অদৃশ্য নড়াচড়া দর্শন, নিঃশব্দকে শব্দাকারে শ্রবণ। ক্ষ্যাপামি? পিলে-চমকানো? আমরা ঠিক জানিনা
-
0:01 - 0:09গত কয়েক শতাব্দী ধরে, অণুবীক্ষণ যন্ত্র
আমাদের জগতে বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে। -
0:09 - 0:14সূক্ষ্ম বস্তু, প্রাণ এবং অবয়বসমূহের
জগতটাকে আমাদের সামনে উন্মোচিত করেছে -
0:14 - 0:17যেগুলো এতই ছোট যে খালি চোখে দেখা সম্ভব না।
-
0:17 - 0:20বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এর অবদান অসামান্য।
-
0:20 - 0:23আজ আমি এক নতুন ধরনের অণুবীক্ষণ যন্ত্র
আপনাদের কাছে পেশ করতে চাই, -
0:23 - 0:26পরিবর্তন দেখার অণুবীক্ষণ যন্ত্র।
-
0:26 - 0:29এটা সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মত
আলোকবিদ্যা ব্যবহার করে না -
0:29 - 0:31ছোট জিনিসকে বড় করে দেখবার জন্য,
-
0:31 - 0:35বরং তার বদলে এটি ভিডিও ক্যামেরা
এবং ইমেজ প্রসেসিং ব্যবহার করে -
0:35 - 0:41বস্তু এবং মানুষের সূক্ষ্মতম নড়াচড়া কিংবা
রং এর হেরফেরকে আমাদের সামনে তুলে ধরে, -
0:41 - 0:44যে সকল তারতম্য খালি চোখে ধরা অসম্ভব।
-
0:44 - 0:48এবং এটি আমাদেরকে একেবারে
নতুন ভাবে জগতকে দেখতে দেয়। -
0:48 - 0:50তো, রং এর হেরফের বলতে আমরা কি বুঝি?
-
0:50 - 0:53যেমন ধরুন, আমাদের চামড়ার রং
এর সামান্য পরিবর্তন হয় -
0:53 - 0:55যখন এর নীচ দিয়ে রক্ত বয়ে যায়।
-
0:55 - 0:58পরিবর্তনটা অতীব সূক্ষ্ম,
-
0:58 - 1:00একারনে, যখন আপনি অন্য একজনের দিকে তাকান,
-
1:00 - 1:02যখন পাশে বসা কারো দিকে তাকান,
-
1:02 - 1:06তাদের চামড়া বা মুখের রং এর
পরিবর্তনটা আপনি দেখতে পাবেন না। -
1:06 - 1:10স্টিভের এই ভিডিওটির দিকে তাকালে
এটাকে একটি স্থির চিত্র বলে মনে হবে, -
1:10 - 1:14কিন্তু এটাকে যখন আমাদের এই নতুন,
বিশেষ দূরবীক্ষণ দিয়ে দেখি, -
1:14 - 1:16তখন সহসাই আমরা একটি
সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখতে পাই। -
1:16 - 1:20এখানে যা দেখা যাচ্ছে তা হল,
স্টিভের চামড়ার রঙের সূক্ষ্ম পরিবর্তন, -
1:20 - 1:25দৃশ্যমান করার জন্য এগুলোকে
১০০ গুন বিবর্ধিত করা হয়েছে। -
1:25 - 1:28আমরা আসলে এখানে মানুষের
নাড়ীর স্পন্দন দেখতে পাচ্ছি। -
1:28 - 1:31স্টিভের হৃদস্পন্দন কত দ্রুত চলছে
তা আমরা দেখতে পাচ্ছি। -
1:31 - 1:37আবার একই সাথে তা র মুখমণ্ডলের রক্ত
সঞ্চালনের প্রকৃত চিত্রটাও দেখতে পাচ্ছি। -
1:37 - 1:39এবং এটা করি, কেবল নাড়ীর স্পন্দন
দৃশ্যমান করার জন্য নয়, -
1:39 - 1:43প্রকৃতপক্ষে হৃদস্পন্দনের হারকে
অনুধাবন করার জন্যেও করি, -
1:43 - 1:44এবং হৃদস্পন্দনের হার মাপার জন্যেও করি।
-
1:44 - 1:49আর সাধারন ক্যামেরা ব্যবহার করেই আমরা এটি
করতে পারি এবং রোগীর শরীর স্পর্শ না করেই। -
1:49 - 1:55সুতরাং দেখতে পাচ্ছেন, এখানে আমরা একটি
নবজাতকের হৃদস্পন্দনের হার বের করেছি -
1:55 - 1:57সাধারন একটি ডি এস এল আর
ক্যামেরায় তোলা ভিডিও থেকে -
1:57 - 1:59এবং হৃদস্পন্দনের হার যা বের করেছি
-
1:59 - 2:04তা হাসপাতালে পর্যবেক্ষণ করা প্রমিত
পরিমাপের মত একই মাত্রায় নিখুঁত। -
2:04 - 2:07এবং এমনকি এটি আমাদের ধারনকৃত
ভিডিও না হলেও চলবে -
2:07 - 2:10প্রকৃতপক্ষে অন্য ভিডিও দিয়েও
এই কাজটি করতে পারি -
2:10 - 2:14তাই, এখানে আমি "Batman Begins"
ছবিটা থেকে একটি ক্লিপ নিয়েছি, -
2:14 - 2:15ক্রিস্টিয়ান বেলের
নাড়ীর স্পন্দন দেখাতে। -
2:15 - 2:17(হাসির রোল)
-
2:17 - 2:19এবং আপনি হয়তো জানেন যে সে মেক-আপ নিয়ে আছে,
-
2:19 - 2:21এই আলোর কারনে কাজটি বেশ দুরূহ হয়ে যাচ্ছে,
-
2:21 - 2:24তা সত্ত্বেও, কেবল এই ভিডিও থেকেই আমরা
তাঁর নাড়ীর স্পন্দন বের করেছি -
2:24 - 2:26এবং খুব ভালোভাবেই এটা দেখাতে পারছি।
-
2:26 - 2:28বেশ, তাহলে আমরা কিভাবে এগুলো করতে পারছি?
-
2:28 - 2:33আমরা মূলতঃ আলোর হেরফের
বিশ্লেষণ করছি এই ধারণকৃত -
2:33 - 2:35ভিডিওর প্রতিটি পিক্সেলে, সময়ের সাপেক্ষে,
-
2:35 - 2:37এবং এই হেরফেরকেই একটু চাগিয়ে দিয়েছি,
-
2:37 - 2:39দেখার সুবিধার্থে এগুলোকে
আমরা বড় করেছি, -
2:39 - 2:41কঠিন বিষয়টি হল, এই সংকেতগুলোর,
-
2:41 - 2:44যে হেরফের গুলো নিয়ে আমাদের
কারবার, সেগুলো খুবই সূক্ষ্ম, -
2:44 - 2:47তাই আমাদেরকে খুবই যত্নবান হতে হবে,
যখন এদেরকে আলাদা করবেন, -
2:47 - 2:51ভিডিওগুলোতে সর্বদা-বিদ্যমান
এই গোলমালের ভ্রান্তি থেকে। -
2:51 - 2:54তাই আমরা কিছু চাতুর্য্যময়
ইমেজ-প্রোসেসিং কৌশল ব্যবহার করেছি, -
2:54 - 2:58যাতে করে, অত্যন্ত নিখুঁত পরিমাপ পাওয়া যায়,
ভিডিওটির প্রতিটি পিক্সেলের রং এর, -
2:58 - 3:00এবং সময়ের সাথে এই রং বদলানোর ধরনের,
-
3:00 - 3:03আর এরপরে আমরা এই পরিবর্তন
গুলোকে বহুগুণে পরিবর্ধিত করি। -
3:03 - 3:07এই ধরনের বর্ধিত কিংবা বিবর্ধিত ভিডিওগুলি তৈরি
করার জন্য আমরা এগুলোকে আরও বড় করে তুলি, -
3:07 - 3:09যা আসলে আমাদেরকে এই পরিবর্তনগুলো দেখায়।
-
3:09 - 3:13কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, এভাবে শুধু রঙের
সূক্ষ্ম তারতম্য দেখানোই নয়, -
3:13 - 3:16পাশাপাশি সূক্ষ্ম নাড়াচাড়া গুলোও দেখানো যায়,
-
3:16 - 3:19আর এটা একারণেই যে, আমাদের
ক্যামেরায় ধারণকৃত আলোকরশ্মি -
3:19 - 3:22শুধু যে বস্তুর রঙের হেরফেরের
ফলে পরিবর্তিত হয়, এমনটি নয়, -
3:22 - 3:24এছাড়া বস্তুর নাড়াচাড়ার ফলেও পরিবর্তিত হয়।
-
3:24 - 3:28তাই, এটি আমার মেয়ে,
যখন তার বয়স প্রায় দুই মাস। -
3:28 - 3:31আমি প্রায় তিন বছর আগে
এই ভিডিওটি ধারন করেছিলাম। -
3:31 - 3:34এবং নতুন পিতামাতা হিসাবে আমরা চাচ্ছিলাম
আমাদের বাচ্চারা সুস্থ্য থাকুক, -
3:34 - 3:37অর্থাৎ তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে,
তাঁরা জীবিত, অবশ্যই। -
3:37 - 3:39তাই আমিও এরকম একটা
বেবি-মনিটর জোগাড় করেছিলাম, -
3:39 - 3:41যেন আমি আমার ঘুমন্ত মেয়েকে দেখতে পারি।
-
3:41 - 3:45এবং একটি গড়-পড়তা বেবি মনিটরে যা
দেখতে পাবেন সেটি মোটামুটি এরকম। -
3:45 - 3:48আপনি ঘুমন্ত শিশুটিকে দেখতে পাবেন, কিন্তু
এখানে খুব বেশী কোন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না। -
3:48 - 3:50এখানে খুব বেশী কিছু দেখতে পাচ্ছি না।
-
3:50 - 3:53এটা কি ভালো হতো, কিংবা আরও বার্তাবহ
হতো, কিংবা আরও উপকারী হতো, -
3:53 - 3:56যদি আমরা এভাবে দৃশ্য গুলি
ওভাবে না দেখে এভাবে দেখতাম? -
3:56 - 4:02তাই, এখানে আমি নাড়াচাড়া গুলোকে
নিলাম এবং ৩০ গুন বিবর্ধিত করলাম, -
4:02 - 4:06আর এখন স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি, আমার মেয়ে
নিশ্চিতভাবেই জীবিত এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। -
4:06 - 4:08(হাসির রোল)
-
4:08 - 4:10এখানে একটি পাশাপাশি তুলনামূলক চিত্র।
-
4:10 - 4:13তাই আবার, আদি ভিডিওটিতে, মূল ভিডিওটিতে,
-
4:13 - 4:14দেখার মত খুব বেশী কিছু নেই,
-
4:14 - 4:18কিন্তু এই নড়াচড়া কে বিবর্ধিত করলে
তার নিশ্বাস-প্রশ্বাস অনেক বেশী দৃশ্যমান হয়। -
4:18 - 4:20এবং দেখা যাচ্ছে, আরও অনেক ঘটনা আছে
-
4:20 - 4:24যেগুলো আমরা আমাদের এই নতুন অণুবীক্ষণ
যন্ত্র দিয়ে দৃশ্যমান ও বিবর্ধিত করতে পারি। -
4:24 - 4:28শরীরের মধ্যে আমাদের শিরা ও ধমনী সমূহ
কিভাবে স্পন্দিত হচ্ছে তা দেখতে পারছি। -
4:28 - 4:31আমরা দেখতে পাচ্ছি যে,
আমাদের চোখ ক্রমাগত নড়ছে -
4:31 - 4:33এই রকম টলোমলো ধরনের নড়াচড়া।
-
4:33 - 4:34এবং এগুলি আসলে আমারই চোখ,
-
4:34 - 4:37এবং আবার, এই ভিডিওটি আমার মেয়ের
জন্মের অব্যবহিত পরে ধারনকৃত, -
4:37 - 4:42দেখতেই পাচ্ছেন, আমি খুব একটা ঘুমাতে পারিনি।
(হাসির রোল) -
4:42 - 4:44এমনকি একজন মানুষ যখন নিথর হয়ে বসে থাকেন,
-
4:44 - 4:46তখনও আমরা সেখান থেকে প্রচুর তথ্য পেতে পারি
-
4:46 - 4:50তার শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরন সম্পর্কে,
মুখের সামান্য অভিব্যাক্তি সম্পর্কে। -
4:50 - 4:52এসব নড়াচড়াকে ব্যবহার করে আমরা হয়তো
-
4:52 - 4:55আমাদের ভাবনা কিংবা অনুভুতি সম্পর্কে জানতে পারবো।
-
4:55 - 4:58সূক্ষ্ম যান্ত্রিক নড়াচড়াকেও আমরা বিবর্ধিত করতে পারি,
-
4:58 - 5:00যেমন ইঞ্জিন সমুহের কম্পন,
-
5:00 - 5:03যা যন্ত্রের সমস্যা গুলো চিহ্নিত ও বিশ্লেষণ
করতে ইঞ্জিনিয়ারদেরকে সাহায্য করবে, -
5:03 - 5:08কিংবা দালান ও স্থাপনা সমূহ বাতাসে কিভাবে কাঁপে
ও বল প্রয়োগে কি প্রতিক্রিয়া করে তা দেখাবে। -
5:08 - 5:13এই ব্যাপার গুলোকে পরিমাপ করার নানান
পদ্ধতি মানব সমাজের জানা আছে, -
5:13 - 5:15কিন্তু এই নড়াচড়াকে পরিমাপ করা এক জিনিস,
-
5:15 - 5:17আর এই নড়াচড়া গুলোকে বাস্তবে ঘটতে দেখাটা
-
5:17 - 5:20একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস।
-
5:20 - 5:23এবং এই নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করার পর থেকেই
-
5:23 - 5:27আমরা এর কোড অনলাইনে উন্মুক্ত করে দিয়েছি
যেন অন্যরা এটি ব্যবহার ও পরীক্ষা করতে পারে। -
5:27 - 5:29এটি ব্যবহার করা একেবারেই সোজা।
-
5:29 - 5:31এটি আপনার নিজের ভিডিও নিয়েও কাজ করতে পারে।
-
5:31 - 5:34এমন কি কোয়ান্টা রিসার্চ এর সহযোগীরা
এই দারুন ওয়েব সাইটটি বানিয়েছেন -
5:34 - 5:37যেখানে আপনার ভিডিওটি আপলোড
করে অনলাইনেই প্রসেস করতে পারবেন -
5:37 - 5:40তাই, এমনকি কম্পিউটার বিজ্ঞান কিংবা
প্রোগ্রামিং এর কোন অভিজ্ঞতা না থাকলেও -
5:40 - 5:43আপনি অবলীলায় এই অণুবীক্ষণ নিয়ে
পরীক্ষা-নিরিক্ষা করতে পারবেন -
5:43 - 5:46এবং আমি আপনাদেরকে
গোটা দুই উদাহরন দেখাতে চাই, -
5:46 - 5:48যে, অন্যরা এটি দিয়ে কি করেছে।
-
5:48 - 5:54দেখুন, Tamez85 নামের একজন ইউটিউব
ব্যবহারকারী এই ভিডিওটা বানিয়েছেন। -
5:54 - 5:55এই ব্যবহারকারীকে আমি জানি না,
-
5:55 - 5:58কিন্তু তিনি আমাদের কোড ব্যবহার করেছেন
-
5:58 - 6:01গর্ভকালীন পেটের সামান্য নড়াচড়াকে বিবর্ধিত করার জন্য।
-
6:01 - 6:03এটি রীতিমত রোমাঞ্চকর ।
-
6:03 - 6:05(হাসির রোল)
-
6:05 - 6:09লোকজন তাদের হাতের নাড়ীর স্পন্দনকে
বিবর্ধিত করার জন্য এটা ব্যবহার করেছে -
6:09 - 6:13আর আমরা জানি যে, গিনিপিগ ব্যবহার না
করা পর্যন্ত এটাকে চোস্ত বিজ্ঞান বলা যাবে না, -
6:13 - 6:17এবং আপাতত এই গিনিপিগটিকে টিফনী নামে ডাকা হয়,
-
6:17 - 6:20এই ইউটিউব ব্যবহারকারীর দাবী,
এটি বিশ্বের প্রথম ইঁদুর গোত্রীয় প্রাণী -
6:20 - 6:22যার নড়াচড়াকে বিবর্ধিত করা হয়েছে।
-
6:22 - 6:24এটির সাহায্যে আপনিও
এরকম শিল্পকর্ম বানাতে পারবেন -
6:24 - 6:28দেখুন, ইয়েলের এক ডিজাইনের ছাত্রী
এই ভিডিওটি আমার কাছে পাঠিয়েছে। -
6:28 - 6:30সে দেখতে চেয়েছিল, কোন পার্থক্য আছে কিনা
-
6:30 - 6:31তার সহপাঠীদের নড়াচড়ার ধরণে।
-
6:31 - 6:35সে সবাইকে স্থাণুর মত দাড় করিয়ে
তাদের নড়াচড়াকে বিবর্ধিত করল -
6:35 - 6:39এটা স্থির চিত্রকে সজীব হয়ে উঠতে দেখার মত,
-
6:39 - 6:41আর এই সবগুলি উদাহরনের চমৎকার দিকটি হচ্ছে
-
6:41 - 6:43যে, এগুলি নিয়ে আমাদেরকে কিছুই করতে হয়নি।
-
6:43 - 6:47আমরা কেবল একটি নতুন উপায় যুগিয়েছি মাত্র,
জগতকে দেখার একটি নতুন উপায়, -
6:47 - 6:52আর তখন লোকজন এটাকে ব্যাবহারের আরও মজাদার,
নতুন ও অভিনব সব উপায় খুঁজে বের করল। -
6:52 - 6:54কিন্তু আমরা এখানেই থেমে যাইনি।
-
6:54 - 6:57এই যন্ত্রের সাহায্যে জগতকে শুধু নতুন ভাবে দেখা ই নয়,
-
6:57 - 7:00আমাদের সক্ষমতাকে এটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে
-
7:00 - 7:03আর ক্যামেরা নিয়ে করা আমাদের
কর্মকাণ্ডের পরিধি অনেকগুন বাড়িয়ে দেয়। -
7:03 - 7:05তাই বিজ্ঞানী হিসেবে আমরা কৌতূহলী হলাম,
-
7:05 - 7:09বস্তুজগতের আর কোন ঘটনায় সূক্ষ্ম নড়াচড়ার উৎপত্তি হয়
-
7:09 - 7:12যেগুলোকে আমরা আমাদের ক্যামেরা দিয়ে পরিমাপ করতে পারি?
-
7:12 - 7:16আর শব্দ হল সেই রকম একটি ঘটনা, যার প্রতি
সম্প্রতি আমাদের মনোযোগ কেন্দ্রিভুত হয়েছে। -
7:16 - 7:18শব্দ, আমরা জানি যে, মূলতঃ এটি হচ্ছে পরিবর্তন,
-
7:18 - 7:20বাতাসের চাপের, যা বাতাসের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়।
-
7:20 - 7:24এই চাপ-তরঙ্গ কোন বস্তুকে আঘাত করলে
সেই বস্তুটিতে সূক্ষ্ম কম্পন তৈরি হয়, -
7:24 - 7:26ঠিক একারণেই আমরা শব্দ শুনতে পারি
এবং রেকর্ড করতে পারি। -
7:26 - 7:30কিন্তু দেখা গেল, শব্দের দ্বারা দৃশ্যমান নড়াচড়াও তৈরি হয়।
-
7:30 - 7:33এই নড়াচড়াগুলো আমরা দেখতে পাই না
-
7:33 - 7:36কিন্তু যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন ক্যামেরাগুলো
এই নড়াচড়া দেখতে পায়। -
7:36 - 7:37তো, দুটো উদাহরণ দেখা যাক,
-
7:37 - 7:40এটি আমি, আমার দুর্দান্ত
সংগীত প্রতিভার প্রমান দিচ্ছি। -
7:41 - 7:43(সংগীত)
-
7:43 - 7:44(হাসির রোল)
-
7:44 - 7:47এবং গলা সাধার সময়ে আমার কণ্ঠদেশের
একটি হাই-স্পীড ভিডিও ধারন করলাম। -
7:47 - 7:49এখানেও, ভিডিওটি ভাল করে দেখলেও,
-
7:49 - 7:51আপনি খুব বেশি একটা কিছু দেখতে পাবেন না,
-
7:51 - 7:55কিন্তু যখন এর নড়াচড়াকে ১০০ গুন বিবর্ধিত করি,
তখন সব নড়াচড়া ও কম্পন দৃশ্যমান হয়ে যায়, -
7:55 - 7:59ঘাড়ে অবস্থিত এগুলো শব্দ উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত।
-
7:59 - 8:01এই ভিডিওতে এর নিদর্শন দেখা যাচ্ছে।
-
8:01 - 8:04আমরা এও জানি, অনেকে গান গেয়ে
কাঁচের পানপাত্র ভাঙতে সক্ষম, -
8:04 - 8:05যদি তিনি উপযুক্ত সুরটা ধরেন।
-
8:05 - 8:07তাই এখানে আমরা একটি সুর বাজাতে যাচ্ছি
-
8:07 - 8:10এটির কম্পাঙ্ক এই গ্লাসের অনুনাদ-কম্পাঙ্কের সমান
-
8:10 - 8:12পাশে রাখা একটি লাউড-স্পীকার থেকে আসছে।
-
8:12 - 8:16যখন সুরটা বাজালাম এবং তার
কম্পনের মাত্রা ২৫০ গুন বিবর্ধিত করলাম, -
8:16 - 8:19গ্লাসটি কিভাবে কাঁপছে তা আমরা
খুব পরিস্কার ভাবেই দেখতে পাচ্ছি -
8:19 - 8:22এবং এই শব্দের প্রতিক্রিয়ায়
সেটির অনুরণন ও দেখতে পাচ্ছি। -
8:22 - 8:25এটি এমন কিছু নয় যা আপনি হরহামেশা দেখতে পাবেন।
-
8:25 - 8:28কিন্তু এটি আমাদের ভাবনার খোরাক যুগিয়েছে।
এটি আমাদেরকে এই ক্ষ্যাপাটে বুদ্ধিটা দিয়েছে। -
8:28 - 8:34আমরা কি পুরো প্রক্রিয়াটা উল্টো দিকে চালাতে
পারি এবং ভিডিও দেখে শব্দ উদ্ধার করতে পারি, -
8:34 - 8:38শব্দ তরঙ্গের ধাক্কায় বস্তুতে উৎপন্ন
সূক্ষ্ম সেই সব কম্পন বিশ্লেষণ করে? -
8:38 - 8:42এবং মুলত যে শব্দ থেকে এই কম্পনসমুহ উৎপন্ন
হয়েছিল সেই শব্দেই পুন-রূপান্তর করতে পারি? -
8:42 - 8:47এভাবে আমরা নিত্য নৈমিত্তিক জিনিসপত্র গুলোকে
এক একটা মাইক্রোফোনে পরিনত করতে পারি। -
8:47 - 8:49এবং ঠিক এই কাজটাই আমরা করেছি।
-
8:49 - 8:52দেখুন, এখানে টেবিলের উপরে
চিপসের একটি খালি প্যাকেট পরে আছে, -
8:52 - 8:55এবং আমরা এই চিপসের প্যাকেটটিকে
মাইক্রোফোনে পরিনত করতে যাচ্ছি, -
8:55 - 8:56এটিকে ভিডিও ক্যামেরায় ধারন করে
-
8:56 - 9:00এবং শব্দ তরঙ্গের ফলে উদ্ভুত
সূক্ষ্ম নড়াচড়াকে বিশ্লেষণ করে। -
9:00 - 9:02এটি হচ্ছে সেই শব্দ যা আমরা
এই ঘরের ভিতরে বাজিয়েছিলাম, -
9:02 - 9:07(সঙ্গীতঃ "মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব")
-
9:10 - 9:13এবং এটি সেই চিপসের প্যাকেটের
ধারণকৃত হাইস্পিড ভিডিও। -
9:13 - 9:14এটিকে আবারও চালাই।
-
9:14 - 9:18এই ভিডিওতে যা কিছু ঘটছে
আপনার তা দেখার কোন সম্ভাবনাই নেই, -
9:18 - 9:19যদি শুধু এটি দেখতে থাকেন,
-
9:19 - 9:22কিন্তু এখানে এই সেই শব্দ যা আমরা পুনরুদ্ধার করেছি
-
9:22 - 9:24ভিডিওটিতে লুকানো সূক্ষ্ম কম্পন বিশ্লেষণ করে।
-
9:24 - 9:27(সঙ্গীতঃ "মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব")
-
9:41 - 9:42আমি এটিকে ডাকি -- ধন্যবাদ --
-
9:42 - 9:48(করতালি)
-
9:50 - 9:52আমি এটিকে দৃষ্টিলব্ধ মাইক্রোফোন বলে ডাকি।
-
9:52 - 9:56আমরা আসলে ভিডিওর সংকেত দেখে
শব্দ সংকেত বের করে আনি। -
9:56 - 9:59এবং আপনাদেরকে এখানে এই নড়াচড়ার
মাত্রা সম্পর্কে একটু ধারনা দিচ্ছি, -
9:59 - 10:04একটি বিকট শব্দের ধাক্কাতেও চিপসের এই
প্যাকেটটি এক মাইক্রোমিটারের কম নড়বে, -
10:04 - 10:07এটি এক মিলিমিটারের হাজার ভাগের এক ভাগ।
-
10:07 - 10:10এমনই সূক্ষ্ম এই নড়াচড়া, যেগুলোকে
আমরা এখন ধরতে সক্ষম হচ্ছি, -
10:10 - 10:14বস্তুগুলো থেকে আলো কিভাবে
প্রতিফলিত হচ্ছে, কেবলমাত্র তা পর্যবেক্ষন -
10:14 - 10:16এবং ক্যামেরায় ধারন করার মাধ্যমে।
-
10:16 - 10:19আমরা অন্যান্য বস্তু থেকেও শব্দ
পুনরুদ্ধার করতে পারি, যেমন গাছ। -
10:19 - 10:25(সঙ্গীতঃ "মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব")
-
10:27 - 10:29এবং এমনকি আমরা কথাও পুনরুদ্ধার করতে পারি।
-
10:29 - 10:32দেখুন, ঘরের ভিতরে একজন কথা বলছেন।
-
10:32 - 10:36কন্ঠস্বরঃ মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব
হুজ ফ্লীচ ওয়াজ হোয়াইট এজ স্নোও -
10:36 - 10:40এন্ড এভরিহোয়ার দ্যাট মেরী ওয়েন্ট,
দ্যাট ল্যাম্ব ওয়াজ শিওর টু গোও। -
10:40 - 10:43মাইকেল রুবিনস্টেইনঃ এবং এখানে সেই পুনরুদ্ধার করা কন্ঠস্বর,
-
10:43 - 10:46স্রেফ এই চিপসের প্যাকেটের ভিডিও থেকে উদ্ধার করা।
-
10:46 - 10:51কন্ঠস্বরঃ মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব
হুজ ফ্লীচ ওয়াজ হোয়াইট এজ স্নোও -
10:51 - 10:56এন্ড এভরিহোয়ার দ্যাট মেরী ওয়েন্ট,
দ্যাট ল্যাম্ব ওয়াজ শিওর টু গোও। -
10:56 - 10:58মা রুঃ আমরা "মেরী হ্যাড আ লিটল
ল্যাম্ব" ব্যবহার করেছি -
10:58 - 11:00কারন, কথিত আছে যে এগুলোই সেই প্রথম শব্দমালা
-
11:00 - 11:05যা ১৮৭৭ সালে টমাস এডিসন তার
ফনোগ্রাফ যন্ত্রে ধারন করেছিলেন। -
11:05 - 11:08এটি ছিল ইতিহাসের প্রথম
শব্দ ধারন যন্ত্রগুলির একটি। -
11:08 - 11:11এটি মুলতঃ শব্দকে একটি
ডায়াফ্রাম এর দিকে ধাবিত করতো, -
11:11 - 11:15যেটি একটি সূঁচকে প্রকম্পিত করত যা রাংতার উপরে এই শব্দ তরঙ্গকে খোদাই করেছিল,
-
11:15 - 11:17রাংতাটি একটি বেলনের গায়ে মোড়ানো ছিল।
-
11:17 - 11:23এখানে এডিসনের ফনোগ্রাফ যন্ত্রে শব্দ ধারন
এবং সেটিকে পুনরায় বাজানোর প্রদর্শনী হচ্ছে। -
11:23 - 11:26(ভিডিও) কণ্ঠস্বরঃ টেস্টিং, টেস্টিং, ওয়ান টু থ্রি।
-
11:26 - 11:30মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব
হুজ ফ্লীচ ওয়াজ হোয়াইট এজ স্নোও -
11:30 - 11:34এন্ড এভরিহোয়ার দ্যাট মেরী ওয়েন্ট,
দ্যাট ল্যাম্ব ওয়াজ শিওর টু গোও। -
11:34 - 11:36টেস্টিং, টেস্টিং, ওয়ান টু থ্রি।
-
11:36 - 11:40মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব
হুজ ফ্লীচ ওয়াজ হোয়াইট এজ স্নোও -
11:40 - 11:46এন্ড এভরিহোয়ার দ্যাট মেরী ওয়েন্ট,
দ্যাট ল্যাম্ব ওয়াজ শিওর টু গোও। -
11:46 - 11:50মা রুঃ আর এখন, ১৩৭ বছর পরে,
-
11:50 - 11:54আমরা প্রায় একই মানের শব্দ উদ্ধার করতে সক্ষম
-
11:54 - 11:58কিন্তু, কেবলমাত্র শব্দের কারনে বস্তুর
কম্পনকে ক্যামেরার সাহায্যে পর্যবেক্ষন করে, -
11:58 - 12:00এবং এটি করতে পারি, এমনকি যদি ক্যামেরাটি
-
12:00 - 12:04থাকে বস্তুটির থেকে ১৫ ফুট দূরে,
শব্দ নিরোধক কাঁচের দেয়ালের ওপাশে। -
12:04 - 12:07তো, এক্ষেত্রে যে শব্দমালা আমরা
পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি তা হল, -
12:07 - 12:13কন্ঠস্বরঃ মেরী হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব
হুজ ফ্লীচ ওয়াজ হোয়াইট এজ স্নোও -
12:13 - 12:17এন্ড এভরিহোয়ার দ্যাট মেরী ওয়েন্ট,
দ্যাট ল্যাম্ব ওয়াজ শিওর টু গোও। -
12:17 - 12:21মা রুঃ আর হ্যাঁ, নজরদারি - এই প্রায়োগিক
দিকটি ই সবার আগে আমাদের মনে উঁকি দিয়েছে। -
12:21 - 12:24(হাসির রোল)
-
12:24 - 12:28কিন্তু অন্য অনেক ক্ষেত্রেও এটি উপযোগী হতে পারে।
-
12:28 - 12:31হয়তো আগামিতে এটিকে আমরা
ব্যবহার করতে পারবো, যেমন ধরুন, -
12:31 - 12:33শূন্যস্থানের ওপাশের শব্দকেও
পুনরুদ্ধার করতে পারবো, -
12:33 - 12:37কারন শূন্যস্থানের ভিতর দিয়ে শব্দ
যেতে পারে না, কিন্তু আলো যেতে পারে। -
12:37 - 12:39আমরা কেবল অন্বেষণ শুরু করেছি মাত্র,
-
12:39 - 12:42এই নতুন প্রযুক্তির সম্ভাব্য অন্যান্য ব্যাবহারের।
-
12:42 - 12:45এটি সেসব বস্তুগত প্রক্রিয়া দেখাচ্ছে
যে গুলো আমাদের জানা -
12:45 - 12:49অথচ সেগুলো আজ পর্যন্ত আমরা
আমাদের চোখে দেখতে পারিনি। -
12:49 - 12:50এই যে এখানে আমাদের দলটি।
-
12:50 - 12:53আজকে এখানে যা কিছু আপনাদেরকে
দেখালাম তা সবই এঁদের সহযোগিতার ফল, -
12:53 - 12:55এই যে অসাধারন ব্যক্তিবর্গকে এখানে দেখছেন,
-
12:55 - 12:58এবং আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে আসতে উৎসাহ দিচ্ছি আর সাদর আমন্ত্রন জানাচ্ছি,
-
12:58 - 12:59নিজে চেষ্টা করে দেখুন,
-
12:59 - 13:02এবং আমাদের সাথে যোগ দিয়ে সূক্ষ্ম
নড়াচড়ার জগতটাকে উন্মোচন করুন। -
13:02 - 13:04ধন্যবাদ।
-
13:04 - 13:05(করতালি)
- Title:
- অদৃশ্য নড়াচড়া দর্শন, নিঃশব্দকে শব্দাকারে শ্রবণ। ক্ষ্যাপামি? পিলে-চমকানো? আমরা ঠিক জানিনা
- Speaker:
- মাইকেল রুবিনস্টেইন
- Description:
-
"নড়াচড়া অণুবীক্ষণ" যন্ত্রের সাথে পরিচিত হওয়া যাক, এটি খালি চোখে দেখার অযোগ্য সূক্ষ্ম নড়াচড়া ও রঙের পরিবর্তনকে দৃশ্যমান করে তোলার উপযোগী একটি ভিডিও-প্রক্রিয়াকরন পদ্ধতি। এই নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে নেহায়েত একটি ভিডিও থেকে কিভাবে একজনের নাড়ীর গতি ও হৃতস্পন্দন পর্যবেক্ষণ করা যায় তা ভিডিও গবেষক মাইকেল রুবিনস্টেইন একের পর এক হতবাক করে দেয়া ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে আমাদেরকে দেখাচ্ছেন। দেখুন কিভাবে তিনি শব্দ তরঙ্গের ধাক্কায় একটি চিপসের প্যাকেটে উদ্ভূত কম্পনকে বিবর্ধিত করে সেখান থেকে কথোপকথন পুনরুদ্ধার করছেন। প্রযুক্তির এই হত-বিহ্বলকারি এবং সাঙ্ঘাতিক ব্যবহার চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না।
- Video Language:
- English
- Team:
- closed TED
- Project:
- TEDTalks
- Duration:
- 13:18
Palash Ranjan Sanyal approved Bengali subtitles for See invisible motion, hear silent sounds. Cool? Creepy? We can't decide | ||
Palash Ranjan Sanyal edited Bengali subtitles for See invisible motion, hear silent sounds. Cool? Creepy? We can't decide | ||
Palash Ranjan Sanyal accepted Bengali subtitles for See invisible motion, hear silent sounds. Cool? Creepy? We can't decide | ||
Palash Ranjan Sanyal edited Bengali subtitles for See invisible motion, hear silent sounds. Cool? Creepy? We can't decide | ||
Palash Ranjan Sanyal edited Bengali subtitles for See invisible motion, hear silent sounds. Cool? Creepy? We can't decide | ||
Falguni Sanyal edited Bengali subtitles for See invisible motion, hear silent sounds. Cool? Creepy? We can't decide | ||
Falguni Sanyal edited Bengali subtitles for See invisible motion, hear silent sounds. Cool? Creepy? We can't decide | ||
Mujib Khan edited Bengali subtitles for See invisible motion, hear silent sounds. Cool? Creepy? We can't decide |