অসম্ভবকে সম্ভব করা, ভয়কে জয় করে | ড্যান মায়ার | টেড এক্স মাস্ত্রিস্ট
-
0:00 - 0:10সবাইকে ধন্যবাদ।
-
0:16 - 0:21একদা ভারতে এক রাজা ছিল, সেই মহারাজার
জন্মদিনে একটি হুকুম জারী হল যে -
0:21 - 0:24সব গোত্রপ্রধান আনবে একটি করে
উপহার যা রাজার মানানসই হবে। -
0:24 - 0:28কেউ কেউ দামি সিল্কের কাপড় আনলেন,
কেউ কেউ আলঙ্কারিক তলোয়ার আনলেন, -
0:28 - 0:29কেউ বা আনলেন সোনা।
-
0:29 - 0:33সবার শেষে ধীরগতিতে হেঁটে আসলেন
একজন অতিবৃদ্ধ খর্বকায় লোক -
0:33 - 0:37যিনি দুরের গ্রাম থেকে হেঁটে এসেছেন
মাঝে ছিল অনেক দিনের সমুদ্র যাত্রা। -
0:37 - 0:41তিনি কাছে আসতে রাজার ছেলে জিজ্ঞেস করলঃ
"রাজার জন্যে কি উপহার আপনি এনেছেন?" -
0:41 - 0:45বৃদ্ধ লোকটি খুব ধীরে ধীরে
হাতের মুঠি খুললেন দেখানোর জন্যে যে -
0:45 - 0:50তার তালুতে আছে একটি খুব সুন্দর ঝিনুক, যাতে
রক্তবর্ণ ও হলুদের আবর্ত, লাল ও নীলের ছটা। -
0:50 - 0:51রাজার ছেলে বললঃ
-
0:51 - 0:54"এটা তো রাজার উপযোগী কোন উপহার নয়!
এটা কেমন উপহার?" -
0:55 - 0:57বৃদ্ধটি মাথা উঁচু করে তার দিকে
তাকিয়ে মৃদুস্বরে বললেন, -
0:58 - 1:01"পায়ে হেঁটে লম্বা যাত্রা... উপহারের অংশ।"
-
1:01 - 1:03(হাসি)
-
1:03 - 1:06কয়েক মুহূর্তের মধ্যে,
আমি আপনাদের একটা উপহার দিতে যাচ্ছি, -
1:06 - 1:08এমন উপহার যে বিশ্বাস করি
এটি বলার মত একটি উপহার। -
1:08 - 1:10কিন্তু তার আগে, আপনাদেরকে নিতে চাই
-
1:10 - 1:12আমার দীর্ঘ যাত্রার সঙ্গী হিসেবে।
-
1:12 - 1:14আপনাদের অনেকের মত আমারও
-
1:14 - 1:15জীবন শুরু হয়েছে ছোট শিশু হিসেবে।
-
1:15 - 1:17আপনাদের মধ্যে কতজন
শিশু হিসেবে জীবন শুরু করেন? -
1:17 - 1:19নাকি তরুণ হিসেবেই?
-
1:19 - 1:20আপনাদের প্রায় অর্ধেক... আচ্ছা...
-
1:21 - 1:22(হাসি)
-
1:22 - 1:25এবং বাকি অর্ধেক কি বলেন?
আপনারা পূর্ণবয়স্ক হিসেবে জন্ম নিয়েছিলেন? -
1:25 - 1:28বলেন কি? আপনাদের মার সাথে দেখা করতে চাই!
-
1:28 - 1:29অসম্ভবকে সম্ভব করার কথা বলুন!
-
1:31 - 1:35শিশুকালে আমার সবসময়
অসম্ভব কিছু করার দিকে একটি ঝোঁক ছিল। -
1:36 - 1:39আজকের দিনটির জন্যে আমি
অনেক বছর ধরে অপেক্ষা করছি, -
1:39 - 1:41কারণ আজকের দিনটি সেইদিন
যেদিন আমি চেষ্টা করব -
1:41 - 1:44অসম্ভবকে সম্ভব করতে
আপনার সবার চোখের সামনে, -
1:44 - 1:45এখানে - টেড এক্স মা'স্ত্রিস্ট এ।
-
1:46 - 1:48আমি শুরু করতে যাচ্ছি
-
1:49 - 1:51এই গল্পের শেষটুকু বলেঃ
-
1:51 - 1:53আর আমি আপনাদের প্রমাণ করব
-
1:53 - 1:55যে অসম্ভব আসলে অসম্ভব নয়।
-
1:55 - 1:58আমি শেষ করতে যাচ্ছি
একটি উপহার দিয়ে, যা ছড়িয়ে দিতে পারবেনঃ -
1:58 - 2:01আমি আপনাদের দেখাব যে আপনারাও করতে পারেন
জীবনের অসম্ভবকে সম্ভব। -
2:03 - 2:05আমার অসম্ভবকে সম্ভব করার যাত্রায়
আমি খুঁজে পেয়েছি যে -
2:05 - 2:08দুটি জিনিস রয়েছে সার্বজনীন
সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে। -
2:08 - 2:10সবারই মনে ভয় আছে,
-
2:10 - 2:12এবং সবারই রয়েছে স্বপ্ন।
-
2:13 - 2:18অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্যে আমার যাত্রায়
আমি দেখেছি যে তিনটি জিনিস -
2:18 - 2:20আমার জীবদ্দশায় আমি সম্পন্ন করেছি যা
-
2:20 - 2:23অসম্ভবকে জয় করায় আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে:
-
2:24 - 2:27ডজবল , যাকে ডাচরা ট্রেফবল বলেন
-
2:27 - 2:28সুপারম্যান,
-
2:28 - 2:29এবং মশা।
-
2:29 - 2:31এরাই আমার তিনটি পাথেয়।
-
2:31 - 2:34এখন আপনারা জানেন কেন
আমি অসম্ভব কিছু করার সাহস রাখি। -
2:34 - 2:36তাই আপনাদেরকে সঙ্গে নিচ্ছি
আমার যাত্রায়, আমার দীর্ঘ পথে -
2:36 - 2:39ভয় থেকে স্বপ্নে,
-
2:39 - 2:41শব্দ থেকে তলোয়ারে,
-
2:41 - 2:43ডজবল থেকে
-
2:43 - 2:44সুপারম্যান হয়ে
-
2:44 - 2:45মশা পর্যন্ত।
-
2:46 - 2:47এবং আমি আপনাকে দেখাতে পারব আশা করি
-
2:47 - 2:50কিভাবে আপনি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন
আপনাদের জীবনে। -
2:52 - 2:55৪ঠা অক্টোবর, ২০০৭।
-
2:56 - 2:58আমার বুক ধড়ফড় করছিল,
আমার হাঁটু কাঁপছিল -
2:58 - 2:59যখন আমি মঞ্চে প্রবেশ করি
-
2:59 - 3:01হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের
-
3:01 - 3:03স্যান্ডার্স থিয়েটারে -
-
3:03 - 3:06চিকিত্সাশাস্ত্রে ইগ নোবেল পুরস্কার নিতে
-
3:06 - 3:09একটি ডাক্তারী গবেষণার কাজের জন্যে
যার আমি সহলেখক। -
3:09 - 3:10শিরোনাম "তলোয়ার গিলে ফেলা ...
-
3:10 - 3:12এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া'।
-
3:12 - 3:13(হাসি)
-
3:14 - 3:18এটি একটি ছোট জার্নালে প্রকাশিত হয়
যা আমি আগে কখনও পড়িনি, -
3:18 - 3:20ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল ছিল সেটি।
-
3:21 - 3:25আর আমার জন্য সেটা ছিল
একটি অসম্ভব স্বপ্ন সত্য হওয়া, -
3:25 - 3:28এটা একটি অপ্রত্যাশিত বিস্ময় ছিল
আমার মত অখ্যাত কারো জন্যে, -
3:28 - 3:31এটা একটা সম্মান যা আমি কখনো ভুলে যাবো না।
-
3:31 - 3:35কিন্তু এটাই ছিলোনা আমার জীবনের
সবচেয়ে স্মরণীয় অংশ। -
3:36 - 3:38৪ঠা অক্টোবর, ১৯৬৭,
-
3:38 - 3:40এই ভীত, লাজুক, হাড্ডিসার, অলস শিশু
-
3:41 - 3:43যে সবসময় খুব ভয় পেত,
-
3:43 - 3:46সে যখন মঞ্চে ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছিল
-
3:46 - 3:47তার বুক ধড়ফড় করছিল,
-
3:48 - 3:49তার হাঁটু কাঁপছিল।
-
3:50 - 3:52সে কথা বলার জন্যে তার মুখ খুলল,
-
3:56 - 3:58কিন্তু গলা থেকে শব্দ বের হল না।
-
3:58 - 4:00সে ছলছল চোখে কম্পিত ভাবে দাঁড়িয়ে রইল।
-
4:01 - 4:02আতঙ্কে তার হাত পা জমে গিয়েছিল,
-
4:02 - 4:04ভয়ে নিশ্চল হয়ে গিয়েছিল।
-
4:04 - 4:06এই ভীত, লাজুক, হাড্ডিসার, অলস শিশু
-
4:06 - 4:08চরম ভয় পেয়েছিল ।
-
4:09 - 4:10তার অন্ধকারে ভয় ছিল,
-
4:11 - 4:12উচ্চতা ভীতি ছিল,
-
4:12 - 4:13মাকড়সা এবং সাপ ভয় পেত সে...
-
4:13 - 4:15আপনাদের মধ্যে মাকড়সা ও সাপ
ভয় পায় কে কে? -
4:15 - 4:17হ্যা, আপনাদের কয়েকজন আছে ...
-
4:17 - 4:19তার ভয় ছিল পানি এবং সাঁতার কাটা হাঙ্গর...
-
4:19 - 4:22ডাক্তার, নার্স এবং ডেন্টিস্ট ভয় পেত সে,
-
4:22 - 4:25ভীতিকর ছিল সূঁচ, ড্রিল ও ধারালো বস্তু।
-
4:25 - 4:27কিন্তু অন্য সবকিছুর চেয়ে,
সে মনে মনে ভয় পেত -
4:27 - 4:28মানুষকে।
-
4:29 - 4:32এই ভীত, লাজুক, হাড্ডিসার, অলস শিশুটি
-
4:32 - 4:33আমি ছিলাম।
-
4:33 - 4:36আমার ব্যর্থতা ও প্রত্যাখ্যানের ভয় ছিল,
-
4:37 - 4:40আত্মমর্যাদার অভাব, হীনমন্যতা,
-
4:40 - 4:43এবং আরও কিছু যা আমি তখন জানতাম না
যে এরকম একটি ব্যাধি রয়েছে: -
4:43 - 4:45সামাজিক উদ্বেগ ব্যাধি।
-
4:45 - 4:49যেহেতু আমি ভয় পেতাম, আমাকে উৎপীড়করা
জ্বালাতন করত এবং মারধর করত। -
4:49 - 4:52তারা আমাকে উপহাস করত এবং কটু কথা বলত,
তারা আমাকে কখনোই খেলতে নিত না তাদের -
4:52 - 4:54বল্গাহরিণ খেলায় ।
-
4:55 - 4:58আহ, একটামাত্র খেলা ছিল
যাতে তারা আমাকে খেলতে নিত ... -
4:58 - 4:59ডজবল (বল ছুঁড়ে মারার খেলা)
-
5:00 - 5:01এবং পারতামনা ছোঁড়া বলগুলো থেকে বাঁচতে।
-
5:02 - 5:04উৎপীড়করা পরিহাস করে আমার নাম ডাকত,
-
5:04 - 5:06এবং আমি তাদের দিকে তাকাতেই
দেখতাম... লাল ডজবলগুলা -
5:06 - 5:08দ্রুতগতিতে আমার মুখের দিকে ধেয়ে আসছে।
-
5:08 - 5:10ব্যাম, ব্যাম, ব্যাম!
-
5:11 - 5:13আমার মনে আছে অনেক দিন
স্কুল থেকে বাড়ি হাঁটার পথে, -
5:13 - 5:18আমার মুখ লাল থাকত এবং ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা হত,
আমার কান লাল হয়ে অনুরণিত হতে থাকত। -
5:18 - 5:21আর আমার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে থাকত,
-
5:21 - 5:24এবং তাদের কথাগুলো কানে আঘাত করতে থাকত।
-
5:24 - 5:25আর যেইবা বলে,
-
5:25 - 5:29"লাঠি বা পাথর আমার হাড় ভেঙ্গে দিতে পারে,
কিন্তু কথা কখনো আমাকে আঘাত করবে না" -
5:29 - 5:30এটা পুরোই মিথ্যা।
-
5:30 - 5:32কথা মানুষকে ছুরির মত কাটতে পারে।
-
5:32 - 5:34শব্দ পারে তলোয়ারের মত বিদ্ধ করতে।
-
5:34 - 5:36শব্দ গভীর ক্ষত তৈরি করতে পারে
-
5:36 - 5:38যা বাইরে থেকে দেখা যায় না।
-
5:38 - 5:41তাই আমি ভীত ছিলাম।
আর কথাগুলো ছিল আমার সবচেয়ে খারাপ শত্রু। -
5:41 - 5:42এখনও তাই আছে।
-
5:43 - 5:45কিন্তু সাথে আমার স্বপ্নও ছিল।
-
5:45 - 5:48আমি বাসায় যেতাম
আর সুপারম্যান কমিকসে ডুবে যেতাম -
5:48 - 5:50এবং আমি সুপারম্যান কমিক বই পড়তাম
-
5:50 - 5:53স্বপ্নে আমি সুপারহিরো হতে চাইতাম
সুপারম্যানের মত। -
5:53 - 5:56আমি সত্য ও ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই করতে
চেয়েছিলাম -
5:56 - 5:59আমি যুদ্ধ করতে চেয়েছিলাম শত্রু
ও দুর্বলতার বিরুদ্ধে -
5:59 - 6:03আমি বিশ্বব্যাপি উড়ে বেড়াতে চেয়েছিলাম
সুপারম্যান হয়ে জীবন বাঁচানোর জন্যে। -
6:03 - 6:06আমার আরও একটা মোহ ছিল
কিছু বাস্তব জিনিষ নিয়েও। -
6:06 - 6:09আমি গিনিস বিশ্ব রেকর্ডের বই পড়তাম
আর পড়তাম রিপ্লির "বিলিভ ইট অর নট"। -
6:09 - 6:13আপনারা কি কখনো পড়েছেন গিনিস
বিশ্ব রেকর্ডের বই বা রিপ্লির বইটি? -
6:13 - 6:14আমি বইগুলো অনেক ভালবাসতাম!
-
6:14 - 6:16বাস্তব মানুষদের অসাধ্য সাধন করতে দেখেছি
-
6:16 - 6:18তখন বললাম, আমিও তাই করব।
-
6:18 - 6:19নিগ্রহকারীরা যদি আমাকে না দেয়
-
6:19 - 6:21তাদের সাথে কোন খেলা খেলতে,
-
6:21 - 6:23আমি বাস্তব জাদু, বাস্তব কাজ করতে চাই।
-
6:23 - 6:27আমি সত্যিই অসাধারণ কিছু কাজ করতে চাই
যা নিগ্রহকারীরা করতে পারবে না। -
6:27 - 6:29আমি আমার উদ্দেশ্য ও জীবিকা খুঁজতে চাই,
-
6:29 - 6:31জানতে চাই আমার জীবনের কোন মানে আছে কিনা,
-
6:31 - 6:33আমি অবিশ্বাস্য কাজ করতে চাই
বিশ্বে পরিবর্তন আনার জন্যে -
6:33 - 6:37আমি প্রমাণ করতে চাই
যে অসম্ভবকে সম্ভব করা আসলে অসম্ভব নয়। -
6:38 - 6:40এর ১০ বছর পরের ঘটনা -
-
6:40 - 6:43আমার ২১তম জন্মদিনের পূর্বসপ্তাহে
-
6:43 - 6:47একই দিনে দুটি জিনিস ঘটল
যা আমার জীবনকে পরিবর্তন করে দিল। -
6:47 - 6:49আমি তখন দক্ষিণ ভারতের তামিল নাড়ুতে
-
6:50 - 6:51একজন ধর্মপ্রচারক হিসেবে ছিলাম,
-
6:51 - 6:53আমার পরামর্শদাতা ও বন্ধু জিজ্ঞাসা করল,
-
6:53 - 6:55"ড্যানিয়েল, তোমার থ্রমস আছে?"
-
6:55 - 6:57আমি বললাম, "থ্রমস?
থ্রমস কী?" -
6:57 - 7:00সে বলল, থ্রমস হচ্ছে জীবনের প্রধান লক্ষ্য।
-
7:00 - 7:05এটা স্বপ্ন আর নিজস্ব লক্ষ্যের
একটি সমন্বয়, মানে আপনি যদি -
7:05 - 7:07যা ইচ্ছা তাই করতে পারতেন,
যে কোন জায়গায় যেতে পারতেন -
7:07 - 7:08যে কেউ হতে পারতেন,
-
7:08 - 7:10কোথায় যেতে চাইতেন?
কি করতে চাইতেন? -
7:10 - 7:11কে হতে চাইতেন?
-
7:11 - 7:14আমি বললাম, "আমি তা পারব না!
আমি খুব ভয় পাই! আমার মনে অনেক ভয় আছে!" -
7:14 - 7:18সেই রাতে আমি আমার মাদুর
বাংলোর ছাদে নিয়ে গেলাম, -
7:18 - 7:19বিছিয়ে শুয়ে শুয়ে তারা দেখলাম,
-
7:19 - 7:22আর দেখলাম বাদুড় ঝাঁপ দিচ্ছে
মশা ধরার জন্য। -
7:22 - 7:26আমার মনে শুধু তখন ছিল থ্রমস,
আর স্বপ্ন ও লক্ষ্য নিয়ে চিন্তা, -
7:26 - 7:28আর ডজবল খেলার সময় নিগ্রহকারী সাথীদের কথা।
-
7:29 - 7:31কয়েক ঘন্টা পরে আমি শিউরে জেগে উঠলাম।
-
7:31 - 7:34আমার হৃদয়স্পন্দন দ্রুত হচ্ছিল,
আমার হাঁটু কাঁপছিল। -
7:34 - 7:36সেসময় কিন্তু ভয়ের জন্যে এটি হচ্ছিল না
-
7:36 - 7:38আমার সমগ্র শরীরে খিঁচুনির মত হচ্ছিল।
-
7:38 - 7:40আর পরবর্তী পাঁচ দিন ধরে
-
7:40 - 7:44বার বার চেতনা হারাচ্ছিলাম আমি,
মৃত্যুশয্যায় জীবন ফিরে পাবার যুদ্ধ করছি। -
7:44 - 7:48আমার মস্তিষ্ক পুড়ে যাচ্ছিল
১০৫ ডিগ্রী ম্যালেরিয়া জ্বরে। -
7:48 - 7:52আর যখনই চেতনা ফিরে পাচ্ছিলাম,
শুধু জীবনের লক্ষ্যের কথা মনে হচ্ছিল। -
7:52 - 7:54তখন ভাবনা আসল,
"আমার জীবনে আমি কি করতে চাই?" -
7:54 - 7:56অবশেষে, আমার ২১তম
জন্মদিনের ঠিক আগের রাতে, -
7:56 - 7:58হঠাৎ করেই
-
7:58 - 8:00আমি উপলব্ধি করলামঃ
-
8:00 - 8:02বুঝতে পারলাম যে সেই ছোট মশা,
-
8:03 - 8:05অ্যানোফিলিস স্টিফেন্সাই নামের
-
8:05 - 8:07সেই সামান্য মশাটি
-
8:07 - 8:08যার ওজন ৫ মাইক্রোগ্রামের ও কম
-
8:08 - 8:10লবণের একটি কণার থেকে কম ওজনের
-
8:10 - 8:13যদি যে মশা কাবু করতে পারে
১৭০ পাউন্ড (৮০ কিলো) ওজনের মানুষকে, -
8:13 - 8:15আমি বুঝলাম যে এটাই আমার দুর্বলতা ছিল।
-
8:15 - 8:17তারপর আমি বুঝতে পারলাম,
না, না, এর কারণ মশা না, -
8:17 - 8:19দায়ী সেই ছোটো পরজীবীগুলো
যারা মশার ভিতরে থাকে, -
8:19 - 8:23প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম,
বছরে দশ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ। -
8:24 - 8:26তখন আমি বুঝতে পারলাম
না, না, এটাতো তার চেয়েও ছোট, -
8:26 - 8:29কিন্তু আমার কাছে এত বেশী বড় লেগেছিল।
-
8:29 - 8:30আমি বুঝতে পারলাম,
-
8:30 - 8:31ভয় আমার দুর্বলতা ছিল,
-
8:31 - 8:32আমার পরজীবী ছিল,
-
8:32 - 8:35যা পঙ্গু করেছে ও
পক্ষাঘাতগ্রস্ত করেছে আমার সমগ্র জীবনকে। -
8:35 - 8:38আপনারা জানেন, যে পার্থক্য রয়েছে
বিপদ এবং ভয়ের মধ্যে। -
8:38 - 8:40বিপদ বাস্তব হয়।
-
8:40 - 8:42কিন্তু ভয় একটি সিদ্ধান্ত, একটি নির্বাচন।
-
8:42 - 8:44আমি বুঝতে পারি যে এটা আমার নির্বাচন ছিল:
-
8:44 - 8:48আমি হয় ভয় নিয়ে বাঁচতে পারতাম,
নাহলে ব্যর্থতায় মরতে পারতাম সেই রাত্রে, -
8:49 - 8:52অথবা আমি ভয়কে জয় করতে পারতাম,
এবং আমি হয়ত -
8:52 - 8:56আমার স্বপ্নের দিকে এগুতে পারতাম,
সাহসের সাথে আমি জীবনযাপন করতে পারতাম। -
8:57 - 9:00আর জানেন, কিছু একটা আছে
মৃত্যুশয্যায় থাকার অভিজ্ঞতায় -
9:00 - 9:04মৃত্যুর মুখোমুখি হলে আসলে
মানুষ সত্যি সত্যি বাঁচতে চায়। -
9:04 - 9:07আমি বুঝলাম সবাই মরে,
কিন্তু সবাই সত্যিকারভাবে বাঁচে না। -
9:08 - 9:10মরণের মধ্যে দিয়ে আমরা বেঁচে উঠি।
-
9:10 - 9:12আপনি জানেন, যখন আপনি মরতে শিখেন,
-
9:12 - 9:13আপনি তখন সত্যিই বাঁচতে শিখেন।
-
9:13 - 9:15তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমি পরিবর্তন করব
-
9:15 - 9:16আমার সে রাতের গল্প।
-
9:17 - 9:18আমি তো মরতে চাই নি।
-
9:18 - 9:20তাই একটি ছোটো প্রার্থনা করলাম। বললাম,
-
9:20 - 9:22"ঈশ্বর, যদি আপনি আমাকে বাঁচতে দিন
আমার ২১তম জন্মদিন পর্যন্ত, -
9:22 - 9:25আমি ভয়কে আর দেবনা
আমার জীবনকে শাসন করতে। -
9:25 - 9:27আমি আমার ভয়ের মৃত্যু ঘটাব,
-
9:27 - 9:30আমি আমার স্বপ্নকে ছোঁয়ার জন্যে আগাবো,
-
9:30 - 9:31আমি আমার মনোভাব পরিবর্তন করতে চাই,
-
9:31 - 9:34কিছু অবিশ্বাস্য কাজ করতে চাই
আমার জীবন দিয়ে, -
9:34 - 9:36আমার লক্ষ্য ও প্রধান কাজ খুঁজে পেতে চাই,
-
9:36 - 9:39আমি জানতে চাই যে অসম্ভব আসলে
অসম্ভব নয়। -
9:39 - 9:43বলব না সেই রাতে বেঁচে গেছিলাম কিনা;
আপনারা নিজেরাই অনুমান করে নেন। -
9:43 - 9:44(হাসি)
-
9:44 - 9:47কিন্তু সেই রাতে তালিকা তৈরি করেছি
আমার জীবনের ১০টি প্রধান লক্ষ্য: -
9:47 - 9:50তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি
বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশ পরিদর্শন করব -
9:50 - 9:52বিশ্বের ৭ম আশ্চর্য দেখতে যাবো
-
9:52 - 9:53বেশ কয়েকটি ভাষা শিখব,
-
9:53 - 9:55একটি নির্জন দ্বীপে বাস করব,
-
9:55 - 9:56সমুদ্রের উপর জাহাজে বাস করব,
-
9:56 - 9:59ইন্ডিয়ান আদিবাসীদের সঙ্গে থাকব
আমাজন জঙ্গলে, -
9:59 - 10:01রোমাঞ্চ নিয়ে আরোহণ করব
সুইডেনের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে। -
10:01 - 10:03সুর্যোদয়ে এভারেস্ট পর্বত দেখতে চেয়েছি,
-
10:03 - 10:05সঙ্গীত ব্যবসায় কাজ করতে চেয়েছি
ন্যাশভিলে, -
10:05 - 10:07সার্কাস দলে কাজ করতে চেয়েছি,
-
10:07 - 10:09এবং আমি বিমান থেকে লাফ দিতে চেয়েছিলাম।
-
10:09 - 10:12পরবর্তী বিশ বছর ধরে,
আমি এ সকল লক্ষ্যের অধিকাংশ সম্পন্ন করেছি। -
10:12 - 10:15যতবার তালিকা থেকে
একটি করে লক্ষ্য সম্পন্ন করেছি, -
10:15 - 10:18আরও ৫ থেকে ১০টি নতুন লক্ষ্য যোগ করেছি
এবং আমার তালিকা ক্রমাগত বেড়ে উঠছিল। -
10:19 - 10:23এর পরবর্তী সাত বছর ধরে আমি
বাহামার একটি ছোট দ্বীপে বসবাস করেছি -
10:23 - 10:25প্রায় সাত বছর ধরে
-
10:25 - 10:27একটি শুকনো পাতার কুটিরে
-
10:29 - 10:34ছোট হাঙ্গর ও স্টিং রে মাছ মেরে খেয়েছি,
দ্বীপে শুধু যা পাওয়া যেত, -
10:34 - 10:36একটি নেংটি পরে থাকতাম,
-
10:37 - 10:39আর হাঙ্গরের সঙ্গে সাঁতার কাটতে শিখেছিলাম।
-
10:39 - 10:41সেখান থেকে মেক্সিকোতে দেশান্তরী হই,
-
10:41 - 10:45এবং তারপর আমি গেলাম
ইকুয়েডরের আমাজন নদী অববাহিকাতে, -
10:45 - 10:48ইকুয়েডরের পুইও পঙ্গোতে
এক আদিবাসি গোষ্ঠীর সঙ্গে বসবাস করেছি, -
10:48 - 10:52এভাবে একটু একটু করে আমার বিশ্বাস ফিরে
পেতে শুরু করি শুধু লক্ষ্য পুরণের মাধ্যমে। -
10:52 - 10:55আমি সঙ্গীত ব্যবসায় যোগ দেই
প্রথমে ন্যাশভিল এবং পরে সুইডেনে, -
10:55 - 10:58তারপর স্টকহোমে চলে যাই,
ও সঙ্গীত ব্যবসায় কাজ চালিয়ে যাই, -
10:58 - 11:02সেখানেই মাউন্ট কেবনেকাইসের শীর্ষে পৌছাই
সুমেরুবৃত্তর সেই উঁচুতে। -
11:03 - 11:05শিখেছি সার্কাসে লোক হাঁসানো,
-
11:05 - 11:06এবং সার্কাসের খেলা,
-
11:06 - 11:07কিংবা রণপা-হাঁটা,
-
11:07 - 11:10এক চাকার সাইকেল চালানো,
মুখে অগ্নি খেলা বা কাচ খাওয়ার খেলা। -
11:10 - 11:14১৯৯৭ সালে শুনেছিলাম পৃথিবীতে এক ডজনের
কম তলোয়ার গেলার খেলুড়ে আছে। -
11:14 - 11:15আর আমি বললাম, "আমাকেও তাই করতে হবে!"
-
11:15 - 11:18এক তলোয়ার খেলোয়াড়ের দেখা পেলে
তার কাছে কিছু পরামর্শ চাই। -
11:18 - 11:20তিনি বললেন, "আচ্ছা, ২টি উপদেশ দেব:
-
11:20 - 11:22১ নম্বরঃ এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক,
-
11:22 - 11:24অনেকে এটা করতে গিয়ে মারা গেছে।
-
11:24 - 11:25২ নম্বরঃ
-
11:25 - 11:26এটা চেষ্টা করবেন না! "
-
11:26 - 11:28(হাসি)
-
11:28 - 11:30তাই আমি এটাকে লক্ষ্যের তালিকায় যোগ করেছি।
-
11:30 - 11:33এবং আমি চর্চা করেছি
দিনে ১০ থেকে ১২ বার, প্রতিদিন করে -
11:34 - 11:35প্রায় চার বছর ধরে।
-
11:35 - 11:37এখন আমি যদি আমি সেগুলো গুণি ..
-
11:37 - 11:40৪ X ৩৬৫ [X ১২]
-
11:40 - 11:43এটা মোটামুটি ১৩,০০০ বারের
অসফল প্রচেষ্টা ছিল -
11:43 - 11:45অবশেষে ২০০১ সালে প্রথম তলোয়ার
গলার ভেতরে ঢুকাতে পেরেছিলাম, -
11:46 - 11:48সেই সময়ে আরেকটি লক্ষ্য স্থির করি
-
11:48 - 11:51যে এই তলোয়ার গেলার কৌশলে বিশ্বের
নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞে পরিণত হব আমি। -
11:51 - 11:54তাই আমি এ নিয়ে লেখা প্রতিটি বই,
পত্রিকা, বা প্রবন্ধ খুঁজি, -
11:54 - 11:58প্রতিটি মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখি,
এজন্যে শরীর-বিদ্যা ও দৈহিক গঠনতন্ত্র পড়ি, -
11:58 - 12:00ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলেছি এনিয়ে,
-
12:00 - 12:02সব তলোয়ার গেলার
খেলোয়াড়দের সাথে নিয়ে গঠন -
12:02 - 12:04করেছি তলোয়ার গেলার খেলোয়াড়দের
আন্তর্জাতিক এসোসিয়েশন -
12:04 - 12:06এবং একটি ২ বছর ব্যাপি ডাক্তারি
গবেষণা চালিয়েছি -
12:06 - 12:09তলোয়ার গেলা ও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে
-
12:09 - 12:11যেটা প্রকাশিত হয় একটি
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে। -
12:11 - 12:12(হাসি)
-
12:12 - 12:13সবাইকে ধন্যবাদ।
-
12:13 - 12:18(করতালি)
-
12:18 - 12:22আর আমি কিছু অদ্ভুৎ জিনিস শিখেছি
তলোয়ার গেলা নিয়ে। -
12:22 - 12:25বাজি ধরে বলতে পারি কখনোই ভাবেননি
এগুলো নিয়ে আগে, কিন্তু আজ রাতের পর ভাববেন। -
12:25 - 12:29পরবর্তীতে আপনি বাড়িতে যখন ব্যস্ত থাকবেন
ছুরি দিয়ে আপনার স্টেক কাটতে -
12:29 - 12:32অথবা একটি তলোয়ার বা আপনার ছুরি-কাঁটা,
চিন্তা করবেন আমার গল্পটা নিয়ে -
12:34 - 12:37আমি জেনেছি যে তলোয়ার গেলার ঐতিহ্য
ভারতে শুরু হয়- -
12:37 - 12:40যেখানে আমি সর্বপ্রথম এটা দেখেছিলাম
আমার ২০ বছর বয়সে - -
12:40 - 12:42প্রায় ৪০০০ বছর আগে, খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ সালে
-
12:42 - 12:46গত ১৫০ বছরে, তলোয়ার গেলার
খেলোয়ারদের ব্যবহার করা হয়েছে -
12:46 - 12:47বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে
-
12:47 - 12:51তারা সাহায্য করেছে ১৮৬৮ সালে
অনমনীয় এন্ডোস্কোপ মেশিন তৈরিতে -
12:51 - 12:54ডঃ অ্যাডল্ফ কুশমাউল কর্তৃক
জার্মানির ফ্রাইবুর্গে। -
12:54 - 12:57১৯০৬ সালে, ওয়েলসের
ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম মেশিন উন্নয়নে, -
12:57 - 13:00গিলতে অসুবিধা ও
হজমে অসুবিধা নিয়ে অধ্যয়নে বা -
13:00 - 13:02ব্রঙ্কোস্কোপ এর মত মেশিন উন্নয়নে।
-
13:02 - 13:04কিন্তু গত ১৫০ বছর ধরে,
-
13:04 - 13:08আমরা জানি শত শত লোক আহত হয়েছে
এবং কয়েক ডজন লোক মারা গেছে ... -
13:08 - 13:15এখানে রয়েছে অনমনীয় এন্ডোস্কোপ এর ছবি
যা ডঃ অ্যাডল্ফ কুশমাউল উদ্ভাবন করছিলেন। -
13:15 - 13:19কিন্তু আমরা আবিষ্কার করেছি যে গত ১৫০
বছরে ২৯ জন মারা গিয়েছে এ খেলার জন্যে -
13:19 - 13:22যার মধ্যে রয়েছে লন্ডনের সেই খেলোয়াড় যে
তলোয়ার দিয়ে তার হৃদয় বিদ্ধ করে ফেলেছিল -
13:23 - 13:25আমরা এও জানতে পারলাম যে ৩ থেকে ৮টি
-
13:25 - 13:28গুরুতর তলোয়ার গেলার জখম হয়
প্রত্যেক বছর। -
13:28 - 13:30আমি জানি, কারণ আমি ফোনে সেই খবরগুলো পাই।
-
13:30 - 13:31এইতো দুটি জখমের খবর পেলাম
-
13:31 - 13:34একটি সুইডেন ও আরেকটি অরল্যান্ডো থেকে
এইতো গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে, -
13:34 - 13:37এই তলোয়ার খেলুড়েরা হাসপাতালে আছেন
ও তাদের ক্ষত সারাচ্ছেন -
13:37 - 13:39সুতরাং এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
-
13:39 - 13:42আরেকটি বিষয় আমি জেনেছি যে
তলোয়ার গেলা আয়ত্ত করতে লাগে -
13:42 - 13:44২ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত
তলোয়ারকে ঠিকমত গলার মধ্যে ঢুকাতে -
13:44 - 13:46অনেক মানুষের জন্যে।
-
13:46 - 13:48কিন্তু সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক জিনিশ
আমি জেনেছি যে -
13:48 - 13:51কিভাবে তলোয়ার গেলার খেলোয়াড়রা শিখে
এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে। -
13:51 - 13:53আমি আপনাদের গোপন ব্যপারটি জানিয়ে দিচ্ছিঃ
-
13:54 - 13:58মনোনিবেশ করা যাবেনা ৯৯.৯% ক্ষেত্রেই
যা অসম্ভব। -
13:58 - 14:02আত্মনিবেশ করুন সেই ০.১% এর উপর যা সম্ভব,
আর চিন্তা করতে থাকুন কিভাবে এটি করা সম্ভব, -
14:03 - 14:06এখন আপনাদেরকে সেই যাত্রায় নিয়ে যাই
তলোয়ার গেলা খেলোয়াড়ের মনের মধ্যে -
14:06 - 14:09তলোয়ার গেলায় সফলতার জন্যে,
প্রচুর মন দিয়ে ধ্যান প্রয়োজন, -
14:09 - 14:12সুতীক্ষ্ণ একাগ্রতা দরকার,
নিখুঁত প্রক্রিয়া দরকার -
14:12 - 14:16যাতে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গকে আলাদা করা যায়
এবং স্বয়ংক্রিয় শারীরিক প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় -
14:16 - 14:20বারবার করা মস্তিষ্কের ব্যায়ামের মাধ্যমে,
পুনরাবৃত্তি পেশীর ব্যায়ামের স্মৃতি দিয়ে -
14:20 - 14:24বারংবার অনুশীলন দ্বারা -
প্রায় ১০,০০০ বার করতে হবে। -
14:24 - 14:28এখন চলুন আপনাদের একটি যাত্রায় নিয়ে যাই
একজন তলোয়ার গেলার খেলোয়াড়ের শরীরের ভেতরে। -
14:28 - 14:30একটি তলোয়ার গেলার জন্য,
-
14:30 - 14:32জিভের উপর দিয়ে ব্লেডটি গলিয়ে দিতে হয়,
-
14:32 - 14:35পরে সার্ভিকাল অন্ননালীতে
স্পর্শপ্রতিক্রিয়া দমন করতে হয় -
14:35 - 14:38৯০ ডিগ্রী ঘুরিয়ে দিতে হয়
আলজিভের নিচে, -
14:38 - 14:41অন্ননালীর মধ্য দিয়ে তাকে ঠেলে দিতে হয়
পাকস্থলীর উপরের অংশে -
14:41 - 14:43ভেতরকার পেশীর সঙ্কোচন দমন করে,
-
14:43 - 14:44বুকের গহ্বরের মধ্যে ব্লেডটিকে নিতে হয়
-
14:44 - 14:46দুই ফুসফুসের মধ্যে।
-
14:46 - 14:48এই মুহূর্তে,
-
14:48 - 14:50আসলেই আমার হৃদয়কে ঠেলা দিয়ে সরাতে হয়।
-
14:50 - 14:52আপনি যদি সাবধানে দেখেন,
-
14:52 - 14:54দেখবেন তলোয়ারে হৃদস্পন্দন দেখা যায়
-
14:54 - 14:55কারণ এটা হৃদয়কে হেলান দিয়ে রয়েছে
-
14:55 - 14:58শুধু মাঝে রয়েছে এক ইঞ্চির অষ্টমাংস পুরু
খাদ্যনালীর টিস্যু। -
14:58 - 15:00এর কোন কোন কিছু আপনি জাল করতে পারেন না
-
15:00 - 15:02তারপর এটাকে ঠেলে দেব আমি
বুকের পাঁজরের ভেতরে, -
15:02 - 15:05নিম্ন খাদ্যনালীর স্ফিঙ্কটারের মধ্য দিয়ে
পৌছাবে পাকস্থলীতে, -
15:05 - 15:09বমনচেষ্টার স্বাভাবিক প্রচেষ্টা দমন করে
ঠেলে দেব ক্ষুদ্রান্তের অগ্রভাগে। -
15:09 - 15:10খুবই সহজ।
-
15:10 - 15:11(হাসি)
-
15:11 - 15:13আমি যদি আরও নিচে নামতে চাই,
-
15:13 - 15:18তাহলে ফ্যালোপিয়ান টিউব পর্যন্ত নামিয়ে দেব
(ডাচ) হ্যাঁ, ফ্যালোপিয়ান টিউব! -
15:18 - 15:21সুধীবৃন্দ, আপনার স্ত্রীদের জিজ্ঞেস করতে
পারেন পরে যে এটি কি ... -
15:22 - 15:24মানুষ আমাকে জিজ্ঞেস করে, বলে,
-
15:24 - 15:27"নিশ্চয়ই অনেক সাহস লাগে
আপনার জীবনকে ঝুঁকি মধ্যে ঠেলে দিতে, -
15:27 - 15:29হৃদয়কে স্পর্শ করা,
পুরো একটি তলোয়ার গেলা" -
15:29 - 15:30না। আসলে সত্যিকারের সাহস লাগে
-
15:30 - 15:33সেই ভীত, লাজুক, চর্মসার বাচ্চার জন্য
-
15:33 - 15:36যাতে সে ব্যর্থতা ও প্রত্যাখ্যানের ঝুঁকি
নিতে পারে -
15:36 - 15:37তার গোপন কথা বলার সাহস পায়,
-
15:37 - 15:38আর নিশ্চুপ না থাকে
-
15:38 - 15:41এবং এভাবে মঞ্চে এসে দাঁড়ায়
অপরিচিত একদল লোকের সামনে -
15:41 - 15:44আপনাদেরকে তার গল্প বলতে পারে
তার ভয় ও স্বপ্ন সম্পর্কে, -
15:44 - 15:48তার নাড়িভুঁড়ি বেড় করে ফেলার ঝুঁকি নিয়ে,
আক্ষরিক এবং রূপক অর্থে। -
15:48 - 15:49দেখেছেন তো - ধন্যবাদ।
-
15:49 - 15:54(করতালি)
-
15:54 - 15:56দেখুন, সত্যিই আশ্চর্যজনক জিনিস এই যে
-
15:56 - 15:59আমি সবসময় চেয়েছি আমার জীবনে
অসাধারণ কিছু করতে -
15:59 - 16:00এবং এখন আমি তা করছি।
-
16:00 - 16:03কিন্তু সত্যিই অসাধারণ সেই জিনিসটা -
এটা নয় যে আমি গিলে ফেলতে পারি -
16:03 - 16:05একসাথে ২১টি তলোয়ার।
-
16:08 - 16:10বা ২০ফুট ডুবন্ত ট্যাংকে ৮৮টি
হাঙ্গর/স্টিংরে'র সাথে থাকতে পারি -
16:10 - 16:12রিপ্লিজ বিলিভ ইট অর নট এর জন্যে,
-
16:14 - 16:18বা ১৫০০ ডিগ্রী লাল গরম তলোয়ার গেলা
স্ট্যান লি'জ সুপারহিউমান্স শো এর জন্যে -
16:18 - 16:19এবং "স্টীলের মানুষ' হিসেবে পরিচিত হওয়া
-
16:20 - 16:22আহ তলোয়ারটি বেশ গরম ছিল!
-
16:22 - 16:25অথবা রিল্পিজের জন্য তরবারি দিয়ে গাড়ী টানা
-
16:25 - 16:26বা গীনিস এর কোন রেকর্ড,
-
16:26 - 16:29বা ফাইনালে যাওয়া
আমেরিকা'জ গট ট্যালেন্ট অনুষ্ঠানে -
16:29 - 16:32বা ২০০৭ সালের সেই
চিকিৎসাবিজ্ঞানে আইজি নোবেল পুরস্কার। -
16:32 - 16:34না, এর কোনটাই
সেই অসাধারণ জিনিস নয়। -
16:34 - 16:36অবশ্য মানুষ তাই মনে করে।
না, না, না। এটা সেটা না। -
16:36 - 16:38সেই সে অসাধারণ জিনিস
-
16:38 - 16:41যে ঈশ্বর সেই ভীত, লাজুক,
চর্মসার, দুর্বল ছেলেকে সাহায্য করেছে -
16:41 - 16:42যার উচ্চতা ভীতি ছিল,
-
16:42 - 16:44যে পানি ও হাঙ্গর ভয় পেত,
-
16:44 - 16:46এবং ডাক্তার ও নার্সদের
এবং সূঁচ এবং ধারালো বস্তুকে -
16:46 - 16:48লোকের সাথে কথা বলতে ভয় পেত
-
16:48 - 16:50এখন ঈশ্বর আমাকে দিয়ে
বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করাচ্ছে -
16:50 - 16:51হোক সে ৩০,০০০ ফুট উচ্চতায়
-
16:51 - 16:54ধারালো বস্তু গিলছি
হাঙ্গরভর্তি ডুবন্ত ট্যাংকে গিয়েছি, -
16:54 - 16:57ডাক্তার ও নার্সদের সাথে নির্ভয়ে কথা বলছি
বিশ্বজুড়ে শ্রোতাদের কাছে যাচ্ছি। -
16:57 - 17:00এটা আমার জন্য সত্যিই আশ্চর্যজনক জিনিস।
-
17:00 - 17:01আমি সবসময় অসম্ভব কিছু করতে চেয়েছিলাম-
-
17:01 - 17:02সবাইকে ধন্যবাদ।
-
17:02 - 17:04(করতালি)
-
17:04 - 17:05সবাইকে ধন্যবাদ।
-
17:06 - 17:09(করতালি)
-
17:10 - 17:13আমি সবসময় অসম্ভবকে সম্ভব করতে চেয়েছিলাম,
এখন আমি তাই করছি। -
17:13 - 17:16অসাধারণ কিছু করতে চেয়েছিলাম জীবন
দিয়ে, বিশ্বে পরিবর্তন চেয়েছিলাম, -
17:16 - 17:17এবং এখন আমি তাই করছি।
-
17:17 - 17:20সবসময় বিশ্বব্যাপি উড়ে বেড়াতে চেয়েছিলাম-
অতিমানবীয় কৌশল করে -
17:20 - 17:21জীবন রক্ষা করতে,এখন আমি তাই করছি
-
17:21 - 17:23এবং আপনি জানেন?
-
17:23 - 17:26এগুলো শুধুই একটি ছোট অংশ
সেই ছোটো ছেলেটির বিশাল সব স্বপ্নের -
17:26 - 17:27যা তার ভিতরে আছে।
-
17:30 - 17:36(হাসি) (করতালি)
-
17:37 - 17:40জানেন, আমি সবসময় খুঁজে পেতে চেয়েছিলাম
আমার উদ্দেশ্য এবং প্রধান কাজ -
17:40 - 17:42এবং এখন আমি এটা পেয়েছি।
-
17:42 - 17:43কিন্তু অনুমান করতে পারেন কি?
-
17:43 - 17:46এটা তলোয়ার খেলা দিয়ে নয়,
বা আপনারা যা ভাবেন, আমার শক্তি দিয়ে নয়। -
17:46 - 17:49এটা আসলে নিজ দুর্বলতাকে,
আমার শব্দকে জয় করেছি। -
17:49 - 17:51আমার উদ্দেশ্য এবং প্রধান কাজ
বিশ্বকে পরিবর্তন করা -
17:51 - 17:52ভয়কে কাটিয়ে,
-
17:52 - 17:55একটি তলোয়ারকে জয় করে, একটি কথাকে জয় করে,
-
17:55 - 17:57একটি ছুরিকে জয় করে, একটি জীবনকে জয় করে,
-
17:58 - 18:00মানুষকে সুপারহিরো (অতিমানব) হতে
অনুপ্রাণিত করে -
18:00 - 18:02তাদের জীবনে অসম্ভব কিছু করতে উদ্বুদ্ধ করা।
-
18:02 - 18:05আমার উদ্দেশ্য তাদের লক্ষ্যকে
খুঁজে পেতে সাহায্য করা। -
18:05 - 18:06আপনারটা কি?
-
18:06 - 18:07আপনার লক্ষ্য কি?
-
18:07 - 18:09আপনাকে এখানে কি করতে বলা হয়েছে?
-
18:09 - 18:12আমি মনে করি আমরা সবাই
অতিমানব হতে পৃথিবীতে এসেছি। -
18:12 - 18:14আপনার অতিমানবীয় শক্তিটি কি?
-
18:15 - 18:18বিশ্ব তাবৎ মানুষের মধ্যে -
৭০০ কোটি মানুষের কথা বলছি, -
18:18 - 18:20সেখানে মাত্র কয়েক ডজন
তলোয়ার গেলার খেলোয়াড় -
18:20 - 18:22টিকে রয়েছে আজ সারা বিশ্বে,
-
18:22 - 18:23কিন্তু আপনি একমাত্র আপনি।
-
18:23 - 18:24আপনি অনন্য।
-
18:24 - 18:26আপনার কাহিনী কি?
-
18:26 - 18:28আপনি কিভাবে আলাদা?
-
18:28 - 18:29আপনার গল্পটি বলুন,
-
18:29 - 18:32এমনকি আপনার কণ্ঠ পাতলা এবং কম্পমান হলেও।
-
18:32 - 18:33আপনার জীবনের লক্ষ্য কী?
-
18:33 - 18:36যদি যেকোন কিছু পারতেন
যে কেউ হতেন, যেখানে ইচ্ছা যেতেন -
18:36 - 18:37কি করতে চাইতেন?
আপনি কোথায় যেতেন? -
18:37 - 18:38আপনি কি করতে চাইতেন?
-
18:38 - 18:40আপনার জীবন দিয়ে আপনি কি করতে চান?
-
18:40 - 18:42আপনার বড় স্বপ্নগুলো কি?
-
18:42 - 18:44আপনার ছোটোকালে কোন বড় স্বপ্ন কি ছিল?
চিন্তা করেন। -
18:44 - 18:46বাজি ধরতে পারি, এটা ছিল না। ঠিক বলছি?
-
18:46 - 18:48আপনার বুনো স্বপ্নটি কি ছিল
-
18:48 - 18:50যা আপনি ভাবতেন অদ্ভুত সব চিন্তা হিসেবে
এবং খুব অস্পষ্ট? -
18:50 - 18:54বাজি ধরে বলতে পারি এখন আপনার স্বপ্নগুলো
আর অদ্ভুত দেখাচ্ছে না, তাই নয় কি? -
18:55 - 18:57আপনার সেই তলোয়ারটি কি?
-
18:57 - 18:59প্রত্যেকের একটি তলোয়ার আছে,
-
18:59 - 19:01ভয় এবং স্বপ্ন নিয়ে একটি দ্বিমুখী তলোয়ার।
-
19:01 - 19:04সেই তলোয়ারকে গিলে ফেলার সাহস দেখান,
যাই হোক না কেন সেটা। -
19:04 - 19:06সুধীবৃন্দ, আপনারা
নিজ স্বপ্নের পেছনে ছুটুন -
19:06 - 19:09এখনো খুব দেরি হয়ে যায়নি
আপনি যা হতে চেয়েছিলেন তা হতে। -
19:10 - 19:13ডজবল খেলার সেই নিগ্রহকারী সাথীরা
ঐ বাচ্চারা যারা ভেবেছিল -
19:13 - 19:15যে আমি কখনোই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারব না,
-
19:15 - 19:18আমার শুধু একটা জিনিস আছে তাদের বলারঃ
-
19:18 - 19:19ধন্যবাদ।
-
19:19 - 19:22কারণ যদি তাদের মত শত্রু না থাকত,
আমরা কোন সুপারহিরো পেতাম না। -
19:23 - 19:27আমি আছি প্রমাণ করতে
যে অসম্ভব আসলে অসম্ভব নয়। -
19:28 - 19:32যদিও এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক,
আমি মারাও যেতে পারতাম। -
19:32 - 19:34আশা করি আপনারা উপভোগ করেছেন।
-
19:34 - 19:35(হাসি)
-
19:36 - 19:39এটাতে আপনার সাহায্যের প্রয়োজন।
-
19:47 - 19:48শ্রোতা: দুই, তিন।
-
19:48 - 19:52ড্যান মায়ার: না, না। আপনার সাহায্য দরকার
গণনা করতে, আপনারা তৈরী তো? -
19:52 - 19:53(হাসি)
-
19:53 - 19:56যদি শব্দটা জানেন। ঠিক আছে?
আমাকে সঙ্গে। প্রস্তুত? -
19:56 - 19:57এক
-
19:57 - 19:58দুই
-
19:58 - 19:59তিন
-
19:59 - 20:01না, এটি ২, কিন্তু বুঝে গেছেন নিশ্চয়ই।
-
20:07 - 20:08শ্রোতা: এক
-
20:08 - 20:09দুই
-
20:09 - 20:10তিন
-
20:11 - 20:13(শ্বাস নেয়ার শব্দ)
-
20:14 - 20:16(করতালি)
-
20:16 - 20:17ড্যান মায়ার: হ্যাঁ!
-
20:17 - 20:23(করতালি) (অভিনন্দন)
-
20:23 - 20:25আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ।
-
20:25 - 20:29ধন্যবাদ, ধন্যবাদ, ধন্যবাদ।
হৃদয় থেকে আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। -
20:29 - 20:31আসলে, আপনাদেরকে ধন্যবাদ
আমার পাকস্থলীর অন্ত:স্থল থেকে -
20:32 - 20:35আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম আমি এখানে
অসম্ভবকে সম্ভব করব, আমি তা করেছি -
20:35 - 20:38কিন্তু এটা আসলে সেই অসম্ভব না।
আমি তো প্রতিদিনই এটি করি। -
20:38 - 20:43অসম্ভব ছিল সেই ভীত, লাজুক, চর্মসার, দুর্বল
ছোটো ছেলেটির জন্যে ভয়ের মুখোমুখি হওয়া, -
20:43 - 20:45টেড এক্স এর মঞ্চে এসে দাঁড়ানো,
-
20:45 - 20:47এবং বিশ্বকে পরিবর্তন করা,
একটি একটি করে শব্দ দিয়ে, -
20:47 - 20:49একটি করে তলোয়ার দিয়ে,
একটি করে জীবন দিয়ে। -
20:49 - 20:52যদি আপনাদের নতুন করে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করি,
যদি বিশ্বাস করাতে পারি -
20:52 - 20:54যে অসম্ভব আসলে অসম্ভব নয়,
-
20:54 - 20:58যদি আপনাদের বুঝাতে পারি যে আপনারাও পারেন
জীবনে অসম্ভব কিছু করতে, -
20:58 - 21:01তাহলে আমার কাজ শেষ হবে,
এবং আপনার কাজ মাত্র শুরু হবে। -
21:01 - 21:04স্বপ্ন দেখা বন্ধ করবেন না কখনো,
বিশ্বাস করা বন্ধ করবেন না কখনো। -
21:05 - 21:06আমাকে বিশ্বাস করার জন্য ধন্যবাদ
-
21:06 - 21:08আমার স্বপ্নে অংশ নেওয়ার জন্যেও ধন্যবাদ
-
21:08 - 21:10আপনাদেরকে আমার উপহার এখানেঃ
-
21:10 - 21:11যে অসম্ভব আসলে নয় ...
-
21:11 - 21:13শ্রোতা: অসম্ভব।
-
21:13 - 21:15লম্বা পথ হেঁটে যাওয়াও উপহারের অংশ।
-
21:15 - 21:20(করতালি)
-
21:20 - 21:21সবাইকে ধন্যবাদ।
-
21:21 - 21:25(করতালি)
-
21:26 - 21:28(সবাই আনন্দ প্রকাশ করছে)
-
21:28 - 21:30আপনাকে ধন্যবাদ, ড্যান মায়ার, অভূতপূর্ব!
- Title:
- অসম্ভবকে সম্ভব করা, ভয়কে জয় করে | ড্যান মায়ার | টেড এক্স মাস্ত্রিস্ট
- Description:
-
আপনি কি কখনো অতিমানব (সুপারহিরো) হতে চেয়েছেন অসম্ভবকে সম্ভব করতে? ড্যান মায়ার মনে করেন যে মানুষের ভয় যতই বেশী হোক বা স্বপ্ন যত বুনো হোক, আমাদের সবারই সম্ভাবনা আছে অতিমানব হওয়া, অসম্ভবকে সম্ভব করা এবং বিশ্বে পরিবর্তন আনা। ড্যান পেশায় কাজাখস্তানে এতিমদের নিয়ে কাজ করা একটি মানবিক সাহায্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। তিনি বর্ণনা করছেন যে ছোটবেলায় তিনি খুবই ভীত ছিলেন, সামাজিক অস্থিরতা রোগে ভুগতেন এবং নিগ্রহের শিকার হতেন। তিনি জানিয়েছেন কিভাবে ভয়কে জয় করে ঘুরে দাঁড়ালেন, এবং অতিমানবীয় সব কাজ করলেন - আমেরিকা হ্যাজ গট ট্যালেন্ট এর ফাইনালিস্ট হয়েছেন, হার্ভার্ডে ২০০৭ সালের চিকিৎসাবিদ্যায় আইজি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, এবং বিশ্বের অন্যতম পুরাতন কলা - তলোয়ার গেলাতে বিশ্ব রেকর্ড জয় করেছেন এবং শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ হয়েছেন। তিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে থাকেন কিভাবে তাদের জীবনে অসম্ভব কিছু করে দেখাতে পারে তারা।
তার এই প্রথম টেড বক্তৃতায়, ড্যান তার শ্রোতাদের তার জীবনের সাথে পরিচয় করিয়েছেন কিভাবে তিনি ভয়কে জয় করে অতিমানবীয় সব সফলতা এনেছেন, দুর্বল শিশু থেকে বিশ্ব রেকর্ড বাগিয়েছেন, পরাজিত থেকে আইজি নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছেন, এবং পলাতক থেকে আমেরিকা হ্যাজ গট ট্যালেন্ট এর ফাইনালিস্ট হয়েছেন। তলোয়ার গেলার প্রাচীন কলার পেছনে কি বিজ্ঞান আছে তা সবাইকে জানিয়েছেন এবং তার অতিমানবীয় কিছু করার ইচ্ছার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন তিনি কিভাবে মানুষের শরীরকে জয় করে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন বিশ্বে পরিবর্তন আনার জন্যে। এবং তিনি জানিয়েছেন কিভাবে আপনারা ভয়কে জয় করে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন।
এই বক্তৃতাটি একটি স্থানীয় টেড এক্স অনুষ্ঠানে দেয়া হয়েছে এবং স্বাধীনভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। - Video Language:
- English
- Duration:
- 21:39