধেক বেতন তো বাবার ঔষুধ কিনতেই শেষ হয়ে যায় কম্মোর বিয়ে হচ্ছেনা কারণ ছেলে পক্ষের ‘মারুতি ৮০০সিসি’ যৌতুক চাই। গত ৫বছরে মা একটিও নতুন শাড়ি কেনেনি দোস্ত তুই ঝগড়া ভেতরে যদি মাকে টেনে আনিস তো আমার আর কি বলার থাকে. আচ্ছা দোস্ত, এক বছরে কয়টি শাড়ির প্রয়োজন হয় বলতো? মা কে নিয়ে কোন মজা করবি না বলছি.. আরে রাজু, আমরা পড়বো , মন দিয়ে পড়বো কিন্তু শুধু পরীক্ষায় পাশ করার জন্য পড়বোনা। এক মহাপুরুষ বলেছিলো- যে সফল হওয়ার জন্য পড়োনা, যোগ্য হওয়ার জন্য পড়। সাফল্যের পেছনে ছুটোনা, শ্রেষ্ঠত্ব, শ্রেষ্ঠত্বের পেছনে ছুটো সাফল্যে এমনিই তখন তোমার পিছনে ছুটবে। কোন মহা পুরুষ বলেছিলো রে? বাবা র্যাঞ্ছর দাসে? মর তোরা..! দোস্ত, টেনশন করিস নাতো, আমরাও প্রথম হবো রে, ‘অসম্ভব বলে কিছু নেই’ ‘অসম্ভব বলে কিছু নেই’ তাই না? ধর এবার পুনরায় টিউবে ঢুকিয়ে দেখা রাজু ট্রেনের বগি পরিবর্তন করে নিলো এবার ও চুতুরের সাথে সফর করতে বেরিয়ে পড়লো বাংলায় সফর না কিন্তু... ইংরেজীর Suffer (ভোগান্তি) 00:56:08,850 --> 00:56:13,200 S U F F E R [Suffer (ভোগান্তি)] সবাই চতুর কে ডাকতো 'সাইলেন্সার' নামে মেধা বৃদ্ধির জন্য, কোন এক কবিরাজ বাবার ‘বড়ি’ খেত তারপর চুপচাপ গরম বায়ূ ত্যাগ করতো... আমি এটা করিনি... রাজু? আর দোষ সবসময় পরের ঘাড়ে চাপাতো সাইলেন্সার দিলে ১৮ ঘন্টা পড়াশোনা করতো আর পরীক্ষার আগের রাতে, অন্যদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটাত ও মানতো, যে পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার দুটিই রাস্তা আছে হয়তো নিজে বেশী নাম্বার উঠাও নয়তো অন্যদের কম করাও র্যাঞ্ছ , সাইলেন্সার কে উচিৎ শিক্ষা দেয়ার আর রাজুকে বাঁচানোর চমৎকার একটি ফন্দি আঁটলো আমাদের পরিচালক মহোদয় এখানে অনেক ‘চমৎকার’ ঘটিয়েছেন। ‘চমৎকার’ ..মানে হচ্ছে... মানে টানে আমার দরকার নেই, দুবে জী আমি মুখস্থ করে নেবো শিক্ষক দিবসে স্বাগত বক্তব্য দেয়ার জন্য চতুরকে নির্বাচন করা হয়েছিলো আর ও ভাইরাস কে তোষামোদ করার জন্য নিজের বক্তব্য, লাইব্রেরিয়ান দুবে,কে দিয়ে.... পরিশুদ্ধ হিন্দিতে লিখিয়েছিলো... হ্যালো. হ্যাঁ ডেকে দিচ্ছি. চতুর, তোমার ফোন দুবেজী, প্রিন্ট করে শীটটা আপনার কাছেই রাখুন আমি আসছি শালার... এমন কাজও আমায় করতে হচ্ছে... আরে দুবেজী, আপনাকে পরিচালক সাহেব এক্ষুনি স্মরণ করেছেন। আচ্ছা? - হ্যাঁ এক্ষুণি আচ্ছা ঠিক আছে তুমি এটা চতুরকে দিয়ে দিও আমি আসছি হ্যালো. হ্যালো - হ্যালো, মিঃ রামলিংগাম? হ্যাঁ? জী আমি লাজপুতনগর থানা থেকে বলছি.. আপনি কি উগান্ডা থেকে এসেছেন? - হ্যাঁ স্যার হুম. ... জী আপনার জীবন হুমকির মুখে আছে। - কী? ... কিভাবে? অ্যাব.. আমার ইন্সট্রাকশন মন দিয়ে শুনুন... নয়তো কলেজের গেটের বাইরে গেলেই রাস্তার উপরেই আপনাকে খতম করে দেয়া হবে কেন ? কি হয়েছে? ওদিগে চতুর বিপন্ন জীবনের ভাবনায় ব্যাস্ত হয়ে পড়লো এই ফাঁকে র্যাঞ্ছ চতুরের বকতৃতার কিছু শব্দ পরিবর্তন করে দিলো..... যেমন 'চমৎকার' কে করে ফেলল 'বলৎকার'(ধর্ষন) আপনি আমায় ডেকেছেন স্যার? তুমি কে? - দুবে, লাইব্রেরিয়ান আমি পার্মানেন্ট স্টাফ স্যার অভিনন্দন....!! এক মিনিট এক মিনিট.. কমিশনার সাহেবের ফোন...আপনি একটু ধরুন.. এক্সকিউজ মি, স্যার, ... স্যার হ্যাঁ .. হ্যালো জী .. হায় জী..... তো আমি যেন কি বলছিলাম? আপনি বলছিলেন যে গেটের বাইরেই.. আমার মৃত্যু হ্যাঁ. দ্যাখ যখন তুমি গেটের বাইরে বেরোবে তখন সামনেই একটি সিগন্যাল দেখবে, ট্রাফিক সিগন্যাল ট্রাফিক সিগন্যাল.হ্যাঁ....ওকে ওকে.. যখন ঐ সিগন্যাল লাল হয়ে যাবে মানে রেড, তখন সব গাড়ীগুলো থেকে যাবে। ওকে, ওকে, তারপর? তারপর তুমি খুব সাবধানে রোডক্রস করো। বেটা জানইতো, আজকাল রাস্তা প্রচুর গাড়ী চলছে তো কখনো যদি গাড়ীর সাথে একসিডেন্ট করো তাহলেতো মরেও যেতে পারো কী সব যা তা বলছেন ! এটাতো আমি জানিই.. তুমি এটা জানো? খুব ভালো বেটা. তাহলেতো তুমি নিরাপদ, সাবাস, সাবাস. হেই সাইলেন্সার , দুবে তোকে এটা দিতে বলল খবরদার আমাকে ওনামে ডাকবিনা, ছাঁছর... আরে ডাইরেক্টার তো বললো যে আমায় ডাকেনি আমি কি আপনাকে ‘ডেকেছেন’ বলেছি নাকি? আমি তো বলেছিলাম স্মরণ করেছেন। স্মরণ করেছেন? নালায়েক! আদরনীয় সভাপতি মহোদয়.. বিশেষ অতিথি, মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী, শ্রী আরডি ত্রিপতি জী মাননীয় শিক্ষকগণ ও আমার প্রিয় বন্ধুরা আজ যে আইসিই’র সাফল্য আকাশের উচ্চতা স্পর্শ করেছে তো তার সকল কৃতিত্ব শুধ একজন কেই দেয়া যায় শ্রী. ভীরু শাস্ত্র বুদ্ধ, তার জন্য কড়তালি... স্যার, ও কথাগুলো বললেও এগুলো কিন্তু আমিই রচনা করে দিয়েছিলাম তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন মহান মানুষ গত ৩২বছর ধরে টানা ওনি, এই কলেজে বলৎকারের(ধর্ষন) উপর বলৎকার (ধর্ষন)করেছেন এর মানে হলো চমৎকারের উপর চমৎকার করেছেন.. আশা করি আগামীতেও করতে থাকবেন আমরাতো ভেবে আশ্চর্য হয়ে যাই যে একজন মানুষ এক জীবনে এতো এতো বলৎকার(ধর্ষন) কিভাবে করতে পারে.. ? উনি কঠিন তপস্যা করে নিজেকে এই কাজের যোগ্য করে গড়েছেন সময়ের সদ্বব্যবহার কেউ শিখতে চাইলে ওনার কাছ থেকেই শিখতে হবে শিখে নিক ওনার কাছ থেকে শিখে নিক আজ আমরা সকল ছাত্র এখানে, আগামীতে দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়বো কিন্তু এই ওয়াদা আপনার কাছে যে দেশেই থাকি না কেন সেখানেই বলৎকার(ধর্ষন) করবো আইসিই এর নাম উজ্জ্বল করবো সবাইকে দেখিয়ে দেবো যে... বলৎকার(ধর্ষন) করার যত ক্ষমতা.. এখানকার ছাত্রদের আছে... তত ক্ষমতা সংসারে আর কোন ছাত্রের নেই 01:02:12,800 --> 01:02:18,386 নো আদার ছাত্র, নো আদার ছাত্রা আদরনীয় মন্ত্রীজীঁ...নমস্কার আপনি এই প্রতিষ্ঠানকে সেই জিনিষ দিয়েছেন যেটার বড্ড প্রয়োজন ছিলো মোদের ধন, ধন - স্তন স্তন না, ধন মানে টাকা পয়...সা.. কেমন অপমান জনক কথা বলছে ছেলেটি স্তন তো সবার কাছে থাকে কিন্তু সবাই তা লুকিয়ে রাখে.. কেউ ই দেয় না... ভারী ফাজিল ছেলে এটা! আপনি আপনার স্তন . এই বলাৎকারী (ধর্ষনকারী) পুরুষের হাতে তুলে দিয়েছেন.. এখন দেখুন যে উনি কিভাবে তার সদ্বব্যবহার করেন শাস্ত্র বুদ্ধ এতটুকু বুদ্ধিও নেই তোমার কাছে? এমন শুভক্ষণে সংস্কৃতিতে লিখা দু লাইন শ্লোক মনে পড়ে গেল, শোন শোন- এখন নিজের বায়ুত্যাগের ক্ষমতার কথা সংস্কৃতি ভাষায় শোনাবে.. উচ্চশব্দে ‘বায়ুত্যাগ’ হলো সবচেয়ে উত্তম ‘বায়ুত্যাগ’ ‘বায়ুত্যাগ’? কি বলছিস , সাইলেন্সার মধ্যম শব্দে ‘বায়ুত্যাগ’ হলো সহনীয় ‘বায়ুত্যাগ’ কিন্তু নিঃশব্দের ‘বায়ুত্যাগ’হলো সবচেয়ে ভয়ানক ‘বায়ুত্যাগ’ সকল ‘বায়ুত্যাগ’এর মধ্যে সাইলেন্সারের বায়ুত্যাগই হলো অসহনীয় ‘বায়ুত্যাগ’ দ্যাখ দোস্ত ওর পিছু নিবি তো এমনি হবে... দ্যাখ .. দ্যাখ.. ওর পিছু ধরে তুই কলেজের চার বছরতো কোনরকমে পাড় পেয়ে যাবি কিন্তু পরবর্তী জীবনের ৪০ বছর ধরে তোর বলাৎকার (ধর্ষন) হতে থাকবে বলাৎকার (ধর্ষন) আরে দোস্ত এত্তো করে বুঝালাম, বোঝেইনা। 'মধ্যম শব্দে পাদা ভয়ংকর.. ভয়ংকর...... অবিশ্বাস্য!! তুইতো ভালো কবিরে, দোস্ত ..র্যাঞ্ছ... এত্তো সুন্দর কবিতা তুই লিখলি কিভাবেরে...? খুব মজা হইছেরে.. দোস্ত.... ও ব্যাটা বুঝেইনাই, স্যার ওরে যে মারল কি জন্যে.. শালা শুয়র কোথাকার....! আমি তোদের কী ক্ষতি করেছিলাম? সরি..রে.. দোস্ত.... পারসোনাললি নিস্না.. দোস্ত.. পারসোনাললি ই নেবো... চতুর রামলিংগাম এই অপমানের কথা কোনদিনও ভুলবেনা। এই অপমানের কথা আমি আমার জীবনের প্রতিটি মিনিটে প্রতিটি সেকেন্ডে মনে রাখবো. দোস্ত.. বাদ দে না দোস্ত.. আমরা আসলে রাজুকে ডেমো (উদাহরণ) দেখাচ্ছিলাম যে, বেশী নাম্বারের আশায় শুধু পড়োনা.. যা পড়ছো তা বুঝে বুঝে পড়ো.. বিজ্ঞানে মজা লুটো দোস্ত! আমি এখানে বিজ্ঞানের মজা লুটতে আসিনি। তবে কি ইজ্জত লুটতে এসেছিস? বিজ্ঞানের বলাৎকার (ধর্ষন)করতে এসেছিস হাসো... আমার পদ্ধতি নিয়ে হাসো একদিন এই পদ্ধতি ব্যবহার করেই আমি সফল হয়ে দেখাবো সেদিন আমি হাসবো.. আর তোরা কাঁদবি.. দোস্ত.. তুই আবারো ভুল ট্রেনে চড়ছিস, সাফল্যের পিছনে দৌড়াসনে এমন ভালো ইঞ্জিনিয়ার হ্ যেন সাফল্যই তোর পিছনে দৌড়ায়। তোর এই নীতি বাস্তব দুনিয়ায় কোন কাজে লাগে না...ছাঁছর..! তুই তোর ট্রেনে চড়, আমি আমার ট্রেনে চড়ি ১০ বছর পরে এই স্টেশনেই ফিরে আসবো.. আজকের এই দিনেই... দেখবো, কে বেশী সফল হয়েছে? তুই.. নাকি আমি? সাহস আছে? সাহস আছে?তো বাজী ধর.. বল, ....আসবি?....আসবি?..আসবি? কী করছিস দোস্ত! ওর কী হলো? কি লিখছে ও? এই তারিখ কখনো ভুলিস না। এমন দামী উপহার পড়ার আমার অভ্যেস নেই, সোহাস তো অভ্যেস করে নাও, পিয়া হাজার হউক তুমি সোহাস টেন্ডনের স্ত্রী হতে যাচ্ছ বিল টা কোথায়, ভাই? আমি একটু আসছি, হ্যাঁ.. বক্তৃতা তুমি চেঞ্জ করেছিলে? - কী? খবরদার মিথ্যে বলবেনা!! ও..আম... হ্যাঁ.. বাবার সাথে তোমার কী সমস্যা? আ.. - আমার কোন সমস্যা নেই। আমি তো উনার নামে ইনভার্টার বানাচ্ছি এই দ্যাখো.. .. আরে.. এই... আরে ভাইঙ্গা ফালাইলোরে.. কেন আমার বাবার পিছু লেগেছ? আ.. কারণ উনি কলেজ না ফাক্টারী চালাচ্ছেন। যেখান থেকে প্রতি বছর গাধা উৎপাদিত হয় ঐ দ্যাখো.. ঐ.. তোমার গাধাটা.. ওকে গাধা বলার সাহস তোমার হলো কি করে ? তো কী আর বলবো? প্রথমে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লো তার পর এমবিএ করলো তারপর আমেরিকা গিয়ে ব্যাংকে চাকরি করছে.. হুঁ.. যদি ব্যাংকেই চাকরী করার ইচ্ছে ছিলো, তাহলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লো ক্যানো? এমন গাধাদের কাছে, জীবনটা শুধু একটি লাভ লোকসানের খাতার মতো তোমার ভেতর এখন লাভ দেখছে, তাই এখন ও তোমার সাথে পরিচালকের মেয়ে তুমি! ক’দিন পর ডাক্তার হবে! এটা ওর ইমেজের জন্য খুবই ভালো হবে! ইত্যাদি...ইত্যাদি...ইত্যাদি... ওর মনে তোমার জন্য কোন জায়গা নেই.. তুমি ভাবো কী নিজেকে? আ.. তুমি কি করে বলতে পারলে যে, ওর মনে আমার জন্য কোন জায়গা নেই? আ...রে.. ওহ্ নতুন ঘড়ি দেখছি.. এক মিনিট..ধরতো! তুমিও আছ, সব সময় ডেমো দেখাতে হয় এই.. সোহাস... কোথায় ছিলে? আমি তোমাকে খুঁজছি..! ওর ঘড়িটা হাড়িয়ে গিয়েছে, সেটাই খুঁজে বেড়াচ্ছে কী? তুমি ঘড়িটা হাড়িয়ে ফেলেছ? তাতে কি হয়েছে ভাই, নতুন আরেকটি কিনে দেবেন। আরে.. চার লাখ টাকা দামের ছিলো..! চা..চার..লাখ...? আমারটা তো মাত্র ২৫০টাকা কিন্তু একই সময় দেয় তুমি চুপ কর... পিয়া তুমি কিভাবে এতোটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে? এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতা সত্যিই ন্যাক্কারজনক।. এটা কিছুতেই মানা যায়না। তুমি জাননা ঐ ঘড়িটা ছিলো অনেক দুর্লভ একটি কালেকশনস্ মাগনা পেয়েছ তো ব্যাস..এখন পড়ো ভালো করে, তোমার সেই আদ্দি যুগের ঘড়ি কী? আবার তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছটা কী? হ.. নাও.. এখন আবার কান্না শুরু, একটু বড় হও পিয়া.. এমটা আমি সামলাতে পারবোনা। এখন কান্না থামিয়ে যাও খুঁজো এই ঘড়ির জন্য অন্য কোন হাত খুঁজে নিও, গাধা! এই, তুমিতো দারুন মেয়ে.দেখছি... ওকে মুখের উপর গাধা বলে দিলে। যাও এখান থেকে দোস্ত, এখানে অনেক শোরগোল শোনা যাচ্ছে ও আমাকে 'ধন্যবাদ', বলছে কিন্তু আমি শুনছি 'যাও ভাগো' আমি তোমাকে 'দূর হতেই বলেছি' - আরে.. এতো রাগ করছো কেন? তুমি কি জান? আসলে তোমার মনেও কখনো ওর জন্য ভালোবাসা ছিলইনা। কী বলতে চাইছ তুমি? মানে হলো যে, ও যখন তোমার সামনে আসে তখন কখনো কি তোমার এমন মনে হয়েছে যে, মৃদু হাওয়া বইছে..? তোমার ওড়নাটা স্লো মোশনে উড়ছে..? কিংবা আকাশে চাঁদ একটু বেশীই বড় হয়ে গেছে? এমনটি শুধ সিনেমাতেই হয়, বাস্তব জীবনে না। আরে না না বাস্তব জীবনেও হয়, যদি মানুষের সাথে প্রেম করো তাহলে হবে, ... গাধার সাথে করলে হবেনা। হ্যালো .. ইয়া..হ্ .. কী..? হায় আল্লাহ্! ওকে, ওকে আমি আসছি.. বাই.বাই. আরে, তুমি মেডিক্যালের ছাত্র তো না? তোমার সাহায্য দরকার আমার খুবই জরুরী, প্লীজ, প্লীজ.. - কী? আমার সাথে চলো,... আরে তোমরা ডাক্তার রা কি কসম খেয়েছিলে? - যে রোগীকে কখনো না বলবো না কি বলে ওটাকে, ‘নিঃস্বার্থ থাকার শপথ’ ভাই আমাকে সাহায্য করো, এটা খুবই জরুরী, প্লীজ তুমি আমার বোনের বিয়েতে অনুপ্রবেশ করেছিলে আমার এনগেজমেন্ট ভেঙ্গে দিয়েছ.. বাবা আজ তোমার জন্য প্রেসারের ট্যাবলেট খাচ্ছে... আর আমি এখানে তোমাকে সাহায্য করছি!!! অবিশ্বাস্য! আর এই‘নিঃস্বার্থ থাকার শপথ’টাকে তো আমি! শালারা ভরে দিয়েছে একদম ডাক্তারদের.. চাচী, রাজু কোথায়..? - টেক্সি আনতে গেছে বাবা এ্যম্বুলেন্সকে দু ঘন্টা আগে ফোন করা হয়েছে.. আজব দেশ আমাদের, এখানে ত্রিশ মিনিটে পিজা ঘরে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা আছে.. কিন্তু এ্যাম্বুলেন্স... ! হাসপাতালে নিতে হবে. দ্রুত..... এই থাম ওই! সড়ে যাও, ইমার্জেন্সী.. সড় .. সড়..! সড় .. সড়..! ডাক্তার...ডাক্তার, ইমার্জেন্সী!ইমার্জেন্সী! রোগী এটা তুই রাখতো., ওইতো, রাজু এসে গেছে.. কমিন কোথাকার, বাবাকে স্কুটারে নিয়ে এসেছিস..? তাহলে কি পোষ্ট করে পাঠাতাম আ..? দ্যাখ বাবার পেশা নিয়ে কথা বলবি না!! কোথায় বাবা কোথায়?...আরে.. ডাক্তারকে জিজ্ঞেস কর.. খুব কানের কাছে দিয়ে বেঁছে গেছে, পিয়া আর দু চার মিনিট দেরী হয়ে গেলে তো লোকটা নির্ঘাত মারা পড়তো খুবই ভালো করেছ, যে এ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা না করে স্কুটারেই ওনাকে দ্রুত নিয়ে এসেছ। আচ্ছা আমি এখন যাই, কোন সমস্যা হলে আমাকে ফোন করো, ওকে...বাই র্যাঞ্ছ! ধন্যবাদ দোস্ত...... শালা দোস্ত কে ধন্যবাদ দিচ্ছিস? ও সাইলেন্সার কি তোকে এখন ভদ্রতা শেখাচ্ছে না...? ও তোকে এটা বলেনি, যে বন্ধুত্ব ই মানুষের সবচেয়ে বড় স্তন - চলো চলো, এখন চলো কাল পরীক্ষা না তোমাদের? আরে পরীক্ষাতো জীবনে বহু দেয়া যাবে কিন্তু বাবা জীবনে একটাই থাকে.. এখতো পোষ্ট মাষ্টার সাহেব কে সাথে নিয়েই যাবো চিন্তা করিসনা.. র্যাঞ্ছ, আমাকে মাফ করে দে দোস্ত আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ব্যাস..ব্যাস.... চুপ কর এখন, !!!আমাকে মাফ করে দে দোস্ত!!!!... ব্যাস.. চুপ... যা, বাবাকে দেখে আয় আর এমন কান্না কান্না মুখ নিয়ে যাসনে যেন.. আ.. ... যা.... ধন্যবাদ দোস্ত!!.. যা... 01:13:03,460 --> 01:13:08,944 (বন্ধু আমাদের সে ছিলো........) তোমার স্কুটারতো আজ একজনের জীবন বাঁচিয়ে দিলো খুব সুন্দর তো!! দাম কতো? চাট্নী ঢেলে দিয়ে দ্যাখ, হয়তো বলে দেবো!! হেই.., শুভ স্বাধীনতা দিবস... কিন্তু আজতো ১৫ই আগষ্ট না!! তোমার জন্য তো স্বাধীনতা দিবস। এখন থেকে তুমি যখন চাইবে তোমার মায়ের ঘড়িটি হাতে দিতে পারবে কেউ আর বলবেনা যে ‘ কেন সেই আদ্দি কালের ঘড়ি পড়েছ’! হেই... তুমি কিভাবে জানলে যে ওটা আমার মায়ের ঘড়ি ছিলো? বোনের বিয়েতে কোন মেয়ে যদি উপর থেকে নীচ পর্যন্ত নতুন মডেলের পোষাক পড়ে শুধু হাতের ঘড়িটাই যদি পুরোনো পড়ে থাকে.. তার মানেটা কী দাড়ায়? সেদিন তুমি তোমার মাকে খুব মিস্ করছিলে, তাইনা? হ্যাঁ তোমার মা বোধহয় খুব সুন্দরী ছিলো তাইনা? হ্যাঁ , তুমি কি করে জানলে? তোমার বাাবা কে দেখে বুঝেছি! 'জীবনটাই হলো প্রতিযোগিতা. যদি তুমি দ্রুতগামী না হও.. তাহলে তুমিও হবে সেই কাকের বাসার ভাঙ্গা ডিমের মতো.... অই...... হাওয়া যেন গুনগুন গাইছে....!! আসমানও গাইছে গুনগুন.... গাইছে যেন সারা দুনিয়া..... জুবি.. ডু.... পারাম.. পাম.. 'জুবি ডুবি পামপা রা ' জুবি ডুবি পারামপাম্.... জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন 'জুবি ডুবি পামপা রা ' জুবি ডুবি পারামপাম্.... জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন গাছের শাখায় পাতারা গাইছে আর ফুলেতে গাইছে ভ্রমরা দিওয়ানা সূর্যটাও গাইছে আজ আরো গাইছে পাখীরা.. যেন বাগিচায় দুটি ফুলের চলছে মনের লেনাদেনা সিনেমায় যেমন দেখা যায় আজ হচ্ছে যেন হবহু... 'জুবি ডুবি পামপা রা ' জুবি ডুবি পারামপাম্.... জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন 'জুবি ডুবি পামপা রা ' জুবি ডুবি পারামপাম্.... জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন আজ আমি আপনাদের ডুকলা তৈরীর পাশাপাশি পুদিনার চাটনীও তৈরী করতে শেখাবো এ চাটনীর অদ্ভুত একটি গুন আছে, এটি শুধু খেতেই যে সুস্বাদু তা নয় এটি মানুষের চরিত্র বুঝতেও আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। রাহুর দৃষ্টি আপনার ভাগ্য থেকে দূর হয়ে গেছে। এখন থেকে আপনি গাধা কে বাদ দিয়ে মানুষের সাথে প্রেম করতে পারবেন। প্রেম করার জন্য এখন সময় অনুকূল আছে। নয়া দিল্লীর তাপমাত্রা একই থাকবে আকাশ থাকবে মেঘমুক্ত, কিন্তু যদি আপনি কারো প্রেমে পড়ে যান তবে আপনার উপর অবশ্যই বৃষ্টি হবে রিম ঝিম রিম ঝিম বৃষ্টিতে হাওয়া কানে কানে বলে যায় টিপ টিপ এই বৃষ্টিতেই কিন্তু আকাশে বিজলি চমকায় ভেজা ভেজা শাড়ি পড়ে যখন ঠুমকা লাগালি তুই... সিনেমায় যেমন দেখা যায় আজ হচ্ছে যেন হবহু... 'জুবি ডুবি পামপা রা ' জুবি ডুবি পারামপাম্.... জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন 'জুবি ডুবি পামপা রা ' জুবি ডুবি পারামপাম্.... জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন আসমানের চাঁদ জমিতে নেমে ঐ গাইছে আজ দ্যাখ.. টিম টিম জ্বলে তারা রা সুর মিলিয়েছে ঐ দ্যাখ এই নির্জন নিরালা নিশিতে আমায় ছুঁয়ে দে আজ তুই... সিনেমায় যেমন দেখা যায় আজ হচ্ছে যেন হবহু... 'জুবি ডুবি পামপা রা ' জুবি ডুবি পারামপাম্.... জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন 'জুবি ডুবি পামপা রা ' জুবি ডুবি পারামপাম্.... জুবি ডুবি নাচে কেন আমার পাগল মন 'জুবি ডুবি ডুবি ডুবি...' ... আমার পাগল মন হ্যালো, উঠো... কী.. কী.. চাচাজান কি উপরে চলে গেছেন নাকি? - কী!!! নারে, বেওকুফ.. সাড়ে আটটা বেজে গেছে, আর নয়টাতো পরীক্ষা শুরু, যেতে হবেনা নাকি? আরে, ভাই, উনাকে একলা ফেলে আমরা যাই কি করে? এখানে আমি রইলাম, ডাক্তারা আছেন, মাত্র তো তিন ঘন্টার ব্যাপার আমার স্কুটার নিয়ে যাও জলদি কর, তোমাদের এমনিতেই অনেক দেরী হয়ে গেছে এই......!! কি সেই আদ্দি কালের পুরনো ঘড়ি পড়ে আছো.. যাও সরি স্যার দেরী হয়ে গেছে, সরি স্যার - একটা জরুরী ব্যাপারে আটকা পড়ে গিয়েছিলাম ওখানেই বসে পড়ো স্যার, দেখেছেন ওরা এখনো লিখেই চলছে.. হ্যালে, সময় শেষ স্যার, আর ৫মিনিট স্যার, আমরাতো আধাঘন্টা দেরীতে এসেছিলাম - একটা জরুরী ব্যাপারে আটকা পড়ে গিয়েছিলাম স্যার, প্লিজ প্লিজ প্লিজ.. পরীক্ষক আমাদের দিকে এমন ভাবে চাইছিলেন, যেন আমরা ওনার দুটো কিডনিই চেয়ে বসেছি আমরা তারপরও লিখতে থাকি আর উনি খাতা গুলো রোল নাম্বার অনুযায়ী সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। হয়ে গেছে, স্যার আপনি দেরী করে ফেলেছেন, আমি খাতা জমা নিতে পারবোনা। স্যার, প্লিজ স্যার.. স্যার, আপনি কি জানেন আমরা কারা? যদি প্রধান মন্ত্রীর ছেলেও হয়ে থাকো? তাহলেও...... আমি তোমাদের খাতা জমা নেবনা। স্যার আপনি কি আমাদের নাম এবং রোল নাম্বার জানেন না? না...... তোমরা কারা? ঐ জানেনা রে ... ভাগ .. ভাগ..ভা..গ...! আরে....... এই তোমাদের রোল নাম্বার কতো? কোথায় গেলো ওদের খাতাগুলো? ও ভগবান , দয়া করো... আজ রেজাল্ট আউট হওয়ার ডেট। আর ফেলের ভয়ে সবাই সকাল থেকেই ভগবানের সাথে ডিল করতে লেগে গিয়েছিলো হায় ভগবান, তুই ব্যাস আমার ইলেক্ট্রোনিক্স টা সামলে নিস ওয়াদা করছি, তোর জন্য নারিকেল ভেঙ্গে দেবো নাগ দেবতা, আমার ফিজিক্সটা শুধু পাস করিয়ে দে তাহলে প্রতিদিন এক লিটার করে দুধ দেবো তোকে.. গাই..মাতা... ব্যাস শুধু পাশ মার্কটা যেন পাই ভগবান, মালতী আর সঙ্গীতাকে আজ থেকে নিজের বোনের মতো দেখবো ব্যাস রেজাল্ট টা সামলে দে ভগবান, আমি ১০০ করে টাকা প্রতি মাসেই দেবো ভগবান পাক্কা ওয়াদা করছি ভগবান ১০০ টাকায় দিয়ে তো আজকাল ট্রাফিক হাওয়ালদারকেও মানানো যায়না। ভগবানকে তাহলে ঘন্টা মানানো যাবে.... এই দ্যাখ দ্যাখ... নীচ থেকে দ্যাখ..নীচ থেকে দ্যাখ তোরটা আছে........সবার শেষে আর তোরটা? শেষের থেকে ২য়.. র্যাঞ্ছ? দেখছিনারে দোস্ত মনটাই খারাপ হয়ে গেলে.... আমরা লাস্ট হয়েছি সেজন্য না, খারাপ হয়েছিলো কারণ আমাদের বন্ধু ফেল করেছিলো অবশ্যই এখানে কিছু একটা ভুল আছে। এটা সম্ভব নয় এটাতো... অবিচার.... শালা এই সাইলেন্সারের বাচ্চাটা এমন চিৎকার করছে কেন? সেকেন্ড হয়েছে তাই.... - শালা ফার্স্ট হয়েছে কে? র্যাঞ্ছ !!! র্যাঞ্ছ? শালা সরতো দেখি... মানুষের অদ্ভত আচরন সম্পর্কে সেদিন একটি বিষয় বুজতে পেরেছিলাম।: দোস্ত ফেল করলে পরে দুঃখ হয়। কিন্তু যদি দোস্ত ফার্স্ট হয়ে যায় তাহলে তারচেয়ে বেশী কষ্ট হয়। আমরা দুঃখী মানুষ ছিলাম কিন্তু আমাদের চেয়েও দুজন মানুষ আরো দুঃখী ছিলো র্যাঞ্ছর দাস চাঁচর. প্রথম সারিতে , পরিচালক সাহেবের ডান পাশে বসো। উদয় সিন্হা । ২য় সারিতে তৃতীয় সিটে বসো। অলোক মিত্তাল, ২য় সারির প্রথম সিটে বসো সাহেল রায়......তৃতীয় সারি স্যার এই র্যাঙ্ক অনুযায়ী বসাটাকি খুব জরুরী স্যার? এতো তোমার কোন সমস্যা আছে? স্যার আমারতো পুরো গ্রেডিং সিস্টেম নিয়ে প্রবলেম আছে স্যার। মনে হয় যেন বর্ণবাদী সিস্টেমের মতো। A-গ্রেডের ছাত্ররা হলো: বাদশাহ্ C-গ্রেডের ছাত্ররা হলো: গোলাম এটা ঠিক না, স্যার - তোমার কাছে কি এর চেয়ে ভালো কোন উপায় আছে? হ্যাঁ আছে তো স্যার, স্যার পরীক্ষার রেজাল্টটাকে নোটিশ বোর্ডে লাগানোরই কোন প্রয়োজন নেই স্যার কারো ব্যর্থতা কারো সফলতা কে আমরা কেন সবার সামনে তুলে ধরবো? দেখুন না স্যার, যদি আপনার ব্লাড টেস্টে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে তাহলে ডাক্তার কি করবে, আপনাকে ঔষধ দেবে ... নাকি আপনার রিপোর্ট টিভিতে প্রচার করবে? বুঝতে পেরেছেন তো, স্যার? তো তুমি এতক্ষণ ধরে যা বললে, তার মানে টা দাড়ালো গিয়ে... যে আমি এক এক করে সবার রুমে গিয়ে তার রেজাল্টটা তার কানে কানে বলে আসবো........ 'যে আপনি ফার্স্ট হয়েছেন'; 'আপনি সেকেন্ড হয়েছেন" 'হও আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত আপনিতো ফেল করেছেন' না স্যার, আমি আসলে ওটা বলতে চাইনি বলতে চেয়েছিলাম, যে গ্রেড বিভাজন তৈরী করে। এইতো দেখুন, আমি ফার্স্ট হয়েছি, আমি আপনার সাথে বসেছি আমার বন্ধুরা লাস্ট হয়েছে তাই ওদের পিছনে ঠেলে দিয়েছে, এক কোনায় কমসে কম এক কোনায় তো আছে... তোমার সাথে থাকলে তো ভবিষৎে ওরা ফটো থেকে বেরিয়ে যাবে। না পাশ করতে পারবে, না কোন কোম্পানী ওদের চাকরী দেবে চাকরী তো একটা হয়েই যাবে, স্যার. অন্তত্য কোন না কোন কোম্পানি তো হবে যারা ... মেশিন কে চাকরী না দিয়ে মানুষ কে চাকরী দেবে আপনি দেখে নিবেন স্যার. চাকরী পেয়েই যাবে স্যার আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি! তুমি গ্যারান্টি দিচ্ছ?... তুমি গ্যারান্টি দিচ্ছ?... বাজী, স্যার, বাজী? এ.... গোবিন্দ - জ্বী, স্যার? ওদের দুজনের মধ্যে একজনেরও যদি ক্যাম্পাসের ইন্টারভিউ তে চাকরী হয়... - হ্যাঁ... তবে আমার মুছ কেটে দিস্..... স্যার!... -তা কি করে হয়? খুশিতো? - রেডি..... হাসুন, প্লিজ খুশি, স্যার ও.. .অ...কারের হর্ন বাজিয়ে শালা নিজের হর্ন ঢাকা দিচ্ছিস্ ওয়ু..... শালা পঁচা ট্যংক! আবারো বড়ি খেয়েছিস তুই? আমি এটা করি নি... রাজু? তোর এই গরম হাওয়াকে অনেক আগে থেকেই চিনি... বৈশ্বয়িক দূষণের জন্য এ কমিনটাই দায়ী... ও...অ.......আমার আর সহ্য হচ্ছেনা... দে..রে...দোস্ত তোর মানি ব্যাগ দে... আমি প্যান্ট কিনে নিয়ে আসছি.. বাদ দে না... এই নে চতুর রামালিংগমের স্যুটের প্যান্টটা পড়ে নে.. - এই...খবরদার আমার স্যুট ধরবিনা একদম বাদ দে না... র্যাঞ্ছ তোকে প্যান্ট ছাড়াও চিনে নেবে এই মিঃ এই ঠিকানাটা কোন দিকে? - ভাইসাব এতো টা লেখাপড়া জানলে কি আর চানাচুর বেচতাম? ওতো পড়তেই জানেনা.... - কিন্তু কথা তো বলতে পারে! ভাইসাব, ভাইসাব, এখানে শিমলাতে কি র্যাঞ্ছর দাস চাঁচর নামের কেউ থাকে..? হ্যাঁ .... ঐ ওখানে থাকে.. মুক্ত হাওয়া যেন ও ছিলো....... - চল... উড়ন্ত ঘুড়ি যেন ও ছিলো.... হারালো কোথায় ... ওকে খোঁজ......... অই চতুর, তোর বড়ির কৌটা ধর - থ্যংকস্. তুই কোথায় পেলি এটা? পকেটেই ছিলো - হেই,তোর সাহস কত.. এটা আমার প্যান্ট আরে কোন তোর,কোনটা আমার তা কি গীতায় লেখা আছে নাকি, ছাড়. এই, প্যান্ট... খোল - আরে কি করছিস তুই.শালা. মানুষ উল্টা পাল্টা ভাববে আমার টা এক্ষুনি দে .. বলছি... কি হয়েছে? র্যাঞ্ছ’র বাবা..... ভাইসাব, র্যাঞ্ছর দাস কোথায়? ঐতো বসে আছেন - ধন্যবাদ র্যাঞ্ছ... - হ্যাঁ? সরি, আমরা র্যঞ্ছরদাসের সাথে দেখা করতে চাইছিলাম আমিই র্যঞ্ছরদাসে, বলুন না, মানে.. ‘র্যঞ্ছর দাস, শ্যামল দাস চাঁচর’ র্যঞ্ছর দাস, শ্যামল দাস চাঁচর আমিই' বলুন র্যঞ্ছর, বেটা নিজের খেয়াল রেখো 'র্যঞ্ছর দাস চাঁচর' রাজু.... দোস্ত.. ইতিহাসে আমি প্রথম মানুষ যে কিনা দিল্লী থেকে শিমলা পর্যন্ত এসেছি.... শুধু আন্ডারওয়্যার পড়ে তাও আবার ভুল মানুষের সাথে দেখা করতে! দোস্ত সেই নাম, সেই ডিগ্রী, আর সেই ছবি... শুধু মানুষ ভিন্ন.. চক্করটা যে কী তা মাথায় আসছেনা দোস্ত? কিন্তু সাইলেন্সার, র্যাঞ্ছর এই ঠিকানা পেলো কিভাবে? হ্যাঁ! অই চতুর, ..... এদিগে আয় - এ...... এই.......... তোর সাহস কত্তো তুই এটা খুলেছিস? আমি এটা সেই স্যানফ্রান্সিসকো থেকে এনেছি হাতে বানানো বিস্কুট এগুলো এগুলো শুধু মিঃ ফুংসুখ ওয়াংরু সাহেবের জন্য ফুংসুখ বাংরু? সেটা আবার কে? আরে বাংরু নারে... ওয়াংরু. 'W'.'W'. ফুংসুখ ওয়াংরু তোরা কি জানিস তিনি কে? তিনি একজন মহান বিজ্ঞানী তার ৪০০ টি প্যার্টান আছে। সাড়া পৃথিবী তাকে চাইছে এক বছর ধরে চেষ্টা করে তবে গিয়ে তার সাথে এ্যাপয়েন্টমেন্ট ফিক্স হয়েছে তোরা জানিস, যদি তাকে আমাদের কোম্পানির সাথে‘ডিল’করাতে রাজি করাতে পারি। আমাকে আর পায় কে? এখন ওয়াংরুর কথা বাদ দে... তার আগে বল, তুই র্যাঞ্ছর এই ঠিকানা পেলি কিভাবে? তার জন্য তোদের উচিত ফুংসুখ ওয়াংরুকে ধন্যবাদ দেয়া উনার ওছিলাতেই র্যাঞ্ছর ঠিকানা পেয়েছি। এই দ্যাখ.. আমার সেক্রেটারি ‘ট্রেসি’ গত মাসে এখানে এসেছিলো মিঃ ফুংসুখ ওয়াংরুর সাথে দেখা করতে ট্রেসি অবশ্য শেষ পর্যন্ত দেখা করতে পারেনি, কিন্তু আমি পেয়ে গেলাম র্যাঞ্ছ কে আমি শিমলার টেলিফোন ডারেক্টরি চেক করলাম, সেখানে একটি নাম পেলাম ‘চাঁচর... র্যাঞ্ছর..দাস’ আরে তাহলে চেহারা কিভাবে পাল্টে গেলো? তোর আসার কথা শুনে কি ও প্লাষ্টিক সার্জারী করে নিয়েছে নাকি? এই প্রশ্নের জবাব কেবল একজনই দিতে পারে, সরি বাবা, আমি তোমার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে পারিনি। আপনি শুধু বলতেন যে, হরিদুয়ারে নিয়ে চল! হরিদুয়ারে নিয়ে চল কিন্তু আমি হাইওয়ের টেন্ডারটার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। ঐদিকে টেন্ডার খুললো, এদিকে আপনি চোখ বন্ধ করে ফেললেন। আমাকে ক্ষমা করো, বাবা. আমি তোমার যোগ্য পুত্র হতে পারিনি... আরে বলছিস্ কি রে দোস্ত.... তুই এত্তো বড় ইঞ্জিনিয়ার হয়েছিস. দেয়ালে ডিগ্রী টাঙ্গানো আছে! তুই তো সুযোগ্য পুত্র হয়েছিস. বিনা অনুমতিতে আমার বাড়িতে ঢুকলে কিভাবে?... হ্যাঁ? জেলে ঢুকিয়ে দেবো? জেলে তো তুই যাবি রে শালা.... আমরা সব জেনে গেছি. আইসিই এর এই ডিগ্রী দেখিয়ে তুই হাইওয়ে কন্ট্রাক্টস্ আর হাইড্রো প্রজেক্ট হাতিয়ে নিচ্ছিস তুই. এই ডিগ্রী আমাদের বন্ধুর. তোর কাছে এলো কি করে? দেড়শ একরের সম্পত্তি আমার....... খুলি উড়িয়ে এক কোনায় পুতে রাখলে কেউ ঘূণাক্ষরও জানতে পারবেনা। জবাব পেয়েছিস...? যা, জান নিয়ে ভাগ এখান থেকে বাবার অস্থি নিয়ে হরিদুয়ার যাচ্ছিলাম তোরা বললে তোদের হাড্ডিও সাথে নিয়ে যাবো বাবা কে ওঠা! ওদিগে, ওদিগে বাবা কে ছাড় বলছি! বল আসলে কে তুই তা নইলে এখানে তোর বাবার অস্থি বিসর্জন করে দেবো বাবাকে আমার কাছে দে. - বাবা গঙ্গায় না নর্দমায় যাবে... এই... বাবাকে কমোড থেকে বাইরে আন, বাইরে আন বলছি - তুই যদি ট্রিগার চাপিস, তবে আমি ফ্লাশ চেপে দিবো. দ্যাখ. আমি তিন পর্যন্ত গুণবো...... আরে কাকে ভয় দেখাচ্ছিস রে...? হ্যাঁ.. চালা গুলি রাজু, দে ভাসিয়ে ওর বাবাকে ১ আমরা তো দোজখে যাবোই,কিন্তু সেই সাথে তোর বাবা কেও নর্দমায় ডুবিয়ে দিয়ে যাবে, বুঝেছিস ২ তখন তুই নিজে নর্দমায় ডুবিয়ে ডুবিয়ে তোর বাবাকে খুজে বের করে নিস কি হয়েছে, রাজু? আমরা ভুল লোটা নিয়ে চলে এসেছি. এটাতো খালি! খালি? খালি - খালি করে দেবো! খালি করে দেবো! - আমি বলছি খালি করে দেবো না না না, না! খালি করে দেবো, আমরা খালি করে দেবো..কিন্তু - আমি বলছি খালি করে দেবো না.না.... হ্যান্ডস আপ! নে এবার বল? বল কে তুই? আরে আমি র্যাঞ্ছর দাস রে ভাই এই...... বাবার কসম খেয়ে বলছি, . বাবার কসম খেয়ে বলছি, সত্যি করে বলছি রে ভাই আমিই র্যাঞ্ছর দাস রে ভাই! আর ও তো ছিলো ‘ছোট’. ‘ছোট’.? ও আমাদের মালির ছেলে ছিলো, সাবই ওকে ‘ছোট’ নামে ডাকতো ওর মা বাবা মরার পরও বাবা ওকে ঘরে থাকতে দিয়েছিলো ঘরের ছোট খাট কাজ করতো, এই ধর পর্দা বদলানো ডিম, রুটি আনা, কাপড় ইস্ত্রি করা পড়াশুনার খুব শখ ছিলো ও আমার পুরনো ইউনিফর্ম পড়ে আমার স্কুলে ঢুকে পড়তো যে ক্লাস পছন্দ,সেখানেই গিয়ে বসে যেতো. আমি এটার ফায়দা লুটতাম, ওকে দিয়ে আমার বাড়ির কাজ করিয়ে নিতাম, আর পরীক্ষার খাতাও ওকে দিয়ে লিখাতাম আমার তো ভালোই চলছিলো, কিন্তু একদিন........ মাষ্টার সাহেব দেখলেন যে ক্লাস সিক্সের এক বাচ্চা ক্লাস টেনের অংক সমাধান করছে। কোন ক্লাসে পড় , বেটা? নাম কি তোমার? আমরা ধরা পড়ে গেলাম। বাবা অনেক গন্যমান্য ছিলো, তাই... মাষ্টার সাহেব বিষয়টি প্রিন্সিপাল সাহেবের আগে বাবাকে নানোই ক মনে করেছিলেন শুরু যখন তুমিই করেছ, তো শেষটাও তোমাকেই করতে হবে পুরো হিমাচলে লোকে আমাকে সালাম ঠুকে চলে আর আমি ঘুরতেই আমার পিঠের পিছনে... আঙ্গুলটিপ দেয়া মূর্খ বলে গালি দেয়। আমার ছেলের সাথে আর এমনটি হবেনা। ওর শুধু বিদ্যা চাই. আর আমার চাই কেবল ডিগ্রী যেমনটি চলছিলো তেমনটি চলতে দিন ইঞ্জিনিয়ার বানান এই ছোকড়াকে রর্যাঞ্ছর দাসের নামের ডিগ্রী ওখানে... ঐ দেয়ালে চাই আমার আমি ৪ বছরের জন্য লন্ডন চলে গেলাম, আর ও আমার নামে আইসিই তে পড়তে থাকলো বাবার সাথে চুক্তি ছিলো,যে ডিগ্রী পাওয়ার পর আইসিইর কোন লোকের সাথে জীবনেও যোগাযোগ করবেনা। ও সবসময়ই বলতো,আমিতো যোগাযোগ করবোনা 'কিন্তু একদিন ২ ইডিয়েট আসবে আমার খোঁজে' সেদিন তোমরা কি করবে? খুব মিস করে তোমাদের দুজনকে আমি ঠিকানা দিচ্ছি, যাও ওর কাছে কিন্তু আমার এই গোপন কথাটা কাউকে বলোনা ভাই..প্লিজ গোপন কথা যেন কি? বাবুজি, আপনি ভুল লোটা নিয়ে এসেছেন বড় সাহেব তো এটাতে... এই হচ্ছেটা কি আমাকে বলতো? এই বন্দুকওয়ালা লোকটা কে? কাহীনি অনেক জটিল. তাও আবার সাবটাইটেল ছাড়া. তুই বুঝবিনা। বাদ দে, তুই বাদ দে... - আমরা যাচ্ছিটা কোথায়? লাদাখ লাদাখ! কেন? র্যাঞ্ছর সাথে দেখা করতে ও কি লাদাখে থাকে? ওখানে কি করছে? জানিনা, কিন্তু এটা কোন একটি স্কুলের ঠিকানা। স্কুল টিচার...উুঁ .উুঁ.. মাষ্টার সাব! আমি হলাম রকলেজ কর্পোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট.. আর ...ও A তে আপেল, B তে বল পড়াচ্ছে..... D তে গাধা হয়.. শালা আগামী সপ্তাহে মিঃ ওয়াংরু সাহেবের সাথে মিলিওন ডলারের ডিল সই করবো আমি আর ও কি পড়াবে...A তে আপেল, B তে বল ....... আজ ঐ কমিন শালা র্যাঞ্ছটার জন্য সম্মান আরো বেড়ে গেলো আমরা সবাইতো কলেজে কেবল ডিগ্রী পাবার জন্য যেতাম ডিগ্রী না পেলে চাকরী পাবো না.... চাকরী না হলে , কোন বাপ তার মেয়ে দেবেনা... ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড দেবেনা, দুনিয়া সম্মান করবে না কিন্তু ঐ শালা কলেজে ডিগ্রীর জন্য নয় শুধুই পড়তে গিয়েছিলো না ওর লাস্ট হবার ভয় ছিলো না ছিলো ফাস্ট হবার লোভ চাঁদের মাটিতে প্রথম কে পা রেখেছিলেন? নীল আর্মস্টং, স্যার অবশ্যই, অবশ্যই আমি তা জানি যে নীল আর্মস্টংই ছিলেন, আমরা সবাই জানি সেটা কিন্তু ২য় কে ছিলেন? তোমার সময় নষ্ট করোনা. এটি মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয় কে ২য় হলো না হলো তাকে পৃথিবী কখনই মনে রাখেনা। আর ২মাস পরে ২৬টি কোম্পানি এই ক্যাম্পাসে আসবে আপনাদের চাকরির অফার নিয়ে তার মানে হলো আপনাদের ফাইনাল পরীক্ষার পূর্বেই আপনাদের চাকরী আপনাদের হাতে থাকবে। এটাই আপনাদের শেষ চক্কর, আমার বন্ধুরা তাই সব জোর দিয়ে চাপ দাও পেডেলের উপর এক্সিলেটরে চাপ দাও...... এখান থেকে বেরিয়ে যাও!আর ইতিহাস তৈরী কর। কোন প্রশ্ন? বলুন? স্যার, আাঁমম...ম...ধরি কোন ছাত্রের চাকরী হয়ে গেলো...... কিন্তু ফাইনাল পরীক্ষায় ১/২ নাম্বারের জন্য ফেল করে ফেলল্ তাহলে কি চাকরীটা থাকবে..... না.কি..? খুবই ভালো প্রশ্ন। আর কেউ আছেন যার মনে এধরনের প্রশ্ন উঠে? যেমনটা ভেবেছিলাম.. প্লিজ আপনারা স্টেজে চলে আসুন. উনাদের জন্য জোড়ে কড়তালি..... গত চার বছর যাবৎ.... উনারা আইসিই’র সবচেয়ে অটল ছাত্র হয়ে আছেন কারণ হলো উনার বরবরই সকল পরীক্ষায় লাস্ট হয়েছেন এসো আমার জিনিয়াসেরা, এসো, এই দুজন জিনিয়াসের ব্রেন যদি আমরা বের করে বাজারে বিক্রী করে দেই, তাহলে অনেক ভালো দাম পাবো 'কারণ হলো এগুলো অব্যবহৃত ব্রেন, কখনও ব্যবহারই করা হয়নি সে যাই হউক আমি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিচ্ছি - উনাদের পাশ করা বা ফেল করার সাথে উনাদের চাকরীর কোন সম্পর্ক নেই কারণ উনাদের তো চাকরীই হবেনা! আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি। উনাদের নাম, সোনার হরফে লিখা হবে - 'ফারহানাইট্রেট' এবং 'প্রিরাজুলাইজেশন' উনাদের জন্য একটি জোড়ে কড়তালে হবে, please, everybody শালায় পুরো ধর্ষন করে দিয়েছে! সাময়িক ধর্ষন.. বুঝলি তাও আবার সবার সামনে খোদা, আমি নিরামিষি হয়ে যাবো, হাজারটা আগরবাত্তি জ্বালাবো, ব্যাস একটি কাজ করে দে.. ভাইরাসকে এই দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নে! জাহান্নামে জ্বালা ওকে গরম তেলে ওকে সিঙ্গারা ভাঁজা ভাঁজ খোদা........ এ...ই... খোদাকে.. খুনের কন্ট্রাক্ট দিচ্ছিস নাকি? অই শালা তুই চুপ থাক শালা, প্রতি বছর তুই ভাইরাসের সাথে মাঝখানে বসে ছবি তুলিস আমরা কোন মতে এক কিনারে... এই বছর তো বোধহয় ছবি থেকে বাদ ই না হয়ে যাই। অই.... জানিস আমি ফার্স্ট হই কেন? - কেন? কারণ আমার প্রেম হলো মেশিনের সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং হলো আমার আসক্তি, আসক্তি আর তোর আসক্তি কী জানিস? আবে ওটা আমার ব্যাগ - এই চুপ থাক তুই করছিসটা কী র্যাঞ্ছ? 01:40:02,900 --> 01:40:05,100 আবে.... আরে..... তোর আসক্তি হলো .. এটা ,, এটা.. এই চিঠি গিয়ে পোস্ট কর কিন্তু কীষের চিঠি ওটা? ৫ বছর আগে ও এই চিঠি লিখেছিলো ওর ফেভারিট ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফারকে আন্দ্রে..... - ইস্তেভান.... ইস্তেভান তার কাছে গিয়ে, হাঙ্গেরী গিয়ে কাজ শিখতে চেয়েছিলো ও কিন্তু ওর বাপ, ঐ হিটলার কোরেশীর ভয়ে চিঠি কখনো ও পোস্ট ই করেনি আরে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়, আর ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার হ্ কাজ সেটা কর যেটাতে তোর মেধা আছে।.. যদি লতা মঙ্গেশকারের বাবা যদি উনাকে বলতো ফার্স্ট বোলার হওয়ার জন্য... কিংবা যদি শচীন টেন্ডুলকারের বাবা তাকে বলতো যে তুই শিল্পী হয়ে যা... তাহলে ভাব আজ তার কোথায় পড়ে থাকতো কিছু বুঝতে পারছিস? আমি কী বলছি? শালা, প্রেম করছে জানোয়ারের সাথে আর বিয়ে করছে মেশিনের সাথে বাবা র্যাঞ্ছর দাস!!!!!! আমার গার্ল ফ্রেন্ড আর স্ত্রী দুটোই ইঞ্জিনিয়ারিং তাহলে আমি কেন লাস্ট হই? - এবার বল.. 'কারণ তুই ভীতু, ভীতুর ডিম এই দ্যাখ ওর হাত দ্যাখ - আঙ্গুলের চেয়েও আঙটি বেশী হাতে দিছে একটি পরীক্ষার জন্য - একটি বোনের বিয়ের জন্য আরেকটা চাকরীর জন্য আরে ভবিষৎ নিয়ে যদি এতো ভয় পাস, তাহলে কি ঘোড়ার ডিম বাঁচবি? আর ফোকাস করবি কিভাবে বর্তমানের উপর? আজিব দোস্ত পাইছি! এক শালা ডরে ডরে বাঁচে আরেকটা শালা মরে মরে বাচেঁ এই আর তুই তো শালা দুটোই করিস - ডর ও পাস্ আর মরিস ও এই.. আমি ডরাইনা... - এ..এই. শোন না ও না পিয়ার জন্য মরে কিন্তু বলতে ডরায় অ্যাঁ..... হ্যাঁ... হ্যা.....! আরে যা যা.. ফ্রী উপদেশ দেয়াটা খুবই সোজা মাম্মা..., কিন্তু করাটা মুশকিল যদি সাহস থেকে থাকে? তো গিয়ে পিয়াকে বল...বল... কি রে তোরা কোথাকার কথা কোথায় কানেকশন করছিস! - ফুল কানেকশন আছে বাবা......... আমার কথা শোন, আমার কথা শোন, যদি তুই গিয়ে পিয়াকে নিজের মনের কথাটা বলতে পারিস.. তাহলে আমিও গিয়ে আব্বাকে বলবো যে, আমি ফটোগ্রাফার হতে চাই, ইঞ্জিনিয়ার না আমিও আমার আংটি খুলে ফেলে ইন্টাভিউ দিতে যাবো নে বল? বল সাহস আছে কিনা? বাবার বলা বন্ধ হয়ে গেছে বলবেটা কী?.... চল চল - কোথায়? চল..... - কই....? ভীরু... দ্যাখ আমরা এসে গেছি ভীরু এই দ্যাখ দ্যাখ কোন কুত্তা টুত্তা নাইতো আবার? এই ভীতু! আমি ডরাই না চল! এই তোরা ঢুক, বাইরে কোন বিপদ আসলে আমি ভাইরাস এলার্ট দেবো ওয়াও..ওয়াও..ওয়াও..ওয়াও..ওয়াও.. শালা ভাইরাস ... বুড়ো এই আমি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দেবো? পিয়া - কে? হুস্সসসস....... চিৎকার করোনা, আমি র্যাঞ্ছর দাস চাঁচর ২ মিনিট আমার কথা শোন, তার পর আমি চলে যাবো কিছু বলো না....... পিয়া!! তোমার সাথে সেদিনের সেই স্কুটারে কাটানো ২২ মিনিট আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরনীয় ২২ মিনিট ছিলো, চুম্মা আমি আমার পুরো জীবন তোমার সাথে স্কুটারে কাটাতে পারি ওয়াও.... ... সময় যেন কাটেনা...... জান, তুম রোজ নববধুর সাজে স্কুটারে করে আমার স্বপ্নে আসো ঘোমটার জায়গায় নিজের হেলমেট উঠাও আর আমাকে চুমো দিতে আমার কাছে চলে আসো কিন্তু সে চুমু দেয়াটা হয়ে উঠতে পারেনা। কেন? কারণ নাক মাঝে চলে আসে, আর আমি জেগে যাই। নাক মাঝখানে আসেনা, স্টুপিড! আমি সরি, আমি ভেবেছিলাম তুমি পিয়া.. ইস্... যদি হতাম..... দিদি, মাঝখানে কেন থামালে? ৪ বছর লাগলো ওর এইটুকো বলতে পিয়া, ওকে চুমু দিয়ে বুঝিয়ে দে যে,. নাক মাঝখানে আসেনা। আমি অনুমতি দিচ্ছি তোকে, চুমু খা ওকে...ইস... ও কি চমৎকার!! উনি কে? - দিদি তুমি কে? জান, যখন তুমি কথা বলছিলেনা ছেলে তখন লাথি মেরেছে, প্রথমবার! ছেলে? তুমি কিভাবে জানলে যে ‘ছেলে’ না ‘মেয়ে’? বাবা জ্যোতিসি কে জিজ্ঞেস করেছিলো যে, ঘরে ইঞ্জিনিয়ার আসছে না ডাক্তার মানে? ছেলে হলে ইঞ্জিনিয়ার, মেয়ে হলে ডাক্তার! ঐ বাছা, তুই ভেতরেই থাক, বাইরে বহুত সার্কেস চলছে ঐ সার্কেসের রিং মাষ্টার আছেনা তোর নানা. সে চাবুক ঘুরাবে আর বলবে.. - 'দৌড়াও! জীবন মানেই প্রতিযোগিতা.... দৌড়াও.... ইঞ্জিনিয়ার হও..' কিন্তু তুই তাই করিস. তোর মনে যেটা চায়.... তোর নানা যদি ভয় দেখায়..না..... তোর নিজের হৃদয়ের উপর হাত রাখবি আর বলবি, 'All is well'(সব ঠিক আছে) হুও... আবার লাথি মেরেছে... আবারও বল 'All is well'(সব ঠিক আছে) 'All is well'(সব ঠিক আছে) মেরেছে, পিয়া,, আবারও মেরেছে... পিয়া.. বল...'All is well'(সব ঠিক আছে) 'All is well'(সব ঠিক আছে) কে? যাও আব্বাকে চিঠি দিস্ এই নে আমাদের তরফ থেকে pee-mail কবুতর যা.. যা...কবুতর যা.. যা...যা...! 01:46:59,100 --> 01:47:04,100 কে?কে..এ..এ...? - কেরে? - তোর হবু মেয়ে জামাই শালা ভাইরাস আর বরযাত্রী.. রাস্তগী...! সিকিউরিটি, ও দিকে.. ওদিকে... তো তোমরা ইতিমধ্যে সরল পেন্ডুলাম সম্পর্কে জেনেছ এখন আমরা পড়বো জটিল পেন্ডুলাম নিয়ে It's an irregular object oscillating about its own axis আমি তোমাদের উদাহরণ দিচ্ছি এটা কি? - পেন্সিল কিষের ভেতরে আছে? - সীসা বেশ, সীসা রয়েছে তাহলে পেন্সিলের কোন অক্ষ বরাবর.. Even you can be a compound pendulum, if you oscillate about... রাজু রাস্তগী কোথায়? - উপস্থি, স্যার হায়... সবাই আছে দেখছি এখানে শুভ সকাল, স্যার গতকাল রাতে তুমি কোথায় ছিলে? স্যার, পড়াশুনা করছিলো স্যার, - সারা রাত জেগে পড়াশুনা করছিলো স্যার সত্যিই? হ্যাঁ স্যার, দু রাত ধরে ঘুমায়ইনি তাই এমন দেখাচ্ছে স্যার.. কী সব বলছিস্? কী পড়ছিলে শুনি? আ...ম..... - আবেশন মটর, স্যার, আবেশন মটর পুরো চ্যাপ্টার পড়ে ফেলেছে স্যার, আবেশন মটর পুরো চ্যাপ্টার পড়েছি নাকি? এ ব্যপারে, মিঃ রাজু রাস্তগী... ইয়েস.....সার! তুমি কি আমাদের বলতে পারবে যে, আবেশন মটর কিভাবে স্টার্ট নেয়? 01:48:56,900 --> 01:49:04,900 ব্রওম...... ব্রও.............!!!!!!!!!!!!! থামো স্যার, মদ মিঃ রাস্তগী..... আমার অফিসে চলুন এক কাপ চা খাবেন... স্যার? দরজা বন্ধ করে দিন টাইপ করতে পারো কি? হ্যাঁ, স্যার আমার জন্য একটি চিঠি টাইপ করতে পারবে? অবশ্যই, স্যার আসুন, বসুন স্যার, আমি সরি স্যার ... দয়াকরে টাইপ করুন. প্রিয় জনাব..... আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে আপনাকে জানাচ্ছি যে... আপনার পুত্রকে বহিষ্কার করা হচ্ছে... না, না, সরি, ডিলেট কর আবার লিখ, আবার লিখ আপনার পুত্র, মিঃ রাজু রাস্তগী...... কে ‘ইম্পেরিয়াল কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং ’ থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে লিখ, লিখ, লিখ, এটা শুনলে, বাবা আর বাঁচবেনা, স্যার প্লিজ টাইপ - স্যার, প্লিজ স্যার আমার সিদ্ধান্ত হলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং অটল সিদ্ধান্ত বাবা আজো বেঁচে আছেন এই আশা নিয়ে যে আমি একদিন ইঞ্জিনিয়ার হবো এই কথাগুলো আমার দরজায় হিস্যু করার আগেই ভাবা উচিৎ ছিলো স্যার, আরেকবার সুযোগ দিন স্যার..প্লিজ ... আর একটিবার মাত্র সুযোগ দিন স্যার..প্লিজ ..স্যার ঠিক আছে, চিঠি থেকে তোমার নাম মুছে ফেলো র্যাঞ্ছর দাস ছাঁছরের নাম ঢুকিয়ে দাও আমি জানি যে গতকাল রাতে ও তোমাদের সাথে ছিলো আর প্রতক্ষ্যদর্শী সাক্ষী হয়ে যাও, তাহলে আর তোমাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হবেনা। চিন্তা করার জন্য তোমার কাছে আর সাড়ে সাত মিনিট আছে......। চলে যেতে দেবোনা তোকে........... দেবোনা তোকে হাড়িয়ে যেতে....... খোদাও যদি ডাকে তোকে.... আমরা তবুও ভয় পাবোনা.... সব বিপদের সাথে লড়বো আমরা..... যতই তুই লুকানোর চেষ্টা করিস...... তোর যত শক্তি আছে সব দিয়েও যদি চেষ্টা করিস.. এমনি এমনি তোকে যেতে দেবোনা আমরা... চলে যেতে দেবোনা তোকে........... দেবোনা তোকে হাড়িয়ে যেতে....... র্যাঞ্ছ, ঐ মনিটরকে দ্যাখো... রাজু ওর শরীর শক এর জন্য প্যারালাইজড হয়ে গেছে কিন্তু মন ঠিক আছে ও আমাদের দেখতে পারছে, শুনতে পারছে চাচী, প্লিজ ওর সামনে কাঁদবেন না ওর সাথে নরমাললি কথা বল, মটিভেট করার চেষ্টা করে, কৌতুক শুনাও, খুশি রাখ ওই রাজু, একটা ভালো খবর আছে দোস্ত. তোর বাবার অসুখ সেড়ে গেছে ঐযে নতুন যে ঔষুধটা না ওটা কাজ করে ফেলেছে রাস্তগীর পরিবারের প্রথা নাকি রে তোদের.. - ঘরের এর মরদ উঠলে, আরেক জন শুয়ে পড়বে? নে, চল এবার উঠে পড় পিয়া স্কুটার চাইছে তোর বাবা... তুই কি বলিস দিয়ে দেবো কি? লাগিয়ে দেবে নাতো কোথাও? হ্যাঁ এই রাজু, ফারহান ওয়েব ক্যামে তোকে কি যেন বলবে সরাসরি হোস্টেল থেকে এই দ্যাখ ভাইরাস তোর সাসপেনশন বাতিল করে দিয়েছে সমস্যা শেষ... নে এবার তো উঠে পড় এখন সব সমাধান হয়ে গেছে! ওই শুনছিস? জাগ না রে রাস্তগী দু দিনের এই পথ চলা দু দিনের ছোট্ট এ জীবন একটু চলেই থামবি কেন বল? শুনলি তো এলে দুঃখের রাত্রি এক সাথে জেগে কাটাবো দোস্তদের সাথে মান করিস শালা কেন. চলে যেতে দেবোনা তোকে......... দেবোনা কভু হাড়িয়ে যেতে...... চলে যেতে দেবোনা তোকে......... দেবোনা কভু হাড়িয়ে যেতে...... এই দ্যাখ, মা নতুন শাড়ী কিনেছে, নতুন শাড়ী - একবারে নতুন পুরো ২০০০/- টাকার বেটা ওই এবার তো উঠ শালা আরে একটা না, দশটা শাড়ী কিনেছে দশটা দ্যাখতো.....!!!!!!!! ওই....ওই রাজু......! রাজু ... বলনা কেমন লাগছে ....? মা চিঠিতে কি লিখেছিলো... তুই যুগ যুগ বেঁচে থাক এইতো বলেছিলো চার দিনও বাঁচতে পারলিনা তুই........ দোস্তদের দিকে তো একবার তাকাবি... একবার ব্যাস একটু হাঁসি দে উঠরে শালা এতো জ্বালাচ্ছিস কেন?... আরে তুই শুনেছিস কম্মোর কথা? আরে কম্মোর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে তাও আবার যৌতুক ছাড়া ওই বরের মারুতি ৮০০ চাইনা.... ওর কিচ্ছুই চাইনা শুধু কম্মো কে চায় কম্মোকে? - হ্যাঁ আরে.. আর তুই কি জানিস দুলা মিয়া কে! - হ্যাঁ আরে অনুমান করনা তুই দুলা মিয়া কে খুব ভালো করেই চিনিস - হ্যাঁ তার জানোয়ারদের সাথে খুব ভাব - হাঅ্যাঁ...? আর সে ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার হতে যাচ্ছে আবে চুপ কর.... এবার.. কী, করিছিস টা কী রে? তাও চিনিস নি? আরে আমাদের ফারহান, দোস্ত... আরে আমাদের ফারহান কি আর আমাদের থেকে যৌতুক নেবে? হ্যাঁ... আরে ফারহান করবে তোর বোনকে বিয়ে, ফারহান... তাও আবার ফ্রী! ফ্রী! ফ্রী! এ... এ...ই... এই....! রাজু...এ..!!! এই.. রাজু....রা.. রাজু... শালাকে এক কেজি ঢেড়শ আর আধা কেজি পণির ফ্রী দিয়ে দিলেও শালা জেগে উঠতো আমাকে কোরবানি করার কি দরকার ছিলো... ! ওয়েল ডান, দোস্ত সব ফিক্স হয়ে গেছে - তোর বোনের বিয়ে ফিক্স হয়ে গেছে ফারহান করবে, ওকে ডান.. র্যাঞ্ছ!!!!!! কমিন শালা........ আর কত্তো মিথ্যে বলবি.....!!! বেচেঁ গেছে তোর শালা! চলে যেতে দেবোনা তোকে..... দেবোনা.... তোকে .. চলে যেতে..... চলে যেতে দেবোনা তোকে..... দেবোনা.... তোকে .. চলে যেতে..... চলে যেতে দেবোনা তোকে..... দেবোনা.... তোকে .. চলে যেতে..... ('ঢেড়শের কেজি ১২ টাকা') আপনি ট্যাক্সি ডেকেছিলেন? আমি ডেকেছি - বাইরে দাড়িয়ে আছে ধন্যবাদ. কেন? চাকরীর ইন্টাভিউয়ের জন্য যেতে হবে আচ্ছা তুই যাচ্ছিস আমার সাথে? না. তোকে তোর বাসায় নামিয়ে দেবো আর আমি চাকরীর ইন্টারভিউয়ের জন্য যাবো শালা আমি ঘরে যাবো কেন? ভুলে গেছিস, এই কমিনটা কে কী কথা দিয়েছিলাম! দে, তোর টাই দে... কেন? দিয়ে দাও, আমার মনে হয়না যে তুমি এটা পড়ার পরেও ইন্টারভিউ দিতে যেতে পারবে কি এটা? চিঠি - তোর কাছে এসেছে, হাঙ্গেরী থেকে কে একজন ফটোগ্রাফার আছে, আন্দ্রে ইস্তেভান শালা তোরা আমার চিঠি পোষ্ট করে দিয়েছিলি?! তোর তোলা ছবিগুলো ওর খুউব পছন্দ হয়েছে পাগল হয়ে গেছে শালা.. তোকে এ্যাসিস্ট্যান্ট বানাতে চায়.. এক বছরের জন্য ব্রাজিলের রেইন জঙ্গলে কাজ করার জন্য ডেকেছে, বলছে তোকে বেতনও দেবে.. আব্বা রাজি হবেন না যা ওনাদের কাছে... ভালো ভাবে বোঝা ওনাদের আজ ভয় পেলে চলবেনা ফারহান... নয় তো ৭৫ বছর পর তুই বুড়ো হয়ে এমনি কোন এক হাসপাতারে পড়ে থাকবি, মরার অপেক্ষায়.. সেদিন তুই ভাববি.... যে, ইস্... চিঠি হাতেই ছিলো... ট্যাক্সি গেটে দাড়ানো ছিলো... যদি আরেকটু সাহস করতে পারতাম তাহলে শালা জীবনটাই বদলে যেতে পারতো কী মনে হয় তোমার ? ওর পছন্দ হবেতো? এতো দামী জিনিষ কেনার কী দরকার ছিলো? আজ সাহেবজাদার চাকরী হতে যাচ্ছে এখনতো মাথা উঁচু করে গর্বে সাথে ঘুরার দিন আসছে আর তুমি কিনা কিপ্টেমি করছো? আরে .. ফারহান...? ফারহান...... আজ তোমার ইন্টারভিউ ছিলো না? আমি যাইনি!! আমি ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইনা আব্বা! কি হয়েছিল? আপনার কি কোন এ্যাকসিডেন্ট হয়েছে? স্যার, এ্যা..ম...? ঐ .. সামনে যে বিল্ডিংটা দেখছন স্যার আমি, আমি ওটার থার্ড ফ্লোর থেকে লাফ দিয়েছিলাম স্যার! কেন? কারণ আমাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছিলো কেন? স্যার, আমি মাতাল অবস্থায় পরিচালক সাহেবের দরজায় পেশাব করেছিলাম। ঐ শয়তান র্যাঞ্ছর ভূত এখনও তোমার মাথা থেকে নামেনি? আমি বুঝিনা ইঞ্জিনিয়ারিং. ইঞ্জিনিয়ার হয়ে গেলেও, খুব খারাপ ইঞ্জিনিয়ার হবো আব্বা র্যাঞ্ছ খুব সহজ ভাষায় কথা বলে - যে কাজ করতে আনন্দ পাও তাকেই নিজের পেশা বানাও.. তখন কাজ আর কাজ মনে হবেনা। খেলা মনে হবে। আরে কত কামাই করতে পারবে ঐ জঙ্গলে? আব্বা বেতন খুব বেশী না, কিন্তু শেখার অনেক কিছু পাওয়া যাবে ওখানে ৫ বছর পর... যখন নিজের বন্ধুদের গাড়ী কিনতে দেখবে, বাড়ী করতে দেখবে, তখন নিজেই নিজেকে ধিক্কার দেবে। ইঞ্জিনিয়ার হলে আমি হতাশ হয়ে পড়বো, তখন জীবন ভর আপনাকে ধিক্কার দেব তার চেয়ে তো সেটাই ভালো হবে, যে আমি নিজেই নিজেকে ধিক্কার দেব বাবা আরে সমাজের লোক হাসবে! বলবে যে ফাইনাল ইয়ারে এসে ছেড়ে দিয়েছে, আমাদের কাপুর সাহেব বলছিলো যে, আপনি তো ভাগ্যবান যে আপনার ছেলে আইসিই তে পড়ে! তিনি কী ভাববেন? কাপুর সাহেব তো আমার রুমে এসি লাগিয়ে দেয়নি। আমাকে আরামে শুইয়ে সে নিজে গরমের মধ্যে শুয়ে থাকেনি নিজের কাঁধে চড়িয়ে কাপুর সাহেব আমাকে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে নিয়ে যায়নি। ওসব আপনি করেছিলেন, আব্বা!! আপনি কী ভাবছেন তাতে আমার অনেক কিছু যায় আসে! কাপুর সাহেব কী ভাবছেন না ভাবছেন তাতে আমার কিচ্ছু আসে যায়না!! আরে আমিতো তা নামের প্রথম অংশটা যে কি তাও জানিনা। সিনেমা দেখে এসেছ? নাটক করছ? থাম না ...... বেচারা পেরেশান..... হয়ে আছে... খোদা না করুন, রাজুর মতো যদি কিছু করে বসে তো... তাহলেতো আলোচনাই শেষ হয়ে যাবে না?.. সাহেবজাদা কে কিচ্ছু বলা যাবেনা, বললে ছাদে থেকে লাফ দেবে না আব্বা, আমি আত্মহত্যা করবোনা। আমি ওয়াদা করছি। ঐযে র্যাঞ্ছ আছেনা যাকে আপনি শয়তান বলেন, ও জোর করে আপনার আর আম্মার ছবি মানিব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়েছে বলছিলো যে, ওয়াদা কর যখনই মনে ভেতর এমন স্টুপিড খেয়াল হবে...... তখন এই ছবিটা দেখে একবার চিন্তা করবি যে এই হাসি মুখের অবস্থা কী হবে.?... যখন তারা তোর ভাঙ্গাচূড়া মৃতদেহটা দেখবে? আব্বা আমি আপনাকে রাজি করাতে চাই, কিন্তু আত্মহত্যার ছুড়ি আপনার গলায় রেখে না। কী এমন হবে? যদি আমি ফটোগ্রাফার হয়ে যাই তো? তাহলে কম পয়সা কামাই করবো, তাইনা? বাড়ী ছোট হবে, গাড়ী ছোট হবে কিন্তু বাবা আমি খুশি থাকবো আমি সত্যিকারের সুখী হবো আপনার জন্য যা কিছুই করিনা কেন মন থেকে করবো আজ পর্যন্ত আমি আপনার সব কথা শুনেছি আজ ব্যাস একবার আমাকে আমার মনের কথা শুনতে দিন না! প্লিজ আব্বা...... আব্বা...... আব্বা চলে যাবেন না প্লিজ..... এটা ফিরিয়ে দিয়ে এসো বেটা, তোমার ঐ প্রফেশনাল ক্যামেরা কত পড়বে? এই ল্যাপটপের বদলে পাওয়া যাবে কি? যদি আরও টাকা লাগে তো আমাকে বলিস বেটা!! যা বেটা, নিজের জীবন গড়ে নে। আপনার নাম্বার বরাবরি কম দেখছি... কোন বিশেষ কারণ? ভয় স্যার ছোট্ট বেলা থেকেই ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র ছিলাম বাবা, মা ভাবলো যে ও আমাদের অভাব দূর করে দেবে আর আমি ভয় পেতে থাকলাম। এখানে এসে দেখলাম তীব্র প্রতিযোগিতা লেগে আছে... ফার্স্ট হতে না পারলে কেউ জিজ্ঞেসও করবেনা । আমি আরো ভীতু হয়ে পড়লাম। ভয়, অধিক নাম্বার অর্জনের জন্য মোটেই ভালো নয়, স্যার আরো বেশী করে আংটি পড়তে লাগলাম পূজা করতে লাগলাম.. পূজা আর কি, খোদার কাছে ভিক্ষে চাইতে লাগলাম এটা দিয়ে দাও... ওটা দিয়ে দাও... ১৬ হাড্ডি ভাঙ্গার পরে ভাববার সুযোগ পেলাম.... তখন পুরো বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারলাম। আজ আমি খোদার কাছে এটা বলিনি যে আমাকে চাকরীটা দিয়ে দাও, আমি শুধু হাত জোর করে উনাকে এই জীবন টা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ বলেছি। আপনারা যদি..আপনারা যদি...আজ আমাকে বাতিলও করে দেন তবুও কোন আফসোস থাকবেনা আমার কারণ আমি আমার জীবিকার জন্য কিছু না কিছু তো করেই নিতে পারবো, স্যার দেখুন আপনার এত্তো বেশি খোলামেলা আচরণ আমাদের কোম্পানীর জন্য ঠিক হবেনা ক্লায়েটদের হ্যান্ডেল করার জন্য আমাদের প্রয়োজন একজন ডিপ্লোমেটিক মানুষ আপনি একটু বেশীই অকপট মানুষ, কিন্তু. যদি আপনি আমাদের এ ভরসা দিতে পারেন যে, আপনি আপনার এই দৃষ্টিভঙ্গিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন.... তাহলে ..... তাহলে কিছু একটা হতেও পারে... দু পা ভাঙ্গার পরে নিজের পায়ে দাড়াতে শিখেছি স্যার অনেক কষ্ট করার পর অর্জিত হয়েছে এই দৃষ্টিভঙ্গি এটাকে আর হাড়াতে চাই স্যার আপনারা আপনাদের চাকরী রেখে দিন... আমি আমার দিষ্টিভঙ্গি রেখে দেই... আমি সরি, কিছু মনে করবেননা স্যার দাড়াও... ২৫ বছর ধরে আমি ভর্তি করছি, অনেক মানুষের ইন্টারভিউ নিয়েছি চাকরী পাবার জন্য মানুষ আমাদের ‘হ্যাঁ’ তে হ্যাঁ মিলিয়েই নেন শেষ পর্যন্ত। তুমি কোথা থেকে এসেছরে, ভাই? জ্বী... আ..মি...? বেতন কতো নেবে, তা আলোচনা করে নেই? ধন্যবাদ, স্যার জাঁহাপনা, আপনি মহান..... উপঢৌকন কবুল করুন। গোবি......................ন্দ...................! স্যার, আপনিইতো বলেছিলেন, যে ও চাকরী পেলে মুছ কেটে দিতে এটা কী করে দিয়েছে? এমন মনে হচ্ছে যেন কেউ আমার কাপড় খুলে নিয়েছে ইজ্জত লুটে নিয়েছে আমার আমি পরাজয় মানবোনা, রাস্তগী চাকরী তুই তখনই পাবি যখন তুই ফাইনালে পাস করতে পারবি আর এইবার, প্রশ্নপত্র আমি সেট করবো বাবা, এটা অন্যায় প্রেম এবং যুদ্ধে সবই বৈধ আর এটা বিশ্ব যুদ্ধ ...৩ রাস্তগী, তুই তো শেষ..! হে.... তুমি এখানে কী করছো? সাবধানে, .. তুমি মদ খেয়ে এসেছ... - হ্যাঁ দোস্ত, ২/৪ পেগ মেরে দিয়েছি ২...৪... ২ নাকি ৪..! সাহস যুগাতে হয়েছে - কি জন্য? এটা চুরি করার জন্য - এটা কি? ভাইরাসের অফিসের ডুপ্লিকেট চাবি..... লাল সীল করা প্যাকেটের ভেতরে প্রশ্ন পত্র আছে। যেটি বাবা নিজে সেট করেছে.. রাজুকে ফেল করানোর জন্য নিয়ে এসো...! পাগল নাকি. - এটা তো চিটিং... যা...! প্রেম এবং যুদ্ধে সবই বৈধ আচ্ছা একটা কথা বলতো... তোমার কি সত্যি মনে হয় যে,.... চুমো খাওয়ার সময় নাক মাঝে এসে পড়ে? একমিনিট... ঢুকলা খাও... এই নাও ধর তোমরা গুজরাটি লোকজন এতো নরম হয়ে থাকো কিন্তু তোমাদের খাবারগুলো এমন ভয়ানক হয় কেন? ঢুকলা, ফাফরা, হান্ডওয়া, থেপলা, খাঁখড়া.. নাম শুনে মনে হয় যেন কোন মিসাইলের নাম চলো 'আজ বুশ ইরাকে দুটো ঢুকলা নিক্ষেপ করেছেন' '৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছেন ২০০' চলো.. আরে... এই খাঁকড়া, ফাফড়া তুমি আমি সহ্য করে নেবো কিন্তু তোমার এই নামটা..... ‘র্যাঞ্ছর দাস শ্যামল দাস চাঁচর’... ওয়াক.. আমি বিয়ের পরে কিন্তু আমার লাস্ট নেইম চেঞ্জ করতে পারবোনা ঠিক আছে? পিয়া , আমাদের বিয়ে হতে পারবেনা কেন? অন্য কাউকে ভালোবাস? না ‘সমকামী’ নাকি? - না তাহলে আমাকে প্রস্তাব দিচ্ছনা কেন? হিজড়া নাকি? - না তাহলে প্রমাণ দাও... প্রমাণ দাও.. পিয়া, আমি..না... অই থাম! থাম ! থাম! থাম ! থাম!!!!! দোস্ত আমরাতো পিয়া জানালামই না? থামা না গাড়ীটা, পেশাবে আমার পেট ফেটে যাচ্ছে একটু চপ কর না! - তোর সাথে ওর যোগাযোগ আছে? না..রে দোস্ত. । কিন্তু ওর বাসার নাম্বার আছে আমার কাছে - তো ফোন লাগা তারাতাড়ি আমি গাড়ি থামাচ্ছি। হ্যালো এদেশে মুত্র বিসর্জন করার জন্য কোন জায়গাই নেই। হ্যালো, হা.. পিয়া আছে? - নেই, সাহেব আচ্ছা তো কোথায় পাওয়া যাবে ওকে ? হাসপাতালে? না সাহেব, হাসপাতালে যাবে কেন? আজতো উনার বিয়ে তাই ‘মানালি’ গিয়েছে পিয়ার তো বিয়ে হয়ে গেছে.. এখনো হয়নি! দ্যাখ ৬ ঘন্টার পথ.. ঠিক মতো গাড়ী চালালে বিয়ে হওয়ার আগেই আমরা পৌঁছে যাবো! তুই কী বলিস? একবার যখন চিন্তা করেই ফেলেছিস, পার্টনার তো মার ইউটার্ন এই.... কোন ইউটার্ন হবে না সোজা লাদাক যাবো. র্যাঞ্ছর সাথে দেখা করে ফিরে চলে যাবো শুক্রবারে আমার ফংসুখ ওয়াংরুর সাথে মিটিং আছে। চল চল গাড়ীতে বোস মিস্ হয়ে গেলে জানিস কী হবে? তখন জাপানীরা উনাকে পেয়ে যাবে। তারাতো উনাকে কোম্পানীর প্রধান হওয়ার জন্য অফার দিচ্ছে 'ফুংসুখ এবং ফুজিয়াসি', মানেই লাভ... বিয়া ও সোহাসের শুভ বিবাহ! - স্যুটের জন্য ধন্যবাদ দোস্ত দোস্ত এই ভাইরাসের তো হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে। যখনি ওর মেয়েদের বিয়ে হয়, বারোটা বাজাতে আমরাও পৌঁছে যাই। আচ্ছা শোন, পিয়া কে আমি সামলাচ্ছি আর প্রাইসট্যাগ টাকে তুই দ্যাখ। ফারহান!!! - র্যাঞ্ছকে পাওয়া গেছে পিয়া ১০৭ নাম্বার রুমের জন্য? - জ্বী, স্যার জ্বলদি দাও. এত্তোক্ষণ লাগলো....? -সরি, স্যার হয়েছে যাও হাউজ কিপিং, স্যার - এসো আহ্হা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে... . জ্বলদি শেরওয়ানীটা আয়রন কর আহ্হা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে... আরে! র্যাঞ্ছকে পাওয়া গেছে। এখনো ঐ গাধাটাকে বিয়ে করবে? তুমি পাগল, ফারহান নিজেকে ফাঁকি দিওনা পিয়া, তুমি এখনো র্যাঞ্ছকে ভালোবাস আর ওর কথা মনে করে আজও এই ঢুকলা খাচ্ছ! ......আহ্হা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে... কুকুরের লেজ ও. ১২ বছরও যদি পাইপে ঢুকিয়ে বের কর, তবুও বাঁকাই থেকে যাবে তুমি থাম, ফারহান! সোহাসের এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন ও আর ব্রান্ড আর দামের ব্যপারে কথা বলেনা। আমার দেড় লাখ টাকার শেরওয়ানী......... আরে তোরা চাটনী কেনইবা খাস ? আমি কিছু একটা করছি, স্যার - কি করবে? স্যার, আমাদের লন্ড্রীতে এমন চাটনীর দাগওয়ালা শেরওয়ানী প্রতিদিনই আসে, স্যার আমি দুই মিনিটের মধ্যেই পরিষ্কার করে দিচ্ছি. স্যার আপনি একটা মিনিট দাড়ান স্যার... জ্বলদি নিয়ে আয়..... কিন্তু এখন অনেক দেরী হয়ে গেছে, ফারহান - পিয়া পিয়া, চলো দেরী হয়ে যাচ্ছে, চলে এসো পিয়া, আমি রাজু..... চিল্লাইওনা, নয়তো লোকজন আমাকে মেরেই ফেলবে সোহাস কোথায়......? আরে হাউজ কিপিং থেকে এসেছিলো সে, শেরওয়ানী নিয়ে গেছে ভেতরে যাও.. আর সোহাসকে পাঠিয়ে দাও মন্ত্রপাঠ চলছে পিয়া, এখন উঠে গেলে তো ধরা পড়ে যাবো হ্যাঁ, ফারহান, বল? - গাড়ী গেটে রেডী আছে আমি বলছি যে পিয়া কে তুলে নিয়ে দৌড় লাগা. - আবে চুপ থাক না... স্যার.. - শেরওয়ানী কোথায়? আপনি এখানে...? - হ্যাঁ তাহলে ওখানে বিয়ের আসরে কে? - আসরে? আরো ঘুরানি দিলে আমাদেরই বিয়ে হয়ে যাবে, আমি কিন্তু আগে থেকেই বিবাহিত বলে রাখছি চলো পালাই! এখানে কত্তো লোকজন. সবাই হাসবে..? আরে লোকে হাসবে, তাই বলে তুমি আত্মহত্যা করবে? এ.. রাস্তগী! পিয়া লোকে দুদিনের জন্য গল্প করবে তারপর সবাই ভুলে যাবে কিন্তু আজ যদি তুমি এই বিয়ে করেই ফেলো! তো সারা জীবনভর আফসোস করবে যে, ইস্ গাড়িটা গেটেই ছিলো!!! আমরা তোমাকে র্যাঞ্ছর কাছে নিয়ে যেতে এসেছিলাম কিন্তু শুধু মাত্র লোক লজ্জার ভয়ে, তুমি এই গাধাটাকে বিয়ে করে নিয়েছ হাউজকিপিং? পিয়া, ছোট্ট...... একটা টেনশন হচ্ছে... কী? র্যাঞ্ছর বিয়ে হয়ে গেছে কিনা, তা জানিনা। কী! দেখিস্ বিয়ে এখনো হয়নি, এখনো হয়নি - আর যদি বিয়ে হয়ে গিয়ে থাকে তবে? তবে তোমাকে বাড়ীতে নামিয়ে দিয়ে আসবো আরে চিন্তা করোনা! এই নাও বিস্কুট খাও, হাতে তৈরী বিস্কুট সূদর স্যানফ্রান্সিসকো থেকে আনা? ও কোথা থেকে এলো? এড়িয়ে যা, এড়িয়ে যা... - বাদ দাও তুমি বিস্কুট খাও খুব ভালো বিস্কুট 02:18:03,450 --> 02:18:04,400 'Aal izz well''Aal izz well' (সব ঠিক আছে ) গতকাল পর্যন্ত আমি এই দেশের একজন সৎ নাগরিক ছিলাম। কিন্তু গত চব্বিশ ঘন্টায়, আমি একটি বিমানে কে জরুরী অবতরনে বাধ্য করেছি.. শ্যামল দাসের আত্মাকে তো নর্দমাই ডুবিয়েই ফেলেছিলাম প্রায়... আর বিয়ের আসর থেকে এক দুলহানকে কিডন্যাপ করেছি.. সবই করেছি ঐ কমিন র্যাঞ্ছর জন্যে... কিন্তু ও শালাও তো কম যেতো না বন্ধুদের জন্য জীবন বাজি রাখতো রাজুর জন্য প্রশ্ন পত্র চুরি করতে, রাবনের লংকাতে ঢুকে পড়েছিলো লাল সীলওয়ালা ইনভেলাপ খোঁজ ও খুব ভয়ে ছিলো যে, যদি রাজু ফেল করে তাহলে আবার না শালায় হাই জাম্প মেরে বসে কিন্তু আমরাও বড় আদর্শবান চোর ছিলাম কসম খেয়েছিলাম যে প্রশ্নপত্র শুধু রাজুর জন্যই চুরি করবো নিজেরা একটুও দেখবোনা আরে দোস্ত কোথায় লুকিয়ে রেখেছেরে...? দোস্ত খুজতে খুজতে তো শুভসকাল হয়ে যাবে! র্যাঞ্ছ, পিয়াকে জিজ্ঞেস করেনে! পিয়া, তোমার ফোন... দুলাভাই! ওকে যখন কেউ 'All is well', বলে, ও তখনি লাথি মারে! লাথি মেরেছে..... পিয়া তোমার ফোন..! পেয়ে গেছি! র্যাঞ্ছ... হ্যালো? এটার কপি বানা, ফটোকপি কর জ্বলদি.. কোথায় ছিলো এটা? সেখানেই রেখে দে.. বাঁইচা গেছিরে...! - অই.. কোথায় গিয়েছিলিরে..? এই নে.. - কী এটা? অনুমান কর.. প্রশ্নপত্র, ভাইরাস তোকে ফেল করানোর জন্য নিজে সেট করেছিলো আজিব দোস্ত পাইছি...! প্রথমে মাথা তুলে বাঁচতে শেখায় ফের মাথা ঝুকানোর কাজ করায় না রে দোস্ত...... পাস করলে, তা করবো নিজের যোগ্যতায়. না পারলে ফেলই ভালো.... শালা কমিনে, আমার মন জিতে নিলো! মন চাইলো ওকে সত্যিকারিই শালা বানিয়ে ফেলতে... কিন্তু তখনই আমি আমার আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেললাম। শালা চোর, - স্যার, প্লিজ, স্যার বদমাইশ - সরি স্যার খুউব এসেছে উনি, সিস্টেম চেঞ্জ করতে.. আমার দরজার সামনে পেশাব করিস...... - স্যার, কী করছেন কী স্যার সরি স্যার, সরি স্যার তোদেরকে বহিঃষ্কার করা হলো! আগামীকাল সকালের মধ্যে যদি তোমরা এখান থেকে না যাও, তাহলে আমি পুলিশ ডাকবো আমি পুলিশ ডাকবো!! বদমাইশ! বদমাইশ, তোরা সবক’টা বদমাইশ ও আমার অফিসের চাবী কোথায় পেল? চাবী আমি ওকে দিয়েছিলাম, বাবা সেদিন যদি ভাইয়াকে ও চাবীটা দিয়ে দিতাম! তাহলে হয়তো আজ ও বেঁচে থাকতো চুপ কর! পিয়া আপনার কী মনে হয়? যে ভাইয়া ট্রেন থেকে পড়ে মরেছিলো? থাম! পিয়া আপনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, ও ইঞ্জিনিয়ার হবে! একবারও কি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলেন? যে ও কী হতে চায়? কী পরিমান প্রেসার দিয়েছিলেন আপনি ওর উপর... যে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার চেয়ে, মরে যাওয়াই তার কাছে সহজ মনে হয়েছিলো কী বলছেটা কী ও... বাবা, তুমি তোমার রুমে যাও!.. তুমি তোমার রুমে চল!!!! পিয়া! থাম পিয়া!! কী করছিস তুই পিয়া? ভাইয়া, সাহিত্য পড়তে চেয়েছিলো! লেখক হতে চেয়েছিলো,!! কিন্তু এই সুইসাইড নোটের চেয়ে বেশী আর কিছুই লিখে যেতে পারেনি, বাবা পিয়া ঐ চিঠিটা রেখে, পিয়া দোহাই তোর! আর কতোকাল লুকিয়ে রাখবে দিদি? একবার.... মাত্র একটিবার.... যে ইঞ্জিনিয়ারিং না পারলে, বাদ দিয়ে দে যেটা পছন্দ হয় সেটা কর তাহলে আজ ভাইয়া, বেচেঁ থাকতো, বাবা! ও আত্মহত্যা করতে পারেনা..!!! তুমি ঠিক বলেছো বাবা! ও আত্মহত্যা করেনি.. ওকে খুন করা হয়েছিলো!! বেশ কিছু এলাকার রাস্তাঘাট, পানিতে পুরোপুরি ডুবে গেছে যান চলাচল পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে বাবা..! বাবা............!!!! মোনা? আরে তোকে বললাম না ফিরে যেতে, তবুও পিছে পিছে কেন আসছিস? কেন? এই রোডটা কি তোমার আম্মার নাকি? দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন, আমরা বড় বিপদের মধ্যে আছি! সারা শহরে কি একটাই মাত্র এ্যাম্বুলেন্স নাকি? তাহলে অন্য কোন হসপিটাল থেকে এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসো পুরো শহর প্রায় পানিতে তলিয়ে গেছে জনাব, আমরা কিছুই করতে পারবোনা! এই মোনা ? কী হয়েছে? র্যাঞ্ছ, পিয়া র্যাঞ্ছ, এখানে পৌঁছা এখন অসম্ভব!! তাই আমি যা যা বলছি তা তা করো! আপনি বুঝতে পারছেন না, ওর পানি থলে ফেঁটে গিয়েছে! আপনারা বুঝতে...... কেটে দিয়েছে!মোনা! মোনা! লাইট জ্বালা! লাইট জ্বালা! - কোনদিকে নেবো? টেবিল! টেবিল টেনিস, টেবিলে - পিয়া, আমরা কমন রুমের ভেতরে আছি! রাজু, ওয়েব ক্যামেরা অন করো হ্যাঁ , পিয়া.. রাজু, দিদি কোথায়, ওকে দেখাও..! দাড়াও........ এখানে, পিয়া দিদি, সব ঠিক হয়ে যাবে, আমি আছি তোমার কাছে, ওকে! পিয়া, আমি মরে যাচ্ছি..! র্যাঞ্ছ, যখন দুনিয়ায় ডাক্তার বা হাসপাতাল ছিলোনা... তখনও বাচ্চা জন্ম নিতো - হ্যাঁ দিদির ডেলিভারী তোমরা করবে, 'Aal iz well'(সব ঠিক আছে) তোমাদের এত্তো বড় সাহস? কী করছ তোমরা...? বাবা, তুমি এসবের মধ্যে এসোনা, দয়াকরে তুমি বাইরে অপেক্ষা কর, ঠিক আছে ফারহান, তুমি তোয়ালে আর কাঁচি নিয়ে এসো মিলিমিটার, তুমি কাপর শুকানোর ক্লিপ, আর গরম পানি নিয়ে এসো র্যাঞ্ছ, তুমি দিদিকে কিছু দিয়ে ঢেকে দাও দিদি, ধাক্কা দাও! সাবাস, মোনা, জোর সে.... ধাক্কা দাও থামতো! আমি করতে পারছিনা র্যাঞ্ছ, দ্যাখ তো ‘ক্রাউনিং’ হচ্ছে নাকি? ক্রাউনিং মানে.....? ঐ ডায়াগ্রাম নিয়ে এসো.. র্যাঞ্ছ, দ্যাখো মাথা বেরিয়ে আসছে কি? র্যাঞ্ছ, জ্বলদি করো..... যাও!!! যা, যা, যা র্যাঞ্ছ যা না, ক্রাউনিং হচ্ছেনা.. দিদি, প্লিজ ধাক্কা মারো.. মোনা! ও ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে, পিয়া উঠাও ওকে, যদি ও ধাক্কা দিতে না পারে, তাহলে অনেক বড় ঝামেলা হয়ে যাবে ‘ভ্যাকুয়েম ক্যাপ’ লাগাতে হতো পিয়া - ওখানে কোথায় পাবে ‘ভ্যাকুয়েম ক্যাপ’? ‘ভ্যাকুয়েম ক্যাপ’ কী জিনিষ? কেমন দেখতে? কী করে ওটা দিয়ে? আমি দেখাচ্ছি.... যদি মা ক্লান্ত হয়ে যায়, আর ধাক্কা দিতে না পারে তাহলে এই ক্যাপ শিশুর মাথায় লাগায়.. পাম্পর সাহায্যে‘ভ্যাকুয়েম ’তৈরী হলে... এই ক্যাপ শিশুর মাথায় আটকে যায় তখন শিশুকে টেনে বের করে আনা হয় আমি এটা বানাতে পারবো? - কিভাবে? ‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’ দিয়ে স্যার..... - ‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’? হ্যাঁ স্যার, ‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’... কিন্তু ‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’এর চাপ তো অনেক বেশী হয়ে থাকে র্যাঞ্ছ প্রেসার আমি কন্ট্রোল করে নেবো - ওখানে কি আছে ‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’? আছে, আমার অফিসে ফারহান, জ্বলদি যা.. স্যারের অফিস থেকে নিয়ে আয় - এই নে চাবি মোনা, ধাক্কা মারো মোন.... হায় আল্লাহ্...... কী হলো? হ্যালো রাজু কী হয়েছে? - ক্যারেন্ট চলে গেছে আল্লাহ্. ... তাহলে ‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’চলবে কিভাবে? ফারহান, তু্ই ‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’আন আমি ক্যারেন্টের ব্যবস্থা করছি.... কিভাবে? মিলিমিটার, ভাইরাসকে বের কর জ্বলদি..... ভাইরাস.. বাইরে চল... ! ভাইরাস.. বাইরে চল... ! এই ভাইরাস, নারে.. আরে আমার ভাইরাস... ঐযে আমি বানিয়েছিলাম, ইনভার্টার সেইটা... সেইটা নিয়ে আয় জ্বলদি - ও সরি স্যার, ... বুঝেছি, বুঝেছি.. রাজু, হোস্টেলের সবাইকে জাগা ওদের বল যে, গাড়ীর ব্যাটারী দরকার, তার দরকার আর ভ্যাকুয়েম গেজ রাজেশ, দিপক! জ্বলদি আয়, কমন রুমে ইমার্জেন্সী র্যাঞ্ছ কোথায়? - স্যার, স্যার, স্যার.. এখান স্যার! সবকটা ব্যাটারী জ্বলদি এখানে রাখ ... আর তারগুলো রাজু, সকল সুইচ অফ কর, আর ইনভার্টারকে মেইন সুইচে কানেক্ট কর, নে ধর.... র্যাঞ্ছ, ‘ভ্যাকুয়েম ক্লিনার’ ফারহান, তোর ঐযে ক্যামেরা পরিষ্কার করে যেটা দিয়ে, কী বলে ওটাকে... ব্লোয়ার..ব্লোয়ার..? - হ্যাঁ ওটা নিয়ে আয় জ্বলদি! র্যাঞ্ছ, এই নে ব্লোয়ার হ্যাঁ, এই ভ্যাকুয়েম গেজ, পাইপে লাগা র্যাঞ্ছ, হয়ে গেছে.. সুইচ সবগুলো বন্ধ তো? -হ্যাঁ এবার শুধু টেবিলের লাইট আর কম্পিউটারের সুইচ দে.. ওকে রাজু, কম্পিউটার অন কর। ফারহান, হেল্প মি, এটাকে কানেক্ট কর ওটার সাথে পিয়া, পিয়া.. জ্বলদি এসো . জ্বলদি এসো সাবাস র্যাঞ্ছ...... ফারহান, - হ্যাঁ অন কর.. -হ্যাঁ পিয়া, চোষন চাপ কতখানি হতে হবে? ০.৫ এর চেয়ে বেশী নয়, র্যাঞ্ছ ফারহান, ০.৫ - ঢাক ওদিকে ০.৫ ভ্যাকুয়েম ক্লিনার দিয়ে ডেলিভারী, ২০ বছরের চাকুরীতে আজ পর্যন্ত দেখিনি ফারহান, অফ কর, হ্যাঁ রাজু, একটু টেবিলের দিকে এসো আমাকে দ্যাখে, ! বেবিকে এভাবে নীচে পুশ কর.. এভাবে হ্যাঁ ... হ্যাঁ.. ফারহান, অন কর। - হ্যাঁ নাও দিদি, এবার ধাক্কা মারো। তুমি পারবে... সাবাস মোনা ধাক্কা দাও বাচ্চার কথা একবার ভাবো সাবাস, মোনা ধাক্কা দাও আসছে...! আসছে...! আসছে...! সাবাস দিদি, তুমি পারবে... সাবাস, মোনা পুশ....... ফারহান, বন্ধ কর। হ্যাঁ বন্ধ করেছি.. দুটো ক্লিপ লাগাও, আর নাড়ি কেটে দাও! ফারহান, জ্বলদি দুটি ক্লিপ এনে নাড়িতে লাগা কাঁচি আন কাঁচি.. - সাবধানে , সাবধানে... মাঝখানে কাট, তোয়ালে আন তোয়ালে.. পিয়া, বাচ্চা কাঁদছেনা কেন? হেই... হেই চ্যাম্প..! র্যাঞ্ছ, ওর পিঠে মালিশ কর.. হেই চ্যাম্প... - Come on, চ্যাম্প.. না! কিছুইতো হচ্ছেনা ওর মুখের ভেতরে ফুঁ দাও - Come on, চ্যাম্প.. কিছুইতো হচ্ছেনা চুপ মোন চুপ - All is well (সব ঠিক আছে) বল All is well (সব ঠিক আছে) বল All is well লা.. লাথি মারছে.. কী? লাথি মা... লাথি মারছে.. All is well (সব ঠিক আছে) বল All is well All is well (সব ঠিক আছে) তখন যদি শালা ভাইরাস বলতো যে, ‘আমার নাতি ইঞ্জিনিয়ার হবে’ তাহলে আমি শালাকে ধর্ষন ই করে ফেলতাম... কিন্তু শালায় যখন মুখ খুললো, তখন চমৎকারি হয়ে গেলো ভালো লাথি মারিস তুই! ফুটবলার হবি নাকি? হইস, তোর মনে যা চায় তাই হইস! দাড়াও! কোথায় যাচ্ছ? তোমার সাথে এখনো হিসেব নিকেশ বাকী আছে কলেজের প্রথম দিন তুমি আমাকে একটি প্রশ্ন করেছিলে.. মনে আছে? যে মহাশূন্যে পেন্সিল কেন ব্যবহার করেনা? কারণ হলো, যদি পেন্সিলের মাথা ভেঙ্গে যায় তাহলে তা শূণ্য মধ্যাকর্ষণে ঘুরতে থাকবে কারো চোখে ঢুকে যেতে পারে, কারে নাকে ঢুকতে পারে যন্ত্রপাতির ভেতরেও ঢুকে যেতে পারে. তুমি ভুল ছিলে ! তুমি ভুল ছিলে! তুমি সব সময় ঠিক হতে পারোনা! তুমি বুঝতে পেরেছ? জ্বী, স্যার! এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন ছিলো তুমি বুঝতে পেরেছ? জ্বী, স্যার! আমার পরিচালক স্যার বলেছিলো...যেদিন কোন, এক্সট্রা অডিনারি, ছাত্র আসবে............ যাও পড়! পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে এখন থেকে বেরিয়ে যাও! আর এখন, বছরের সেরা ছাত্র হয়েছেন... র্যাঞ্ছর দাস শ্যামল দাস চাঁচর স্যার, একটি ছবি তুলবো? এই সকল স্মৃতি আমি ক্যামেরায় বন্দী করে আমার সাথে করে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম সেদিন একে অন্যের গলা জড়িয়ে ধরছিলাম.. আবেগ প্রবণ হয়ে ওয়াদা করছিলাম, যে যোগাযোগ রাখবো বছরে অন্তত্য একবার অবশ্যই দেখা করবো.. কে জানতো যে আমরা র্যাঞ্ছকে শেষ বারের মতো দেখছি খুলে দে ওকে... আমি তোদের সবাইকে আমেরিকান আদালতে দেখে নেবো রাজু এমন স্কুল তো শালা র্যাঞ্ছই বানাতে পারে... কিন্তু ও আছে কোথায়? ঐ এখানে প্রসাব করবেন না ভাগ ক্ষুদে বিজ্ঞানীর দল, ভাগ এই এখানে সু সু করো না - ব্যাটা মাইর চিনিস, আ... পেয়ে গেছি, কমিনটা আশে পাশেই কোথাও আছে ভাইসাব, র্যাঞ্ছর দাসকে কোথায় পাওয়া যাবে? ওর নামতো আর র্যাঞ্ছর দাস না! - র্যাঞ্ছ... এ্যা.. ছোটে .. ছোটে....ছটু, আরে ওর আসল নামটা যেন কি ছিলো? আরে শান্ত হও, শান্ত হওে এসো আমার সাথে? কোথায় ? র্যাঞ্ছ কোথায়? - র্যাঞ্ছ ফারহান, জানো তোমার লিখা প্রতিটি বই সে পড়েছে এই দ্যাখো.. আর এটাও.. রাজু, তোমার ব্লগ সে রোজই পড়ে, আর বাচ্চাদের তোমার গবেষণা সম্পর্কে খুব গর্ব করে বলে আপনার হেলমেট, মনে আছে পিয়া দিদি? চুরি হয়ে গিয়েছিলো না.. কে তুমি? আর আমাদের সবার নাম জন কিকরে? চিনতে পারনি? - নাতো চিনবে কিকরে? মিলিমিটার যে এখন সেন্টিমিটার হয়ে গেছে অই.. অই..অই.. শা...লা.. সেন্টিমিটার কই, তুইতো কিলোমিটার হয়ে গেছিস রে.. কিন্তু তুই এখানে কী করছিস? জীবনে প্রথমবার আমার নামে একটি চিঠি এসেছিলো তার ভেতর থেকে ট্রেনের একটি টিকেট বের হলো পেছনে লিখা ছিলো... যদি পড়তে চাস, তো ট্রেনে উঠে পর.. আর ভাই আমি ট্রেনে উঠে গেলাম শালা, র্যাঞ্ছ! কোথায় সেই ইডিয়েট? দুর্জি, তোরা উড়া এবার তুমি রোজ দুলহানের সাজে স্কুটারে চড়ে আমার স্বপ্নের মাঝে আসো ঘোমটার জায়গায় নিজের হেলমেট খোল আর আমাকে চুমো খেতে আমার কাছে আসো! 02:41:48,900 --> 02:41:52,444 অ্যাঁ...আ... আউচ.... যাবার আগে বলেতো যেতে পারতে আও..ন.. না.. আ..ম.. সরি বিয়ে করেছো? কী? কী?আ.... না তো... তুমি? - করে ফেলেছি...ইডিয়েট তো? উম... তো.. কী? কাউকে ভালোবাসো? ও..ম......... হ্যাঁ.... কে? তুমি দেখলে, নাক মাঝে আসেনি, আহাম্মুক হ্যাঁ... আসলেই , তাই তো দেখছি! শালা.. র্যাঞ্ছ... হায়... ফারহান! আরে তোর ‘হায়’এর গুষ্ঠি মারি আরে , আমার কথাটা তো শুনবি... - না না, তুই আমার কথা শোন, আরে... আরে.. আমি সব বুঝিয়ে বলছি.. আরে.. হায় .. রাজু! শালা! - আও এদিকে দ্যাখ - আও শালা একটা ফোন করার জন্যও কি তোর কাছে পয়সা ছিলোনা ? মারো! আর আমার তরফ থেকে ২/৩ ঘা লাগাও শালা, কী কী সাজতে হয়েছে, জানিস কিছু - চশমায় লাগবে... কমিন, শালা ছাড়, ছাড়, অনেক হয়েছে.. উঠ শালা উঠ মজা করছ? আহাম্মুকের দল! হেই... হায় চতুর... র্যাঞ্ছর দাস, ছাঁছড়......! নমষ্কার মাস্টার সাব, আপনি কোথায় পৌঁছে গেছেন? গ্রামের স্কুলের শিক্ষক হয়ে গেছেন, আঁ...? - এ..তে আপেল.. বি ... তে ... বল.. আমরা দুজন এক সাথে ট্রেন ধরেছিলাম... কিন্তু তোর ট্রেন উল্টো চলে এসেছে.. ইঞ্জিনিয়ার থেকে সোজা প্রাইমারীর শিক্ষক.. এই তোর বেতন কতোরে? বল? -৫০০০/-? আর আমার ক্ষেত্রে $ ১০০ ডলার আমার ছেলের পকেট খরচ তোমার বেতনের চেয়েও বেশী আরে বাজে বকা বন্ধ কর - আরে বাজে কথাতো ও বকতো! শিক্ষা ব্যবস্থাকে বদলাতে চেয়েছিলো দুনিয়াকে বদলাতে চেয়েছিলো আর এখন এখানে বাচ্চাদের ডায়পার বদলাচ্ছে তুই ওর দাঁতগুলো ভাংবি নাকি আমি ভাংবো? আরে বলতে দে না , ওকে বাদ দে... মনে পড়ে? আমি বলেছিলাম যে, একদিন তুমি কাঁদবে, আর আমি হাঁসবো সই কর এখানে স্বীকার কর - যে তুই হেরেছিস, আমি জিতেছি! 'পরাজয়ের ঘোষনাপত্র'! অবিশ্বাস্য!..... চতুর - তুই পাগল নাকি রে..? এই, এটাতো ভাইরাসের কলম!তোর কাছে এলো কিভাবে তুই চুরি করেছিস? আ.ব...... কী বলবো তোকে দোস্ত.... এটা বিজয়ীদের জন্য, পরাজিতদের জন্য নয় কোন ব্যাপার না, যদি কখনো স্কুলে সমস্যা হয় আর দানের প্রয়োজন পড়ে, আমার এ্যাসিস্ট্যান্টকে কল করিস এ..তে.... আপেল.. বি ... তে ... বল.. ওরতো কোন পরিবর্তনই হয়নিরে দোস্ত! - আরে বাদ দে তো ওর কথা! যা মুখে আসে তাই বলতে থাকে ও বাদ দাওতো , ভালো খবর হলো এটা যে, তোমার নাম র্যাঞ্ছর দাস চাঁচর না। কল্পনা করতে পারো, বিয়ের পরে আমি, পিয়া চাঁচর- ওয়াক! সে যাই হউক, তো তোমার আসল নামটা কি? ফুংসুখ ওয়াংরু ওয়াংরু? পিয়া ওয়াংরু! - হ্যাঁ তার মানে তুই বিজ্ঞানী ? - হ্যাঁ মানে হলো তোর নামে ৪০০ পেটেন্ট আছে? -হ্যাঁ আমি বিয়ের পর আমার পারিবারিক নাম কিন্তু চেঞ্জ করবোনা না না, বলতে চাচ্ছি যে তুই চতুরের ওয়াংরু? তার মানে জাপানিরা তোকে খোঁজ করছে? ওয়াংরু নামটাও আমার পছন্দ নয় আচ্ছা একটা কথা বলতো দেখি? তুই বিজ্ঞানি, নাকি শিক্ষক? বিজ্ঞানি, কিন্তু বাচ্চাদেরও পড়াই তার মানে তুই দি ফুংসুখ ওয়াংরু? হ্যাঁ বাবা হ্যাঁ...! অই সাইলেন্সার.... - অই চতুর, ফিরে আয় তোর এটা নে . ... আ... ও এমনিতে দাড়াবে না, দ্যাখ আমি ওকে থামাচ্ছি! মিঃ ওয়াংরু, আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা, আপনি ফোন করেছেন আমি দুঃখিত মিঃ চতুর, আপনার কোম্পানীর সাথে আমি ডিল সাইন করতে পারবোনা। কী বলছেন স্যার? কী হয়েছে স্যার? আরে কিভাবে সই করবো দোস্ত, আমার কলম তো তুই নিয়ে গেলি কীষের কলম স্যার? আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা... আরে ঐ যে তোর হাতে, ভাইরাসের কলম। - ভাইরাসের কলম। মিঃ ওয়াংরু...? হ্যাঁ বল চতুর? এ ... তে.. আপেল.। আর ...বি.... তে বল.. .. এবার বুঝবে ঠেলা ...দোস্ত ওর তো ধর্ষন হয়ে গেলো আপনি আমাকে ধরে ফেলেছেন মিঃ র্যাঞ্ছ - মানে মিঃ ওয়াংরু আমাকে তো পুরোপুরি চমকে দিয়েছেন আমি আশা করছি, আমাদের ব্যক্তিগত কোন সমস্যা এই ডিলের ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাড়াবে না এই চতুর... এইটা.. এইটা.. আমিতো এতোক্ষণ মজা করছিলাম, দোস্ত..... মনে মনে জানতাম, যে তুই জীবনে কিছু একটা করে দেখাবি না.... তুই মিথ্যে বলছিস...! না না না,.. আমি বলছি তোকে ... শপথ... র্যাঞ্ছ - ১০০, চতুর - ০ ! তুই জিতেছিস, আমি হেড়ে গেছি, তুই আমাকে বিশ্বাস করছিস না? এই কর্ম সেড়েছে!! জাঁহাপনা, আপনি মহান.......... উপঢৌকন, কবুল করুন........ একটি ফ্রী উপদেশ দেই মিঃ ওয়াংরু! পালাও........ পা.লা..ও..... এই র্যাঞ্ছ, আমার চাকরী চলে যাবেরে.. দোস্ত.... আমার দুজন ছোট ছোট বাচ্চা আছে... বাবা র্যাঞ্ছর দাস একদম ঠিক কথা বলতেন। - বাঁছা, যোগ্য হও যোগ্য.... সফলতা তো শালা তোমার পিছু পিছু দৌড়াবে একটি মোহাম্মদ খালিদ হোসাইন এর প্রচেষ্টা ০১৭৬৬ ৪২০ ২২২