“এই দেশে সবার শেখা উচিৎ কীভাবে কম্পিউটার প্রোগ্রাম করতে হয়...
কারণ এটি তোমাকে চিন্তা করতে শেখায়।” - স্টিভ জবস
বড় হয়ে তুমি কী হতে চাও অলিভিয়া?
নভোচারী
আমি ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চাই।
একজন বাস্কেটবল খেলোয়াড়
আমি অভিনেতা হতে চাই।
ডাক্তার।
একজন শিক্ষক।
বাবুর্চি।
শিল্পী।
বড় হয়ে তুমি কী হতে চাও?
মৎসকুমারী!
তুমি কি জানো একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার কি?
হ্যা... না
না
উমমমম,না
আমার মনে হয় এর মধ্যে কোডিং আছে যা রহস্যভেদ করতে পারে।
আমার মনে হয় তারা…
উম, দাড়াও, কী?
... কম্পিউটার প্রোগ্রামার?
... না। ...
এখনকার দিনে সবকিছুতেই কিছুনা কিছু প্রোগ্রামিং থাকেই।
তো, সেটা কী?
মূলত প্রোগ্রামিং হচ্ছে তুমি কম্পিউটারকে দিয়ে কি করাতে চাও তা ব্যাখ্যা করা।
যখন তুমি প্রোগ্রামিং কর, সম্ভবত তুমি শেখাচ্ছো। বিশ্বের সবচেয়ে বোকা জিনিস,
একটি কম্পিউটার, কিভাবে কিছু করতে হয়।
প্রোগ্রামিং বিশ্বের একমাত্র জিনিস যার মধ্যমে
তুমি বসে কিছু তৈরি করতে পারো, নতুন স্ক্রাচ থেকে শুরু করে
যা তুমি চাও।
এটা সত্যিই একটি যন্ত্র বাজানো অসদৃশ নয় অথবা কোন খেলার মত।
শুরু করতে খুব ভয় লাগে, কিন্তু এটা ধিরে ধিরে সময়ের সাথে হাতে চলে আসবে ।
কোডিং এমন একটি জিনিস যা শেখা যায়।
আমি জানি এটা ভয়ংকর হতে পারে, এবং অনেক কিছুই তো ভয়ংকর।
কিন্তু কি ভয়ংকর না ?
অনেক কোডিং যা মানুষ করে আসলে মোটামুটি সহজ হয়।
এটা অনেকটা সমস্যা ভাঙ্গার প্রক্রিয়া ,
তার পর জটিল অ্যালগরিদমে নিয়ে আসা হচ্ছে সাধারন ভাবে মানূষ যা ধারণা করে।
আচ্ছা যদি এটি মোটামুটি সহজ হয়, কেন আমাদের মধ্যে আরো অনেকে এটি করছে না কেন ?
আগামী ১০ বছর পরে কম্পিউটার সায়েন্স এর ১.৪ মিলিওন চাকরী থাকবে
এবং ৪০০,০০০ গ্র্যাডস যোগ্যতা সম্পূর্ণ হবে ঐ চাকরীর জন্য।
এখানে ১ মিলিয়ন মানূষ এর স্বল্পতা।
তাহলে আমরা কীভাবে শুরু করব ?
শৈশবে আমি মানচিত্র নিয়ে আবিষ্ট ছিলাম।
বিশেষ করে শহরের মানচিত্র।
সুতরাং আমি নিজে কিভাবে প্রোগ্রামিং করতে হয় শিখলাম।
আমার একটি স্পষ্ট লক্ষ্য ছিল যে, আমি কি করতে চাই,
যা ছিল এমন কিছু আবিষ্কার করা যার স্ক্রিন এ শহরের মানচিত্র দেখা যাবে এবং খেলা যাবে।
মানচিত্রে কিছু করা, যেগুলোকে মানচিত্রে সরানো যাবে,
শহরে কি ঘটছে দেখা যাবে। এটা কিভাবে কাজ করে,
কিভাবে জীবনযাপন করে, কিভাবে নিঃস্বাস নেই।
প্রথমে উত্তম কাজটি ছিল মূলত সফটওয়্যার ব্যবহার করা
স্কুল এ কখন ক্লাস হবে এটা জানতে।
এবং ইহা আমাকে এমন অবস্থায় ফেলতো যে কোন মেয়ে ক্লাস এ আছে এটা সিদ্ধান্ত নিতে।
আমি প্রথম যে প্রোগ্রামটা লিখেছিলাম তা
কিছু প্রশ্ন করত যেমন- তোমার প্রিয় রঙ কি বা তোমার বয়স কত এরকম ।
আমি প্রথম শিখেছিলাম কিভাবে মনিটরে(পর্দায়) একটা সবুজ বৃত্ত বা লাল রঙ এর চতুর্ভুজ আকা যায়।
আমি একটা কম্পিউটারকে দিয়ে বলাতে পেরেছিলাম “ হ্যালো পৃথিবী ” ।
বেপারটা প্রথমে আমাকে খুব অবাক করে দিয়েছিল।
যখন শেষ পর্যন্ত একটু একটু প্রোগ্রামিং শিখলাম, সাদা পর্দাটা সরে গিয়ে অনেক গুলো দরজা হয়ে গেল।
এবং যাদের তুমি খোলো এবং অবশেষে তুমি অনেক দরজা খুলতে আরম্ভ কর যা দিয়ে আলো আসে।
এবং আমার কাছে, একটি পূর্ণাঙ্গ প্রোগাম একটি গঠনের মতো যা আলোতে পরিপূর্ণ।
সব কোণাগুলো উদ্ভাসিত এবং যার গঠন তুমি বুঝতে পারো।
এটা একটি শান্ত অনুভূতি যে এটা সম্পন্ন হয়েছে।
এটা অনুধাবন করতে কিছু সময় লেগেছে যে, নিজের হাতে কিছু আবিষ্কার করা,
অথবা কোড আবিষ্কার, প্রোগ্রাম তৈরী।
একটি ব্যতিক্রমী প্রক্রিয়া সৃজনশীলতা প্রকাশ করার জন্য।
আমার এখন মনে হয় মানুষের মধ্যে এখন নতুন নতুন জিনিস আবিস্কারের একটা অভ্যাস তৈরি হয়ে গিয়েছে ।
মানুষ যারা তাদের নিজেদের স্কার্ভ এবং টুপি তৈরী করে,
যারা নিজেদের অ্যাপস নিজেরাই তৈরী করে।
এখন এটা শুধু আপনার কল্পনা দ্বারা সীমাবদ্ধ।
এবং এমন কিছু ধারণা, এমন কিছু উদ্ভাবনী শক্তি তৈরী করতে পারো
এমন কিছু বোধশক্তি তৈরী করতে পারো কম্পিউটার এর মধ্যে
এ সমস্ত জিনিস করার জন্য যা পূর্বে অসম্ভব ছিল।
সব মহান জিনিস তৈরী হয় দলগত ভাবে
এবং যখন তুমি সুদর্শন লোকজনদের সাথে কাজ কর।
তুমি তোমার পরীক্ষা করছো, তোমরা একজন আরেকজন কে চাঙ্গা করছো,
এটায় আমাদের সফল করে তুলে।
এটি কারো প্রতিভার ঝলক না যে ৩ সপ্তাহ ধরে দিনে ২৪ ঘণ্টা কোড করে।
যাদু হয় যখন আমরা সবাই একই পৃষ্ঠায় থেকে এক সাথে সহযোগীতা করে তৈরী করি।
পৃথিবীতে আরো অনেক বেশি দরকার ইঞ্জিনিয়ারদের এবং তাদের যারা কোড করে,
পরে সেখানে কি সরবরাহ করা হবে।
এবং তাই আমরা সবাই বাঁচি এসব মুগ্ধ জীবনে।
খুব ভাল সম্প্রদায় পাওার জন্য আমরা চেষ্টা করি তৈরী করতে অফিস যত বেশী অসাধারণ করা সম্ভব।
[ ভীতু না হলে তুমি কি করতে ?]
আমাদের চমত্কার পাচক আছে।
বিনামূল্যে খাবার।
সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং সান্ধ্যভোজন।
বিনামূল্যে ধোপাখানা।
হাল্কা নাস্তা।
খেলার জায়গা, ভিডিও গেমস এবং স্কুটার ও আছে।
এখানে সব ধরনের মজার জিনিস আছে অফিসের আশেপাশে।
এবং এমন জায়গা রয়েছে যেখানে মানুষ খেলতে অথবা আরাম করতে পারে।
অথবা গান বাজাতে পারো, অথবা সৃজনশীল হতে পারো।
আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো অফিসে গিয়েছিলাম,
এবং সেখানে কাজের তিনটি সুজোগ আছে।
সরকারের জন্য কাজ কাজ করে
সাধারণ মানের প্রযুক্তির কাজ,
কিন্তু খুব কম সংখ্যক মানুষ (এরা সব থেকে বেশী সংখ্যক মানুষ) আছে যারা
এই খোলস থেকে নিজেদের বের করে আনতে পারে যা প্রত্যেক ইন্ড্রাস্টির জন্য জরুরি।
এবং এটা কি ? কম্পিউটার সব জায়গাতেই!
তুমি কি কৃষিতে কাজ করতে চাও ?
তুমি বিনোদন নিয়ে কাজ করতে চাও ?
তুমি উত্পাদনে কাজ করতে চাও ? এটি সব জায়গাই।
এখন আমরা, ২০১৩-এ, এবং আমরা যোগাযোগ করার জন্য ও প্রযুক্তির উপর নির্ভর করি,
ব্যাংকে।
তথ্য। এবং আমাদের মধ্যে কেউই কোড পড়তে এবং লিখতে জানি না।
সুতরাং তোমাদের বলছি, আর কি ? আর কার ধারনা আছে আমরা আমাদের প্রোগ্রামে আর কি পরিবর্তন করতে পারি ?
আমরা আর কি করতে পারি ?
তিফানি?
আমার ছাত্রছাত্রীরা স্ক্রেচ ও প্রোগ্রামিং ক্লাস থেকে যা শিখে বের হয় ।
তা হল, তারা সমস্যা সমাধানে নিজেদের সামনে পুশ করতে প্রবল আগ্রহী।
এটা সত্যিই ক্রিটিক্যাল চিন্তায় সাহায্য করে।
এটা আরও সমস্যা সমাধানের ভীত তৈরি করে।
এবং এটি এমন কিছু যা ওরা পারে তারপর ওরা এটি শ্রেণীকক্ষে গণিতে প্রয়োগ করতে পারে। অথবা তাদের পড়ার দক্ষতা।
আমরা বিজ্ঞ্রানকে প্রোগ্রামিং এর অংশ করেছি এবং আমি দেখলাম আমার ফলাফল ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
যখন আমি স্কুলে ছিলাম স্কুল এর পরে Whiz Kids নামে একটি ক্লাবে ছিলাম।
এবং যখন মানূষ জানতে পারে তারা আমাকে অপহসিত করতো। তোমরা এই বেপারে জানই।
এবং আমি ছিলাম, আরে আমি এগুলো ধারধারি না। আমার মনে হয় এটি জোস।
তুমি জানো আমি অনেক কিছু শিখছি এবং আমার কিছু বন্ধুর চাকরী ও আছে।
এটি এই সকল শিশুদের জন্য দরকার।
এটি অত্যাবশ্যক হওয়া উচিৎ।
এই পৃথিবীতে নাগরিক হওয়া জন্য,
কোড পড়া এবং লেখা !
আমি মনে করি তোমার ছোট থেকে শুরু করতে হবে।
এটি একটি বড় ভ্রান্ত ধারনা কম্পিউটার সায়েন্স এবং প্রোগ্রামিং এর সম্পর্কে যে
তোমার বড় বড় তথ্য জানতে হবে কিছু করতে পারার আগে।
তোমার কোডিং শিখার জন্য অনেক মেধাবী হবার দরকার নেই কিন্তু যেটা দরকার সেটা হল মনের অনেক প্রচেষ্টা বা অধ্যবসায় ।
যোগ, বিয়োগ, এইসব ই
তুমি হয়তো নামতা জানো।
তোমার মেধাবী হওয়ার দরকার নেই কোডিং করার জন্য।
তোমার কি পড়ার জন্য মেধাবী হওয়া দরকার ?তোমার কি গণিত করার জন্য মেধাবী হওয়া দরকার ?
তোমার কি গণিত করার জন্য মেধাবী হওয়া দরকার ?
না।
আমি মনে করি যদি কেও আমাকে বলতো যে সফ্টওয়্যার মানবতা সম্পর্কে সত্যিই হয়।
যে এটি সত্যিই মানূষকে সাহায্য করা কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহার করে।
এটি আমার দৃষ্টিভঙ্গি আরো অনেক আগে পরিবর্তন করতো।
যদি তুমি অনেক টাকা উপার্জন করার চেষ্টা কর কিংবা তুমি শুধু পৃথিবীকে পরিবর্তন করতে চাও
কম্পিউটার প্রোগ্রামিং অবিশ্বাস্যভাবে ক্ষমতায়ন দক্ষতা শেখার জন্য।
আসলে একটি ধারণা নিয়ে আসতে পারা এবং তারপর তোমার হাতের মধ্যে দেখ,
তারপর একটি বোতাম চাপো এবং এটা মিলিয়ন হাতে দিয়ে দাও।
আমার মনে করি আমরাই পৃথিবীর প্রথম প্রজন্ম যারা এই অভিজ্ঞতা সত্যিই পেয়েছি।
কালকের প্রোগ্রামাররা ভবিষ্যতের যাদুকর।
বাকি সবার তুলনায় তোমাদের জাদু ক্ষমতা সক্ষম দেখাবে।
আমি মনে করি এটি আশ্চর্যজনক।
আমার মনে হয় এটি আমাদের সবচেয়ে কাছের পরাশক্তি।
যারা ভালো কোডার, তারাই আজকের দিনের তারকা !
সত্যই !