পোলিও হচ্ছে একটি রোগ যার ফলে একেবারের জন্য প্যারালাইসিস হয়। আমরা এটির চিকিৎসা করতে পারিনা, তবে আমরা এটি প্রতিরোধ করতে পারি। দুইটি প্রয়োজনীয় বিষয় পোলিও প্রতিরোধে সাহায্য করে। দুইটি নিরাপদ, কার্যকরী টিকা। এর একটি টিকা শুধু দুই ফোঁটা দেয়া হয় একটি শিশুর মুখে, যেটিকে বলা হয় মুখের পোলিও টিকা। আরেকটি দেয়া হয় একটি ইনজেকশনের মাধ্যমে, যেটিকে বলা হয় নিষ্ক্রিয় পোলিও ভাইরাস টিকা। এই দুটিই শিশুদের শরীরকে পোলিও ভাইরাসের সাথে মোকাবিলা করতে শেখায়। তবে এটি দুটি ভিন্নভাবে করা হয়ে থাকে। মুখের পোলিও টিকাটি শিশুর নাড়িতে সুরক্ষা তৈরি করে। এটি কেবল সেই শিশুটিকে সুরক্ষাই দেয়না, বরং সেই শিশুর আশেপাশের সবাইকে সুরক্ষিত রাখে। প্রতিটি শিশুকে মুখের পোলিও টিকার কয়েকটি ডোজ্ দেয়া প্রয়োজন যেইসব এলাকায় পোলিও একটি হুমকি। টিকার ইনজেকশনটি নাড়ির বদলে রক্তে সুরক্ষা প্রদান করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন দেশকে পোলিও মুক্ত রাখে। তবে এটি শিশুদের মধ্যে পোলিও ছড়ানো থামাতে পারেনা, তাই যেসব এলাকায় এখনও এই ভাইরাস রয়েছে সেখানে এটি এতটা কার্যকর নয়। আমাদের মুখের টিকাটি প্রয়োজন যেন এই ভাইরাসটি পাওয়ামাত্রই থামানো যায়। যখন পোলিও সবজায়গায় নির্মূল হবে, তখন নিষ্ক্রিয় পোলিও ভাইরাস টিকাটি আপনাতেই ব্যবহার করা যাবে সবাইকে সুরক্ষিত রাখতে। এই দুইটি টিকাই নিরাপদ এবং কার্যকরী হিসেবে অনুমোদিত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দ্বারা। এদের কাজ ঠিকমতো করতে হলে, সকল শিশুকে টিকা দিতে হবে তারা যেখানেই বসবাস করুক না কেনো। এই টিকাগুলোকে ধন্যবাদ কারণ সারা বিশ্বে পোলিওর কেসগুলো ৯৯% এরও বেশি কমেছে। আসুন সকল শিশুকে টিকা দিই! আসুন একেবারের জন্য পোলিও নির্মূল করি!