-
"আমরা যতই দূর থেকে দূরে গেলাম,
-
"পৃথিবী ছোট হতে হতে একটা মার্বেলের রূপ নিল",
"কল্পনাতীত সুন্দর মার্বেল"
-
"জীবন বদলে দেবার মত এ দৃশ্য।"
(জেমস আরওইন- এ্যাপলো ১৫)
-
পৃথিবী আর চাঁদের যুগল ছবি যদি খুঁজে দেখেন
-
সব ছবিতেই দেখবেন, তারা খুব কাছাকাছি
-
অনেকটা এরকম
-
কিন্তু বাস্তবে, পৃথিবী আর চাঁদ
-
প্রায় এই দুরত্বে থাকে,
যদি এই আকারে নামিয়ে আনি
-
এই একই ধারনাটা সৌরজগতের জন্য প্রয়োগ করলে দেখব
-
সৌরজগতের যত ছবি আমরা এযাবৎ দেখেছি,
একটাও তুলনামূলকভাবে ঠিক না
-
যদি কক্ষপথগুলো এক পৃষ্ঠায় আঁকি, গ্রহগুলো হয়ে যাবে
-
আনুবিক্ষণিক ছোট, কিছুতেই তা দেখা যাবে না
-
আক্ষরিক অর্থেই, এমন কোন ছবি নাই
-
যা সৌরজগতের আসল ব্যাপ্তি দেখাতে পারে
-
সঠিক তুলনামূলক সৌরজগত দেখার একমাত্র উপায়,
তা তৈরী করা
-
ব্ল্যাক-রক মরুর বুকে স্বাগতম
-
এ হচ্ছে এলেক্স আর আমি ওয়াইলি, ও থাকবে ক্যামেরার পিছনে
-
আর আমি থাকব ক্যামেরা সামনে
ভুলভাল করার কাজে
-
আমাদের হাতে ৩৬ ঘন্টা সময় -
সব দুরত্ব ঠিকভাবে মাপতে,
-
কক্ষপথগুলা দাগ কেটে বসাতে, আর কাছাকাছি
এক পাহাড়ের উপর থেকে টাইম-লাপস্ ছবি নিতে
-
এইরকম একটা মার্বেল সাইজের পৃথিবী দিয়ে
তুলনামূলক সৌরজগত মডেল করতে
-
খালি জায়গা লাগবে সাত মাইলের মত।
-
এ কারণেই আমরা এখানে আসছি।
-
তো, তোমরা কি কারণে আসছো?
-
আমার কোন চাকরি-বাকরি নাই
-
মার্বেল পৃথিবীর তুলনায়, সূর্য হবে দেড় মিটার,
অনেকটা... এইরকম বড়
-
আমরা এখন চলছি বুধ গ্রহের দিকে
-
আর, আমরা পৌঁছলাম।
-
(বুধ)
-
শুক্রগ্রহ পৃথিবীর সমান আকারের
-
( সূর্য.. বুধ.. শুক্র..)
-
বিশ্বটা আমার পকেটের কোথাও আছে
-
আর.. পৃথিবী
-
এইটা মঙ্গল,
-
যার উপর দুইখান রোবট চরে বেড়াচ্ছে
-
টাইম-লাপস্ তৈরী হয়ে গেলে
আমরা অরবিটগুলো বাতি নিয়ে ঘুরব
-
আশা করি বুঝা যাবে, সেগুলা আসলে কত বড়
-
চলছি বাইরের গ্রহগুলার দিকে
-
বৃহস্পতি
-
শনি
-
ওই পিচ্চি আলোটা , ওইটা আমাদের সূর্য,
এক মাইলেরও বেশী দূরে
-
(ইউরেনাসের অরবিট)
-
সূর্য এখন অনেক অনেক দূর
-
(ইউরেনাস)
-
(নেপচুন) এটা হলো সৌরজগতের প্রান্তসীমা
-
(নেপচুনের কক্ষপথ)
-
(নেপচুনের কক্ষপথ - ৫.৬ কি.মি. /৩.৫ মাইল)
-
এখন ভোর সাতটা
-
আমার জেগে উঠলাম সূর্য উঠার ঠিক আগে
-
আমরা দাঁড়িয়ে আছি পৃথিবীর কক্ষপথে
-
ওয়াইলি ওখানে সূর্য নিয়ে দাঁড়ায়ে আছে
-
সূর্যোদয়ের নাটকীয় সংগীত শুরু
-
তো, আমরা যদি আমাদের মডেল
ঠিকভাবে বানিয়ে থাকি
-
মডেল পৃথিবী থেকে দৃষ্টিকোণ
-
বাস্তবের পৃথিবীর দৃষ্টিকোণের সাথে মিলে যাবে
-
তো, যদি সূর্যের দিকে ফিরে তাকাই
-
দেখবেন, মডেল সূর্য আর আসল সূর্য
একেবারে সমান আকারের
-
এভাবে বলা যায়, আমাদের মডেল সঠিক
-
মানব প্রজাতির পুরো ইতিহাসে মাত্র ২৪জন আছে
-
যারা সচক্ষে পৃথিবীর পুরো বৃত্তটা দেখেছে
-
সংবাদ:"সকালের নাস্তা শেষে নভোচারীরা তাদের স্পেসস্যুট রাখার রুমে গেলেন.."
-
ক্রংকাইট: "এই চাঁদে যাবার জন্য মানব চেষ্টা..."
-
ঘোষনা:" আমরা উড়লাম। উড়লাম ৭.৫১মিনিটে"
-
পৃথিবীর কাছাকাছি অরবিটে, দিগন্ত কেবল একটু
বেশী বাঁকানো
-
যখন আপনি চাঁদের দিকে যাবেন
-
দিগন্ত বাঁকতে বাঁকতে পুরো গোল হয়ে যাবে
-
আর, হঠাৎ আপনি যা দেখবেন
-
অদ্ভুত কিন্তু, খুবই খুবই পরিচিত দৃশ্য
-
নভোচারী:"ও খোদা! ওইদিকের ছবিটা দেখেন"
-
" ওয়াও! কি সুন্দর !"
-
আপনি বুড়ো আঙ্গুল তুলে
-
পুরো পৃথিবী ঢেকে দিতে পারবেন
-
জীবনে যা কিছু আপনি দেখেছেন চিনেছেন
-
সবটাই আপনা বুড়ো আংগুলের আড়ালে
-
এর চেয়ে একটু বেশী না, উপরে উঠলে
-
আসলেই খুব সুন্দর
-
মানে, আপনি কেঁদে দিতে পারেন
-
ঠিক এই বিষয়টা আমি তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি
-
আমরা বিশাল শুন্যে ভেসে আছি , এক মার্বেলের উপর,
-
যখন এইটা আপনার চোখের সামনে আসবে, আপনি..
-
আপনি নির্বাক হয়ে যাবেন