আমি এখানে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলব
যার সবটাই প্রাসঙ্গিক।
কিছু ক্ষেত্রে,তার অনেকাংশ খুবই সহজ,কিন্তু সব মিলিয়ে
এগুলো কখনও দ্বিধার সৃষ্টি করে।
তবে,আশা করা যায়,আমরা অনেকদূর আগাতে পারব।
সহজে বোঝার সুবিধার্থে ধরা যাক যে আমার কাছে
কয়েক ধরণের পাত্র রয়েছে।
মনে করি,সবগুলোই আমার পাত্র এবং তাদের মধ্যে,
আমি কয়েকগুচ্ছ পানির অণু রেখেছি।
এতে শুধুমাত্র কয়েকগুচ্ছ পানির অণু রয়েছে।
যারা পরস্পরকে ধাক্কা দিচ্ছে।
যেহেতু এটি তরল আকারে রয়েছে,তাই একে আমরা তরল পানি বলব।
এবং এই পানির অনুর ভিতরে,মনে করি,
কিছু চিনির অনুও রয়েছে।
মনে করি,চিনির অণুগুলো গোলাপি রঙবিশিষ্ট।
সুতরাং সেখানে কয়েকগুচ্ছ চিনির অণু রয়েছে।
যদিও সেখানে অনেক পানির অনুও রয়েছে।
ব্যাপারটিকে পরিষ্কারভাবে বুঝার চেষ্টা করি।
আমরা যে পাত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করছিলাম,তাতে অসংখ্য পানির অণু বিদ্যমান আছে।
বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে,
পানি সেখানে দ্রাবক হিসেবে উপস্থিত আছে।
এক্ষেত্রে,আরও বেশি পানির অনুর উপস্থিতি
আরও দ্রাবকের উপস্থিতি প্রমাণ করে।
আমরা এসব দ্রাবকের অণু নিয়ে গভীর আলচনায় যাচ্ছিনা
কারণ তাতে করে মনে হতে পারে আবার নাও হতে পারে যে,
এখন পর্যন্ত আলচনার যে মূল বিষয়,
তা শুধুই দ্রাবক।
সুতরাং এক্ষেত্রে পানি হচ্ছে দ্রাবক।
এক্ষেত্রে যত যাই হোক না কেন,আমাদের আলোচ্য বিষয়ের জন্য
চিনিকে আমরা দ্রবণীয় পদার্থ বলব।
সুতরাং,প্রকৃত দ্রবণীয় পদার্থ হচ্ছে চিনি।
কিন্তু চিনিই একমাত্র দ্রবণীয় পদার্থ নয়।
দ্রবণটিতে পানি অপেক্ষা কম সংখ্যক অণুবিশিষ্ট যেকোনো পদার্থই দ্রবণীয় হতে পারে।
এই দ্রবনের ক্ষেত্রে চিনি
হচ্ছে সেই দ্রবণীয় পদার্থ।
আর তাই আমরা বলি,চিনি পানিতে দ্রবীভূত হয়েছে।
চিনি দ্রবিভুত,এবং সে দ্রবীভূত হয়েছে পানির ভিতরে।
সামগ্রিকভাবে সেখানে যা ঘটেছে
তাকে আমরা দ্রবন বলতে পারি।
আমরা সমগ্রটিকে একটি দ্রবন বলব।
এবং সকল দ্রবণে একটি দ্রাব্য ও একটি দ্রাবক থাকে।
এখানে দ্রাবক ছিল পানি।
এবং এই দ্রবীভূত করার কাজ সে ই করছে
যেখানে চিনি দ্রবীভূত হচ্ছে।
চিনি হচ্ছে দ্রাব্য।
পূর্বের আলোচ্য সকল অংশ সবার মনে নাও থাকতে পারে
কিন্তু আমি এটা বারবার আলোচনা করছি কারণ,
আমি যে ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলতে চাই,তা হল ব্যাপন।
এবং ব্যাপনের ধারণা খুবই সোজা-সরল।
আবার সেই পাত্রগুলোর কথা মনে করা যাক।
কিন্তু এবারে আমরা আলাদা কিংবা নতুন কোনো পাত্র নেব।
যাতে আমাদের ব্যাপন সম্পর্কে আলোচনা করতে সুবিধা হয়।
আমরা পুনরায় সেই পানি এবং চিনির কাছে ফিরে যাব
বিশেষভাবে পানির কাছে ফিরে যাই।
মনে করি আমাদের কাছে একটি পাত্র আছে
যা বাতাসের অণু দ্বারা পূর্ণ।
হতে পারে তা অক্সিজেন বা কার্বন ডাই অক্সাইডের অণু।
আমরা কল্পনা করি,এখানে অনেক বাতাসের অণু উপস্থিত রয়েছে।
মনে করি,সকল অনুই বায়বীয়
তর্কের খাতিরে মনে করি তা বায়বীয় অক্সিজেনের অণু।
তাহলে সকলকে অক্সিজেনের অণু বলা যায় কি না?
বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে
আমরা কোনো শুন্য স্থান নিয়ে আলোচনা করছি
যার নিজস্ব তাপমাত্রা রয়েছে।
আমাদের আলোচ্য পানির অণুসমূহের
নিজস্ব এক ধরণের গতিশক্তি রয়েছে।
যার কারণে তারা ইতস্ততভাবে এদিক সেদিক ভ্রমণ করে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে,যদি এমনটাই ঘটে থাকে,তাহলে কি ঘটবে
সেই পাত্রের ক্ষেত্রে?
সুতরাং বলা যায়,এদের মধ্যে কেউ কেউ একে অন্যের গায়ের উপরে
যেকোনোভাবেই উঠে যেতে পারে।
তারা বামদিকের নিম্নমুখী অবস্থানে লাফিয়ে যাওয়াটাকেই বেশি পছন্দ করে
উপরের দিকে ডানে যাওয়ার থেকে।
সুতরাং, সে যদি বামদিকে নিম্নমুখী অবস্থানে যায়
তাহলে সে অবশ্যই অন্য কারও উপরে পড়বে
বরং উপরের ডান দিকে থাকা কারোর উপর পড়বেনা
কিন্তু,উপরের ডান দিকের অবস্থানে থাকা কারও পক্ষে
লাফিয়ে অন্য কারও উপর পড়ার সম্ভাবনা থাকেনা
সহজভাবে বলা যায়, সবাই এদিক সেদিক ইচ্ছানুযায়ী ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কিন্তু, সবচেয়ে ভালো হবে যদি
সঠিক অবস্থানে তুমি যেতে পারো।
যদি তুমি বামদিকে যাও
তাহলে একে অপরের গায়ে কিংবা অন্যের গায়ে পড়বে।
অর্থাৎ, এটা একটা সাধারণ ধারনার ব্যাপার।
নির্দিষ্ট কিছু সময়ের পরে,যখন সমগ্র অবস্থা
কোনো প্রকারের সাম্যাবস্থায় দাঁড়াবে...আমি ব্যাপারটাকে আর বিস্তারিত বর্ণনা করছিনা
সেটা এমনিতেই বোঝা যাবে বলে।
তাপগতিবিদ্যা সংক্রান্ত যে ভিডিও রয়েছে
সম্পূর্ণরূপে সেটা দেখলে এই ব্যাপারে আরও ভালো ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
অবশেষে তুমি একটা পাত্রকে এমনভাবেও দেখতে পারো
যেমনটা ঠিক এখন দেখা যাচ্ছে
কিন্তু, সকল ক্ষেত্রেই এমন হবার নিশ্চয়তা আমি দিতে পারছিনা
এখানে এমন কিছু থাকার কিছু সম্ভাবনা থেকেই যায়