বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড ধ্বংসের তিনটে পথ
-
0:02 - 0:04একদিন এ মহাজগতের মৃত্যু হবে।
-
0:04 - 0:09কিন্তু কেন? আর কীভাবে? এবং
এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মরণ কি চিরকালের জন্যই হবে? -
0:09 - 0:11এসব আমরা কীভাবে জানি?
-
0:11 - 0:14সবার আগে বলি,
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড প্রসারিত হচ্ছে। -
0:14 - 0:17আর শুধু এটুকুই নয়,
এর প্রসারিত হবার গতি বেড়েই চলেছে। -
0:18 - 0:20কারন হলঃ dark energy.
-
0:20 - 0:25Dark energy হল এমন এক অদ্ভুত ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ব্যাপার
যা জগতে স্থায়ীভাবে থাকে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। -
0:25 - 0:30এমন ধারণা এল যতক্ষণ না পর্যন্ত ১৯৯৮ সাল অব্দি
আমরা ভাবতাম যে এ বিশ্বকে অবশ্যই কাজ করতে হবে অনেকটা -
0:30 - 0:31একটি বলের মত যেটিকে তুমি আকাশে ছুঁড়ে দিয়েছ।
-
0:32 - 0:35বলটি উপরে উঠে গেল, কিন্তু কোন একটি বিন্দুতে গিয়ে
এটি আবার নিচে নেমে এল। -
0:36 - 0:39তবে এ ব্রহ্মাণ্ডের প্রসরণ আসলেই বেড়ে চলেছে
-
0:40 - 0:43এটি অনেকটা একটি বল আকাশে ছুঁড়ে দিয়ে
তুমি দেখছ যে তা দূরে চলে যাচ্ছে -
0:43 - 0:45দ্রুত, আরও দ্রুত, আরও বেশি দ্রুত গতিতে।
-
0:45 - 0:47গতির এ ক্রমবৃদ্ধির ত্বরণ কোত্থেকে আসছে?
-
0:48 - 0:52বেশ, আমরা তা জানি না, তবে
আমরা একে “dark energy” নাম দিয়েছি। -
0:53 - 0:56Einstein প্রথম এটি ধরতে পেরেছিলেন আর
ধরে নিলেন এটি ফালতু কোন ব্যাপার। -
0:57 - 1:00এখন, জ্যোতির্পদার্থবিদগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে
এটি বিশ্বাসযোগ্য। -
1:01 - 1:05সমস্যা হল, এর সবই একদম তাত্ত্বিক ব্যাপার, আর
আমরা আসলেই জানি না যে, -
1:05 - 1:07dark energy'র বৈশিষ্ট্যটা কি।
-
1:07 - 1:11তবে এমন অনেক তত্ত্বই আছে যা
আমাদের নিয়ে যায় তিন ধরণের পরিস্থিতির দিকে -
1:11 - 1:13যেভাবে এ জগতের মৃত্যু হতে পারে।
-
1:20 - 1:21একঃ বৃহৎ বিচ্ছিন্নতা।
-
1:23 - 1:25জন্ম থেকেই, ব্রহ্মাণ্ড প্রসারিত হচ্ছেই।
-
1:26 - 1:29কোনো অজানা কারনে নিত্য-নতুন
শূন্যতার সৃষ্টি হয় সবখানে সমানভাবে। -
1:29 - 1:33ছায়াপথগুলোর মধ্যবর্তি শূন্যস্থান বাড়ে, যেন
তারা বিচ্ছিন্ন হতে পারে। -
1:34 - 1:38ছায়াপথের অন্তর্বর্তি স্থানও প্রসারিত হয়, তবে
এখানে, অভিকর্ষ এতোই শক্তিশালী যে, -
1:38 - 1:40এরা নিজেদের আর ধরে রাখতে পারে না।
-
1:40 - 1:44বৃহৎ বিচ্ছিন্নতার সময়, প্রসরণের মাত্রা ক্রমে বেড়ে
এমন বিন্দুতে পৌঁছুবে যেখানে, -
1:44 - 1:49স্থান প্রসারণের দ্রুততার প্রভাবে হওয়া ফাঁকা স্থান পূরণে
অভিকর্ষ আর কাজ করতে পারবে না। -
1:49 - 1:51ফলাফল এক বৃহৎ বিচ্ছিন্নতা।
-
1:52 - 1:55প্রথমে, কেবল বড়সড় জিনিস
যেমন ছায়াপথগুলো ছিন্নভিন্ন হবে, -
1:55 - 1:59আর সে সময় কোনো একক বস্তুর অন্তর্বর্তি
শূন্যস্থানও খুবই দ্রুত প্রসারিত হতে থাকবে। -
1:59 - 2:03এর পরে, অতিকায় শরীরের অধিকারীরা
যেমন ব্ল্যাক হোল্, নক্ষত্র আর গ্রহসকলের মরণ হবে। -
2:03 - 2:06তাদের মধ্যাকর্ষ নিজেদের একত্রে ধরে রাখবার জন্য
অতোটা শক্তিশালীও হবে না, -
2:06 - 2:08যার দরুন, তারা তাদের নানান উপাদানে
ভেঙে যাবে। -
2:09 - 2:12শেষে, স্থান আলোর গতির থেকেও
অধিক দ্রুত প্রসারিত হতে থাকবে। -
2:13 - 2:16এবার এটম প্রভাবিত হবার পালা,
আর এটিও ভেঙে যাবে। -
2:17 - 2:21একবার যখন স্থানের প্রসরণ আলোর চাইতে দ্রুত গতিকে
ধরে ফেলবে, তখন ব্রাহ্মান্ডের যেকোন পরমাণু -
2:21 - 2:23একে অন্যের সাথে আর কখনোই
মিথষ্ক্রিয়া করতে পারবে না। -
2:24 - 2:28এ ব্রহ্মান্ড অগণিত পদার্থের নিঃসঙ্গ পরমাণুতে
ভেঙে যাবে যা আর কোনো কিছুকেই স্পর্শ করতে -
2:28 - 2:32অক্ষম হয়ে পড়বে -
এই বর্ননাতীত অশেষ ব্রহ্মান্ডে। -
2:33 - 2:36হুম্ম্..., আর তুমি নিজেকে নিঃসঙ্গ ভাবছো!
-
2:37 - 2:40দুইঃ
উত্তাপে মৃত্যু অথবা একটা বৃহৎ শীতলায়ন। -
2:41 - 2:44সংক্ষেপে, বৃহৎ বিচ্ছিন্নতা এবং
উত্তাপে মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য হল -
2:44 - 2:48উত্তাপে মৃত্যুর ক্ষেত্রে
পদার্থ অটুট রয়ে যায় এবং -
2:48 - 2:52অবিশ্বাস্যরকম দীর্ঘ সময় ধরে শক্তির বিকিরণে
রূপান্তরিত হতে থাকে তবে সসীম সময়ের গণ্ডিতে, -
2:52 - 2:54যখন জগৎ চিরদিনের জন্য প্রসারিত হতে থাকছে।
-
2:54 - 2:57কিন্তু এসব কিকরে ঘটে?
এবার এনট্রপির ব্যাপারে বলা যাক। -
2:58 - 3:01প্রতিটি ক্ষেত্রে পদ্ধতি উচ্চতর
এনট্রপির মধ্য দিয়ে যায়, -
3:01 - 3:04অনেকটা ম্যচ্চিঅ্যাটো'র মত।
-
3:04 - 3:08প্রাথমিক অবস্থাতে, এতে আলাদা আলাদা জিনিস
থাকে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এসব -
3:08 - 3:10ঠাণ্ডা হয়ে ভেঙে মিশে যায়, যতক্ষণ না পর্যন্ত
এটি এক স্থিতাবস্থায় আসছে। -
3:11 - 3:13আর এটি ব্রহ্মাণ্ডের বেলায়ও প্রযোজ্য।
-
3:14 - 3:16তাই, জগৎ যখন বৃহৎ থেকে বৃহৎতর হয়ে চলেছে,
-
3:16 - 3:19পদার্থগুলি যেন ততোই ধীর গতিতে
ক্ষয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে। -
3:20 - 3:25একটা সময়ে এসে, নক্ষত্রের বহু জন্ম-জন্মান্তর পর,
নক্ষত্র গঠনের জন্য দরকারি -
3:25 - 3:30সকল গ্যাসীয় মেঘ ক্ষয়ে যাবে,
এতে জগতের আঁধার ঘনিয়ে আসবে। -
3:31 - 3:32টিকে যাওয়া আর সব সূর্যগুলিরও
মরণ হবে; -
3:33 - 3:38ব্ল্যাক্ হোল্ বিকীর্ণ আর উবে যেতে থাকবে
ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন বছর ধরে। -
3:38 - 3:41এটি হবে, এখন যা হকিং রেডিয়েশন নামে পরিচিত
তার জন্য। -
3:42 - 3:47এসব কীর্তি-কলাপ যখন শেষ হবে তখন কেবল
ফোটনের এক পাতলা গ্যাস আর আলোক কণাই অবশিষ্ট রইবে, -
3:47 - 3:50যতক্ষণ না পর্যন্ত তাও ক্ষয়ে
শেষ হয়ে যাচ্ছে। -
3:51 - 3:54জগতের সকল লীলাখেলা এখানে এসে ক্ষান্ত হবে;
-
3:54 - 3:59এনট্রপি এর সর্বোচ্চ পর্যায়ে এসে যাবে আর
জগতের চিরকালের মরণ হবে। -
4:00 - 4:03অবশ্য যদি না, তত্ত্বগতভাবে
এটি সম্ভব হয়ে যায় -
4:03 - 4:05যে, এক দীর্ঘ সময় পেরিয়ে
-
4:05 - 4:10এক স্বত: স্ফূর্ত এনট্রপিতে সব কমতে থাকবে , আর
এর কারণ হিসেবে থাকবে এমন কিছু যা -
4:10 - 4:13"কোয়ান্টাম গহ্বর" নামে পরিচিত, আর এসব
জগৎকে নতুন এক বৃহৎ বিস্ফোরণের দিকে ঠেলে দেবে। -
4:15 - 4:18তিনঃ বৃহৎ সংকোচন এবং বৃহৎ পুনরুত্থান।
-
4:18 - 4:21এক হল এক বিশাল পুনরুত্থানের ব্যাপার।
-
4:21 - 4:26যদি dark energy আমাদের আন্দাজের চাইতে কম থাকে
কিংবা সময়ের সাথে কমে যায়, তবে মহাকর্ষজ বল -
4:26 - 4:28একদিন ব্রহ্মন্ডের একাধিপত্য শক্তিতে
পরিণত হবে। -
4:28 - 4:31কয়েক ট্রিলিয়ন বছরে,
ব্রহ্মাণ্ডের প্রসরণের হার -
4:31 - 4:33কমে গিয়ে বন্ধ হয়ে যাবে।
-
4:33 - 4:35তারপর, ঘটনা উল্টে যাবে।
-
4:35 - 4:39ছায়াপথসমূহ পরস্পরের সাথে গতির
প্রতিযোগিতায় নামবে, এতে ব্রহ্মাণ্ড -
4:39 - 4:40ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হতে থাকবে।
-
4:40 - 4:44যেখানে ক্ষুদ্রতম জগতের মানে হল আরও
উত্তপ্ত জগত, সেখানে তাপ বেড়ে -
4:44 - 4:45সবখানে একসাথে ছড়িয়ে যাবে।
-
4:46 - 4:49বৃহৎ সঙ্কোচনের একশ' হাজার বছর আগে থেকেই
উৎসেচক বিকিরণ, -
4:49 - 4:52বেশিরভাগ নক্ষত্রের পৃষ্ঠের চাইতে আরও
উত্তপ্ত হয়ে উঠবে, যার মানে দাঁড়ায় -
4:52 - 4:54তাদের বাইরের আবরণ দিয়েই
এরা নিজেরা রান্না হতে থাকবে। -
4:55 - 4:58বৃহৎ সঙ্কোচনের মিনিটখানেক আগে,
এটমের অন্তঃস্থল ছিঁড়েখুঁড়ে যাবে, -
4:58 - 5:00আর এসব শেষ হবে এক অতি ভরসম্পন্ন
বৃহৎ ব্ল্যাক্ হোল্ সবকিছুকে গিলে নেবার আগেই। -
5:01 - 5:05চূড়ান্ত পর্যায়ে, অতি ভরসম্পন্ন এক অতিবৃহৎ ব্ল্যাক্ হোল্এর
অভ্যন্তরে সকল ব্ল্যাক্ হোল্ এক হয়ে যাবে -
5:05 - 5:08আর এটিতে ব্রহ্মাণ্ডের যাবতীয় ভর থাকবে,
-
5:08 - 5:11এবং বৃহৎ সঙ্কোচনের পূর্বমুহুর্তে
-
5:11 - 5:14এটি পুরো ব্রহ্মাণ্ডকে গিলে নেবে, নিজেকে সুদ্ধ।
-
5:15 - 5:18বৃহৎ পুনরুত্থান তত্ত্ব বলে যে
এসব বহুবার হয়েছে -
5:18 - 5:21এবং জগৎ বয়ে চলেছে প্রসরণ আর সংকোচনের এক
-
5:21 - 5:22অসীম চক্রের মধ্য দিয়ে।
-
5:23 - 5:25বেশ, শুনতে ভালোই লাগছে তাই না?
-
5:25 - 5:28সুতরাং, অন্তিম কালে ব্রহ্মান্ডের
কোনটি ঘটবে? -
5:28 - 5:33এ মুহুর্তে, উত্তাপে মৃত্যু হবে বলেই বেশি মনে হচ্ছে, তবে
Kurzgesagt এর সাথে আমরা এই আশায় আছি যে, -
5:33 - 5:38এই "চিরকালের মৃত্য" ব্যাপারটা ভুল হবে এবং
এ মহাজগৎএর সূচনা বারবার হতেই থাকবে। -
5:39 - 5:42সব ক্ষেত্রে আমরা কিছুই নিশ্চিত জানি না, তবে
আপাতত শুধু ভেবে নাও যে, -
5:42 - 5:44বৃহৎ পুনরুত্থানের গল্পটাই সত্যি।
-
5:48 - 5:51আরেকটা কথা,
আমাদের একখানা টুইটার একাউন্ট আছে।
- Title:
- বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড ধ্বংসের তিনটে পথ
- Description:
-
জগতের মৃত্যু ঘটবে কীভাবে?
সকলেই মরবে। মহাবিশ্বও মরবে? সম্ভবত হ্যাঁ। সবকিছু শেষ হয়ে যাবার সঠিক কারণ কোনটা? এবং এসব তত্ত্বগুলো কতোটা রহস্যময়? (Spoiler: very creepy). তবে এতে আশার বানীও থাকতে পারে...
Follow us on Twitter:
https://twitter.com/Kurz_GesagtNext Video: March 3rd. Topic: The Big Bang (which concludes our mini series about the universe)
Short videos, explaining things. For example Evolution, the Universe, Time, the Stock Market or controversial topics like Fracking. Because we love science.
We would love to interact more with you to figure out what topics you want to see. If you have a suggestion for future videos or feedback, drop us a line! :D
We're a bunch of Information designers from munich, visit us on twitter, facebook or behance to say hi!
https://twitter.com/Kurz_Gesagt
https://www.facebook.com/Kurzgesagt
http://www.behance.net/PhilippDettmer
Will the Universe Die?
Three Ways to Destroy the Universe
- Video Language:
- English
- Duration:
- 06:17
Koushik Roy edited Bengali subtitles for Three Ways to Destroy the Universe | ||
Koushik Roy edited Bengali subtitles for Three Ways to Destroy the Universe | ||
Koushik Roy edited Bengali subtitles for Three Ways to Destroy the Universe | ||
Koushik Roy edited Bengali subtitles for Three Ways to Destroy the Universe | ||
Koushik Roy edited Bengali subtitles for Three Ways to Destroy the Universe |