১৯ শতকের শেষে, বিজ্ঞানীরা একটি রহস্যের সমাধানের চেষ্টা করছিলো। তাঁরা খুঁজে পেলেন যদি তাঁরা এরকম একটি ভ্যাকুয়াম টিউব পান এবং এর মধ্যে উচ্চ ভোল্টেজ চালিত করলেন, এক অদ্ভুত জিনিষ ঘটলো। তাঁরা এটিকে ক্যাথোড রশ্মি বলছিলো। কিন্তু প্রশ্ন হলোঃ এগুলো কি দিয়ে তৈরি? ইংল্যান্ডে, ১৯ শতকের এক পদার্থবিদ, জে. জে. থম্পসন, চুম্বক এবং বিদ্যুতের মাধ্যমে পরীক্ষা পরিচালনা করলেন, এই ভাবে। এবং তিনি এক অবিশ্বাস্য উদঘাটন করলেন। এই রশ্মি গুলো ঋণাত্মক আধান কণা দিয়ে গঠিত ছিলো হাইড্রোজেন পরমাণু হতে প্রায় ২০০০ গুন হালকা, তাদের জানা মতে ক্ষুদ্রতম জিনিস। অতএব থম্পসন প্রথম পরমাণু হতে ক্ষুদ্র কণা আবিষ্কার করলেন, যেটাকে আমরা এখন ইলেক্ট্রন বলি। এখন, সেই সময়, এট মনে হয়েছিলো সম্পূর্ণ অবাস্তবধর্মী আবিষ্কার। বলতে চাইছিলাম, থম্পসন ভাবেননি ইলেকট্রনের কোন কার্যকারিতা আছে কিনা। ক্যামব্রিজে তাঁর ল্যাবে, তিনি শুভকামনা করতে পছন্দ করতেনঃ "ইলেকট্রনের জন্যে। আশা করি এটা কখনো কারো কাজে আসবেনা"। (হাসি) তিনি নিছক কৌতূহলের বশে দৃঢ় গবেষণার পক্ষে ছিলেন, গভীরে পৌঁছে পৃথিবীকে বোঝার জন্যে। এবং তিনি যেটা পেয়েছিলেন সেটি বিজ্ঞানে একটি বিপ্লব সৃষ্টি করেছিলো। কিন্তু এটি প্রযুক্তিতে একটি দ্বিতীয় অপ্রত্যাশিত বিপ্লবের সৃষ্টি করেছিলো। আজকে, আমি কৌতূহল দ্বারা পরিচালিত গবেষণার সমর্থনে কথা বলে চাই, কারণ এটি ছাড়া, কোন প্রযুক্তি যা নিয়ে আমি আজকে কথা বলতে চাই তা সম্ভব হতোনা। এখন, থম্পসন এখানে যেটি পেয়েছিলেন সেটি আসলে আমাদের বাস্তবতার দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করেছিলো। মানে হলো, আমি ভাবছি আমি মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছি, এবং আপনারা ভাবছেন আপনারা চেয়ারে বসে আছেন। কিন্তু এটি শুধু আপনাদের শরীরের ইলেকট্রনগুলো চেয়ারে থাকা ইলেকট্রনগুলোকে ধাক্কা দিচ্ছে, অভিকর্ষজ বলের বিরুদ্ধে। আপনি এমনকি চেয়ার স্পর্শ করেননি। আপনি শুধু এটির উপর হালকা ভেসে আছেন। কিন্তু নানা ভাবে, আমাদের আধুনিক সমাজ এই আবিষ্কারের উপর গঠিত হয়েছিলো। আমার মতে, এই টিউবগুলো হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক্সের সূচনা। এবং এরপর অনেক বছর, আমাদের অনেকের কাছে এগুলো একটি ছিলো যদি মনে করতে পারেন, আপনাদের লিভিং রুমে, ক্যাথোড রশ্মি টিউব টেলিভিশন। কিন্তু--আমার মতে, কতো দরিদ্র হতো আমাদের জীবন যদি এই একমাত্র টেলিভিশন হতো একমাত্র আবিষ্কার এইখান থেকে? (হাসি) সৌভাগ্যক্রমে, এই টিউব ছিলো শুধু শুরু, কারণ অন্যকিছু ঘটতো যখন ইলেক্ট্রন এইখানে টিউবের ভিতরে ধাতুর টুকরোকে আঘাত করতো। আসুন আপনাদের দেখাই। এটিকে আবার ঢুকিয়ে দিলাম। এখন যখন ইলেকট্রনগুলো কর্কশ শব্দ করে ধাতুর ভিতর থেমে যায়, তাদের শক্তি আবার বের হয়ে যায় উচ্চ-শক্তির আলোর আকারে যাকে আমরা এক্স-রে বলি। (ভোঁ ভোঁ শব্দ) (ভোঁ ভোঁ শব্দ) এবং ইলেকট্রন আবিষ্কারের ১৫ বছরের মধ্যে, এই এক্স-রে গুলো মানুষের শরীরের অভ্যন্তরিন ছবি তুলতে ব্যবহৃত হয়। সার্জনদের দ্বারা সৈন্যদের জীবন বাঁচানোতে উপকার হয়েছিলো, যারা তাঁদের শরীরের ভিতরে বুলেটের অথবা বোমার টুকরো খুঁজে পেয়েছিলো। কিন্তু অন্য কোন উপায় ছিলোনা আমাদের পক্ষে এমন প্রযুক্তি নিয়ে আসা বিজ্ঞানীদের বলে এরচেয়ে ভালো কোন অস্ত্রপোচারের নির্ণায়ক তৈরি করা। কেবলমাত্র সম্পূর্ণ কৌতূহল দ্বারা পরিচালিত গবেষণা, যার কোন প্রয়োগ মাথায় নাই আমাদের ইলেক্ট্রন এবং এক্স-রের আবিষ্কার দিতে পারে। এখন, এই টিউব ও নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে আমাদের বোঝার মহাবিশ্ব এবং কণা পদারথবিজ্ঞানের ক্ষেত্র, কারণ এটি ছিলো প্রথম খুবই সরল কণার বেগবর্ধক। এখন, আমি এখন বেগবর্ধক পদার্থবিদ, তাই আমি কণা বেগবর্ধক নকশা করি, এবং বোঝার চেষ্টা করি কিভাবে তরঙ্গ কাজ করে। এবং আমার ক্ষেত্র কিছুটা ব্যাতিক্রম, কারণ এটি পরিভ্রমণ করে কৌতূহল দ্বারা পরিচালিত গবেষণার এবং বাস্তব বিশ্বের প্রয়োগের মধ্যে। কিন্তু এটি এই দুই জিনিসের সমন্বয় আমি যা করি এটি আমাকে খুবই উদ্দীপিত করে। এখন, শেষ ১০০ বছর ধরে, অনেক বেশি উদাহরণ রয়েছে আমার তালিকা করার। কিন্তু অল্প কিছু শেয়ার করতে চাই ১৯২৮ সালে, পল ডিরাক নামের একজন পদার্থবিদ তাঁর সমীকরণে অদ্ভুদ কিছু পেয়েছিলেন। এবং তিনি ভেবেছিলেন, সম্পূর্ণ গণিতের দৃষ্টিকোণ থেকে, এখানে নিশ্চয় দ্বিতীয় কোন বস্তু থাকবে, সাধারণ বস্তুর বিপরীত, যেটি আক্ষরিক অর্থে ধ্বংস করে দিবে সংস্পর্শে আসলেঃ প্রতিবস্তু। মানে, এটা শুনতে অবাস্তব লাগে। কিন্তু ৪ বছরের মধ্যে, তাঁরা খুঁজে পেয়েছিলো এবং এখন, আমরা এটি প্রত্যহ হাসপাতালে ব্যবহার করি, রোগ নির্ণয় করতে পজিট্রন ইমিশন টমোগ্রাফি, অথবা পেট স্ক্যানে অথবা এক্স-রে নিতে। আপনারা যদি এই ইলেকট্রনগুলোকে উচ্চ শক্তিতে নিতে পারেন, এই টিউবের চেয়ে ১০০০ গুণ উপরে, যে এক্স-রে গুলো উৎপন্ন করবে এটি মানুষের কোষ মেরে ফেলার মতো আয়নিত বিকিরণ দিতে পারবে। এবং আপনি যদি এই এক্স-রে কে আকার এবং যেখানে পাঠাতে চান সেটি দেখিয়ে দেন এটা আমাদের অবিশ্বাস্য কিছু করার অনুমতি দেইঃ কোন ঔষুধ এবং অস্ত্রপোচার ছাড়া ক্যান্সার নিরাময়ে যেটাকে আমরা রেডিওথেরাপি বলি। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মতো দেশে, সব ক্যান্সার রোগীর অর্ধেক এই রেডিওথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এবং তাই, ইলেক্ট্রন বেগবর্ধকগুলো হলো আসলে মানসম্পন্ন যন্ত্র সব হাসপাতালে। অথবা, বাসার খুব কাছেঃ যদি আপনারা স্মার্টফোন বা কম্পিউটার থাকে-- এবং এটি হলো টেড-এক্স, তাই আপনাদের দুটিই আছে এখন, তাই না? এই যন্ত্র গুলোর ভিতরে চিপ রয়েছে যা তৈরি করা হয়েছে সিলিকনে একটি আয়ন প্রতিস্থাপিত করে, যে প্রক্রিয়াকে আয়ন প্রতিস্থাপন বলা হয়। এবং এটি কণা বেগবর্ধক ব্যবহার করে। যদিও, কৌতূহল দ্বারা পরিচালিত গবেষণা ছাড়া, এইসব জিনিস বিদ্যমান থাকতোনা। তাই, অনেক বছর ধরে, আমরা আসলেই শিখেছি পরমাণুর ভিতর অনুসন্ধান করা। এবং এটি করা জন্যে, আমাদের কণা বেগবর্ধক উন্নীত করা শিখতে হয়েছিলো। প্রথম যেটা আমরা উন্নীত করেছিলাম আসুন পরমাণুকে ভাগ করি। এবং এরপর আমরা উচ্চ থেকে উচ্চতর শক্তি পাই; আমরা গোলাকার বেগবর্ধক তৈরি করেছিলাম যা আমাদের নিউক্লিয়াস খনন করতে দিয়েছিলো এবং এরপর নতুন উপাদান, ও তৈরি করা যায়। এবং সেই মুহূর্ত থেকে, আমরা শুধু পরমাণুর ভিতরে অনুসন্ধান করছি না। আমরা আসলে শিখেছি কিভাবে কণাকে নিয়ন্ত্রন করা যায়। আমরা শিখেছি কিভাবে আমাদের বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করা যায় মানদণ্ডে এটি অনেক ক্ষুদ্র মানুষের চোখে দেখা এবং স্পর্শের জন্যে অথবা শুধু অনুভব করা যে এটি আছে। এবং এরপর আমরা আরো বড় এবং বড় বেগবর্ধক তৈরি করি, কারণ আমরা মহাবিশ্বের প্রকৃতি নিয়ে কৌতূহলী। আমরা যত গভীর থেকে গভীরে যাই, নতুন কণা ধরা দিতে শুরু করে। অবশেষে, আমরা বিশাল গোলাকৃতি যন্ত্র পাই যা দুইটি বিশাল তরঙ্গকে বিপরীত দিকে নিতে পারে, তাদেরকে চুলের দৈর্ঘের চেয়ে ছোট করে ফেলতে পারে এবং একসাথে ভর্তা করে দিতে পারে। এবং এরপর, আইনস্টাইনের E=mc2 ব্যবহার করতে গিয়ে আপনি সব শক্তি নিতে পারেন এবং নতুন বস্তুতে রুপান্তর করতে পারেন, নতুন কণাগুলো যেগুলো আমরা মহাবিশ্বের কাঠামো থেকে ছিড়ে নেই। এইসময়ে, বিশ্বে ৩৫,০০০ এর মতো বেগবর্ধক রয়েছে, টেলিভিশন ছাড়া। এবং এইসব অবিশ্বাস্য যন্ত্রের প্রত্যেকটির ভিতরে, কোটি কোটি ছোট কণা রয়েছে, নর্তন রত এবং ঘূর্নিত অবস্থায় এমন সব ব্যবস্থায় যা অনেক জটিল নক্ষত্রপুঞ্জের গঠনের চেয়ে। বন্ধুরা, আমি জানিনা কিভাবে শুরু করবো ব্যাখ্যা করা কতো অবিশ্বাস্য এটি যা আমরা করতে পারি। (হাসি) (হাততালি) তাই আমি আপনাদের সময় এবং শক্তি বিনিয়োগ করতে উৎসাহ দিতে চাই এমন সব মানুষের জন্যে যারা কৌতূহল দ্বারা পরিচালিত গবেষণা করে। জোনাথন সুইফট একদা বলছিলেন, "কল্পনাশক্তি এমন একটি শিল্প যা অদৃশ্যকে দেখতে পারে।" এবং শত বছর আগে, জে. জে. থম্পসন এটি করেছিলেন, যখন তিনি অতিপারমানবিক বিশ্বের পর্দা উন্মোচন করেছিলেন। এবং এখন আমাদের কৌতূহল দ্বারা পরিচালিত গবেষণায় বিনিয়োগ করা প্রয়োজন, কারণ আমাদের অনেক প্রতিকূলতা যা আমাদের মুখোমুখি হতে হয়। এবং আমাদের দরকার ধৈর্য্য; আমাদের প্রয়োজন বিজ্ঞানীদের সময়, জায়গা দেওয়া এবং তারমানে তাঁদের যাত্রা চলমান রাখা, কারণ ইতিহাস আমাদের বলে যদি আমরা কৌতূহলী এবং খোলা মনের থাকতে পারি গবেষণার ফলাফল নিয়ে, আরো পৃথিবী বদলানোর মতো আবিষ্কার হতে থাকবে। ধন্যবাদ সবাইকে। (হাততালি)