-
ধর এলিস এর মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে
-
এবং সে সেটা কারো সাথে শেয়ার করতে চায়।
-
এই আইডিয়া শেয়ার করার তো অনেক রকম উপায় আছে।
-
সে একটি ছবি আঁকতে পারতো,
খোদাই করতে পারতো, একটা গান লিখতে পারতো,
-
একটা টেলিগ্রাফ পাঠাতে পারত,
বা একটা ইমেইল ও হতে পারত।
-
কিন্তু কিভাবে এগুলো সবগুলোই আলাদা?
এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা হল
-
কেন এগুলো একই হবে?
-
আজকের আমাদের গল্প মূলত এই বিভিন্ন ধরনের মূল
উপাদানগুলো নিয়ে যা যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজন।
-
এটার শুরুটা একটা বিশেষ দক্ষতা দিয়ে
তোমার কাছে হয়ত ততটা বিশেষ নয়-- ভাষা
-
ভাষার মাধ্যমে আমরা আমাদের কোন একটা চিন্তা
বা কোন মনস্তাত্ত্বিক বস্তু নিয়ে--
-
তাকে ছোট ছোট অনেকগুলো ধারনায় ভাগ করতে পারি।
-
এই ধারনাগুলোকে প্রকাশ করা হয়
কিছু সংকেত - বা 'চিহ্ন' ব্যবহার করে।
-
মানুষ মনের ভাব প্রকাশের জন্য বিভিন্ন ধরনের
শব্দ এবং শারীরিক অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে থাকে-
-
যেমনি করে পাখিরা কিচিরমিচির করে-
মৌমাছিরা গুঞ্জন করে-
-
এছাড়া মানুষের তৈরি মেশিনগুলো, একগুচ্ছ
তরঙ্গায়িত বৈদ্যুতিক কম্পন আদান-প্রদান করে থাকে।
-
এমনকি আমাদের শরীরও কিছু নির্দেশের ভিত্তিতে তৈরি
আর এই নির্দেশগুলো সংরক্ষিত থাকে আমাদের ডিএনএতে।
-
এই সবকিছুই হল -'তথ্য' কিন্তু বিভিন্ন রূপে।
-
সহজ ভাষায় বলতে গেলে তথ্য হল এমন
একটা বিষয় যা পরস্পরকে প্রভাবিত করে।
-
যোগাযোগ সফলভাবে করানোই হল এর আসল উদ্দেশ্য।
-
তথ্য - যে রূপেই থাকুক না কেন-
একটা মৌলিক একক দিয়ে পরিমাপ করা সম্ভব-
-
যেভাবে আমরা আদর্শ পরিমাপ ব্যবহার করে
বিভিন্ন বস্তুর ভর- পরিমাপ করে থাকি-
-
যেমন কিলোগ্রাম বা পাউন্ড।
-
এই এককগুলো দিয়ে আমরা খুব সহজেই পরিমাপ করতে পারি
-
পাথর, পানি, বা গম এসবের ভর-
একটি স্কেল ব্যবহার করে।
-
তথ্যকেও এরকমভাবে পরিমাপ করা যায়
-
'এনট্রপি' নামক একটি পরিমাপক ব্যবহার করে।
-
এটা হল তথ্য পরিমাপের এক ধরনের স্কেল।
-
এটা খুবই সহজে বোঝা যায় যে,
-
কোন একটা বইয়ের একটি পাতায়
পুরো বইয়ের চেয়ে কম তথ্য থাকবে।
-
আমরা কতটুকু তথ্য ব্যবহার করছি
তা প্রকাশ করার জন্য 'বিট' ব্যবহার করা হয়-
-
একটি অন্যরকম পরিমাপক।
-
তার মানে হল এলিস যতভাবেই একটি বার্তা দিয়ে
যোগাযোগ করতে চায়
-
যেমন চিত্রলিপি, গান বা কম্পিউটার কোড
-
প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সমান পরিমাণ বিট লাগবে,
যদিও বিভিন্ন মাত্রায়।
-
এবং বিট খুবই সাধারণ একটি ধারনা-
-
একটি প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ বা না।
-
এটা অনেকটা পয়সার বৈশিষ্ট্যের মত।
-
তাহলে তথ্যগুলোকে আসলে কিভাবে পরিমাপ করা হয়?
-
তত্থের কি কোন গতিসীমা আছে?
কোন সর্বোচ্চ ঘনত্ব?
-
তথ্যতত্ত্ব এই সব অভাবনীয় প্রশ্নের
যথাযথ উত্তর দিতে সক্ষম।
-
এটা একটা ধারণা যা ৩ হাজার বছরেরও
বেশি সময় ধরে তৈরি হচ্ছে
-
কিন্তু এটা বুঝতে হলে আগে আমাদের,
অনেক পিছনে ফিরে যেতে হবে-
-
এবং বিচরন করতে হবে, সম্ভবত,
মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আবিস্কার- বর্ণমালা।
-
আর এটা করতে হলে, আমাদের
আদিম যুগে ফিরে যেতে হবে।