আদিবাসী মানুষজন। প্রায় ৩৭০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ রয়েছেন, যারা ৯০টিরও বেশি দেশে বসবাস করেন, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫%, তবে দরিদ্র জনসংখ্যার ১৫%। আদিবাসী মানুষজন হলো স্থানীয় বীজ, ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান ও জীববৈচিত্রের রক্ষক। এফএও আদিবাসী মানুষদের স্বীকৃতি দেয় অগ্রগতির মূল অংশ হিসেবে। খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা (এফএও) জাতিসংঘের মূল নীতিমালা প্রচার করে এবং মানুষের অধিকারকে সম্মান জানাতে উৎসাহিত করে, যার মধ্যে রয়েছে উন্নয়নের আত্মসংকল্প। আদিবাসী ও উপজাতীয় মানুষদের নিয়ে এফএও নীতিমালা তৈরি হয়েছে - স্বাধীন পূর্বের ও জেনে-বুঝে সম্মতি - এফপিআইসি নিয়ে। এফপিআইসি একটি অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া যা আদিবাসী মানুষদের সুযোগ দেয় এমন হস্তক্ষেপের বিষয়ে কথা বলার যা তাদের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। এর অর্থ সম্মতি দেয়া বা প্রত্যাখান করা, তবে শুধুমাত্র সেই হস্তক্ষেপের বিষয়ে আগে থেকেই স্থানীয়ভাবে একটি গ্রহণযোগ্য উপায়ে তথ্য পাওয়ার পর, এবং যেকোনো ধরণের কাজের অনুমোদন ও তা শুরু করার আগে। আদিবাসী মানুষজন সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিবে, জোরাজুরি, সহিংসতা ও অন্যের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া। এটা জেনে যে, একবার সম্মতি দিলে তা যেকোনো পর্যায়ে প্রত্যাখান করা সম্ভব। স্বাধীন পূর্বের ও জেনে-বুঝে সম্মতির ফলে আদিবাসীরা অংশগ্রহণ নিতে পারে এবং আলোচনা করতে পারে সেইসব হস্তক্ষেপের বিষয় নিয়ে যা তৈরি হয়েছে, বাস্তবায়িত হবে, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করা হয়। এফপিআইসি এর মতো করে কাজ করার লক্ষ্যে, এফএও এবং এর অংশীদার সদস্যরা একটি ব্যবহারিক নির্দেশিকা তৈরি করেছে এই প্রজেক্টটি কেন্দ্র করে ছয়টি প্রধান ধাপ নিয়ে। যা নিশ্চিত করে যেন কমিউনিটির সকল সদস্যদের সমান গুরুত্ব দেয়া হয়। এফপিআইসি নিয়ে এফএও এর প্রশিক্ষণে রয়েছে ওয়েবিনার এবং ই-লার্নি এবং সামনা সামনি কার্যক্রম। স্বাধীন পূর্বের ও জেনে-বুঝে সম্মতি বাস্তবায়িত করে এবং হস্তক্ষেপ শুরুর সময় থেকে আদিবাসীদের নিয়ে কাজ করা প্রজেক্ট ম্যানেজারদের সাহায্য করে আদিবাসী সমাজ নিয়ে আরো ভালোভাবে জানতে, বিশ্বাস তৈরি করতে এবং হস্তক্ষেপটি টেকসই হতে ও এর মালিকানা নিশ্চিত করতে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে এতে করে ইতিবাচক দিককে স্বীকৃতি দেয়া হয় এটা নিশ্চিত করে যেন এইসব আদিবাসী নারী, পুরুষ, তরুণ ও বৃদ্ধদের কথা শোনা হয় এবং তাদের সম্মান জানানো হয়।