আমি সমবেদনার কথা বলছি ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকে
এবং সম্ভবত আমার বিশ্বাস খুব ভাল চোখে দেখা হয় না
যেহেতু ইহা সমবেদনার ভিত্তিতে স্থাপিত।
কিন্তু বিষয়টির সত্যতা হলো ভিন্ন।
আমাদের পবিত্র গ্রন্থ, আল-কোর'আন, ১১৪ টি অধ্যায় সম্বলিত
এবং প্রতিটি অধ্যায়ের শুরু হয় যাকে আমরা বলি বিসমিল্লাহ
যা মূলত বোঝায় "পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে"
অথবা জনাব রিচার্ড বাটন এর মতে-
এই রিচার্ড বাটন সেইজন নন যিনি এলিজাবেথ টেলরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন,
বরং তিনি জনাব রিচার্ড বাটন যিনি ইহার শতাব্দী পূর্বে বসবাস করতেন
এবং যিনি একজন বিশ্ব বিখ্যাত পর্যটক ছিলেন
এবং বহু সাহিত্যের অনুবাদক ছিলেন,
অনুবাদ করেন "দয়াশীল ও দয়ালু ইশ্বরের নামে"
এবং কোরানের একটি বক্তব্যে, যা মুসলমানদের মতে মানবতার তরে ইশ্বরের বাণী
ইশ্বর তাহার নবীকে বলছেন-
যাহাকে আমরা বিশ্বাস করি নবীগনের মাঝে শেষ নবী
যাহার শুরু আদম দিয়ে, নুহু, মুসা, ইব্রাহিম,
যিশু খ্রিস্ট হয়ে মুহাম্মদ এ শেষ হয়--
যে, "আঁমি তোমাকে প্রেরণ করিনি, হে মুহাম্মদ,
মানবতার তরে 'রহমত' ব্যতিত, 'দয়ার উৎস' ব্যতিত"
মানুষ হিসেবে আমাদের জন্য এবং বিশেষ করে মুসলিম হিসেবে,
যাদের উদ্দেশ্য এবং যাদের লক্ষ্য নবীর পথ অবলম্বন করা
নিজেদের নবীর মত করে তৈরি করা ।
এবং মহানবী তাহার এক বর্ণনায় বলেন,
"আল্লাহর বৈশিষ্ট্যাবলী দিয়ে নিজেকে বিভূষিত কর।"
এবং স্বভূমিকায় ঈশ্বর বলেন যে তাঁহার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল সমবেদনা-
বাস্তবিকই, কোরান বর্ণিত যে "ঈশ্বর নিঁজেকে নিবন্ধিত করেছেন সমবেদনায়"
অথবা "অলংকৃত করেছেন সমবেদনায়"--
সুতরাং, সমবেদনার উৎস হওয়া আমাদের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য হতে হবে
সক্রিয় সমবেদনশীল, সমব্যথী গণ
এবং সমব্যথী বক্তাগণ এবং সমব্যথী কর্মীগণ ।
সবই ঠিক আছে এবং সবই ভালো,
তবে কোথায় আমরা ভুল করি,
এবং পৃথিবীতে আমাদের সমবেদনার মাঝে ঘাটতি কোথায়?
এর উত্তরে, আমরা আধ্যাত্মিকতার পথে দেখি
প্রত্যেক ধর্মীয় ঐতিহ্যে, বাহিরের পথ এবং ভিতরের পথ আছে,
অথবা আছে বাহ্য পথ এবং আভ্যন্তরীণ পথ
ইসলামের অভ্যন্তরীণ পথের জনপ্রিয় নাম যা সুফিবাদ বা আরবিতে "তাসাউফ"
এবং এই বিদ্বানগণ বা এই শিক্ষকগণ
এই সুফী ঐতিহ্যের আধ্যাত্মিক শিক্ষকগণ,
আমাদের নবীর শিক্ষা এবং উদাহরণকে তুলে ধরেন
যা আমাদের শিক্ষা দেয় আমাদের সমস্যার মূল কোথায় ।
একটি যুদ্ধে যেখানে নবীজি যুদ্ধরত ছিলেন,
তিনি তার অনুসারীদের বললেন,"আমরা একটি ক্ষুদ্রতর যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তন করছি
বৃহত্তর যুদ্ধে, বৃহত্তর সংগ্রামে।"
এবং তারা বললেন,"হে আল্লাহর রসূল, আমরা যুদ্ধক্লান্ত,
আমরা কিভাবে আরেকটি বৃহত্তর যুদ্ধে যাব?"
তিনি বললেন,"এটা নিজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, অহংকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ।"
মানুষের সমস্যার মূল কারণ হয়ে থাকে আত্মঅহমিকা যা "আমি" এর বর্হিপ্রকাশ।
জনপ্রিয় সুফি শিক্ষক রুমি, যিনি আপনাদের সবার কাছে পরিচিত
একটি ঘটনায় তিনি একজন ব্যক্তির কথা বলেন যে তার বন্ধুর বাড়িতে যায়
এবং দরজায় কড়া নাড়ে
এবং একটি কন্ঠ উত্তর দেয়,"কে?"
"এটা আমি" বা শুদ্ধভাবে বলতে "ইহা আমি"
যেভাবে আমরা ইংরেজিতে বলি।
কন্ঠটি বলল,"দূর হও।"
বহু বছরের জিজ্ঞাসা,লড়াই আর সাধনা, প্রশিক্ষণ শেষে
তিনি ফেরত এলেন ।
আরো নম্রতার সাথে, তিনি দরজায় পুনরায় কড়া নাড়লেন ।
কন্ঠটি জিজ্ঞাস করে,"কে সেখানে?"
তিনি উত্তর দিলেন,"তুমি,হে পাষান"
দরজা খুলল এবং কন্ঠটি বলল,
"ভিতরে আসুন,এ ঘরের কক্ষে দুটি "আমি"র স্থান নেই।"
-দুটি প্রধান অক্ষর "আমি"-এই চোখ নয়- বরং "দুটি অহংকার" এর জন্য
এবং রুমির ঘটনাগুলো হলো আধ্যাত্মিক পথের রূপক
সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতিতে একটি "আমি"র বেশি কোনো স্থান নেই
এবং তা হলো স্বর্গীয় "আমি"
আমাদের একটি শিক্ষা যাকে ঐতিহ্যগতভাবে হাদিসে কুদস বলা হয়-
সৃষ্টিকর্তা বললেন,"হে আঁমার বান্দা" বা "আঁমার সৃষ্টি, আঁমার মানব সৃষ্টি,
আঁমার প্রিয় কোনো কিছু দ্বারা আমার সন্নিকটে আসে না
বরং ঐ কর্ম দ্বারা যা আঁমি পালন করতে বলি"
এবং আপনারা যারা কর্মকর্তা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন আমি কি বলছি
আপনি চান আপনার কর্মচারী তাই করুক যা আপনি তাদের করতে বলছেন
যদি তারা তা করে তবে তারা আরো একটু বেশি করতে পাবে
কিন্তু এও ভুলে যান না আপনি কি করতে বলেছেন
এবং সৃষ্টিকর্তা বলেছেন,"আঁমার বান্দারা প্রতিনিয়ত আঁমার সন্নিকটে আসতে থাকে,
বেশি কর্ম সাধন দ্বারা যা আঁমি তাদের করতে বলেছি"-
অধিক কৃতিত্ব, আমরা বলতে পারি-
"যতক্ষণ পর্যন্ত না আঁমি তাকে ভালবাসি
এবং যখন আঁমি আঁমার বান্দাকে ভালবাসি,"সৃষ্টিকর্তা বলছেন,
"আঁমি ঐ চক্ষু হয়ে যাই যা দিয়ে ও দেখে,
ঐ কর্ণ যা দিয়ে ও শুনে,
ঐ হস্ত যা দিয়ে ও ধরে,
ঐ পা যুগল যা দিয়ে ও চলে,
ঐ হৃদয় যা দিয়ে ও অনুধাবন করে"
ইহা স্বর্গীয়তার সহিত আপনসত্তার একাত্ততা
ইহাই আমাদের আধ্যাত্মিক পথের এবং সাথে অন্যান্য সকল বিশ্বাসের শিক্ষা ও উদ্দেশ্য ।
মুসলিমরা যীশুখ্রিস্টকে সূফীবাদের গুরু মানে,
একজন মহান নবী এবং দূত যিনি এসেছিলেন আধ্যাত্মিক পথের গুরুত্ব অনুধাবন করাতে ।
যখন তিনি বলেন, " আমি-ই সত্ত্বা, এবং আমি-ই পথ,"
এবং যখন মহানবী মুহাম্মাদ(স) বলেন, "যে আমাকে দেখেছে সে স্রষ্টাকে দেখেছে,"
এটা কারন তাহারা স্রষ্টার এমন এক উপকরন হয়েছিলেন,
যে তাহারা স্রষ্টার দলের এমন অংশ হয়েছিলেন -
যাহার মাধ্যমে স্রষ্টার বক্তব্য প্রকাশ পেয়েছে,
এবং তাহারা নিজেদের সত্ত্বা ও নিজেদের অহংকার হতে অভিনয় করেননি ।
সহানুভূতি এ পৃথিবীতেই দেয়া হয়েছে, এটা আমাদের মাঝেই আছে ।
আর আমাদেরকে যা করতে হবে তা হল আমাদের অহংকারকে পথ থেকে সরাতে হবে,
আত্মপ্রাধান্য/আত্মম্ভরিতা কে পথ থেকে দূর করতে হবে ।
আমি নিশ্চিন্ত, সম্ভবত আপনারা এখানে সকলে, বা নিশ্চিতভাবে আপনাদের সিংহভাগ
অনুধাবন করেছেন যাকে আপনারা আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা বলতে পারেন,
যেখানে আপনার জীবনের এক মুহূর্তের, এক সেকেন্ডের, হয়তোবা এক মিনিটের,
অহংকারের সীমানা দূরীভূত হয়েছে ।
এবং সেই সময়ে, আপনি মহাজগতের সাথে একাত্মতা অনুধাবন করেছেন -
একজন যে ঐ জলের ধরা সহ, একজন যে সকল মানুষের সাথে,
একজন যে স্রষ্টার সাথে -
এবং আপনি অনুধাবন করেন যে আপনি অবস্থান করছেন সকল শক্তি মাঝে, সকল বিস্ময় মাঝে,
গভীরতম ভালবাসার মাঝে, ক্ষমা ও করুনার গভীরতম অনুভুতির মাঝে
যা আপনি আপনার জীবনে কখনো অভিজ্ঞতা পেয়েছিলেন ।
সেই মুহূর্তটি ই আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তার উপহার -
সেই উপহার, যখন কিছুক্ষণের জন্য, তিনি সে সীমানা তুলে নেন
যেখানে আমরা জোর দিয়ে বার বার বলতে থাকি "আমি, আমি, আমি, আমার, আমার, আমার"
বরং এর পরিবর্তে রুমির গল্পের সেই মানুষদের মত,
আমরা বলি, "ওহে, ইহা শুধু তোমরা ।
তোমরাই সব । এবং ইহা হলাম আমরা ।
এবং আমরা, এবং আমি, এবং আমরা হলাম তোমাদের একটি অংশ ।
হে, স্রষ্টা! হে, অভীষ্ট! আমাদের সত্তার সূত্র
এবং আমাদের ভ্রমনের শেষ,
তুমি যে আবার আমাদের হৃদয় ভঙ্গকারী ।
তুমিই সেই যাহার অভিমুখে আমরা সবাই, যাহার উদ্দেশ্যে আমরা বেচে থাকি,
এবং যাহার উদ্দেশ্যে আমরা মৃত্যুবরন করব ।
এবং যাহার উদ্দেশ্যে আমরা আবার সকলে পুনরুজ্জীবিত হব
তুলে ধরতে কতটুকু পর্যন্ত আমরা নিজেদের করুনাময় সত্ত্বা করতে পেরেছি ।"
আমাদের আজকের বার্তা, এবং আমাদের আজকের উদ্দেশ্য,
এবং আপনারা যারা আজ এখানে উপস্থিত আছেন,
এবং এ সমবেদনার প্রতিনিধি যার উদ্দেশ্য, মনে করিয়ে দেয়া ।
কোরআন এ জন্যই সর্বদা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, একে অপরকে মনে করিয়ে দিতে ।
কারন সত্যের জ্ঞান আমাদের সকল মানুষের মাঝেই আছে ।
আমরা সবাই তা জানি ।
আমাদের সবার এতে অনুপ্রবেশ আছে ।
অপরিনতরা হয়ত একে বলেছে "অবচেতন"
আমাদের অবচেতনার মাধ্যমে, আপনার স্বপ্নে -
কোরআন আমাদের ঘুমন্ত অবস্থাকে বলে "ক্ষুদ্রতর মৃত্যু"
"অস্থায়ী মৃত্যু" -
নিদ্রাবস্থায় আমরা স্বপ্ন দেখি, কল্পনা করি,
আমাদের অনেকেই আবার নিজেদের শরীর থেকে বাহিরে ভ্রমন করি
এবং আমরা অনেক সৌন্দর্য দেখি
আমরা স্থানের সীমাবদ্ধতা যা আমরা জানি তা থেকেও বাহিরে ভ্রমন করি,
এমনকি কালের সীমাবদ্ধতার বাহিরেও যা আমরা জানি ।
কিন্তূ এ সকলই ঈশ্বরকে মহিমান্বিত করার জন্য
যাঁহার মূল নাম পরম করুনা প্রদর্শনকারী, পরম করুনাময়
ঈশ্বর, খোদা, যে নামেই ডাকতে চান, আল্লাহ, রাম, ওম,
আপনি যে নামেই তাঁকে ডাকেন না কেন
বা স্বর্গীয়তার উপস্থিতি উপলব্ধি করেন,
ইহা ই কেন্দ্রবিন্দু পরম সত্তার,
পরম ভালবাসার এবং ক্ষমা ও করুনার,
এবং পরম জ্ঞান এবং বিজ্ঞতার,
যাকে হিন্দুগন বলে "সতচিদানন্দ"।
ভাষা ভিন্ন,
কিন্তু উদ্দেশ্য একই।
রুমির আছে ভিন্ন কাহিনী
তিনজনকে ঘিরে, একজন তুর্কি, একজন আরব-
এবং তৃতীয় বাক্তি আমি ভুলে গিয়েছি, ধরে নিন একজন মালয়
একজন আঙ্গুর চাইলেন,একজন, ধরে নিন ইংরেজ-
একজন চাইলেন এনেব, এবং একজন চাইলেন গ্রেইপ
এবং তারা মারামারি এবং ঝগড়া করলো কারণ
আমি গ্রেইপ চাই, আমি এনেব চাই, আমি আঙ্গুর চাই
এটা না জেনেই যে শব্দ তারা ব্যবহার করছেন
তা বিভিন্ন ভাষায় একই বাস্তবতা বহন করে
এখানে একটি মাত্র চরম বাস্তবতাকে সংজ্ঞায়িত করা যায়
একটি পরম স্বত্তাকে সংজ্ঞায়িত করা যায়,
কারন পরম হলো, সংজ্ঞানুযায়ী, একক
এবং অবিমিশ্র ও একবচন
এখানে একটি সত্তার সম্পূর্ণ মনোনিবেশ,
চেতনার সম্পূর্ণ কেন্দ্রীকরণ,
সজ্ঞানতার, সম্পূর্ণ সঠিক করুনা ও ভালবাসাকে
স্বর্গীয়তার মূল উৎস সংজ্ঞায়িত করে
এবং ইহা অবশ্যই
মানব হবার মূল উপকরন
যা মানবতাকে সংজ্ঞায়িত করে, জীববিজ্ঞানের ভিত্তিতে,
তা আমাদের শারীরবৃত্ত,
কিন্তূ সৃষ্টিকর্তা মানবতাকে সংজ্ঞায়িত করেছেন আমাদের আধ্যাতিকতা দ্বারা, আমাদের চরিত্র দ্বারা ।
এবং কোর'আন এ বলা হয়েছে, ত্বিনি ফেরেশতাগনকে উদ্দেশ্য করিলেন এবং বলিলেন,
"আমি আদমকে মাটি হইতে গঠন করিয়াছি।
এবং তাহাকে আমার আত্না দ্বারা ধৌত করিয়াছি,
সুতরাং তাহার অধোমুখে পতিত হও ।"
ফেরেশতারা পতিত হয়েছিলেন, তবে মানব শরীরের নিকট নয়,
বরং মানব আত্নার নিকট ।
কেন? কারন আত্না, মানব আত্না,
স্বর্গীয়ধৌতের এক স্বরূপ বহন করে,
এক স্বর্গীয় আত্নার স্বরূপ ।
ইহা বাইবেলের ভাষায়ও প্রকাশিত হয়েছে
আমাদেরকে শিখানো হয়েছিল যে আমরা স্বর্গীয়রূপে সৃষ্ট হয়েছিলাম ।
স্বর্গীয়রূপ কি?
স্বর্গীয়রূপ হল পরম সত্তা,
সম্পূর্ণ সজ্ঞানতা এবং পরিপূর্ণ জ্ঞান ও বিচক্ষণতা
এবং পরিপূর্ণ করুনা ও ভালবাসা
এবং, এ কারণে আমাদের মানুষ হবার জন্য
বৃহৎস্বার্থে মানুষ হবার জন্য যা বুঝায়,
আনন্দ অনুভুতির সাথে মানুষ হবার জন্য যা বুঝায় -
তা হল আমাদেরকেও প্রকৃত সেবক হতে হবে
আমাদের মধ্যকার বহমান স্বর্গীয় শ্বাস - প্রশ্বাসের,
এবং অন্বেষণ করতে হবে আমাদের মধ্যকার সত্তার গুন নিখুঁত করতে,
বেঁচে থাকতে, সামগ্রিকতার তরে;
বিজ্ঞতা, উপলব্ধি, সচেতনতার বৈশিষ্ট্য,
এবং দয়াশীল ও স্নেহশীল সত্ত্বার বৈশিষ্ট্য ।
আমার বিশ্বাসের প্রথা হতে আমি এটাই বুঝি,
এবং এটাই আমি বুঝি অন্য সকল বিশ্বাসের প্রথা অধ্যয়ন শেষে,
এবং এই একই মঞ্চে আমাদের সকলকে একত্রে দাঁড়াতে হতে হবে ।
এবং যখন আমরা সকলে এই একই মঞ্চে দাঁড়াব,
আমি মানতে বাধ্য যে আমরা একটি সুন্দর পৃথিবী তৈরি করব ।
এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে, আজ আমরা এমন এক প্রান্তে অবস্থান করছি
এবং যেখানে, আপনাদের মত মানুষরা যারা আজ এখানে আছেন,
আমরা ঈসাঈ বানী ফিরত আনতে পারি ।
যেখানে তিনি এক সময়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন
যখন মানুষ তাদের তরবারিকে লাঙ্গলে পরিনত করবে
এবং যুদ্ধ শিখবে না বা যুদ্ধ করবেও না ।
আমরা মানব ইতিহাসের এক পর্যায়ে উপনিত হয়েছি, যেখানে আমাদের আর কোনো উপায় নেই ;
আমাদেরকে অবশ্যই, আমাদের উচিত অহংবোধকে অবনমিত করা,
অহংকারকে নিয়ন্ত্রণ করা, হোক তা বাক্তিগত অহংকার, নিজস্ব্ব অহংকার,
পারিবারিক অহংকার, জাতীয় অহংকার-
এবং চলুন সকল কিছু এক এককের উদ্দেশ্যে নিবেদন করি ।
ধন্যবাদ এবং সৃষ্টিকর্তা আপনাদের অনুগ্রহ করুন ।
(হাততালি)