Return to Video

মানব মস্তিষ্কের বিশেষ অভিনবত্বের পেছনে রহস্যটা কী?

  • 0:01 - 0:03
    মানব মস্তিষ্কের বিশেষ অভিনবত্ব কোথায়?
  • 0:03 - 0:06
    আমরা অন্যান্য প্রাণীদের নিয়ে গবেষণা করে থাকি
  • 0:06 - 0:08
    অথচ তারা আমাদেরকে নিয়ে গবেষণা করতে অক্ষম, কিভাবে এরকম হল?
  • 0:08 - 0:09
    মানব মস্তিষ্কে এমন কী আছে যা অন্যদের নেই?
  • 0:09 - 0:11
    এমন কী করতে পারে যা অন্য প্রানীদের মস্তিষ্ক পারে না?
  • 0:11 - 0:14
    দশ বছর আগে আমি যখন এই প্রশ্ন গুলোর ব্যাপারে আগ্রহী হই,
  • 0:14 - 0:17
    সে সময়ে বিজ্ঞানীরা মনে করতেন যে ভিন্ন ভিন্ন মস্তিষ্ক কি ভাবে গঠিত তা তাঁরা জানেন।
  • 0:17 - 0:19
    পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ হাতে না থাকার পরেও
  • 0:19 - 0:21
    অনেক বিজ্ঞানীরা মনে করতেন যে, মানুষ সহ
  • 0:21 - 0:23
    সকল স্তন্যপায়ী প্রানীর মস্তিষ্ক
  • 0:23 - 0:24
    একই রকম ভাবে গঠিত,
  • 0:24 - 0:25
    কোনো মস্তিষ্কের ভিতরে মোট নিউরনের সংখ্যা
  • 0:25 - 0:28
    সব সময়েই সেই মস্তিষ্কের আকারের সমানুপাতিক।
  • 0:28 - 0:30
    তার মানে হল, সমান আকারের দুটি মস্তিষ্কে,
  • 0:30 - 0:33
    যেমন, সমীহ জাগানো ৪০০ গ্রাম ওজনের এই দুটি
  • 0:33 - 0:36
    মস্তিষ্কে সমান সংখ্যক নিউরন থাকবে।
  • 0:36 - 0:38
    এখন, নিউরন যদি মস্তিষ্কের তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরন
  • 0:38 - 0:41
    কর্মকাণ্ড সম্পাদনের একক হয়,
  • 0:41 - 0:42
    তাহলে এই দুটি মস্তিষ্কের অধিকারী দুজনের একই রকম
  • 0:42 - 0:45
    বুদ্ধিবৃত্তিক যোগ্যতা থাকার কথা।
  • 0:45 - 0:47
    কিন্তু আসলে, এদের একজন একটি শিম্পাঞ্জী
  • 0:47 - 0:50
    আর অন্যজন একটি গরু মাত্র।
  • 0:50 - 0:52
    হতেও পারে যে, গরু সম্প্রদায়ের একটি সু-উন্নত
  • 0:52 - 0:54
    আভ্যন্তরীণ মনোজগৎ রয়েছে এবং তাঁরা এতটাই বুদ্ধিমান
  • 0:54 - 0:58
    যে তাঁরা ইচ্ছা করেই আমাদেরকে তা বুঝতে দেন না,
  • 0:58 - 1:00
    কিন্তু আমরা তাঁদের মাংস খাই।
  • 1:00 - 1:01
    আমি মনে করি, বেশীরভাগ মানুষই এটা মানবেন
  • 1:01 - 1:03
    যে, শিম্পাঞ্জীরা গরুর চেয়ে অনেক বেশী জটিল,
  • 1:03 - 1:06
    বিশদ ও সহজে পরিবর্তন যোগ্য আচরণ করতে সক্ষম।
  • 1:06 - 1:08
    তাই, প্রাথমিক ভাবে এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে,
  • 1:08 - 1:10
    "সব মস্তিষ্ক একই ভাবে গঠিত" - কথাটি
  • 1:10 - 1:12
    পুরোপুরি সঠিক নয়।
  • 1:12 - 1:13
    তারপরেও আগানো যাক।
  • 1:13 - 1:15
    সব মস্তিষ্ক যদি একই ভাবে গঠিত হয়
  • 1:15 - 1:18
    এবং আমরা যদি ভিন্ন ভিন্ন আকারের মস্তিষ্ক বিশিষ্ট প্রাণীদের মধ্য তুলনা করি,
  • 1:18 - 1:20
    বড় আকারের মস্তিষ্কে সব সময় ছোট মস্তিষ্কের
  • 1:20 - 1:23
    চেয়ে বেশি নিউরন থাকবে, এবং যার
  • 1:23 - 1:26
    মস্তিষ্ক যত বড়, সে তত বেশি বুদ্ধিমান হবে।
  • 1:26 - 1:28
    অর্থাৎ কিনা, প্রাণী জগতে যার মস্তিষ্ক সবচেয়ে বড়,
  • 1:28 - 1:30
    সেই সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমান।
  • 1:30 - 1:32
    এবং, এখানেই যত বিপত্তি -
  • 1:32 - 1:34
    আকারের দিক থেকে আমাদের মস্তিষ্ক প্রাণীকুলে সবচেয়ে বড় নয়!
  • 1:34 - 1:36
    এ তো দেখছি ভালো ফ্যাসাদ!
  • 1:36 - 1:39
    আমাদের মস্তিষ্কের ওজন ১.২ থেকে ১.৫ কিলোগ্রামের মধ্যে,
  • 1:39 - 1:42
    এদিকে হাতীদের মস্তিষ্কের ওজন চার থেকে পাঁচ কিলোগ্রামের মধ্যে,
  • 1:42 - 1:45
    আর একটি তিমির মস্তিষ্কের ওজন নয় কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে,
  • 1:45 - 1:49
    আর তাই বিজ্ঞানীরা এরকম একটি আপ্ত-বাক্যের শরণ নিয়ে বলতেন -
  • 1:49 - 1:52
    "অবশ্যই আমাদের মস্তিষ্কে অসাধারণ কিছু আছে" -
  • 1:52 - 1:54
    এতে যদি আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতার কোনো ব্যাখ্যা মেলে।
  • 1:54 - 1:57
    বাস্তবিক পক্ষেই এটি অনন্য সাধারণ কিছু হবে,
  • 1:57 - 1:59
    গতানুগতিক নিয়মের একেবারেই ব্যতিক্রম!
  • 1:59 - 2:03
    তাদেরটা আকারে বড় হতে পারে, কিন্তু আমাদেরটা বেশি উন্নত,
  • 2:03 - 2:04
    এবং এটা আরও বেশি উন্নত হতে পারত, যেমন,
  • 2:04 - 2:07
    যত বড় হওয়ার কথা, তার চেয়ে এটি বেশ বড়,
  • 2:07 - 2:09
    আমাদের সেরেব্রাল কর্টেক্সটিও এই মাপের হওয়ার কথা না,
  • 2:09 - 2:11
    যদি আমাদের দেহের আকার বিবেচনা করি।
  • 2:11 - 2:12
    ফলে আমরা খানিকটা বাড়তি কর্টেক্স পাচ্ছি যা দিয়ে
  • 2:12 - 2:15
    শরীর পরিচালনা করার পাশাপাশি বাড়তি কিছু মজাদার কাজও করা সম্ভব।
  • 2:15 - 2:17
    এটা এজন্যে যে, মস্তিষ্কের আকার
  • 2:17 - 2:19
    সাধারণত দেহের আকারের সাথে সঙ্গতি রেখে চলে।
  • 2:19 - 2:22
    অর্থাৎ, প্রধানত যে কারণে আমরা বলছি যে -
  • 2:22 - 2:24
    আমাদের মস্তিষ্ক এত বড় হওয়ার কথা না -
  • 2:24 - 2:26
    সেই কারণটি আমরা আসলে পেয়েছি আমাদের সাথে
  • 2:26 - 2:27
    অতিকায় বানরদের তুলনার মাধ্যমে।
  • 2:27 - 2:30
    গরিলারা আমাদের চেয়ে আকারে দুই থেকে তিন গুন বড় হতে পারে,
  • 2:30 - 2:32
    অতএব তাদের মস্তিষ্কের আকারও আমাদেরটার চেয়ে বড় হবার কথা,
  • 2:32 - 2:34
    কিন্তু বাস্তবে এটি সম্পুর্ন উল্টো!
  • 2:34 - 2:37
    গরিলার চেয়ে আমাদের মস্তিষ্ক তিন গুন বড়।
  • 2:37 - 2:39
    মানব মস্তিষ্ককে আবারও অসাধারণ মনে হবে যদি
  • 2:39 - 2:42
    এর এনার্জি ব্যবহারের পরিমাণ বিবেচনা করা হয়।
  • 2:42 - 2:44
    যদিও ওজনের দিক দিয়ে এটি আমাদের দেহের মাত্র ২ শতাংশ,
  • 2:44 - 2:48
    কিন্তু শুধুমাত্র মস্তিষ্কের পেছনেই আমাদের শরীরের
  • 2:48 - 2:50
    দৈনিক এনার্জি চাহিদার ২৫ শতাংশ ব্যয় হয়।
  • 2:50 - 2:54
    তার মানে, মোট ২,০০০ ক্যালরির মধ্য থেকে ৫০০ ক্যালরিই ব্যয় হয়
  • 2:54 - 2:56
    শুধুমাত্র মস্তিষ্ককে সচল রাখতে।
  • 2:56 - 2:59
    তো, যত বড় হবার কথা তার চেয়ে মানব মস্তিষ্ক ঢের বড়,
  • 2:59 - 3:01
    যা উচিত ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি এনার্জি ব্যবহার করে,
  • 3:01 - 3:02
    অতএব এটি অসাধারণ।
  • 3:02 - 3:05
    আর গল্পের এখান থেকেই আমার অস্বস্তির সূত্রপাত।
  • 3:05 - 3:07
    জীববিদ্যায় আমরা সে সব নিয়ম খোঁজার চেস্টা করি
  • 3:07 - 3:09
    যা সকল প্রাণী এবং মোটা দাগে সব জীবের ক্ষেত্রে প্রজোয্য,
  • 3:09 - 3:11
    তাহলে বিবর্তনের এই নিয়ম গুলো কেন
  • 3:11 - 3:15
    অন্যদের বেলায় খাটলেও আমাদের ক্ষেত্রে খাটেনা?
  • 3:15 - 3:17
    হয়ত এই মূল ধ্যান ধারনাটিতেই কিছু গলদ আছে -
  • 3:17 - 3:19
    যে, সকল মস্তিষ্ক একই ভাবে গঠিত।
  • 3:19 - 3:21
    হতেও পারে যে, একই আকারের দুটি মস্তিষ্ক
  • 3:21 - 3:23
    সম্পুর্ন ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যক নিউরন দিয়ে গঠিত।
  • 3:23 - 3:25
    হয়ত একটি সুবিশাল মস্তিষ্কের
  • 3:25 - 3:27
    মোট নিউরনের সংখ্যা অন্য একটি
  • 3:27 - 3:29
    মাঝারি আকারের মস্তিষ্কের চেয়েও কম।
  • 3:29 - 3:32
    হয়ত প্রানীকুলে মানব মস্তিষ্কেই সবচেয়ে বেশি নিউরন থাকে,
  • 3:32 - 3:34
    তা সে যে আয়তনেরই হোক না কেন,
  • 3:34 - 3:37
    বিশেষ করে, সেরেব্রাল কর্টেক্স এ।
  • 3:37 - 3:38
    তাই আমার কাছে এখন এটাই
  • 3:38 - 3:40
    সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে -
  • 3:40 - 3:42
    মানব মস্তিষ্কে কি পরিমাণ নিউরন আছে?
  • 3:42 - 3:45
    অন্যান্য প্রানীদের তুলনায় সংখ্যাটা কি রকম?
  • 3:45 - 3:47
    এখন, আপনারা হয়ত শুনেছেন বা পড়েছেন যে,
  • 3:47 - 3:49
    আমাদের মগজে ১০০ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে,
  • 3:49 - 3:51
    তাই দশ বছর আগে সহকর্মীদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম
  • 3:51 - 3:53
    কেউ জানেন কি এই সংখ্যার হিসাবটা কিভাবে এলো?
  • 3:53 - 3:55
    কিন্তু কেউ ই জানতেন না।
  • 3:55 - 3:56
    আমি নিজেও অনেক বই-পত্র ঘেঁটে চলেছি,
  • 3:56 - 3:58
    এই সংখ্যাটির আদি সূত্রের সন্ধানে,
  • 3:58 - 4:00
    কিন্তু কখনও পাইনি।
  • 4:00 - 4:03
    মনে হচ্ছে আসলে কেউ কখনও গণনাই করেন নি যে,
  • 4:03 - 4:04
    কতগুলি নিউরন আছে মানব মস্তিষ্কে,
  • 4:04 - 4:07
    কিংবা অন্য প্রানীদের মস্তিষ্কে?
  • 4:07 - 4:10
    তাই মস্তিষ্কে কোষের সংখ্যা গণনা করার জন্য আমার একটি নিজস্ব পদ্ধতি বের করেছি,
  • 4:10 - 4:12
    আর এটা মূলত তৈরি হয়েছে
  • 4:12 - 4:16
    মগজকে তরলে দ্রবীভূত করার উপরে ভিত্তি করে।
  • 4:16 - 4:18
    এটা এভাবে কাজ করে -
  • 4:18 - 4:21
    একটি মস্তিষ্ক বা তার কিছুটা অংশ নিন,
  • 4:21 - 4:22
    এবার সেটাকে ডিটারজেন্ট এ দ্রবীভূত করুন,
  • 4:22 - 4:24
    এর ফলে কোষ প্রাচীরগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে
  • 4:24 - 4:26
    কিন্তু নিউক্লিয়াস গুলো ঠিকই আস্ত থেকে যাবে
  • 4:26 - 4:30
    ফলে আপনি একটি মুক্ত নিউক্লিয়াস এর ঘন দ্রবন পাবেন
  • 4:30 - 4:31
    ঠিক এরকম দেখতে,
  • 4:31 - 4:33
    যেন একটি পরিষ্কার স্যুপ।
  • 4:33 - 4:35
    এই স্যুপের ভিতরে সেই সব নিউক্লিয়াস আছে
  • 4:35 - 4:37
    যে গুলো একদা একটি ইঁদুরের মস্তিষ্কে ছিল।
  • 4:37 - 4:40
    এখন, মজার ব্যাপার হল, যেহেতু এটি স্যুপে পরিণত হয়েছে,
  • 4:40 - 4:43
    আপনি এটাকে ঝাঁকিয়ে নিউক্লিয়াসগুলোকে
  • 4:43 - 4:44
    এই তরলের মাঝে সুষমভাবে ছড়িয়ে দিতে পারবেন,
  • 4:44 - 4:46
    এর ফলে এখন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে
  • 4:46 - 4:51
    এই সুষম মিশ্রণ থেকে কেবল মাত্র চার পাঁচটি নমুনা পর্যবেক্ষণ করলেই
  • 4:51 - 4:53
    আপনি নিউক্লিয়াসগুলোকে গুনতে পারবেন, আর বলতে পারবেন
  • 4:53 - 4:55
    ওই মগজটিতে কতগুলি কোষ ছিল।
  • 4:55 - 4:56
    এটি সহজ, এটি সোজা-সাপ্টা
  • 4:56 - 4:58
    এবং সত্যিই খুব কম সময় নেয়।
  • 4:58 - 5:00
    তো এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে আমরা নিউরন গুনেছি,
  • 5:00 - 5:02
    এ পর্যন্ত কয়েক ডজন বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর,
  • 5:02 - 5:04
    এবং আমরা জেনেছি
  • 5:04 - 5:06
    যে, সকল মস্তিষ্ক একইভাবে গঠিত নয়!
  • 5:06 - 5:09
    ইঁদুর গোত্র এবং বানর গোত্রের কথা ভাবি,
  • 5:09 - 5:11
    ইঁদুরদের বেলায়, বড় আয়তনের মাথার নিউরনগুলিও
  • 5:11 - 5:13
    গড় আয়তনে বড় হয়,
  • 5:13 - 5:15
    ফলে বেশ দ্রুত হারে তাদের মস্তিষ্ক স্ফীত হয়ে
  • 5:15 - 5:18
    আয়তনে বড় হয় কিন্তু সেই গতিতে নিউরনের সংখ্যা বাড়ে না।
  • 5:18 - 5:20
    কিন্তু বানর গোত্রের মস্তিষ্কে নিউরন সংখ্যায় বাড়ে,
  • 5:20 - 5:22
    এক একটি নিউরনের গড় আয়তন তেমন একটা বাড়ে না,
  • 5:22 - 5:24
    এটা খুবই সাশ্রয়ী পদ্ধতি -
  • 5:24 - 5:26
    মস্তিষ্কে নিউরনের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য।
  • 5:26 - 5:27
    ফলশ্রুতিতে একটি বানরের মগজে
  • 5:27 - 5:31
    সর্বদা সম আয়তনের একটি ইঁদুরের মগজের চেয়ে বেশী নিউরন থাকবে,
  • 5:31 - 5:32
    এবং মস্তিষ্কের আয়তন যত বড় হবে,
  • 5:32 - 5:34
    এই পার্থক্যও তত বেশী হবে।
  • 5:34 - 5:36
    বেশ, তাহলে আমাদের মস্তিষ্কের ব্যাপারটা কি?
  • 5:36 - 5:38
    আমরা দেখেছি, আমাদের আছে, গড়ে
  • 5:38 - 5:40
    ৮৬ বিলিয়ন নিউরন,
  • 5:40 - 5:43
    এদের ১৬ বিলিয়ন আছে সেরেব্রাল কর্টেক্সে,
  • 5:43 - 5:45
    আর আপনি ধরে নিতে পারেন যে, সেরেব্রাল কর্টেক্স
  • 5:45 - 5:48
    বিশেষ কিছু কর্মকাণ্ডের হোতা, যেমন
  • 5:48 - 5:51
    সচেতনতা এবং যুক্তিসম্মত ও বিমূর্ত যুক্তি চর্চা,
  • 5:51 - 5:54
    এবং এই ১৬ বিলিয়ন হচ্ছে নিউরনের সর্বোচ্চ সংখ্যা
  • 5:54 - 5:57
    যা কোনও কর্টেক্স ধারণ করতে পারে,
  • 5:57 - 5:58
    আমি মনে করি এটাই সহজতমভাবে ব্যাখ্যা করে
  • 5:58 - 6:02
    আমাদের এই নজরকাড়া বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতাকে।
  • 6:02 - 6:05
    কিন্তু একই সাথে এই ৮৬ বিলিয়ন নিউরন থাকাটাও বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
  • 6:05 - 6:06
    যেহেতু দেখা যাচ্ছে যে মস্তিষ্কের আয়তন
  • 6:06 - 6:09
    এবং নিউরনের সংখ্যার মধ্যেকার সম্পর্কটাকে
  • 6:09 - 6:10
    গানিতিকভাবে বর্ণনা করা সম্ভব,
  • 6:10 - 6:13
    আমরা মানব মস্তিষ্ক নিয়ে হিসাব কষে বলতে পারি
  • 6:13 - 6:15
    ইঁদুর গোত্রের জন্য এমন একটি মস্তিষ্কের আকার কেমন হবে।
  • 6:15 - 6:19
    হুম, একটি ইঁদুর গোত্রের মগজে ৮৬ বিলিয়ন নিউরন থাকতে হলে
  • 6:19 - 6:22
    এটির ওজন হবে ৩৬ কিলোগ্রাম!
  • 6:22 - 6:24
    এটি সম্ভব নয়।
  • 6:24 - 6:25
    এমন বিশাল ওজনের একটি মস্তিষ্ক বিধ্বস্ত হয়ে যাবে
  • 6:25 - 6:27
    তার নিজের ওজনের চাপে,
  • 6:27 - 6:28
    এবং এই অসম্ভব মগজটি ধারণ করতে
  • 6:28 - 6:32
    ৮৯ টন ওজনের একটি দেহ লাগবে।
  • 6:32 - 6:34
    এটি দেখতে আদৌ আমাদের মত মনে হচ্ছে না।
  • 6:34 - 6:37
    ফলে ইতিমধ্যেই আমরা একটা গুরুত্বপূর্ণ উপসংহারে পৌঁছেছি,
  • 6:37 - 6:39
    আর তা হল - আমরা ইঁদুর গোত্রীয় নই।
  • 6:39 - 6:43
    মানব মস্তিষ্ক একটি বড় আয়তনের ইঁদুর মস্তিষ্ক নয়।
  • 6:43 - 6:45
    দেখতে পাচ্ছি, ইদুরের তুলনায় আমরা বেশ অসাধারণ, হ্যাঁ,
  • 6:45 - 6:47
    তবে তুলনাটা খুব একটা যথাযথ নয়,
  • 6:47 - 6:50
    যখন আমরা জানি যে আমরা ইঁদুর গোত্রীয় নই।
  • 6:50 - 6:51
    আমরা প্রাইমেট বর্গের,
  • 6:51 - 6:54
    তাই কেবল অন্য প্রাইমেটদের সাথে তুলনা করলেই সেটা যথাযথ হবে।
  • 6:54 - 6:55
    এবং হিসাব করলে,
  • 6:55 - 6:58
    দেখবেন যে, প্রাইমেট বর্গের কোনো প্রা্ণীর
  • 6:58 - 7:00
    ৮৬ বিলিয়ন নিউরন থাকতে হলে
  • 7:00 - 7:03
    তার মগজের ওজন হবে প্রায় ১.২ কিলোগ্রাম,
  • 7:03 - 7:05
    এটা মনে হয় ঠিকই আছে,
  • 7:05 - 7:07
    ৬৬ কিলোগ্রাম ওজনের একটি দেহে,
  • 7:07 - 7:09
    যেটা আমার ক্ষেত্রে পুরোদস্তুর সঠিক,
  • 7:09 - 7:12
    এতে করে আমরা পাই খুবই প্রত্যাশিত
  • 7:12 - 7:15
    এবং সাংঘাতিক গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্তঃ
  • 7:15 - 7:16
    আমি একটি প্রাইমেট!
  • 7:16 - 7:19
    এবং আপনারা সবাই প্রাইমেট!
  • 7:19 - 7:21
    এবং ডারউইনও তাই ছিলেন।
  • 7:21 - 7:24
    আমার ভাবতেই ভালো লাগে যে, ডারউইন হয়তো ব্যাপারটাকে সত্যিই তারিফ করতেন।
  • 7:24 - 7:26
    তাঁর মস্তিষ্ক, আমাদেরগুলোর মতই,
  • 7:26 - 7:29
    অন্যান্য প্রাইমেটদের মস্তিষ্কের আদলে তৈরি হয়েছিল।
  • 7:29 - 7:31
    তাই, মানব মস্তিষ্ক হয়তো একটি চমকপ্রদ জিনিস, হ্যাঁ,
  • 7:31 - 7:34
    এটি অসাধারণ, কিন্তু তা নিউরনের সংখ্যার কারণে নয়।
  • 7:34 - 7:36
    এটা নেহায়েতই একটি বড় প্রাইমেট মস্তিষ্ক।
  • 7:36 - 7:39
    আমি মনে করি এটি একটি বিনীত ও সংযত প্রত্যাশা হবে যে,
  • 7:39 - 7:42
    এটি প্রকৃতিতে আমাদের অবস্থানটা মনে করিয়ে দেবে।
  • 7:42 - 7:45
    তাহলে এটা এত বেশী শক্তি খায় কেন?
  • 7:45 - 7:46
    বেশ, অন্যরা এটা দেখিয়েছেন যে,
  • 7:46 - 7:48
    কি পরিমা্ণ শক্তি ব্যবহৃত হয়
  • 7:48 - 7:49
    মানব এবং অন্যান্য প্রজাতির প্রাণীর মস্তিষ্কে,
  • 7:49 - 7:51
    এবং এখন জেনেছি কি পরিমাণ নিউরন
  • 7:51 - 7:53
    নিয়ে এক একটি মস্তিষ্ক গঠিত, হিসাবটা জানি।
  • 7:53 - 7:55
    এবং এটাই প্রতীয়মান হয় যে, মানুষ
  • 7:55 - 7:58
    ও অন্যান্য মস্তিষ্ক প্রায় একই পরিমাণ শক্তি টানে,
  • 7:58 - 8:01
    যা কিনা প্রতি বিলিয়ন নিউরনের জন্য প্রতিদিন ৬ ক্যালরি করে।
  • 8:01 - 8:03
    অর্থাৎ মস্তিষ্কের মোট এনার্জি চাহিদার পরিমাণ
  • 8:03 - 8:05
    একটি মামুলী সরল রাশি যা কিনা
  • 8:05 - 8:07
    তার নিউরনের সংখ্যার উপর নির্ভরশীল,
  • 8:07 - 8:09
    এবং দেখা যাচ্ছে যে মানব মস্তিষ্ক ঠিক
  • 8:09 - 8:13
    সেই পরিমা্ণ শক্তি ব্যবহার করে যেরকমটি আমরা অনুমান করি।
  • 8:13 - 8:15
    তাই কি কারণে মানব মস্তিষ্ক
  • 8:15 - 8:17
    এত বেশী শক্তি ব্যবহার করে তা খুবই সোজা -
  • 8:17 - 8:19
    এখানে বিশাল সংখ্যক নিউরন আছে।
  • 8:19 - 8:20
    এবং যেহেতু আমরা প্রাইমেট বর্গের
  • 8:20 - 8:23
    এবং দেহের মাপের তুলনায় নিউরনের সংখ্যা অনেক বেশী
  • 8:23 - 8:24
    অন্যান্য বর্গের প্রাণীদের চেয়ে,
  • 8:24 - 8:28
    তাই তাদের তুলনায় আমাদের মস্তিষ্কের শক্তির চাহিদাও বিশাল,
  • 8:28 - 8:31
    কিন্তু এমনটি হয়েছে শুধুমাত্র আমরা প্রাইমেট বলে, আমরা অসাধারণ বলে নয়।
  • 8:31 - 8:32
    তাহলে, শেষ প্রশ্নঃ
  • 8:32 - 8:35
    কিভাবে আমাদের নিউরনের সংখ্যা এমন অস্বাভাবিক রকম বেশী হল?
  • 8:35 - 8:37
    এবং বিশেষ করে গ্রেট এপস (গরিলা, ইত্যাদি) যখন
  • 8:37 - 8:39
    আমাদের চেয়ে আকারে বড় দেহের,
  • 8:39 - 8:42
    তাদের কেন আমাদের চেয়ে বেশী নিউরন বিশিষ্ট বড় আকারের মস্তিষ্ক নেই?
  • 8:42 - 8:45
    যখন বুঝতে পেরেছিলাম যে এটা কতটা ব্যয় বহুল
  • 8:45 - 8:47
    যখন মস্তিষ্কে প্রচুর পরিমা্ণ নিউরন থাকে, তখন বুঝলাম,
  • 8:47 - 8:49
    এর হয়ত কোনো সরল ব্যাখ্যা আছে।
  • 8:49 - 8:51
    প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দেয়া অসম্ভব
  • 8:51 - 8:54
    যদি দেহ এবং নিউরন সংখ্যা দুটোই অনেক বড় হয়।
  • 8:54 - 8:55
    তাই অঙ্ক কষলাম।
  • 8:55 - 8:57
    হিসাবের একপাশে লিখলাম
  • 8:57 - 8:59
    একটি প্রাইমেট প্রতিদিন কি পরিমান এনার্জি পায়
  • 8:59 - 9:00
    কাঁচা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে,
  • 9:00 - 9:02
    আর অন্য পাশে লিখলাম, কি পরিমান এনার্জি
  • 9:02 - 9:04
    একটি নির্দিষ্ট আকারের দেহে ব্যবহৃত হয়
  • 9:04 - 9:07
    এবং একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক নিউরন বিশিষ্ট মস্তিষ্ক দ্বারা কি পরিমান এনার্জি ব্যবহৃত হয়,
  • 9:07 - 9:09
    এবং সেই কম্বিনেশনটি খুঁজলাম
  • 9:09 - 9:11
    দেহের আকার এবং নিউরনের সংখ্যার,
  • 9:11 - 9:12
    যা একটি প্রাইমেট এর উপযুক্ত
  • 9:12 - 9:15
    যদি সে খাবারের পেছনে দিনে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ঘণ্টা ব্যয় করত।
  • 9:15 - 9:17
    এবং আমরা যা পেয়েছি তা হল,
  • 9:17 - 9:18
    যেহেতু নিউরনগুলি অনেক বেশী শক্তি টানে,
  • 9:18 - 9:22
    তাই দেহের আয়তন এবং দেহস্থ নিউরনের সংখ্যার মাঝে একটি ভারসাম্য রয়েছে।
  • 9:22 - 9:25
    তাই যে প্রাইমেটটি প্রতিদিন আট ঘণ্টা ধরে খাবার খায়
  • 9:25 - 9:28
    তার মস্তিষ্কে সর্বোচ্চ ৫৩ বিলিয়ন নিউরন থাকা সম্ভব,
  • 9:28 - 9:29
    এবং সেক্ষেত্রে তাঁর দেহের ওজন হবে
  • 9:29 - 9:31
    অনুর্ধ ২৫ কিলোগ্রাম।
  • 9:31 - 9:33
    এর চেয়ে বেশী ওজনের দেহ হলে
  • 9:33 - 9:35
    নিউরনের সংখ্যা কমতে হবে।
  • 9:35 - 9:37
    অর্থাৎ, হয় দেহের আয়তন বড় হবে
  • 9:37 - 9:39
    না হয় নিউরনের সংখ্যা বেশী হবে,
  • 9:39 - 9:40
    প্রাইমেটদের মত করে খাবার খেলে
  • 9:40 - 9:43
    দুটো একসাথে পাওয়া যাবে না।
  • 9:43 - 9:45
    এই শারীরবৃত্তিক সীমাবদ্ধতা কাটানোর একটা উপায় আছে,
  • 9:45 - 9:48
    তা হল, খাদ্য খাওয়ার পিছনে প্রতিদিন আরও অধিক সময় ব্যয় করা,
  • 9:48 - 9:49
    কিন্তু এতে বিপত্তি দেখা দিতে পারে,
  • 9:49 - 9:52
    এবং একটি নির্দিষ্ট সীমার পরে এটি রীতিমত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
  • 9:52 - 9:54
    উদাহরণস্বরূপ, একটি গরিলা বা ওরাংওটাং এর দেহে
  • 9:54 - 9:55
    ৩০ বিলিয়ন নিউরন থাকা সম্ভব,
  • 9:55 - 9:58
    খাদ্য খাওয়ার পিছনে দিনে আট ঘণ্টা করে সময় ব্যয় করলে,
  • 9:58 - 10:02
    এবং তারা খুব বেশী হলে এ পর্যন্তই যেতে পারে।
  • 10:02 - 10:03
    প্রতিদিন ৯ ঘণ্টা ধরে খাওয়াটা
  • 10:03 - 10:07
    মনে হচ্ছে প্রাইমেটদের জন্য বাস্তব সম্মত সীমা।
  • 10:07 - 10:08
    আমাদের বেলায় ব্যপারটা কি রকম?
  • 10:08 - 10:10
    আমাদের আছে ৮৬ বিলিয়ন নিউরন
  • 10:10 - 10:13
    আর ৬০ থেকে ৭০ কিলোগ্রাম ওজনের একটি দেহ,
  • 10:13 - 10:17
    হিসাব অনুযায়ী আমাদের দরকার ছিল ৯ ঘণ্টা
  • 10:17 - 10:20
    ধরে প্রতিদিন খাদ্য খাওয়া,
  • 10:20 - 10:22
    যা কিনা একেবারেই অবাস্তব।
  • 10:22 - 10:24
    আমরা যদি প্রাইমেটদের মত করে খেতাম
  • 10:24 - 10:26
    তাহলে আমরা এরকম হতে পারতাম না।
  • 10:26 - 10:28
    তাহলে কিভাবে আমরা এরকম হলাম?
  • 10:28 - 10:31
    বেশ, আমাদের মস্তিষ্ক যদি সে পরিমান এনার্জি ব্যয় করে,
  • 10:31 - 10:33
    যে পরিমান করা উচিত, এবং আমরা পারিনা
  • 10:33 - 10:37
    প্রতিদিনের জেগে থাকা প্রতিটা মুহূর্ত খাবারের পেছনে ব্যয় করতে,
  • 10:37 - 10:38
    সেক্ষেত্রে, একমাত্র সত্যিকারের বিকল্প
  • 10:38 - 10:40
    হল, কোনো উপায়ে বেশী পরিমান এনার্জি আহরন করা
  • 10:40 - 10:42
    একই পরিমান খাবার থেকে।
  • 10:42 - 10:46
    এবং মজার ব্যাপার হল, এটা পুরোপুরি মিলে যায়
  • 10:46 - 10:49
    যা আমাদের পূর্বপুরুষেরা আবিস্কার করেছিলেন বলে জানি
  • 10:49 - 10:51
    দেড় মিলিয়ন বছর আগে,
  • 10:51 - 10:54
    যখন তাঁরা রান্না করার পদ্ধতি আবিস্কার করেছিলেন।
  • 10:54 - 10:56
    রান্না করা মানেই আগুন ব্যবহার করে
  • 10:56 - 11:00
    শরীরে ঢোকানোর আগেই খাবারটাকে অনেকখানি হজম করে নেয়া।
  • 11:00 - 11:02
    রান্না করা খাবার অনেক নরম, তাই সহজে চিবানো যায়
  • 11:02 - 11:05
    এবং সহজেই মুখের ভিতরে সম্পূর্ণ পিষে ফেলা যায়,
  • 11:05 - 11:07
    ফলে খাবারটি পুরোপুরি হজম করা সম্ভব হয়
  • 11:07 - 11:08
    এবং দেহের মধ্যে শোষিত হয়।
  • 11:08 - 11:12
    যা কিনা অনেক কম সময়ে খাদ্য থেকে অনেক বেশী এনার্জি দেয়।
  • 11:12 - 11:15
    অর্থাৎ, রান্না করার ফলে আমরা কিছু বাড়তি সময় হাতে পাই
  • 11:15 - 11:17
    যা দিয়ে প্রতিদিন আমরা আকর্ষণীয় কিছু করতে পারি,
  • 11:17 - 11:18
    আমাদের নিউরন ব্যবহার করে,
  • 11:18 - 11:20
    অন্য কিছু - খাবার নিয়ে চিন্তার বদলে,
  • 11:20 - 11:22
    খাবার খোঁজা এবং গলধকরন করার বদলে,
  • 11:22 - 11:23
    সারাদিন ধরে।
  • 11:23 - 11:25
    তাই রান্না করার ফলে, যা এক সময়ে ছিল
  • 11:25 - 11:28
    একটি বিশাল বোঝা, এই বিশাল,
  • 11:28 - 11:31
    অত্যাধিক নিউরন সমৃদ্ধ বিপদজনক রকম খরুচে মস্তিষ্কটি
  • 11:31 - 11:33
    এখন হয়ে গেছে এক প্রধান সম্পদ,
  • 11:33 - 11:36
    এখন আমরা যেমন ব্যাপক সংখ্যক নিউরনের জন্য এনার্জির বন্দোবস্ত করতে সক্ষম, তেমনি পাশাপাশি
  • 11:36 - 11:39
    তাদের দিয়ে নানান কৌতূহলোদ্দীপক কাজ করিয়ে নিতে পারি।
  • 11:39 - 11:41
    তাই আমার মতে এটাই ব্যাখ্যা করে, কেন মানব মস্তিষ্ক
  • 11:41 - 11:44
    বিবর্তনের এক পর্যায়ে এত দ্রুত এতটা বড় হয়ে গেছে,
  • 11:44 - 11:48
    যেখানে বাকী সময়টা সে নেহায়েৎ একটি প্রাইমেট মস্তিষ্ক ছিল।
  • 11:48 - 11:50
    রান্নার বদৌলতে এহেন বিশাল মস্তিষ্ক থাকার সুবাদে
  • 11:50 - 11:53
    আমরা অতিদ্রুত কাঁচা খাবার থেকে পৌঁছে গেছি সংস্কৃতিতে,
  • 11:53 - 11:56
    কৃষিকাজে, সভ্যতায়, মুদি খানায়,
  • 11:56 - 11:58
    বিদ্যুতে, রেফ্রিজারেটরে।
  • 11:58 - 11:59
    এসব কিছুর সহায়তায় আজকাল
  • 11:59 - 12:01
    আমরা প্রয়োজনীয় সবটুকু এনার্জি পেয়ে যাই
  • 12:01 - 12:04
    যা সারাদিন চলার জন্য যথেষ্ট, মাত্র একবার বসলেই -
  • 12:04 - 12:07
    আপনার প্রিয় ফাস্ট ফুড জয়েন্ট এ।
  • 12:07 - 12:09
    আর তাই, যা একসময় সমাধান হিসাবে এসেছিল
  • 12:09 - 12:11
    তা এখন সমস্যাতে পরিণত হয়েছে,
  • 12:11 - 12:17
    এবং এমনই পরিহাস! আমরা সেই কাঁচা খাবারের মাঝেই সমাধান খুঁজেছি।
  • 12:17 - 12:19
    তো মানুষ হওয়ার কি ফায়দা?
  • 12:19 - 12:21
    আমাদের এমন কী আছে
  • 12:21 - 12:23
    যা অন্য কোনও প্রানীর নেই?
  • 12:23 - 12:26
    আমার উত্তর - আমাদের আছে সর্বোচ্চ সংখ্যক
  • 12:26 - 12:27
    সেরেব্রাল কর্টেক্স এর মধ্যেকার নিউরন,
  • 12:27 - 12:29
    আর আমি মনে করি এটাই সবচেয়ে সহজভাবে
  • 12:29 - 12:31
    আমাদের এই নজরকাড়া বুদ্ধিবৃত্তিক যোগ্যতাকে ব্যাখ্যা করে।
  • 12:31 - 12:34
    এবং আমরা এমন কী করি যা অন্য কোনও প্রানী করতে পারে না,
  • 12:34 - 12:36
    এবং যাকে আমি সেই মূল কারণ বলে বিশ্বাস করি
  • 12:36 - 12:39
    যা আমাদেরকে দিয়েছে এই বিশাল,
  • 12:39 - 12:41
    সর্বোচ্চ সংখ্যক নিউরন বিশিষ্ট একটি কর্টেক্স?
  • 12:41 - 12:44
    মাত্র দু'টি শব্দে, আমরা রাঁধি।
  • 12:44 - 12:47
    অন্য কোনও প্রানী খাবার রাঁধে না। শুধুমাত্র মানুষেরা করে।
  • 12:47 - 12:50
    এবং আমি মনে করি, এভাবেই আমরা মানুষ হয়েছি।
  • 12:50 - 12:53
    মানব মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা খাদ্যের প্রতি আমার চিন্তা ভাবনা পাল্টে দিয়েছে।
  • 12:53 - 12:54
    এখন আমি আমার রান্না ঘরের দিকে তাকাই
  • 12:54 - 12:56
    আর প্রণাম করি,
  • 12:56 - 12:57
    আর পূর্বপুরুষদেরকে ধন্যবাদ জানাই
  • 12:57 - 12:59
    এটা উদ্ভাবনের জন্য, যা আমাদের মানুষ বানিয়েছে।
  • 12:59 - 13:01
    আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ।
  • 13:01 - 13:08
    (করতালি)
Title:
মানব মস্তিষ্কের বিশেষ অভিনবত্বের পেছনে রহস্যটা কী?
Speaker:
সুজানা হারকিউলানো-হোজেল
Description:

মানব মস্তিষ্ক যেন এক মস্ত ধাঁধা -- এটি দেহের আয়তনের তুলনায় রীতিমত অস্বাভাবিক রকমের বিশাল, তার ওজনের কারণে বিপুল পরিমাণ শক্তি ব্যবহার করে এবং এতে আছে অভূতপূর্ব স্নায়ু-ঘনত্বের একটি অদ্ভুত সেরেব্রাল কর্টেক্স। কিন্তুঃ কেন? স্নায়ুবিজ্ঞানী সুজানা হারকিউলানো-হোজেল এবার গোয়েন্দার বেশে সেই রহস্য ভেদ করার পথ দেখাচ্ছেন। "মগজ-স্যুপ" তৈরি করে তিনি পৌঁছেছেন এক চমকপ্রদ উপসংহারে।

more » « less
Video Language:
English
Team:
closed TED
Project:
TEDTalks
Duration:
13:31

Bengali subtitles

Revisions