WEBVTT 00:00:00.000 --> 00:00:00.250 আসুন এক মহাজাগতিক ভ্রমণে বেরই। NOTE Paragraph 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 কোটি বছরব্যাপ্ত সময়ের ভাঁজ খোলা হবে এখানে মাত্র ১০ মিনিটে- মহাগর্জন থেকে আজ-অব্দি। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 দু’কোটি বিশ লক্ষ বছর পেরুবো মাত্র ১ সেকেন্ডে। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এ স্কেলে, মানব প্রজাতিকে শেষ সেকেন্ডের ভগ্নাংশের আগে পাওয়াই যাবে না। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 মহাবিশ্ব শুরু হবে আর ৫… 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 আর মাত্র ৪… 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 ৩… 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 ২… 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 ১… 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 শুরুর ঝলসানো মুহূর্তগুলি, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 দ্যূতিময় শক্তিতে স্থানের নিজস্ব বিস্ফোরণ। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 নবজাত মহাবিশ্ব শুরু করে তার প্রসারণ, ও শীতলীকরণ। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 শ’কোটি বছরে, মহাকর্ষবল ধীরে বস্তুকণাকে পুঞ্জীভূত করে গড়ে দানবীয় ঢেউ, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 নিসর্গের স্থাপত্য। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 গ্যাস-ধুলোর মেঘ ঘন হয় যেন বিরাট পানির ফোঁটা নিসর্গের সুতোয় 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এবং তৈরী হয় ছায়াপথ। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 প্রতিবেশী ছায়াপথসমূহ পারস্পরিক মহাকর্ষ বলে আটকে পরে, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 একীভূত হয় চাঞ্চল্যকর সঙ্ঘর্ষে। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 প্রকৃত সময়ের হিসেবে এটি শতকোটি বছরব্যাপী হতে পারে, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 অসংখ্য নতুন ছায়পথ থেকে গ্যাস ও তারকার দীর্ঘ-গাঁথা তৈরী করে মহাকর্ষ বল। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 বিবর্তনের ফলে মহাবিশ্ব পেরোয় বহু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যপূর্ণ যুগ, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 বিস্তীর্ণকালের শুরু ও সমাপ্তি 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 চিহ্নিত করা হয় অনন্য ধারাবাহিক কিছু ধাপেঃ 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 বিস্ময়সমূহের জন্ম ও মৃত্যু’র। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 মহা বিবর্তনের ধারাবাহিক উৎকর্ষতার ফলাফল আমরা। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 নিসর্গের বিবর্তন। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 যে সম্পর্কে আমরা কদাচিৎ অবগত। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 আমরা সম্মুখীন হই আমাদের নিজস্ব ছায়াপথের, আকাশ-গঙ্গার। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এরই মধ্যে, কত-শত তারকা তৈরী হত, এবং তাদের কিছু মরেও যায়। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এখানে, একটি প্রকাণ্ড লাল-তারকা ধীরে-ধীরে নিভে যাচ্ছে। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এ-র গ্যাস একটি কৃষ্ণগহ্বরের গভীরে ঘূর্ণাবর্তিত হচ্ছে। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এ-দানবের অপরিমেয় মহাকর্ষীয় টান-এ তারকাসমূহ চিরে আলাদা হয়ে যেতে পারে, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এরা বস্তুকণাকে তার পৃষ্ঠ থেকে ছিঁড়ে, টেনে আনতে পারে নিজস্ব কক্ষপথ, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এই অতি-তপ্ত বস্তুকণারা কৃষ্ণগহ্বরের মুখ ঘিরে পাক খেতে থাকে, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এবং এ-র অন্তঃস্তল থেকে তীব্র ফিনকি দিয়ে বর্ষিত হয় বিকিরণ। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 যদিও নিসর্গের কোথাও-কোথাও এ-রূপ ফিনকি দেখা যায়, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 কিন্তু অন্তঃস্তল এখনো এক রহস্য। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এমন-কি আলোও এ-থেকে রেহাই পায় না, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 তাই এ-র অভ্যন্তর আমাদের কাছে চিরকালই গুপ্ত। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 তারকাসমূহ পারমাণবিক চুল্লী, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 দীপ্তি দেয় যতক্ষণ জ্বালানি থাকে। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 বৃহৎ তারকার বিনাশ বিস্ফোরণে। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 বিদীর্ণ এ তারকা দেয় প্রাণ উপাদানঃ 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 নিশ্বাস নেবার অক্সিজেন 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 আমাদের পেশীর কার্বন, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 আমাদের রক্তের লৌহ। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এরা নবতারকা, অত্যূতজ্জল তারকা-বিস্ফোরণের নিভে যাওয়া উপাদানে এরা গঠিত। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 নবতারকার জন্ম হচ্ছে, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 মৃত তারকার ধ্বংসাবশেষ থেকে। NOTE Paragraph 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এ-ই এ-ব্রহ্মাণ্ডের 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 মৃত্যু ও পুনর্জন্মের ধারা যেভাবে প্রসৃত হয়েছি আমরাও। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 কেননা এটা ছিল এরকম এক নীহারিকা 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 ৫’শ কোটি বছর আগে 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 যা থেকে আমাদের সূর্য জন্মেছে। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 নৈসর্গিক গ্যাসের মেঘ সিঁচিত হয় ঐসব উপাদানে যেগুলো এসেছে মহাকর্ষীয় মুঠো’র ফলে। NOTE Paragraph 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 একটি তারকার জন্ম হয়, সূর্য নামে যাকে ডাকা হবে। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 একে ঘিরে, তৈরী হয় এক গ্রহ-নেটওয়ার্ক, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 যাদের সাথে ছিল পৃথিবীও। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 তাদের শৈশবে, আমাদের সূর্য এবং চাঁদে অবিরত আঘাত ও বর্ষণ চালায় নৈসর্গিক ধুলো, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 গ্রহাণু, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এবং ধূমকেতু। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 উদ্দাম আঘাতে 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এবং সূর্য থেকে শক্তিশালী অতিবেগুনী বিকিরিণে 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 সদ্য-যুবা পৃথিবী ছিল এক ভীষণ প্রতিকূল রাজ্য। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 ভূ-পৃষ্ঠ ছিল আগ্নেয়গিরির দখলে 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 প্রতিকূল এবং নিষ্প্রাণ। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 কিন্তু সমুদ্রের তলদেশে, প্রাণ জেগে উঠতে থাকে। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 সর্বশেষ তত্ত্ব মতে, আগ্নেয়গিরির মুখ-নিসৃত রাসায়নিক 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 ঘনীভূত হয় এবং সৃষ্টি করে সেই পূর্বশর্তের যা দরকার 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 প্রথম কোষ তৈরী হওয়ার। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 ৩’শ কোটি বছরে ধরে 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 সরল, আণুবীক্ষণিক জৈবদেহই 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এ-গ্রহে ছিল সব’চে অগ্রসর প্রাণ। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 কিছু প্রাণ, যাদের নীলাভ-সবুজ ব্যাকটেরিয়া বলা হয় 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 খুবই ধীরে অক্সিজেনের বুদ-বুদ ছাড়তে শুরু করে 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 এবং বায়ুমণ্ডলকে বদলে দেয় প্রগাঢ়ভাবে। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 কিছু অক্সিজেন তৈরী করে ওজোন-এর এক পাতলা স্তর 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 যা সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিকে রোধ করে। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 পরিবর্তিত এ-পরিবেশে 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 নতুন জৈবদেহ উদিত হতে থাকে পৃথিবীর পানিতে। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 সবুজ শৈবালের বসতি-তে তৈরী হতে থাকে প্রচুর অক্সিজেন। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 টিল জীবের আত্মপ্রকাশের অল্প কিছু আগে, 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 পৃথিবী তার ইতিহাসের বৃহৎ বরফযুগের চলে যায়। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 তখন জৈবদেহের বিবর্তন ঘটে অদ্ভুত এবং অসংখ্য কাঠামোয়। 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 মহাবিশ্বের ঘটমান সময় 99:59:59.999 --> 99:59:59.999 চলমান।