বিবর্তন যেভাবে কাজ করে
বিবর্তন কাকে বলে?
বিবর্তন হল পৃথিবীতে প্রাণের ক্রমবিকাশ
বিবর্তন এমন একটি প্রক্রিয়া যা কোটি বছর আগে
শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত চলছে
বিবর্তনবাদ আমাদের জানায় কিভাবে এত বিপুল
বৈচিত্র্যের জীবনের সৃষ্টি সম্ভবপর হয়েছে
আমরা দেখতে পাই কিভাবে আদিম প্রোটোজোয়া
থেকে আজকের লক্ষাধিক প্রজাতির বিকাশ হল
দু'টি ভিন্ন প্রজাতির কুকুর একসাখে দেখলে যে প্রশ্ন
আমরা সবাই করি, বিবর্তনবাদ সে প্রশ্নের উত্তর
কিভাবে কোন প্রাণীর সম্পূর্ণ ভিন্নদর্শন অবয়বের
উত্তরসুরী থাকা সম্ভব?
এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা প্রাণীজগতের দিকে তাকাই,
উদ্ভিদ ও ফাংগাসের মত অন্যান্য জীবন বাদ দিয়ে
প্রথম প্রশ্নঃ কিভাবে কোন প্রাণী সম্পূর্ণ অন্য
প্রজাতির প্রাণীতের পরিণত হয়?
আরেকটা প্রাসঙ্গিক জিজ্ঞাসা, প্রজাতি বলতে
আমরা আসলে কি বুঝি?
প্রজাতি হল প্রাণীদের একটা গোষ্ঠী যারা নিজেদের
মধ্যে সন্তান উৎপাদনে সমর্থ
যে বংশধরেরা একইভাবে প্রজননক্ষম
এই উত্তরটি আরো ভালোমত বুঝতে
আমাদের কিছু বিষয় জানা প্রয়োজন
প্রাণীদের স্বাতন্ত্র্য নিশ্চিত হয় প্রয়োজনের অতিরিক্ত সন্তানজন্মদান আর বংশগতির মাধ্যমে
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আমরা
আলোচনা করবোঃ নির্বাচন(selection)
স্বাতন্র্য দিয়ে শুরু করা যাক, প্রত্যেক প্রাণীই স্বতন্ত্র
আর এই গুণ বিবর্তনের জন্য আবশ্যক
কোন প্রজাতির সদস্যরা দেখতে হয়তো কাছাকাছি
রকমের হয়
কিন্তু, তারা সবাই সামান্য মাত্রার বৈশিষ্ট্যগত ও
গুণগত ভিন্নতার অধিকারী
তারা হতে পারে তাদের সঙ্গীদের থেকে একটু বেশী বড়, মোটা, শক্তিশালী বা সাহসী
এই ভিন্নতার কারণ কি?
একটা প্রাণীকে নিগূঢ়ভাবে দেখা যাক
প্রত্যেক প্রাণী কোষ দিয়ে তৈরি,
এই কোষগুলোর প্রত্যেকের আছে নিউক্লিয়াস
নিউক্লিয়াসের মধ্যে থাকে ক্রোমোজম,
ক্রোমোজম ধারণ করে ডিএনএ(DNA)
ডিএনএ তৈরী হয় জিন(Gene) দিয়ে, এই জিন
বহন করে জীবনের তথ্য
তারা ধারণ করে কোষের বিন্যাস আর নির্দেশনা,
ঠিক করে প্রাণীর গুণ আর বৈশিষ্ট্যগুলো
যথাযথভাবে বলতে গেলে, ডিএনএ ই
হল প্রত্যেক প্রাণীর স্বাতন্ত্র্য
এটা এক প্রাণী থেকে আরেক প্রাণীতে সামান্য ভিন্ন
আর এটিই প্রত্যেকের ভিন্নতার জন্য দায়ী
কিন্তু এত বিন্যাসের ডিএনএর সৃষ্টি হল কিভাবে?
একটা মূল কারণ হল প্রয়োজনের অতিরিক্ত
সন্তান উৎপাদন
আশেপাশের প্রাণীদের আমরা প্রয়োজনের চেয়েও
অনেক বেশী সন্তান জন্ম দিতে দেখি
যাতে তাদের প্রজাতি টিকে থাকে, এর মধ্যে
অনেক সন্তানেরই মৃত্যু হয় অল্পবয়সে