দেবদূত পট্টনায়ক: পূর্ব বনাম পশ্চিম -- যে পুরাণকথাগুলো বিভ্রান্ত করে
-
0:02 - 0:05পুরাণের কার্যাবলী অনুধাবন করতে গেলে
-
0:05 - 0:09যেটা একজন প্রধান বিশ্বাস অফিসারের করার কথা,
-
0:09 - 0:11আপনাকে একটা গল্প শুনতে হবে
-
0:11 - 0:13গণেশের,
-
0:13 - 0:15গণেশ হচ্ছেন সেই হাতির মাথাওয়ালা দেবতা
-
0:15 - 0:18যিনি গল্পকারদের অনুলেখক।
-
0:18 - 0:19আর তাঁর ভাই
-
0:19 - 0:21দেবতাদের সেনাপতি,
-
0:21 - 0:23কার্তিক।
-
0:23 - 0:26এই দুই ভাই একদিন একটা দৌড় প্রতিযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
-
0:26 - 0:29তাঁরা গোটা পৃথিবী তিনবার চক্কর দিবেন।
-
0:29 - 0:32কার্তিক তাঁর বাহন ময়ুরে চড়ে বসলেন
-
0:32 - 0:35আর মহাদেশ, পাহাড়-সমুদ্র
-
0:35 - 0:40প্রদক্ষিণ করতে বেরোলেন।
-
0:40 - 0:42তিনি ঘুরলেন একবার,
-
0:42 - 0:44দুইবার,
-
0:44 - 0:47তিনবার।
-
0:47 - 0:50কিন্তু তাঁর ভাই গণেশ,
-
0:50 - 0:53শুধু তাঁর পিতামাতাকে প্রদক্ষিন করলেন।
-
0:53 - 0:55একবার, দুইবার, তিনবার,
-
0:55 - 0:58আর বললেন, ‘আমি জিতেছি।’
-
0:58 - 1:00‘কিভাবে?’, জিজ্ঞাসা করলেন কার্তিক।
-
1:00 - 1:01তখন গণেশ বললেন,
-
1:01 - 1:04‘তুমি ঘুরেছ ‘এই পৃথিবী’ আর
-
1:04 - 1:07আমি ঘুরেছি ‘আমার পৃথিবী’।
-
1:07 - 1:10আর কী?’
-
1:10 - 1:13আপনি যদি ‘এই পৃথিবী’ আর ‘আমার পৃথিবী’র পার্থক্য বুঝতে পারেন,
-
1:13 - 1:17তাহলে আপনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন বাস্তবতা আর পুরাণ কথার।
-
1:17 - 1:19‘এই দুনিয়াটা’ বস্তুবাদী,
-
1:19 - 1:22যৌক্তিক, সার্বজনীন, সত্যনির্ভর,
-
1:22 - 1:24বিজ্ঞানসম্মত।
-
1:24 - 1:27আর ‘আমার দুনিয়াটা’ মনঃকল্পিত।
-
1:27 - 1:30আবেগপূর্ণ, ব্যক্তিগত।
-
1:30 - 1:33এটা অনুধাবন, ভাবনা, অনুভব, স্বপ্ন।
-
1:33 - 1:36এটা সেই বিশ্বাস ব্যবস্থা, যা আমরা বহন করি।
-
1:36 - 1:39এটা সেই পৌরানিক এলাকা, যেখানে আমরা বাস করি।
-
1:39 - 1:42‘এই পৃথিবীটা’ আমাদের বলে, কিভাবে এই দুনিয়াটা কাজ করে,
-
1:42 - 1:45কিভাবে সূর্য ওঠে,
-
1:45 - 1:48কিভাবে আমরা জন্মগ্রহণ করি।
-
1:48 - 1:51আমার পৃথিবী’ আমাদের বলে যে, কেন সূর্য্য ওঠে,
-
1:51 - 1:55কেন আমরা জন্ম নিই।
-
1:55 - 1:59প্রত্যেকটা সংস্কৃতিই নিজেদের বোঝার চেষ্টা করে:
-
1:59 - 2:01‘কেন আমাদের অস্তিত্ব আছে?’
-
2:01 - 2:04আর প্রতিটা সংস্কৃতিই নিজেদের জীবনের একটা স্বতন্ত্র বোঝাপড়া নিয়ে হাজির হয়।
-
2:04 - 2:09নিজেদের গড়ে তোলা পুরাণকথাগুলো নিয়ে হাজির হয়।
-
2:09 - 2:12সংস্কৃতি গড়ে ওঠে প্রকৃতির সংস্পর্শে।
-
2:12 - 2:14আর আমাদের পূর্বপুরুষদের এই বোঝাপড়া
-
2:14 - 2:17প্রবাহিত হয়েছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।
-
2:17 - 2:20গল্প, প্রতীক, প্রথার মাধ্যমে।
-
2:20 - 2:26যেগুলো সবসময়ই যৌক্তিকতার প্রতি উদাসীন।
-
2:26 - 2:28আর তাই, যখন আপনি এগুলো ঘাঁটতে যান, আপনি বুঝতে পারেন যে,
-
2:28 - 2:30বিভিন্ন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে
-
2:30 - 2:33দুনিয়া সম্পর্কে বোঝাপড়া দাঁড় করায়।
-
2:33 - 2:35ভিন্ন ভিন্ন মানুষ জিনিসপত্র দেখে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে।
-
2:35 - 2:37ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
-
2:37 - 2:39এই হলো আমার দুনিয়া, আর ঐটা তোমার দুনিয়া।
-
2:39 - 2:42আর আমার দুনিয়া সবসময়ই তোমার থেকে ভালো।
-
2:42 - 2:45কারণ আমার দুনিয়া যৌক্তিক।
-
2:45 - 2:47আর তোমার দুনিয়া কুসংস্কারাচ্ছন্ন।
-
2:47 - 2:49তোমারটা বিশ্বাস।
-
2:49 - 2:52তোমারটা অযৌক্তিক।
-
2:52 - 2:55এটাই হলো সভ্যতার সংঘাতের ভিত্তি।
-
2:55 - 2:59এর শুরু, খ্রীষ্টপূর্ব ৩২৬ সালে।
-
2:59 - 3:02সিন্ধু নদীর ধারে,
-
3:02 - 3:04বর্তমান পাকিস্তানে।
-
3:04 - 3:07এই নদী থেকেই ভারত তার নাম পেয়েছে।
-
3:07 - 3:09ইন্ডিয়া, ইনডাস।
-
3:12 - 3:15আলেক্সান্ডার, তরুণ মেসেডোনিয়ান,
-
3:15 - 3:19সেখানে এক মানুষের দেখা পেয়েছিলেন, যাকে তিনি ডেকেছিলেন, "নাগাসন্যাসী"
-
3:19 - 3:22মানে ‘নগ্ন, জ্ঞানী ব্যক্তি।’
-
3:22 - 3:24আমরা জানি না তিনি কে ছিলেন।
-
3:24 - 3:26হয়তো বা তিনি একজন জৈন সৈন্যাসী,
-
3:26 - 3:28বাহুবলির মতো।
-
3:28 - 3:29গোমাতেস্বরা বাহুবলি,
-
3:29 - 3:31তাঁর আবাস এই মহীসুর থেকে খুব বেশি দূরে নয়।
-
3:31 - 3:33বা হয়তো তিনি শুধুই একজন যোগী,
-
3:33 - 3:35পাথরের উপরে বসে আকাশ,
-
3:35 - 3:37চাঁদ-সূর্য দেখছিলেন।
-
3:37 - 3:40আলেক্সান্ডার প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তুমি কী করছ?’
-
3:40 - 3:42আর সেই জিমনোসোফিস্ট উত্তর দিয়েছিলেন,
-
3:42 - 3:45"আমি শুন্যতা অনুভব করছি।"
-
3:45 - 3:48তারপর পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন,
-
3:48 - 3:50"তুমি কী করছ?"
-
3:50 - 3:53তখন আলেক্সান্ডার বলেছিলেন, "আমি বিশ্বজয় করছি।"
-
3:53 - 3:56আর তাঁরা দুজনেই হেসেছিলেন।
-
3:56 - 4:00দুজনেই ভেবেছিলেন যে, আরেকজন কী বোকা!
-
4:00 - 4:04নাগাসন্যাসী ভেবেছিলেন, ‘কেন সে বিশ্বজয় করছে?
-
4:04 - 4:07এটা অর্থহীন।’
-
4:07 - 4:09আর আলেক্সান্ডার ভেবেছিলেন,
-
4:09 - 4:11‘কেন সে ওখানে বসে আছে? কিছুই করছে না?
-
4:11 - 4:13কীরকম জীবনের অপচয়।’
-
4:13 - 4:17দৃষ্টিভঙ্গির এই পার্থক্যটা বুঝতে হলে
-
4:17 - 4:20আমাদের বুঝতে হবে
-
4:20 - 4:23আলেক্সান্ডারের মনোঃকল্পিত সত্যটাকে --
-
4:23 - 4:28তার পুরাণ, আর তাঁর মনোজগতের আদল গড়ে দেওয়া সেই পৌরানিকতাকে।
-
4:28 - 4:31আলেক্সান্ডারের মা, তাঁর অভিভাবক, তাঁর শিক্ষক অ্যারিস্টোটল
-
4:31 - 4:34তাঁকে শুনিয়েছেন হোমারের ইলিয়াডের কাহিনী।
-
4:34 - 4:37তাঁরা আলেক্সান্ডারকে বলেছেন অ্যাকিলিস নামের সেই মহান নায়কের কথা।
-
4:37 - 4:40যিনি, যখন কোন যুদ্ধে অংশ নিতেন, তখন জয় ছিল সুনিশ্চিত।
-
4:40 - 4:43কিন্তু যখন তিনি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতেন,
-
4:43 - 4:46তখন পরাজয় ছিল অনিবার্য।
-
4:46 - 4:49‘অ্যাকিলিস ছিলেন সেই মানুষ, যিনি ইতিহাসের গতি পাল্টাতে পারতেন।
-
4:49 - 4:52একজন নিয়তি নির্ধারক মানুষ।
-
4:52 - 4:55আর তোমাকেও এরকম হতে হবে আলেক্সান্ডার।’
-
4:55 - 4:57এটাই শুনেছিলেন তিনি।
-
4:57 - 5:00‘তোমার কার মতো হওয়া উচিত্ না?
-
5:00 - 5:03সিসিফাসের মতো।
-
5:03 - 5:05যে সারাদিন ধরে একটা পাথরখণ্ড পাহাড়ের উপরে তোলে
-
5:05 - 5:10কিন্তু প্রতিরাতেই সেটা আবার নিচে গড়িয়ে পড়ে।
-
5:10 - 5:13এমনভাবে জীবনযাপন করো না যেটা একঘঁেয়ে,
-
5:13 - 5:15সাধারণ ও অর্থহীন।
-
5:15 - 5:18আকর্ষণীয় হয়ে ওঠো!! --
-
5:18 - 5:20গ্রীক বীরদের মতো,
-
5:20 - 5:22জ্যাসনের মতো, যে সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিল
-
5:22 - 5:26অ্যারগোনাটসের সঙ্গে আর নিয়ে এসেছিল সোনালী পালক।
-
5:26 - 5:29থেসিয়াসের মতো দর্শনীয় হও।
-
5:29 - 5:35যে গোলোকধঁাধায় ঢুকে মহিষ মাথার মাইনোটরকে হত্যা করেছিল।
-
5:35 - 5:39যখন তুমি কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে, তখন জিত --
-
5:39 - 5:42কারণ যখন তুমি জিতবে, তখন বিজয়ের সেই উল্লাসের মধ্য দিয়ে
-
5:42 - 5:47তুমি দেবতাদের অমৃতের কাছাকাছি যেতে পারবে।’
-
5:47 - 5:50কারণ, দেখুন, গ্রীকরা বিশ্বাস করে যে,
-
5:50 - 5:52আপনার জীবন একটাই,
-
5:52 - 5:56আর যখন আপনার মৃত্যু হয়, তখন আপনাকে স্টিক্স নদী পার হতে হবে।
-
5:56 - 5:59আর যদি আপনি একটা অসাধারণ জীবন কাটাতে পারেন,
-
5:59 - 6:02তাহলে আপনি ইলিসিয়ামে সাদর অভ্যর্থনা পাবেন।
-
6:02 - 6:06বা ফ্রেঞ্চরা যেটাকে ডাকে "সঁাজ-ইলিসি" --
-
6:06 - 6:07(হাসি) --
-
6:07 - 6:10বীরদের স্বর্গ।
-
6:13 - 6:17কিন্তু সেই নাগাসন্যাসী এই ধরণের কোন গল্প শোনেননি।
-
6:17 - 6:20তিনি খুবই ভিন্ন ধরণের কিছু কাহিনী শুনেছিলেন।
-
6:20 - 6:23তিনি শুনেছিলেন ভরত নামে এক মানুষের কথা।
-
6:23 - 6:26যার নাম অনুসারে ভারতের নামকরণ হয়েছে।
-
6:26 - 6:29ভরতও বিশ্বজয় করেছিলেন।
-
6:29 - 6:32আর তারপর তিনি গিয়েছিলেন
-
6:32 - 6:35পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের সর্ববৃহত্ পর্বতের চূড়ায়।
-
6:35 - 6:36যার নাম মেরু।
-
6:36 - 6:39আর তিনি সেখানে পতাকা স্থাপন করে ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন যে,
-
6:39 - 6:42"আমি এখানে প্রথমে এসেছি।"
-
6:42 - 6:44কিন্তু যখন তিনি সেই পর্বতের চূড়ায় পৌঁছালেন,
-
6:44 - 6:49তখন দেখলেন যে, চূড়াটা ইতিমধ্যেই তাঁর আগের বিশ্বজয়ীদের স্থাপন করা
-
6:49 - 6:52অগনিত পতাকায় ছেয়ে আছে।
-
6:52 - 6:56প্রত্যেকেই দাবি করছে, "আমি এখানে প্রথম এসেছি...
-
6:56 - 7:00এটাই ভেবেছিলাম এখানে আসার আগ পর্যন্ত।"
-
7:00 - 7:03আর আকস্মিকভাবে এই অসীমের দৃশ্যপটে,
-
7:03 - 7:07ভরতের নিজেকে খুবই গুরূত্বহীন মনে হলো।
-
7:07 - 7:11সেই নাগাসন্যাসী এই পুরাণকথাই শুনেছিলেন।
-
7:11 - 7:16তিনিও কিছু নায়কের কথা শুনেছেন। যেমন রাম -- রঘুপতি রাম,
-
7:16 - 7:18আর কৃষ্ণ, গোবিন্দ হরি।
-
7:18 - 7:22কিন্তু তাঁরা ভিন্ন দুইটা অভিযানের পৃথক দুইটি চরিত্র নন।
-
7:22 - 7:26তাঁরা একজন নায়কেরই দুইটা ভিন্ন ভিন্ন জীবনকালের চরিত্র।
-
7:26 - 7:30যখন রামায়ন শেষ হয়, মহাভারত শুরু হয়।
-
7:30 - 7:32যখন রাম মৃত্যুবরণ করেন, কৃষ্ণ জন্ম নেন।
-
7:32 - 7:35কৃষ্ণ যখন মৃত্যুবরণ করেন, তখন তিনিই আবার ফিরে আসবেন রামের রূপে।
-
7:35 - 7:38ভারতীয়দের বিশ্বাসেও একটা নদী আছে
-
7:38 - 7:41যেটা জীবিত ও মৃতদের দুনিয়াকে পৃথক করে।
-
7:41 - 7:43কিন্তু আপনি এটা শুধু একবারই পার করেন না।
-
7:43 - 7:46আপনার যাওয়া-আসা চলতে থাকে অনবরত।
-
7:46 - 7:49এটাকে বলে বৈতরণী।
-
7:49 - 7:52আপনি এটা পার করেন বারবার, বারবার।
-
7:52 - 7:53কারণ, দেখুন,
-
7:53 - 7:56ভারতে কোনকিছুই চিরকালের জন্য থাকে না, এমনকি মৃত্যও।
-
7:56 - 7:59আর তাই এখানে দেবী মাতার
-
7:59 - 8:02বিশাল মূর্তি বানিয়ে পূজা করা হয়
-
8:02 - 8:04১০ দিন ধরে।
-
8:04 - 8:06আর কী করেন আপনি এই ১০ দিন পর?
-
8:06 - 8:09বিসর্জন দিয়ে দেন নদীতে।
-
8:09 - 8:11কারণ এটারও একটা সমাপ্তি আছে।
-
8:11 - 8:14আর পরের বছর, আবার তিনি ফিরে আসবেন।
-
8:14 - 8:16যা চলে যায়, তা আবার ফিরে আসে।
-
8:16 - 8:19আর এই নিয়ম শুধু মানুষের ক্ষেত্রেই না,
-
8:19 - 8:21দেবতাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
-
8:21 - 8:24আপনি দেখেন যে, দেবতাদেরও
-
8:24 - 8:26ফিরে আসতে হয় বারবার, বারবার, বারবার ।
-
8:26 - 8:28রাম রুপে, কৃষ্ণ রুপে।
-
8:28 - 8:31তাঁরা শুধু সীমাহীন জীবন ধারণ করেন তাই না,
-
8:31 - 8:34সেই একই জীবন তাঁদের ধারণ করতে হয় ভিন্ন ভিন্ন সময়কালে।
-
8:34 - 8:39যতক্ষণ না সবকিছুরই পরিসমাপ্তি ঘটে।
-
8:39 - 8:41‘গ্রাউন্ডহগ ডে।’
-
8:41 - 8:44(হাসি)
-
8:46 - 8:49দুইটা ভিন্ন ভিন্ন পুরাণকথা।
-
8:49 - 8:51কোনটা ঠিক?
-
8:51 - 8:54দুইটা ভিন্নধর্মী পৌরানিকতা, দুনিয়াকে দেখার দুইটা পৃথক দৃষ্টিভঙ্গি।
-
8:54 - 8:56একটা একরৈখিক, একটা আবর্তনশীল।
-
8:56 - 8:58একটা বিশ্বাস করে যে, এটাই একমাত্র জীবন।
-
8:58 - 9:03আরেকটার বিশ্বাস, এটা অনেকগুলো জীবনের একটি।
-
9:03 - 9:07আর তাই, আলেক্সান্ডারের জীবন নির্ধারক একটিই।
-
9:07 - 9:10তাই তাঁর জীবনের মূল্য দাঁড়ায় তাঁর
-
9:10 - 9:12সামগ্রিক অর্জনগুলোর সমষ্টি।
-
9:12 - 9:16আর সেই নাগাসন্যাসীর জীবন নির্ধারক অসীম।
-
9:16 - 9:19কাজেই, তিনি যাই করুন না কেন,
-
9:19 - 9:21ফলাফল সবসময়ই শূণ্য।
-
9:21 - 9:24আর আমার বিশ্বাস, এটাই সেই পৌরানিক ভিত্তি
-
9:24 - 9:27যা থেকে ভারতীয় গণিতবিদরা
-
9:27 - 9:29শূণ্য সংখ্যাটি আবিস্কার করেছিলেন।
-
9:29 - 9:31কে জানে!
-
9:31 - 9:34আর এটা আমাদের নিয়ে যায় কাজ-কারবারের উপর পুরাণের প্রভাবের কাছে।
-
9:34 - 9:37যদি আলেক্সান্ডারের বিশ্বাস তাঁর আচরণকে প্রভাবিত করে,
-
9:37 - 9:41যদি নাগাসন্যাসীর বিশ্বাস তাঁর আচরণকে প্রভাবিত করে,
-
9:41 - 9:46তাহলে নিশ্চিতভাবেই এটা আমরা যে কাজ-কারবারের সঙ্গে যুক্ত আছি, সেটাকেও প্রভাবিত করে।
-
9:46 - 9:48আপনি দেখেন যে, ব্যবসা-বাণিজ্যটা কিভাবে হয়
-
9:48 - 9:50সেটা নির্ভর করে বাজারের আচরণের উপর,
-
9:50 - 9:53ব্যবসায়িক সংগঠনের আচরণের উপর।
-
9:53 - 9:56আর যদি আপনি পৃথিবীর সংস্কৃতিগুলোর দিকে দৃষ্টি দেন,
-
9:56 - 9:58তাহলে আপনাকে শুধু তাদের পুরাণকথাগুলোকে বুঝতে হবে।
-
9:58 - 10:01তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে, তাদের আচরণ কেমন এবং তারা কিভাবে ব্যবসা করে।
-
10:01 - 10:05খেয়াল করুন।
-
10:05 - 10:08যদি আপনার জীবন একবারের জন্য হয়, পৃথিবীর অনেক জায়গার এক-জীবন সংস্কৃতির মতো
-
10:08 - 10:10তাহলে আপনার মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকবে একমুখী যুক্তি,
-
10:10 - 10:13চূড়ান্ত সত্য, আদর্শকরণ,
-
10:13 - 10:16সন্দেহাতীত বিষয়াদি নিয়ে। অলঙ্করণের ক্ষেত্রে দেখা যাবে একমুখী প্যাটার্ন।
-
10:16 - 10:19কিন্তু আপনি যদি এমন সংস্কৃতিতে থাকেন যেখানে জীবনটা আবর্তনশীল
-
10:19 - 10:24ও অন্তহীন জন্মে বিশ্বাস করে তাহলে যুক্তি বিন্যাসের ক্ষেত্রে দেখবেন অস্পষ্টতা,
-
10:24 - 10:26মতামতযুক্ত
-
10:26 - 10:28পরিস্থিতিভিত্তিক চিন্তাভাবনা।
-
10:28 - 10:31সেখানে সবকিছুই আপেক্ষিক। কোন রকমের --
-
10:31 - 10:32(হাসি)
-
10:32 - 10:34প্রায়।
-
10:34 - 10:35(হাসি)
-
10:35 - 10:38আপনি শিল্পকলার দিকে তাকান। ব্যালে-নর্তকীদের কথা ভাবুন,
-
10:38 - 10:40পারফরমেন্সের ক্ষেত্রে তারা কতটা একরৈখিক।
-
10:40 - 10:42আর এবার আপনি তাকান ভারতীয় ধ্রুপদী নর্তকীদের দিকে।
-
10:42 - 10:44কুচিপুড়ি, ভারতনাট্যম নৃত্যশিল্পিরা
-
10:44 - 10:46কতটা বৈচিত্রপূর্ণ।
-
10:46 - 10:49(হাসি)
-
10:49 - 10:51এবার ব্যবসা-বানিজে্যর কথা ভাবুন।
-
10:51 - 10:53আদর্শ ব্যবসায়িক মডেল:
-
10:53 - 10:57রুপকল্প, লক্ষ্য, মূল্যবোধ, প্রক্রিয়া।
-
10:57 - 10:59শুনে মনে হয় অনেকটা যেন
-
10:59 - 11:01উষর জনহীন প্রান্তর থেকে প্রতিশ্রুতির দেশে যাত্রা,
-
11:01 - 11:03যেখানে নেতার হাতে আছে ঐশিক আদেশ।
-
11:03 - 11:08যদি আপনি সেটা মেনে চলেন তাহলে চলে যাবেন স্বর্গে।
-
11:08 - 11:10কিন্তু ভারতে কোন ‘সেই’ প্রতিশ্রুতির দেশ নেই।
-
11:10 - 11:13এখানে 'অনেক' প্রতিশ্রুতির দেশ আছে।
-
11:13 - 11:16সেটা নির্ভর করবে সমাজে আপনার অবস্থানের উপরে,
-
11:16 - 11:18আপনি জীবনের কোন পর্বে আছেন তার উপরে।
-
11:18 - 11:22এখানে কাজ-কারবার কোন প্রতিষ্ঠানের দ্বারা পরিচালিত হয় না।
-
11:22 - 11:25পরিচালিত হয় ব্যক্তিমানুষের স্বভাব-বৈশিষ্ট্য দিয়ে।
-
11:25 - 11:28এটা সবসময়ই নির্ভর করে রুচির উপরে।
-
11:28 - 11:32এটা সবসময়ই আমার রুচির ব্যাপার।
-
11:32 - 11:34উদাহরণ হিসেবে ভারতীয় সঙ্গীতের দিকে তাকান,
-
11:34 - 11:36এখানে কোন ঐকতানের ধারণা নেই।
-
11:36 - 11:40এখানে নেই কোন অর্কেস্ট্রা পরিচালক।
-
11:40 - 11:43এখানে একজন পারফরমার দাঁড়িয়ে থাকে এবং সবাই তঁাকে অনুসরণ করে।
-
11:43 - 11:47আর আপনি এই পরিবেশনাটিকে কখনও দ্বিতীয়বার হুবহু করতে পারবেন না।
-
11:47 - 11:49এখনে কোন ডকুমেন্টেশন বা চুক্তির ব্যাপার নেই।
-
11:49 - 11:53এখানে সবকিছুই সংলাপ ও বিশ্বাস।
-
11:53 - 11:57এটা অপরের আনুগত্য বা ইচ্ছা মেনে নেওয়ার ব্যাপার না। এটা ঐক্যমত্যে পৌঁছিয়ে,
-
11:57 - 12:01নিয়মনীতি ভেঙ্গে বা বাঁকিয়ে কাজটা করে ফেলার ব্যাপার--
-
12:01 - 12:03এখানে বসে থাকা ভারতীয় মানুষদের দিকে তাকান,
-
12:03 - 12:05আপনি তাদেরকে হাসতে দেখবেন; তারা জানেন আমি কী নিয়ে বলছি।
-
12:05 - 12:06(হাসি)
-
12:06 - 12:08আর এবার তাকান তাদের দিকে যারা ভারতে ব্যবসা-বানিজ্য করেছেন,
-
12:08 - 12:10আপনি তাদের মুখে একটা ক্রোধ দেখতে পাবেন।
-
12:10 - 12:11(হাসি)
-
12:11 - 12:15(হাততালি)
-
12:15 - 12:17এটাই ভারতের বর্তমান অবস্থা। এখানকার বাস্তবতা গড়ে উঠেছে
-
12:17 - 12:19একটা আবর্তনশীল বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে।
-
12:19 - 12:22তো, এটা ক্রমাগত পরিবর্তনশীল, অধিকমাত্রায় বৈচিত্রপূর্ণ,
-
12:22 - 12:25বিশৃঙ্খল, অনিশ্চিত অর্থবিশিষ্ট্য, অননুমেয়।
-
12:25 - 12:28আর মানুষের এসব নিয়ে কোন আপত্তি নেই।
-
12:28 - 12:30এরকম পরিস্থিতিতে এবার আসছে বিশ্বায়ন।
-
12:30 - 12:34আসছে আধুনিক, প্রাতিষ্ঠানিক চিন্তাধারার দাবি,
-
12:34 - 12:38যেটার গোড়া পোঁতা আছে একবারের জীবনধারণের সংস্কৃতিতে।
-
12:38 - 12:40ফলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একটা সংঘাত।
-
12:40 - 12:43যেমনটা একবার হয়েছিল সিন্ধু উপত্যকায়।
-
12:43 - 12:46এটা আবশ্যম্ভাবী।
-
12:46 - 12:49আমি এটা ব্যক্তিগতভাবে উপলব্ধি করেছি। আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে প্রশিক্ষিত।
-
12:49 - 12:52আমি শল্যচিকিৎসা পড়তে চাইনি। জিজ্ঞাসা করবেন না কেন।
-
12:52 - 12:54আমি পুরাণকথা খুবই ভালোবাসি।
-
12:54 - 12:56এটাই আমি শিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোথাও এই বিষয়টা পড়ানো হয় না।
-
12:56 - 12:58কাজেই, আমার নিজে থেকেই এটা শিখতে হয়েছে।
-
12:58 - 13:01আর এই পুরাণ এখনও কোন চাকরির ব্যবস্থা করে না, এখন পর্যন্ত।
-
13:01 - 13:05(হাসি)
-
13:05 - 13:08কাজেই, আমাকে একটা চাকরি নিতে হয়েছে। আমি কাজ করতাম ঔষুধ শিল্পে।
-
13:08 - 13:10কাজ করতাম স্বাস্থ্যসেবা শিল্পে।
-
13:10 - 13:12কাজ করতাম বিপণন কর্মী হিসেবে,
-
13:12 - 13:15জ্ঞানকর্মী, প্রশিক্ষককর্মী হিসেবে।
-
13:15 - 13:18আমি এমনকি ব্যবসায়িক পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছি। তৈরি করেছি ব্যবসায়ের উপায় ও কৌশল।
-
13:18 - 13:20আর সেসময় ভারতীয়দের সঙ্গে লেনদেন করার সময়
-
13:20 - 13:23আমি আমার আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান সহকর্মীদের মুখে
-
13:23 - 13:25একটা ক্রোধ দেখেছি।
-
13:25 - 13:28একটা উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুন কোন ভারতীয়কে বলা হলো, একটা হাসপাতালে
-
13:28 - 13:31ঔষুধের চালান পাঠানোর প্রক্রিয়া বলেন।
-
13:31 - 13:35ধাপ ক, ধাপ: খ, ধাপ: গ, প্রায়।
-
13:35 - 13:37(হাসি)
-
13:37 - 13:39এই ‘প্রায়’কে আপনি কিভাবে বিবেচনা করবেন?
-
13:39 - 13:43এটাকে আপনি একটা চমত্কার ছোট্ট সফটওয়ারে কিভাবে ঢোকাবেন? পারবেন না।
-
13:43 - 13:45আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গিটা অন্যদের দিতে চাই।
-
13:45 - 13:47কিন্তু কেউই সেটা শোনার মতো আগ্রহ দেখায়নি,
-
13:47 - 13:51ফিউচার গ্রুপের কিশোর বিয়ানির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার আগপর্যন্ত।
-
13:51 - 13:56তিনি ভারতে সবচেয়ে বড় রিটেইল চেইন বিগ বাজারের প্রতিষ্ঠাতা।
-
13:56 - 13:58আর তাদের গোটা ভারতজুড়ে ৫০টি শহরে
-
13:58 - 14:00২০০টিরও বেশি ধরণের দোকান আছে।
-
14:00 - 14:04তিনি কাজ করছেন খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ ও গতিশীল বাজার নিয়ে।
-
14:04 - 14:06আর তিনি খুবই সহজজ্ঞানে জানতেন যে,
-
14:06 - 14:08জাপান, চীন, ইউরোপ বা আমেরিকায়
-
14:08 - 14:11যে সেরা চর্চাটা গড়ে উঠেছে,
-
14:11 - 14:14সেটা ভারতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
-
14:14 - 14:18তিনি জানতেন যে প্রাতিষ্ঠানিক ধারার চিন্তাভাবনা ভারতে কাজ করবে না। কাজ করবে ব্যক্তিভিত্তিক চিন্তা।
-
14:18 - 14:22ভারতের পুরাণভিত্তিক কাঠামোটা সম্পর্কে তাঁর একটা বোঝাপড়া ছিল।
-
14:22 - 14:24তো, তিনি আমাকে এখানকার প্রধান বিশ্বাস অফিসারের দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন। বলেছিলেন যে,
-
14:24 - 14:27‘আমি বিশ্বাসগুলোকে সারিবদ্ধ করতে চাই’
-
14:27 - 14:29শুনতে খুবই সহজ মনে হচ্ছে।
-
14:29 - 14:31কিন্তু বিশ্বাসটা কোন পরিমাপযোগ্য জিনিস না।
-
14:31 - 14:33আপনি এটাকে মাপতে পারবেন না। আপনি এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
-
14:33 - 14:35তো, কিভাবে আপনি এই বিশ্বাস গড়ে তুলবেন?
-
14:35 - 14:39আপনি কিভাবে মানুষের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে সেটা ভারতীয়তার দিকে নিয়ে যাবেন?
-
14:39 - 14:43এমনকি আপনি যদি ভারতীয়ও হন, তবুও এটা সুনির্দিষ্ট কোন ব্যাপার না। এটা স্পষ্ট কিছু না।
-
14:43 - 14:47তো, আমি সংস্কৃতির একটা আদর্শ মডেল ধরে কাজ করা শুরু করলাম।
-
14:47 - 14:49যেটা হলো গল্প, প্রতীক, আচার অনুষ্ঠান গঠন করা।
-
14:49 - 14:52এরকম একটা আচার আপনাদেরকে বলি।
-
14:52 - 14:55এটা দর্শনের হিন্দু রীতির উপর ভিত্তি করে গড়া।
-
14:55 - 14:57হিন্দুদের মধ্যে ঐশিক আদেশ জাতীয় কোন ধারণা নেই।
-
14:57 - 14:59কাজেই, জীবনে কোনকিছু সঠিক বা ভুল করা জাতীয় কোন জিনিস এখানে নেই।
-
14:59 - 15:02ঈশ্বরের সামনে কিভাবে দাঁড়াবেন সে ব্যাপারেও আপনি নিশ্চিত নন।
-
15:02 - 15:05আপনি যখন কোন মন্দিরে যান, তখন আপনি ঈশ্বরের দর্শন চান।
-
15:05 - 15:07আপনি চান যে, ঈশ্বর যেন আপনাকে দেখেন।
-
15:07 - 15:11আর একারণেই দেবদেবীদের খুব বড় বড় চোখ থাকে।
-
15:11 - 15:13বড়, পলকহীন চোখ,
-
15:13 - 15:16কখনও কখনও রুপার তৈরি।
-
15:16 - 15:18যেন তাঁরা আপনাকে ভালোমতো দেখতে পারেন।
-
15:18 - 15:20কারণ সঠিক-ভুল সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত নন। কাজেই আপনি চান একটা
-
15:20 - 15:24ঈশ্বরিক সহানুভূতি।
-
15:24 - 15:27‘তুমি শুধু জান যে, আমি কোথা থেকে এসেছি। কেন আমি এমনটা করেছি।’
-
15:27 - 15:28(হাসি)
-
15:28 - 15:30‘আমি কী করেছি,
-
15:30 - 15:35কেন আমি প্রক্রিয়াটা নিয়ে ভাবি নি। তুমি শুধু অনুগ্রহ করে আমাকে বুঝে নিও।’
-
15:35 - 15:38আর এটার উপর ভিত্তি করে আমরা দলপতিদের জন্য একটা আচার-অনুষ্ঠান বানিয়েছিলাম।
-
15:38 - 15:42দলপতি তার প্রশিক্ষণ শেষ করার পর যখন একটা দোকানের দায়িত্ব নিতে যাবে, তখন
-
15:42 - 15:46আমরা তার চোখ বেঁধে দিতাম।তারপর তাকে ঘোরানো হতো তার জামানতকারী,
-
15:46 - 15:50ক্রেতা, তার পরিবার, তার দল, তার বসের সামনে।
-
15:50 - 15:53তাকে তার কেপিএ, কেপিআই পড়ে শোনানোর পর হাতে চাবি দেওয়া হতো।
-
15:53 - 15:55আর তারপর খুলে দেওয়া হতো তার চোখ।
-
15:55 - 15:58আর অনিবার্যভাবে তার চোখে দেখা যেত জলের কনা।
-
15:58 - 16:00সে ব্যাপারটা বুঝতে পারত।
-
16:00 - 16:04সে বুঝতে পারত যে, সফল হতে গেলে
-
16:04 - 16:07তাকে একজন ‘পেশাজীবী’ হতে হবে না।
-
16:07 - 16:10সব ধরণের আবেগ-অনুভূতি বিসর্জন দেওয়ার কোন প্রয়োজন তার নেই।
-
16:10 - 16:13সফলতা পেতে হলে তাকে শুধু এই মানুষগুলোকে নিজের দুনিয়ার
-
16:13 - 16:17অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। তাদেরকে খুশি করতে হবে।
-
16:17 - 16:19বসকে খুশি করতে হবে। সবাইকে খুশি করতে হবে।
-
16:19 - 16:22ক্রেতাদের খুশি করতে হবে। কারণ ক্রেতারাই ঈশ্বর।
-
16:22 - 16:25শুধু এই সংবেদনশীলতাটাই আমরা চেয়েছিলাম। একবার যখন এই বিশ্বাসটা তাদের মধ্যে ঢুকে যাবে,
-
16:25 - 16:28তার আচরণে সেটার প্রভাব পড়বে। তার ব্যবসায় প্রভাব পড়বে।
-
16:28 - 16:31আর ঘটেও এমনটা।
-
16:31 - 16:34তো, এবার আমরা আবার ফিরে যাই আলেক্সান্ডার
-
16:34 - 16:36ও সেই নাগাসন্যাসীর কাছে।
-
16:36 - 16:40সবাই আমাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘কোন পথটা ভালো, এইটা নাকি ঐটা?’
-
16:40 - 16:42আর এটা খুবই বিপদজনক প্রশ্ন।
-
16:42 - 16:46কারণ এটা আপনাকে নিয়ে যাবে মৌলবাদ ও সহিংসতার পথে।
-
16:46 - 16:48কাজেই আমি এই প্রশ্নের কোন উত্তর দেব না।
-
16:48 - 16:50আমি আপনাদের দেব একটা ভারতীয় উত্তর।
-
16:50 - 16:52ভারতীয় মাথা নাড়া।
-
16:52 - 16:54(হাসি)
-
16:54 - 16:58(হাততালি)
-
16:58 - 17:00পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে,
-
17:00 - 17:02পরিণতির উপর নির্ভর করে,
-
17:02 - 17:05আপনার পন্থা বেছে নিন।
-
17:05 - 17:08কারণ এই দুইটি পন্থাই মানুষের গড়ে তোলা।
-
17:08 - 17:11এগুলো সাংস্কৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে,
-
17:11 - 17:14প্রাকৃতিকভাবে নয়।
-
17:14 - 17:17কাজেই পরবর্তীতে আপনি যখন কোন অচেনা মানুষের সঙ্গে পরিচিত হবেন,
-
17:17 - 17:19তখন আমার অনুরোধ যে,
-
17:19 - 17:22আপনি স্মরণ করবেন আপনার একটা মনোজাগতিক সত্য আছে, যেটায় আপনি বাস করেন।
-
17:22 - 17:24ঠিক তেমনটা তারও আছে।
-
17:24 - 17:26এটাকে বোঝার চেষ্টা করবেন।
-
17:26 - 17:31আর যখন আপনি এটা বুঝতে পারবেন তখন আপনি আবিস্কার করবেন চমকপ্রদ কিছু।
-
17:31 - 17:33আপনি আবিস্কার করবেন যে, অজস্র পুরাণের মধ্যেই
-
17:33 - 17:35নিহিত আছে চিরন্তন সত্য।
-
17:35 - 17:37কে সবটা দেখেছে?
-
17:37 - 17:39বরুনের ছিল এক হাজার চোখ,
-
17:39 - 17:42ইন্দ্রের একশটি।
-
17:42 - 17:44আমার-আপনার? মাত্র দুইটা।
-
17:44 - 17:47ধন্যবাদ। নমস্তে।
-
17:47 - 18:05(হাততালি)
- Title:
- দেবদূত পট্টনায়ক: পূর্ব বনাম পশ্চিম -- যে পুরাণকথাগুলো বিভ্রান্ত করে
- Speaker:
- Devdutt Pattanaik
- Description:
-
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের পুরাণকথা নিয়ে চোখ খুলে দেওয়া বক্তৃতা দিয়েছেন দেবদূত পট্টনায়ক। আর তিনি দেখিয়েছেন যে, কিভাবে ঈশ্বর, মৃত্যু, স্বর্গ ইত্যাদি নিয়ে পুরোপুরি ভিন্ন এই দুইটা বিশ্বাসব্যবস্থা আমাদেরকে প্রভাবিত করে এবং প্রায়ই একে অপরের প্রতি ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করে।
- Video Language:
- English
- Team:
closed TED
- Project:
- TEDTalks
- Duration:
- 18:08
![]() |
Mohammad Tauheed approved Bengali subtitles for East vs. West -- the myths that mystify | |
![]() |
Mohammad Tauheed accepted Bengali subtitles for East vs. West -- the myths that mystify | |
![]() |
Mohammad Tauheed commented on Bengali subtitles for East vs. West -- the myths that mystify | |
![]() |
Mohammad Tauheed edited Bengali subtitles for East vs. West -- the myths that mystify | |
![]() |
Partho Protim Das edited Bengali subtitles for East vs. West -- the myths that mystify | |
![]() |
Partho Protim Das added a translation |