< Return to Video

দেবদূত পট্টনায়ক: পূর্ব বনাম পশ্চিম -- যে পুরাণকথাগুলো বিভ্রান্ত করে

  • 0:02 - 0:05
    পুরাণের কার্যাবলী অনুধাবন করতে গেলে
  • 0:05 - 0:09
    যেটা একজন প্রধান বিশ্বাস অফিসারের করার কথা,
  • 0:09 - 0:11
    আপনাকে একটা গল্প শুনতে হবে
  • 0:11 - 0:13
    গণেশের,
  • 0:13 - 0:15
    গণেশ হচ্ছেন সেই হাতির মাথাওয়ালা দেবতা
  • 0:15 - 0:18
    যিনি গল্পকারদের অনুলেখক।
  • 0:18 - 0:19
    আর তাঁর ভাই
  • 0:19 - 0:21
    দেবতাদের সেনাপতি,
  • 0:21 - 0:23
    কার্তিক।
  • 0:23 - 0:26
    এই দুই ভাই একদিন একটা দৌড় প্রতিযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
  • 0:26 - 0:29
    তাঁরা গোটা পৃথিবী তিনবার চক্কর দিবেন।
  • 0:29 - 0:32
    কার্তিক তাঁর বাহন ময়ুরে চড়ে বসলেন
  • 0:32 - 0:35
    আর মহাদেশ, পাহাড়-সমুদ্র
  • 0:35 - 0:40
    প্রদক্ষিণ করতে বেরোলেন।
  • 0:40 - 0:42
    তিনি ঘুরলেন একবার,
  • 0:42 - 0:44
    দুইবার,
  • 0:44 - 0:47
    তিনবার।
  • 0:47 - 0:50
    কিন্তু তাঁর ভাই গণেশ,
  • 0:50 - 0:53
    শুধু তাঁর পিতামাতাকে প্রদক্ষিন করলেন।
  • 0:53 - 0:55
    একবার, দুইবার, তিনবার,
  • 0:55 - 0:58
    আর বললেন, ‘আমি জিতেছি।’
  • 0:58 - 1:00
    ‘কিভাবে?’, জিজ্ঞাসা করলেন কার্তিক।
  • 1:00 - 1:01
    তখন গণেশ বললেন,
  • 1:01 - 1:04
    ‘তুমি ঘুরেছ ‘এই পৃথিবী’ আর
  • 1:04 - 1:07
    আমি ঘুরেছি ‘আমার পৃথিবী’।
  • 1:07 - 1:10
    আর কী?’
  • 1:10 - 1:13
    আপনি যদি ‘এই পৃথিবী’ আর ‘আমার পৃথিবী’র পার্থক্য বুঝতে পারেন,
  • 1:13 - 1:17
    তাহলে আপনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন বাস্তবতা আর পুরাণ কথার।
  • 1:17 - 1:19
    ‘এই দুনিয়াটা’ বস্তুবাদী,
  • 1:19 - 1:22
    যৌক্তিক, সার্বজনীন, সত্যনির্ভর,
  • 1:22 - 1:24
    বিজ্ঞানসম্মত।
  • 1:24 - 1:27
    আর ‘আমার দুনিয়াটা’ মনঃকল্পিত।
  • 1:27 - 1:30
    আবেগপূর্ণ, ব্যক্তিগত।
  • 1:30 - 1:33
    এটা অনুধাবন, ভাবনা, অনুভব, স্বপ্ন।
  • 1:33 - 1:36
    এটা সেই বিশ্বাস ব্যবস্থা, যা আমরা বহন করি।
  • 1:36 - 1:39
    এটা সেই পৌরানিক এলাকা, যেখানে আমরা বাস করি।
  • 1:39 - 1:42
    ‘এই পৃথিবীটা’ আমাদের বলে, কিভাবে এই দুনিয়াটা কাজ করে,
  • 1:42 - 1:45
    কিভাবে সূর্য ওঠে,
  • 1:45 - 1:48
    কিভাবে আমরা জন্মগ্রহণ করি।
  • 1:48 - 1:51
    আমার পৃথিবী’ আমাদের বলে যে, কেন সূর্য্য ওঠে,
  • 1:51 - 1:55
    কেন আমরা জন্ম নিই।
  • 1:55 - 1:59
    প্রত্যেকটা সংস্কৃতিই নিজেদের বোঝার চেষ্টা করে:
  • 1:59 - 2:01
    ‘কেন আমাদের অস্তিত্ব আছে?’
  • 2:01 - 2:04
    আর প্রতিটা সংস্কৃতিই নিজেদের জীবনের একটা স্বতন্ত্র বোঝাপড়া নিয়ে হাজির হয়।
  • 2:04 - 2:09
    নিজেদের গড়ে তোলা পুরাণকথাগুলো নিয়ে হাজির হয়।
  • 2:09 - 2:12
    সংস্কৃতি গড়ে ওঠে প্রকৃতির সংস্পর্শে।
  • 2:12 - 2:14
    আর আমাদের পূর্বপুরুষদের এই বোঝাপড়া
  • 2:14 - 2:17
    প্রবাহিত হয়েছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।
  • 2:17 - 2:20
    গল্প, প্রতীক, প্রথার মাধ্যমে।
  • 2:20 - 2:26
    যেগুলো সবসময়ই যৌক্তিকতার প্রতি উদাসীন।
  • 2:26 - 2:28
    আর তাই, যখন আপনি এগুলো ঘাঁটতে যান, আপনি বুঝতে পারেন যে,
  • 2:28 - 2:30
    বিভিন্ন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে
  • 2:30 - 2:33
    দুনিয়া সম্পর্কে বোঝাপড়া দাঁড় করায়।
  • 2:33 - 2:35
    ভিন্ন ভিন্ন মানুষ জিনিসপত্র দেখে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে।
  • 2:35 - 2:37
    ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
  • 2:37 - 2:39
    এই হলো আমার দুনিয়া, আর ঐটা তোমার দুনিয়া।
  • 2:39 - 2:42
    আর আমার দুনিয়া সবসময়ই তোমার থেকে ভালো।
  • 2:42 - 2:45
    কারণ আমার দুনিয়া যৌক্তিক।
  • 2:45 - 2:47
    আর তোমার দুনিয়া কুসংস্কারাচ্ছন্ন।
  • 2:47 - 2:49
    তোমারটা বিশ্বাস।
  • 2:49 - 2:52
    তোমারটা অযৌক্তিক।
  • 2:52 - 2:55
    এটাই হলো সভ্যতার সংঘাতের ভিত্তি।
  • 2:55 - 2:59
    এর শুরু, খ্রীষ্টপূর্ব ৩২৬ সালে।
  • 2:59 - 3:02
    সিন্ধু নদীর ধারে,
  • 3:02 - 3:04
    বর্তমান পাকিস্তানে।
  • 3:04 - 3:07
    এই নদী থেকেই ভারত তার নাম পেয়েছে।
  • 3:07 - 3:09
    ইন্ডিয়া, ইনডাস।
  • 3:12 - 3:15
    আলেক্সান্ডার, তরুণ মেসেডোনিয়ান,
  • 3:15 - 3:19
    সেখানে এক মানুষের দেখা পেয়েছিলেন, যাকে তিনি ডেকেছিলেন, "নাগাসন্যাসী"
  • 3:19 - 3:22
    মানে ‘নগ্ন, জ্ঞানী ব্যক্তি।’
  • 3:22 - 3:24
    আমরা জানি না তিনি কে ছিলেন।
  • 3:24 - 3:26
    হয়তো বা তিনি একজন জৈন সৈন্যাসী,
  • 3:26 - 3:28
    বাহুবলির মতো।
  • 3:28 - 3:29
    গোমাতেস্বরা বাহুবলি,
  • 3:29 - 3:31
    তাঁর আবাস এই মহীসুর থেকে খুব বেশি দূরে নয়।
  • 3:31 - 3:33
    বা হয়তো তিনি শুধুই একজন যোগী,
  • 3:33 - 3:35
    পাথরের উপরে বসে আকাশ,
  • 3:35 - 3:37
    চাঁদ-সূর্য দেখছিলেন।
  • 3:37 - 3:40
    আলেক্সান্ডার প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তুমি কী করছ?’
  • 3:40 - 3:42
    আর সেই জিমনোসোফিস্ট উত্তর দিয়েছিলেন,
  • 3:42 - 3:45
    "আমি শুন্যতা অনুভব করছি।"
  • 3:45 - 3:48
    তারপর পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন,
  • 3:48 - 3:50
    "তুমি কী করছ?"
  • 3:50 - 3:53
    তখন আলেক্সান্ডার বলেছিলেন, "আমি বিশ্বজয় করছি।"
  • 3:53 - 3:56
    আর তাঁরা দুজনেই হেসেছিলেন।
  • 3:56 - 4:00
    দুজনেই ভেবেছিলেন যে, আরেকজন কী বোকা!
  • 4:00 - 4:04
    নাগাসন্যাসী ভেবেছিলেন, ‘কেন সে বিশ্বজয় করছে?
  • 4:04 - 4:07
    এটা অর্থহীন।’
  • 4:07 - 4:09
    আর আলেক্সান্ডার ভেবেছিলেন,
  • 4:09 - 4:11
    ‘কেন সে ওখানে বসে আছে? কিছুই করছে না?
  • 4:11 - 4:13
    কীরকম জীবনের অপচয়।’
  • 4:13 - 4:17
    দৃষ্টিভঙ্গির এই পার্থক্যটা বুঝতে হলে
  • 4:17 - 4:20
    আমাদের বুঝতে হবে
  • 4:20 - 4:23
    আলেক্সান্ডারের মনোঃকল্পিত সত্যটাকে --
  • 4:23 - 4:28
    তার পুরাণ, আর তাঁর মনোজগতের আদল গড়ে দেওয়া সেই পৌরানিকতাকে।
  • 4:28 - 4:31
    আলেক্সান্ডারের মা, তাঁর অভিভাবক, তাঁর শিক্ষক অ্যারিস্টোটল
  • 4:31 - 4:34
    তাঁকে শুনিয়েছেন হোমারের ইলিয়াডের কাহিনী।
  • 4:34 - 4:37
    তাঁরা আলেক্সান্ডারকে বলেছেন অ্যাকিলিস নামের সেই মহান নায়কের কথা।
  • 4:37 - 4:40
    যিনি, যখন কোন যুদ্ধে অংশ নিতেন, তখন জয় ছিল সুনিশ্চিত।
  • 4:40 - 4:43
    কিন্তু যখন তিনি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতেন,
  • 4:43 - 4:46
    তখন পরাজয় ছিল অনিবার্য।
  • 4:46 - 4:49
    ‘অ্যাকিলিস ছিলেন সেই মানুষ, যিনি ইতিহাসের গতি পাল্টাতে পারতেন।
  • 4:49 - 4:52
    একজন নিয়তি নির্ধারক মানুষ।
  • 4:52 - 4:55
    আর তোমাকেও এরকম হতে হবে আলেক্সান্ডার।’
  • 4:55 - 4:57
    এটাই শুনেছিলেন তিনি।
  • 4:57 - 5:00
    ‘তোমার কার মতো হওয়া উচিত্ না?
  • 5:00 - 5:03
    সিসিফাসের মতো।
  • 5:03 - 5:05
    যে সারাদিন ধরে একটা পাথরখণ্ড পাহাড়ের উপরে তোলে
  • 5:05 - 5:10
    কিন্তু প্রতিরাতেই সেটা আবার নিচে গড়িয়ে পড়ে।
  • 5:10 - 5:13
    এমনভাবে জীবনযাপন করো না যেটা একঘঁেয়ে,
  • 5:13 - 5:15
    সাধারণ ও অর্থহীন।
  • 5:15 - 5:18
    আকর্ষণীয় হয়ে ওঠো!! --
  • 5:18 - 5:20
    গ্রীক বীরদের মতো,
  • 5:20 - 5:22
    জ্যাসনের মতো, যে সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিল
  • 5:22 - 5:26
    অ্যারগোনাটসের সঙ্গে আর নিয়ে এসেছিল সোনালী পালক।
  • 5:26 - 5:29
    থেসিয়াসের মতো দর্শনীয় হও।
  • 5:29 - 5:35
    যে গোলোকধঁাধায় ঢুকে মহিষ মাথার মাইনোটরকে হত্যা করেছিল।
  • 5:35 - 5:39
    যখন তুমি কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে, তখন জিত --
  • 5:39 - 5:42
    কারণ যখন তুমি জিতবে, তখন বিজয়ের সেই উল্লাসের মধ্য দিয়ে
  • 5:42 - 5:47
    তুমি দেবতাদের অমৃতের কাছাকাছি যেতে পারবে।’
  • 5:47 - 5:50
    কারণ, দেখুন, গ্রীকরা বিশ্বাস করে যে,
  • 5:50 - 5:52
    আপনার জীবন একটাই,
  • 5:52 - 5:56
    আর যখন আপনার মৃত্যু হয়, তখন আপনাকে স্টিক্স নদী পার হতে হবে।
  • 5:56 - 5:59
    আর যদি আপনি একটা অসাধারণ জীবন কাটাতে পারেন,
  • 5:59 - 6:02
    তাহলে আপনি ইলিসিয়ামে সাদর অভ্যর্থনা পাবেন।
  • 6:02 - 6:06
    বা ফ্রেঞ্চরা যেটাকে ডাকে "সঁাজ-ইলিসি" --
  • 6:06 - 6:07
    (হাসি) --
  • 6:07 - 6:10
    বীরদের স্বর্গ।
  • 6:13 - 6:17
    কিন্তু সেই নাগাসন্যাসী এই ধরণের কোন গল্প শোনেননি।
  • 6:17 - 6:20
    তিনি খুবই ভিন্ন ধরণের কিছু কাহিনী শুনেছিলেন।
  • 6:20 - 6:23
    তিনি শুনেছিলেন ভরত নামে এক মানুষের কথা।
  • 6:23 - 6:26
    যার নাম অনুসারে ভারতের নামকরণ হয়েছে।
  • 6:26 - 6:29
    ভরতও বিশ্বজয় করেছিলেন।
  • 6:29 - 6:32
    আর তারপর তিনি গিয়েছিলেন
  • 6:32 - 6:35
    পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের সর্ববৃহত্ পর্বতের চূড়ায়।
  • 6:35 - 6:36
    যার নাম মেরু।
  • 6:36 - 6:39
    আর তিনি সেখানে পতাকা স্থাপন করে ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন যে,
  • 6:39 - 6:42
    "আমি এখানে প্রথমে এসেছি।"
  • 6:42 - 6:44
    কিন্তু যখন তিনি সেই পর্বতের চূড়ায় পৌঁছালেন,
  • 6:44 - 6:49
    তখন দেখলেন যে, চূড়াটা ইতিমধ্যেই তাঁর আগের বিশ্বজয়ীদের স্থাপন করা
  • 6:49 - 6:52
    অগনিত পতাকায় ছেয়ে আছে।
  • 6:52 - 6:56
    প্রত্যেকেই দাবি করছে, "আমি এখানে প্রথম এসেছি...
  • 6:56 - 7:00
    এটাই ভেবেছিলাম এখানে আসার আগ পর্যন্ত।"
  • 7:00 - 7:03
    আর আকস্মিকভাবে এই অসীমের দৃশ্যপটে,
  • 7:03 - 7:07
    ভরতের নিজেকে খুবই গুরূত্বহীন মনে হলো।
  • 7:07 - 7:11
    সেই নাগাসন্যাসী এই পুরাণকথাই শুনেছিলেন।
  • 7:11 - 7:16
    তিনিও কিছু নায়কের কথা শুনেছেন। যেমন রাম -- রঘুপতি রাম,
  • 7:16 - 7:18
    আর কৃষ্ণ, গোবিন্দ হরি।
  • 7:18 - 7:22
    কিন্তু তাঁরা ভিন্ন দুইটা অভিযানের পৃথক দুইটি চরিত্র নন।
  • 7:22 - 7:26
    তাঁরা একজন নায়কেরই দুইটা ভিন্ন ভিন্ন জীবনকালের চরিত্র।
  • 7:26 - 7:30
    যখন রামায়ন শেষ হয়, মহাভারত শুরু হয়।
  • 7:30 - 7:32
    যখন রাম মৃত্যুবরণ করেন, কৃষ্ণ জন্ম নেন।
  • 7:32 - 7:35
    কৃষ্ণ যখন মৃত্যুবরণ করেন, তখন তিনিই আবার ফিরে আসবেন রামের রূপে।
  • 7:35 - 7:38
    ভারতীয়দের বিশ্বাসেও একটা নদী আছে
  • 7:38 - 7:41
    যেটা জীবিত ও মৃতদের দুনিয়াকে পৃথক করে।
  • 7:41 - 7:43
    কিন্তু আপনি এটা শুধু একবারই পার করেন না।
  • 7:43 - 7:46
    আপনার যাওয়া-আসা চলতে থাকে অনবরত।
  • 7:46 - 7:49
    এটাকে বলে বৈতরণী।
  • 7:49 - 7:52
    আপনি এটা পার করেন বারবার, বারবার।
  • 7:52 - 7:53
    কারণ, দেখুন,
  • 7:53 - 7:56
    ভারতে কোনকিছুই চিরকালের জন্য থাকে না, এমনকি মৃত্যও।
  • 7:56 - 7:59
    আর তাই এখানে দেবী মাতার
  • 7:59 - 8:02
    বিশাল মূর্তি বানিয়ে পূজা করা হয়
  • 8:02 - 8:04
    ১০ দিন ধরে।
  • 8:04 - 8:06
    আর কী করেন আপনি এই ১০ দিন পর?
  • 8:06 - 8:09
    বিসর্জন দিয়ে দেন নদীতে।
  • 8:09 - 8:11
    কারণ এটারও একটা সমাপ্তি আছে।
  • 8:11 - 8:14
    আর পরের বছর, আবার তিনি ফিরে আসবেন।
  • 8:14 - 8:16
    যা চলে যায়, তা আবার ফিরে আসে।
  • 8:16 - 8:19
    আর এই নিয়ম শুধু মানুষের ক্ষেত্রেই না,
  • 8:19 - 8:21
    দেবতাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
  • 8:21 - 8:24
    আপনি দেখেন যে, দেবতাদেরও
  • 8:24 - 8:26
    ফিরে আসতে হয় বারবার, বারবার, বারবার ।
  • 8:26 - 8:28
    রাম রুপে, কৃষ্ণ রুপে।
  • 8:28 - 8:31
    তাঁরা শুধু সীমাহীন জীবন ধারণ করেন তাই না,
  • 8:31 - 8:34
    সেই একই জীবন তাঁদের ধারণ করতে হয় ভিন্ন ভিন্ন সময়কালে।
  • 8:34 - 8:39
    যতক্ষণ না সবকিছুরই পরিসমাপ্তি ঘটে।
  • 8:39 - 8:41
    ‘গ্রাউন্ডহগ ডে।’
  • 8:41 - 8:44
    (হাসি)
  • 8:46 - 8:49
    দুইটা ভিন্ন ভিন্ন পুরাণকথা।
  • 8:49 - 8:51
    কোনটা ঠিক?
  • 8:51 - 8:54
    দুইটা ভিন্নধর্মী পৌরানিকতা, দুনিয়াকে দেখার দুইটা পৃথক দৃষ্টিভঙ্গি।
  • 8:54 - 8:56
    একটা একরৈখিক, একটা আবর্তনশীল।
  • 8:56 - 8:58
    একটা বিশ্বাস করে যে, এটাই একমাত্র জীবন।
  • 8:58 - 9:03
    আরেকটার বিশ্বাস, এটা অনেকগুলো জীবনের একটি।
  • 9:03 - 9:07
    আর তাই, আলেক্সান্ডারের জীবন নির্ধারক একটিই।
  • 9:07 - 9:10
    তাই তাঁর জীবনের মূল্য দাঁড়ায় তাঁর
  • 9:10 - 9:12
    সামগ্রিক অর্জনগুলোর সমষ্টি।
  • 9:12 - 9:16
    আর সেই নাগাসন্যাসীর জীবন নির্ধারক অসীম।
  • 9:16 - 9:19
    কাজেই, তিনি যাই করুন না কেন,
  • 9:19 - 9:21
    ফলাফল সবসময়ই শূণ্য।
  • 9:21 - 9:24
    আর আমার বিশ্বাস, এটাই সেই পৌরানিক ভিত্তি
  • 9:24 - 9:27
    যা থেকে ভারতীয় গণিতবিদরা
  • 9:27 - 9:29
    শূণ্য সংখ্যাটি আবিস্কার করেছিলেন।
  • 9:29 - 9:31
    কে জানে!
  • 9:31 - 9:34
    আর এটা আমাদের নিয়ে যায় কাজ-কারবারের উপর পুরাণের প্রভাবের কাছে।
  • 9:34 - 9:37
    যদি আলেক্সান্ডারের বিশ্বাস তাঁর আচরণকে প্রভাবিত করে,
  • 9:37 - 9:41
    যদি নাগাসন্যাসীর বিশ্বাস তাঁর আচরণকে প্রভাবিত করে,
  • 9:41 - 9:46
    তাহলে নিশ্চিতভাবেই এটা আমরা যে কাজ-কারবারের সঙ্গে যুক্ত আছি, সেটাকেও প্রভাবিত করে।
  • 9:46 - 9:48
    আপনি দেখেন যে, ব্যবসা-বাণিজ্যটা কিভাবে হয়
  • 9:48 - 9:50
    সেটা নির্ভর করে বাজারের আচরণের উপর,
  • 9:50 - 9:53
    ব্যবসায়িক সংগঠনের আচরণের উপর।
  • 9:53 - 9:56
    আর যদি আপনি পৃথিবীর সংস্কৃতিগুলোর দিকে দৃষ্টি দেন,
  • 9:56 - 9:58
    তাহলে আপনাকে শুধু তাদের পুরাণকথাগুলোকে বুঝতে হবে।
  • 9:58 - 10:01
    তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে, তাদের আচরণ কেমন এবং তারা কিভাবে ব্যবসা করে।
  • 10:01 - 10:05
    খেয়াল করুন।
  • 10:05 - 10:08
    যদি আপনার জীবন একবারের জন্য হয়, পৃথিবীর অনেক জায়গার এক-জীবন সংস্কৃতির মতো
  • 10:08 - 10:10
    তাহলে আপনার মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকবে একমুখী যুক্তি,
  • 10:10 - 10:13
    চূড়ান্ত সত্য, আদর্শকরণ,
  • 10:13 - 10:16
    সন্দেহাতীত বিষয়াদি নিয়ে। অলঙ্করণের ক্ষেত্রে দেখা যাবে একমুখী প্যাটার্ন।
  • 10:16 - 10:19
    কিন্তু আপনি যদি এমন সংস্কৃতিতে থাকেন যেখানে জীবনটা আবর্তনশীল
  • 10:19 - 10:24
    ও অন্তহীন জন্মে বিশ্বাস করে তাহলে যুক্তি বিন্যাসের ক্ষেত্রে দেখবেন অস্পষ্টতা,
  • 10:24 - 10:26
    মতামতযুক্ত
  • 10:26 - 10:28
    পরিস্থিতিভিত্তিক চিন্তাভাবনা।
  • 10:28 - 10:31
    সেখানে সবকিছুই আপেক্ষিক। কোন রকমের --
  • 10:31 - 10:32
    (হাসি)
  • 10:32 - 10:34
    প্রায়।
  • 10:34 - 10:35
    (হাসি)
  • 10:35 - 10:38
    আপনি শিল্পকলার দিকে তাকান। ব্যালে-নর্তকীদের কথা ভাবুন,
  • 10:38 - 10:40
    পারফরমেন্সের ক্ষেত্রে তারা কতটা একরৈখিক।
  • 10:40 - 10:42
    আর এবার আপনি তাকান ভারতীয় ধ্রুপদী নর্তকীদের দিকে।
  • 10:42 - 10:44
    কুচিপুড়ি, ভারতনাট্যম নৃত্যশিল্পিরা
  • 10:44 - 10:46
    কতটা বৈচিত্রপূর্ণ।
  • 10:46 - 10:49
    (হাসি)
  • 10:49 - 10:51
    এবার ব্যবসা-বানিজে্যর কথা ভাবুন।
  • 10:51 - 10:53
    আদর্শ ব্যবসায়িক মডেল:
  • 10:53 - 10:57
    রুপকল্প, লক্ষ্য, মূল্যবোধ, প্রক্রিয়া।
  • 10:57 - 10:59
    শুনে মনে হয় অনেকটা যেন
  • 10:59 - 11:01
    উষর জনহীন প্রান্তর থেকে প্রতিশ্রুতির দেশে যাত্রা,
  • 11:01 - 11:03
    যেখানে নেতার হাতে আছে ঐশিক আদেশ।
  • 11:03 - 11:08
    যদি আপনি সেটা মেনে চলেন তাহলে চলে যাবেন স্বর্গে।
  • 11:08 - 11:10
    কিন্তু ভারতে কোন ‘সেই’ প্রতিশ্রুতির দেশ নেই।
  • 11:10 - 11:13
    এখানে 'অনেক' প্রতিশ্রুতির দেশ আছে।
  • 11:13 - 11:16
    সেটা নির্ভর করবে সমাজে আপনার অবস্থানের উপরে,
  • 11:16 - 11:18
    আপনি জীবনের কোন পর্বে আছেন তার উপরে।
  • 11:18 - 11:22
    এখানে কাজ-কারবার কোন প্রতিষ্ঠানের দ্বারা পরিচালিত হয় না।
  • 11:22 - 11:25
    পরিচালিত হয় ব্যক্তিমানুষের স্বভাব-বৈশিষ্ট্য দিয়ে।
  • 11:25 - 11:28
    এটা সবসময়ই নির্ভর করে রুচির উপরে।
  • 11:28 - 11:32
    এটা সবসময়ই আমার রুচির ব্যাপার।
  • 11:32 - 11:34
    উদাহরণ হিসেবে ভারতীয় সঙ্গীতের দিকে তাকান,
  • 11:34 - 11:36
    এখানে কোন ঐকতানের ধারণা নেই।
  • 11:36 - 11:40
    এখানে নেই কোন অর্কেস্ট্রা পরিচালক।
  • 11:40 - 11:43
    এখানে একজন পারফরমার দাঁড়িয়ে থাকে এবং সবাই তঁাকে অনুসরণ করে।
  • 11:43 - 11:47
    আর আপনি এই পরিবেশনাটিকে কখনও দ্বিতীয়বার হুবহু করতে পারবেন না।
  • 11:47 - 11:49
    এখনে কোন ডকুমেন্টেশন বা চুক্তির ব্যাপার নেই।
  • 11:49 - 11:53
    এখানে সবকিছুই সংলাপ ও বিশ্বাস।
  • 11:53 - 11:57
    এটা অপরের আনুগত্য বা ইচ্ছা মেনে নেওয়ার ব্যাপার না। এটা ঐক্যমত্যে পৌঁছিয়ে,
  • 11:57 - 12:01
    নিয়মনীতি ভেঙ্গে বা বাঁকিয়ে কাজটা করে ফেলার ব্যাপার--
  • 12:01 - 12:03
    এখানে বসে থাকা ভারতীয় মানুষদের দিকে তাকান,
  • 12:03 - 12:05
    আপনি তাদেরকে হাসতে দেখবেন; তারা জানেন আমি কী নিয়ে বলছি।
  • 12:05 - 12:06
    (হাসি)
  • 12:06 - 12:08
    আর এবার তাকান তাদের দিকে যারা ভারতে ব্যবসা-বানিজ্য করেছেন,
  • 12:08 - 12:10
    আপনি তাদের মুখে একটা ক্রোধ দেখতে পাবেন।
  • 12:10 - 12:11
    (হাসি)
  • 12:11 - 12:15
    (হাততালি)
  • 12:15 - 12:17
    এটাই ভারতের বর্তমান অবস্থা। এখানকার বাস্তবতা গড়ে উঠেছে
  • 12:17 - 12:19
    একটা আবর্তনশীল বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে।
  • 12:19 - 12:22
    তো, এটা ক্রমাগত পরিবর্তনশীল, অধিকমাত্রায় বৈচিত্রপূর্ণ,
  • 12:22 - 12:25
    বিশৃঙ্খল, অনিশ্চিত অর্থবিশিষ্ট্য, অননুমেয়।
  • 12:25 - 12:28
    আর মানুষের এসব নিয়ে কোন আপত্তি নেই।
  • 12:28 - 12:30
    এরকম পরিস্থিতিতে এবার আসছে বিশ্বায়ন।
  • 12:30 - 12:34
    আসছে আধুনিক, প্রাতিষ্ঠানিক চিন্তাধারার দাবি,
  • 12:34 - 12:38
    যেটার গোড়া পোঁতা আছে একবারের জীবনধারণের সংস্কৃতিতে।
  • 12:38 - 12:40
    ফলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একটা সংঘাত।
  • 12:40 - 12:43
    যেমনটা একবার হয়েছিল সিন্ধু উপত্যকায়।
  • 12:43 - 12:46
    এটা আবশ্যম্ভাবী।
  • 12:46 - 12:49
    আমি এটা ব্যক্তিগতভাবে উপলব্ধি করেছি। আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে প্রশিক্ষিত।
  • 12:49 - 12:52
    আমি শল্যচিকিৎসা পড়তে চাইনি। জিজ্ঞাসা করবেন না কেন।
  • 12:52 - 12:54
    আমি পুরাণকথা খুবই ভালোবাসি।
  • 12:54 - 12:56
    এটাই আমি শিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোথাও এই বিষয়টা পড়ানো হয় না।
  • 12:56 - 12:58
    কাজেই, আমার নিজে থেকেই এটা শিখতে হয়েছে।
  • 12:58 - 13:01
    আর এই পুরাণ এখনও কোন চাকরির ব্যবস্থা করে না, এখন পর্যন্ত।
  • 13:01 - 13:05
    (হাসি)
  • 13:05 - 13:08
    কাজেই, আমাকে একটা চাকরি নিতে হয়েছে। আমি কাজ করতাম ঔষুধ শিল্পে।
  • 13:08 - 13:10
    কাজ করতাম স্বাস্থ্যসেবা শিল্পে।
  • 13:10 - 13:12
    কাজ করতাম বিপণন কর্মী হিসেবে,
  • 13:12 - 13:15
    জ্ঞানকর্মী, প্রশিক্ষককর্মী হিসেবে।
  • 13:15 - 13:18
    আমি এমনকি ব্যবসায়িক পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছি। তৈরি করেছি ব্যবসায়ের উপায় ও কৌশল।
  • 13:18 - 13:20
    আর সেসময় ভারতীয়দের সঙ্গে লেনদেন করার সময়
  • 13:20 - 13:23
    আমি আমার আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান সহকর্মীদের মুখে
  • 13:23 - 13:25
    একটা ক্রোধ দেখেছি।
  • 13:25 - 13:28
    একটা উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুন কোন ভারতীয়কে বলা হলো, একটা হাসপাতালে
  • 13:28 - 13:31
    ঔষুধের চালান পাঠানোর প্রক্রিয়া বলেন।
  • 13:31 - 13:35
    ধাপ ক, ধাপ: খ, ধাপ: গ, প্রায়।
  • 13:35 - 13:37
    (হাসি)
  • 13:37 - 13:39
    এই ‘প্রায়’কে আপনি কিভাবে বিবেচনা করবেন?
  • 13:39 - 13:43
    এটাকে আপনি একটা চমত্কার ছোট্ট সফটওয়ারে কিভাবে ঢোকাবেন? পারবেন না।
  • 13:43 - 13:45
    আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গিটা অন্যদের দিতে চাই।
  • 13:45 - 13:47
    কিন্তু কেউই সেটা শোনার মতো আগ্রহ দেখায়নি,
  • 13:47 - 13:51
    ফিউচার গ্রুপের কিশোর বিয়ানির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার আগপর্যন্ত।
  • 13:51 - 13:56
    তিনি ভারতে সবচেয়ে বড় রিটেইল চেইন বিগ বাজারের প্রতিষ্ঠাতা।
  • 13:56 - 13:58
    আর তাদের গোটা ভারতজুড়ে ৫০টি শহরে
  • 13:58 - 14:00
    ২০০টিরও বেশি ধরণের দোকান আছে।
  • 14:00 - 14:04
    তিনি কাজ করছেন খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ ও গতিশীল বাজার নিয়ে।
  • 14:04 - 14:06
    আর তিনি খুবই সহজজ্ঞানে জানতেন যে,
  • 14:06 - 14:08
    জাপান, চীন, ইউরোপ বা আমেরিকায়
  • 14:08 - 14:11
    যে সেরা চর্চাটা গড়ে উঠেছে,
  • 14:11 - 14:14
    সেটা ভারতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
  • 14:14 - 14:18
    তিনি জানতেন যে প্রাতিষ্ঠানিক ধারার চিন্তাভাবনা ভারতে কাজ করবে না। কাজ করবে ব্যক্তিভিত্তিক চিন্তা।
  • 14:18 - 14:22
    ভারতের পুরাণভিত্তিক কাঠামোটা সম্পর্কে তাঁর একটা বোঝাপড়া ছিল।
  • 14:22 - 14:24
    তো, তিনি আমাকে এখানকার প্রধান বিশ্বাস অফিসারের দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন। বলেছিলেন যে,
  • 14:24 - 14:27
    ‘আমি বিশ্বাসগুলোকে সারিবদ্ধ করতে চাই’
  • 14:27 - 14:29
    শুনতে খুবই সহজ মনে হচ্ছে।
  • 14:29 - 14:31
    কিন্তু বিশ্বাসটা কোন পরিমাপযোগ্য জিনিস না।
  • 14:31 - 14:33
    আপনি এটাকে মাপতে পারবেন না। আপনি এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
  • 14:33 - 14:35
    তো, কিভাবে আপনি এই বিশ্বাস গড়ে তুলবেন?
  • 14:35 - 14:39
    আপনি কিভাবে মানুষের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে সেটা ভারতীয়তার দিকে নিয়ে যাবেন?
  • 14:39 - 14:43
    এমনকি আপনি যদি ভারতীয়ও হন, তবুও এটা সুনির্দিষ্ট কোন ব্যাপার না। এটা স্পষ্ট কিছু না।
  • 14:43 - 14:47
    তো, আমি সংস্কৃতির একটা আদর্শ মডেল ধরে কাজ করা শুরু করলাম।
  • 14:47 - 14:49
    যেটা হলো গল্প, প্রতীক, আচার অনুষ্ঠান গঠন করা।
  • 14:49 - 14:52
    এরকম একটা আচার আপনাদেরকে বলি।
  • 14:52 - 14:55
    এটা দর্শনের হিন্দু রীতির উপর ভিত্তি করে গড়া।
  • 14:55 - 14:57
    হিন্দুদের মধ্যে ঐশিক আদেশ জাতীয় কোন ধারণা নেই।
  • 14:57 - 14:59
    কাজেই, জীবনে কোনকিছু সঠিক বা ভুল করা জাতীয় কোন জিনিস এখানে নেই।
  • 14:59 - 15:02
    ঈশ্বরের সামনে কিভাবে দাঁড়াবেন সে ব্যাপারেও আপনি নিশ্চিত নন।
  • 15:02 - 15:05
    আপনি যখন কোন মন্দিরে যান, তখন আপনি ঈশ্বরের দর্শন চান।
  • 15:05 - 15:07
    আপনি চান যে, ঈশ্বর যেন আপনাকে দেখেন।
  • 15:07 - 15:11
    আর একারণেই দেবদেবীদের খুব বড় বড় চোখ থাকে।
  • 15:11 - 15:13
    বড়, পলকহীন চোখ,
  • 15:13 - 15:16
    কখনও কখনও রুপার তৈরি।
  • 15:16 - 15:18
    যেন তাঁরা আপনাকে ভালোমতো দেখতে পারেন।
  • 15:18 - 15:20
    কারণ সঠিক-ভুল সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত নন। কাজেই আপনি চান একটা
  • 15:20 - 15:24
    ঈশ্বরিক সহানুভূতি।
  • 15:24 - 15:27
    ‘তুমি শুধু জান যে, আমি কোথা থেকে এসেছি। কেন আমি এমনটা করেছি।’
  • 15:27 - 15:28
    (হাসি)
  • 15:28 - 15:30
    ‘আমি কী করেছি,
  • 15:30 - 15:35
    কেন আমি প্রক্রিয়াটা নিয়ে ভাবি নি। তুমি শুধু অনুগ্রহ করে আমাকে বুঝে নিও।’
  • 15:35 - 15:38
    আর এটার উপর ভিত্তি করে আমরা দলপতিদের জন্য একটা আচার-অনুষ্ঠান বানিয়েছিলাম।
  • 15:38 - 15:42
    দলপতি তার প্রশিক্ষণ শেষ করার পর যখন একটা দোকানের দায়িত্ব নিতে যাবে, তখন
  • 15:42 - 15:46
    আমরা তার চোখ বেঁধে দিতাম।তারপর তাকে ঘোরানো হতো তার জামানতকারী,
  • 15:46 - 15:50
    ক্রেতা, তার পরিবার, তার দল, তার বসের সামনে।
  • 15:50 - 15:53
    তাকে তার কেপিএ, কেপিআই পড়ে শোনানোর পর হাতে চাবি দেওয়া হতো।
  • 15:53 - 15:55
    আর তারপর খুলে দেওয়া হতো তার চোখ।
  • 15:55 - 15:58
    আর অনিবার্যভাবে তার চোখে দেখা যেত জলের কনা।
  • 15:58 - 16:00
    সে ব্যাপারটা বুঝতে পারত।
  • 16:00 - 16:04
    সে বুঝতে পারত যে, সফল হতে গেলে
  • 16:04 - 16:07
    তাকে একজন ‘পেশাজীবী’ হতে হবে না।
  • 16:07 - 16:10
    সব ধরণের আবেগ-অনুভূতি বিসর্জন দেওয়ার কোন প্রয়োজন তার নেই।
  • 16:10 - 16:13
    সফলতা পেতে হলে তাকে শুধু এই মানুষগুলোকে নিজের দুনিয়ার
  • 16:13 - 16:17
    অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। তাদেরকে খুশি করতে হবে।
  • 16:17 - 16:19
    বসকে খুশি করতে হবে। সবাইকে খুশি করতে হবে।
  • 16:19 - 16:22
    ক্রেতাদের খুশি করতে হবে। কারণ ক্রেতারাই ঈশ্বর।
  • 16:22 - 16:25
    শুধু এই সংবেদনশীলতাটাই আমরা চেয়েছিলাম। একবার যখন এই বিশ্বাসটা তাদের মধ্যে ঢুকে যাবে,
  • 16:25 - 16:28
    তার আচরণে সেটার প্রভাব পড়বে। তার ব্যবসায় প্রভাব পড়বে।
  • 16:28 - 16:31
    আর ঘটেও এমনটা।
  • 16:31 - 16:34
    তো, এবার আমরা আবার ফিরে যাই আলেক্সান্ডার
  • 16:34 - 16:36
    ও সেই নাগাসন্যাসীর কাছে।
  • 16:36 - 16:40
    সবাই আমাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘কোন পথটা ভালো, এইটা নাকি ঐটা?’
  • 16:40 - 16:42
    আর এটা খুবই বিপদজনক প্রশ্ন।
  • 16:42 - 16:46
    কারণ এটা আপনাকে নিয়ে যাবে মৌলবাদ ও সহিংসতার পথে।
  • 16:46 - 16:48
    কাজেই আমি এই প্রশ্নের কোন উত্তর দেব না।
  • 16:48 - 16:50
    আমি আপনাদের দেব একটা ভারতীয় উত্তর।
  • 16:50 - 16:52
    ভারতীয় মাথা নাড়া।
  • 16:52 - 16:54
    (হাসি)
  • 16:54 - 16:58
    (হাততালি)
  • 16:58 - 17:00
    পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে,
  • 17:00 - 17:02
    পরিণতির উপর নির্ভর করে,
  • 17:02 - 17:05
    আপনার পন্থা বেছে নিন।
  • 17:05 - 17:08
    কারণ এই দুইটি পন্থাই মানুষের গড়ে তোলা।
  • 17:08 - 17:11
    এগুলো সাংস্কৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে,
  • 17:11 - 17:14
    প্রাকৃতিকভাবে নয়।
  • 17:14 - 17:17
    কাজেই পরবর্তীতে আপনি যখন কোন অচেনা মানুষের সঙ্গে পরিচিত হবেন,
  • 17:17 - 17:19
    তখন আমার অনুরোধ যে,
  • 17:19 - 17:22
    আপনি স্মরণ করবেন আপনার একটা মনোজাগতিক সত্য আছে, যেটায় আপনি বাস করেন।
  • 17:22 - 17:24
    ঠিক তেমনটা তারও আছে।
  • 17:24 - 17:26
    এটাকে বোঝার চেষ্টা করবেন।
  • 17:26 - 17:31
    আর যখন আপনি এটা বুঝতে পারবেন তখন আপনি আবিস্কার করবেন চমকপ্রদ কিছু।
  • 17:31 - 17:33
    আপনি আবিস্কার করবেন যে, অজস্র পুরাণের মধ্যেই
  • 17:33 - 17:35
    নিহিত আছে চিরন্তন সত্য।
  • 17:35 - 17:37
    কে সবটা দেখেছে?
  • 17:37 - 17:39
    বরুনের ছিল এক হাজার চোখ,
  • 17:39 - 17:42
    ইন্দ্রের একশটি।
  • 17:42 - 17:44
    আমার-আপনার? মাত্র দুইটা।
  • 17:44 - 17:47
    ধন্যবাদ। নমস্তে।
  • 17:47 - 18:05
    (হাততালি)
Title:
দেবদূত পট্টনায়ক: পূর্ব বনাম পশ্চিম -- যে পুরাণকথাগুলো বিভ্রান্ত করে
Speaker:
Devdutt Pattanaik
Description:

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের পুরাণকথা নিয়ে চোখ খুলে দেওয়া বক্তৃতা দিয়েছেন দেবদূত পট্টনায়ক। আর তিনি দেখিয়েছেন যে, কিভাবে ঈশ্বর, মৃত্যু, স্বর্গ ইত্যাদি নিয়ে পুরোপুরি ভিন্ন এই দুইটা বিশ্বাসব্যবস্থা আমাদেরকে প্রভাবিত করে এবং প্রায়ই একে অপরের প্রতি ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করে।

more » « less
Video Language:
English
Team:
closed TED
Project:
TEDTalks
Duration:
18:08
Mohammad Tauheed approved Bengali subtitles for East vs. West -- the myths that mystify
Mohammad Tauheed accepted Bengali subtitles for East vs. West -- the myths that mystify
Mohammad Tauheed commented on Bengali subtitles for East vs. West -- the myths that mystify
Mohammad Tauheed edited Bengali subtitles for East vs. West -- the myths that mystify
Partho Protim Das edited Bengali subtitles for East vs. West -- the myths that mystify
Partho Protim Das added a translation

Bengali subtitles

Revisions