< Return to Video

Scale of Solar System

  • 0:01 - 0:02
    গত ভিডিও যেখানে শেষ করেছিলাম সেখান থেকেই শুরু করছি
  • 0:02 - 0:04
    আমার মনে হয় সূর্য কত বড় তা কিছুটা হলেও বুঝতে শুরু করেছি আমরা
  • 0:04 - 0:09
    বিশেষ করে পৃথিবীর সাপেক্ষে। পৃথিবী সূর্য থেকে কত দূরে তাও কিছুটা বুঝেছি
  • 0:13 - 0:16
    বিজ্ঞানের পাঠ্যবইয়ে আমরা যেসব ছবি দেখি
  • 0:16 - 0:18
    তারা আসলে সুবিচার করে না
  • 0:18 - 0:21
    আগে সূর্যের এই ছবিটা দেখিয়েছিলাম যার ব্যাস আনুমানিক ৫ বা ৬ ইঞ্চি
  • 0:23 - 0:25
    বলেছিলাম পৃথিবী হবে এরকম ছোট্ট একটা বিন্দু যা সূর্য থেকে ডানে বা বামে ৪০ ফুট দূরে
  • 0:31 - 0:34
    বা বলা যায় পৃথিবীর কক্ষপথের ব্যাসার্ধ্য ৪০ ফুট
  • 0:34 - 0:36
    সুতরাং এই জিনিসটার দিকে তাকালে আমরা এমনকি এটা দেখতেও পাব না
  • 0:38 - 0:42
    এটা হবে অনেক দূর দিয়ে আবর্তনরত ছোট্ট এক বিন্দু
  • 0:42 - 0:45
    এই সূর্যটার দিকে যদি তাকাই-- যদি পুরো সূর্যটা এখানে আঁকি
  • 0:46 - 0:50
    এর ব্যাস হবে প্রায় ২০ ইঞ্চি
  • 0:50 - 0:53
    এই অবস্থায় এখানের পৃথিবী-- যা সঠিক আনুপাতিক আকারেই আঁকা আছে--
  • 0:54 - 0:57
    এই পৃথিবীর এতো কাছে থাকার প্রশ্নই উঠে না
  • 0:57 - 1:01
    এর অবস্থান হবে প্রায় ২০০ ফুট ঐদিকে, বা ৬০ থেকে ৭০ মিটার দূরে
  • 1:06 - 1:08
    সুতরাং কল্পনা করা যাক
  • 1:08 - 1:10
    এই আকারের সূর্য যদি একটি ফুটবল মাঠে থাকে তাহলে,
  • 1:10 - 1:14
    এখানের এই ছোট্ট বিন্দু অর্থাৎ পৃথিবী
  • 1:14 - 1:18
    থাকবে ৪০ গজ দূরের অন্য রেখাটিতে অর্থাৎ ৬০ মিটার দূরে
  • 1:19 - 1:22
    এত ছোট যে আমরা তা দেখতেই পাব না
  • 1:22 - 1:24
    একটু দূরত্ব থেকে হয়তো এটা সনাক্ত করা সম্ভব।
  • 1:24 - 1:26
    কিন্তু এখানের এই জিনিসটা দেখা অসম্ভব।
  • 1:26 - 1:27
    আর অন্যান্য গ্রহগুলো তো আরও দূরে, অবশ্য সবগুলো নয়।
  • 1:28 - 1:30
    অবশ্যই বুধ কাছে, বুধ গ্রহের অবস্থান এখানে।
  • 1:32 - 1:34
    আশাকরি আমরা প্রায় সবাই এর সাথে পরিচিত,
  • 1:34 - 1:36
    তারপরও এখানে লিখে রাখছি।
  • 1:36 - 1:38
    এটা হচ্ছে বুধ গ্রহ, ইংরেজিতে মার্কারি। এটা শুক্র গ্রহ বা ভেনাস।
  • 1:38 - 1:40
    বুধ হচ্ছে গ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট যা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই।
  • 1:42 - 1:44
    প্লুটো সবচেয়ে ছোট, কিন্তু এটাকে এখন আর গ্রহ মনে করা হয় না
  • 1:48 - 1:50
    প্লুটোকে এখন ডাকা হয় বামন গ্রহ
  • 1:50 - 1:52
    এবং এরপরে আছে শুক্র যা সম্ভবত পৃথিবীর নিটকতম গ্রহ
  • 1:54 - 1:57
    অথবা আকারের দিক থেকেও এটা পৃথিবীর নিকটতম
  • 1:57 - 2:01
    এরপরে আছে মঙ্গল বা মার্স এবং তারপর বৃহস্পতি বা গ্রহ বা জুপিটার।
  • 2:01 - 2:02
    এরা কত দূরে দূরে অবস্থিত তা বোঝানো যাক এবার।
  • 2:04 - 2:06
    যদি আবার সূর্যের আকার এমনটা ধরে নেই তাহলে,
  • 2:08 - 2:11
    বৃহস্পতি সূর্য থেকে পৃথিবীর তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি দূরে।
  • 2:11 - 2:13
    সুতরাং এটা হবে, যদি সঠিক স্কেল অনুযায়ী মাপি,
  • 2:15 - 2:20
    তাহলে এটা হবে ৩০০ মিটার দূরে।
  • 2:20 - 2:25
    সুতরাং আমরা যদি মেডিসিন-বল আকারের একটা সূর্য নেই,
  • 2:25 - 2:26
    কিংবা বাস্কেটবল আকারের সূর্য নেই--
  • 2:26 - 2:27
    আমার পর্দায় হয়তো বাস্কেটবলের চেয়ে একটু বড় দেখাচ্ছে।
  • 2:29 - 2:31
    তাহলে এই ছোট্ট বস্তুটাকে পিংপং বলের চেয়েও ছোট দেখাবে,
  • 2:33 - 2:37
    এবং একে স্থাপন করতে হবে তিনটি ফুটবল মাঠের সমান দূরত্বে। বৃহস্পতির দূরত্ব ঠিক ততোটাই।
  • 2:39 - 2:41
    এরপর শনি গ্রহ এর চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দূরত্বে।
  • 2:41 - 2:43
    শনির দূরত্ব পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ৯ গুণ।
  • 2:43 - 2:45
    আরেকটু পরিষ্কার করি,
  • 2:45 - 2:49
    পৃথিবী সূর্য থেকে কমবেশি ১ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক দূরে।
  • 2:49 - 2:53
    এর দূরত্ব বাড়ে কমে, কারণ কক্ষপথ পুরোপুরি বৃত্তাকার নয়।
  • 2:53 - 2:58
    বৃহস্পতি আনুমানিক ৫ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক এককের চেয়ে একটু বেশি দূরে,
  • 2:58 - 2:59
    অর্থাৎ পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্বের প্রায় ৫ গুণ দূরে।
  • 3:02 - 3:07
    আর শনি গ্রহ প্রায় ৯ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক দূরে
  • 3:07 - 3:11
    বা পৃথিবী-সূর্য দূরত্বের ৯ গুণ দূরে।
  • 3:11 - 3:14
    সুতরাং অন্যভাবে বললে এটা ৯টি ফুটবল মাঠের সমান দূরে।
  • 3:14 - 3:15
    কিংবা এটা ১ কিলোমিটার দূরেও বলা যায়,
  • 3:17 - 3:20
    যদি সূর্যের আকার হয় মেডিসিন-বলের মতো।
  • 3:20 - 3:24
    এই ছোট্ট-- পিংপং বলের চেয়েও ছোট-- আকারের শনি গ্রহ থাকবে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে।
  • 3:26 - 3:29
    আমি আসলে এটা বারবার বলতে চাই,
  • 3:29 - 3:30
    কারণ আমরা কেউই হয়তো ব্যাপারটা কখনও এভাবে ভেবে দেখিনি
  • 3:30 - 3:33
    এমন ছবি দেখানো হয়
  • 3:33 - 3:36
    কেবল এক পৃষ্ঠায় পুরো সৌরজগৎ আঁকার জন্য
  • 3:36 - 3:38
    যদিও তারা ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হয়-
  • 3:38 - 3:41
    সূর্যের সাপেক্ষে এই গ্রহগুলো কত ছোট
  • 3:41 - 3:46
    বিশেষ করে সূর্য থেকে তাদের দূরত্বের সাপেক্ষে।
  • 3:46 - 3:58
    শনির পরে রয়েছে ইউরেনাস এবং নেপচুন।
  • 3:58 - 4:00
    এরা অবশ্য আরও অনেক দূরে।
  • 4:00 - 4:02
    একটু ধারণা দেয়ার জন্য বলি
  • 4:02 - 4:08
    গ্যালাক্সি এবং মহাবিশ্ব নিয়ে কিছু কথা বলে ফেলা বেশ সহজ।
  • 4:08 - 4:10
    কিন্তু আমি এখানে যা বোঝাতে চাই,
  • 4:10 - 4:15
    তা হল আমরা ইতিমধ্যেই বিশাল সব দূরত্বের কথা বলছি।
  • 4:15 - 4:16
    ইতিমধ্যেই বলা শুরু করেছি যে একটি জেট প্লেন ১৭ বছরে
  • 4:16 - 4:20
    পৃথিবী থেকে সূর্যে পৌঁছাতে পারে।
  • 4:20 - 4:21
    সেই দূরত্বকে ৫ দিয়ে গুণ করলে পাওয়া যায় বৃহস্পতি থেকে সূর্যে যাওয়ার সময়, প্রায় ১০০ বছর।
  • 4:24 - 4:27
    ২০০ বছর লাগবে শনি থেকে সূর্যে যেতে।
  • 4:27 - 4:31
    সুতরাং আব্রাহাম লিংকন যদি শনি গ্রহ থেকে একটা জেট প্লেনে চড়ে বসতেন,
  • 4:31 - 4:34
    তাহলে আজও সূর্যে পৌঁছাতে পারতেন না,
  • 4:34 - 4:36
    এখনও পারতেন না সূর্যের কাছে যেতে।
  • 4:36 - 4:38
    সুতরাং এগুলো আসলেই বিশাল বিশাল সব দূরত্ব।
  • 4:38 - 4:40
    কিন্তু সৌরজগৎই শেষ কথা নয়।
  • 4:40 - 4:42
    এখানে, ঠিক এখানে আছে সূর্য
  • 4:46 - 4:49
    এবং এই প্রতিটি গ্রহ এসব কক্ষপথের পুরুত্বের চাইতে সরু।
  • 4:49 - 4:50
    সুতরাং গ্রহ দিয়েই কক্ষপথ আঁকা যায়,
  • 4:50 - 4:51
    কিন্তু আকারের ছবিতে কোন গ্রহ দেখতে পাওয়ারই কথা না।
  • 4:54 - 4:57
    এটা হচ্ছে ১ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক,
  • 4:57 - 4:59
    সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব।
  • 4:59 - 5:03
    এরপরে আছে মঙ্গল গ্রহ। এরপরে গ্রহাণু বেষ্টনী।
  • 5:03 - 5:07
    এখানে গ্রহাণু বেষ্টনীর অবস্থান।
  • 5:07 - 5:09
    এর ভেতরেও বেশ বড় বড় অনেক কিছু আছে।
  • 5:09 - 5:10
    এমন বস্তু যাদেরকে প্রায় বামন গ্রহের মত ভাবা হয়।
  • 5:12 - 5:14
    এর মধ্যে আছে সেরেস।
  • 5:14 - 5:17
    এরপরে অবস্থান বৃহস্পতি গ্রহের,
  • 5:17 - 5:19
    আগেই বলেছি প্রায় ১০০ বছর লাগবে
  • 5:19 - 5:20
    একটি জেট প্লেনে করে বৃহস্পতি থেকে সূর্যে যেতে।
  • 5:23 - 5:26
    কিন্তু আমরা যদি এই পুরো বাক্সটাও নেই যার আকার বিশাল
  • 5:27 - 5:31
    আনুমানিক প্রায় ৫ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক,
  • 5:31 - 5:33
    সূর্য থেকে বৃহস্পতি পর্যন্ত যেতে আলোর ৪০ মিনিট লাগবে,
  • 5:37 - 5:40
    সুতরাং এটা সত্যিই বিশাল দূরত্ব। এই বিশাল দূরত্বও,
  • 5:42 - 5:47
    যাকে আমরা এখানের এই ছোট বাক্সে রাখতে পারি।
  • 5:47 - 5:51
    সুতরাং এই পুরো বাক্সটা এই বাক্সে পুরে দেয়া সম্ভব,
  • 5:55 - 5:56
    এবং বাইরের গ্রহগুলোর কক্ষপথ বুঝতে হলে তেমনটা করতেই হবে।
  • 5:59 - 6:00
    সুতরাং এই স্কেলে পৃথিবী, শুক্র, বুধ এবং মঙ্গল,
  • 6:04 - 6:06
    এদের কক্ষপথ দেখতে এমন,
  • 6:06 - 6:07
    এদেরকে এমনকি সূর্য থেকে আলাদাও করা যায় না। এরা এতোটাই কাছাকাছি।
  • 6:09 - 6:10
    মনে হয় তারা যেন সূর্যেরই অংশ,
  • 6:10 - 6:12
    যখন এই স্কেলে এদের দেখি। এবং এর পরে আছে..
  • 6:13 - 6:16
    বাইরের গ্রহগুলো- শনি, ইউরেনাস, নেপচুন
  • 6:16 - 6:18
    এবং এর পরে কাইপার বেষ্টনী।
  • 6:18 - 6:22
    এখানে আছে আরও গ্রহাণু, কিন্তু এরা তুষারাচ্ছন্ন...
  • 6:22 - 6:23
    বরফের কথা ভাবলেই আমরা ভেবে নেই পানির বরফ।
  • 6:24 - 6:27
    কিন্তু এখানে তাপমাত্রা এতোই কম যে,
  • 6:27 - 6:28
    এবং এতোই অন্ধকার, কারণ আমরা সূর্য থেকে অনেক দূরে,
  • 6:30 - 6:32
    যে যেসব বস্তুকে আমরা সাধারণত বায়বীয় অবস্থায় দেখি
  • 6:32 - 6:34
    তারাও এখানে কঠিন অবস্থায় পরিণত হয়।
  • 6:34 - 6:36
    সুতরাং এখানে কেবল পাথুরে বস্তু নয় বরং যেসব বস্তুকে
  • 6:36 - 6:38
    আমরা সচরাচর বায়বীয় অবস্থায় দেখি, যেমন মিথেন তারাও কঠিন অবস্থায় থাকবে- ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া মিথেন।
  • 6:42 - 6:43
    কিন্তু এখানেই শেষ নয়
  • 6:43 - 6:47
    আমরা এখনও সৌর জগৎই পেরোতে পারিনি।
  • 6:47 - 6:50
    পেরুনোর আগে এখানে দূরত্ব বা আকারগুলো ঠিক কেমন তা বোঝানো যাক।
  • 6:51 - 6:54
    এখানে একটা তালিকা আছে, ভয়েজার মিশন থেকে পাওয়া।
  • 6:54 - 6:56
    ভয়েজার মিশনসমূহ, ভয়েজার ১ এবং ২,
  • 6:56 - 6:59
    আসলে ভয়েজার ২ একটু আগে অর্থাৎ ভয়েজার ১-এর মাত্র ১ মাস আগে যাত্রা করেছিল
  • 6:59 - 7:01
    কিন্তু ভয়েজার ১ এর বেগ ছিল বেশি।
  • 7:01 - 7:05
    তারা পৃথিবী ছেড়েছিল সেই ১৯৭৭ সালে।
  • 7:05 - 7:07
    এবং তাদের বর্তমান বেগ, ভয়েজার ১ কত দ্রুত চলছে তা বোঝানোর জন্য বলছি,
  • 7:11 - 7:19
    ভয়েজার ১ আছে এখানে, বর্তমানে সে প্রতি ঘণ্টায় ৬১,০০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলেছে
  • 7:19 - 7:23
    বা প্রতি সেকেন্ডে ১৭ কিলোমিটার যা একটা গোটা শহরের সমান।
  • 7:25 - 7:26
    এটা এতোই দ্রুত গতিতে যাচ্ছে, আমি নিজে অন্তত এটা ভেবে দিশেহারা হয়ে যাই।
  • 7:31 - 7:33
    এই জিনিসটার বেগ এতোই বেশি।
  • 7:33 - 7:36
    তাছাড়া এটা বিভিন্ন গ্রহগুলোর আশপাশ দিয়েও উড়ে গেছে
  • 7:36 - 7:38
    এমনকি গ্রহগুলোর কক্ষপথকে ব্যবহার করে নিজের বেগও বাড়িয়ে নিয়েছে।
  • 7:38 - 7:40
    কিন্তু অধিকাংশ সময় জুড়েই তার বেগ ছিল খুব বেশি।
  • 7:40 - 7:44
    কিলোমিটার দিয়ে বুঝতে যাদের একটু কষ্ট হয় তাদের জন্য মাইল দিয়ে বলি
  • 7:44 - 7:48
    এই বেগটা হচ্ছে ঘণ্টায় প্রায় ৩৮,০০০ মাইল।
  • 7:48 - 7:52
    এই গতিটা অভাবনীয় রকমের ভয়ংকর
  • 7:52 - 7:55
    এবং ১৯৭৭ সাল থেকে সে এমন বেগে ছুটে চলেছে।
  • 7:55 - 7:59
    আমি এই যে এখন কথা বলছি এই মুহূর্তটিতেও
  • 7:59 - 8:01
    সে সেকেন্ডে ১৭ কিলোমিটার বেগে ছুটছে
  • 8:01 - 8:06
    আমরা যখন ঘুমাচ্ছি ভয়েজার ১ তখনও মহাকাশে মহাত্রাস সঞ্চারণ করে বেড়াচ্ছে
  • 8:06 - 8:07
    আমরা যখন খাচ্ছি তখনও, তার কোন বিরাম নেই,
  • 8:07 - 8:13
    সে এখন সৌর জগৎ ছাড়িয়ে যাচ্ছে, এর বেগের কিছুটা পরিবর্তন অবশ্যই ঘটেছে
  • 8:14 - 8:16
    কিন্তু গ্রহদের সীমানা পেরিয়ে যাওয়ার পর খুব একটা পরিবর্তন হয়নি
  • 8:16 - 8:18
    মোটামুটি ধ্রুব বেগে সে ছুটে চলেছে।
  • 8:18 - 8:19
    এই বিপুল বেগে চলা সত্ত্বেও এতোদিনে সে মাত্র, যদিও মাত্র শব্দটা খুব অদ্ভূত শোনাচ্ছে,
  • 8:21 - 8:24
    তারপরও সত্যি যে সে মাত্র এতোটুকু দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এই এখানের মাত্র এতোটুকু।
  • 8:28 - 8:32
    প্রায় ১১৫ বা ১১৬ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক।
  • 8:32 - 8:35
    পরিষ্কার হওয়ার জন্য ব্যাপারটাকে দুইভাবে ভাবা যায়,
  • 8:35 - 8:37
    কেউ একজন বলতে পারে "আরে এটাতো সত্যিই অনেক দূর।"
  • 8:37 - 8:39
    কারণ এই স্কেলে
  • 8:39 - 8:41
    এমনকি পৃথিবীর কক্ষপথও দেখা যাবে না,
  • 8:41 - 8:43
    সুতরাং মনে হয় আসলেই অনেক অনেক দূরে।
  • 8:43 - 8:45
    ১১৬ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক আসলেই কতদূর সেটা অন্যভাবে বোঝানো যাক,
  • 8:48 - 8:52
    যদি ২০০০ বছর আগে যীশু একটা প্লেনে চড়ে বসতেন
  • 8:52 - 8:54
    আমি আসলে কল্পনার সুবিধার জন্য যীশুর একটা ছবি এখানে জোড়া লাগিয়ে দিয়েছি।
  • 8:56 - 9:00
    তিনি যদি সেই সময় একটা জেট প্লেনে চড়ে বসতেন এবং সোজা
  • 9:02 - 9:03
    ভয়েজার যেদিকে গিয়েছে সেদিকে যেতে থাকতেন
  • 9:03 - 9:07
    তাহলে এখনই ভয়েজার যীশুর নাগাল পেয়ে যেতো।
  • 9:07 - 9:10
    সুতরাং এটা আসলেই বিশাল বিশাল বড় একটা দূরত্ব
  • 9:10 - 9:13
    এতোক্ষণ আমরা যেমন দূরত্ব নিয়ে কথা বলেছি সে তুলনায়
  • 9:13 - 9:16
    এটা বিশাল দূরত্ব হলেও, একইসাথে এটা আবার
  • 9:16 - 9:19
    সৌরজগতের বাইরের অংশের তুলনায়
  • 9:19 - 9:22
    অবিশ্বাস্য রকমের ছোট।
  • 9:22 - 9:26
    সুতরাং ভয়েজার মাত্র এতোটুকু দূরে গিয়েছে। স্কেলটা বোঝানো যাক...
  • 9:26 - 9:33
    এই পুরো বক্সটা এই বক্সের মধ্যে পুরে দেয়া যাবে,
  • 9:33 - 9:34
    এবং এই বক্সে তাকালে দেখা যায় ভয়েজার মাত্র এতোটুকু দূরে গেছে।
  • 9:39 - 9:44
    অবিশ্বাস্য গতিতে ৩৩ বছর চলার পর মাত্র এতোটুকু দূরে যাওয়া সম্ভব হয়েছে তার পক্ষে,
  • 9:46 - 9:48
    এখানের এই অন্য বস্তুগুলো সম্পর্কে একটা ধারণা দেয়া দরকার,
  • 9:48 - 9:50
    ঠিক এখানে আছে সেডনা, যা সৌরজগতের বহির্ভাগের ভারী বস্তুগুলোর একটি
  • 9:54 - 9:57
    সৌরজগতে আমাদের জানামতে সবচেয়ে দূরের বস্তুগুলোর একটিও এই সেডনা
  • 9:58 - 10:01
    এর কক্ষপথ খুব উৎকেন্দ্রিক, যে কারণে সে
  • 10:01 - 10:02
    কখনো সূর্যের বেশ কাছে, খুব কাছে না হলেও বেশ কিছুটা কাছে আসে
  • 10:05 - 10:09
    এবং পরে আবার অনেক দূরে চলে যায়।
  • 10:09 - 10:11
    যদি আমি এই পুরো বক্সের দিকে তাকাই, তাহলে এমনকি এই সেডনার কক্ষপথও
  • 10:14 - 10:17
    এটুকু অঞ্চলের মধ্যে আবদ্ধ থাকবে।
  • 10:17 - 10:19
    সুতরাং এই ছবিতে ভয়েজারের দূরত্ব এমনকি
  • 10:19 - 10:21
    দেখাই সম্ভব না,
  • 10:21 - 10:22
    এটা হবে একটা ছোট্ট বিন্দুর মত,
  • 10:22 - 10:28
    ঘণ্টায় ৩৮,০০০ কিলোমিটার বেগে ৩৩ বছরে ভয়েজার যত দূরে গিয়েছে তা এখানে দেখাই যাচ্ছে না।
  • 10:28 - 10:33
    এই বিশাল দূরত্ব হয়ে যাচ্ছে অতি তুচ্ছ।
  • 10:33 - 10:36
    তবে দূরত্বটা বোঝা না গেলেও,
  • 10:36 - 10:38
    এখনও বস্তুদের উপর সূর্যের প্রভাব আছে।
  • 10:38 - 10:43
    মহাকর্ষ বলের মাধ্যমে সে এতো দূরের বস্তুকেও নিজের দিকে আকর্ষণ করছে,
  • 10:43 - 10:47
    এখানে যা দেখতে পাচ্ছি সেটাকে বলা হয় ওর্ট মেঘ যদিও এর অস্তিত্ব পুরোপুরি প্রমাণিত নয়,
  • 10:47 - 10:49
    এবং ধূমকেতুদের অনেকেই এই অঞ্চলে জন্ম নেয়।
  • 10:49 - 10:51
    এটা আসলে প্রচুর হিমায়িত বস্তুর সমাহার
  • 10:51 - 10:55
    হিমায়িত গ্যাস আর কণার মত জিনিসের সমন্বয়েই এটি গঠিত।
  • 10:55 - 10:56
    এর মাধ্যমে আমরা সৌরজগতের একেবারে বাইরের অংশ চলে এসেছি।
  • 10:59 - 11:08
    এই দূরত্বটুকু হচ্ছে প্রায় ৫০,০০০ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক।
  • 11:08 - 11:09
    আরেকটু ধারণা দেয়া দরকার,
  • 11:09 - 11:12
    কারণ আলোকবর্ষের সাথে আমরা বেশ ভাল রকমের পরিচিত।
  • 11:12 - 11:15
    এক আলোকবর্ষ প্রায় ৬৩,০০০ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক এককের সমান।
  • 11:15 - 11:19
    সুতরাং আমরা যদি সূর্য থেকে এক আলোকবর্ষ দূরে যাই,
  • 11:19 - 11:23
    তাহলে এই অনুকল্পিত ওর্ট মেঘের মধ্যে গিয়ে পড়ব।
  • 11:25 - 11:27
    আরেকটু পরিষ্কার করা যাক,
  • 11:27 - 11:28
    আমরা জানি অধিকাংশ গ্রহের কক্ষপথই এক সমতলে অবস্থিত,
  • 11:32 - 11:35
    এটা হচ্ছে গ্রহদের কক্ষপথের সেই তল,
  • 11:35 - 11:37
    এবং অবশ্যই এই রেখাগুলো খুব বেশি গাঢ় করে আঁকা হয়েছে!
  • 11:37 - 11:39
    যাতে আমরা কক্ষপথগুলো দেখতে পারি।
  • 11:39 - 11:40
    তারপরও এদের পুরুত্ব এখানে অনেক বেশি।
  • 11:40 - 11:43
    এই ছবিটা বিস্তৃত একেবারে কাইপার বেষ্টনী পর্যন্ত
  • 11:43 - 11:47
    শেষ প্রান্তে আছে কাইপার বেষ্টনী।
  • 11:47 - 11:48
    সবগুলো গ্রহ ছাড়িয়ে একেবারে শেষ পর্যন্ত।
  • 11:48 - 11:53
    এটা হচ্ছে প্লুটোর কক্ষপথ।
  • 11:53 - 11:58
    এই পুরো ছবিটা বসে আছে বড় ছবিটার ঠিক এতোটুকুর মধ্যে, এতো ছোট যে ঠিকমতো দেখাই যাচ্ছে না।
  • 11:59 - 12:01
    ঐ পুরো ছবিটা এখানের এই ছোট্ট বিন্দুটার সমান।
  • 12:01 - 12:04
    এবং এর চারপাশ জুড়ে আছে ওর্ট মেঘ।
  • 12:04 - 12:06
    এর আকৃতি একটা গোলকের মত, এবং আমরা ধারণা করে এর অস্তিত্ব আছে।
  • 12:06 - 12:09
    অবশ্যই এতো দূরের বস্তু পর্যবেক্ষণ করা খুব কষ্টকর।
  • 12:09 - 12:10
    যাহোক আশাকরি আমি সৌরজগতের আকার সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।
  • 12:13 - 12:15
    তবে সত্যিকার অর্থেই যা আমাদেরকে হতবাক করবে তা হলো,
  • 12:15 - 12:16
    যদি এটা ইতিমধ্যেই বিমোহিত না করে থাকে,
  • 12:16 - 12:20
    এই পুরো সৌরজগৎ পরের ভিডিওতে একটা ছোট্ট বিন্দুর মত দেখাতে শুরু করবে,
  • 12:20 - 12:23
    যদি আমরা কেবল ছায়াপথে আমাদের স্থানীয় অঞ্চলটার সাপেক্ষে একে বিচার করি,
  • 12:24 - 12:26
    আর মহাবিশ্বের সাপেক্ষে চিন্তা করলে তো একে খুঁজেই পাওয়া যাবে না।
  • 12:26 - 12:27
    যাই হোক, এখন আর বেশি কিছু বলা বোধহয় ঠিক হবে না, তাতে পাগল হওয়ার আর কিছু বাকি থাকবে না।
Title:
Scale of Solar System
Description:

more » « less
Video Language:
English
Team:
Khan Academy
Duration:
12:31

Bengali subtitles

Revisions