WEBVTT 00:00:04.420 --> 00:00:07.221 মনে কর আমরা প্রাগৈতিহাসিক যুগে বাস করছি। 00:00:07.221 --> 00:00:09.468 এখন, নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করঃ 00:00:09.468 --> 00:00:12.721 ঘড়ি ছাড়া সময়ের হিসাব কীভাবে রাখা যায়? 00:00:12.721 --> 00:00:15.315 সব ঘড়ি কিছু পুনরাবৃত্তিমূলক প্যাটার্নের উপর গঠিত 00:00:15.315 --> 00:00:18.890 যা সময়ের প্রবাহকে সমান অংশে ভাগ করে। 00:00:18.890 --> 00:00:20.688 এই পুনরাবৃত্তিমূলক প্যাটার্ন বের করতে 00:00:20.688 --> 00:00:22.918 আমরা আকাশের দিকে তাকাই। 00:00:22.918 --> 00:00:24.902 প্রতিদিন সূর্য উঠা এবং অস্ত যাওয়া হল 00:00:24.902 --> 00:00:26.184 সবচেয়ে সুস্পষ্ট প্যাটার্ন। 00:00:26.184 --> 00:00:28.760 যাই হোক, দীর্ঘ সময়ের ব্যপ্তির হিসাব রাখতে, 00:00:28.760 --> 00:00:30.811 আমরা দীর্ঘ চক্রের দিকে তাকাই। 00:00:30.811 --> 00:00:32.512 এই জন্য, আমরা চাঁদের দিকে তাকাই, 00:00:32.512 --> 00:00:33.853 যা বহু দিন ধরে ধীরে ধীরে 00:00:33.853 --> 00:00:36.578 বড় হয় এবং ছোট হয়। 00:00:36.578 --> 00:00:37.894 যখন আমরা পূর্ণিমার মধ্যবর্তী 00:00:37.894 --> 00:00:38.978 দিনের সংখ্যা গণনা করি, 00:00:38.978 --> 00:00:40.910 আমরা ২৯ সংখ্যায় পৌঁছাই। 00:00:40.910 --> 00:00:42.833 এটা একটি মাসের সূচনা। 00:00:42.833 --> 00:00:45.873 যা হোক, যদি আমরা ২৯ কে সমান ভাগে ভাগ করার চেষ্টা করি, 00:00:45.873 --> 00:00:49.227 আমরা একটি সমস্যায় পতিত হবোঃ এটা অসম্ভব। 00:00:49.227 --> 00:00:51.676 ২৯ কে সমান ভাগে ভাগ করার একমাত্র উপায় 00:00:51.676 --> 00:00:54.819 হলো এটাকে [২৯] টি একক ইউনিট এ ভাগ করা 00:00:54.819 --> 00:00:57.102 ২৯ হলো ‘মৌলিক সংখ্যা’। 00:00:57.102 --> 00:00:59.061 মনে কর এটা অবিভাজ্য। 00:00:59.061 --> 00:01:00.879 যদি একটি সংখ্যা একের থেকে বড় সংখ্যায় 00:01:00.879 --> 00:01:02.814 সমান ভাগে ভাগ হতে পারে, 00:01:02.814 --> 00:01:04.621 আমরা তখন এটাকে ‘যৌগিক সংখ্যা’ বলি। 00:01:04.621 --> 00:01:06.608 এখন আমরা যদি জানতে চাই, আমরা বিস্মিত হবো, 00:01:06.608 --> 00:01:08.450 “সেখানে কতগুলো মৌলিক সংখ্যা আছে? 00:01:08.450 --> 00:01:10.398 এবং তারা কত বড় হতে পারে?” 00:01:10.398 --> 00:01:13.744 চল আমরা সব সংখ্যাকে দুটি ভাগে ভাগ করতে শুরু করি। 00:01:13.744 --> 00:01:15.611 বাম পাশে মৌলিক সংখ্যা এবং 00:01:15.611 --> 00:01:17.648 ডান পাশে যৌগিক সংখ্যার তালিকা করি। 00:01:17.648 --> 00:01:20.379 প্রথমে, মনে হয়েছে তারা সামনে পেছনে খেলছে। 00:01:20.379 --> 00:01:23.017 এখানে সুস্পষ্ট কোন প্যাটার্ন নেই। 00:01:23.017 --> 00:01:24.439 তাহলে আমরা বড় ছবিটি দেখতে 00:01:24.439 --> 00:01:26.077 একটি আধুনিক কৌশল ব্যবহার করি। 00:01:26.077 --> 00:01:29.047 এই কৌশল হল “ইউলাম স্পাইরাল” ব্যবহার করা। 00:01:29.047 --> 00:01:32.011 প্রথমে, আমরা সম্ভাব্য সকল সংখ্যাকে 00:01:32.011 --> 00:01:34.043 একটি ক্রমবর্ধমান সর্পিল আকারে তালিকা করবো। 00:01:34.043 --> 00:01:37.164 এরপর, আমরা মৌলিক সংখ্যাগুলোকে নীল রঙ করবো। 00:01:37.164 --> 00:01:41.290 সবশেষে, আমরা লক্ষ লক্ষ সংখ্যা দেখার জন্য ছোট করবো। 00:01:41.290 --> 00:01:42.860 এটাই মৌলিক সংখ্যার প্যাটার্ন 00:01:42.860 --> 00:01:45.365 যা সবসময় চলতেই থাকে। 00:01:45.365 --> 00:01:47.967 অবিশ্বাস্যভাবে, এই প্যাটার্নের সমগ্র গঠন 00:01:47.967 --> 00:01:50.314 আজ পর্যন্ত অসমাপ্ত। 00:01:50.314 --> 00:01:51.843 আমরা কিছুটা পেছন ফিরে দেখি। 00:01:51.843 --> 00:01:52.987 প্রায় ৩০০ খ্রীষ্টাব্দের 00:01:52.987 --> 00:01:55.526 প্রাচীন গ্রীসের কথা। 00:01:55.526 --> 00:01:58.183 আলেকজান্দ্রিয়ার ইউক্লিড নামে পরিচিত একজন দার্শনিক 00:01:58.183 --> 00:01:59.411 বুঝেছিলেন, সকল সংখ্যাকে 00:01:59.411 --> 00:02:02.607 এই দুটি স্বতন্ত্র বিভাগে বিভক্ত করা যায় 00:02:02.607 --> 00:02:04.896 তিনি নিরূপন করেছিলেন যে, কোন সংখ্যা 00:02:04.896 --> 00:02:07.078 শেষ পর্যন্ত ভাগ হতেই থাকবে 00:02:07.078 --> 00:02:10.599 যতক্ষন না তুমি সমান সংখ্যার ক্ষুদ্রতম একটি দলে পৌঁছাবে। 00:02:10.599 --> 00:02:12.921 এবং সংজ্ঞা অনুযায়ী, এই ক্ষুদ্রতম সংখ্যাগুলো 00:02:12.921 --> 00:02:15.760 সবসময় মৌলিক সংখ্যা হবে। 00:02:15.760 --> 00:02:17.148 সুতরাং, তিনি জানতেন যে, সকল 00:02:17.148 --> 00:02:20.542 সংখ্যা কোন না কোন ভাবে ভাবে ছোট মৌলিক সংখ্যা থেকে তৈরি। 00:02:20.542 --> 00:02:23.317 স্পষ্ট করে বললে, বিশ্বের সকল সংখ্যা কল্পনা কর 00:02:23.317 --> 00:02:25.674 এবং মৌলিক সংখ্যাগুলো অগ্রাহ্য কর। 00:02:25.674 --> 00:02:28.037 এখন, যে কোন একটি যৌগিক সংখ্যা বাছাই কর, 00:02:28.037 --> 00:02:30.518 এবং এটাকে ভাঙো, 00:02:30.518 --> 00:02:33.354 এবং অবশিষ্ট হিসেবে তুমি সবসময় মৌলিক সংখ্যা পাবে। 00:02:33.354 --> 00:02:34.774 ইউক্লিড জানতেন, প্রতিটি 00:02:34.774 --> 00:02:37.675 সংখ্যাকে ছোট মৌলিক সংখ্যার দল ব্যবহার করে প্রকাশ করা যায়। 00:02:37.675 --> 00:02:40.221 এগুলোকে বিল্ডিং ব্লক হিসেবে চিন্তা কর। 00:02:40.221 --> 00:02:41.996 তুমি কোন সংখ্যা পছন্দ করবে তা বিষয় নয় 00:02:41.996 --> 00:02:46.157 এটা সবসময় ছোট মৌলিক সংখ্যার যোগে গঠিত হতে পারে। 00:02:46.157 --> 00:02:48.032 এটাই তার আবিষ্কারের মূলবিষয়, 00:02:48.032 --> 00:02:50.759 যা 'গাণিতিক মৌলিক উপপাদ্য' হিসেবে পরিচিত- 00:02:50.759 --> 00:02:52.013 যা নিম্নরূপ: 00:02:52.013 --> 00:02:53.934 যে কোন সংখ্যা নাও- মনে কর ৩০- 00:02:53.934 --> 00:02:55.501 এবং সব মৌলিক সংখ্যা খুঁজে বের কর 00:02:55.501 --> 00:02:57.233 [এটা সমান অংশে বিভক্ত হতে পারে]। 00:02:57.233 --> 00:02:59.763 আমরা এটাকে 'মৌলিক উৎপাদক ' হিসেবে চিনি। 00:02:59.763 --> 00:03:01.624 এটা আমাদের মৌলিক গুণক দিবে। 00:03:01.624 --> 00:03:05.811 এক্ষেত্রে, ৩০ এর মৌলিক উৎপাদক হল ২,৩ ও ৫। 00:03:05.811 --> 00:03:07.906 ইউক্লিড বুঝেছিল, তুমি এরপর প্রকৃত সংখ্যা 00:03:07.906 --> 00:03:10.714 গঠনে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা পর্যন্ত এই 00:03:10.714 --> 00:03:12.739 মৌলিক উৎপাদককে গুণ করতে পারবে। 00:03:12.739 --> 00:03:13.780 এক্ষেত্রে, তুমি 00:03:13.780 --> 00:03:16.178 ৩০ গঠন করতে প্রত্যেক উৎপাদককে একবার গুণ করতে পারো। 00:03:16.178 --> 00:03:20.158 ৩০ এর মৌলিক উৎপাদক হল ২ × ৩ × ৫। 00:03:20.158 --> 00:03:23.153 এটাকে একটি বিশেষ চাবি বা কম্বিনেশন হিসেবে চিন্তা কর। 00:03:23.153 --> 00:03:24.887 ৩০ গঠন করার আর কোন উপায় নেই, 00:03:24.887 --> 00:03:27.110 অন্য গ্রুপের মৌলিক উৎপাদক 00:03:27.110 --> 00:03:28.792 একসাথে গুণ করা ছাড়া। 00:03:28.792 --> 00:03:31.276 তাহলে প্রত্যেক সম্ভাব্য সংখ্যার শুধু একটি 00:03:31.276 --> 00:03:34.046 এবং শুধু একটিই মৌলিক উৎপাদক আছে। 00:03:34.046 --> 00:03:36.299 একটি ভালো উপায় হলো প্রত্যেক সংখ্যাকে 00:03:36.299 --> 00:03:38.017 একটি ভিন্ন তালা হিসেবে মনে করা। 00:03:38.033 --> 00:03:39.722 প্রত্যেক তালার একমাত্র বিশেষ চাবি 00:03:39.722 --> 00:03:42.054 হবে এর মৌলিক উৎপাদক। 00:03:42.054 --> 00:03:43.937 দুইটি তালার একটি চাবি থাকবে না। 00:03:43.937 --> 00:03:47.889 দুইটি সংখ্যার একটি মৌলিক উৎপাদক থাকবে না।