৩৭কে ৪ দিয়ে গুণ করার চেষ্টা করা যাক। এবং এখানে আমি এই গণনা করার একটি পদ্ধতি দেখাব এবং পরবর্তী ভিডিওগুলোতে আমরা অন্য পদ্ধতিগুলি দেখব এবং ভেবে দেখব কেন এটি খাটে। তাহলে আমি যা করতে চাই (এবং এটাকে প্রায়ই আদর্শ পদ্ধতি বলা হয়ে থাকে) তা হল দুটি সংখ্যার মাঝে বড় যে সংখ্যাটি,তাকে নেব। তুমি ৬ কে ৩৭ দ্বারা গুণ করছো, না কি ৩৭ কে ৬ দ্বারা গুণ করছো- তা কোন প্রভাব ফেলবে না। কারণ এদের উভয়ের মান সমান। ৩৭ কে ৬ দ্বারা গুণ করা যা বিষয়, ৬ কে ৩৭ দ্বারা গুণ করাও একই বিষয়। তাহলে আমি যা করতে চাই তা হল- বড় সংখ্যাটিকে নেব এবং উপরে লিখব। অর্থাৎ আমি উপরে লিখব ৩৭ এবং এরপর তার চেয়ে ছোট সংখ্যাটিকে ( এখানে ছোট সংখ্যা হল ৬) নিচে লিখব। এবং সঠিক অবস্থানে অনুসারে একে লাইনে রাখব। এটি এক অঙ্কের সংখ্যা। ফলে এটি অবশ্যই একক স্থানে থাকবে। তাহলে আমি ৬ লিখতে পারি ঠিক এখানে। এবং গুণ চিহ্নকে আমি লিখতে পারি এভাবে। এবং এটি ৩৭ কে ৬ দ্বারা গুণ করার একটি পদ্ধতি যা ৬ কে ৩৭ দ্বারা গুণ করলে যে ফল পাওয়া যায় তার সমান। এখন প্রথমে আমরা নিচে লেখা সংখ্যাটির প্রথম অঙ্ক বিবেচনা করব। (৬ সংখ্যাটিতে একটি মাত্র অঙ্ক রয়েছে।) এবং আমরা উপরে লেখা সংখ্যাটির প্রতিটি অঙ্ককে ৬ দ্বারা গুণ করব। তাহলে আমরা শুরু করব ৬ গুণন ৭ দিয়ে। অর্থাৎ আমরা ৭ কে ৬ দ্বারা গুণ করব। নামতা শেখার মাধ্যমে আমরা জেনেছি ৭ কে ৬ দ্বারা গুণ করলে এর মান হয় ৪২। এখনই আমরা ৪২ কে এখানে লিখব না। অন্তত এই আদর্শ পদ্ধতির ক্ষেত্রে এখানে ৪২ কে লিখবই না। আমরা একক স্থানে শুধু ৪২ এর ২ লিখব। (অর্থাৎ ২ কে আমরা এখানে লিখব।) এবং আমরা ৪২ এর ৪ কে আমরা দশক স্থানের উপরে লিখব। এখন আমাদের ভেবে দেখা দরকার ৬ কে ৩ দ্বারা গুণ করলে মান কত হয়। ৬ কে ৩ দ্বারা গুণ করলে এর মান হয় ১৮। কিন্তু আমরা ১৮ কে এখানে লিখতে পারব না। কারণ আমাদের হাতে এখনও ৪ আছে। অর্থাৎ ৬ কে ৩ দ্বারা গুণ করলে হয় ১৮ এবং এর সাথে ৪ যোগ করতে হবে। তাহলে ৬ কে ৩ দ্বারা গুণ করলে হয় ১৮ এবং এর সাথে ৪ যোগ করলে হয় ২২। অর্থাৎ এখানে আমরা ৬ কে ৩ দ্বারা গুণ করে তার সাথে আরও ৪ যোগ করছি। এবং এভাবেই আমরা উত্তর পাই। যা হল ২২২।