আমার নাম টেইলর উইলসন।
আমার বয়স ১৭ বছর।
এবং আমি একজন পারমাণবিক পদার্থবিদ,
যা বিশ্বাস করা হয়তো একটু কঠিন, কিন্তু আমি তাই।
এবং আমি বলতে চাই যে
পারমাণবিক সংযোজন
হবে সেই বিন্দু,
যে সেতুবন্ধননের ব্যাপারে টি. বুন পিকেন্স কথা বলেছেন
যেখানে আমাদের নিয়ে যাবে।
সুতরাং নিউক্লিয়ার সংযোজন আমাদের শক্তির ভবিষ্যৎ।
এবং দ্বিতীয়ত,
তরুণরা আসলেই পৃথিবী বদলে দিতে পারে।
সুতরাং আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন--
(হাততালি)
আপনারা আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন,
তো তুমি কিভাবে জান আমাদের শক্তির ভবিষ্যৎ কি?
আমি একটি সংযোজন চুল্লি তৈরি করি
যখন আমার বয়স ১৪ বছর।
ওটা হলো আমার পারমাণবিক সংযোজন চুল্লির ভেতরের অংশ।
আমি এই প্রকল্প তৈরি শুরু করি
যখন আমার বয়স ১২ কি ১৩ বছর।
আমি সিদ্ধান্ত নেই একটি তারা তৈরি করবার।
এখন আপনাদের অনেকেই হয়তো বলছেন,
পারমাণবিক সংযোজন বলে কিছু নেই।
আমি সংযোজন শক্তির কোন পারমাণবিক কারখানা দেখি না।
এটি কোন সাম্যাবস্থা সৃষ্টি করে না।
এটি প্রদেয় শক্তির চেয়ে বেশি শক্তি উৎপাদন করে না,
কিন্তু এটি কিছু বিস্ময়কর কাজ করে।
এবং আমি এটির সন্নিবেশ ঘটাই আমার গ্যারেজে করি।
এবং এখন এটি রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব নেভাডা,
রেনোর পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে।
এবং এটি সংযোগ
যা হচ্ছে হাইড্রোজেনের মাঝে অতিরিক্ত এক নিউট্রন।
সুতরাং এটি সূর্যের অভ্যন্তরে ঘটে চলা
প্রোটনের চেইন বিক্রিয়ার মতই।
এবং আমি এদেরকে এত জোরে আঘাত করছি যে
হাইড্রোজেন জোড়া লেগে যায়,
এবং এই প্রক্রিয়ায় আরও কিছু সহ-উৎপাদ প্রস্তুত হয়,
এবং সেগুলোকে ব্যবহার করি।
সুতরাং গত বছর,
আমি জয় করি ইন্টেল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রকৌশল মেলা।
আমি সনাক্তকারী একটি যন্ত্র তৈরি করি যা হোমল্যাণ্ড সিকিউরিটির বর্তমান সনাক্তকারী
যন্ত্রসমূহকে প্রতিস্থাপন করে।
শত শত ডলার খরচে,
আমি উন্নততর এক পদ্ধতি তৈরি করি যা হাজার হাজার ডলার
খরচে তৈরি সনাক্তকারী যন্ত্রের সংবেদনশীলতাকে অতিক্রম করে।
আমি এটি আমার গ্যারেজে তৈরি করি।
(হাততালি)
এবং আমি মেডিক্যাল আইসোটোপ উৎপাদনের
এক পদ্ধতি তৈরি করেছি।
বহু লক্ষ ডলার খরচে তৈরি গবেষণাগারের স্থলে
আমি তৈরি করেছি একটি যন্ত্র, যা স্বল্প পরিমাণে
এই আইসোটোপগুলো উৎপাদন করতে পারে।
ঐ যে পেছনে আমার ফিউশন চুল্লি।
এই যে আমি আমার ফিউশন চুল্লির
নিয়ন্ত্রক কাঠামোতে।
ওহ, অন্যদিকে, আমি আমার গ্যারেজে ইউরিনিয়ামের ইয়েলোকেক
তৈরি করি যাতে আমার পারমাণবিক প্রকল্প ইরানিদের মত উন্নত এবং আধুনিক হয়।
হয়তোবা আমি তা স্বীকার করতে চাই না।
এইযে আমি সুইজারল্যাণ্ডের জেনেভা শহরে অবস্থিত সার্ন-এ,
যা হচ্ছে পৃথিবীর প্রখ্যাত কণা বিষয়ক পর্দাথবিজ্ঞানের গবেষণাগার।
এবং এইযে আমি প্রেসিডেন্ট ওবামা'র সাথে,
তাকে আমার হোমল্যাণ্ড নিরাপত্তার সংক্রান্ত গবেষণা দেখাচ্ছি।
(হাততালি)
তাহলে ৭ বছরের
পারমাণবিক গবেষণার মধ্যে
আমি একটি স্বপ্নের সূচনা করি
একটি বয়ামে তারা তৈরি করবার, একটি তারা আমার গ্যারেজে,
এবং আমি এর শেষে প্রেসিডেন্টের সাথে পরিচয় হবার সুযোগ পাই
এবং এমন কিছু তৈরি করি যা আমার মতে পৃথিবীকে বদলে দিতে পারে,
এবং আমি মনে করি, অন্য তরুণরাও তা করতে পারে।
অনেক ধন্যাবাদ সবাইকে।
(হাততালি)